থার্টিফার্স্ট নাইট : ঢাকায় অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন, থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত
এবার ঢাকায় থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে কেমন পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুইটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। আজকে শুধু থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি৷ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে, যোগ করেন তিনি।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজী নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টিফার্স্ট উদযাপিত হয়। বেশিরভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি করা হয় না।
|
এবার ঢাকায় থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টিফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীতে কেমন পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন থাকে। প্রত্যেক ফাঁড়ি থেকে রাতের বেলা কমপক্ষে দুইটি পেট্রোল টিম থাকে, থানা থেকে চারটি-পাঁচটি টিম থাকে। এটা আমাদের রেগুলার ডিপ্লোয়মেন্ট। আজকে শুধু থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে এর বাইরে তিন হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি এটা যথেষ্ট। আমরা কিছু পয়েন্টকে টার্গেট করেছি৷ বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, ৩০০ ফিট, উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বেশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আমাদের পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেটরা থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালালে আমাদের ফোর্স তাদের সহযোগিতা করবে, যোগ করেন তিনি।
মো. সাজ্জাত আলী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আতশবাজি ফুটিয়ে ইংরেজী নববর্ষকে বরণ করা হয়, বাংলাদেশে পরিবেশের এত সমস্যা কেনো? এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, প্রথমত পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থার্টিফার্স্ট উদযাপিত হয়। বেশিরভাগ দেশে এটি নববর্ষ, আমাদের দেশে নয়। দ্বিতীয়ত, অন্যান্য দেশে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন করা হয়, পুরো শহরজুড়ে আতশবাজি করা হয় না।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও কীভাবে দেশ ছাড়লেন পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ১৫ দিনের মধ্যে আইজিপিকে ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে গোপন কারাগারে গুম, নির্যাতন, খুনের সঙ্গে নিউক্লিয়াস ‘শেখ হাসিনা’ জড়িত। এসব কার্যক্রমে তার সম্পৃক্ততা সরাসরি পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছে সেসবের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেটি জানাতে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার। যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
|
|
|
|
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চলছে। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মনসুর।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দিন-রাত মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিভিন্ন বয়সের মানুষ এখানে এসে মাদক সেবন করছে। বিশেষ করে কিশোর থেকে শুরু করে নারীরাও এখানে মাদক সেবন করছে। উদ্যানে ঘুরতে আসা জনসাধারণ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে। এমননি মাদক নিয়ে প্রায় সময় মারামারির ঘটনাও ঘটছে।
অভিযানের বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি বলেন, অভিযান শেষ হলে বিস্তাররিত বলা যাবে। মাদকবিরোধী এ অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সদস্য এবং মাদক নিয়ন্ত্রণ অভিদফতরের কর্মকর্তারাও আছেন।
|
|
|
|
মঈন মাহমুদ : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তরে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত ১৮ জন কর্মকর্তাকে পরিচালক পদের র্যাংক-ব্যাজ পরান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
এ সময় বাহিনীর অতিরিক্তি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, উপমহাপরিচালকবৃন্দ, এবং বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক বলেন, পদোন্নতি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বা দলগত সাফল্য নয়, এটি উচ্চতর দায়িত্বের জবাবদিহিতার পরিধি। যার মাধ্যমে একটি দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে পেশাগত দক্ষতায় আরও বেশি নিবেদিত করার অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়। নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্রান্তিলগ্নে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, জননিরাপত্তা ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আনুগত্যের মাধ্যমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। প্রচলিত ধারার বাইরে পেশাগত উৎকর্ষতাকে অগ্রাধিকারের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকে আরও ব্যাপকভাবে দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে। মহাপরিচালক আরো উদ্ধৃত করেন, পুরাতন ধ্যান-ধারণা পরিহার করে নব উদ্যমে উজ্জীবিত হয়ে দেশ গঠনে আত্মনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর তৃণমূল পর্যায়ে মৌলিক অধিকার ও কল্যাণধর্মী উদ্যোগ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও সক্ষমতা বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। সৃজনশীল,কার্যকরী ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ দেশের মাটি ও মানুষের আকাঙ্খা পুরণে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করার নির্দেশনা প্রদান করেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন এ.