প্রতিদিন ডালিম খেলে কী হয়?
ডালিমের পুষ্টির একটি শক্তিশালী উৎস। পুনিক্যালাজিন এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই, কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন এক বাটি ডালিম খেলে তা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগ দূরে রাখে।
ডালিম উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং প্রদাহজনক কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডালিমে থাকা পলিফেনল প্রদাহ-বিরোধী এবং ক্যান্সার-বিরোধী প্রভাব ফেলে।
ডালিমের পুষ্টিগুণ
১৭০ গ্রাম ডালিমে ১৪৫ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৪ গ্রাম শর্করা, ৭ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রাম চর্বি এবং দৈনিক ভিটামিন সি এর প্রায় ৩০%, ভিটামিন কে এর ৩৬% এবং ফোলেট (বি৯) ১৫% থাকে।
শক্তি বৃদ্ধিকারী
ডালিমে প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত শক্তি বাড়াতে পারে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। ডালিম খেলে তা কোষে অক্সিজেন প্রবাহ উন্নত করে। যারা ক্লান্তি বা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকিতে আছেন তাদের জন্য সহায়ক এই ফল।
ত্বকের জন্য ভালো
ডালিম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (যেমন পুনিক্যালাজিন এবং এলাজিক অ্যাসিড) ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ডালিমের উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড ও নরম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট UV রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে এবং ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যদিও এটি মিষ্টি, তবে ডালিমের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং পুরোটা খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এমনকি যারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের জন্যও এটি উপযুক্ত। পুনিক্যালাজিন এবং এলাজিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
|
ডালিমের পুষ্টির একটি শক্তিশালী উৎস। পুনিক্যালাজিন এবং অ্যান্থোসায়ানিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফল প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই, কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন এক বাটি ডালিম খেলে তা ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগ দূরে রাখে।
ডালিম উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস, হাইপারগ্লাইসেমিয়া এবং প্রদাহজনক কার্যকলাপ সহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডালিমে থাকা পলিফেনল প্রদাহ-বিরোধী এবং ক্যান্সার-বিরোধী প্রভাব ফেলে।
ডালিমের পুষ্টিগুণ
১৭০ গ্রাম ডালিমে ১৪৫ ক্যালোরি, ৩৩ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২৪ গ্রাম শর্করা, ৭ গ্রাম খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, ১ গ্রাম চর্বি এবং দৈনিক ভিটামিন সি এর প্রায় ৩০%, ভিটামিন কে এর ৩৬% এবং ফোলেট (বি৯) ১৫% থাকে।
শক্তি বৃদ্ধিকারী
ডালিমে প্রাকৃতিক ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ রয়েছে, যা প্রাকৃতিকভাবে দ্রুত শক্তি বাড়াতে পারে। এটি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেও সাহায্য করে। ডালিম খেলে তা কোষে অক্সিজেন প্রবাহ উন্নত করে। যারা ক্লান্তি বা রক্তস্বল্পতার ঝুঁকিতে আছেন তাদের জন্য সহায়ক এই ফল।
ত্বকের জন্য ভালো
ডালিম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। এর শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (যেমন পুনিক্যালাজিন এবং এলাজিক অ্যাসিড) ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ডালিমের উচ্চ জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড ও নরম রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট UV রশ্মির কারণে ত্বকের ক্ষতি মেরামত করতে এবং ট্যানিং কমাতে সাহায্য করে।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
যদিও এটি মিষ্টি, তবে ডালিমের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এবং পুরোটা খেলে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে পারে। এমনকি যারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে তাদের জন্যও এটি উপযুক্ত। পুনিক্যালাজিন এবং এলাজিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী।
|
|
|
|
গরমে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তবে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। ত্বকে ট্যান পড়া, ব্রণ, র্যাশের মতো সমস্যা এসময় সঙ্গী হয়। গরমে ত্বকের যত্নে তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
গরমে ত্বকের (Summer Skin Care) যে সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় তার মধ্যে ট্যান পড়া বা ত্বকে কালচে ছোপ পড়া অন্যতম। ত্বকের যেসব অংশ সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে আসে সেখানেই ট্যান পড়তে পারে। গরমের দিনে এই ট্যান দূর করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিতে ভরসা রাখতে পারেন।
