করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) জালিয়াতির মামলায় আট আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আরিফুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। চার্জশিটে ৩১ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আট আসামি হলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, আরিফের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস এবং শফিকুল ইসলাম রোমিও।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার তদন্তকালে জেকেজির কম্পিউটার থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড আরিফুল। এক্ষেত্রে অন্য আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করত। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি হিরু ছিল গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তার হাত দিয়ে তৈরি হত ভুয়া সনদ। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে জেকেজির চুক্তিতে ‘গাফিলতি’র বিষয়ও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কম্পিউটার থেকে চারজন প্রবাসীরসহ ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কামাল হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। পরে আসামি হুমায়ুন ও তার স্ত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। পরে ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনাকেও গ্রেফতার করা হয়। এ আসামি সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় ইতোমধ্যে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) জালিয়াতির মামলায় আট আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আরিফুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। চার্জশিটে ৩১ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আট আসামি হলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, আরিফের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস এবং শফিকুল ইসলাম রোমিও।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার তদন্তকালে জেকেজির কম্পিউটার থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড আরিফুল। এক্ষেত্রে অন্য আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করত। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি হিরু ছিল গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তার হাত দিয়ে তৈরি হত ভুয়া সনদ। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে জেকেজির চুক্তিতে ‘গাফিলতি’র বিষয়ও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কম্পিউটার থেকে চারজন প্রবাসীরসহ ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় কামাল হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। পরে আসামি হুমায়ুন ও তার স্ত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। পরে ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনাকেও গ্রেফতার করা হয়। এ আসামি সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় ইতোমধ্যে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পুলিশের কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি বলেন, প্রদীপ কুমার চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সিএমপিকে ফোন করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে সিএমপি তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩, টেকনাফের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে আদালত সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় র্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সিনহা নিহত হওয়ার সময় ওই আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি আমলে নিয়ে সেটি টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তিনি হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের র্যাব-১৫-কে দায়িত্ব দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
মামলার এজাহারে সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস অভিযোগ করেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন। বাদী উল্লেখ করেন যে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওসি প্রদীপ কুমার দাস ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসেই তখনো জীবিত থাকা সিনহাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তাঁর শরীরে লাথি মারেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে একটি ‘ছারপোকা গাড়িতে’ তুলে সিনহাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা আদালতে সোপর্দ করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ৬-এর এসআই রেজাউল করিম সাহেদকে দেবহাটা আমলি আদালতে হাজির করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে বহুল আলোচিত করোনা টেস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি সাহেদ করিমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায়।
উল্লেখ্য, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে মনগড়া প্রতিবেদন দেয়া, রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে গত ৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয় র্যা ব। ৭ জুলাই সাহেদকে প্রধান আসামি করে র্যাব উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
একই দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়। ১৩ জুলাই র্যাবের মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে। ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেদিনই সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
