ব্রেইন ভালো রাখবে এই ৫ খাবার
দুর্দান্ত স্মৃতিশক্তি কে না চায়? ফাংশনাল ফুড মৌলিক পুষ্টির বাইরেও স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়। এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলের মতো জৈব সক্রিয় যৌগে ভরা এই খাবার মানসিক তীক্ষ্ণতা বাড়াতে পারে।
ফাংশনাল ফুডের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন এবং ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি মাছে পাওয়া যায়, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এই চর্বি মস্তিষ্কের কোষের গঠনগত অখণ্ডতায় অবদান রাখে এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা স্মৃতিশক্তি বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে তা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ফল, শাকসবজি এবং বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, যা বার্ধক্য এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের একটি মূল কারণ। ফ্ল্যাভোনয়েডস, বেরি, চা এবং ডার্ক চকলেটে পাওয়া এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং প্রদাহ কমিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আপেল, পেঁয়াজের মতো খাবারে পাওয়া পলিফেনলও নিউরোপ্রোটেক্টিভ সুবিধা দেয়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী খাবার:
১. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, ট্রাউট এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ মস্তিষ্কের সেরা বন্ধু হিসেবে কাজ করে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এসব মাছ মস্তিষ্ক এবং মনোযোগ তীক্ষ্ণ রাখতে কাজ করে। পর্যাপ্ত উপকারিতার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইবার খাবারে চর্বিযুক্ত মাছ যোগ করার চেষ্টা করুন।।
২. বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরির মতো ফল কেবল সুস্বাদুই নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডেও পরিপূর্ণ। এই যৌগগুলো স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য আপনার সকালের নাস্তার সঙ্গে এক মুঠো বেরি যোগ করুন।
৩. বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ, যেমন বাদাম, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবং চিয়া বীজ, ওমেগা -৫ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। বাদাম এবং বীজ আপনার নাস্তায় রাখার চেষ্টা করুন। দই বা ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে এগুলো খেতে পারেন।
৪. ডার্ক চকোলেট
হ্যাঁ, চকোলেট আপনার জন্য ভালোহতে পারে! অন্তত ৭০% কোকো কন্টেন্ট সহ ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। পরিমিতভাবে ডার্ক চকোলেট খেলে তা মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৫. সবুজ শাক
সবুজ শাক-সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে। সালাদ, স্মুদি এবং সাইড ডিশে শাক-সবজি যোগ করুন। এগুলো আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে কাজ করবে। এছাড়াও মিলবে আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা।
|
দুর্দান্ত স্মৃতিশক্তি কে না চায়? ফাংশনাল ফুড মৌলিক পুষ্টির বাইরেও স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়। এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনলের মতো জৈব সক্রিয় যৌগে ভরা এই খাবার মানসিক তীক্ষ্ণতা বাড়াতে পারে।
ফাংশনাল ফুডের বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্যামন এবং ম্যাকেরেলের মতো ফ্যাটি মাছে পাওয়া যায়, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। এই চর্বি মস্তিষ্কের কোষের গঠনগত অখণ্ডতায় অবদান রাখে এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী যা স্মৃতিশক্তি বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে তা স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে পারে এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমায়।
ফল, শাকসবজি এবং বাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, যা বার্ধক্য এবং নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের একটি মূল কারণ। ফ্ল্যাভোনয়েডস, বেরি, চা এবং ডার্ক চকলেটে পাওয়া এক ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং প্রদাহ কমিয়ে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। আপেল, পেঁয়াজের মতো খাবারে পাওয়া পলিফেনলও নিউরোপ্রোটেক্টিভ সুবিধা দেয়।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য কার্যকরী খাবার:
১. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামন, ট্রাউট এবং সার্ডিনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ মস্তিষ্কের সেরা বন্ধু হিসেবে কাজ করে। ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এসব মাছ মস্তিষ্ক এবং মনোযোগ তীক্ষ্ণ রাখতে কাজ করে। পর্যাপ্ত উপকারিতার জন্য সপ্তাহে অন্তত দুইবার খাবারে চর্বিযুক্ত মাছ যোগ করার চেষ্টা করুন।।
২. বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্ল্যাকবেরির মতো ফল কেবল সুস্বাদুই নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডেও পরিপূর্ণ। এই যৌগগুলো স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং মস্তিষ্কের বার্ধক্যকে বিলম্বিত করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য আপনার সকালের নাস্তার সঙ্গে এক মুঠো বেরি যোগ করুন।
৩. বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ, যেমন বাদাম, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড এবং চিয়া বীজ, ওমেগা -৫ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চমৎকার উৎস। বাদাম এবং বীজ আপনার নাস্তায় রাখার চেষ্টা করুন। দই বা ওটমিলের সঙ্গে মিশিয়ে এগুলো খেতে পারেন।
৪. ডার্ক চকোলেট
হ্যাঁ, চকোলেট আপনার জন্য ভালোহতে পারে! অন্তত ৭০% কোকো কন্টেন্ট সহ ডার্ক চকোলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড, ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়িয়ে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। পরিমিতভাবে ডার্ক চকোলেট খেলে তা মস্তিষ্কের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৫. সবুজ শাক
সবুজ শাক-সবজিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে কাজ করে। সালাদ, স্মুদি এবং সাইড ডিশে শাক-সবজি যোগ করুন। এগুলো আপনার স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে কাজ করবে। এছাড়াও মিলবে আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা।
|
|
|
|
দুর্গাপূজা আসতে হাতে ঠিকঠাক তিন সপ্তাহও নেই। এদিকে পার্লারেও বেড়েছে চাপ, অথচ ত্বকের অবস্থাও বেসামাল। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরাতে অনেকেই পরেছেন চিন্তায়। এ সমস্যার সমাধানে পার্লারে যাওয়ার ঝামেলায় যেতে না চাইলে ঘরে বসেই করতে পারেন রূপচর্চা। বিভিন্ন ফলের খোসা দিয়ে ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে জেনে নিন টিপস।
কলার খোসা- কলায় রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। এতে ত্বকে উজ্জ্বলতা বেড়ে যায়। দাগছোপ দূর করতে হলে কলার খোসা খুবই ভরসা যোগ্য। তাই কলার খোসা দিনে ৫ থেকে ১০ মিনিট মুখে ঘষে নিতে পারেন। ত্বকে দাগ দূর করতে এটি সহায়তা করতে পারে।
পেঁপের খোসা- পেঁপে খেয়ে এবার থেকে আর খোসা ফেলবেন না। দিনের কোনও একটি সময় বের করে পেঁপের খোসা মুখে অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট ঘষে নিন। পরে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন। লাগিয়ে নিতে পারেন গোলাপ জলও। এই খোসা ত্বকে মরা কোষের সমস্যা দূর করে ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে সাহায্য করতে পারে।
কিউই ফলের খোসা- কিউই ফলের গুণ বহু। এই কিউই ফলের খোসা ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। তাতে দই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর তা ধুয়ে নিন। বেশ কয়েকদিন করলে, ফল নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।
লেবু- ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে লেবুর গুরুত্ব অপরিসীম। কমলা-লেবু ভিটামিন সিতে ভরপুর। এর খোসা সামান্য ত্বকের কাছে চিপে নিলেই বের হয় রস। তা মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে দিন। এছাড়াও কমলা-লেবুর খোসা গুঁড়ো করে দইয়ের সঙ্গে মুখে মাখতে পারেন। তাতেও ফিরবে উজ্জ্বলতা।
সতর্ক বার্তা: তবে যেকোন ফেসপ্যাক মুখে লাগানোর আগে হাতের ত্বকে লাগিয়ে ত্বকের সঙ্গে সহনশীল কিনা তা চেক করে নিতে হবে।
|
|
|
|
আমাদের দেশের জাতীয় ফুল শাপলার দেখা মিলে বর্ষাকালে। সে সময় গ্রাম-গঞ্জের বিলে আর ঝিলে শাপলা উঁকি দেয়। পানিতে থাকা শাপলার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সবাইকে। বাংলাদেশের জাতীয় এই ফুলটি শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, এই ফুলের ডাঁটা সবজি হিসেবে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে অনেক আগে থেকেই। আবার পানি থেকে তুলে শাপলা ফুলের লম্বা ডাঁটা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। বাজারেও মিলে এই শাপলার ডাঁটা।
সহজলভ্য শাপলা ডাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলা লতায় ১ দশমিক ৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১ দশমিক ১ গ্রাম আঁশ, ৩ দশমিক ১ গ্রাম ক্যালরি ও প্রোটিন, ৩১ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৭, ফসফরাসও মেলে শাপলা ডাঁটায়। বলা হয়ে থাকে, আলুর চেয়েও সাত গুণ বেশি ক্যালসিয়াম রয়েছে শাপলা ডাঁটায়। এটি রান্না করাও বেশ সহজ, আর সময়ও লাগে বেশ কম। চলুন জেনে নিই শাপলা ডাঁটার স্বাস্থ্যে উপকারিতা এবং শাপলা ডাঁটার চচ্চড়ি রান্নার সহজ রেসিপি।
শাপলা ডাঁটায় থাকা খাদ্য উপাদানের উপকারিতা—
শরীরের কোষ গঠন, ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন। শাপলা ডাঁটা থেকে প্রোটিন পাওয়া যায় যা শরীরের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করে।
শাপলা ডাঁটাতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
