কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই নারী বাবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল থেকে বাড়িতে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। এদিন দুপুরে ভুক্তভোগীর বাড়িতে যান সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
তিনি বলেন, আমি এসেছিলাম সমবেদনা জানাতে, কিন্তু তাদের কাউকে পেলাম না। পুলিশ ও সরকারের উপদেষ্টা মিলে ষড়যন্ত্র করে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এর পেছনে উদ্দেশ্য কী, জানতে চাই।
এদিকে পুলিশ বলছে, ঘটনার পর প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন ভিড় করছেন। এ ছাড়া গণমাধ্যমকর্মী ও ইউটিউবারদের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে দিতে তার জীবন ‘দুর্বিষহ’ হয়ে উঠেছে। এমন ‘বিব্রতকর’ পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ি ছেড়ে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী নারী তার স্বামীর বাড়ি যাবেন বলে বাবার বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। পুলিশের সহযোগিতায় তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছেন। এরপর তার মা–বাবাসহ পরিবারের লোকজনও অন্যত্র চলে যান।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ওই নারী তার শ্বশুরবাড়ি গেছেন। এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। অনেক লোকজন প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছিল। তিনি স্বস্তির জন্য চলে গেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের বাহেরচর গ্রামে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় ধর্ষণকারী ফজর আলী ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
|