রান্নাঘরে থাকা কিছু উপাদান দিয়েই ত্বকের কালচে ভাব দূর করা যায়। গরমে ত্বকের যত্নে কোন উপাদানগুলো ব্যবহার করবেন জানুন-
টক দই
ত্বক থেকে অল্প কয়েকদিনেই ট্যান দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে টক দই। এজন্য টক দইয়ের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকের যেসব জায়গায় ট্যান পড়েছে, সেখানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে নিন। কয়েকদিন ব্যবহার করলে দূর হবে ত্বকের কালচে দাগছোপ।
টক দই আর হলুদ মেশানো এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন, মুখে, গলায়, ঘাড়ে, হাতে, কনুই এবং পায়ের পাতায়। মূলত ত্বকের যেসব অংশ সূর্যরশ্মির সামনে খোলা থাকে, সেখানে ব্যবহার করতে পারেন টক দই আর হলুদ গুঁড়ো মেশানো এই মিশ্রণ। ট্যান পড়া জায়গায় শুধু টক দইও লাগাতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন। খুব সামান্য পরিমাণে টক দই ট্যান পড়া স্থানে লাগিয়ে নিন।
টমেটো
ট্যান দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন টমেটো। ত্বকের যেসব অংশে ট্যান পড়েছে, সেখানে টমেটোর রস লাগাতে পারেন। ত্বকে ভালো করে টমেটো ঘষে নিন। পরপর কয়েকদিন টমেটোর রস মাখলে সহজেই ত্বক থেকে কালচে দাগ দূর হবে।
গোসলের আগে ত্বকে টমেটোর রস ব্যবহার করুন। এরপর ভালোভাবে গোসল করে নিলেই হবে। চাইলে টমেটোর সঙ্গে সামান্য হলুদ গুঁড়া মেশাতে পারেন।
আলু
রান্নাঘরে থাকা সাধারণ একটি উপাদান আলু। ত্বকের ট্যান বা কালচে ছাপ দূর করতে দারুণ কাজ করে আলুর রস। এজন্য আলু কুঁচি করে নিন। এরপর বেটে বা ব্লেড করে সেখান থেকে রস নিংড়ে নিন। তারপর তুলার সাহায্যে ট্যান পড়া স্থানে আলুর রস লাগান।
রোদে পোড়া ত্বকে কয়েকদিন আলু ব্যবহার করলেই দাগছোপ অনায়াসে দূর হয়ে যাবে। এটি ত্বকের কালচেভাব দূর করার পাশাপাশি জেল্লাও বাড়াবে।
|
|
|
|
আপনি কি সবসময় ক্লান্ত অনুভব করেন? হজমের সমস্যা, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া, বা ইমিউনিটি দুর্বল হওয়া—সমস্যাগুলোর অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার গাট হেলথ। সুস্থ থাকতে এবং ত্বকের সমস্যা দূর করতে এক কার্যকরী পানীয় হতে পারে বিট কেভাস। চলুন জেনে নিই কীভাবে এটি তৈরি করবেন এবং এর উপকারিতা কী।
বিট কেভাস কী? কেভাস একটি প্রোবায়োটিক পানীয়, যা শুধু বিটরুট থেকেই তৈরি করা হয়। এই পানীয়টি ইউরোপে জনপ্রিয় হলেও, এখন বিশ্বজুড়ে এটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এর স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য। বিট কেভাস মূলত একটি ফারমেন্টেড পানীয়, যা গাট হেলথের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি তৈরি করা হয় বিটরুট, পানি এবং সামান্য লবণ দিয়ে, যা কয়েক দিন রেখে ফারমেন্ট করা হয়।
কেন বিট কেভাস খাবেন?
গাট হেলথ উন্নত করে: বিট কেভাসে প্রোবায়োটিকস থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং বদহজমের সমস্যা দূর করে। এটি গলব্লাডার পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। ইমিউনিটি বাড়ায়: বিটরুটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে: বিট কেভাসের ডিটক্সিফাইং প্রোপার্টি শরীর থেকে টক্সিন বের করে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। শক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দূর করে: বিটরুটে থাকা নাইট্রেট রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরে শক্তি যোগায়। হার্টের জন্য উপকারী: বিট কেভাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হার্টকে সুস্থ রাখে।
কীভাবে তৈরি করবেন?
২-৩টি বিটরুট ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। একটি পরিষ্কার কাচের জারে বিটরুটের টুকরাগুলো রাখুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি দিয়ে ঢেকে দিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য লবণ বা আদা যোগ করতে পারেন। জারটি ৩-৪ দিন রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন, যাতে এটি ফারমেন্ট হয়ে যায়। ফারমেন্ট হওয়ার পর, এটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পান করুন।
পান করার নিয়ম: যেকোনো সময় খাবারের আগে প্রতিদিন এক কাপ বিট কেভাস পান করুন। এক মাস খাওয়ার পর আপনি শারীরিক এবং ত্বকের পরিবর্তন স্পষ্টভাবে অনুভব করবেন। তবে, কিডনির সমস্যা থাকলে এটি এড়িয়ে চলুন।
|
|
|
|
ওজন কমাতে বা শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাহাঁটি একটি সহজ এবং কার্যকর শরীরচর্চা। নিয়মিত হাঁটলে শুধু ওজন কমে না, সেই সঙ্গে মানসিক চাপ কমে, হৃদযন্ত্র ভাল থাকে এবং হজম প্রক্রিয়াও উন্নত হয়। তবে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন থাকে—খালি পেটে হাঁটবেন, না ভরা পেটে? দু’ভাবেই ক্যালরি ঝরে, কিন্তু কোন পদ্ধতিতে বেশি উপকার?