শাপলা ডাঁটাতে থাকা ভিটামিন বি১ শরীরের কার্বোহাইড্রেটকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজ বিপাকের জন্য প্রয়োজনীয়। শাপলা ডাঁটার পুষ্টি উপাদানগুলো ইনসুলিনের স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ভিটামিন বি৭ বা বায়োটিন একটি পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন। এটি শরীরের বিপাক এবং কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। শাপলা ডাঁটা থেকে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় এই বায়োটিন পাওয়া যায়।
শাপলা ডাঁটাতে রয়েছে একটি বিশেষ উপাদান ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইট। এটি মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।
শাপলা ডাটার উপাদান সমূহ স্নায়ু, পেশী, হার্টের কার্যক্রমে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যকৃতের সুরক্ষায় ভূমিকা রাখে শাপলা ডাঁটা। এটি যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করে যকৃতকে সুস্থ রাখে।
শাপলা ডাঁটা খেলে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। এটি ত্বকের কোষ গুলোকে হাইড্রিয়েটিং এবং স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
চুলের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও ভূমিকা রাখে শাপলা ডাঁটা। নিয়মিত এ সবজি খেলে চুল হবে প্রাণবন্ত এবং মসৃণ।
শাপলাতে আছে গ্যালিক এসিড নামক এনজাইম, যা ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
শাপলা ডাঁটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম হাড়, দাঁত মজবুতসহ নানাবিধ কাজ করে থাকে।
অ্যাসিডিটি, রক্ত আমাশয়, চুলকানি ইত্যাদি প্রকৃতির রোগ প্রতিরোধ হয় শাপলা ডাঁটা খেলে।
শাপলা ডাঁটার চচ্চড়ির সহজ রেসিপি—
এক আঁটি শাপলার ডাঁটা আঁশ পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। তারপর এতে দুই টেবিল চামচ নারকেল বাটা, এক টেবিল চামচ সরিষা বাটা, তিন-চারটা কাঁচা মরিচ আর স্বাদ মতো লবণ দিয়ে দিন। হলুদ ও মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ করে যোগ করুন।
চচ্চড়ির স্বাদ যদি আরেকটু বাড়াতে চাইলে আধা কাপ কুঁচো চিংড়ি যোগ করতে পারেন। এবার দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মেখে চুলার আঁচ কমিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। শাপলার ডাটা থেকে পানি বের হবেই, তাই অতিরিক্ত পানি দিতে হবে না। পানি একদম শুকিয়ে এলে নামিয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন শাপলা ডাঁটার চচ্চড়ি।
|
|
|
|
আগের ছবি দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন সুরাইয়া আলম। ছবির নিজের সঙ্গে বর্তমানের যেন কোনো মিল নেই। ভীষণ ছিপছিপে গড়ন ছিল না। বিয়ের পর একটু একটু করে মোটা হতে শুরু করেন সুরাইয়া। বাড়তে থাকে পেট আর কোমরের মেদ। অনেকে হাসিঠাট্টাও করেন। ডায়েট, শরীরচর্চা সবই করেছেন। কিন্তু শরীরের এই অংশগুলোর মেদ কিছুতেই ঝরছে না।
সুরাইয়ার মতো অনেকেই এমন সমস্যায় ভোগেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বিয়ে, স্থান বা পানি পরিবর্তনের চেয়েও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হরমোনের পরিবর্তন। যেকোনো কারণেই তা হতে পারে। হরমোনের ঘাটতি বা আধিক্য, কোনোটিই শরীরের জন্য ভালো নয়। পেট, কোমরে অতিরিক্ত মেদ জমার পিছনে দায়ী টাইপ-২ ডায়াবেটিস, প্রদাহজনিত সমস্যাও।
এ ধরনের সমস্যার মূল কারণ কিন্তু হরমোনের সমতা নষ্ট হওয়া। পেট, কোমরের মেদের সঙ্গে কোন কোন হরমোনের যোগ রয়েছে? চলুন জেনে নিই-
রজোনিবৃত্তি ও ইস্ট্রোজেন
রজোনিবৃত্তি বা মেনোপজের সময় হলে দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সারা শরীরে স্নেহপদার্থের বণ্টনে সাহায্য করে এই হরমোনটি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই হরমোনের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে মেদ জমার প্রবণতাও বাড়তে থাকে।
মানসিক চাপ ও কর্টিসল
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে কিন্তু কোমর, পেটে মেদ জমার পরিমাণ বাড়তে থাকে। কেননা, মানসিক চাপ বাড়তে থাকলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণও বাড়তে থাকে। এটি দেহের নিম্নাংশে মেদ জমার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে পেট আর কোমরের মেদ বাড়ে।
ইনসুলিন হরমোনের সমতা
রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নষ্ট হয়ে যায় ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা। শরীরচর্চা না করলে কিংবা খাদ্যাভ্যাসের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও এমন সমস্যা হতে পারে। ফলে কোমর, পেটে মেদ জমে।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ইনসুলিন হরমোনের সমতা নষ্ট হওয়ার পিছনে জিনেরও ভূমিকা রয়েছে।
|
|
|
|