১৬ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত। ছয় দিন ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকার পর বৃহস্পতিবার তাকে চার দিনের জন্য র্যাবের হেফাজতে দেয়া হয়। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৬ জুলাই আদালতের কাছে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
পর দিন ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব ৬-এর কার্যালয়ে আনা হয়। এর পর গত ৩০ জুলাই সাহেদকে পুনরায় আনা হয় শাখরা কোমরপুর লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের ওপর। সেখানে তাকে নিয়ে র্যায়ব সদস্যরা কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও তাকে খুলনা র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরের পর এ চার্জশিট দাখিল করা হবে।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে করোনা টেস্ট জালিয়াতির মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
বুধবার সকাল ১০টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ দুপুরের পর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হবে।
অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
করোনাভাইরাস টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও বেরিয়ে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পরে সাবরিনাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে তার একে অপরকে দোষারুপ করেন।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি চোরাকারবারি এবং বিজিবির ওপর আক্রমণ করেছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কুলাউড়া উপজেলার আলীনগর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বদরুল আলম একই উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের আতর আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদুস হাসান বলেন, নিহত তরুণ চোরাকারবারি। তারা একটি দলে ছিল। বিজিবি তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা আক্রমণ করে। বিজিবি প্রাণ রক্ষার্থে গুলি করে। এতে ওই তরুণ নিহত হন।
বিজিবির দাবি, উপজেলার আলীনগর সীমান্তের মনু নদীতে নৌকা নিয়ে নিষিদ্ধ ভারতীয় নাসির বিড়ি আটকের সময় চোরাকারবারিদের একটি দল বিজিবির ওপর আক্রমণ করে। এ সময় প্রাণ রক্ষার্থে বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই বদরুল আলম (১৮) নামে এক তরুণ নিহত হন।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছেন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন। এ ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ ঘটনায় পল্লবী থানায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, ‘যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে আমরা যা পাচ্ছি এটা ‘স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার সংশ্লিষ্ট একটি ক্রিমিনাল অ্যাক্টিভিটিস (অপরাধ কর্মকাণ্ড)’। জঙ্গির কোনো সংশ্লিষ্টতা আমরা এখনো পাইনি। তারা কেন কাকে কীভাবে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করেছিল সে বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। এর বেশি কিছু পেলে আমরা পরবর্তীতে জানাবো।’
বুধবারের ওই বিস্ফোরণে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন। তারা হলেন, ইন্সপেক্টর অপারেশন ইমরান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজিব খান, শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) রুমি, শিক্ষানবিশ উপ-পরিদর্শক (পিএসআই) অঙ্কুশ। এছাড়া রিয়াজ নামে একজন অফিস স্টাফ আহত হন।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রস্তুতকারী রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে র্যাব-৬-এর খুলনা কার্যালয়ে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র-গুলি ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সাহেদ পাওনাদারকে হুমকি দিতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ঢাকায় উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়ের করা চিকিৎসা জালিয়াতির মামলার তদন্ত করছে র্যাব-১। অন্যদিকে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, র্যাবের ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হলে সাহেদকে ২৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হবে। এ সময় কারাবন্দি মাসুদ পারভেজসহ সাহেদের সহযোগীদেরও একসঙ্গে রিমান্ডে নেবে পুলিশ।
র্যাব-৬-এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বজলুর রশিদ বলেন, সাহেদকে গ্রেপ্তারের সময় জব্দ অস্ত্র-গুলিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রিমান্ড শেষে তাঁকে সাতক্ষীরা আদালতে হাজির করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত সোমবার সন্ধ্যায় সাহেদকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব-৬ কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম সাতক্ষীরার ভার্চুয়াল আদালতে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ২৬ জুলাই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
করোনার ভুয়া পরীক্ষার খবর প্রকাশের পর সাহেদ করিম আত্মগোপন করেছিলেন। গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্তবর্তী দেবহাটা উপজেলার কমলপুর গ্রামের ইছামতী খাল পেরিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালানোর সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। ওই সময় তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার ঘটনায় সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনে মামলা করে র্যাব।