এইচ.এম মেহেদী হাসান। তিনি উচ্চতর পদে পদোন্নতির মাধ্যমে বাহিনীর সকল গুরুত্বপূর্ণ কাজে আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে কর্মসম্পাদনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত পরিচালকগণ হলেন- এ. এইচ. এম. মেহেদী হাসান, মোঃ আলমগীর শিকদার, এস.এম. মুজিবুল হক পাভেল, শেখ ফিরোজ আহমেদ, শুভ্র চৌধুরী, মোঃ আমমার হোসেন, মোঃআশরাফুল ইসলাম, সঞ্জয় চৌধুরী, মোঃ সাজ্জাদ মাহমুদ, বিকাশ চন্দ্র দাস, মোঃমইনুল ইসলাম, নবকুমার বিশ্বাস, হাফিজ আল মোয়াম্মার গাদ্দাফী, অম্লান জ্যোতি নাগ, ফারজানা আক্তার ডালিয়া, মির্জা সিফাত-ই-খোদা, নাদিরা ইয়াসমিন এবং মোঃ জাহিদ হোসেন। ১০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাদেরকে উপপরিচালক পদ থেকে পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়।
|
|
|
|
র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না।’
এ সময় তিনি র্যাবের হাতে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া পরিবারের কাছেও ক্ষমা চান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বের ডিজি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সব কিছু সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত হতে চাই। কারো নির্দেশে এসব অপরাধে র্যাব আর জড়িত হবে না বলেও নিশ্চয়তা দেন তিনি।
শহিদুর রহমান বলেন, র্যাবের কেউ আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ৪ হাজারের বেশি র্যাব সদস্যকে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর গত ৪ মাসে ১৬ র্যাব সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আয়নাঘর নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাবের আয়নাঘর ছিল এবং আছে। গুম কমিশন তদন্ত করছে। তারা বলেছেন, যেভাবে সেগুলো ছিল, ঠিক সেভাবে রেখে দেওয়ার জন্য।
র্যাব ডিজি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়ন হয়েছে, তবে প্রত্যাশিত জায়গা এখনও যায় নেই। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র্যাব তার দায়িত্ব আন্তরিকতা সাথে পালন করবে।
|
|
|
|
ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। গণধর্ষণের অভিযোগে দেশটিতে গ্রেফতার হয়েছেন বাংলাদেশের চার আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা।
গতকাল রবিবার এক বিশেষ অভিযানে কলকাতার নিউটাউন থানা এলাকার একটি ফ্লাট থেকে তাদের গ্রেফতার করে কলকাতার বিধাননগর কমিশনারেট ও মেঘালয় পুলিশের যৌথ বাহিনী।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গণরোষের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছিলেন ওই চারজনসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের ছয় নেতা। ছয় নেতাই সিলেট থেকে পালিয়ে মেঘালয়ের শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় সেখানে তাদের আবাসস্থলেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় ছয়জনই অভিযুক্ত হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিলং থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় চারজনকে কলকাতায় গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামি ঘটনার পরই পলাতক।
গ্রেফতাররা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন এবং যুবলীগের সদস্য জুয়েল। পলাতক দুইজন হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিটু।
গতকাল রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বারাসাতের বিশেষ ক্রিমিনাল কোর্টে তাদের তোলা হয়। কিন্তু বিচারক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলংয়ের স্থানীয় আদালতে অপরাধীদের হাজির করা হবে এমন আশ্বাসে ট্রানজিট রিমান্ড না নিয়েই তাদের মেঘালয়ের শিলং নিয়ে যায় মেঘালয় পুলিশ।
|
|
|
|
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তেলবাজি বন্ধ করতে হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও খুলনা বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
কোনো রাজনৈতিক দলকে বাড়তি সুযোগ না দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অনেক ভুয়া মামলা হচ্ছে। ভুয়া মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন থানা থেকে অস্ত্র লুট হয়েছে। কিন্তু অভিযানে এখনও আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারের মধ্য দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় মব জাস্টিস হচ্ছে। অনেকে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। যে কারণে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এটা বন্ধে জোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ ছয় বছরে ঢাকাসহ সারা দেশে খুন হয়েছেন ১৯ হাজার ৪০ জন। সে হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে খুন হন ২৮০ জন। তবে গত জুলাই-আগস্টে ঢাকাসহ সারা দেশে খুনের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি, ৯৫২ জন।
পুলিশ সদর দফতরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা অপরাধ পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। পাঁচ বছরের বেশি সময় বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার পুলিশ এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
নবনিযুক্ত আইজিপি বাহারুল আলম গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ওয়েবসাইটে অপরাধের পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ রাখার বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিকরা। এরপর আইজিপির নির্দেশে একসঙ্গে পাঁচ বছর আট মাসের (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত) তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ওয়েবসাইটের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে খুন হয়েছে ১ হাজার ৫৩৩ জন। সে হিসাবে গড়ে প্রতি মাসে ২৫৫ জন খুন হয়েছেন। পারিবারিক, সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্তের হাতে এসব খুনের ঘটনা ঘটে।