পেটের মেদ কমাতে অনেকেই দৌড়ঝাঁপ করেন। আর সবচেয়ে কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হলো মেদ ঝরানো। তলপেটের মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি । অবশ্যই প্রশিক্ষকের সঠিক পরামর্শ মেনে যোগাসন কিংবা জিম করতে পারেন। ব্যায়াম ও সুষম খাবার পেটের মেদ কমাতে সহায়তা তো করেই, পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু শাকসবজি খেলে এ প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়। পেটের মেদ ঝরাতে উপকারী কয়েকটি সবজি সম্পর্কে জেনে নিন।
জেনে নিন তালিকা—
লাউ- লাউয়ে ক্যালরির পরিমাণ কম, পানির পরিমাণ বেশি। এ কারণে লাউ ওজন নিয়ন্ত্রণে আদর্শ খাবার। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড সায়েন্সের গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ে থাকা উচ্চমাত্রার পানি ও আঁশজাতীয় পদার্থ দ্রুত পেট ভরিয়ে ফেলে এবং ক্যালরি গ্রহণের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি লাউ দিয়ে জুস বানিয়েও খাওয়া যায়।
কুমড়া- বেশির ভাগ মানুষ কুমড়া খেতে পছন্দ করেন না। অথচ এই সবজি খেলে খুব কম সময়ে পেটের মেদ ঝরবে। কুমড়ায় ক্যালোরি কম। ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে। এইসব উপকরণই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। ফাইবার বেশি থাকার কারণে কুমড়া খেলে হজমশক্তির উন্নতি হবে। দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
ফুলকপি: ওজন কমাতে সহায়ক আরেকটি সবজি হলো ফুলকপি। ফুলকপিতে ক্যালরি কম, আঁশ বেশি। তাই ফুলকপি খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। ফুলকপিতে আছে ইনডোলের মতো বেশ কয়েকটি যৌগ। এসব যৌগ হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেটের মেদ কমায়। ভাতের বিকল্প হিসেবেও ফুলকপি খাওয়া চলে।
গাজর- গাজর খেলে ওজন কমে এ কথা অনেকেই জানেন। গাজর খেলে পেটে জমে থাকা চর্বি বা মেদও সহজে কমবে। গাজরের মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম। যদি কাঁচা গাজর খেতে পারেন তাহলে পেটের মেদ ঝরবে খুব কম সময়ে। তবে বেশি পরিমাণে কাঁচা গাজর খেলে সমস্যা হতে পারে পেটে। আপনি পেটে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। খাবার হজম করার শক্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতএব একটু সতর্ক থাকা ভালো।
ব্রকলি- ব্রকলি একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। একাধিক পুষ্টি উপকরণ রয়েছে ব্রকলির মধ্যে। ওজন কমায় সবুজ রঙের এই ফুলকপি। ভিটামিন কে রয়েছে ব্রকলির মধ্যে। মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে এই সবজি সাহায্য করে। এ ছাড়াও ব্রকলির মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই পাতে এই সবজি রাখা জরুরি।
পালংশাক- পালংশাক খেলে সহজে আপনার পেটে জমে থাকা মেদ কমবে। এই শাক মেটাবলিজম রেট বাড়ায়। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন। পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন ই এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই দুই উপকরণ পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও ভিটামিন ‘ই’ আমাদের ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো একটি উপকরণ। তাই আমাদের চুল এবং ত্বক ভালো রাখতেও কাজে লাগে পালংশাক। তবে এই শাক রান্না করার আগে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তা না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
|
|
|
|
শরত বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। এ ঋতুর আকাশ সত্যিই চমৎকার, মেঘমুক্ত আকাশে শিমুল তুলোর মতো ভেসে বেড়ায় সাদা মেঘ। বাংলার ঋতু পরিক্রমায় সবচেয়ে মোহনীয় ঋতু হলো শরত। এ সময় কাশফুল ফোঁটে ডাঙায়, আর খালে-বিলের জলে ভেসে থাকে লাল-সাদা শাপলা ফুল। শরতের স্নিগ্ধতায় নিজেকে সাজাতে অনেকেই এখন ব্যস্ত।
শরতের পোশাক কেমন হবে? শরতের সাজ-পোশাকে নীল ও সাদা রঙেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রকৃতির সঙ্গে এই রং পুরোপুরি মিলে যায়। বিশেষ করে আকাশের নীল আর কাশফুলের সাদা রং সবার মন ভরিয়ে দেয়। এ সময় বাঙালি নারীদের পছন্দের তালিকায় থাকে নীল-সাদা শাড়ি কিংবা বাহারি পোশাক।
তবে শুধু নীল-সাদাই কেন, শরতে হলুদ, বেগুনি, ধূসর ও হালকা কমলা রঙের পোশাকও বিশেষভাবে নজর কাড়ে। এদেশের বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস শরতের থিম নিয়ে নানা ধরনের পোশাক তৈরি করছে। সেসব পোশাকের মধ্যে কখনো শরত উঠে আসছে শাড়ির আঁচলে এক টুকরো নীল আকাশ হয়ে, কখনো আবার শরতের কাশবনের দৃশ্য ফুটে উঠছে পোশাকে।
এছাড়া নীলাকাশে সাদা মেঘের ভেলাসহ প্রকৃতির বিভিন্ন রূপ ও রং ধরা দিচ্ছে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, কাফতানসহ নানা ধরনের পোশাকে। বর্তমানে হ্যান্ড হ্যান্ড পেইন্ট, স্ক্রিন পেইন্ট ও ব্রাশ পেইন্টের পোশাকের কদর বেড়েছে। আবার ডিজিটাল প্রিন্টের পোশাকও নজর কাড়ছে সবার। শরতের সাজে বেছে নিতে পারেন এমন কোনো পোশাক।
শরতে সাজবেন যেভাবে শরতের সাজে থাকুক স্নিগ্ধতা। পোশাকের রং বেশি উজ্জ্বল কিংবা গাঢ় হলে সাজুন হালকাভাবে, অন্যদিকে পোশাকের রং হালকা হলে সাজতে পারেন জমকালোভাবে। এটি চোখের কাজল, আইশ্যাডো, লিপস্টিক সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
