| ইকতেদার আহমেদ |
প্রায় সব রাষ্ট্রই জাতিসংঘের সদস্য। এগুলোর মধ্যে কেবল পাঁচটি রাষ্ট্র- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন- নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। এ পাঁচ রাষ্ট্রের প্রতিটির রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোনো রাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করলে সিদ্ধান্তটি কার্যকারিতা হারায়। এই পাঁচটি রাষ্ট্রই আবার পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন। এসব রাষ্ট্রের অস্ত্রভাণ্ডারে পারমাণবিক বোমার পাশাপাশি হাইড্রোজেন বোমাও রয়েছে। হাইড্রোজেন বোমা পারমাণবিক বোমার চেয়ে একশ` গুণ অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন। সমর বিশারদদের মতে, বর্তমান পৃথিবীকে ধ্বংস করার জন্য তিনটি হাইড্রোজেন বোমাই যথেষ্ট।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ছাড়াও সংস্থাটির আরও কতিপয় সদস্যরাষ্ট্রের স্বীকৃত পারমাণবিক বোমা রয়েছে। এ রাষ্ট্রগুলো হল ভারত, পাকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার দাবি, তাদের কাছে হাইড্রোজেন বোমাও রয়েছে। ইসরাইলের হেফাজতে পারমাণবিক বোমা থাকার বিষয়টি স্বীকৃত না হলেও রাষ্ট্রটি যে পারমাণবিক শক্তিধর তা অনেকটাই নিশ্চিত। পাকিস্তান, ভারত ও ইসরাইল পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। অপরদিকে উত্তর কোরিয়া এ চুক্তিটি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সাদ্দাম হোসেনের জীবদ্দশায় ইরাক পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের কাজ শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইল ১৯৮১ সালে বোমাবর্ষণ করে ইরাকের পারমাণবিক স্থাপনাটি গুঁড়িয়ে দেয়। এরপর ২০০৭ সালে ইসরাইল আবারও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় সিরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে স্থাপনাটি ধ্বংস করে দেয়। লিবিয়ার শাসক গাদ্দাফিকে ২০১১ সালে হত্যা করার আগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররাষ্ট্র যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইসরাইল সেখানে ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেয়। ইরাক, সিরিয়া ও লিবিয়ার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের যে যুক্তি তা হল- এসব রাষ্ট্র পারমাণবিক শক্তিধর হলে ইসরাইলসহ পৃথিবীর অপরাপর রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বহুজাতিক বাহিনী কর্তৃক ইরাক ও লিবিয়ায় আগ্রাসন চালানোর আগে দাবি করা হয়েছিল, ওই দুই রাষ্ট্রের কাছে গণবিধ্বংসী রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র রয়েছে, যা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু উভয় রাষ্ট্রে আগ্রাসন চালানোর পর দেখা গেল রাষ্ট্র দুটির হেফাজতে রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র থাকার অভিযোগ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তার ও তার মিত্রদের বাণিজ্যিক স্বার্থে ইরাক ও লিবিয়ায় হামলা চালিয়ে রাষ্ট্র দুটির শাসকদ্বয়কে হত্যা করার পর সেখানে যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে অদ্যাবধি তার অবসান হয়নি। উভয় রাষ্ট্রে হামলাজনিত কারণে কয়েক লাখ লোক নিহত ও আহত হওয়া ছাড়াও অগণিত মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে দেশান্তরী হতে বাধ্য হয়েছে। এ দুটি রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা যেভাবে অস্থিতিশীল করেছে, অনুরূপ পন্থায় তারা সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করে অনেকটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
