বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * জামায়াত ক্ষমতায় গেলে সবাই শান্তিতে বসবাস করবে : ডা. শফিকুর রহমান   * বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন চাইলেন মমতা   * ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাইছেন ড. ইউনূস   * ইউক্রেনের আরও দুই অঞ্চল দখলে নিলো রুশ বাহিনী   * ছেলেকে শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন   * দেশে জিকা ভাইরাসের ১১, চিকুনগুনিয়ার ৬৭ রোগী শনাক্ত   * মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ শুরু   * স্বজনতোষণের পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল সরকার : ড. দেবপ্রিয়   * মৃত্যুর সম্ভাব্য সময় বলে দেয় নতুন এই অ্যাপ   * বোলিংয়ে অনন্য রেকর্ড সিলসের  

   ফিচার -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
ঘুরে আসুন লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখির রাজ্য

বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠা ডুবোচর দেশের পর্যটনে একটি নতুন দিগন্ত। ব্যাপক সম্ভাবনার আলো ছড়াচ্ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে। এ চরে রয়েছে অতিথি পাখি আর লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। চারদিকে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি। আকাশ জুঁড়ে পাখা মেলে উড়ছে অতিথি পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে গাঙচিল। সমুদ্রের বুকে ভাসছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। এমন দৃশ দেখতে হলে চলে আসুন কুয়াকাটায়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সমুদ্র পথে ফাইভার বোট অথবা স্পিড বোট নিয়ে চলে যান চরবিজয়।

বছরের বর্ষা মৌসুমে চরটি পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে যায়। শীত মৌসুমে সমুদ্রের পানি কমে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে চরবিজয়। ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা এই চরে ভ্রমণ করে অনেকটা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। চরবিজয় বাংলাদেশের অধিভুক্ত বঙ্গোপসাগরের তট হতে বিচ্ছিন্ন একটি ছোট দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৫ হাজার একরের মত। স্থানীয় মানুষের এবং জেলের কাছে এই চরটি হাইরেরচর নামে পরিচিত। চরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ২০১৭ সালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক চরটির সরকারি মালিকানা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি চরটি রক্ষার ও উন্নয়নের কাজ করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।


ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, চরবিজয় আমাদের দেশের সম্পদ। এই দ্বীপের চার পাশের সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, এখানে রয়েছে লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখি। এগুলো পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। এখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের সরল-সৌন্দর্যে আনন্দিত হবে যেকোন পর্যটক। বিশাল আকৃতির এই চরের সাথে স্থানীয় জেলেদের জীবন জীবিকার একটি বড় অংশ মিশে আছে। কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণ পূর্ব কোণে চরটির অবস্থান। কুয়াকাটার যতগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার ভিতর চরবিজয় অন্যতম। একদিকে একজন পর্যটক সমুদ্র পথে নৌভ্রমনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে অন্য দিকে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠা চরের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবে। তার উপর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখির রাজ্যের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তাদের মুগ্ধ করবে।


স্থানীয় জেলেদের কাছে পরিচিত হাইরেরচর নামে ২০১৭ সালে সমুদ্র ভ্রমণকালে কয়েকজন পর্যটকের নজরে পরে চরটি। তারা এখানে নেমে পুরো চরটি ঘুরে দেখেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পরলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সমাজ সেবক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা মিলে চরটি পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। চরটি পরিদর্শন করে বিস্তারিত জেনে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটির নামকরণ করা হয় ‘চরবিজয়’।


ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রোকন রাইয়ান বলেন, চরবিজয় আমার কাছে এক দুর্দান্ত স্পট মনে হয়েছে। চারপাশে জলরাশি, মাঝখানে ছোট্ট এক দ্বীপের সৌন্দয্যের তুলনা হয় না। এখানকার বড় ভালো লাগার বিষয় হলো হাজার হাজার অতিথি পাখি। ঝাকে ঝাকে ঘোরাফেরা করছে। সাথে আছে অসংখ্য লাল কাঁকড়া। এমন অসাধারণ দৃশ্য আর কোথাও আমরা দেখিনি। আমরা ৮জন পর্যটক ছিলাম, সবার অনুভূতি ছিল বেশ মজার। তবে এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ করতে হবে। ফাইভার বোট ও স্পিডবোটের ভাড়া যদি পর্যটকদের নাগালে রাখা যায় আমি মনে করি হাজার হাজার পর্যটক শীত মৌসুমে সম্ভাবনাময় নতুন এ দ্বীপ ঘুরতে যাবেন।