দিনের বেলা ব্লাশন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কপালে টিপ দিতে পারেন। এরপর হালকা মেকআপ করে ডার্ক ব্রাউন আইব্রো শ্যাডো দিয়ে আইব্রো শেপ করে নিন।
লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট ভালো করে এঁকে নিন। তারপর ঠোঁটে স্কিন কালার লিপস্টিক দিন। কপালে ছোট-বড় টিপ পরুন চেহারা অনুযায়ী। যেহেতু সাজটা স্নিগ্ধ, তাই জমকালো গয়না না পরাই ভালো। কানে হালকা একটা দুল পরে নিন। তবে সাদা বা সিলভার রঙের দুল বেছে নিতে পারেন।
আর হাতে ভারি ব্রেসলেট পরুন। চাইলে বড় একটি আংটিও পরতে পারেন। শাড়ির সঙ্গে এ ধরনের গয়না আপনাকে আরো বেশি স্নিগ্ধ করে তুলবে। সামনের দিকে একপাশ সিঁথি করে চুল হালকা পাফ করলে দেখতে দারুন লাগবে। পেছনের চুলগুলো চিকন বেণী করে পেঁচিয়ে খোঁপা করে নিন।
|
|
|
|
উদ্ভিদ প্রোটিনে যেহেতু লো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এবং তা অন্যান্য প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় তা কম ঝুকিপূর্ণ তাই মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী এই উদ্ভিজ প্রোটিন।
সবার প্রথমে আসে ডালের কথা। ডাল আমাদের খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই ডাল শুধু কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণই কমায় না। এতে থাকে জিঙ্ক, আয়রনসহ নানা উপযোগী উপাদান
এরপরেই আসে ছোলার নাম। এতে থাকে ফাইবার এবং আয়রন। যা শরীরের জন্য উপযোগী।
পরবর্তীতে আসে কুইনোয়ার নাম। মোট ৯টি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে এই খাবারে।
এরপরেই নাম আসে টফুর। সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত এই খাদ্যের গুণ অনেক।
টেম্প, কোলেস্টেরল কমানোর ক্ষেত্রে এই খাদ্যের জুড়ি মেলা ভার।
|
|
|
|
হেয়ার কন্ডিশনার চুল স্বাস্থ্যকর এবং চকচকে বজায় রাখার জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি ব্যবহারের ধরন আপনার চুল এবং মাথার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বড় পার্থক্য আনতে পারে। অনেকে মনে করেন এটি আগা-গোড়া লাগালে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে বিশেষজ্ঞরা সরাসরি মাথার ত্বকে কন্ডিশনার প্রয়োগের বিরুদ্ধে পরামর্শ দেন।
কন্ডিশনার এবং মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের ভূমিকা
কন্ডিশনার প্রাথমিকভাবে আর্দ্রতা যোগ করার জন্য এবং চুল মসৃণ করার জন্য কাজ করে। আমাদের চুল তাপ, স্টাইলিং এবং পরিবেশগত কারণে শুষ্ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চুলের আগা এর গোড়ার তুলনায় বেশি ছিদ্রযুক্ত এবং অতিরিক্ত হাইড্রেশনের প্রয়োজন হয়। কন্ডিশনার মূলত চুলের জন্য তৈরি করা হয়, মাথার ত্বকের জন্য নয়। মাথার ত্বক স্বাভাবিকভাবেই সিবাম তৈরি করে। সিবাম হলো একটি তেল যা চুলের গোড়ার কাছাকাছি ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে সরাসরি কন্ডিশনার প্রয়োগ করলে তা এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াটকে ব্যাহত করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাথার ত্বকে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে আরও কী সমস্যা হতে পারে-
তেলের ভারসাম্যহীনতা
মাথার ত্বক চুলের গোড়াকে স্বাভাবিকভাবে কন্ডিশন করার জন্য সিবাম তৈরি করে। আমরা যখন মাথার ত্বকে কন্ডিশনার প্রয়োগ করি, তখন এটি তেলের অতিরিক্ত উৎপাদনের কারণ হতে পারে। ফলে চুল আরও বেশি তেল চিটচিটে দেখাতে পারে এবং মাথার ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
বিল্ড-আপ
কন্ডিশনার ঘন এবং মাথার ত্বক থেকে সম্পূর্ণরূপে ধুয়ে ফেলা কঠিন এমন ময়লা আটকে দিতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই বিল্ড আপ চুলের ফলিকলগুলোকে আটকে দিতে পারে। যার ফলে খুশকি, চুলকানি এবং এমনকী চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
রুগ্ন চুল
মাথার ত্বকে অবশিষ্ট কন্ডিশনার আপনার চুলকে রুগ্ন করে দিতে পারে। ফলে চুল প্রাণহীন দেখায়। বিশেষ করে যাদের চুলের ঘনত্ব কম তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
জার্নাল অফ কসমেটিক ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চুলের কন্ডিশনারের অনুপযুক্ত প্রয়োগ, বিশেষ করে মাথার ত্বকে এটি ব্যবহার করলে তা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস এবং মাথার ত্বকের ব্রণের মতো সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এর ফলে অবরুদ্ধ ফলিকল এবং সিবামের অত্যধিক উৎপাদন দেখা দিতে পারে।
হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করার সঠিক উপায়
গোড়ার চুলের তুলনায় আগার চুল পুরানো, বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এবং কম ময়েশ্চারাইজড। সেজন্য আপনার চুলের মাঝামাঝি থেকে শুরু করে চুলের শেষ পর্যন্ত কন্ডিশনার লাগান, যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে প্রভাবিত না করে চুল হাইড্রেটেড এবং মসৃণ হবে।
