১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর দেখা মিলবে বিরল ধূমকেতুর
পৃথিবীর আকাশে ১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর প্রথমবারের মতো একটি বিরল ধূমকেতু দেখা যাবে। কমেট সি/২০৪ জি৩ (অ্যাটলাস) নামের ধুমকেতুটি খালি চোখে দেখতে পাওয়ার মতো উজ্জ্বল থাকতে পারে।
নাসা জানিয়েছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ধূমকেতুটি সূর্যের কাছে সর্বাধিক নিকটবর্তী অবস্থানে (পেরিহেলিওন) পৌঁছায়। এই কাছাকাছি অবস্থানের ফলে এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সোমবার রাত থেকেই দৃশ্যমান হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ধূমকেতুটি দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যেতে পারে। এটি শুক্র গ্রহের মতো উজ্জ্বল হতে পারে।
নাসার অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (এটিএলএএস) গত বছর এই ধূমকেতুটি শনাক্ত করে। কক্ষপথের হিসাব অনুযায়ী ধূমকেতুটি সূর্য থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে।
লন্ডনের কিংস কলেজ অ্যাস্ট্রোপার্টিকল ফিজিক্স এবং কসমোলজি বিভাগ বিরল এই ধূমকেতুটি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা এই ধূমকেতুকে ১ লাখ ৬০ হাজার বছরে একবার ঘটতে যাওয়া একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জ্যোতির্বিদরা ধূমকেতুটির গতিপথ অনুসরণ করে যাচ্ছেন। শনিবার নাসার মহাকাশচারী ডন পিটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ধূমকেতুর তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, কক্ষপথ থেকে ধূমকেতু দেখা সত্যিই বিস্ময়কর। অ্যাটলাস সি/২০৪ জি৩ আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।
|
পৃথিবীর আকাশে ১ লাখ ৬০ হাজার বছর পর প্রথমবারের মতো একটি বিরল ধূমকেতু দেখা যাবে। কমেট সি/২০৪ জি৩ (অ্যাটলাস) নামের ধুমকেতুটি খালি চোখে দেখতে পাওয়ার মতো উজ্জ্বল থাকতে পারে।
নাসা জানিয়েছে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ধূমকেতুটি সূর্যের কাছে সর্বাধিক নিকটবর্তী অবস্থানে (পেরিহেলিওন) পৌঁছায়। এই কাছাকাছি অবস্থানের ফলে এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সোমবার রাত থেকেই দৃশ্যমান হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ধূমকেতুটি দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যেতে পারে। এটি শুক্র গ্রহের মতো উজ্জ্বল হতে পারে।
নাসার অ্যাস্টেরয়েড টেরেস্ট্রিয়াল-ইমপ্যাক্ট লাস্ট অ্যালার্ট সিস্টেম (এটিএলএএস) গত বছর এই ধূমকেতুটি শনাক্ত করে। কক্ষপথের হিসাব অনুযায়ী ধূমকেতুটি সূর্য থেকে প্রায় ৮৩ লক্ষ মাইল দূর দিয়ে অতিক্রম করবে।
লন্ডনের কিংস কলেজ অ্যাস্ট্রোপার্টিকল ফিজিক্স এবং কসমোলজি বিভাগ বিরল এই ধূমকেতুটি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা এই ধূমকেতুকে ১ লাখ ৬০ হাজার বছরে একবার ঘটতে যাওয়া একটি বিশেষ ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জ্যোতির্বিদরা ধূমকেতুটির গতিপথ অনুসরণ করে যাচ্ছেন। শনিবার নাসার মহাকাশচারী ডন পিটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে ধূমকেতুর তোলা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, কক্ষপথ থেকে ধূমকেতু দেখা সত্যিই বিস্ময়কর। অ্যাটলাস সি/২০৪ জি৩ আমাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে আর থাকছে না ফেক্ট চেকার। সামাজিক মাধ্যমগুলোর মাদার কোম্পানি মেটা এ ঘোষণা দিয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের যে কাজটি ফেক্ট চেকাররা করত, সেটি এখন ব্যবহারকারীরা ‘কমিউনিটি নোটের’ মাধ্যমে করবেন। যা অনেকটা ইলন মাস্কের এক্সের মতো।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার আগ মুহূর্তে এমন পরিবর্তন আনল মেটা। এই ফেক্ট চেক নিয়ে ট্রাম্প এবং তার দল রিপাবলিকান পার্টির তোপের মুখে ছিলেন মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ। তাদের অভিযোগ ছিল ফেক্ট চেকের মাধ্যমে ডানপন্থিদের মতামতকে সেন্সর করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় জাকারবার্গ বলেন, “ফেক্ট চেকাররা রাজনৈতিকভাবে খুবই পক্ষপাতদুষ্ট। তারা আস্থা অর্জনের চেয়ে আস্থা বেশি নষ্ট করেছে। যে উদ্দেশ্যে এটি করা হয়েছিল, তা না করে মুক্ত মতামতকে এবং মানুষের ধারণাকে বন্ধ করেছে তারা।”
