ফিরোজ মাহবুব কামাল: যারা চায় ইসলামী রাষ্ট্র, মহান আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন শিক্ষা, উম্মাহর মাঝে প্যান ইসলামিক ঐক্য, আদালতে শরীয়তী আইনের বিচার, দুর্বৃত্তের নির্মূল ও সুবিচারের প্রতিষ্ঠার জিহাদ -তারাই ইসলাম বিরোধী শত্রু পক্ষের কাছে চরমপন্থী্ ও মৌলবাদী। অথচ নবীজি তো এই কাজগুলোই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এগুলি নিয়েই তো নবীজীর ইসলাম। তাই যারা পূর্ণ ইসলাম পালন করতে চায় তাদের জন্য এগুলির কোনটিকে কি বাদ দেয়ার সুযোগ আছে?
অতি পরিতাপের বিষয় হলো বাংলাদেশের মতো মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে নবীজীর সেই ইসলাম বেঁচে নাই। বেঁচে থাকলে তো বাংলার ভূমিতে ইসলামী রাষ্ট্র, শরীয়তের বিচার, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআন শিক্ষাএবং দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে জেহাদ দেখা যেত। এবং প্রতিষ্ঠা পেতেও সুবিধা। কিন্তু বাংলাদেশে যা কিছু হচ্ছে সেগুলিতে তার উল্টো। দেশটি ইতিহাস গড়েছে দুরবৃত্তিতে বিশ্বে পাঁচবার প্রথম হয়ে। আদালতে চলছে কুফরি আইনের বিচার যাতে জিনাও অপরাধ নয়।
নবীজী ইসলামের যে বিষয়গুলোকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন সেগুলির জন্য লড়াই করা যদি চরমপন্থী ও মৌলবাদী রাজনীতি হয়, তবে প্রতিটি ঈমানদারের জন্য ফরজ হলো চরমপন্থী ও মৌলবাদী হওয়া এবং নবীজির প্রতিষ্ঠিত ইসলাম পালনে আপোষহীন হওয়া। যারা পূর্ণ ইসলাম পালন চায় তাদের সামনে এগুলির প্রতিষ্ঠা ছাড়া কোন ভিন্ন পথ নাই। এগুলোতে বিশ্বাস না করার অর্থ মহান আল্লাহর এজেন্ডার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হওয়া। এমন বিদ্রোহ ব্যক্তিকে কাফেরে পরিণত করে।
মুসলিম তো রাজনীতি করে মহান আল্লাহর এজেন্ডাকে বিজয়ী করার এজেন্ডা নিয়ে। তার সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য শুধু মহান আল্লাহকে খুশি করা, কোন বিদেশী শক্তিকে বা দেশের ইসলাম বিরোধী সেকুলারিস্টদের খুশি করা নয়। তাই কে কি বললো সেদিকে নজর না দিয়ে মুসলিমদের লক্ষ্য হতে হবে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর এজেন্ডাকে পুরাপুরি বিজয়ী করা। ইতি তো একমাত্র জান্নাতের পথ। এছাড়া অন্য সবগুলো পথই তো জাহান্নামের।