কন্ডিশনার লাগানোর পরে, চুলে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এটি কন্ডিশনারকে চুলের শ্যাফটে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং আরও ভালো ফল দেয়। কন্ডিশনারের যাদু কাজ করার জন্য সময় প্রয়োজন। সেজন্য এটি ব্যবহারের পর কয়েক মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পুরোপুরি ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না।
|
|
|
|
স্বাস্থ্যকর, ঝলমলে এবং মজবুত চুল বজায় রাখতে ডায়েট অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। বর্ষাকাল এলে চুল পড়াসহ চুলের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসময় চুলের জন্য সহায়ক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে নজর রাখতে হবে এমন সব খাবারের প্রতি যেগুলো আসলে চুলের জন্য ক্ষতিকর। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক আপনার চুল ভালো রাখতে চাইলে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে-
১. পরিশোধিত ময়দা
পরিশোধিত ময়দার উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা তাত্ক্ষণিকভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। এটি আমাদের চুলের স্বাস্থ্যের ওউপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে চুল পড়ে যেতে পারে। সাদা রুটি বা সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস বা গোটা শস্যের রুটির মতো স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নিন।
২. কার্বনেটেড পানীয়
যদিও এ ধরনের পানীয়তে চুমুক দিলে আপনি সাময়িক স্বস্তি পেতে পারেন তবে স্বাস্থ্যকর চুল পেতে চাইলে কার্বনেটেড পানীয় পুরোপুরি এড়িয়ে চলবেন। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কার্বনেটেড পানীয় চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এ ধরনের পানীয়র পরিবর্তে প্রাকৃতিক সতেজতার জন্য ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করুন।
৩. ভাজা খাবার
ভাজা খাবার যেমন চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সমুচা, পাকোড়া ইত্যাদিতে তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। যে কারণে এ ধরনের খাবার খেলে ত্বকের ছিদ্র আটকে যেতে পারে, যা আমাদের মাথার ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে তোলে। এটি অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে।
৪. চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি স্বাদের খাবার যতটা লোভনীয়, তার চেয়েও বেশি ক্ষতিকর হতে পারে। এ ধরনের খাবার চুল পড়ার কারণ হতে পারে। এর কারণ হলো অতিরিক্ত চিনির উপাদান প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং সহজেই চুলের ফলিকলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন ক্যান্ডি, চকোলেট ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
|
|
|
|
পা ঘামার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। এটি একটি সাধারণ সমস্যা, বিশেষ করে উষ্ণ মাস বা আর্দ্র পরিবেশে। এর ফলে অবাঞ্ছিত গন্ধ, ত্বক, জ্বালা, এমনকি ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই, এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া উপায় রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল হাইপারহাইড্রোসিস সোসাইটি (আইএইচএস) এর দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় ৫%, যা প্রায় ৩৬৭ মিলিয়ন মানুষের সমান, অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হয়।
উপযুক্ত মোজা বেছে নিন
তুলা, উলের মতো উপকরণ থেকে তৈরি প্রাকৃতিক ফাইবার মোজা বেছে নেওয়া উচিত। এছাড়া সিন্থেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন কারণ এটি তাপ এবং আর্দ্রতা আটকাতে পারে। এর ফলে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
আর্দ্রতা শোষণকারী জুতা পরুন
আপনার জুতা যেন চামড়া বা নেট দিয়ে তৈরি হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে আপনার পায়ের চারপাশে ভালোভাবে বায়ু সঞ্চালনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিদিন একই জুতা পরা এড়িয়ে চলুন। অন্তত দুই জোড়া জুতা রাখু। প্রতিদিন এক জোড়া বদলে অপরজোড়া পরুন। জুতা ব্যবহারের আগে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন।
ফুট হাইজিন মেনে চলুন
আরেকটি বিষয় মনে রাখবেন, প্রতিদিন আপনার পা মাইল্ড এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান দিয়ে ধুয়ে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করতে পারে যা পায়ের গন্ধ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করুন
আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি পরামর্শ দেয় যে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করুন এবং সকালে তা ধুয়ে ফেলুন। এতে পা ঘামার সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
পাউডার দিয়ে ছিটিয়ে দিন
পায়ে এবং আপনার জুতার ভেতরে ফুট পাউডার বা ট্যালকম পাউডার লাগাতে পারেন। পাউডার অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করতে এবং ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতা পায়ের ঘামকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
