শীতের ফলে সুস্থ থাকুন সারা বছর
বাতাসে শীতের হাওয়া বইতেই বাজারে দেখা মিলতে শুরু করেছে শীতকালের ফল, সবজির। ফলের দোকানে ভরপুর দেখা যাচ্ছে ছোট-ছোট কমলার। এই ফল প্রেমিরা এই মৌসুমটার জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। যেহেতু বছরের একটা সময়ই কমলা পাওয়া যায়, তাই মন ভরে খায় বাঙালিরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে কমলা খেলে দেহে ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। কমলার মধ্যে থাকা পুষ্টি দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে এবং সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রতিদিন কমলা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর, প্রতিদিন কমলা খেলে কী-কী উপকারিতা পাওয়া যাবে, এরকম প্রশ্ন অবশ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে আপনার মনে।
শীতের ফলে সুস্থ থাকুন সারা বছর
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত- কমলার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। কমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। শীতকালে বিয়ের বাড়িতে খেয়ে ওজন বেড়ে যায়? প্রতিদিন কমলা খেলে ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে। কমলার মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রবণতা কমায়। সারা বছর সুস্থ থাকতে শীতকালে কমলা খেতেই হবে। ফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারোটেনয়েডের মতো বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে কমলাতে। এগুলো অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। শীতকালে হাইড্রেট থাকা ভীষণ জরুরি। কিন্তু ঘাম কম হওয়ার কারণে অনেকের মধ্যেই পানি পানের প্রবণতা কম দেখা যায়। এই অবস্থায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে কমলার রস পান করতে পারেন। এতে তরলের পরিমাণ বেশি। পাশাপাশি মিনারেল দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। সাইট্রাস ফল হওয়ায় কমলা খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এই ফল। তাই শীতে নিশ্চিন্তে এই ফল খেতে পারেন।
|
বাতাসে শীতের হাওয়া বইতেই বাজারে দেখা মিলতে শুরু করেছে শীতকালের ফল, সবজির। ফলের দোকানে ভরপুর দেখা যাচ্ছে ছোট-ছোট কমলার। এই ফল প্রেমিরা এই মৌসুমটার জন্যই অপেক্ষা করে থাকে। যেহেতু বছরের একটা সময়ই কমলা পাওয়া যায়, তাই মন ভরে খায় বাঙালিরা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালে কমলা খেলে দেহে ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। কমলার মধ্যে থাকা পুষ্টি দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে এবং সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রতিদিন কমলা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর, প্রতিদিন কমলা খেলে কী-কী উপকারিতা পাওয়া যাবে, এরকম প্রশ্ন অবশ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে আপনার মনে।
শীতের ফলে সুস্থ থাকুন সারা বছর
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত- কমলার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। কমলার মধ্যে থাকা ভিটামিন সি, ত্বকে কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। শীতকালে বিয়ের বাড়িতে খেয়ে ওজন বেড়ে যায়? প্রতিদিন কমলা খেলে ওজন হাতের মুঠোয় থাকবে। কমলার মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া প্রবণতা কমায়। সারা বছর সুস্থ থাকতে শীতকালে কমলা খেতেই হবে। ফ্ল্যাভনয়েড, ক্যারোটেনয়েডের মতো বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে কমলাতে। এগুলো অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। শীতকালে হাইড্রেট থাকা ভীষণ জরুরি। কিন্তু ঘাম কম হওয়ার কারণে অনেকের মধ্যেই পানি পানের প্রবণতা কম দেখা যায়। এই অবস্থায় শরীরকে হাইড্রেট রাখতে কমলার রস পান করতে পারেন। এতে তরলের পরিমাণ বেশি। পাশাপাশি মিনারেল দেহে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। সাইট্রাস ফল হওয়ায় কমলা খেলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় এই ফল। তাই শীতে নিশ্চিন্তে এই ফল খেতে পারেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর গাজর। সুস্বাদু এই সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় নানা ধরনের খাবার। সাধারণ সালাদ তৈরি বা অন্যান্য রান্নায় তো ব্যবহার করা হয়ই, গাজর দিয়ে তৈরি করা যায় অনেক ধরনের ডেজার্টও। আবার আপনি চাইলে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু গাজরের কেক। এটি তৈরি করা একেবারেই সহজ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক গাজরের কেক তৈরির রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
ডিম- ৪টি
ময়দা- ১ কাপ
চিনি- ১ কাপ
তেল ও ঘি- ১ কাপ
ঘিয়ে ভাজা গাজর কুচি- ১ কাপ
গুঁড়া দুধ- ২ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার- দেড় টেবিল চামচ
ক্রিম- সাজানোর জন্য।
যেভাবে তৈরি করবেন