খালি পেটে হাঁটা – ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’ পুষ্টিবিদরা বলেন যাদের মূল লক্ষ্য ওজন কমানো, তাদের খালি পেটে হাঁটাই উচিত। একে বলা হয় ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’।
খালি পেটে হাঁটার সময় শরীরে খাবার না থাকায় শক্তির জন্য গ্লুকোজ পাওয়া যায় না। তখন শরীর বাধ্য হয়ে জমে থাকা ফ্যাট ভাঙতে শুরু করে, যার ফলে ওজন দ্রুত কমে। এ ছাড়াও সকালে উঠে হাঁটলে সূর্যের প্রথম আলো থেকে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পায়, এবং হজমের সমস্যাও কমে যায়।
চিকিৎসকরা আরও ব্যাখ্যা করেন যে না খেয়ে হাঁটার সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। তখন লিভার গ্লাইকোজেন ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে পেশিগুলোকে শক্তি দেয়।
ভরা পেটে হাঁটা – হজমের সহায়ক খাওয়ার পরে হাঁটারও রয়েছে একাধিক উপকারিতা। এই সময় শরীর সদ্য খাওয়া খাবার থেকেই শক্তি নেয়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে—বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উপকারী। যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় এতে কম ক্যালরি ক্ষয় হয়, তবুও খাওয়ার পর মাত্র ১০-১৫ মিনিট হাঁটলেই হজমে সুবিধা হয় এবং গ্যাস-ব্লোটিংয়ের সমস্যা কমে।
যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য খালি পেটে হাঁটা বেশি উপযোগী। আর যারা হজমশক্তি বাড়াতে চান বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের জন্য খাওয়ার পর হালকা হাঁটাহাঁটি ভালো। শরীরের প্রয়োজন বুঝে হাঁটার সময় ঠিক করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
|
|
|
|
গর্ভাবস্থা মানেই বাড়তি যত্ন, শুধু নিজের নয়, ভবিষ্যতের একটি নতুন প্রাণেরও। এই সময়টাতে সঠিক খাবার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ স্বাস্থ্যকর পুষ্টিই নিশ্চিত করে মায়ের সুস্থতা এবং শিশুর সঠিক বৃদ্ধি। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম, মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষতিকর অভ্যাস (যেমন ধূমপান বা অ্যালকোহল) এড়িয়ে চলাও জরুরি। আজ আমরা জানবো এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে, যেগুলো বায়োটিনে সমৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মায়ের জন্য উপকারী।
মিষ্টি আলু বায়োটিনে ভরপুর এই খাবারটিকে বলা হয় প্রকৃতির পুষ্টি ভাণ্ডার। আধা কাপ রান্না করা মিষ্টি আলুতে প্রায় ২.৪ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন থাকে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে আঁশ, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে চাঙা রাখে। বেক, ভাজা বা ম্যাশ করে—যেকোনোভাবে সহজেই খাওয়া যায়। স্যুপ বা তরকারিতেও ব্যবহার করা যায়।
ডিমের কুসুম পুরো রান্না করা একটি ডিমে থাকে প্রায় ১০ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন। ডিমের কুসুম শুধু চুল ও নখের জন্য নয়, গর্ভাবস্থায় শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে দারুণ ভূমিকা রাখে। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কাঁচা ডিম না খাওয়াই ভালো।
কাঠবাদাম এক মুঠো কাঠবাদাম হতে পারে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও বায়োটিনের দুর্দান্ত উৎস। এটি গর্ভাবস্থার নানা জটিলতা কমাতে সহায়তা করে এবং ভ্রূণের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। তবে প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া নিরাপদ, তা চিকিৎসকের পরামর্শে ঠিক করাই ভালো।
পালং শাক সবুজ পাতার মধ্যে সবচেয়ে পুষ্টিকর হিসেবে বিবেচিত পালং শাকে রয়েছে ফোলেট, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং বায়োটিন। ১০০ গ্রাম পালং শাকে পাওয়া যায় প্রায় ৪.২৫ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন, যা গর্ভবতীদের জন্য দারুণ উপকারী।
কলা শক্তির দুর্দান্ত উৎস কলা, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি ছাড়াও এতে আছে বায়োটিন। একটি মাঝারি আকারের কলায় থাকে ০.২ থেকে ০.৬ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন, যা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
পরামর্শ গর্ভাবস্থায় খাদ্যতালিকায় নতুন কিছু যোগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ প্রতিটি নারীর শারীরিক চাহিদা ভিন্ন। নিরাপদ মাতৃত্বের পথে সবচেয়ে বড় সহায় হল ব্যক্তিগত সচেতনতা ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যাভ্যাস।
