হার্ট অ্যাটাকের আগে শরীরের কিছু সতর্ক সংকেত
লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু সংকেত দেয়, যা দ্রুত চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় এগুলো অবহেলা করা হয়, কিন্তু সচেতন থাকলে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ বা সতর্ক সংকেত—
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, এমনকি বিশ্রামের পরও স্বাভাবিক অনুভব না করা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট: ব্যায়াম ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। এটি শুধুমাত্র ফুসফুসের সমস্যা নয়, বরং হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিতও হতে পারে। কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষত বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় ও চোয়ালে চাপ অনুভূত হতে পারে এবং ব্যথা সময়ের সাথে বাড়তে পারে। মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমেই মাথা ঝিমঝিম করা, ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি। বুক ব্যথার সঙ্গে বমিভাব থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ঠান্ডা ঘাম: বিনা কারণে ঘাম হওয়া বা শরীর ঠান্ডা অনুভব করা। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। অনিয়মিত হার্টবিট: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, কখনো কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি। পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, হঠাৎ পেট ভারী লাগা বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি মনে করে ভুল করেন। এগুলো হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সংকেত।
কখন সতর্ক হবেন?
যদি একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দেয়। ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়। বিশ্রাম বা ওষুধ খাওয়ার পরও স্বস্তি না পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন। স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু সংকেত দেয়, যা দ্রুত চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় এগুলো অবহেলা করা হয়, কিন্তু সচেতন থাকলে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ বা সতর্ক সংকেত—
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, এমনকি বিশ্রামের পরও স্বাভাবিক অনুভব না করা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট: ব্যায়াম ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। এটি শুধুমাত্র ফুসফুসের সমস্যা নয়, বরং হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিতও হতে পারে। কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষত বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় ও চোয়ালে চাপ অনুভূত হতে পারে এবং ব্যথা সময়ের সাথে বাড়তে পারে। মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমেই মাথা ঝিমঝিম করা, ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি। বুক ব্যথার সঙ্গে বমিভাব থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ঠান্ডা ঘাম: বিনা কারণে ঘাম হওয়া বা শরীর ঠান্ডা অনুভব করা। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। অনিয়মিত হার্টবিট: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, কখনো কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি। পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, হঠাৎ পেট ভারী লাগা বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি মনে করে ভুল করেন। এগুলো হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সংকেত।
কখন সতর্ক হবেন?
যদি একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দেয়। ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়। বিশ্রাম বা ওষুধ খাওয়ার পরও স্বস্তি না পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন। স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে।
|
|
|
|
শীতল ও শুষ্ক মৌসুমে ত্বকে শুষ্কতার প্রভাব সহজেই দেখা দেয়। তবে রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য সময় ব্যয় করে এবং ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই ত্বক রাখা সম্ভব সতেজ ও উজ্জ্বল। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞরা।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পার্লারে না গিয়ে ঘরোয়াভাবেই যত্ন করুন। মাত্র দুটি উপাদানের নিয়মিত ব্যবহারে পেতে পারেন নজরকাড়া উজ্জ্বলতা।
লেবুর রস মুখের কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও নির্জীব ভাব দূর করতে লেবুর রস খুবই কার্যকর। পরিষ্কার ত্বকে সরাসরি লেবুর রস মালিশ করুন।
মরা কোষ দূর করতে চাইলে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া বা চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
চন্দনের গুঁড়া লেবুর রস ব্যবহারের পর ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বাড়াতে ব্যবহার করুন চন্দন। প্রথমে লেবুর রস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর চন্দনের পেস্ট মালিশ করুন।
পেস্ট তৈরি করতে চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ত্বকে এই পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘন প্রলেপ দিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না।
দ্রুত ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে লেবু ও চন্দনের পেস্ট ব্যবহার করুন। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতায় পার্থক্য দেখতে পাবেন।
|
|
|
|
আসছে নতুন বছরে ঘরের অন্দর সজ্জায় পরিবর্তন আনবেন অনেকে। নতুন বছরে নতুন কিছু করলে বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আসবে বলেও মনে করেন অনেকে। অন্দর সজ্জায় পরিবর্তনে একটি অংশ জুড়ে থাকে ঘরে পর্দা। নতুন বছরে কোথায় কোন রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।