তবে জাকারবার্গ স্বীকার করেছেন ফেক্ট চেকার না থাকায় এখন থেকে তাদের প্লাটফর্মগুলোয় ক্ষতিকর কনটেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালাচ্ছে মেটা। মাত্র একদিন আগে ট্রাম্পের সহযোগী ডানা হোয়াইট মেটার বোর্ডে যোগ দেবেন। এছাড়া ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংস্থাটি।
২০১৬ সালে মেটা প্রথম ফেক্ট চেকার পোগ্রাম চালু করে। ওই সময় অভিযোগ ওঠে বিদেশিরা তাদের প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এবং মার্কিনিদের মধ্যে অনৈক্য তৈরি করছে।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক ২০২২ সালে টুইটার কিনে নেন। এরপর এটির নাম দেন এক্স। তিনি টুইটার কিনে নিয়েই এটি থেকে ফেক্ট চেকার দলকে বাদ দেন।
এছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে পলিসি ভঙ্গন শনাক্তে যে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আছে সেটিতেও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে মেটা। তারা বলছে, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির কারণে অনেক বেশি কনটেন্ট মুছে ফেলা হয়েছে। যেটি করা ঠিক হয়নি। এখন থেকে শুধুমাত্র অবৈধ ও বড় পলিসি ভঙ্গন, যেমন— সন্ত্রাসবাদ, শিশুদের যৌন হেনস্তা, মাদক, প্রতারক এবং প্রতারণার বিষয়গুলোর ওপর নজর দেবে তারা। অন্যান্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মেটাকে অবহিত করতে হবে। এরপর তারা প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে।
সূত্র: সিএনএন
|
|
|
|
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আরও একটি নতুন সৌরজগতের খোঁজ পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। পৃথিবী থেকে এর অবস্থান ৪৮৯ আলোকবর্ষ দূরে। ৩ সূর্যবিশিষ্ট এই সৌরজগতের নাম দেয়া হয়েছে ‘জিজি টাও-এ’। সৌরজগৎটিতে ভবিষ্যৎ গ্রহ তৈরির মৌলিক উপাদানের খোঁজ মিলেছে। প্রায় ৫০ লাখ বছরের পুরোনো এই সৌরজগৎটি বর্তমানে গ্রহ গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (এনআইএসইআর) একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী চিলির আতাকামা মরুভূমির উন্নত রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নতুন এই সৌরজগতের সন্ধান পেয়েছেন। যেখানে একটি বিশাল প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্কসহ তিনটি সূর্যের অনন্য এক কাঠামো রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্যাস ও ধূলিকণার ঘূর্ণমান ডিস্কটি নতুন নক্ষত্র ও নতুন গ্রহ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করছে। এতে ভবিষ্যতে গ্যাস ও ধূলিকণার বিশাল বলয় থেকে সৌরজগৎটিতে গ্রহ তৈরি হবে। বর্তমানে এটিতে থাকা তারা ও গ্রহের গঠনপ্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা চলছে। ভারতের এনআইএসইআর’র জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ওই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন লিটন মজুমদার। তিনি নাসা পরিদর্শনকারী বিজ্ঞানী। গবেষণায় তার দল খুঁজে পেয়েছে, প্রোটোপ্ল্যানেটারি ডিস্ক থেকে শনাক্ত করা আণবিক সংকেতগুলো তারার সবচেয়ে ঠান্ডা ও ঘন অঞ্চল থেকে পাওয়া গেছে, যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২৫৭ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
.