|
|
|
|
পেয়ারা খেতে খুবই সুস্বাদু ও সুমিষ্ট। পেয়ারাকে ভিটামিন সি-এর ব্যাংক বলা যায়। সাধারণত বর্ষা ও শীত ঋতুতে গাছে পেয়ারা হয়। সব জাতের পেয়ারার গুণাগুণ শীতকালে বেড়ে যায়, রোগ ও পোকার আক্রমণও কম থাকে। ফলের আকৃতি এবং রং সবদিক থেকেই সুন্দর হওয়ায় এ সময়ে পেয়ারার দামও থাকে বেশি। এসব দিক বিবেচনায় রেখেই বর্ষাকাল বাদে কীভাবে অন্যান্য ঋতুতে অত্যধিক হারে উৎপাদন বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে গবেষণা শুরু হয়।
পেয়ারা একটি দ্বিবীজপত্রী বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Psidiun guajava। পেয়ারা একরকমের সবুজ রঙের বেরী জাতীয় ফল। পেয়ারার প্রায় ১০০টিরও বেশি প্রজাতি আছে। তবে অন্যান্য বর্ণের পেয়ারাও দেখতে পাওয়া যায়। লাল পেয়ারাকে (Marroonguava) রেড আপেলও বলা হয়।
পেয়ারার উপকারিতা:
পেয়ারা নিয়মিত খেলে ক্যানসার এবং মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। পেয়ারা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। পেয়ারা নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। অনেকেরই মুখের ভেতর সাদা দাগের মতো একটি আলসার দেখা যায়। এমন হলে পেয়ারা খেলে উপকার পাওয়া যায়। পেয়ারা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সাথে লড়াই করে। তাই পেয়ারা খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস করে খেলে মাসিককালিন ব্যথা কমে যায়। কাঁচা পেয়ারা খেলে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর হয়। নিয়মিত কাঁচা পেয়ারা খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে।
|
|
|
|
তীব্র গরমের সময়ে পান্তাভাত লবণ-মরিচ ও আলু ভর্তা-পেঁয়াজ দিয়ে মেখে মুখে তোলা যে কী ভীষণ রকমের সুখ, তা যারা না খেয়েছেন তারা কখনোই উপলব্ধি করতে পারবেন না। প্রায় প্রতিটি ঘরে সকালে এই পান্তাত ভাত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। আর সেই পান্তাভাতকেই কি না ‘অখাদ্য’ তকমা দিলো টেস্ট অ্যাটলাস নামে একটি অনলাইন গাইড। কিন্তু এতে চুপ থাকেননি পান্তাভাতপ্রেমীরা। তারাও এর গুণাগুণসহ নানা দিক তুলে ধরেন।
বিশ্বের নানান প্রান্তের খাবারের অনলাইন গাইড হিসেবে কাজ করে টেস্ট অ্যাটলাস। যা খাঁটি রেসিপি, খাদ্য সমালোচন-পর্যালোচনা করে। নানা এলাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার, রেস্তোরাঁকে তুলে ধরে। এটি একটি ইন্টারেক্টিভ গ্লোবাল ফুড ম্যাপ। ১০ হাজারেরও বেশি খাবার তুলে ধরা হয়েছে এখানে, আছে ৯ হাজারের ওপর রেস্তোরাঁ।
এই টেস্ট অ্যাটলাস সম্প্রতি সেরা ও অখাদ্য খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে। আর তাতেই নাম রয়েছে বাঙালির প্রিয় ‘পান্তাভাতের’। আর সেই তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে প্রবল বিতর্ক। টেস্ট অ্যাটলাসের এই রিপোর্ট মানতে নারাজ অনেকেই। এই নিয়ে টেস্ট অ্যাটলাসকে কম রোষের মুখে পড়তে হয়নি।
তবে শুধু পান্তাভাতই নয়, টেস্ট অ্যাটলাসের ‘অখাদ্য’ খাবারের তালিকায় জায়গা পেয়েছে একাধিক খাবার। রয়েছে— আলু-বেগুন, উপমা ও মালপোয়াসহ আরও অনেক খাবারের নাম।
মধ্যবিত্তের ভরসা এই পান্তাভাতকে অখাদ্য বলা নিয়ে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ পান্তাভাতের উপকারিতা কিন্তু নেহাতই কম নয়।
পান্তাভাতে রয়েছে আয়রন, যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়। মাত্র একশগ্রাম পান্তাভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। যার কাজ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখা। গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। ফলে পান্তাভাত শরীর কমাতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খাবার। পান্তা ভাত খেলে কাজের এনার্জি বেড়ে যায় বহুগুণ।
|
|
|
|
কমলা সুগন্ধযুক্ত এবং রসালো ফল। এটি টক-মিষ্টি উভয় স্বাদেরই হয়। আমরা যারা কমলা খেতে ভালোবাসি তারা এর খোসার উপকারিতা সম্পর্কে জানি কি? কমলার খোসা আপনার বিনবক্সে ফেলার আগে কিছু জানার আছে। আপনি কি জানেন যে এই আপাতদৃষ্টিতে `বর্জ্য` কমলার খোসা পুষ্টির সমৃদ্ধ ভাণ্ডার? এতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পলিফেনলের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান।
হেলথলাইন অনুসারে, গবেষণায় দেখা গেছে যে মাত্র ১ টেবিল চামচ কমলার খোসা প্রতিদিনের ১৪% ভিটামিন সি সরবরাহ করে - যা ফলের ভেতরের অংশের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ বেশি। একই পরিবেশন ফলের তুলনায় প্রায় ৪ গুণ বেশি ফাইবার দেয়।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, কমলার খোসা আপনার কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্যভাবে উপকার করতে পারে। জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রি-এ প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, কমলার খোসার নির্যাস হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উৎপাদনকে বাধা দিতে পারে।
কমলার খোসা হার্টের জন্য ভালো কেন?