» উত্তরমুখী ঘরে নীল রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। দক্ষিণমুখী ঘরের পর্দার রং হবে লাল। ইচ্ছে করলে হালকা হলুদ রংও বেছে নিতে পারেন।
» ঘর যদি পুর্বমুখী হয়, তা হলে ঘরের দেওয়ালে সবুজ রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। এতে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে সংসারে। পশ্চিমমুখী ঘর হলে পর্দার রং অবশ্যই যেন হয় দুধ সাদা।
» ড্রয়িং রুমে বাদামি, ক্রিম, এই ধরনের রং ব্যবহার করুন। রান্নাঘরে লাল, কমলা রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।
» তবে বেডরুমের দেওয়ালের পর্দার রং সব সময়ে হালকা রাখা উচিত, এতে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠবে। যেমন হালকা গোলাপি, নীল, সাদা- এ ধরনের রং ব্যবহার করতে হবে।
» বাস্তুমতে ঘরের দেওয়ালে দু’টি স্তরের পর্দা ব্যবহার করা খুব শুভ বলে মানা হয়। এতে ঘরের ভিতর একটা পজেটিভ ভাইভ আসবে।
|
|
|
|
প্রকৃতিতে অসংখ্য খাবার রয়েছে। বেঁচে থাকতে আমরা সেসব খাবার খেয়ে থাকি। নানারকম সবজি, ফল, শস্য আমাদের দীর্ঘজীবন এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি দেয়। তবে কিছু খাবার আমাদের জন্য উপকারি, কিছু ক্ষতিকর।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন কিছু সাদা খাবার। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
ময়দা
আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন হোন তাহলে সবার আগে এই সাদা খাবারটি ছাড়তে হবে। যত জাঙ্ক ফুড রয়েছে তার বেশিরভাগই ময়দার তৈরি। পিৎজা, বার্গার থেকে শুরু করে কেক, জিলাপি সবই ময়দার তৈরি। যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ময়দার পরিবর্তে আটা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন।
চিনি
অনেকে চিনিকে সাদা বিষও বলে থাকেন। সুস্থ থাকতে চাইলে চিনির সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করুন। আর যদি চিনি ছাড়া একদমই থাকতে না পারলে তাহলে দিনে এক চামচের বেশি চিনি খাবেন না। চিনির প্রতি আকর্ষণ কমাতে না পারলে গুড়, মধু ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে এসবও খুব কম পরিমাণে খেতে হবে।
ভাত
ভেতো বাঙালির ভাত না হলে যেন চলেই না। কিন্তু এই ভাতের চাল রিফাইন্ড হয়। এর স্বাস্থ্যকর অংশ রাইস ব্রান বের করে নেওয়া হয়। সাদা ভাতের তুলনায় ব্রাউন রাইস বেশি স্বাস্থ্যকর। সাদা ভাত খেলে ব্রাউন রাইসের তুলনায় রক্তের সুগার দ্রুত বাড়ে। তাই সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন বা ব্ল্যাক রাইস খান।
পাউরুটি
এই খাবারটিও ময়দা দিয়ে তৈরি হয়। মাত্র দুই পিস পাউরুটি খেলেও রক্তে সুগারের মাত্রা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। সাদা পাউরুটির পরিবর্তে সাওয়ার ডো বা হোল গ্রেন ব্রেড খেতে পারেন।
আলুর চিপস/ফ্রেঞ্চ ফ্রাই
আলু চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে যতটা মজাদার, স্বাস্থ্যের জন্য ততটাই ক্ষতিকর। এতে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং সোডিয়াম কন্টেন্ট বেশি থাকে। বলা হয়, খুব উচ্চ তাপমাত্রায় ফ্রাই করার কারণে এতে অ্যাক্রিলামাইড তৈরি হয় যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
তাই সুস্থ থাকতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে এসব সাদা খাবার বাদ দিন দ্রুত।
|
|
|
|
ব্রকলি এবং ফুলকপির মধ্যে তুলনা করার ক্ষেত্রে ফুলকপি বিজয়ী হবে যদি অভিযোজন ক্ষমতাকে নির্ধারক ধরা হয়। বিশেষ করে যখন ব্রকলি এখনও বিদেশি সবজি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে ফুলকপির এই গাঢ় রঙের সহদোরেরও রয়েছে অনেক সুবিধা। যা এই সবজিকে ফুলকপির ঘনিষ্ঠ প্রতিযোগী করে তুলেছে। কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর, তাই ভাবছেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
এক কাপ কাঁচা ব্রকলিতে রয়েছে:
৩০ ক্যালোরি
২ গ্রাম প্রোটিন
০ গ্রাম চর্বি
৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
২ গ্রাম চিনি
২ গ্রাম ফাইবার
২৯ মিলিগ্রাম সোডিয়াম
এক কাপ ব্রকলি ভিটামিন সি এবং কে-এর এক দিনের বেশি সরবরাহ করে। এছাড়া পর্যাপ্ত ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট এবং ভিটামিন এও উপস্থিত থাকে।
এক কাপ কাঁচা ফুলকপিতে রয়েছে:
২৭ ক্যালোরি
২ গ্রাম প্রোটিন
০ গ্রাম চর্বি
৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট
২ গ্রাম চিনি
২ গ্রাম ফাইবার
৩২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম
ব্রকলি এবং ফুলকপিতে প্রায় একই পরিমাণ ফোলেট থাকে। ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে ব্রকোলির থেকে কম থাকে। এতে খুব কম ভিটামিন এ রয়েছে। ১ কাপ ফুলকপি দৈনিক ভিটামিন সি চাহিদার প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এবং আপনার ভিটামিন কে-এর ২০% জোগান দেয়। ব্রকলির তুলনায় ফুলকপিতে অল্প পরিমাণে বেশি পটাসিয়াম থাকে। প্রতি কাপে মাত্র ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট (যা ব্রকলির চেয়ে সামান্য কম)।
ব্রকলি এবং ফুলকপির মধ্যে পার্থক্য
যদিও এই দুই সবজি উভয়ই অত্যন্ত পুষ্টিকর, তবুও ব্রকলি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং এতে ফুলকপির চেয়ে বেশি ভিটামিন রয়েছে, বিশেষ করে কে এবং সি। ফুলকপির চেয়ে বেশি ফাইবার এবং পুষ্টির পাশাপাশি, ভিটামিন এও বেশি রয়েছে। উপকারী পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ক্ষতিকারক স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডও ফুলকপির চেয়ে কম থাকে।
খাবারের তালিকায় দুই সবজিই রাখুন