|
|
|
|
আগামী শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি একই সরলরেখায় অবস্থান করবে। এদিন বৃহস্পতি পুরো রাতজুড়ে আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এই অবস্থানকে ‘জুপিটারের বিপরীতমুখী (জুপিটারস অপজিশন)’ বলা হয়। বিজ্ঞানীরা এটিকে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা আখ্যা দিয়ে জানান, আকাশপ্রেমীদের জন্য এক দুর্লভ সুযোগ এনে দিয়েছে জুপিটারস অপজিশন।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিকে দেখার জন্য এই সময়ের আগে-পরে এক মাস ধরে এই বিস্ময়কর ঘটনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকবে। এমনকি একটি ছোট টেলিস্কোপ বা সাধারণ দূরবীন দিয়েও এই গ্রহের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এমন বিরল মহাজাগতিক ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫টায় বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬১১ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩৮০ মিলিয়ন মাইল দূরে থাকবে। এই দূরত্বে বৃহস্পতি অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাবে। এটা টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীদের জন্য এর মেঘবাহু এবং গ্যালিলিয়ান চাঁদগুলো (আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড, এবং ক্যালিস্টো) পর্যবেক্ষণের সেরা সুযোগ।
তবে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব-উত্তর-পূর্ব আকাশে বৃষ রাশির (টরাস) নিকটে বৃহস্পতি উঠতে দেখা যাবে। এটি সূর্যাস্তের পর ওঠা শুরু করবে এবং সূর্যোদয়ের আগে অস্ত যাবে। টেলিস্কোপ বা উচ্চ ক্ষমতার দূরবীন দিয়ে বৃহস্পতির মেঘবাহুগুলো এবং এর চারটি প্রধান চাঁদ সহজেই দেখতে পারবেন আকাশপ্রেমীরা।
এই বিরল ঘটনায় বৃহস্পতির প্রতিফলিত সূর্যালোক পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৩৪ মিনিট সময় নেবে। পৃথিবীর দ্রুতগতির কক্ষপথের কারণে বৃহস্পতি এবং সূর্যের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থান তৈরি হবে, যা বৃহস্পতিকে সম্পূর্ণ গোলাকার অবস্থায় দেখা যাবে।
বিরল মহাজাগতিক এই ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায় না, জীবদ্দশায় এমন সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকাটাও ভাগ্যের ব্যাপারও বটে।
|
|
|
|
সম্প্রতি চালু হয়েছে ‘ডেথ ক্লক’ নামের নতুন এক অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীর মৃত্যু অনুমান করতে পারে এমনকি কীভাবে এর তারিখ পেছানো যায়, সে সম্পর্কে বিভিন্ন টিপসও দিতে পারে।
এর আগে ২০০৬ সালে এমনই এক আইপড অ্যাপের কথা উঠে এসেছিল প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চের প্রতিবেদনে। কিন্তু নতুন অ্যাপটির নির্মাতা বলেছেন, তার অ্যাপটি এক হাজার দুইশটিরও বেশি আয়ুসংক্রান্ত গবেষণা থেকে প্রশিক্ষিত, যা মানুষের আদর্শ জীবনধারায় ‘বড় পরিবর্তন আনার’ সুযোগ দিয়ে থাকে।
সম্প্রতি অ্যাপটি পরীক্ষা করে দেখেছে টেকক্রাঞ্চ, যেখানে প্রতিবেদককে তার বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিগত পরিচয় বিষয়ক সাধারণ তথ্য জিজ্ঞেস করতে শুরু করে অ্যাপটি। এমনকি তার পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য ও সার্বিক অবস্থার মতো বিস্তারিত ধাঁচের প্রশ্নও ছিল এতে।
সবকিছু বিশ্লেষণ শেষে অ্যাপটি অনুমান করেছে, ওই প্রতিবেদক ২০৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ৯০ বছর বয়সে মারা যাবেন। কিন্তু নিজ অভ্যাসে উন্নতি আনলে তিনি ১০৩ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবেন।
ডেথ ক্লক অ্যাপটি ব্যবহার করতে গ্রাহককে বার্ষিক ৪০ ডলার করে আর্থিক ফি গুণতে হবে, যেখানে ব্যবহারকারীর অভ্যাস উন্নত করার বিভিন্ন উপায় এমনকি তার আনুমানিক মৃত্যুর প্রহর গোনা একটি ঘড়িও দেখা যাবে।
এ সম্ভাব্য মৃত্যুর তারিখ এমনভাবে নকশা করা যাতে তা অনলাইনে শেয়ার করা যায়। তবে, এর বাস্তবিক প্রভাবও আছে।
“বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্ত লোকজন, যারা অর্থ খরচ করে চলেছেন, তাদের কাছে মৃত্যু বড় এক শঙ্কা। তাই নির্ভুল উপায়ে মৃত্যু অনুমান করার বিষয়টি সহায়ক হতে পারে,” ব্লুমবার্গকে বলেছেন আর্থিক পরিকল্পনাবিদ রায়ান জ্যাবরোস্কি।
|
|
|
|
ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর এসেছে। মেটা অ্যাপটিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার নিয়ে আসছে, যা পরিবর্তন আনবে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায়। এই নতুন আপডেটে মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীরা পাবেন উন্নত এইচডি ভিডিও কল, অবাঞ্ছিত শব্দ দূরীকরণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আরও অনেক আকর্ষণীয় ফিচার।