ডিম ভালোভাবে চিনি দিয়ে বিট করুন। এতে অল্প অল্প ময়দা দিয়ে বিট করুন। তারপর দুধ, বেকিং পাউডার, গাজর কুচি দিয়ে ভালোভাবে বিট করুন। ঘি ও তেল মেশান। একটি সস প্যানে তেল মেখে এবং কাগজে তেল মাখিয়ে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। অন্য একটি পাত্রে বালি বিছিয়ে কেকের পাত্রটি ঢেকে বসিয়ে দিন। ৪৫ মিনিট পর কেকটি ফুলে উঠলে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হলে ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : কমলা খাওয়ার অনেক উপকারিতা। এটি ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস। তাই কমলা খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেলে শরীরের নানা উপকার। কমলা আমাদের দেশে সহজলভ্যই বলা চলে। এটি আপনার খাবারের তালিকায় রাখলে সুস্থ থাকা সহজ হবে। ছোট-বড় সবার জন্যই এটি বেশ উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক কমলার কিছু অবাক করা গুণ-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। নানা রকম ভাইরাসের আক্রমণে এমনটা হতে পারে। তবে এসময় প্রতিদিন কমলা খেলে বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কারণ কমলায় থাকে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, ফলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি। এসব পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
২. মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে
আমাদের মস্তিষ্ক শক্তিশালী করতে সাহায্য করে উপকারী ফল কমলা। এই ফল নিয়মিত খেলে তা মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। কমলায় থাকে ফ্লেভনয়েডস যা ব্রেইন ফাংশন ঠিক রাখার পাশাপাশি এবং মনোযোগ বাড়াতে কাজ করে। তাই বড়রা তো খাবেনই, শিশুর পাতেও নিয়মিত রাখতে হবে এই ফল।
৩. চোখ ভালো রাখে
আগেই বলা হয়েছে, কমলায় থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের ক্ষমতা বাড়াতে কমলার বিশেষভাবে কার্যকরী। নিয়মিত কমলা খেলে তা চোখের সমস্যা সহজে দূর করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। তাই চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিন কমলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. ত্বক ভালো রাখে
আমাদের ত্বক ভালো রাখা জরুরি। কারণ সুন্দর ত্বক কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্যই প্রকাশ করে না, এটি আপনার সুস্থতারও প্রকাশ করে। তাই খেতে হবে এমন সব খাবার যেগুলো ত্বকের জন্য উপকারী। তেমনই একটি উপকারী খাবার হলো কমলা। এই ফল ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। নিয়মিত কমলা খেলে তা ত্বককে ভেতর থেকে ভালো রাখতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৫. হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
হৃদযন্ত্র ভালো রাখার জন্য যত্নশীল হতে হবে আপনাকেই। সেজন্য নিয়মিত খেতে হবে কমলা। কারণ কমলা খেলে তা আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কাজ করবে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, তাদের জন্যও কমলা বেশ উপকারী। হার্টের গুরুতর সমস্যা থেকে বাঁচতে কমলা রাখুন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়।
|
|
|
|
অসুখ কি আর বলে-কয়ে আসে। এইতো একটু আগেও ভালো ছিলেন, হঠাৎ জ্বরে শয্যাশয়ী। আপনি একা নন, এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে। হঠাৎ জ্বর এলে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য আপনাকে কিছু খাবার খেতে হবে। যেগুলো জ্বর সারিয়ে তুলতে কার্যকরী। সঠিক খাবার না খেলে জ্বর দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।
ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমে এলেও পুরোপুরি দূর হয়নি। তাই জ্বর এলে অবহেলা করার সুযোগ নেই। শুরুতেই সতর্ক হয়ে সঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করলে জ্বর ভালো হবে সহজেই। আবার জ্বর এলেই ঘাবড়ে যাবেন না। হতে পারে তা ভাইরাল জ্বর। তবে সচেতন থাকার বিকল্প নেই। তাই সবার আগে নজর দিন খাবারের দিকে।
খাবারের তালিকায় কিছু যোগ-বিয়োগ করুন। অপুষ্টিকর বা অস্বাস্থ্যকর খাবার বাদ দিয়ে বেছে নিন প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার। অনেক খাবারই রয়েছে যেগুলো আপনার সুস্থতার নেপথ্যে কাজ করে। তিনটি খাবার আপনাকে জ্বর থেকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রোটিন
হঠাৎ জ্বর হলে প্রোটিনজাতীয় খাবার একটু বেশি করে রাখুন আপনার পাতে। খেতে যদি ইচ্ছা নাও হয়, তবু জোর করে খান। কারণ আমাদের শরীর দুর্বল হলে এই উপকরণই বিশেষ করে প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে গরু কিংবা খাসির মাংস নয়, মুরগির মাংস রাখতে পারেন প্রথম পছন্দ হিসেবে। কারণ মুরগির মাংস শরীরের জন্য তুলনামূলক বেশি নিরাপদ।
সবজির স্ট্যু
বিভিন্ন ধরনের সবজি আমাদের শরীরের অনেকগুলো পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। সবজিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান শরীর দ্রুত চাঙ্গা করে তুলতে কাজ করে। তাই জ্বর এলে সবজি দিয়ে তৈরি খাবার খেতে হবে বেশি করে। গাজর, বিনস, টমেটো দিয়ে স্যুপ তৈরি করে খেতে হবে একটু পর পর। গরম গরম স্যুপ জ্বরের মুখে আপনাকে আরাম দেবে অনেকটাই। আবার এতে থাকা সবজি জ্বর সারিয়ে তুলতেও কাজ করবে।