ফুলকপি ও ব্রকলি উভয়ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। কিছু পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, এই দুই সবজির মধ্যে থাকা অনেক পুষ্টি একই রকম। ফুলকপি ও ব্রকলি যত খাবেন ততই রক্তনালী ভালো অবস্থায় থাকার সম্ভাবনা থাকবে। কিছু বিশেষ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন গ্লুকোসিনোলেটস ফুলকপিতে উপস্থিত থাকে। যদিও ফুলকপির ব্রকলির চেয়ে কিছু ক্ষেত্রে ভালো হতে পারে, তবে উভয় সবজিরই এই বিশেষ সালফারযুক্ত রাসায়নিক থেকে সুস্পষ্ট স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সুতরাং, উভয়ের তুলনা না করাই ভালো।
|
|
|
|
হঠাৎ ডাউন হয়ে যাওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মেটা প্ল্যাটফর্মের মালিকানাধীন—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ সচল হয়েছে। তবে বিশ্বজুড়ে কিছু ব্যবহারকারী এখনো ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে অ্যাক্সেস করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
বুধবার রাত ১২টায় মেটার জনপ্রিয় পরিষেবাগুলো বিশ্বজুড়ে ডাউন হতে শুরু করে। ধীরে ধীরে প্রযুক্তিগত এ ত্রুটির সম্মুখীন হন ব্যবহারকারীরা। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে সচল হয় হোয়াটসঅ্যাপ। ধীরে ধীরে সচল হতে থাকে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জার।
আউটেজ-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ডাউনডিটেক্টর ডটকম বলছে, বিশ্বজুড়ে বড় প্রযুক্তিগত ত্রুটির সম্মুখীন হয়েছেন মেটার ব্যবহারকারীরা।
সমস্যার শুরুতে ফেসবুকে প্রবেশ করতে গেলে একটি বার্তায় দেখায়, ‘আমরা যত দ্রুত সম্ভব এটি ঠিক করার জন্য কাজ করছি।’
এসময় ডাউনডিটেক্টরে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামের জন্য বড় এবং তীব্র স্পাইক দেখায়, যার ফলে অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন।
ডাউনডিটেক্টর ডটকম জানায়, প্রথম দিকে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী ফেসবুকে অ্যাক্সেস করতে সমস্যায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। ১ ঘণ্টার মধ্যে তা বেড়ে ১ লাখের অধিক হয়ে যায়। এছাড়া শুরুতে ৭ হাজার ৫০০ এর বেশি মানুষ ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। পরে তা বেড়ে ৬৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন ১২ হাজারেরও বেশি। এছাড়া ম্যাসেঞ্জারও ব্যবহার করতে পাড়ছেন না ১৪ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী।
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর হোয়াটসঅ্যাপ এ স্পাইক কমে ২০০তে নেমে আসে। এছাড়া ইনস্টাগ্রামে স্পাইক কমে ৪ হাজারে নামে। এছাড়া ফেসবুকে হয় ৩ হাজার। ম্যাসেঞ্জারের স্পাইক ৫০০তে নেমে আসে। এদিকে তাৎক্ষণিক মেটা কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য না দিলেও পরে এক্সসহ ভিন্ন প্ল্যাটফর্মে দুঃখ প্রকাশ করে বার্তা দেওয়া হয়।
মেটার অফিসিয়াল এক্স পেজে বলা হয়, ‘আমরা জানি যে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যা কিছু মানুষের আমাদের পরিষেবায় প্রবেশের সক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব বিষয়গুলো স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করছি এবং কোনও অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’
প্রযুক্তিগত কারণে চলতি বছর মার্চ ও এপ্রিল মাসে মার্ক জাকার্বাগের মালিকানাধীন মেটার বিভিন্ন পরিষেবা ব্যহত হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা অচল হয়েছিল ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস।
|
|
|
|
দক্ষিণের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেও, বলিউডেও তার পরিচিতি কম নয়। অল্লু অর্জুনের বিপরীতে অভিনয় করে এর আগেই নজর কেড়েছিলেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘গুডবাই’ ছবির হাত ধরে সম্প্রতি বলিউডেও অভিষেক ঘটেছে নায়িকার। অভিনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন রশ্মিকা মন্দানা। রাশমিকার ফিটনেসে অনুপ্রাণিত হয়েছেন তার হাজারো নারী অনুরাগীদেরও।
শুধু কি ফিটনেস! রশ্মিকার ত্বকও যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। রূপটানহীন ত্বকেও উজ্জ্বলতার কমতি নেই তার। একটি সাক্ষাৎকারে রশ্মিকা জানিয়েছেন, ত্বক যত্নে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ নজর দেন। যে খাবারগুলো থেকে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে, যথাসম্ভব সেগুলো এড়িয়ে চলেন। তেল-মশলাদার খাবার পাতে নেন না একেবারেই।
রাশমিকা মনে করেন রোগা থাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভেতর থেকে সুস্থ থাকা। সপ্তাহে চারদিন নিয়ম করে কিকবক্সিং, লাফদড়ি, নাচ, সাঁতার, যোগাসন করে থাকেন অভিনেত্রী। বিভিন্ন ধরনের কার্ডিও করেন। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলে মাঝেমাঝে ওজন তুলতেও দেখা যায়। সবল পেশী তৈরিতেও সমান ভাবে মনোযোগী এই দক্ষিণী নায়িকা। তবে প্রতিদিন একই পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করার পরিবর্তে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করাতেই বেশি আগ্রহী তিনি।
শরীরচর্চা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে ভোলেন না রাশমিকা। নিয়মিত রূপচর্চার জন্য আলাদা করে সময় বের করে নেন। ত্বক ভালো রাখতে বারোমাস সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এ ছাড়াও নিয়ম করে ত্বকে ভিটামিন সি সিরাম লাগাতে ভোলেন না। ত্বক ভালো রাখতে ময়শ্চারাইজার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনের রূপরুটিনে নিজেও ময়েশ্চারাইজার রাখেন। শুটিংয়ের পর অনেকটা সময় নিয়ে মেকআপ তোলেন। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সঠিক নিয়মে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করেন নায়িকা।