কিছু অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া কার্ডিওভাসকুলার রোগের বিকাশে সহায়তা করে। হজমের সময় নির্দিষ্ট পুষ্টি গ্রহণ করে অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া ট্রাইমেথাইলামাইন এন-অক্সাইড (টিএমএও) তৈরি করে। টিএমএও- এর মাত্রা ভবিষ্যতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করতে পারে।
সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল অনুসারে, কমলার খোসার নির্যাস উপকারী ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ - টিএমএও এবং ট্রাইমেথাইলামাইন উৎপাদন কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাই কমলার খোসা ফেলে না দিয়ে তা আপনার খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন। কমলার খোসা শুকিয়ে এয়ার টাইট বক্সে সংরক্ষণ করতে পারেন কিংবা গুঁড়া করেও রাখতে পারেন।
|
|
|
|
কাঁঠালের পাশাপাশি কাঁঠালের বিচিও বেশ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জনপ্রিয় একটি খাবার। বাজারে এখন কাঁঠাল অত্যন্ত সহজলভ্য। কাঁচা কাঁঠাল সাধারণত সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। কাঁঠালের বিচি দিয়ে সাধারণত ভর্তা, ভাজি, সেদ্ধসহ নানা রকম তরকারি রান্না করা যায়। তবে কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরুর মাংস খেতে খুবই সুস্বাদু এবং তৈরি করাও বেশ সহজ।
জেনে নিই কাঁঠালের বিচি দিয়ে গরু ভুনার রেসিপি—
যা যা লাগবে: গরুর মাংস ১ কেজি, কাঁঠালের বিচি ৩০০ গ্রাম, আদাবাটা ২ টেবিল চামচ, রসুনবাটা ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজবাটা সিকি কাপ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, হলুদের গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া দেড় চা চামচ, টালা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলার গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ ২-৩টি করে, লবণ স্বাদমতো, তেল আধা কাপ, গরম পানি প্রয়োজনমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন: কাঁঠালের বিচির ওপরের খোসা ফেলে পানিতে ভিজিয়ে লাল আবরণ পাটায় ঘষে পরিষ্কার করে নিন। মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল দিয়ে গোটা গরম মসলা ফোড়ণ দিন। মসলার গন্ধ বের হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ নরম হলে গরম মসলা ও জিরার গুঁড়া ছাড়া সব মসলা ও আধা কাপ পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। এরপর মসলা কষানো হলে মাংস দিয়ে দিন। মাংস কষিয়ে ২ কাপ গরম পানি দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে এলে কাঁঠালের বিচি দিয়ে কষিয়ে ঝোলের জন্য আন্দাজমতো পানি দিন। ঝোল মাখা মাখা হয়ে এলে গরম মসলার গুঁড়া আর জিরার গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
|
|
|
|
কাঁঠালের প্রতিটি কোয়া যেন অমৃত। যারা কাঁঠাল পছন্দ করেন তারা জানেন এর তৃপ্তি কোথায়। গ্রীষ্মের বাজারে আম, লিচুর পাশাপাশি কাঁঠালের চাহিদাও তুঙ্গে থাকে। কাঁঠালের এমন কোনো অংশ নেই যা কাজে লাগে না। যেমন ধরুন এর বিচি। এগুলো কী ফেলে দেন? উত্তর হ্যাঁ হলে, এর চেয়ে বোকামির আর কিছু হতে পারে না।
কাঁঠালের কোয়ার চেয়েও বেশি জনপ্রিয় এর বীজ। মটর-ডাল হোক কিংবা নিরামিষ তরকারি, কাঁঠালের বীজ দিলে স্বাদটাই বদলে যায়। তাছাড়া ডালের সঙ্গে কাঁঠালের বীজ ভাজা কিন্তু মন্দ নয়। কাঁঠালের বীজ শুধু সুস্বাদু, তা নয়। এর স্বাস্থ্যগুণও রয়েছে।
শরীরের জন্য কতটা কার্যকরী এই বীজ?
ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি, প্রোটিন— সব আছে কাঁঠালের বিচিতে। সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলে এই বীজ খাওয়া অতি জরুরি। ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই থাকে কাঁঠালের বীজে। তার প্রভাবে কোলেস্টেরল কমে। সঙ্গে হজমের সুবিধাও হয়। হজম প্রক্রিয়া ভালো হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও এই বীজ বেশ উপকারী। এতে উপস্থিত ফাইবার খাদ্যের কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি বাড়তে পারে না।
চোখের জন্যও উপকারী কাঁঠালের বীজ। এতে উপস্থিত ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। চোখের জ্যোতি বাড়িয়ে তুলতেও কাঁঠালের বীজ কার্যকরী। চোখের সমস্যা থাকলে কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
|
|
|
|
সাপের দংশনে প্রতিবছরই অনেক মানুষ প্রাণ হারান। মে থেকে অক্টোবরের মধ্যে সাপের উপদ্রব বেশি দেখা যায়। এর বাইরে সারা বছরই সাপের কামড়ে অনেকে আক্রান্ত হন। সাবধানী হওয়ার পরও দুর্ভাগ্যক্রমে সাপের দংশনের শিকার হতে পারেন অনেকে। তেমন অবস্থায় ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিলে মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। সাপের দংশনে আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হতে পারে, চলুন জেনে নিই।
সাপে কাটলে কী করবেন—
সাপের ধরন নির্ণয়: সাপ কামড়ালে প্রথমেই আঘাতের স্থান পর্যবেক্ষণ করে জানতে হবে সেটি বিষধর নাকি নির্বিষ। দুই ধরনের সাপের কামড়ের চিকিৎসা দুই রকম। বিষধর সাপের কামড়ে সাধারণত দুটি ক্ষত হয়, তবে নির্বিষ সাপের কামড়ে চার থেকে ১৬টি পর্যন্ত ক্ষত দেখা যেতে পারে।
উপসর্গ:
কিছু সাপ কাটলে তাৎক্ষণাৎ টের পাওয়া যায় না। যেমন: কালাচ। এ সাপ অত্যন্ত বিষধর, কিন্তু বিষদাঁত ছোট হওয়ায় প্রাথমিকভাবে বোঝা যায় না, শুধু বমিভাব বা পেট খারাপের মতো উপসর্গ দেখা যায়। তাই এসব লক্ষণ দেখলে কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না।
যা করতে হবে:
দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হলকা করে বাধা হয়, সেভাবে বাধুন সাপে কাটা পেশী যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন, পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে। যা করবেন না:
আতংকিত হওয়া যাবে না ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা করে কালক্ষেপণ করবেন না চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না সাপে কাটা জায়গায় শক্ত করে বাঁধা যাবে না, কারণ রক্ত জমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন। যেখানে সাপ কেটেছে, তার কিছুটা ভেতরের দিকে খুব হালকা করে শুধু একটি গিঁট দিয়ে বেঁধে দেয়া যেতে পারে। বাঁধন এমনই হালকা হতে হবে যেন চাইলে ভেতরে আঙুল প্রবেশ করা যায়। কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না
|
|
|
|
|
|
|
|