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের নতুন ফিচারসমূহ ১. এইচডি ভিডিও কল ফিচার: এখন থেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে ব্যবহারকারীরা পাবেন এইচডি ভিডিও কলিং সুবিধা। এটি কলের সময় আরও স্পষ্ট এবং উন্নত ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা দেবে, বিশেষ করে অবাঞ্ছিত শব্দ কমানোর জন্য। ফলে কলের গুণমান অনেক উন্নত হবে। ২. ওয়াই-ফাই এবং মোবাইল ডেটার জন্য আলাদা সেটিংস: ওয়াই-ফাই ব্যবহারকারীদের জন্য ডিফল্টভাবে এইচডি ভিডিও কল চালু থাকবে, তবে মোবাইল ডেটার মাধ্যমে কল করার জন্য ব্যবহারকারীদের ম্যানুয়ালি এইচডি ভিডিও কল চালু করতে হবে। এছাড়া কলের সময় ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ এবং ভয়েস আলাদা করার নতুন ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে। ৩. অডিও বা ভিডিও বার্তা পাঠানোর সুবিধা: যদি আপনার বন্ধু ফোনের উত্তর না দেন, তাহলে আপনি অডিও বা ভিডিও বার্তা রেকর্ড করে পাঠাতে পারবেন। এই ফিচারটি ব্যবহার করতে অডিও এবং ভিডিও কলের রেকর্ড মেসেজ অপশনে ট্যাপ করতে হবে। ৪. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যাকগ্রাউন্ড ফিচার: মেসেঞ্জারে শিগগিরই আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করার ফিচার। এটি ব্যবহারকারীদের ভিডিও কলিং অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করবে এবং নতুন চমৎকার ব্যাকগ্রাউন্ডের মাধ্যমে আপনার কলকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সাহায্য করবে। এছাড়াও আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য মেসেঞ্জারে সিরি-র মাধ্যমে কল এবং বার্তা পাঠানোর সুবিধা পাওয়া যাবে। শুধু সিরি-কে বললেই, মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কাজ করা যাবে।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের এই পরিবর্তনের প্রভাব এই নতুন ফিচারগুলোর মাধ্যমে ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও সহজ, দ্রুত এবং আনন্দদায়ক হবে। মেটা ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ও উন্নত অভিজ্ঞতা সরবরাহ করতে প্রস্তুত, যা মেসেঞ্জার অ্যাপটিকে ভবিষ্যতের জন্য আরও শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
|
|
|
|
মঈন মাহমুদ : উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো টেকসই এবং শক্তিশালী স্মার্টফোন স্পার্ক গো ওয়ান- এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে। সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ স্পার্ক গো ওয়ান ডিভাইসটি গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করা হয়। লঞ্চের পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ফোনটি। গ্রাহকদের মাঝে এই ফোনের জনপ্রিয়তার কথা বিবেচনা করে টেকনো নতুন ৩ জিবি ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এসেছে; ফলে গ্রাহকরা এখন আরও কম বাজেটে এই ফোন কিনতে পারবেন।
টেকনো স্পার্ক গো ওয়ান ডিভাইসটি ব্যবহারকারীদের জন্য নিশ্চিত করবে ৪ বছরের দীর্ঘস্থায়ী স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা। এই ফোনে থাকছে আইপি৫৪ পানি, ধুলো ও তেল প্রতিরোধী ফিচার। ডিটিএস সাউন্ড সিস্টেম সহ স্টেরিও ডুয়াল স্পিকার নিশ্চিত করবে সাউন্ডে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। ব্যবহারকারীরা প্রায় ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত লাউড সাউন্ড শুনতে পারবেন। ব্রাউজিং, গেমিং অথবা স্ট্রিমিংয় – যেকোনো পরিস্থিতিতে ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট সহ ৬.৬৭" আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লের সাহায্যে ব্যবহারকারী পাবে দুর্দান্ত স্মুথ অভিজ্ঞতা পাশাপাশি ১২০ হার্জ স্মুথ ডিসপ্লে সেগমেন্টে এই ডিভাইসটিকে ইউনিক করে তুলেছে।
এই ফোনে রয়েছে অক্টা-কোর টি৬১৫ প্রসেসর এবং ৪.৫জি লাইটিনিং মোবাইল নেটওয়ার্ক যা মাল্টিটাস্কিং, গেমিং অথবা অ্যাপ ব্যবহারের সময় প্রদান করবে চমৎকার পারফরম্যান্স, সাথে দুর্দান্ত গতি। এছাড়া, তিন’শ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড পাওয়া যাবে, যা গতানগতিক ফোরজি নেটওয়ার্কের তুলনায় প্রায় শতভাগ বেশি গতি নিশ্চিত করবে। ডিসপ্লে, প্রসেসর, নেটওয়ার্ক সব কিছুর কম্বিনেশন এই ফোনকে সেগমেন্টে ইউনিক করে তুলেছে।
প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও কলের জন্য এই ফোনে রয়েছে ১৩ মেগাপিক্সেল প্রাইমারী ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা। স্পার্ক গো ওয়ানে আরও আছে আইআর রিমোট কন্ট্রোলের মতো ইউনিক ফিচার যা স্মার্ট হোম ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। উন্নত অভিজ্ঞতার জন্য আরও রয়েছে ১৫ ওয়াট চার্জিং সাপোর্ট ও ডায়নামিক পোর্ট সহ ৫ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি।
নতুন ৬৪জিবি স্টোরেজ + ৬জিবি র্যাম (*৩জিবি + ৩জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটি দেশব্যাপী সকল আউটলেটে মাত্র ৯,৯৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য) পাওয়া যাচ্ছে ৩টি স্টার ট্রেইল ব্ল্যাক, গ্লিটারি হোয়াইট (সাদা) ও ম্যাজিক স্কিন গ্রিন (সবুজ) এই তিনটি কালারে। এছাড়া ৬৪জিবি স্টোরেজ+ ৮জিবি র্যাম (৪জিবি + ৪জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটির দাম মাত্র ১০,৯৯৯ টাকা (ভ্যাট প্রযোজ্য) এবং ১২৮জিবি স্টোরেজ+ ৮জিবি র্যাম (৪জিবি + ৪জিবি এক্সটেন্ডেড) ভ্যারিয়েন্টটি মাত্র ১২,৪৯৯ টাকায় (ভ্যাট প্রযোজ্য) ক্রয় করতে পারবেন।
|
|
|
|