এ ছাড়াও ত্বকের যত্নে রাশমিকা ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকার ওপর। ঠাকুমার বলে দেওয়া ফেস প্যাকেই ভরসা রাখেন নায়িকা। ভাত চটকে তার সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে বাড়িতেই বানিয়ে নেন ফেস প্যাক। ত্বকের যত্ন নিতে তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকেন। শাকসবজি, ফলের মতো খাবার বেশি করে খান তিনি।
রাশমিকা তার এই নির্মেদ চেহারা ধরে রাখতে শুধু যোগাসন বা নিয়ম করে ব্যায়ামই করেন না, পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাওয়াদাওয়াও করে থাকেন। দক্ষিণী এই অভিনেত্রী তার সকাল শুরু করেন এক গ্লাস গরম পানি দিয়ে। বেলা বাড়লে ফল, দু’টি সেদ্ধ ডিম এবং অ্যাপেল সিইডার ভিনিগার খান।
|
|
|
|
শীতে ত্বকের তো যত্ন নেবেন সঙ্গে চুলেরও যত্ন নিন। উজ্জ্বল, ঝলমলে চুল পেতে এর জন্য যে সব সময় কেনা হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে তা নয়। আপনার চারপাশে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে যা দিয়ে সহজেই ন্যাচরাল কন্ডিশনার তৈরি করে নিতে পারবেন। তাতে যেমন রাসায়নিকের ভয় নেই, তেমনই অতিরিক্ত টাকা খরচ হওয়ার চিন্তাও করতে হবে না।
জেনে নিন স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ঝলমলে চুল পাওয়ার ন্যাচরাল কন্ডিশনার তৈরির নিয়ম:
কলার কন্ডিশনার: একটি কলার সঙ্গে তিন টেবিল চামচ মধু, তিন টেবিল চামচ দুধ, তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং একটি ডিম ভালো করে মিশিয়ে নিন একেবারে পেস্টের মতো করে। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখবেন তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলবেন। তাহলেই টের পাবেন উপকার।
ভিনিগার ও ডিমের কন্ডিশনার: দুই কিংবা তিনটা ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ ভিনিগার, ২ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। তারপর তাতে দেড় চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ মধু দিয়ে আবার মিশিয়ে নেবেন। মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল তো মসৃণ হয়ই হেয়ার ফলও বন্ধ হয়।
নারকেল ও মধুর কন্ডিশনার: এক টেবিল চামচ নারকেলের তেল নিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, ২ টেবিল চামচ দই, ১ চা চামচ গোলাপ জল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেবেন। তারপর শ্যাম্পু করা চুলে দিয়ে ১০-১৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলবেন। নারকেলের তেল চুলের গোড়া ভালো রাখে।
দইয়ের কন্ডিশনার: বাটিতে একটি ডিম নিয়ে ফেটিয়ে নিন। তাতে ছয় টেবিল চামচ দই মেশান। ১৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দইয়ের প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড চুলের পক্ষে খুব ভালো।
|
|
|
|
শীত মানেই বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপি। ভাত, রুটি, লুচি দিয়ে আলু-মটরশুঁটির সাদা ফুলকপির তরকারির কোনো তুলনা নেই। এ ছাড়া বিকেলের নাস্তাও জমে যায় ফুলকপির বিভিন্ন মুখরোচক স্ন্যাকসে। তবে অনেকেই আবার ফুলকপি দেখলে নাক সিঁটকান। তবে এই তিনটি স্ন্যাকস তৈরি করলে লোভ সামলানো দায়। ঝটপট রেসিপি দেখে নিন।
ফুলকপির ঝাল পিঠে
উপকরণ: হাফ সেদ্ধ ফুলকপি, ৫০ গ্রাম সুজি, ২০০ গ্রাম ময়দা, ধনেপাতা কুচি ১ মুঠো, স্বাদমতো লবণ, পরিমান মতো পানি, ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ লঙ্কার গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/৪ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, ৩ টেবিল চামচ তেল
প্রণালী: প্রথমে সেদ্ধ ফুলকপি নিয়ে ভালো করে ম্যাশ করে নিন। তার মধ্যে সুজি ও ময়দা মিশিয়ে দিন। ওপরে উল্লেখ করা সমস্ত উপকরণ ও মশলা মিশিয়ে দিন। তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি প্যানে তেল গরম করে তার মধ্যে হাতা করে ব্যাটার দিয়ে দিতে হবে ও উল্টে-পাল্টে ভালো করে ভেজে নিন। এবার গরম গরম ঝাল ফুলকপির পিঠা পরিবেশন করুন।
ফুলকপি পেঁয়াজের পকোড়া
উপকরণ: আধা ফুলকপির কুচি, ৩টা পেঁয়াজ কুচি, ২টা কাঁচামরিচ কুচি, আধ চা চামচ লবণ, ১ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো, ২ চা চামচ বেসন, ১ কাপ সাদা তেল, প্রয়োজন মতো পানি
প্রণালী: একটা পাত্রে ফুলকপির কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি নিয়ে তাতে লবণ ও গোলমরিচ গুড়ো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার তাতে বেসন, নুডলস মশলা আর অল্প পানি নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা ফ্রাইং প্যানে সাদা তেল গরম করে তাতে মিশ্রণটি ছোট ছোট করে পাকোড়ার মত করে দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে। খুব অল্প সময়ে তৈরি এই ফুলকপি পেঁয়াজের পাকোড়া গরম গরম চা কফির সাথে দারুন লাগে।
ফুলকপির কাটলেট
উপকরণ: ফুলকপি- ১ টি মাঝারি আকারের, আলু- ২টি (মাঝারি আকারের, সেদ্ধ করা), ধনে পাতা- ২ টেবিল চামচ (কাটা), কাঁচামরিচ- ১/২টি (কুচি কুচি করে কাটা), আদা বাটা- ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, গোলমরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, হলুদের গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, চাট মশলা- ১/২ চা চামচ, ময়দা- ২ টেবিল চামচ (বা প্রয়োজন মত), পাউরুটির গুঁড়ো- প্রয়োজন মতো (কাটলেটের বাইরের অংশের জন্য), তেল- ভাজার জন্য
প্রণালি: ফুলকপি ধুয়ে কেটে ভালো করে সেদ্ধ করে নিন। একটি পাত্রে ফুলকপি সেদ্ধ, সেদ্ধ আলু, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়ো, হলুদের গুঁড়ো এবং চাট মশলা মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে, ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং এগুলোকে চাপিয়ে কাটলেটের আকার দিন। একটি প্লেটে ময়দা ছড়িয়ে দিন এবং কাটলেটগুলো ময়দায় ভালোভাবে ঘুরিয়ে নিন। এরপর পাউরুটির গুঁড়োতে ঢেলে গড়িয়ে নিন। একটি প্যানে তেল গরম করে, কাটলেটগুলো সোনালি রং আসা পর্যন্ত ভাজুন। ভাজা কাটলেটটি কিচেন টাওয়েলে রাখুন যাতে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এবার গরম গরম ফুলকপির কাটলেট পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয়, হতে পারে আরও কঠিন সব ব্যাধি। বর্তমানে দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু থেকে বয়স্ক, সবাই এখন ডেঙ্গু আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জানলে অবাক হবেন, মশার কামড়ে শুধু ডেঙ্গু নয় হতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়াসহ নানা ভয়াবহ রোগ।