|
|
|
|
আপনার কি কখনো রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে বাইরে বেরিয়ে মনে হয়েছে যেন জ্বলন্ত চুলায় ঢুকে পড়েছেন? এটা কেবল অতিরিক্ত রোদ নয়; এটি একটি পূর্ণ শক্তির তাপপ্রবাহ। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে যাওয়া বা ভ্রমণ কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাহলে প্রচণ্ড রোদে বাইরে বেরোনো যখন লড়াইয়ের মতো মনে হয় তখন কীভাবে নিরাপদ থাকবেন? নিজেকে ঠান্ডা, হাইড্রেটেড এবং সুস্থ রাখার জন্য এখানে কিছু সহজ এবং ব্যবহারিক টিপস জেনে নিন-
১. পিক হিট এড়িয়ে চলুন
সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে বেশি থাকলে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন। যখন সম্ভব হয়, আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট, কাজ, এমনকী পর্যটন কার্যকলাপও এমন সময় নির্ধারণ করুন, যখন রোদ ও গরম কমে আসবে।
২. হাইড্রেশন
সারাদিন ধরে নিয়মিত পানি পান করুন, তাতে আপনার তৃষ্ণার মাত্রা যাই হোক না কেন। ঠান্ডা পানির একটি বোতল সঙ্গে রাখুন এবং সুযোগ পেলেই তা রিফিল করুন। খনিজ পদার্থের মাত্রা বজায় রাখার জন্য লবণ এবং চিনির ইলেক্ট্রোলাইট পানীয়, ডাবের পানি অথবা লেবুর শরবতও খেতে পারেন। এছাড়াও বায়ুযুক্ত পানীয় এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলো পুনরুজ্জীবিত করার চেয়ে বেশি শুষ্ক করে।
৩. উপযুক্ত পোশাক পরুন
গরমের সময় আপনার পোশাক স্টাইলের জন্য নয়; এটি একটি বেঁচে থাকার কৌশল। সুতি বা লিনেন জাতীয় ঢিলেঢালা, হালকা কাপড় পরুন। হালকা রঙের পোশাক পরুন যা সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। স্কার্ফ, ক্যাপ বা টুপি আপনার মাথা এবং ঘাড়কে সরাসরি সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি ছাতা বহন করুন। এমন সিন্থেটিক কাপড় এড়িয়ে চলুন যা তাপ আটকে রাখতে পারে এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
৪. সানস্ক্রিন
দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকা কেবল হিটস্ট্রোকের ঝুঁকিই ডেকে আনে না; এটি আপনার ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। একটি ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন (এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি) ব্যবহার করুন, এবং প্রতি কয়েক ঘণ্টা পরপর পুনরায় লাগাতে ভুলবেন না।
৫. পরিবহন পছন্দের ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান হোন
যদি আপনি গণপরিবহনে ভ্রমণ করেন, তাহলে সম্ভব হলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস বা ট্রেন ধরুন। তাপের সংস্পর্শ এড়াতে ছায়ার নিচ থেকে একটি ক্যাব নিন। আপনি যদি নিজে গাড়ি চালান, তাহলে গাড়ির এসি ভালোভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখুন এবং গাড়িতে প্রবেশ করার আগে বাতাস চলাচলের চেষ্টা করুন, বিশেষ করে যদি এটি রোদে থাকে।
|
|
|
|
আজ এপ্রিল মাসের তৃতীয় রোববার—একটি বিশেষ দিন, বিশেষ করে বিবাহিত নারীদের জন্য। কারণ আজ ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’, বাংলায় বললে, স্বামীর প্রশংসা করার দিন।
‘ডে`জ অব দ্য ইয়ার’–এর তথ্যমতে, প্রতিবছর এপ্রিলের তৃতীয় রোববার এই দিনটি উদযাপন করা হয়।
আমরা সবাই যেমন মা দিবস, বাবা দিবস বা ভালোবাসা দিবসের কথা জানি, তেমনভাবে এই দিবসের কথা অনেকেই জানি না। তাই হয়তো শুনতে একটু অচেনা লাগতে পারে, যা একেবারে স্বাভাবিক। কারণ এটি আন্তর্জাতিক নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় দিবস।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে দেখা যাচ্ছে “#স্বামীর_প্রশংসা_দিবস” হ্যাশট্যাগের জোয়ার। স্বামীরা পাচ্ছেন এক এক করে চমকপ্রদ শুভেচ্ছা ও ভালবাসার বার্তা। কেউ শেয়ার করছেন তাদের জীবনের মধুর স্মৃতি, কেউ আবার কৃতজ্ঞতায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তাদের জীবনসঙ্গীকে।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় দিবস হলেও উৎসব বা ভালোবাসা তো আর সীমানা মানে না। চাইলে আপনিও এই দিনটিকে ছোট্ট করে উদযাপন করতে পারেন।
বিভিন্ন মনোবিদের মতে, সম্পর্কের মধ্যে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ একটি সুস্থ ও সুখী দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে। তারা বলছেন যে একটি ছোট প্রশংসা কখনো কখনো একটি বড় বন্ধনের সূচনা হতে পারে।
স্বামীকে একটু প্রশংসা করা, তার ছোট ছোট ভালো গুণগুলো মনে করিয়ে দেওয়া—এই সামান্য ব্যাপারগুলো সম্পর্ককে করে তোলে আরও মজবুত, আরও গভীর।
উদযাপন করবেন কীভাবে?