রসুন
রসুনের অনেকগুলো গুণের কথা নিশ্চয়ই জানেন? এটি যে আপনার জ্বর সারাতেও কাজ করতে পারে তা কি জানেন? হঠাৎ জ্বর এলে দিনের যেকোনো সময়ে রসুনের দুটি কোয়া মুখে পুরে নিন। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য। আবার চাইলে গরম পানিতে রসুন ফুটিয়ে নিতে পারেন। তারপর সেই পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও দ্রুত উপকার পাবেন।
|
|
|
|
কয়েক দিন পরেই পূজা, এ সময়টাতে উজ্জ্বল-টানটান ত্বক আমরা সবাই চাই। তবে প্রতিদিনের দূষণ, রোদ, ঘাম আর ঘন ঘন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ত্বকেও অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন একবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেও বাকি রূপচর্চা করার মতো সময় থাকে না আমাদের হাতে। ত্বক সুন্দর রাখতে গেলে ত্বকের যত্ন নিতেই হবে।
শুধু ত্বক নয়, যা কিছু সুন্দর তার জন্যই প্রয়োজন যত্নের। কাজের ব্যস্ততা, আবহাওয়ার পরিবর্তন এসব তো থাকবেই। আর এর মাঝে আমাদেরই খুঁজে নিতে হবে যে কী করে আমরা ত্বকের খেয়াল রাখব। এ জন্য অনেক পয়সা খরচ করার দরকার নেই। প্রয়োজন নেই অঢেল সময়েরও। অনেক পরিশ্রম করতে হবে তাও নয়। ঘরে এই সামান্য যত্নটুকু নিতে পারলেই ত্বক থাকবে টানটান।
আর তার জন্য নিয়ম করে টোনার ব্যবহার করতে হবে। যারা ত্বকের যত্ন নিয়ে সামান্য চিন্তাভাবনা করেন, তারা ইতোমধ্যেই টোনার ব্যবহার করেন। টোনার ত্বকের উপকার করে, কিন্তু ঠিক কী কী উপকার করে, তা না জেনেও করেন। আর যারা এখনও মুখে টোনার ব্যবহার করেন না, তারা অবশ্যই জেনে নিন। ত্বকের কী কী উপকার করে টোনার?
যদি হঠাৎ করেই দেখেন যে মুখ তৈলাক্ত হয়ে যাচ্ছে বা বেশি শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে মুখের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক নেই। যদিও বেশিক্ষণ এসির মধ্যে থাকলেও এই একই সমস্যা হতে পারে। পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হলে ত্বকের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি। ত্বকে নানা সমস্যা হবে, ব্রণ-অ্যালার্জি বাড়বে। আর তাই মুখের এই পি এইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে টোনারের ব্যবহার করতে হবে।
টোনার মুখকে টোনড রাখবে, বুড়িয়ে যেতে দেবে না। বজায় থাকবে স্বাভাবিক তারুণ্য। মুখে বয়সের ছাপ পড়বে না। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে টোনার ব্যবহার করুন। যারা দীর্ঘক্ষণ এসির মধ্যে থাকেন তাদের জন্য আরও বেশি প্রয়োজন রয়েছে এই টোনারের। সারাদিন পর আমাদের শরীরেও যেমন ক্লান্তি থাকে আবার আমাদের ত্বকেও সেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে। ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়লে তা চোখে মুখে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ত্বকের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে অবশ্যই এদিকে নজর দিন। টোনার ব্যবহার করলে তা ত্বককে ভিতর থেকে আর্দ্রতা জোগায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে টোনার লাগাতে পারেন আবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখ ধুয়ে টোনার ব্যবহার করতে পারেন। মুখ খেতে মেকআপ তোলার পরও টোনার ব্যবহার করা জরুরি।
|
|
|
|
মহাষষ্ঠীর আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এ সময় অনেকে কাজের মাঝে রূপচর্চাও সেরে ফেলতে হবে। এই কয়েকদিনের মধ্যে ত্বক ও চুলের পরিচর্যার পাশাপাশি নখের পরিচর্চাও করতে হবে। কারণ আজকাল নখেও নেইল আর্ট করান অনেকে। আবার অনেকে পছন্দ করেন নেইল এক্সটেনশন। আবার কারও ভরসা শুধু নেলপলিশ। পুজোয় যেভাবেই নখকে সাজান, আগে ম্যানিকিওর করা জরুরি।
জেনে নিন ম্যানিকিওরের টিপস- ম্যানিকিওরের মাধ্যমে নখকে সুন্দর করে তোলা হয়। কিন্তু এর জন্য আপনাকে পার্লারে গিয়ে শ`খানেক টাকা খরচ করতে হবে। হাতে যদি সময় কম থাকে বা খরচ বাঁচাতে চান, তাহলে বাড়িতেই ম্যানিকিওর সেরে ফেলুন।
ম্যানিকিওর শুরু করার আগে পুরনো নেলপলিশ নখ থেকে তুলে ফেলা দরকার। নেলপলিশ রিমুভার দিয়ে নখগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। একটুও যেন নেলপলিশে দাগ না থাকে। নখের কোণগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
এবার নখগুলো কেটে নিন। খুব বেশি ছোট করবেন না। এরপর একটি বাটিতে ঈষদুষ্ণ গরম পানি নিন। এতে শ্যাম্পু গুলে নিন ও লেবুর টুকরো ফেলে দিন। দু`হাত এতে মিনিট তিনেক ডুবিয়ে রাখুন। এতে নখের কিউটিকল নরম হয়ে যাবে।
নখের গোড়াগুলোতে কিউটিকল ক্রিম লাগিয়ে নিন। এরপর নখের কোণে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটি সুতির কাপড় বা টিস্যু দিয়ে নখগুলো মুছে নিন।
দু`হাতে ভালো করে হ্যান্ড ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। নখের ওপর ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না। এতে নখের ওপর নেলপলিশ ধরবে না। যদি ময়েশ্চারাইজার লেগে যায়, তাহলে বাফারের সাহায্যে নখটা ঘষে নিন।
