মিয়া আবদুল হান্নান : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিরকে সুসংগঠিত করার জন্য, তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার জন্য তৎকালীন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দেশনায়ক তারেক রহমানের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সেদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে, বিভাগীয় শহরে বিএনপির প্রতিনিধি সভা করেছেন।
ছাত্রদল কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা বিভাগীয় ছাত্রদলের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় আগত ছাত্রদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আমান উল্লাহ আমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ইউনিয়ন শাখা কমিটির সুপার ফাইভ, উপজেলা কমিটির সুপার ফাইভ, জেলা কমিটির সুপার ফাইভদের নিয়ে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা করেছিলেন। সমাবেশে তৃণমূলের নেতারা বক্তব্য রাখেন এবং যে মতামত দিয়েছিলেন, তিনি তা মনোযোগসহ শোনেন এবং দলের উন্নয়নে যা করা দরকার, তা তিনি করেছেন। দলকে সুসংগঠিত করার জন্য, চাঙ্গা করার জন্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে শক্তিশালী করার জন্য এবং দলকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত করার জন্য যে কাজগুলো তারেক রহমান করেছেন। এর পরবর্তীতে একদিকে বিএনপি, অন্যদিকে বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের প্রতিনিধি সভা করেছিলেন। বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিভাগীয় সমাবেশ করেছিলেন। সেখানেও বিভিন্ন ইউনিয়ন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে তাদের মূল্যবান পরামর্শ তুলে ধরেছিলেন। এই তৃণমূল প্রতিনিধি সমাবেশের কারণেই আজ তৃণমূল এতো শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশটি হয়েছিল আমার নির্বাচনী এলাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া হাইস্কুলের মাঠে। হাজার হাজার ছাত্রদলের প্রতিনিধি নিয়ে সভাটি হয়েছে। আমি সাবেক ছাত্রনেতা, ডাকসুর সাবেক ভিপি, মন্ত্রী এমপি হিসেবে প্রতিটি সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। আমার সুযোগ হয়েছে উপস্থিত থেকে প্রতিনিধিদের কথাগুলো শোনার। তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দিনে-রাতে কাজ করেছেন, কষ্ট করেছেন। সেদিনগুলোতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও অঙ্গ সংগঠন, তৃণমূলে নতুন করে শিকড় গেঁথেছিলো। সেদিন দলের তৃণমূলের শক্তি দেখে বোঝা গেছে দলের ক্ষতি কেউ কোনোদিন করতে পারবে না। এই দলকে কেউ নির্মূল করতে পারবে না, এই দলের ধ্বংস কেউ করতে পারবে না। ওয়ান ইলেভেনে আমরা দেখেছি সেই তৃণমূলের নেতারা, তৃণমূলের কর্মীরা, অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা, তারা সেদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবন্দি থাকা অবস্থায়, তারেক রহমান জেলে থাকা অবস্থায় এবং আজকেও সে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দলকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধি সভায় যারা অংশগ্রহণ করেছিলো তারা এবং তাদের ফলোয়াররা দেশব্যাপী গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা যারা সেদিন অংশগ্রহণ করেছিলো, তারা দলকে বাঁচিয়ে রেখেছে, দলকে আরো শক্তিশালী করেছে। আপনারা জানেন, দেশ নেতা তারেক রহমানের একটি স্লোগান ছিলো-স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, জিয়ার আদর্শের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, দেশনেত্রী আপোসহীন নেত্রীর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্লোগানটি ছিল- `একটি উদ্যোগ একটু চেষ্টা এনে দিবে স্বচ্ছলতা, দেশে আসবে স্বনির্ভরতা।` এই স্লোগান দিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সেদিন বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে, গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে বেড়িয়ে তিনি একটি অস্বচ্ছল পরিবারকে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, গাছ দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ওই পরিবারকে স্বচ্ছল করতে চেয়েছেন। এটাই আজ বাংলাদেশের মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে, গ্রামে-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে সে সফলতা মনে করেই দেশনায়ক তারেক রহমানের প্রতি জনগণের যে সম্মান, ভালোবাসা, সমর্থন এতো বৃদ্ধি পেয়েছে। (নব্বইর অভ্যুত্থান ও কিছু কথা ধারাবাহিক লেখা) চলমান-:(৪০ পর্ব) ;এবং ৪১ পর্বে পড়ুন : চীন সফরের কিছু কথা : আলহাজ আমান উল্লাহ আমান
|