ইন্টারনেটের দাম কমানো, মেয়াদ বাড়ানো, নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, প্রান্তিক অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন ও টেলিযোগাযোগ আইনের সংশোধনসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন ডিজিটাল সেবা উদ্যোক্তারা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এসব দাবি জানান।
দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইসিটি খাতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যে বৈষম্য হয়েছে তা খুঁজে বের করছি। সেবার মান বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারাও ইন্টারনেটের দাম কমানোর পক্ষে মত দেন।’
বৈঠকে ব্রডব্যান্ডের মতো আনলিমিটেড মাসিক মোবাইল ডাটা মূল্য সর্বোচ্চ ৫০০ টাকার মধ্যে আনা উচিত বলে জানান বিডিজবস ডটকম-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম ফাহিম মাশরুর।
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) সাব্বির হোসেন বলেন, ইউএসডি ব্যবহারে এসএমএস খরচ কমানো দরকার।
দারাজ বাংলাদেশের প্রধান করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস বলেন, ‘ডিজিটাল সেবাই ভবিষ্যৎ। অ্যাপে আইপিফোন ব্যবহারের বিষয়টি সহজতর করা দরকার।’
পাঠাও সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, ‘বিগত সরকারের সময়ে ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার পাশাশি ১৫ দিন বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ ছিল। সেই সময় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের।’
বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘যদি শতকরা ১০ ভাগ ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ে তাহলে তা জিডিপিতে ১.৮ শতাংশ ভূমিকা রাখে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ডেটা ও সাইবার সুরক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই গত ১০ বছরের যে বৈষম্য হয়েছে তা খুঁজে বের করছি। ’
বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ-উল-বারী বলেন, ‘ইন্টারনেট বাতাসের মতো ফ্রি হওয়া উচিত। ডাটাকে পানির দামে আনতে হবে।’
বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দায় চৌধুরী। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ খলিল-উর-রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান চালডালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিফ আলিম। বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান, কমিশনার ও মহাপরিচালকরা এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অ্যানড্রয়েড ও আইওএস স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কবার্তা। ফোন থেকে ছড়াতে পারে ভয়ংকর ভাইরাস। তাই ফোন ব্যবহারকারীদের সাবধান করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পেজার বিস্ফোরণের ভয়ংকর খবর ইতিমধ্যেই শুনেছেন সকলে। তারপর থেকে মোবাইল ফোন কিংবা স্মার্টফোন নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, ঠিক একই কায়দায় হাতের মুঠোফোনটিও বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে ইদানীং যে খবর আসছে, তা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আসলে যারা অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস ফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সাবধান করছে ভারতের দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল।
মহামারি করোনাভাইরাসের সময়কালে এক অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। যা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষকে সংক্রমিত করেছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
সাইবার দুনিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবধান না হলে ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ভাইরাসের কারণে ফোনে বিস্ফোরণ হতে পারে। অর্থাৎ ভাইরাস স্মার্টফোন নষ্ট করে ব্যবহারকারীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখার বিশেষজ্ঞ কিশলয় চৌধুরী দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ফোনে সিস্টেম হ্যাঙ্গিং, টাকা লোপাট কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু এখন আরও ভয়ংকর অবস্থা আসতে চলেছে। ফলে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে চীন এবং জাপানে এমন কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, অ্যানড্রয়েড কিংবা আইওএস স্মার্টফোনে পিডিএফ অথবা ইমেইলের মাধ্যমে এমন একটি ভাইরাস পাঠানো হচ্ছে, যা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাক্টিভেট হচ্ছে। যা ফোনকে পুরোপুরি ভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি বিস্ফোরণ ঘটাতেও সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে ফোন যদি হাতে থাকে, তাহলে কী কী হতে পারে, সেটা কল্পনা করা যাচ্ছে নিশ্চয়ই! এই ধরনের ভাইরাসের বিষয়ে সাবধানবাণী এসেছে অ্যানড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকেও। মূলত অজ্ঞাতপরিচয় কোনও পিডিএফ এলে তা না ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। কারণ এটা ক্ষতিকর হতে পারে।