এরপর নখের ওপর প্রথমে স্বচ্ছ নেল পলিশ লাগিয়ে নিন। জেল বেসড নেল পলিশও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর আপনার পছন্দমতো নেল পলিশের রং বুলিয়ে নিন নখের ওপর।
|
|
|
|
হাতেগোনা আর কয়েকটা দিন পরেই মহাষষ্ঠী। এ সময় অনেকের কেনাকাটা প্রায়ই শেষ হলেও আবার এমনও অনেকে আছেন যাদের এখনও কেনাকাটাই শুরুই হয়নি। তবে ট্রেন্ড দেখে অনেকেই ঠিক করে নিয়েছেন যে পুজোয় এবার কোনদিন কী পরবেন। তাই কেনাকাটার আগে জেনে নিতে পারেন কোনদিন কোন পোশাকে নিজেকে সাজিয়ে নিবেন।
পূজা মানেই লাল ও মেজেন্টা রং। একটু উজ্জ্বল রং না হলে উৎসব যেন ঠিক জমে না। ষষ্ঠী, সপ্তমী বা নবমীতে টপস কিংবা সালোয়ার-কামিজ বাছাই করতে পারেন।
অষ্টমীর সকাল শুরু হয় অঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে। মণ্ডপে বা মন্দিরে গিয়ে এদিন দেবীকে ফুল দেওয়া হয়। দিনটি শিশুদের জন্য সবচেয়ে বিশেষ হয়ে থাকে। তাই ওদের সাজ পোশাকেও একটু রঙিন ভাব রাখতে পারেন। অষ্টমীতে সবুজের বিভিন্ন শেড, প্যাস্টেল, ব্রিক রেড, টেন ব্রাউন রঙের কুর্তি, কামিজ, ফ্রক, পালাজ্জো-টপস, স্কার্ট-টপস ইত্যাদি রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। এতে গরমে খানিকটা আরাম পাবেন।
নারীদের কাছে দশমীর দিন একেবারেই আলাদা। এদিন শাড়ি না পরলেই যেন নয়। তাই নবমী ও দশমীর পোশাকের সংগ্রহে লাল পার সাদা শাড়ি রাখতে পারেন। অথবা লাল ও মেজেন্টা এ দুই রঙের পোশাক রাখতে পারেন।
ছেলেদের পোশাকেও ফুটে উঠেছে উৎসবের রং। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বা কুর্তির সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি, শার্ট এবং টি-শার্টও পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন পোশাকের দোকানগুলোতে। এসব পোশাক বেশ মানিয়ে যাবে ধুতি বা প্যান্টের সঙ্গে। পোশাকের ফেব্রিক হিসেবে প্রাধান্য পেয়েছে কটন এবং এন্ডি। এগুলো এই গরমে উত্তম পরিধেয় হতে পারে।
বড়দের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও রয়েছে অনেক কালেকশন। পূজায় লাল-সাদার বেশি প্রাধান্য থাকলেও শিশুদের পোশাকে রঙের কোনো বাধাধরা নেই। তাদের পোশাকে ফুটে উঠেছে হরেক রঙের বাহার। লাল, নীল, বেগুনি, হলুদ, মেজেন্টাসহ অনেক রঙের প্রাধান্য পেয়েছে পূজায় শিশুর পোশাকে। মেয়েদের জন্য রয়েছে ফ্রক, ফতুয়া, কুর্তি ও সালোয়ার-কামিজ। পাশাপাশি ছেলে শিশুটির জন্য রয়েছে শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি ও প্যান্ট।
|
|
|
|
নীরবতা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা আমাদের ব্যস্ত আর কোলাহলপূর্ণ পৃথিবীতে দেখা যায় না বললেই চলে। দিনের একটি ঘণ্টা নীরবতাকে আলিঙ্গন করে কাটিয়ে দিন। এটি আপনার জন্য অনেক পরিবর্তন আনতে পারে। যা কেবল আপনার মানসিক সুস্থতাই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা নীরব থাকার অভ্যাস কীভাবে আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
স্ট্রেস কমায়
নীরবতা একটি শক্তিশালী স্ট্রেস কমানোর হাতিয়ার। নীরব থাকলে আপনার শরীরের চাপ প্রতিক্রিয়া সিস্টেম শিথিল হয়। নীরবতা স্ট্রেস হরমোনের উৎপাদন কমাতে কাজ করে, যা আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। উচ্চ স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কার্ডিওভাসকুলার রোগ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকীয় সমস্যা সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। নীরবতার সময় করটিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণ কমে যায় এবং এটি শান্ত ও স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নিয়ে যায়।
সৃজনশীলতার বিকাশ করে
নীরবতা সৃজনশীলতার নেপথ্যে নিখুঁত ভূমিকা রাখে। নতুন কোনো ধারণা, অন্তর্দৃষ্টি কিংবা নিজেকে চেনার সুযোগ করে দেয়। অনেক সৃজনশীল ব্যক্তি, লেখক থেকে শিল্পী পর্যন্ত, নীরবতাকে উদ্ভাবনের একটি মূল্যবান উৎস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। আপনি যখন আপনার মনকে শ্বাস নেওয়ার জায়গা দেন, তখন আসলে আপনার সৃজনশীল সম্ভাবনার দরজা খুলে যায়।
যোগাযোগ দক্ষতা উন্নত করে
চুপ থাকার রয়েছে অনেক সুবিধা। আপনি যখন দিনের মধ্যে একটা ঘণ্টা একেবারে নিশ্চুপ থাকবেন, এরপর কথা বলার সময় কথার প্রতি আরও সচেতন হবেন। আপনি আরও মনোযোগ সহকারে শুনতে শিখবেন এবং আপনার যোগাযোগের দক্ষতা উন্নত করতে পারবেন। এই অভ্যাস আরও ভালো বোঝাপড়া এবং সহানুভূতি বৃদ্ধি করে। এর ফলে আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সম্পর্ক উপকৃত হবে।
চাপ কমানো এবং ভালো ঘুম নীরবতার অন্যতম উপকারিতা। এই অভ্যাস আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম হলো অসুস্থতার বিরুদ্ধে আপনার শরীরের প্রতিরক্ষার প্রথম লাইন। তাই এদিকে খেয়াল দিতেই হবে।
ভালো ঘুম
নিয়মিত নীরবতা অনুশীলন করার অভ্যাস আপনার ঘুমের গুণমানকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুমিয়ে থাকা সহজ করে তোলে। উন্নত ঘুম সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতায় অবদান রাখে।
রক্তচাপ কমায়
