কামরুল হাসান : মানিকগঞ্জে পৃথক স্থানে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সদর উপজেলার পশ্চিম দাসড়া এলাকায় এক বহুতল ভবন থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ, ঘিওর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহ এবং সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে এসব মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সদর থানা পুলিশ জানায়, সকালে ৯৯৯–এ ফোন পেয়ে সদর ভূমি অফিসের পেছনের পশ্চিম দাসড়া এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় আবু হানিফ (৩০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুমার ডোগা এলাকার নূর আহাম্মদের ছেলে এবং পেশায় আদম ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদেশে পাঠানোর কথা বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন হানিফ। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। ২০২৩ সালে তার সঙ্গে স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। সোমবার সকালে বৃষ্টির কিনে দেওয়া মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা পরিশোধ করতে গেলে অন্যান্য পাওনাদাররাও সেখানে উপস্থিত হন। পরে হানিফ বৃষ্টির ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে ঘিওর উপজেলার দেওভোগ গ্রামে নিজ বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সোনামিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার দীঘি ইউনিয়নের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা, তিনি ভবঘুরে প্রকৃতির।
প্রত্যেকটি ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক তিনটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন,
‘সদর উপজেলায় দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনূর মিয়া বলেন,
‘নিহত সোনামিয়া তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সে কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’