খুব সাদামাটাভাবে, নিজের মতো করে। স্বামীর কোনো একটি গুণের প্রশংসা করে দিনটা শুরু করুন। তাকে ছোট কোনো উপহার দিতে পারেন। তার পছন্দের কোনো খাবার রান্না করতে পারেন। বিকেলের সময়টা একসঙ্গে কাটান, একটু ঘোরাঘুরিও হতে পারে। একটা ছোট ক্যান্ডেল লাইট ডিনারের আয়োজন করতে পারেন।
এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই আমাদের সম্পর্কগুলোকে করে তোলে আরও সুন্দর। হাসিমুখে বেঁচে থাকার পেছনে এমন সম্পর্কগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে।
আজকের এই দিনটি শুধুই একটি দিন নয়—বরং একটি সুযোগ, একে অপরকে মনে করিয়ে দেওয়ার যে, ভালোবাসা প্রকাশে কোনো সংকোচ নেই। ভালোবাসা, সম্মান আর কৃতজ্ঞতা—এই তিনেই গড়ে ওঠে একটি সুখী সংসার।
তাহলে, আজকের দিনটা একটু আলাদা করে কাটান—স্বামীর প্রশংসায়।
|
|
|
|
মাংস ম্যারিনেট করছেন দই আর লেবুর রস দিয়ে। লেবু চিপতেই ঘটল বিপত্তি। কয়েক ফোঁটা লেবুর রসের ছিটকে এসে লাগল চোখে। ব্যস, শুরু হলো চোখ জ্বালা।
দুপুরে ভাতের আর ডালের সঙ্গে লেবুর রস মেখে খেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু লেবু চিপতেই রস এসে লাগল চোখে। সঙ্গে সঙ্গে চোখ থেকে পানি ঝরা শুরু হলো। প্রায়ই এমন পরিস্থিতিতে পড়েন অনেকেই। চোখে লেবুর রস গেলে শুরু হয় অস্বস্তি।
চোখে লেবু ঢুকলে চোখ জ্বালা, অনবরত চোখ দিয়ে পানি পড়া, অস্বস্তি, চোখে খচখচানি চলতেই থাকে। বেশ কয়েকবার পানির ঝাপটা দিলে খানিকটা স্বস্তি মেলে। এরপর ধীরে ধীরে তা ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু চক্ষু চিকিৎসকদের মতে, এই স্বস্তি আসলে সাময়িক। লেবুর রস চোখে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, লেবুর রসে উচ্চ মাত্রার অ্যাসিড থাকে। একারণেই চোখ জ্বালা করে এবং বাকি সমস্যাগুলো হতে থাকে। এছাড়া এই অ্যাসিড সাময়িকভাবে দৃষ্টি ঝাপসা করে দিতে পারে। এমনকি লেবুর রস বেশি পরিমাণে চোখে গেলে বাড়াবাড়ি সমস্যা হতে পারে। তখন শুধু চোখে পানির ঝাপ্টা দিলে চলবে না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চোখে লেবুর রস প্রবেশ করলে কী করবেন তা জানিয়েছে চিকিৎসকরা।
লেবুর রস ঢুকলে চোখ কচলানো যাবে না।
সঙ্গে সঙ্গে চোখ খুলে পানির ঝাপ্টা দিতে হবে।
অপরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে চোখ মোছা যাবে না।
কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রাখলে ভালো।
|
|
|
|
ঈদ কিংবা যেকোনো উৎসবের রান্নায় শাহী স্বাদ যোগ হলে খাবারের আয়োজন যেন আরও বেশি পূর্ণতা পায়। কারণ উৎসব মানেই বাহারি সব খাবারের আয়োজন। ঈদের দিনের আয়োজনে রাখতে পারেন শাহী তেহারি। এটি তৈরির রেসিপি সাধারণ তেহারির মতো নয়। কারণ এর সঙ্গে যোগ করতে হয় বেশ কয়েক ধরনের উপকরণ। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক শাহী তেহারি রান্নার রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে
গরুর মাংস- দেড় কেজি
চাল- ৫০০ গ্রাম
বাদাম+পোস্ত বাটা- ২ চা চামচ
তেল ও ঘি- দেড় কাপ
পেঁয়াজ কুচি- দেড় কাপ
আদা ও রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ- ১৫-২০টি
টকদই ও ঘনদুধ- আধা কাপ করে
লবণ ও চিনি- স্বাদমতো
টমেটো সস- আধা কাপ
ধনিয়া ও জিরা গুঁড়া- ১ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ
গোলাপজল- ১ চা চামচ
এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়া- ২ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
গরম মাংস ছোট করে কেটে নিন। এবার সব মসলা দিয়ে মেখে রাখুন। পাত্রে তেল গরম করে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এবার তাতে মাংস রান্না করে নিন। অন্য পাত্রে তেলে চাল ভেজে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটে উঠলে রান্না করা মাংস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। এবার ঢেকে অল্প আঁচে দমে রাখুন বিশ মিনিট-আধা ঘণ্টার মতো।
|
|
|
|
কিডনিকে সুস্থ রাখা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। খাদ্যতালিকায় পুষ্টিকর খাবার যোগ করলে তা ডিটক্সিফাই হয়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা ঠিক রাখে। কিডনির জন্য উপকারী খাবার হাইড্রেট করে, রক্তচাপে ভারসাম্য বজায় রাখে এবং প্রাকৃতিকভাবে বিষাক্ত পদার্থ জমা হওয়া রোধ করে। তাই এমন খাবার সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো খেলে কিডনি ভালো থাকবে-
১. লাল বেল পেপার
কম পটাসিয়াম এবং উচ্চ ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ লাল বেল পেপার প্রদাহ কমায়, কিডনির কোষগুলোকে রক্ষা করে এবং সাধারণ কার্যকারিতায় সহায়তা করে। তাই কিডনি-বান্ধব খাবার খুঁজলে তালিকায় রাখতে পারেন এই সবজি।
২. রসুন
প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ রসুন কিডনির চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, সংক্রমণ দূরে রাখে এবং সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি কিডনিকে সুস্থ রাখার একটি দুর্দান্ত উপায়।
৩. পেঁয়াজ
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ পেঁয়াজ কিডনি পরিষ্কার, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রাকৃতিকভাবে পটাসিয়াম কম থাকে, যা কিডনি-বান্ধব খাদ্য হিসেবে বেশ উপকারী।
৪. বাঁধাকপি
ফাইবার, ফাইটোকেমিক্যাল এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বাঁধাকপি কিডনিকে ডিটক্সিফাই করে, হজমে সহায়তা করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি কমায়। সেইসঙ্গে এটি সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।
৫. ফুলকপি
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফুলকপি কিডনির কার্যকারিতায় সহায়তা করে। এটি টক্সিন জমা কমায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং প্রদাহ কমায়। সেইসঙ্গে পটাসিয়াম এবং ফসফরাসও কমায় যা কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