নীরবতার অভ্যাস পেশী শিথিল করে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের জন্য ঝুঁকির কারণ, তাই সুস্থ রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে এমন যেকোনো কিছু সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মানসিক সুস্থতাকে স্থিতিশীল করে
নীরবতা আপনাকে আবেগের সঙ্গে সংযোগ করতে দেয়। এটি অনুভূতিকে প্রক্রিয়া করার এবং নিজের সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জনের সুযোগ করে দেয়। এই মানসিক সচেতনতা জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখে আরও বেশি মানসিক স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
প্রতিদিনের অভ্যাস হিসাবে নীরবতাকে জায়গা দিন। প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন, যেমন ভোরে বা শোবার আগে। একটি শান্ত, আরামদায়ক স্থান তৈরি করুন যেখানে কোনোকিছু আপনাকে বিরক্ত করবে না। আপনি এই সময়টিকে ধ্যান, গভীর শ্বাস, মননশীলতার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বা কেবল নীরবে বসে থাকতে পারেন। এর উপকারিতা আপনি কিছুদিন পর থেকেই টের পেতে থাকবেন।
|
|
|
|
ক্যানসার নির্মূল করা এখনও সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে এর চিকিৎসা করা যায়। ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন’-এর মতে, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন ক্যানসারে মারা যায়। সময়মতো ধরা পড়লেই ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাবে মানুষ অনেক সময় এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে উপেক্ষা করে। কিছু সমস্যা আছে যেগুলোকে আমরা প্রায়ই ছোট বলে বিবেচনা করে উপেক্ষা করি। কিন্তু সেগুলো ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে।
জেনে নিন ক্যানসারের প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ- মুখের ক্যানসার প্রায়ই মুখের ভেতরে এবং বাইরের অংশে হতে পারে যেমন ঠোঁট, মাড়ি, জিভ, গালের ভেতরে, মুখের উপরের অংশ অর্থাৎ তালু, জিভের নিচে।
মুখের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ : মুখের ক্যানসার তাৎক্ষণিকভাবে ধরা পড়ে না। তবে কয়েক দিন পর এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। মুখের ক্যানসারের কারণে মুখের ভেতরে সাদা ছোপ দেখা দেয়। যার কারণে দাঁত শিথিল হতে শুরু করে। মুখের ভেতরে পিণ্ড দেখা দিতে থাকে। মুখের ক্যানসার হলে কানেও ব্যথা শুরু হয়। যখন রোগ বাড়তে থাকে, তখন খাবার খাওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
মুখের ক্যানসারের কারণ : মুখের ক্যানসারের অনেক কারণ থাকতে পারে। ডিএনএ-তে মিউটেশনের মতো। এই ধরনের রোগ প্রায়ই ডিএনএ-তে ব্যাঘাত ঘটায়। দূষণ, তামাকের রাসায়নিক পদার্থ, সূর্যের রশ্মি, খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ, বিকিরণ, সংক্রমণ, অ্যালকোহল, বেনজিন, অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক, বেরিলিয়ামের মতো ডিএনএ-তে ব্যাঘাতের অনেক কারণ থাকতে পারে। এই সব ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
এই লোকেদের মুখের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি : যারা প্রচুর তামাক সেবন করেন। তারা মুখের ক্যানসারের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যেমন- সিগারেট, বিড়ি, চুরুট, তামাক। যারা অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করেন তাদেরও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি।
|
|
|
|
রান্না ছাড়াও পেঁয়াজের উপকারিতা অনেক। পেঁয়াজ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
গত বছর প্রকাশিত একটি গবেষণায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সস্তা ও সহজলভ্য উপায়ের কথা উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ ওয়েবসাইট এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগোতে অনুষ্ঠিত এন্ডোক্রাইন সোসাইটির বার্ষিক সভায় এই গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে গবেষকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ খুবই কার্যকরী।
তবে পেঁয়াজের আরও একটি উপকারিতা আছে যা কিন্তু অনেকেই জানেন না।
পেঁয়াজে খুব কম ক্যালোরি থাকে। যা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
শরীরের পক্ষে মারাত্মক উপকারী পেঁয়াজের রস। ওজন কমাতে খাদ্যতালিকায় এটি রাখতে পারেন।
তবে তরকারিতে দেওয়া ভাজা পেঁয়াজে কিন্তু পুষ্টিগুণ অনেকটা কম থাকে।
|
|
|
|
ফল খাওয়ার অভ্যাস অবশ্যই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু কোন সময়ে খাচ্ছেন, তার ওপর এর উপকারিতা নির্ভর করে। কিছু ফল রয়েছে যেগুলো সন্ধ্যার পর খেলে উপকারের বদলে ক্ষতিই বেশি হবে। তাই সেসব ফল সম্পর্কে জানা এবং সেগুলো সন্ধ্যার পরে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
শরীর ভালো রাখার জন্য প্রচুর ফল খাওয়া প্রয়োজন। কারণ ফলে প্রচুরণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। ফল খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অনেক উপকার করে। এতে প্রচুর ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। ভারতীয় প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ রুজুতা দিবাকর জানিয়েছেন, সকালের নাস্তার পর বা দুপুরের খাবারের পরে ফল খাওয়া ভালো। তবে কিছু ফল আছে যেগুলো রাতে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