চরবিজয় ভ্রমণে গেলে দূর থেকে মনে হবে লাল কাঁকড়ার গালিচা বিছানো। লাল কাকড়ার বিচরণ দেখে মনে হয় পুরো চর লাল রংয়ে সাজানো হয়েছে। এ যেন লাল কাঁকড়ার মিলন মেলা বসেছে পুরো চর জুড়ে। যে কারো কাছে মনে হবে এই চরটি লাল কাঁকড়ার রাজ্য। এখানে লাল কাঁকড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির ঝাঁক চোখে পড়বে। একের পর এক অতিথি পাখি ঝাঁক এসে বসছে চরে। সাদা বর্ণের গাঙচিল পাখিগুলো উড়ছে আকাশ জুড়ে। এমন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে চাইলে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা সকল পর্যটকদের যেতে হবে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠা চরবিজয়।


চারদিকে বিশাল জলরাশি তার ভিতর এক টুকরো চর, যেনো এক অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়ার রাজ্য। এখানে নেই কোন কোলাহল। একে অপরের সাথে কি সুন্দর প্রকৃতির মেলবন্ধন। অতিথি পাখি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখে মনে হবে পুরো চরের মালিকানা যেন লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখিদের। এখান থেকে তাকালে এই দ্বীপটির চার দিকে অসংখ্য জেলেদের মাছ শিকারের ছোট বড় নৌকা এবং ট্রলারের দেখা মিলবে। এই চরে অনেক সময় জেলেরা সারাদিন মাছ শিকার করে রাত্রে এখানে অবস্থান করেন আবার দিনেও কেউ কেউ বিশ্রামের জন্য আসেন।


জেলে সালাম চৌকিদার বলেন, এই চরে আমরা মাছ ধরি। এখানে অনেক মাছ পাওয়া যায়। এই চরে আগে কেউ আসতো না এখন অনেকে এখানে ঘুরতে আসে। আমাদের নৌকা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যায়। অনেকে আবার আমাদের নৌকায় রান্না করেও খেতে চায়, আমরা তখন রান্না করে দেই।


মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছরে চরবিজয় বনায়নের জন্য ঝাউগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়। গাছের চারাগুলো যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমাদের বনবিভাগের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরও গাাছ লাগানো হবে। চরটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা এখানে আসে। আমাদের বনবিভাগের পক্ষ থেকে পর্যটকদের কাছে অনুরোধ তারা যেন লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখিসহ এখানকার জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি না করে। বনবিভাগের পাশাপাশি তারাও যেন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতন হয়।


ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান চরবিজয়। গভীর সমুদ্রের জেগে ওঠা চর এখানে রয়েছে লাল কাঁকড়ার আর অতিথি পাখির সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটক এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ফাইভার বোট এবং স্পিড বোটের মাধ্যমে এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে যায় এবং যে সমস্ত বোট মালিক চালক রয়েছে তাদেরকে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে, প্রত্যেক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিটি বোটে ধারণ ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠানো এবং লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে। দক্ষ চালক, প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন চালিত তেল, মবিল, যন্ত্রপাতি বোটে রাখতে হবে যাতে করে চরবিজয় আসা যাওয়ার মাঝে কোন ধরণের বিড়ম্বনা পোহাতে না হয় পর্যটকদের।


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার চরবিজয় পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আর্কষণীয় দর্শনীয় স্থান। এখানে সমুদ্র পথে নৌভ্রমণের একটা বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই চরের বিশেষ আর্কষণ হাজার হাজার অতিথি পাখি এবং লাল কাঁকড়া। যেগুলো লোকালয় সচারাচর দেখা মিলে না। বিশেষ করে শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে অতিথি পাখি আসে এই চরে। এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে আসে তাদের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ২টি টয়লেট এবং একটি যাত্রী ছাউনি তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে করে পর্যটকরা এটি ব্যবহার করতে পারে।