তবে গত জুলাই ও আগস্টে নিহতের সংখ্যা ৯৫২, গড়ে ৪৭৬ জন। আন্দোলন ছাড়াও পারিবারিক, সন্ত্রাসী বা দ্র্বুৃত্তদের হাতে খুনের ঘটনা আছে এই তালিকায়। অবশ্য জুলাই-আগস্টে গণআন্দোলনের সময় মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে– তা বিভিন্ন সংগঠনের তথ্যে উঠে এসেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির তথ্যানুযায়ী, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে জুলাই-আগস্টে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৫৮১ জন। অবশ্য পুলিশ জুলাই আগস্টে যে তালিকা করেছে, সেটি শুধু মামলার ভিত্তিতে। আগস্টের পরও আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় মামলা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মামলার বিপরীতে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়। জুলাই-আগস্টে খুনের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে তা মামলা থেকে। ওই দুই মাসে খুনের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো তালিকায় দেওয়া হয়েছে। জুলাই-আগস্টে নিহতের ঘটনায় সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বরেও মামলা হয়েছে। এখনও মামলা হচ্ছে। যে মাসে মামলা হয় সেই মাসের তালিকায় সংখ্যা উঠানো হয়।
|
|
|
|
গত ৫ আগস্টের পর মিথ্যা মামলাসহ অনেক মামলা নিয়ে বাণিজ্য হচ্ছে। আর তাই মামলায় নাম থাকলেই গণহারে গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আিইজিপি) বাহারুল আলম। একই সঙ্গে ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলা করলে বাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান আইজিপি। জনগণের সঙ্গে পুলিশকে বিনয়ী আচরণ করতে হবে বলেও জানান তিনি
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে, বাণিজ্য হচ্ছে, প্রতারণা হচ্ছে, ৫ আগস্ট ঘিরে এসব হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাইকারি হারে কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করবে না। নিরীহ কাউকে হয়রানি করা যাবে না। ইচ্ছাকৃত মিথ্যা মামলা করলে বাদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নভেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশনভেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বাহারুল আলম বলেন, নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা পুলিশের কাজ নয়। যদি মামলার আসামি করা হয়, তাকে ধাওয়া করে গ্রেপ্তারে যাব না। জনগণের সঙ্গে পুলিশকে বিনয়ী আচরণ করতে হবে।
পুলিশ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হলে জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
|
|
|
|
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনসহ অন্তত ৩০ জনকে আটক করেছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে ঘটনার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরীর পাথরঘাটা মাথার পট্টি, আন্দরকিল্লা, হাজারী গলি এলাকা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের।
চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হন সাইফুল ইসলাম আলিফ। তবে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন জানান, বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নিহত আইনজীবী সাইফুলের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে তার প্রথম নামাজে জানাজ অনুষ্ঠিত হবে। পরে বেলা ১১টায় নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় দফা এবং বাদ আসর গ্রামের বাড়ি লোহাগাড়ায় তৃতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, বুধবার (২৭ নভেম্বর) চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর চট্টগ্রাম আদালতে জামিন শুনানির কথা থাকলেও তরুণ আইনজীবী সাইফুল হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আদালত বর্জনের ডাক দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
|
|
|
|
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্যভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় ৪ প্লাটুন এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬ প্লাটুন বিজিবির মোতায়েন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীর শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এলাকায় ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৬ প্লাটুন বিজিবির মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান শরীফুল ইসলাম।
গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন সনাতনী জাগরণ মঞ্চের ভক্তরা। পরে তারা শাহগবাগে গিয়ে জড়ো হলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
|
|
|
|
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পূজামণ্ডপে যেকোনো ধরনের জননিরাপত্তাহানিকর কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে বিজিবির ফোন নম্বরে যোগাযোগ অনুরোধ জানিয়েছে বাহিনীটি।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