আপেল
সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সেই আপেলই রাতের বেলা খেলে আর উপকারী থাকে না। বরং আপেলে যে প্রচুর ফাইবার থাকে তা গ্যাস ও বুকজ্বলার কারণ হতে পারে। এর ফলে ঘুম তো নষ্ট হয়ই, সেইসঙ্গে আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সন্ধ্যার পর আর আপেল খাবেন না।
কলা
কলায় সবচেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে। কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু এই ফল হজম করতে সময় অনেক বেশি লাগে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রাতের বেলায় হালকা ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। তাই কলার মতো ফল রাতের খাওয়া এড়িয়ে যাবেন। নয়তো এটি হজমে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। কমলা
ভিটামিন সি-এর অন্যতম উৎস হয়ে কমলা। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজ করে। তবে রাতের বেলা কমলা খাওয়া একদমই ঠিক নয়। কারণ এটি রাতে খেলে তা বুকজ্বলা ও গ্যাস্ট্রিকের কারণ হতে পারে। তাই উপকারী এই ফল রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আনারস
আনারসের নানা উপকারিতার কথা আপনার জানা আছে নিশ্চয়ই। এই ফল আমাদের শরীরের নানা কাজে লাগে। তবে এটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ হওয়ায় তা রাতের বেলা এড়িয়ে চলাই উচিত। রাতে আনারস খেলে তা পেট ফাঁপা সহ নানা সমস্যার কারণ হতে পারে। এমনকী দেখা দিতে পারে বদহজমও।
পেয়ারা
সহজলভ্য ও পুষ্টিকর ফল পেয়ারা। এতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান শরীরের নানা কাজে লাগে। পেয়ারায় থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে এই উপকারী উপাদানই রাতের বেলা ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ রাতের পেয়ারা খেলে তা বদ হজমের কারণ হতে পারে। এটি খাওয়ার কারণে পেট ফেঁপে যেতে পারে এবং ঘুম ঠিকভাবে হয় না।
তরমুজ
তরমুজ উপকারী একথা সত্যি। কিন্তু এই ফল রাতের বেলায় কোনোভাবেই খাওয়া উচিত নয়। এতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, তাই আপনি যদি রাতের বেলা তরমুজ খান তবে সেই ক্যালোরি খরচ করা সহজ হয় না। তাই রাতে এই ফল এড়িয়ে চলুন।
|
|
|
|
মাশরুম খেতে সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এটি শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। কম ক্যালোরি ছাড়াও, মাশরুম অনেক পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এটি সালাদ, স্যুপ, সবজি, এমনকী স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়। প্রতিদিনের ডায়েটেও মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
মাশরুমের উপকারিতা-
সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ: সেলেনিয়াম শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করার পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম পাওয়া যায়। এটি শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখে।
ওজন কমাতে কার্যকর: মাশরুমে খুব কম ক্যালোরি রয়েছে। ৫টি সাদা মাশরুমে মাত্র ২০ ক্যালোরি রয়েছে। মাশরুম খেলে পেট ভরা থাকে এবং দ্রুত খিদে পায় না। ফলে জাঙ্ক ফুড এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা সম্ভব।
নানাভাবে খেতে পারেন: পুষ্টিবিদ বলেছেন যে, আপনার খাদ্যতালিকায় অনেক ধরনের জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মাশরুম একটি সহজলভ্য সবজি যা বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় এবং এর পুষ্টিগুণ গ্রহণ করা যায়।
ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস: ভিটামিন ডি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এর অভাব অনেক রোগের কারণ হয়। ভিটামিন ডি খুব কম শাকসবজিতে পাওয়া যায় এবং মাশরুম তার মধ্যে একটি। প্রতিদিন মাশরুম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি-র ঘাটটি পূরণ হয়।
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলির বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। যা, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো রোগের কারণ হতে পারে। এগুলি আপনার ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং আপনাকে বার্ধক্যজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। সেলেনিয়াম একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাশরুমে প্রচুর। প্রকৃতপক্ষে, তারা খনিজ উৎপাদনের আইলের সেরা উৎস।