কোনও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ফোনে অজানা নম্বর থেকে তার নামে কোনও পিডিএফ কিংবা ইমেইল এলে, তা ভুলেও ওপেন করা উচিত নয়। আসলে এর মাধ্যমে যে ভাইরাস পাঠানো হবে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হতে পারে। সাইবার বিস্ফোরণ এবং সাইবার হামলার এই কৌশল অত্যন্ত আধুনিক। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতে এহেন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলোতে এহেন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই সাবধানের মার নেই।
|
|
|
|
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ করা হবে। এ কারণে আজ ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টা থেকে পরদিন রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত মোট ৪ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলের লাইটিং ফিল্টার স্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এ সময় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা স্টেশনে সংযুক্ত সব সার্কিটের ব্যান্ডউইডথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার স্টেশন থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালে গ্রাহকরা সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে।
সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
|
|
|
|
সাবমেরিন ক্যাবলে লাইটনিং ফিল্টার (Lightning filter) স্থাপন কাজের জন্য আগামী রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর হতে পারে বা ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের এ বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছে যে, কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেম SEA-ME-WE-5 (SMW5) কনসোর্টিয়াম কর্তৃক আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা অর্থাৎ ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় ভোর ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ ঘণ্টা সাবমেরিন ক্যাবলে Lightning filter স্থাপন করার কাজ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, উল্লেখিত সময়কালে SMW5 সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুয়াকাটা ল্যান্ডিং স্টেশনে সংযুক্ত সকল সার্কিটের ব্যান্ডউইথ পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে একই সময়ে কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন হতে SEA-ME-WE-4 (SMW4) সাবমেরিন ক্যাবলের সার্কিটগুলো যথারীতি চালু থাকবে। উক্ত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলাকালীন সময়ে ইন্টারনেট গ্রাহকগণ সাময়িকভাবে ইন্টারনেটের ধীরগতির সম্মুখীন হতে পারেন বা ইন্টারনেট সেবা বিঘ্ন ঘটতে পারে।
সম্মানিত গ্রাহকগণের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিএসসিপিএলসি কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
|
|
|
|
বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে #BMW (বিএমডব্লিউ) ট্যাগটি ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই ট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট, ছবি ও ভিডিও আপলোড করলে তা মুহূর্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। এটি জার্মানির বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউর প্রচারণার কৌশল মনে হলেও ট্যাগটি সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
#BMW (বিএমডব্লিউ) ট্যাগটি কেন ভাইরাল হয়েছে, এর পেছনে কারণ কী?
যখন কোনো কীওয়ার্ড, বিষয়, বার্তা বা নামের আগে এই #পাউন্ড প্রতীকটি ব্যবহার করা হয় তখন একে হ্যাশট্যাগ বলা হয়। এটি প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্যে ট্যাগ দিতে, শ্রেণিভুক্ত করতে এবং গ্রুপে বিভক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। যদি আপনি কোনো হ্যাশট্যাগে ক্লিক করেন তাহলে সেই হ্যাশট্যাগের সাথে সম্পর্কিত ইন্টারনেটে সার্বজনীন যত তথ্য আছে তা সব প্রদর্শন করবে। আপনি যদি কোনো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন তবে আপনার পোস্টটি সেই হ্যাশট্যাগ অনুসন্ধানকারী লোকদের ফিডে প্রদর্শিত হবে। যদি কোনো একটি হ্যাশট্যাগটি লোকজন প্রচুর ব্যবহার করতে থাকে তখন এটি একটি ট্রেন্ডিং বিষয়ে পরিণত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা পোস্টগুলোকে জনপ্রিয় ও সহজে খুঁজে পাওয়ার একটি ট্যাকনিক্যাল ফিচার।
#বিএমডব্লিউ হ্যাশট্যাগের প্রাথমিক ব্যবহার ছিল জার্মানির বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিএমডব্লিউয়ের বিজ্ঞাপন। যা দিয়ে গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি করা। তবে বর্তমানে #বিএমডব্লিউ হ্যাশট্যাগটি ভিন্ন কারণে ভাইরাল হয়েছে। এখন এটি ব্যবহার করে নেটিজেনরা নানা ধরনের বিনোদনমূলক বা মজার পোস্ট করছেন। যেসব পোস্টের গাড়ির সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই।
