কামরুল হাসান : মানিকগঞ্জে জলাবদ্ধতা নিরসন ও পোড়রা–নওখন্ডা সংযোগ সড়ক সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার পোড়রা–নওখন্ডা সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এতে অংশ নেন শতাধিক মানুষ।
অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, শহরের সঙ্গে ঢাকা–আরিচা মহাসড়ককে সংযুক্ত করা প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের বেহাল অবস্থা বছরের পর বছর ধরে চলেছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, যা সাধারণ মানুষের জন্য চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মানববন্ধনে পৌর কৃষক দলের সভাপতি অলিয়ার রহমান খান তার বক্তব্যে বলেন, “বিগত সময়ে উন্নয়নের নামে দেশে লুটপাট হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি আজ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা না নিলে এখানকার জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।” তিনি রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি জোর দাবি জানান এবং দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোবারক হোসেন বলেন, “এই সড়কই শহরের সঙ্গে চলাচলের একমাত্র পথ। দীর্ঘদিন ধরে এটি বিকল অবস্থায় থাকলেও সংস্কারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জেলার চারটি কলেজসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ পথে চলাচল করে। এমনকি র্যাব কার্যালয়ের সদস্যদেরও এ দুরবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।”
খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বেলায়েত হোসেন খানের পুত্র তোবারক হোসেন খান রিয়াদ বলেন, “আমরা একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছি, কিন্তু আশানুরূপ কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী বা অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিতে গেলে ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসানে আজ আমরা মানববন্ধনে নেমেছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবিতে পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।