বিজিবির সহায়তার জন্য নিচে দেওয়া মোবাইল নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন-মোবাইল নম্বর: 01769601110; টেকনাফ ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769601130; রামু ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769601140; নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769601120; রুমা ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669601520; আলীকদম ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669601530; বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন, থানচি- মোবাইল নম্বর: 01550553950; রাঙামাটি সেক্টর- মোবাইল নম্বর: 01769601209 ও বিকল্প নম্বর: 01769601207; খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769601309 ও বিকল্প নম্বর: 01769611407।
চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়ন-মোবাইল নম্বর: 01769601609 ও বিকল্প নম্বর: 0176960103; ফেনী ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769617844 ও বিকল্প নম্বর: 01769617831; কুমিল্লা ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01897608300 ও বিকল্প নম্বর: 01897608304; সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- মোবাইল নম্বর: 01769603212 ও বিকল্প নম্বর: 01769603243; সরাইল ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769613245; হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769613637 বিকল্প নম্বর: 01769603439; বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669613590 ও বিকল্প নম্বর: 01769603429; শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769617727 ও বিকল্প নম্বর: 01769613532।
সিলেট ব্যাটালিয়ন-মোবাইল নম্বর: 01769613049 ও বিকল্প নম্বর: 01669613074; জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669613080; সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন মোবাইল নম্বর: 01669613129 ও বিকল্প নম্বর: 01769617360; নেত্রকোণা ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669613440 ও বিকল্প নম্বর : 02223376605; ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669613381।
জামালপুর ব্যাটালিয়ন-মোবাইল নম্বর: 01769617621; রংপুর ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769-602319; কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769602324 ও বিকল্প নম্বর: 01769602329 ও বিকল্প নম্বর: 01769612470; নীলফামারী ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769612655 ও বিকল্প নম্বর: 01769612646; লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769617037 ও বিকল্প নম্বর: 01769602339; তিস্তা ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769-612687; পঞ্চগড় ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769617170 ও বিকল্প নম্বর: 01769602429; ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769602419 ও বিকল্প নম্বর: 01769612592; দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769602214 ও বিকল্প নম্বর: 01769602229; ফুলবাড়ি ব্যাটালিয়ন ও মোবাইল নম্বর: 01769602229; জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769612345 ও বিকল্প নম্বর: 01769612346; নওগাঁ ব্যাটালিয়ন ও মোবাইল নম্বর: 01769-616666; পত্নীতলা ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769-616600।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন-মোবাইল নম্বর: 01769602129; মহানন্দা ব্যাটালিয়ন, রহনপুর- মোবাইল নম্বর: 01769602609; রাজশাহী ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01769612079 ও বিকল্প নম্বর: 01769-602119; খুলনা ব্যাটালিয়ন- কন্টাক্ট নম্বর: 01769604609 ও বিকল্প নম্বর: 01769-604109; সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন- কন্টাক্ট নম্বর: 01769604129 ও বিকল্প নম্বর: 01769-617979; নীলডুমুর ব্যাটালিয়ন- কন্টাক্ট নাম্বার: 017696034139 ও বিকল্প নম্বর: 01769-614138; যশোর ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর : 01769617914 ও বিকল্প নম্বর: 01769-617915; চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর)- মোবাইল নম্বর: 01769604219 ও বিকল্প নম্বর: 01769-614227; কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন- মোবাইল নম্বর: 01669604225 ও বিকল্প নম্বর: 01769-604229; মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (ঝিনাইদহ)- মোবাইল নম্বর: 01769604239 ও বিকল্প নম্বর: 01769-604235।
|
|
|
|
করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার (জেকেজি হেলথকেয়ার) জালিয়াতির মামলায় আট আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি আগামী ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে আরিফুল হক চৌধুরী ও তার স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ আট জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। চার্জশিটে ৩১ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত আট আসামি হলেন, জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, আরিফের বোন জেবুন্নেছা রিমা, সাবেক কর্মচারী হুমায়ুন কবির হিমু ও তার স্ত্রী তানজিলা পাটোয়ারী, জেকেজির কোঅর্ডিনেটর আবু সাঈদ চৌধুরী, জেকেজির কর্মচারী বিপুল দাস এবং শফিকুল ইসলাম রোমিও। অভিযোগপত্রে বলা হয়, মামলার তদন্তকালে জেকেজির কম্পিউটার থেকে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ১৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এই জালিয়াতির মাস্টার মাইন্ড আরিফুল। এক্ষেত্রে অন্য আসামিরা বিভিন্নভাবে তাকে সহযোগিতা করত। এছাড়া মামলার অন্যতম আসামি হিরু ছিল গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তার হাত দিয়ে তৈরি হত ভুয়া সনদ। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে জেকেজির চুক্তিতে ‘গাফিলতি’র বিষয়ও চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। কিন্তু জুনের শেষ দিকে অভিযোগ আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকার কামাল হোসেনের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের কম্পিউটার থেকে চারজন প্রবাসীরসহ ৪৩ জনের নামে তৈরি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় কামাল হোসেন বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। পরে আসামি হুমায়ুন ও তার স্ত্রী ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তেজগাঁও থানা পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরী, তার বোন জেবুন্নেছাসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে। পরে ১২ জুলাই জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনাকেও গ্রেফতার করা হয়। এ আসামি সরকারি চাকরিতে থাকা অবস্থায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গ করায় ইতোমধ্যে সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
|
|
|
|
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাস আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে পুলিশের কাছে তিনি আত্মসমর্পণ করেন।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ।
তিনি বলেন, প্রদীপ কুমার চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি সিএমপিকে ফোন করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছা প্রকাশ করলে সিএমপি তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় কক্সবাজারে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
গতকাল বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩, টেকনাফের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে আদালত সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় র্যাব-১৫ এর অধিনায়ককে।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সিনহা নিহত হওয়ার সময় ওই আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ মামলাটি আমলে নিয়ে সেটি টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে তিনি হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের র্যাব-১৫-কে দায়িত্ব দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
মামলার এজাহারে সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস অভিযোগ করেন, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাসের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁর ভাইকে গুলি করে হত্যা করেন। বাদী উল্লেখ করেন যে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওসি প্রদীপ কুমার দাস ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি এসেই তখনো জীবিত থাকা সিনহাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং তাঁর শরীরে লাথি মারেন। মৃত্যু নিশ্চিত হলে একটি ‘ছারপোকা গাড়িতে’ তুলে সিনহাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।
|
|
|
|
সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরা আদালতে সোপর্দ করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ৬-এর এসআই রেজাউল করিম সাহেদকে দেবহাটা আমলি আদালতে হাজির করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব কুমার রায় শুনানি শেষে বহুল আলোচিত করোনা টেস্ট জালিয়াতি ও প্রতারণা মামলার প্রধান আসামি সাহেদ করিমকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর অমল কুমার রায়।
উল্লেখ্য, করোনার নমুনা সংগ্রহ করে মনগড়া প্রতিবেদন দেয়া, রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালে গত ৬ জুলাই অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দেয় র্যা ব। ৭ জুলাই সাহেদকে প্রধান আসামি করে র্যাব উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
একই দিন হাসপাতালটির মিরপুর শাখায়ও অভিযান চালিয়ে সিলগালা করা হয়। ১৩ জুলাই র্যাবের মামলার তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে। ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। সেদিনই সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়।
১৬ জুলাই সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার আদালত। ছয় দিন ডিবি হেফাজতে রিমান্ডে থাকার পর বৃহস্পতিবার তাকে চার দিনের জন্য র্যাবের হেফাজতে দেয়া হয়। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৬ জুলাই আদালতের কাছে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
পর দিন ২৭ জুলাই তাকে ঢাকা থেকে খুলনা র্যাব ৬-এর কার্যালয়ে আনা হয়। এর পর গত ৩০ জুলাই সাহেদকে পুনরায় আনা হয় শাখরা কোমরপুর লাবণ্যবতী নদীর ব্রিজের ওপর। সেখানে তাকে নিয়ে র্যায়ব সদস্যরা কিছুক্ষণ থাকার পর আবারও তাকে খুলনা র্যাবের কার্যালয়ে নিয়ে যান।
|
|
|
|
কোভিড-১৯ টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। চার্জশিট চূড়ান্ত করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরের পর এ চার্জশিট দাখিল করা হবে।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে করোনা টেস্ট জালিয়াতির মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
বুধবার সকাল ১০টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, সাবরিনা ও আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ দুপুরের পর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হবে।
অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
করোনাভাইরাস টেস্টের নামে প্রতারণার অভিযোগে ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেও বেরিয়ে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। পরে সাবরিনাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে তার একে অপরকে দোষারুপ করেন।
|
|
|
|
|
|
|
|