হার্টের জন্য ভালো: মাশরুমে কিছু থেরাপিউটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। অতিরিক্তভাবে, এগুলিতে পুষ্টি এবং উদ্ভিদের উপাদান রয়েছে যা, কোষগুলিকে রক্তনালীর দেয়ালে লেগে থাকা এবং ফলক জমা করা বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে। পরিবর্তে, এটি ভালো রক্তচাপ এবং সঞ্চালন প্রচার করে, যা হৃৎপিণ্ডকে রক্ষা করে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: মাংসের একটি দুর্দান্ত কম-ক্যালোরি, কম চর্বিযুক্ত বিকল্প হলো মাশরুম। এগুলোতে ক্যালোরি কম এবং জলের পরিমাণ বেশি। মাশরুমে উচ্চ পেকটিন ঘনত্ব, এগুলোকে দ্রবণীয় ফাইবারের একটি ভালো উৎস করে তোলে। যা হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং এবং আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা অনুভব করে। এগুলোতে প্রোটিনও বেশি এবং চর্বি কম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: বিটা-গ্লুকান নামে পরিচিত এক ধরনের ফাইবার, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে পাওয়া গেছে, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। গবেষকরা বিটা-গ্লুকানকে সম্ভাব্য ক্যান্সার এবং উচ্চ কোলেস্টেরলের চিকিৎসা হিসেবে দেখেছেন। অতিরিক্তভাবে, সেলেনিয়াম, যা মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, এটি ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং সর্দি এবং ফ্লুর প্রতিরোধ বাড়াতে আবিষ্কৃত হয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী: মাশরুমে মজুত ভিটামিন বি৬ সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। এর মধ্যে রয়েছে সেরোটোনিন, একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মেজাজ, খিদে, ঘুম এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে ট্রিপটোফ্যান, একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা সুস্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজনীয়। উদ্বেগ, স্ট্রেস এবং বিষণ্ণতার মতো মানসিক রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসা হিসেবে মাশরুম নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে। কারণ এর মধ্যে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট গুণ রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।
চুল-ত্বকের জন্য ভালো: মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে তামা রয়েছে। তামা স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ। মাশরুমের মতো তামা সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বকে কোলাজেন তৈরি হয়, যা তারুণ্য, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়।
|
|
|
|
দেশি ফল তাল। পাকা তালের গন্ধটাই মন মাতানো। মিষ্টি স্বাদের এই ফল দিয়ে তৈরি করা যায় নানা পদের খাবার। তালের বড়া, তালের ক্ষীর, তালের ভাপা, তালের কেক- নানাভাবেই তৈরি করা যায়। অনেকে আবার তাল দিয়ে রুটি খেতেও পছন্দ করেন। নারিকেল ও তাল দিয়ে ভাত খাওয়ার প্রচলনও আছে আমাদের দেশে। সুস্বাদু এই ফলের রয়েছে অনেক উপকারিতা।
তালে থাকে ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম-সহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। তার সঙ্গে আরও থাকে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। সব মিলিয়ে এই ফল পুষ্টিগুণে ঠাসা। চলুন জেনে নেওয়া যাক তালের কিছু উপকারিতা-
আমাদের শরীরের নানা ধরনের উপকার করতে পারে তালের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল নানা ধরনের উপকার করতে পারে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতেও এটি কাজ করে।
তালে থাকে ভিটামিন বি, এটি এই ফলের সবচেয়ে বড় উপকারিতা। ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল যথেষ্ট কার্যকরী। এই ভিটামিন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি শরীরের আরও নানা উপকার করে। তাই নিয়মিত তাল খাওয়া উপকারী।
তালে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা হাড় ও দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্ত্রের রোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য সারিয়ে তুলতে কাজ করে তাল। যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য তাল একটি উপকারী ফল হতে পারে।
তালে অনেক গুণ রয়েছে, একথা ঠিক। তবে তালের বড়া তৈরি করে খেলে তাতে প্রচুর তেল যোগ হয়। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। যেমন এ ধরনের খাবার খেলে বেড়ে যেতে পারে অ্যাসিডিটি। এছাড়া এতে থাকা তেল আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তাল দিয়ে তৈরি খাবারে অতিরিক্ত চিনি যোগ করলেও বাড়তে পারে সমস্যা। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
|
|
|
|
ঘরে ঘরে ঠান্ডা লাগা, গলা খুসখুস, কাশি, জ্বর। দ্রুত সুস্থ হতে অনেকেই ভরসা রাখছেন ওষুধে। অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে— সাময়িকভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও কিছু দিন পর ফিরে আসছে অসুস্থতা।
এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায় কাজে দিতে পারে।
• আদায় রয়েছে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তাতে প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। কাশি হলেই আদা কুচি দিতে পারেন মুখে। তাতে আরাম মিলবে।
• মধুও কাশি কমাতে সাহায্য করে। এ সময়ে যত বার চা খাবেন, তাতে চিনির বদলে মধু মেশান। এতেও মিলবে আরাম।