৬. ব্লুবেরি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ ব্লুবেরি কিডনিকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে, প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং মূত্রনালীর সুস্থতায় সহায়তা করে। এটি কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭. আপেল
ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ আপেল রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং কিডনির ডিটক্সিফিকেশন বজায় রাখে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি-সম্পর্কিত জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে।
৮. চর্বিযুক্ত মাছ
স্যামনের মতো চর্বিযুক্ত মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এ ধরনের মাছ রক্তচাপ কমায়, প্রদাহ কমায় এবং কিডনির কার্যকারিতা বজায় রাখে। নিয়মিত চর্বিযুক্ত মাছ খেলে হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
|
|
|
|
লবঙ্গের স্বাদ এবং সুগন্ধ অনেকেরই পছন্দের। এই ছোট কালো মসলা অনেক রান্নায়ই ব্যবহার করা হয়। তরকারি থেকে শুরু করে মিষ্টি পর্যন্ত, লবঙ্গ স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটি অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর। তবে কেবল আস্ত লবঙ্গ নয়, এর পানিও স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। ঘুমানোর আগে এই পানি পান করলে আরও বেশি উপকার পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবঙ্গ ভেজানো পানি পান করার উপকারিতা-
১. হজমে সহায়তা করে
অনেকে রাতে পেট ফাঁপা এবং গ্যাসের মতো হজমের সমস্যায় ভোগেন। যদি আপনিও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে লবঙ্গ পানি পান করতে পারেন। এটি হজমের সমস্যার জন্য একটি গেম-চেঞ্জার হতে পারে। জার্নাল অফ ফার্মাকগনোসি অ্যান্ড ফাইটোকেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, লবঙ্গ ডায়রিয়া এবং গ্যাস্ট্রিক উপশম করতে কার্যকর। এটি হজমে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আপনি কি ঘন ঘন অসুস্থ হন? যদি তাই হয়, তাহলে এটি দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে লবঙ্গের মতো মসলা বেছে নিতে পারেন। যেহেতু লবঙ্গ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, তাই এর পানি ক্ষতিকারক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা উন্নত করতে পারে। ঘুমানোর সময়, লবঙ্গের পানি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে।
৩. আরাম করতে সাহায্য করে
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (NIH) অনুসারে, লবঙ্গে ইউজেনল নামক একটি যৌগ থাকে, যা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে পরিচিত। ঘুমানোর আগে লবঙ্গের পানি পান করলে আরাম বোধ করতে পারেন, যা রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করে। এটি আরও আরামদায়ক করার জন্য আপনি খাওয়ার আগে পানি সামান্য গরম করে নিতে পারেন।
৪. মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে
ইউজেনলের পরিমাণের কারণে, লবঙ্গ মুখের স্বাস্থ্যের জন্যও আশ্চর্যজনক উপকারিতা প্রদান করে। ইউজেনলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মুখে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। ঘুমানোর আগে খাওয়া হলে, এটি মুখ ব্যাকটেরিয়ামুক্ত রাখবে।
৫. লিভারকে বিষমুক্ত করে
লবঙ্গের পানি পান করার অভ্যাস আপনার লিভারকে বিষমুক্ত করতেও সাহায্য করতে পারে। NIH-এর একটি গবেষণা অনুসারে, লবঙ্গে পাওয়া ইউজেনল লিভারকে আঘাতের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এটি প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা লিভারের ক্ষতির প্রধান কারণ। যদি আপনার লিভারের সমস্যা থাকে, তাহলে ঘুমানোর রুটিনে লবঙ্গ ভেজানো পানি পান করুন।
|
|
|
|
বসন্তের প্রথম দিন ফুলের সাজে কাটানো যেন একটা রেওয়াজ হয়ে উঠেছে। ফাল্গুনে হলুদ, হলদেটে, বাসন্তী বা গেরুয়া পোশাকের প্রাধান্য দেখা যায়। তবে সুন্দর পোশাক পরলেই হবে না, সে সঙ্গে সাজটাও হতে হবে মানানসই।
গতবারের মতো এবারও ভালোবাসা দিবসের দিনই পালিত হতে চলেছে বসন্ত। এদিন কে কোন পোশাক পরবেন কিংবা কীভাবে সাজবেন এ নিয়ে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সবাই উচ্ছ্বসিত থাকেন। এ যেন এক উৎসব।
কেউ বাঙালির আবহমান রীতিতে নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন। কেউ আবার চান ভিন্নতা, নিজেকে করে তুলতে চান ‘অনন্য’। মন যেমনটা চায়, তেমনটাই হোক আপনার সাজ। প্রাণের উচ্ছ্বাসে উপভোগ্য হয়ে উঠুক বসন্তের প্রতিটা দিন।
বিগত কয়েক বছরে বসন্তের সাজ-ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। আগে হলুদ, কমলা বা বাসন্তি রঙের পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। তবে এখন বাহারি রঙের পোশাকেও বসন্ত বরণ করা হয়।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এবারের বসন্ত বরণে কেমন হবে আপনার সাজ-পোশাক-
বসন্ত বরণের পোশাক হিসেবে শাড়িকেই বেশি প্রাধান্য দেন নারীরা। তবে এবার শাড়ির পাশাপাশি ফ্যাশনে আরও আছে কুর্তি, স্কার্ট, সারারা, এমনকি জিনস-টপসও। আপনি পছন্দসই পোশাক পরতে পারেন। একরঙা শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ না মিললেও সমস্যা নেই।
ফুলের গয়না পরতে চাইলে শাড়ির সঙ্গে ভারী কোনো জুয়েলারি পরবেন না। গলায়, হাতে ও কানে গয়না হিসেবে পছন্দমতো যে কোনো ফুলই ব্যবহার করতে পারেন।
বর্তমানে ফুলের হেডব্যান্ডেরও চল বেড়েছে। এটি পরতে পারেন। হালকা ধাঁচের নকশার পোশাকের সঙ্গে ফুলের গয়না পরলে ফুলের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। তবে কেউ কেউ চাইলে একটু ভারী নকশার শাড়ির সঙ্গে ফুল দিয়ে হালকাভাবেও সাজতে পারেন।