ডেঙ্গু
বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। এডিস ইজিপ্টাই নামের মশার কামড়ে ডেঙ্গু রোগের সৃষ্টি হয়। এ রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে ব্যথা হয়, লাল গুটি দেখা দেয়, মাংসপেশী ও হাড়ের জোড়াতেও ব্যাথা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে রক্তক্ষরণের ফলে এ রোগে মৃত্যুও হতে পারে। প্রথমবার সামলে উঠলেই যে মুক্তি তা কিন্তু নয়। ডেঙ্গু রোগে কেউ দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে তা প্রথমবারের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে।
ইয়েলো ফিভার
টাইগার মশা ও এডিস প্রজাতির আরও কিছু মশার মাধ্যমে ইয়েলো ফিভার ছড়ায়। সাধারণভাবে একে ফ্লাভিবাইরাসও বলা হয়। আফ্রিকার ৩৪টি, দক্ষিণ ও মধ্য অ্যামেরিকার ১৩টি দেশে ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ রোগের লক্ষণ হিসেবে শুরুতে জ্বর এলেও পরে তা বমি দেখা দেয়। একসময় মেনিনজাইটিসে রূপ নেয়। যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চিকুনগুনিয়া
কয়েক বছর আগেও চিকুনগুনিয়া দেশে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল। এ রোগের প্রভাবে জ্বর কাটিয়ে উঠতে তিন-চার দিন লাগে। তবে এরপর হাড়ের জোড়ায় ভয়াবহ ব্যথা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চামড়ায় ক্ষত দেখা দিতে পারে। তবে আশার কথা, একবার চিকুনগুনিয়া হয়ে গেলে দ্বিতীয়বার এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই কমে যায়।
ম্যালেরিয়া
মশাবাহিত রোগের মধ্যে ম্যালেরিয়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত। খুবই মারাত্মক রোগটি। অ্যানোফিলিস নামের মশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত হলে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে। ম্যালেরিয়ার কার্যকর ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আগে থেকে সতর্ক থাকলে এতে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা কমানো যেতে পারে।
জিকা
এডিস ইজিপ্টাই, টাইগার মস্কিউটো ও এডিস আলবোপিকটাস জিকা ভাইরাস ছড়ায়। ২০১৫ সালে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। জিকার আক্রমণে ব্রাজিলে অসংখ্য শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মাইক্রোসিফেলি নামের ভয়াবহ প্রতিবন্ধিত্ব নিয়ে জন্মায় তারা। এর ফলে শিশুদের মাথার আকৃতি বিকৃত হয়ে যায়। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা জিকায় আক্রান্ত হলে শিশুদের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে বেশি।
সিন্ডবিস
কুলেক্স নামের নিশাচর মশা এই রোগের ভাইরাস বহন করে। মূলত আফ্রিকায় পাওয়া গেলেও সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে মানবশরীরে এই জীবাণুর অস্তিত্ব পেয়েছেন। এই মশার কামড়ে তীব্র জ্বর ও মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দেয়। পুরো শরীরে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হাড়ের সংযোগেও প্রদাহের সৃষ্টি হয়।
কয়েক সপ্তাহ পর যদিও এ রোগ সেরে যায়। এখনও এ রোগের কোনো ওষুধ নেই। মশাবাহিত এসব রোগে থেকে সাবধান থাকার উপায় হলো মশা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত থাকা। এজন্য সবার উচিত মশা যেন না কামড়ায় তা নিশ্চিত করা ও ঘরে-বাইরে থাকাকালীন যথেষ্ট নিরাপত্তা বজায় রাখা।
ওয়েস্ট নাইল ফিভার
বয়স্ক বা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মানুষের শরীরে এই রোগ ভয়াবহ ক্ষতি করে। এর ফলে মেনিনজাইটিস ও মায়োকার্ডিটিস হতে পারে। অন্যান্য মশাবাহী রোগের মতো কাঁপুনি, ঠান্ডা লাগা, জ্বর, মাথা ব্যাথা, ঝিমুনি ও ব়্যাশ দেখা দিতে পারে। এর কোনো ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি।
লাইশম্যানিয়াসিস
গর্ভবতী নারী মশাদের কামড়ে এই রোগ ছড়ায়। ৩০ ধরনের ভিন্ন প্রজাতির লাইশম্যানিয়াসিস জীবাণু আছে। এর মধ্যে ১০টি মানবদেহে রোগ ছড়ায়। এ রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে জ্বর ও মাথাব্যথা দেখা দেয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্কিন আলসার হয়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়। রোগটি এতোই ভয়াবহ যে দ্রুত ডাক্তার না দেখালে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ অঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। চিকিৎসার অভাবে মশাবাহিত এ রোগ মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
|
|
|
|
শীতের হিমেল হাওয়া গায়ে লাগতেই আলসেমি এসে ভর করেছে শরীরে। আলমারি থেকে কম্ফোর্টার আর কম্বল বের করে গায়ে জড়াতে শুরু করেছেন অনেকে। ঠান্ডা আবহাওয়ায় একটু বেশিসময় ঘুমিয়ে থাকতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু বাড়তি ওজন নিয়ে যারা বিপদে আছেন তারা আর সকালে ঘুমানো হয় না। ভোরেই উঠতে হয় ব্যায়াম বা জিমের জন্য।
কেমন হতো যদি এই শীতে ঘুমিয়ে শরীর থেকে ৪-৫ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলা যেত। স্বপ্ন নয়, সত্যিই এমনটা সম্ভব। গবেষণায় উঠে এসেছে পর্যাপ্ত ঘুমের সঙ্গে ওজন কমার অত্যন্ত নিবিড় সংযোগ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, ঘুম না হলে শরীরের বিপাকক্রিয়ার সমস্যা হতে পারে।
ঘুমিয়ে কীভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব?
ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাতে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় হরমোন ক্ষরণ ও বিপাক হারের যোগাযোগ রয়েছে। যারা রাতে ৬ ঘণ্টার কম যারা ঘুমান, তাদের ওজন, বডিমাস ইনডেক্স অনেকটাই বেশি।
সূর্যোদয় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের বিপাকহারের গতি বৃদ্ধি পায়। দেহের তাপমাত্রাও কিছুটা বৃদ্ধির দিকে থাকে। অন্যদিকে রাতে এর উল্টোটা ঘটে। সূর্যাস্তের সঙ্গে-সঙ্গে কমতে থাকে বিপাকক্রিয়াও।
আবার যারা বেশি রাত জেগে থাকেন তাদের খিদে পাওয়া স্বাভাবিক। এসময় দেহের কোষগুলো ইনসুলিন প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে। ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরে বাড়তি ক্যালোরি জমা হয়, যা পরবর্তীতে ফ্যাটে রূপান্তরিত হয়।
মানতে হবে কিছু শর্ত
ঘুমিয়ে ওজন কমাতে চাইলে ঘুমানোর আগে কয়েকটি কাজ করতে হবে। এতে দেহে মেটাবলিজমের হার বৃদ্ধি পাবে। যা ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
অতিরিক্ত ঘুম
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, গবেষণায় জানা গেছে প্রায় ১ ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমালে কোনো পরিশ্রম ছাড়াই ২৭০ ক্যালোরি পর্যন্ত কমাতে সাহায্য হতে পার।৷ তাহলে গণিতের হিসেব কী বলছে? যদি কেউ ২৭০ কিলো ক্যালোরি ফ্যাট বার্ন করতে পারে, তাহলে বছরে প্রায় ৯ পাউন্ড অবধি ওজন কমানো সম্ভব। কোন নিয়মগুলো এজন্য মানতে হবে, চলুন জেনে নিই-
প্রোটিন শেক
বিছানায় যাওয়ার আগে চেষ্টা করুন এক গ্লাস প্রোটিন শেক খাওয়ার। এটি সারা রাত ধরে হজম হয়। ফলে ঘুমের মধ্যেও মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে নিঃসরিত হব অ্যামিনো অ্যাসিড।
কম তাপমাত্রা
সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, কম তাপমাত্রা ঘুমালে এক্সট্রা ক্যালোরি বার্ন হতে থাকে। আসলে কম তাপমাত্রায় ঘুমালে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যায়। যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য এক্সট্রা ক্যালোরি খরচ হতে শুরু করে। ফলে শরীরের চর্বি ঝরতে শুরু করে।
খালি পেটে থাকা চলবে না
অনেকেই রাতে হালকা খাবার খেতে পছন্দ করেন। তাই বলে একদম কিছু না খেয়ে থাকা যাবে না। এতে অ্যাসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই হালকা প্রোটিনযুক্ত কিছু খেয়ে ঘুমাতে যান।
স্লিপ মাস্কের ব্যবহার
হয়তো পড়ে হাসি পাচ্ছে। ভাবছেন, এটি দিয়েও কি চিকন হওয়া সম্ভব? কিন্তু এর পেছনেও রয়েছে বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা। গবেষণা বলছে, অন্ধকারে ঘুমালে শরীরে মেলাটোনিন হরমোন বেশি উৎপাদন হয়। যা তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে সাহায্য করে। ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘুমানোর সময় শরীরের গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয়। যা ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে।
মনে রাখা জরুরি
শীতে সারাক্ষণ লেপ-কম্বল মুড়ে শুয়ে থাকবেন আর ৭ দিনেই চিকন হয়ে যাবেন এমনটা কিন্তু কখনোই সম্ভব নয়। তাই সুষম খাবার, এক্সারসাইজ আর তার সঙ্গে রাখুন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার টানা ঘুম। ধৈর্য ধরে এই রুটিন চালিয়ে গেলেই দেখবেন ধীরে ধীরে কমছে ওজন।
|
|
|
|
শীত অথবা গরম—ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সবসময়ই। তবে শীত শুরু হলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন দেখাতে শুরু করে। আসলে, শুষ্ক বাতাসের কারণে, ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি এবং আঁচড়ের সাথে সাদা খুশকি দেখা দেয়। আপনিও যদি ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বিউটি রুটিনে দই ফেস মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ-সুন্দর দ্বাগহীন ত্বক পেতে দারুণ কাজ করে এই ম্যজিকাল ফেস মাস্ক।
দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, আপনার ত্বকের জন্যও অমৃতের মতো। তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক ত্বক সব ধরনের ত্বকের জন্যই দই উপকারী, যা তৈরি করে মুখে লাগানো যায় নানাভাবে। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে মুখের আদ্রতার সাথে গোলাপি আভা বজায় রাখতে কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন এবং লাগাবেন।
দই ফেস মাস্ক তৈরির উপকরণ:
দুই টেবিল চামচ তাজা দই
এক চামচ মধু
এক চামচ নারকেল তেল
এক টেবিল চামচ ম্যাশ করা কলা
কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন: দই ফেস মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর নরম পেস্ট তৈরি করুন। মুখে দই লাগালে আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটেড থাকবে। এবার এই পেস্টে নারকেল তেল এবং ম্যাশ করা কলা ভালো করে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়ে যায়। এখন, তৈরি ফেস মাস্কটি চোখ এড়িয়ে মুখে পুরু স্তরে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্ক রাখুন। মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর মুখে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান।
মুখে দই দিয়ে তৈরি মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়:
দই ফেস মাস্ক শুধু মুখের ময়লাই দূর করে না, ত্বকের মৃত কোষ কমাতেও সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে এবং দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। এছাড়া এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।
|