• দিনে অন্তত তিন বার গরম পানির ভাপ নিন। নাক-মুখ দিয়ে গরম বাষ্প ঢুকে ভিতর থেকে আরাম দিতে পারে। গলার খুসখুসানি তো কমবেই, সঙ্গে কমবে কাশি।
|
|
|
|
ডিম খাওয়া উপকারী তাতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতিদিন ডিম পোচ, ভাজা, সেদ্ধ, ভুনা নানাভাবে খেয়ে থাকি। আবার কেক, পুডিংসহ অনেক খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় ডিম। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এটি কোনো না কোনোভাবে থাকেই। সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শও দেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমান কর্মব্যস্ততায় সময় বাঁচাতে অনেকেই ডিম সেদ্ধ করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। তবে এ অবস্থায় ডিমের স্বাদ ও গুণাগুণ কতটা ঠিক থাকে, তা সঠিকভাবে অনেকেরই হয়তো জানা নেই।
জেনে নিন ডিম সেদ্ধ করে ডিপ ফ্রিজে রাখলে কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে- একটি সেদ্ধ ডিমে ৭৭ ক্যালরির সঙ্গে থাকে ৬ দশমিক ৩ গ্রাম উচ্চমানের প্রোটিন। ডিম খেলে তা দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারবার ক্ষুধা লাগা এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ভয় থাকে না। তাই সেদ্ধ ডিম কতক্ষণ পর্যন্ত রেখে খাওয়া যাবে তা জানা জরুরি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেদ্ধ ডিম ডিপ ফ্রিজে সাত দিনের বেশি সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এতে ডিমের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর ফ্রিজে ডিম রাখলে তা শক্ত হয়ে যায়, ফলে অদ্ভুত স্বাদ পেতে পারেন।
আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর তথ্যমতে, সেদ্ধ করার পর সাধারণত দুই ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলা উচিত। তবে সেদ্ধ করা ডিম ডিপ ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যাবে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখা যাবে না।
সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখার ক্ষেত্রে এয়ার টাইট (বায়ুরোধী) পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় সেদ্ধ ডিম ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ হতে পারে। কারণ, সেদ্ধ করা ডিম ফ্রিজে রাখলে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়। তবে এটি ক্ষতিকর নয়। ফ্রিজে সেদ্ধ ডিম রাখলে শক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাদেও কিছুটা পরিবর্তন ঘটতে পারে।
সাধারণত ডিম ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলিসিয়াসের নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। আর ডিম সেদ্ধ করার পর তা সাধারণ তাপমাত্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।
|
|
|
|
বর্ষায় মশার প্রাদুর্ভাব অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। এ মৌসুমে মশাবাহিত রোগেরও ঝুঁকি বাড়ে। মশা কমবেশি সবাইকেই কামড়ায়। তবে অনেকের ধারণা যে, মশা তাদেরকেই বেশি কামড়ায়! বিষয়টি কি সত্যিই নাকি পুরোটাই ভিত্তিহীন?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মশা বেশি কামড়ানো কিংবা কম কামড়ানোর মধ্যে বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি আছে। সত্যিই মশা কাউকে বেশি কামড়ায় আর কাউকে কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এর মূল কারণ হলো রক্তের গ্রুপ ও পোশাকের রং। আসলে মশারও পছন্দের রক্তের গ্রুপ আছে। আর এ কারণেই ওই রক্ত আছে যাদের শরীরে তাদেরকেই বেশি কামড়ায় মশা।
পাশাপাশি কোন রঙের পোশাক পরে আছেন তার উপরও অনেকটা নির্ভর করে মশা বেশি নাকি কম কামড়াবে। গবেষকদের মতে, কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক পরে থাকা ব্যক্তিদের মশা বেশি কামড়ায়।
আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক জানাচ্ছেন, কিছু কিছু মানুষের শরীরে মশার প্রিয় রাসায়নিক বেশি থাকে। তাই মশা সেসব মানুষের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়।
ইউসি ডেভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লার্ক কফির মতে, মানুষের শরীরের গন্ধ এবং নিঃশ্বাসের সঙ্গে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইডে আকৃষ্ট হয় মশা। কারো কারো শরীরের গন্ধ মশার কাছে বেশি প্রিয়।
তার মতে, আমাদের ত্বক থেকে নিঃসৃত কিছু রাসায়নিক (যেমন, ল্যাকটিক এসিড) মশাকে বেশি আকর্ষণ করে। যাদের শরীর থেকে ল্যাকটিক অ্যাসিড বেশি নির্গত হয়, তাদের প্রতি মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
এমনকি গবেষকদের দাবি, গর্ভবতী নারী, যাদের শরীর অতিরিক্ত মেদযুক্ত, শরীরচর্চার পর বা মদ্যপানের পর মানুষকে মশা বেশি কামড়ায়।
আজ ২০ আগস্ট, বিশ্ব মশা দিবস। ১৮৯৭ সালের এই দিনে চিকিৎসক রোনাল্ড রস অ্যানোফিলিস মশাবাহিত ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেছিলেন।
পরবর্তী সময়ে তিনি এই আবিষ্কারের জন্য ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। মশাবাহিত রোগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।
|
|
|
|
|
|
|