ট্যাগটি ভাইরাল হওয়ার অন্যতম কারণ মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং জনপ্রিয় ট্রেন্ডের অংশ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা বা অধিক লাইক ও শেয়ার পাওয়ার জন্য স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহার করছেন। তবে এমনটিও হতে পারে এটি কোন সেলিব্রিটি বা বিখ্যাত ব্যক্তি একবার ব্যবহার করেছে। কারণ, এ ধরণের ট্যাগ তারা একবার ব্যবহার করলে একটি প্ল্যাটফর্মেই ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রাকৃতিগতভাবে মানুষ অন্য মানুষকে অনুসরণ করে। ফলে কেউ কোন একটি বিষযয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তা পেলে, তখন অনেকেই সেই ট্রেন্ডের সাথে যুক্ত হতে চান। বিশেষত তরুণ সমাজে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। #বিএমডব্লিউ ট্যাগটির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটছে। অনেকেই এটিকে ফান হিসেবে নিচ্ছে, আবার অনেকেই কৌতূহলবশত ট্যাগটি ব্যবহার করছেন। এছাড়া ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া বিষয়ের মধ্যে অন্যতম কারণ হলো দ্রুত মনোযোগ আকর্ষণ করা। জনপ্রিয় ট্যাগ ব্যবহার করলে পোস্টগুলো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায় এবং বেশি লাইক, শেয়ার, কমেন্ট পাওয়া যায়।
ফেসবুকে ``10 unknown facts about bmw`` কেন ট্রেন্ড করছে, মার্কেটিংয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে তার কিছু কারণের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্যে প্রধান যে বিষয়গুলো উঠে আসছে সেগুলোতে নজর দেওয়া যাক।
শেয়ারযোগ্য বিষয়বস্তুর আবেদন: ‘দশটি অজানা তথ্য’- এই ফরম্যাটটি শেয়ারযোগ্য বিষয়বস্তুর একটি ভালো উদাহরণ। এই উপায়ে সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোতে যেকোনো কনটেন্ট ছড়িয়ে দেয়া বা গ্রহণ করা সহজ। বিএমডব্লিউ সম্পর্কে ১০টি তথ্যের যে তালিকা সেটিও সহজ ও আকর্ষণীয়। আজকের দ্রুতগতির ডিজিটাল বিশ্বের জন্য এই ধরনের ফরম্যাটকে আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, বর্তমানে যেকোনো বিষয়ে মানুষের মনোযোগ ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে, মার্কেটিং দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে, এই ধরনের কনটেন্টে মানুষকে এনগেজ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যালগরিদম প্রায়ই উচ্চ ইন্টারঅ্যাকশন রেট (লাইক, শেয়ার এবং মন্তব্য) সহ পোস্টগুলোর পক্ষে যায়। বিএমডব্লিউ-এর ক্ষেত্রে এই ট্রেন্ড তাদের কোনো সরাসরি খরচ ছাড়াই পরোক্ষভাবে মার্কেটিংয়ের কাজ করছে।
বিপণন টুল হিসেবে ‘কৌতূহল’কে ব্যবহার: এই ট্রেন্ডের সফলতার আরেকটি কারণ হলো- মানুষের স্বাভাবিক কৌতূহলকে ‘ট্যাপ’ করার ক্ষমতা। দর্শক সবসময়ই এমন কিছু জানতে আকৃষ্ট হয়, যা তাদের অজানা। বিশেষ করে বিএমডব্লিউ’র মতো একটি ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানতে অনেকেই আগ্রহী। মার্কেটারসরা জানেন, এই কৌতুহলই মানুষের সম্পৃক্ততা (এনগেজমেন্ট) বাড়ায়। ‘অজানা তথ্য’ প্রকাশ করে এমন পোস্টগুলো বিশেষভাবে কার্যকর। কারণ এসব পোস্ট (অজানা তথ্য) মানুষের জ্ঞানের ফাঁক-ফোঁকর তৈরি করে। যা পাঠক পূরণ করতে চায়। ‘ইনফরমেশন গ্যাপ থিওরি’ নামে পরিচিত এই তত্ত্বটি যেকোনো ব্রান্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ও মানুষের এনগেজমেন্ট বাড়ানোর জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার।
ব্র্যান্ড ইক্যুইটি এবং মার্কেট রিচ বাড়ানো: এই ট্রেন্ডের অর্থনৈতিক প্রভাব বহুমুখী। প্রথমত, ক্রমাগতভাবে ভোক্তাদেরকে নতুন বিষয়বস্তুর সাথে আকৃষ্ট করার মাধ্যমে বিএমডব্লিউ তার ব্র্যান্ড ইক্যুইটিকে শক্তিশালী করে। শক্তিশালী ব্র্যান্ড ইক্যুইটি বিএমডব্লিউকে প্রিমিয়াম মূল্য নির্ধারণ করতে, গ্রাহকের আনুগত্য বজায় রাখতে এবং একটি বৈশ্বিক বাজারে অন্যের চেয়ে আলাদাভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে। এর পাশাপাশি এই প্রবণতা বিশ্ববাজারে বিএমডব্লিউয়ের উপস্থিতি তুলে ধরে। এছাড়া এই ট্রেন্ডটি বিএমডব্লিউর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোর্টফোলিও প্রদর্শন করে। যার মধ্যে শুধুমাত্র বিএমডব্লিউর প্রাথমিক মডেলগুলো নয়, মিনি এবং রোলস রয়েস ব্র্যান্ডগুলোও রয়েছে।
মার্কেটিং লাভের জন্য সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড সর্বাধিক করা: ‘বিএমডব্লিউ সম্পর্কে দশটি অজানা তথ্য’ ট্রেন্ড একটি উদাহরণ, যে কীভাবে মার্কেট পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমের ট্রেন্ডকে কাজে লাগানো যেতে পারে। যদিও এই ধরনের ট্রেন্ডগুলো প্রায়ই স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে ওঠে এবং তাতে ব্র্যান্ডগুলো সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। ট্রেন্ডের ফরম্যাটের সঙ্গে মাননসই পণ্য তৈরি করে তাদের পণ্য বিক্রি বাড়াতে পারে। এই কৌশলটি সাশ্রয়ী, কার্যকর এবং কোনো মার্কেটিং খরচ ছাড়াই ব্র্যান্ড মেসেজিংকে প্রসারিত করা হয়।-লিংকডইন
|
|
|
|
দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল তাদের বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি দিয়েছে। গত ১ সেপ্টেম্বর বিটিআরসিতে এ চিঠি পাঠায় সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম। এতে তারা অপারেটিং এবং রেডিও ইক্যুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে।
কোম্পানিটির দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এজন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় লাইসেন্স বাতিল হয়।
চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম উল্লেখ করেছে, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতিসহ সব মিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পরিপত্র প্রত্যাহার চেয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চাওয়া হয়েছে, যাতে ফাইভ-জি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে সিটিসেল, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, আমাদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স বাতিল করেছিল। আমরা প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।
দেশে সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর ছিল সিটিসেল। ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়। তখন বিটিআরসি জানিয়েছিল, ২১৮ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান সিটিসেলের মালিক। প্যাসিফিক মোটরস, আরব-বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তার বিনিয়োগ ও সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
দেশের টেলিকম খাতের শীর্ষ কোম্পানি গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সুখবর। কোনো ধরনের রিচার্জ কিংবা প্যাক কেনা ছাড়াই কোম্পানিটি গ্রাহকদের ইন্টারনেট চালানোর সুযোগ দিয়েছে।
এই সুযোগের আওতায় আজ (শুক্রবার) এবং আগামীকাল (শনিবার) সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পুরোপুরি বিনামূল্যে ইন্টারনেট চালাতে পারবেন গ্রাহকরা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) কোম্পানির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই শুক্র ও শনিবার আমাদের নেটওয়ার্কে সবার জন্য ইন্টারনেট ফ্রি। ভোর ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
আরও বলা হয়েছে, এই সুবিধা ভোগ করতে কোনো রিচার্জ লাগবে না। তবে এটি শুধুমাত্র ৯ ও ১০ আগস্টের জন্য প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। এ ছাড়া এখন বাণিজ্যিকভাবে টেলিযোগাযোগ (ভয়েস, এসএমএস, ইন্টারনেট ডাটা) সেবা দিয়ে যাচ্ছে চারটি প্রতিষ্ঠান। সেগুলো হচ্ছে- গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা, বাংলালিংক এবং টেলিটক।
|
|
|
|
ফেসবুক, টিকটকসহ বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কবে নাগাদ খুলবে তা বুধবার (৩১ জুলাই) জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষ বৈঠক শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
বাংলাদেশে কবে নাগাদ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল বেলা ১১টার পরে জানাতে পারবো।’
১১টার পরে কেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা টিকটক, ইউটিউব এবং ফেসবুককে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য মৌখিক এবং লিখিতভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। সেখানে টিকটক জবাব দিয়েছে। তারা বলেছে আগামীকাল তারা উপস্থিত হয়ে লিখিত এবং মৌখিকভাবে জবাব দিতে চায়। আর ফেসবুক এবং ইউটিউবের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমার জানামতে বিটিআরসিতে তারা কোনো উত্তর দেয়নি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল যেহেতু আমরা সকাল ৯টা, ১০টা ও বেলা ১১টায় এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। তাই আগামীকাল বেলা ১১টার পর আমরা তাদের ব্যাখ্যা যদি পাই, সেটা বিশ্লেষণ করে আর যদি নাও পাই বিটিআরসিতে বসে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা সেই সিদ্ধান্ত (খোলার বিষয়ে) জানাতে পারবো।’
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার মধ্যে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। গত রোববার মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধই রয়েছে।
|
|
|
|
ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড ইন্সপেকশন ডিরেক্টরেট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল করা হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সে নির্দেশনা আইআইজি অপারেটরদের জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পাশাপাশি গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনাও দিয়েছে বিটিআরসি। ফলে এখন থেকে ইউটিউব ও গুগলে সার্ভিস পেতে আর কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না ব্যবহারকারীদের।
তবে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ) এবং টিকটকের মতো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুলাই রাত থেকে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করে সরকার। বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে সব জায়গায় ব্রডব্যান্ড চালু করা হয়।
বিটিআরসি জানিয়েছে, আগামী রবি বা সোমবার (২৮ বা ২৯ জুলাই) মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে। তবে ব্রডব্যান্ড চালু হলেও ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের স্বাভাবিক গতি পাচ্ছিলেন না। এরপর গুগলের ক্যাশ চালু ও ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। তবে ভিপিএন ব্যবহার করে বহু ব্যবহারকারী এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন।
|
|
|
|
|
|
|
|