|
|
|
শীত আসতেই সর্দি-কাশি, গলা খুসখুস, ঠান্ডা লাগার সমস্যাসহ বেড়ে যায় অ্যালার্জি বা ফুসকুড়ির সমস্যা। এর অন্যতম কারণ হলো অপিরষ্কার থাকা ও ত্বক রুক্ষ্ম-শুষ্ক হয়ে পড়া। মূলত রুক্ষ্ম ত্বকেই ব্যকটেরিয়া সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়।
এ সময় ত্বকের কোষে কোষে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। সেখান থেকেই ফুসকুড়ির সূত্রপাত ঘটে। এক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এ সময় ত্বক অত্যধিক আর্দ্র হয়ে পড়ে। ফলে ফুসকুড়ির সমস্যাও দেখা দেয়।
শীতে অ্যালার্জি-ফুসকুড়ির সমস্যা থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবনের পাশাপাশি ঘরোয়া প্রতিকারেরও ব্যবস্থা নিতে পারেন। জেনে নিন কী করণীয়-
আপেল সিডার ভিনেগার ওজন কমানো থেকে ত্বকের যত্ন বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয় এটি। এই ভিনেগারে অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ থাকার কারণে যে কোনো কিছু থেকে ত্বকের অ্যালার্জির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। শীতে অ্যালার্জির সমস্যা যাতে বাড়াবাড়ি আকার ধারণ না করে, তাতে ভরসা রাখতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার।
ওটসের ব্যবহার শুধু ওজন কমাতেই নয়, অ্যাকজিমা বা সোরিয়াসিসের সমস্যায় ত্বকের প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে ওটস। এক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে দু’কাপ ওটস ভিজিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। তারপর এই পানি দিয়ে গোসল করুন। দেখবেন ত্বকের রুক্ষ্মতা অনেকটা কমবে। চুলকানি ও ফুসকুড়ির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
অলিভ অয়েল ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল দারুণ কার্যকরী। কোমলতা ফেরানোর পাশাপাশি ত্বকের আরও অনেক সমস্যা কমাতেও দারুণ কাজ করে এই তেল। ভিটামিন ই ও অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বকের ক্ষয় রোধ করতে, আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
সূত্র: এভরিডে হেলথ
|
|
|
|
কোলেস্টেরল আসলে একটি মোম জাতীয় পদার্থ। শরীরে ভালো (এইচডিএল) ও খারাপ (এলডিএল) দু’ধরনের কোলেস্টেরলই থাকে। ভালো কোলেস্টেরল শরীরের জন্য উপকারী হলেও খারাপটির কারণে রক্তনালিতে প্লেক জমতে শুরু করে। ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে নানা ধরনের গুরুতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনধারণে অনিয়ম শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। এমনকি বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো শরীরে কোলেস্টেরল জমাতে সাহায্য করে। যেমন-
মাখন হলুদরঙা আরও একটি খাবার হলো মাখন। পাউরুটিতে মাখন মাখিয়ে না খেলে অনেকের দিন শুরু হয় না। দুগ্ধজাত এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলে যারা উচ্চ রক্তচাপে কিংবা কোলেস্টেরলে ভুগছেন তারা এই খাবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মাখনে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে, যা বাড়াতে পারে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ।
চিজ পিৎজা, পাস্তা, স্যান্ডউইচ থেকে শুরু করে হরেক রকম পদে চিজ না মেশালে তা যেন সুস্বাদু হয় না! চিজ দারুণ একটি খাবার। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। তবে কোলেস্টেরল রোগীদের জন্য এই খাবার উপকারী নয়। চিজে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা এলডিএল এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যারা এরই মধ্যে উচ্চ কোলেস্টেরলে ভুগছেন তারা অবশ্যই হলুদরঙা স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত এই ৫ খাবার এড়িয়ে যাবেন।
ডিমের কুসুম বিশেষজ্ঞের মতে, ডিম শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর কুসুম খেলে শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ে। এমনকি সবচেয়ে বেশি লিপিড থাকে এই খাবারে। একটি মাঝারি থেকে বড় মাপের কুসুমে থাকে প্রায় ২০০ এমজি কোলেস্টেরল। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলে এরই মধ্যে ভুগছেন তারা সপ্তাহে একটির বেশি আস্ত ডিম খাবেন না। তবে ডিমের সাদা অংশটুকু দৈনিক খেতে পারেন।
ঘি ঘি’র স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ভাত-ভর্তাসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে ঘি না মেশালে অনেকেরই খাবার হজম হয় না। তবে জানলে অবাক হবেন, এই খাবারে অনেক গুণ থাকলেও মনে রাখতে হবে এটি অত্যধিক ক্যালোরিযুক্ত। এমনকি এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও বেশি থাকে। যা খারাপ কোলেস্টেরল আরও বাড়ায় রক্তনালিতে।
ভাজা খাবার ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, বাইরের মুখোরোচক বেশিরভাগ ভাজাপোড়া খাবারের রং কিন্তু হলুদ। এসব খাবার খাওয়ার আগে দু’বার ভাবুন। ভাজা খাবার শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ অনেকটা বাড়াতে পারে। সয়াবিন তেলের বদলে সরিষার তেল খেতে পারেন। এই তেল কিছুটা হলেও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র: ওয়েবএমডি
|
|
|
|
অনেকেই ধারণা করে থাকেন সিলিং ফ্যানের গতি কমালেই বিদ্যুতের বিল কমে। এক্ষেত্রে ফ্যানের রেগুলেটরের নম্বরগুলোর কম-বেশিতেও বিদ্যুতের বিল কমানো যেতে পারে। ফ্যানের স্পিড সর্বোচ্চ নম্বর থেকে কমিয়ে ৪ কিংবা ৩ নম্বরে আনলে ইলেকট্রিকের বিল কমতে পারে এমন একটা ধারণা রয়েছে। কিন্তু আসল সত্যিটা ঠিক কী? ফ্যানের গতি কমালেই কী আদৌ কমবে খরচ?