এদিন শাড়ির সঙ্গে খোঁপা বা বেণী বেশ মানিয়ে যায়। খোঁপায় রাখতে পারেন গাঁদা ফুল। সঙ্গে লাল টিপ দিন কপালে। রঙিন ফুলের সাজে পাবেন বসন্তের আমেজ। চুল খোলা রাখলেও এক পাশে ফুল দিতে পারেন। চুলের জন্য বড় আকারের ফুল বেছে নিলে একটিই যথেষ্ট।
গয়নাও রাখুন হালকা ধাঁচের। আর ছোট আকারের হলে অবশ্য একাধিক ফুল নিতে পারেন। চুলের বেণীতে ফুল জড়ানো যেতে পারে নানাভাবে। ফুলের মালা কিংবা আটকে নিতে পারেন নানা আকারের ছোট-বড় ফুল। বেণীও সাজাতে পারেন ফুল দিয়ে।
মেকআপের ক্ষেত্রে আবহাওয়া দেখে নিন। সাজে ন্যুড রং, বাদামি, লাল, মেরুন, গেরুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজে আনতে পারেন সবুজের ছোঁয়া। আর দিনের মেকআপে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
দু’হাত ভর্তি করে বিভিন্ন রঙের কিংবা একরঙা কাচের চুরি পরুন। শুধু শাড়ি নয় বরং সালোয়ার কামিজ, সারারা কিংবা কুর্তির সঙ্গে কাচের চুরি বেশ মানিয়ে যায়।
চিরায়ত সাজের বাইরে অন্য রকম কিছু করতে চাইলে বৈশ্বিক ধারাকে গ্রহণ করা যায়।
|
|
|
|
সৌন্দর্যচর্চায় ফেসিয়ালের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো ত্বকে স্টিম বা গরম পানির ভাপ নেওয়া। ক্লিনজিং ও এক্সফোলিয়েশনের পর গরম পানির ভাপ ত্বকের রন্ধ্র বা পোরস উন্মুক্ত করে, যা ধুলাময়লা পরিষ্কার করতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে স্টিম নেওয়ার নিয়ম ও সময়সীমা জানা খুবই জরুরি।
রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, স্টিমের নির্দিষ্ট নিয়ম ও সময়সীমা আছে। অতিরিক্ত স্টিম ত্বকের ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে ত্বকের ধরন অনুযায়ী সময় নির্ধারণ না করলে। তৈলাক্ত ত্বকে অতিরিক্ত স্টিম ব্রণ বাড়িয়ে দিতে পারে, আবার সংবেদনশীল ত্বকে বেশি স্টিম অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
রূপবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন—গরম বাষ্প ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং ত্বকের পোরস খুলে দেয়, ফলে ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার সহজেই ত্বকের গভীরে যেতে পারে। শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে স্টিম থেরাপি সহায়ক, আবার ত্বকে কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বয়সের ছাপ কমাতেও সাহায্য করে।
বাড়িতে যেভাবে স্টিম নিবেন—
প্রথমে পানি ভালভাবে ফুটিয়ে অন্য একটি পাত্রে ঢেলে নিন। কয়েক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে পাত্রের উপর মুখ ঝুঁকিয়ে রাখুন, তবে খুব কাছাকাছি নয়। প্রথমে ৩০ সেকেন্ড স্টিম নিন, তারপর এক মিনিট। কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে আরও ২ মিনিট স্টিম নিতে পারেন।
সতর্কতা:
অ্যালার্জি প্রবণ বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য স্টিম উপযুক্ত নয়। ত্বকের ধরন বুঝে স্টিম নেওয়া উচিত। ১২-১৫ ইঞ্চি দূর থেকে স্টিম নেওয়া ভালো। বেশি সময় স্টিম নেওয়া উচিত নয়, ৫-৭ মিনিট যথেষ্ট। প্রতিদিন না নিয়ে সপ্তাহে একদিন স্টিম নিন। ত্বকের সঠিক যত্নের জন্য পরিষ্কার রাখা জরুরি। স্টিমিং ত্বকের গভীর পরিচর্যা করে এবং সুস্থ, উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করে। নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বকের স্বাস্থ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসে্
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর কিছু সংকেত দেয়, যা দ্রুত চিনতে পারলে বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। অনেক সময় এগুলো অবহেলা করা হয়, কিন্তু সচেতন থাকলে জীবন রক্ষা করা যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের পূর্ববর্তী কিছু লক্ষণ বা সতর্ক সংকেত—
বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি: এটি হৃদরোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। এটি চাপ, জ্বালাপোড়া বা সংকোচনের মতো অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে, যা মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়া, এমনকি বিশ্রামের পরও স্বাভাবিক অনুভব না করা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। নারীদের ক্ষেত্রে এ লক্ষণটি বেশি দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট: ব্যায়াম ছাড়াই শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুক ভরে শ্বাস নিতে না পারা। এটি শুধুমাত্র ফুসফুসের সমস্যা নয়, বরং হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিতও হতে পারে। কাঁধ, বাহু, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা: বিশেষত বাম হাতে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় ও চোয়ালে চাপ অনুভূত হতে পারে এবং ব্যথা সময়ের সাথে বাড়তে পারে। মাথা ঘোরা ও বমিভাব: সামান্য পরিশ্রমেই মাথা ঝিমঝিম করা, ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি। বুক ব্যথার সঙ্গে বমিভাব থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ঠান্ডা ঘাম: বিনা কারণে ঘাম হওয়া বা শরীর ঠান্ডা অনুভব করা। বিশেষ করে নারীদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়। অনিয়মিত হার্টবিট: হৃদস্পন্দন দ্রুত বা ধীর হওয়া, বুক ধড়ফড় করা, কখনো কখনো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসার অনুভূতি। পেটের সমস্যা ও হজমের অসুবিধা: পেটে ব্যথা, গ্যাস, বুক জ্বালাপোড়া, হঠাৎ পেট ভারী লাগা বা খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া। অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি মনে করে ভুল করেন। এগুলো হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের সংকেত।
কখন সতর্ক হবেন?