ঢাকায় র্যাবের কর্মকর্তারা বলছেন, সাহেদ ও তাঁর সহযোগীরা অবৈধ অস্ত্র রাখতেন। পাওনাদাররা টাকা চাইলে এসব অস্ত্র দিয়ে হুমকি দিতেন। সাহেদের বিরুদ্ধে ৪৮টি মামলার কাগজপত্র পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে অনেকেই নতুন করে মামলা দায়েরে আগ্রহী নন। তাঁদের পুরনো মামলায় আইনগত সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ১৬০ জন সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা বলেন, র্যাবের হেফাজতে ১০ দিনের রিমান্ড শেষ হলে তাঁদের থানায় তিন মামলায় ২১ দিন এবং উত্তরা পূর্ব থানায় এক মামলায় আরো সাত দিনের রিমান্ডে আনা হবে সাহেদকে। সাহেদের প্রধান সহযোগী এবং রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজের ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাহেদের সঙ্গে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকেও রিমান্ডে আনা হবে। মাসুদ বর্তমানে কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। বর্তমানে রিজেন্ট হাসপাতালের এমডি মিজানুর রহমান একটি মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে আছেন উত্তরা পশ্চিম থানায়। মেট্রো রেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে একজন ঠিকাদার সাহেদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলেন।
মহামারীর মধ্যে অফিস গুটিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের পরিচালক অহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে খিলক্ষেত লেকসিটির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রমনা বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক জানান। এ ঘটনায় এর আগে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ উল্লাহ, তার স্ত্রী নিপা সুলতানা নুপুর এবং শহীদ উল্লাহর ব্যক্তিগত সহকারী মোবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউজ ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের মাধ্যমে প্রায় ২২ হাজার বিও হিসাবধারী শেয়ার কেনাবেচা করতেন। তাদের যে শেয়ার রয়েছে, তার বাজার মূল্য ৮২ কোটি টাকার মত বলে ডিএসই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।
কিন্তু এর মালিক শহিদ উল্লাহ সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউজ বন্ধ করে লাপাত্তা হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। সঙ্কটকালে শেয়ার ও অর্থ আটকে যাওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এরপর দুই বিনিয়োগকারী তাদের এক কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগ করে পল্টন থানায় মামলা করেন।
এর ভিত্তিতে গত ৬ জুলাই লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর সীমান্ত এলাকা থেকে শহীদ উল্লাহ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই মামলায় শহীদ উল্লাহকে রিমান্ডে নিয়ে ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করছে।
টানা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে নেওয়া হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে। আজ রবিবার (২৬ জুলাই) সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয় তাঁকে।
আদালতে সাহেদের আরো ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে প্রতারণা মামলায় গত ১৬ জুলাই সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ওই রিমান্ড আজ রবিবার (২৬ জুলাই) শেষ হয়েছে।
করোনা রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত সোমবার (৬ জুলাই) রাতে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব। এতে করোনার সনদ দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার প্রমাণ মেলে। অন্তত ছয় হাজার ভুয়া করোনা পরীক্ষার সনদ পাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় অভিযানে।
পরদিন মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৫ জুলাই সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী রিজেন্ট গ্রুপের এমডি এবং রুজুকৃত মামলার দুই নম্বর আসামি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাতে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমানকে।
নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে মামলার পর অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার শারমিন জাহানকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম মইনুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে আজ সকালে শারমিনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক শাহ মো. আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস আদালতে তাঁর তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গতকাল শুক্রবার (২৪ জুলাই) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে শারমীনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (ডিবি)। তিনি মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন।
এর আগে নকল মাস্ক সরবরাহের দায়ে অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শারমিন জাহানের বিরুদ্ধে মামলা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএমএমইউ-এর প্রক্টর বাদী হয়ে তাঁকে প্রধান আসামি করে এই মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিএসএমএমইউ হাসপাতালে মাস্ক সরবরাহের অনুমতি পায় শারমিন জাহানের প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি নকল মাস্ক সরবরাহ করে। এই মাস্ক ব্যবহার করে চিকিৎসক ও রোগী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। একই সঙ্গে নকল মাস্ক সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকেই হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর আজ বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সিআইডি এ তথ্য জানিয়েছে।