শীতের কয়েক মাস বাদ দিলে বছরজুড়ে প্রায় সব বাড়িতে ফ্যান চলে। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে সিলিং ফ্যানের বিকল্প নেই। রেগুলেটরের মাধ্যমে ফ্যানের স্পিড কম-বেশি করা যায়। এই ফ্যানটি একটি বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে কাজ করে। ফ্যান চালালে যে শক্তি খরচ হয় তা গতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ফ্যানের গতি কম করা মানেই হল এই মোটরের গতি কম করা।
ফ্যানের গতি কমানোর কাজ করে রেগুলেটর। অনেক রেগুলেটরে ০, ১, ২ ৩ করে ৫ পর্যন্ত কাঁটা রয়েছে। ১, ২, ৩ করে যত কাঁটার ঘর বাড়ালেই গতি বাড়ে ফ্যানের। এখন প্রশ্ন হলো- ফ্যানের রেগুলেটরের মাধ্যমে স্পিড কমালেই কি ইলেকট্রিক কম পোড়ে?
এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হল ‘না’। ফ্যানের স্পিড কমানোর সঙ্গে বিদ্যুতের বিল কম হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। ফ্যানের রেগুলেটর ভোল্টেজ কমানোর মধ্য দিয়ে ফ্যানের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র। তবে, ফ্যানের স্পিড কমানোর মধ্য দিয়ে কোনোভাবেই বিদ্যুতের খরচ বাঁচানো যাবে না। সুতরাং, আপনার ফ্যান ৭-এ চললেও যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে, আবার ২-৩ নম্বরে চালালেও ওই একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে।
তবে, ফ্যানের ক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের রেগুলেটরগুলো বিদ্যুতের খরচ বাঁচায়। অবশ্য সাধারণ অন্য রেগুলেটরের চেয়ে এর দাম একটু বেশি। খোলা বাজারে প্রায় অধিকাংশ ইলেকট্রনিক্সের দোকানেই ইলেকট্রনিক রেগুলেটর পেয়ে যাবেন। তাই নিতান্তই বাড়ির বিদ্যুতের বিল কমাতে হলে সিলিং ফ্যানগুলিতে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর লাগাতে পারেন।
|
|
|
|
ঘরের কাজ থেকে শুরু করে অফিসের চাপ— সবকিছুর প্রভাব পড়ে শরীরে। তার ওপর ঘোরাঘুরি, উৎসব বা পার্টি হলে তো কথাই নেই। একটা সময় গিয়ে শরীর যেন আর চলতেই চায় না। পরিশ্রমের ফলে দেখা দেয় গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন বডি ম্যাসাজ বা মালিশে।
শরীরে তেল মালিশ করলে কেবল যে ব্যথা আর ক্লান্তি থেকে মুক্তি মিলবে তা নয়। ফিরবে ত্বকের জৌলুস, মন হবে ফুরফুরে। তবে তা হতে হবে সঠিক পদ্ধতি মেনে আর বিজ্ঞানসম্মত ভাবে। সারা শরীরে তেল মালিশ করলে কী কী উপকার মিলবে। চলুন জেনে নিই-
কমবে ব্যথা
কাজকর্ম, পরিশ্রমের পর শরীরে তেল মালিশ করলে আরাম মেলে। এর গুণও অনেক। আমেরিকার ‘পেন মেডিসিন জার্নাল’-এ ২০২৪-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, ব্যথা কমাতে সাহায্য করে মাসাজ বা মালিশ। গবেষণায় উঠে এসেছে, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, পিঠের ব্যথা কমে সঠিক মালিশে। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। শরীরে তেল মালিশ করলে বিভিন্ন অংশের প্রদাহ কমে।
মন থাকবে ভালো
সারা শরীরে মালিশের ফলে এন্ড্রোফিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন মন ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। মালিশের ফলে আরাম পায় শরীরও। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ নিউরোসায়েন্স’-এর ২০০৫-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, মালিশের কারণে হ্রাস পায় কর্টিসলের মাত্রা। এই হরমোনের সঙ্গে উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার সংযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, এন্ড্রোফিনের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে মন ভালো থাকে।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
সঠিক পদ্ধতিতে তেল মালিশ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি হয়। এতে ত্বকের জেল্লাও বাড়ে। পাশাপাশি, শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও কার্যকর এটি। ‘জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’-এ প্রকাশিত ২০০৫ সালে এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা বলছে, রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে কোষে বাড়তি অক্সিজেন পৌঁছয়। ফলে বিপাকক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থও বেরিয়ে যায়। শরীর হয়ে ওঠে ঝরঝরে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়
প্রশ্ন থাকতে পারে, মালিশের ফলে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়? এমনটাই বলছে ‘জার্নাল অফ অল্টারনেটিভ অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’। আমেরিকার জার্নালটিতে ২০১২-য় একটি গবেষণা প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়েছে, মালিশের ফলে শরীরে লিম্ফোসাইট বা শ্বেতকণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যা কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি
মুখে, চুল কিংবা শরীরে মালিশ করলে ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধি পায়। মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এই কারণেই ফেসিয়াল গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালের আমেরিকার ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টার থেকে প্রকাশিত, ‘কমপ্লিমেন্টারি থেরাপিজ ইন মেডিসিন’-এর একটি গবেষণাপত্রে এই সংক্রান্ত সমীক্ষা বলছে, মালিশের কারণে ত্বক ও কোষে বাড়তি অক্সিজেন পৌঁছায়। এছাড়া তেলের ব্যবহারে ত্বকেরও আর্দ্রতাও বজায় থাকে। এতে ত্বকের জৌলুস বৃদ্ধি পায়।
তবে তেল মালিশেরও কিছু নিয়মকানুন আছে। এজন্য পেশাদার কারও সাহায্য নেওয়া দরকার। পাশাপাশি, মালিশের সময়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা প্রয়োজন। ভুল পদ্ধতিতে তেল মালিশ করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে।
|
|
|
|
|
|
|
|