যদি একাধিক উপসর্গ একসাথে দেখা দেয়। ব্যথা বা অস্বস্তি ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়। বিশ্রাম বা ওষুধ খাওয়ার পরও স্বস্তি না পাওয়া যায়।
প্রতিরোধের উপায়
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন (কম চর্বিযুক্ত ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খান)। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করুন। ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার করুন। স্ট্রেস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে।
|
|
|
|
শীতল ও শুষ্ক মৌসুমে ত্বকে শুষ্কতার প্রভাব সহজেই দেখা দেয়। তবে রাতে ঘুমানোর আগে সামান্য সময় ব্যয় করে এবং ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেই ত্বক রাখা সম্ভব সতেজ ও উজ্জ্বল। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন রূপবিশেষজ্ঞরা।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পার্লারে না গিয়ে ঘরোয়াভাবেই যত্ন করুন। মাত্র দুটি উপাদানের নিয়মিত ব্যবহারে পেতে পারেন নজরকাড়া উজ্জ্বলতা।
লেবুর রস মুখের কালো দাগ, রোদে পোড়া দাগ ও নির্জীব ভাব দূর করতে লেবুর রস খুবই কার্যকর। পরিষ্কার ত্বকে সরাসরি লেবুর রস মালিশ করুন।
মরা কোষ দূর করতে চাইলে লেবুর রসের সঙ্গে চালের গুঁড়া বা চিনি মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এটি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
চন্দনের গুঁড়া লেবুর রস ব্যবহারের পর ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বাড়াতে ব্যবহার করুন চন্দন। প্রথমে লেবুর রস দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর চন্দনের পেস্ট মালিশ করুন।
পেস্ট তৈরি করতে চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। ত্বকে এই পেস্ট ভালো করে লাগিয়ে ঘন প্রলেপ দিন। ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। পরে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম লাগাতে ভুলবেন না।
দ্রুত ফলাফল পেতে রাতে ঘুমানোর আগে লেবু ও চন্দনের পেস্ট ব্যবহার করুন। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতায় পার্থক্য দেখতে পাবেন।
|
|
|
|
আসছে নতুন বছরে ঘরের অন্দর সজ্জায় পরিবর্তন আনবেন অনেকে। নতুন বছরে নতুন কিছু করলে বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আসবে বলেও মনে করেন অনেকে। অন্দর সজ্জায় পরিবর্তনে একটি অংশ জুড়ে থাকে ঘরে পর্দা। নতুন বছরে কোথায় কোন রঙের পর্দা ব্যবহার করবেন? জেনে নিন।
» উত্তরমুখী ঘরে নীল রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। দক্ষিণমুখী ঘরের পর্দার রং হবে লাল। ইচ্ছে করলে হালকা হলুদ রংও বেছে নিতে পারেন।
» ঘর যদি পুর্বমুখী হয়, তা হলে ঘরের দেওয়ালে সবুজ রঙের পর্দা ব্যবহার করুন। এতে সুখ-সমৃদ্ধি আসবে সংসারে। পশ্চিমমুখী ঘর হলে পর্দার রং অবশ্যই যেন হয় দুধ সাদা।
» ড্রয়িং রুমে বাদামি, ক্রিম, এই ধরনের রং ব্যবহার করুন। রান্নাঘরে লাল, কমলা রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।
» তবে বেডরুমের দেওয়ালের পর্দার রং সব সময়ে হালকা রাখা উচিত, এতে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক আরও মধুর হয়ে উঠবে। যেমন হালকা গোলাপি, নীল, সাদা- এ ধরনের রং ব্যবহার করতে হবে।
» বাস্তুমতে ঘরের দেওয়ালে দু’টি স্তরের পর্দা ব্যবহার করা খুব শুভ বলে মানা হয়। এতে ঘরের ভিতর একটা পজেটিভ ভাইভ আসবে।
|
|
|
|
|
|
|
|