সিআইডি সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস থেকেই বারবার ফাঁস হয়েছে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন। প্রেসের মেশিনম্যান সালাম এবং তার খালাতো ভাই জসীম- এ দুজন মিলে দেশব্যাপী গড়ে তুলেছিলেন এক চক্র। চক্রটির মাধ্যমে শত শত শিক্ষার্থী টাকার জোরে ভর্তি হয়েছে মেডিক্যাল কলেজগুলোয়। দীর্ঘ দিনের অনুসন্ধানে পুরো চক্রটিকে চিহ্নিত করেছেন সিআইডি তদন্তকারী দল।
সূত্র আরো জানায়, সিআইডির সাইবার পুলিশের হাতে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূইয়াসহ চক্রের চার সদস্য।
এ ছাড়া অধিদপ্তরের ক্ষমতাবান কর্তাদের মদদে প্রেস থেকে বহু বছর ধরে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করতেন মেশিনম্যান আবদুস সালাম। তার খালাতো ভাই জসিমের কাজ ছিল সারা দেশে ফাঁসকৃত প্রশ্ন ছড়িয়ে দেওয়া। এ জন্য একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক ছিল তার। দেশব্যাপী চক্রটির প্রায় অর্ধশত সহযোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছে সিআইডি।
আজ দুপুর ১২টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
সাহাবুদ্দিন হাসপাতাল মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি হাসপাতালের এমডি ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪) রাজধানীর একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। আজ সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ফয়সাল সাহাব উদ্দিন মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহাবউদ্দিনের ছেলে।
এর আগে র্যাব রাজধানীর গুলশান থানায় রাতে ফয়সালসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। মামলাটি করেন র্যাব ১ এর নায়েব সুবেদার ফজলুল বারী। মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪), সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত (৫২) এবং ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদির (৩৩) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সাহাব উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালায়। এ সময় দুই কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, কর্মকর্তা সাহরিজ কবির সাদিকে আটক করা হয়।
অভিযান শেষে র্যাব জানায়, করোনাভাইরাস পরীক্ষায় সরকার কর্তৃক র্যাপিড টেস্টের অনুমোদন না থাকলেও তারা সেটা করেছে। পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া প্রতিবেদন দিয়েছে। করোনাভাইরাস নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ দেখিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।হাসপাতালটির লাইসেন্সের মেয়াদ এক বছর আগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা নবায়ন করা হয়নি বলেও র্যাবের অভিযোগ। এছাড়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে ১০ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী-ওষুধ পাওয়া গেছে।
বেসরকারি ইউনাইটেডে হাসপাতালে আগুনে দগ্ধ হয়ে নিহত চার পরিবারকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত। মঙ্গলবার (২১ জুলাই) এ আদেশ দেন আদালত।
এর আগে ১৫ জুলাই কোভিড-১৯ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আগুন লেগে মারা যাওয়া পাঁচ রোগীর পরিবারকে ১৫ দিনের মধ্য ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় চিকিৎসাধীন পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয়। এরা সবাই হাসপাতালটির মূল ভবনের বাইরে একটি অস্থায়ী তাঁবুতে তৈরি করা করোনাভাইরাস ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত একজন রোগীর স্বজনরা আগেই ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে ইউনাইটেড হাসপাতালের সঙ্গে সমঝোতা করেছিল বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন। বাকি পরিবারগুলোকে ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেন হাইকোর্ট।
দুই মামলায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন জামিন আবেদন করেছেন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল আদালতে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল বেঞ্চে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) কার্য তালিকাভুক্ত রয়েছে তার জামিন আবেদন।
একই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১২ সালের ৩১ জুলাই চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনি গ্রুপের ২২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এক হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২০৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা দুটি করা হয়।
২০১৪ সালের ৫ মে এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
ঢাকার সাভার উপজেলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা-আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অভিযানে সাভারের ভাটপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম সজল এ তথ্য কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে প্রতারণা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. জসিম উদদীনের আদালত এই আদেশ দেন। একই মামলায় এই প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীকে ফের সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে তাদের আদালতে হাজির করে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে শুনানি শেষে আদালত সাহেদ ও মাসুদকে ১০ দিন এবং তারেককে সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার সকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর বেইলি ব্রিজের পাশে নর্দমার মধ্যে থেকে বোরকা পরা অবস্থায় সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় গাজীপুরের কাপাসিয়ার একটি বাড়ি থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এর আগে গত ৮ জুলাই মধ্যরাতে রাজধানীর নাখালপাড়া থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]