ইরানে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের মদদে ইরাক ইরান আক্রমণ করলে কোনো লক্ষ্য অর্জন ছাড়াই সর্বাত্মক যুদ্ধ দ্বারা উভয় রাষ্ট্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এত কিছুর পরও ইরান অর্থনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে; তবে দেশটির দাবি তা শুধু শান্তিপূর্ণ কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল ইরানের এ দাবি মানতে অপারগ এবং ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে দেশটি একাধিকবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে ইরানের ওপর যে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা প্রকারান্তরে ইরানকে সব ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে এগিয়ে নিয়েছে। এটি দেখে যুক্তরাষ্ট্রসহ তার মিত্ররা হয়েছে বিস্মিত। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র না থাকলেও তার অস্ত্রভাণ্ডারে তিনশ` থেকে পনেরোশ` মাইল পাল্লার দেড় লক্ষাধিক মিসাইল রয়েছে। এগুলোর আওতা ইসরাইল অবধি বিস্তৃত এবং ইসরাইলের যে কোনো আগ্রাসন ইরান যে অত্যন্ত কঠোরভাবে দমন করতে সক্ষম, সে সত্যটি আজ ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই অনুধাবন করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোরিয়া উপদ্বীপে রাজনৈতিক সংঘাত দেখা দিলে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে তা ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধে রূপ নেয়। এ যুদ্ধ তিন বছর চলার পর উপদ্বীপটিকে দু`ভাগে ভাগ করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া নামে দুটি রাষ্ট্র তৈরি করা হলেও উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে আজও যুদ্ধাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। উত্তর কোরিয়া ইতিমধ্যে দূরপাল্লার মিসাইলের কয়েকটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সম্পন্ন করেছে এবং একটি উৎক্ষেপণ রয়েছে সম্পন্নের অপেক্ষায়। উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে জাতিসংঘ কর্তৃক আরোপিত অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়ে আজ বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়াকে হুশিয়ারি প্রদান করে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রটি পুনরায় দূরপাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা চালালে তার ওপর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন বিমানবাহী রণতরী থেকে হামলা চালানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন হুমকির বিপরীতে উত্তর কোরিয়া থেকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে- উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আক্রান্ত হলে তারা তাদের বিমানবাহী রণতরীসহ পার্শ্ববর্তী ঘাঁটিগুলো ও মূল ভূখণ্ডে পারমাণবিক হামলা চালাতে কোনোরূপ দ্বিধা করবে না।
এটি অনস্বীকার্য যে, উত্তর কোরিয়া আজ পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হওয়ার কারণেই যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের হুমকি ও আগ্রাসন মোকাবেলার সাহস দেখাতে সমর্থ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক উত্তর কোরিয়া আক্রান্ত হলে উভয় রাষ্ট্র পারমাণবিক ও হাইড্রোজেন বোমার অধিকারী হওয়ার কারণে সে যুদ্ধ কোনো রাষ্ট্রের জন্যই যে চূড়ান্ত বিজয় বয়ে আনতে পারবে না, তা তাদের উপলব্ধিতে থাকলেও পারস্পরিক অনাস্থার কারণে যুদ্ধাবস্থা থেকে রাষ্ট্র দুটি সরে আসার ব্যাপারে অনেকটাই দ্বিধান্বিত হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ও লিবিয়ার গাদ্দাফিকে যে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে, রাষ্ট্র দুটির অস্ত্রভাণ্ডারে পারমাণবিক বোমার মজুদ থাকলে তা হতো না। ইরাক ও লিবিয়ার দুর্ভাগ্য, উভয় রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের মদদে আগ্রাসন পরিচালনার সময় রাশিয়া ও চীন ছিল নিষ্ক্রিয়। বর্তমানে সিরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে রাশিয়া ও চীনের অবস্থান যুক্তরাষ্ট্র থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। সিরিয়ায় রাশিয়ার প্রত্যক্ষ উপস্থিতির কারণে সে দেশে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সমর্থন নিয়ে যেসব বিদ্রোহী দল যুদ্ধ করছে আজ তারা অনেকটা নিশ্চিহ্নের পথে।
বিগত শতকের শেষ দশকের সূচনালগ্নে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর প্রায় দু`যুগ ধরে য্ক্তুরাষ্ট্র এককভাবে বিশ্বে পরাশক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল। বর্তমানে রাশিয়া ও চীন অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় দিক থেকে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের একক আধিপত্য স্তিমিত হওয়ার পথে। এখন উত্তর কোরিয়াকে আগের মতো চোখ রাঙিয়ে পদাবনত করার সাহস দেখাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও একাধিকবার ভাবতে হয়।
সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত মার্কিন রণতরী থেকে ক্রুজ মিসাইল হামলা পরিচালনার আগে রাষ্ট্রটির পক্ষ থেকে সিরিয়ার ক্ষমতাসীন আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এ বিষয়ে সিরিয়া ও রাশিয়ার দাবি, আসাদ সরকার কোনোরূপ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি, বরং যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলার অজুহাত সৃষ্টির অভিপ্রায়ে আসাদ সরকার কর্তৃক রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অলীক অভিযোগ এনেছে। প্রণিধানযোগ্য যে, সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে মার্কিন ক্রুজ মিসাইল হামলা পরিচালনার বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো অনুমোদন ছিল না।
সিরিয়ায় ক্রুজ মিসাইল হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই যুক্তরাষ্ট্র পাক-আফগান সীমান্তে আফগানিস্তানের নানগড়হার প্রদেশের অচিন জেলায় সবচেয়ে শক্তিধর অপারমাণবিক বোমা `মোয়াব` নিক্ষেপ করে তালেবানদের সুরক্ষিত সুড়ঙ্গপথ ও ভূঅভ্যন্তরস্থ কাঠামো ধ্বংসের দাবি করেছে। বিভিন্ন নিরপেক্ষ সামরিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, আফগানিস্তানে যখন সোভিয়েত সমর্থনপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে তালেবানরা যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় যুদ্ধে লিপ্ত ছিল, তখন নানগড়হার প্রদেশের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ`র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ সুড়ঙ্গপথ ও ভূগর্ভস্থ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক যে সুড়ঙ্গপথ ও স্থাপনা ধ্বংস করা হয়েছে, তা তারাই সৃষ্টি করেছিল তৎকালীন আফগান সরকার ও সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত তালেবানদের শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাস, আজ সেই তালেবানদের অবস্থান আফগানিস্তানের বর্তমান মার্কিন মদদপুষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে। আর তাই নিজ সৃষ্ট সুড়ঙ্গ ও ভুগর্ভস্থ স্থাপনা তাদের নিজেদেরই ধ্বংস করতে হয়! এর চেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কী হতে পারে!
উত্তর কোরিয়া ও ইরানের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকা যদি যুক্তরাষ্ট্রের দাবিমতে বিশ্বশান্তির জন্য হুমকি হয়, তাহলে এ কথা বলার অবকাশ আছে কি- যুক্তরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা পরিষদের অপর চার রাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করতে সহায়ক হয়েছে? বস্তুত পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকা পারমাণবিক অস্ত্র ধ্বংস করেই কেবল পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া ও আফগানিস্তানে যে ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে, তা যে মিথ্যা অজুহাতে করা হয়েছে এটি আজ বিশ্বের শান্তিকামী মানুষের কাছে স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, তা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসী বা আগ্রাসী আখ্যা দেয়া হলে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্র তা মানতে নারাজ। যুক্তরাষ্ট্র নিজে তার সামরিক প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখার জন্য যখন উন্নততর মিসাইল উদ্ভাবন নিয়ে ব্যস্ত এবং যখন তার অস্ত্রভাণ্ডার তার অন্যায় আচরণের বিরোধিতাকারী কোনো রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ, তখন অপর কোনো রাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কি দোষণীয়, নাকি তা মার্কিন আগ্রাসন ও অন্যায় আচরণ মোকাবেলায় ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক- বিষয়টি ভেবে দেখা প্রয়োজন।
ইকতেদার আহমেদ : সাবেক জজ; সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
[email protected]
|