নিজস্ব প্রতিবেদক: আবদুল মজিদ (Abdul Mazid), পিতা- মৃত জৈনদ্দিন আহাম্মেদ, মাতা-মৃত চন্দ্র বানু, সাং- দক্ষিন জয়পাড়া, থানা দোহার, জেলা ঢাকা। স্ত্রী- ফরিদা ইয়াসমিন ( Farida Yesmin)। ঢাকায় আবাসনের ঠিকানা- বাসানং-৩৯ রোড নং- ১, সেক্টর- ৫, উত্তরা ১২৩০, ঢাকা। তিনি সপরিবারে স্থায়ীভাবে সিঙ্গাপুরে বসবাস করেন। শোনা যায় আবদুল মজিদ একটি অপরাধ চক্রের সঙ্গে জড়িত। তার ছোটভাই আব্দুল আজিজ ৮০ দশকের একজন আন্তর্জাতিক স্মাগলার। স্মাগলিং ব্যবসা করে ৮০ দশকের আগে এবং পরে তারা ঢাকা নগরীতে এবং গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ জমি-জমা এবং সম্পদের অধিকারী হয়ে ওঠে। সম্পদের পরিমাণ এতো বেশি হয়ে যায় যে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভাইবোন বাড়ির লজিং মাস্টার এমন কি কাজের মানুষের নামেও বেশকিছু জমি ক্রয় করেন। ছোটভাই আব্দুল আজিজ বহুবার আইন শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়ে নিগৃত হন। জানা গেছে সিঙ্গাপুর পুলিশ তাকে ইন্টারোগেট করতে ইলেকট্রিক শক দেয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। পরবর্তী সময়ে আব্দুল আজিজ পরিবার পরিজনদের ফেলে নিরুদ্দেশ হয়ে যেতো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর জানা যেত মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় দেশের বিভিন্ন মাজারে তার ঘুরে বেড়ানোর কথা। বর্তমানে তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উত্তরার বাড়ীতে অবস্থান করছেন। বাড়িটি তাদের বাবা জৈনুদ্দিন আহমেদের নামে ক্রয় করেছিলেন। এখানে নিজ অর্থে বিশাল ৫তলা বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছিল। তিন ভাই এবং তাদের ছেলেমেয়েরা এখন ওই বাড়ির মালিক এবং বসবাসকারী। আব্দুল মজিদ ৮০ সালের দিকে দু`টি মার্ডার করে ছদ্মনামে পাসপোর্ট বানিয়ে সপরিবারে সিঙ্গাপুর পাড়ি দেন। সেখানেই তিনি সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা এবং পাসপোর্ট হোল্ডার হয়ে দীর্ঘকাল বসবাস করছেন। শোনা যায় সিঙ্গাপুরে আবদুল মজিদ হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। মৃত জৈনুদ্দিন আহাম্মেদের পুত্র আব্দুল মজিদের সিঙ্গাপুর পাসপোর্টে বর্তমান নাম ওসমান হায়দার ( Osman Haider) পিতার- নামও ভিন্ন! স্ত্রী- ফরিদা ইয়াসমিন ( Farida Yesmin)। ছোট ভাই আব্দুল আজিজের স্মাগলিং করা ইনকামের টাকায় কেনা সম্পদের কিঞ্চিত বিবরণ-- ১। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে ১ নম্বর রোডে ৩৯ নম্বর প্লটে ৫কাটা জমিতে বিশাল পাঁচ তলা বিল্ডিং। ২। ঢাকা নিউমার্কেটে একটি বিশাল দোকান। দোকানটি দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছিল একমাত্র ভগ্নিপতি আরেক বাটপার দেওয়ান আখতারুজ্জামানের উপর। যে পরবর্তীকাল জালিয়াতি করে দোকানটি নিজের নামে করে নেয়। আখতারুজ্জামানের পিতা- মৃত ইমান আলী, সাং- গোবিন্দপুর, থানা নবাবগঞ্জ, জেলা ঢাকা। আব্দুল্লাহ আজিজ অসুস্থ হওয়ার পর ভাইবোন ভগ্নিপতি মিলে সমস্ত সম্পত্তি ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। দেওয়ান আখতারুজ্জামান মোহাম্মদপুর এর আদাবরে একটি বাড়ি ক্রয় করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে। ৩। নিউমার্কেট এলাকায় আরেকটি স্থাপনা আছে যা একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভাড়া দেয়া হয়েছে। ৪। ধানমন্ডি কলাবাগানে ১৩/১,লেক সার্কাসে পিতা জৈনুদ্দিন আহাম্মেদের নামে একটি পুরাতন বিল্ডিং সহ পাঁচ কাঠার প্লট ক্রয় করেছে। ৫। গাজিপুরায় ২৭ মৌজায় ৭০/৮০ বিঘা জমি একাধিক নামে ক্রয় করেছিল। ৬। জয়দেবপুরের সন্নিকটে ভোগরায় স্টেডিয়ামের মত চারদিকে বাউন্ডারি দেয়া বিশাল একটি এলাকা পিতা ও পরিবারের সদস্যের নামে ক্রয় করেছিল। ৭। টঙ্গীর দত্তপাড়ায় একটা প্লট ছিল। ৮। উত্তরায় মেইন রোডে একটা প্লট ছিল। ৯। বাড্ডায় কিছু জমি ছিল যা ইস্টার্ন হাউজিং তার আওতায় নিয়ে নেয়। এছাড়াও দোহার থানার দক্ষিণ জয় পাড়ায় নিজ গ্রামেও জমিজমা কেনা হয়েছিল। তদন্ত করলে এমন আরও বহু প্লটের সন্ধান পাওয়া যাবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে নিবেদন আবদুল মজিদকে কেন্দ্র করে অনুসন্ধান চালালে বহু স্থাপনা খুঁজে পাওয়া যাবে যা এই স্মাগলার পরিবারের সদস্যদের নামে এবং নানা বেনামে অবৈধ উপার্জনের টাকায় ক্রয় করা হয়েছিল। আব্দুল আজিজ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর স্মাগলিংয়ের হাল ধরেন ভিজে বেড়ালের মতো মিনমিনে স্বভাবের আব্দুল মজিদ। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে ঈদের আগে মজিদ সিঙ্গাপুরের বেনামী পাসপোর্টে দেশে ফিরবে এবং বৈষয়িক কাজ সেরে আবার সিঙ্গাপুর চলে যাবে। আব্দুল মজিদ সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর ২০২৪ ওসমান হায়দার ছদ্মনামের পাসপোর্টে দেশে এসে আবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ সিঙ্গাপুরে ফিরে গেছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাসমূহের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি আব্দুল মজিদ ওরফে সিঙ্গাপুরি পাসপোর্টে ওসমান হায়দার ছদ্মনামের অপরাধ জগতের মানুষটি দেশে ফেরা মাত্র তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে সমস্ত অপরাধ ও সম্পদের খুঁটিনাটি বিষয় উদঘাটন করে বিচারে সোপর্দ করা হোক।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]