ঘুরে আসুন লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখির রাজ্য
                                  

বঙ্গোপসাগরের বুকচিরে জেগে ওঠা ডুবোচর দেশের পর্যটনে একটি নতুন দিগন্ত। ব্যাপক সম্ভাবনার আলো ছড়াচ্ছে সাগরকন্যা কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে। এ চরে রয়েছে অতিথি পাখি আর লাল কাঁকড়ার অবাধ বিচরণ। চারদিকে সমুদ্রের বিশাল জলরাশি। আকাশ জুঁড়ে পাখা মেলে উড়ছে অতিথি পাখি। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে গাঙচিল। সমুদ্রের বুকে ভাসছে শত শত মাছ ধরার ট্রলার। এমন দৃশ দেখতে হলে চলে আসুন কুয়াকাটায়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে সমুদ্র পথে ফাইভার বোট অথবা স্পিড বোট নিয়ে চলে যান চরবিজয়।

বছরের বর্ষা মৌসুমে চরটি পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে যায়। শীত মৌসুমে সমুদ্রের পানি কমে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে জেগে ওঠে চরবিজয়। ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা এই চরে ভ্রমণ করে অনেকটা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। চরবিজয় বাংলাদেশের অধিভুক্ত বঙ্গোপসাগরের তট হতে বিচ্ছিন্ন একটি ছোট দ্বীপ। এর আয়তন প্রায় ৫ হাজার একরের মত। স্থানীয় মানুষের এবং জেলের কাছে এই চরটি হাইরেরচর নামে পরিচিত। চরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ২০১৭ সালে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক চরটির সরকারি মালিকানা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি চরটি রক্ষার ও উন্নয়নের কাজ করার নির্দেশনা দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের।


ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, চরবিজয় আমাদের দেশের সম্পদ। এই দ্বীপের চার পাশের সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, এখানে রয়েছে লাল কাঁকড়া এবং অতিথি পাখি। এগুলো পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। এখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের সরল-সৌন্দর্যে আনন্দিত হবে যেকোন পর্যটক। বিশাল আকৃতির এই চরের সাথে স্থানীয় জেলেদের জীবন জীবিকার একটি বড় অংশ মিশে আছে। কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণ পূর্ব কোণে চরটির অবস্থান। কুয়াকাটার যতগুলো দর্শনীয় স্থান রয়েছে তার ভিতর চরবিজয় অন্যতম। একদিকে একজন পর্যটক সমুদ্র পথে নৌভ্রমনের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে অন্য দিকে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠা চরের মনোরম দৃশ্য দেখতে পাবে। তার উপর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখির রাজ্যের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা তাদের মুগ্ধ করবে।


স্থানীয় জেলেদের কাছে পরিচিত হাইরেরচর নামে ২০১৭ সালে সমুদ্র ভ্রমণকালে কয়েকজন পর্যটকের নজরে পরে চরটি। তারা এখানে নেমে পুরো চরটি ঘুরে দেখেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পরলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং সমাজ সেবক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা মিলে চরটি পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। চরটি পরিদর্শন করে বিস্তারিত জেনে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটির নামকরণ করা হয় ‘চরবিজয়’।


ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রোকন রাইয়ান বলেন, চরবিজয় আমার কাছে এক দুর্দান্ত স্পট মনে হয়েছে। চারপাশে জলরাশি, মাঝখানে ছোট্ট এক দ্বীপের সৌন্দয্যের তুলনা হয় না। এখানকার বড় ভালো লাগার বিষয় হলো হাজার হাজার অতিথি পাখি। ঝাকে ঝাকে ঘোরাফেরা করছে। সাথে আছে অসংখ্য লাল কাঁকড়া। এমন অসাধারণ দৃশ্য আর কোথাও আমরা দেখিনি। আমরা ৮জন পর্যটক ছিলাম, সবার অনুভূতি ছিল বেশ মজার। তবে এখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ করতে হবে। ফাইভার বোট ও স্পিডবোটের ভাড়া যদি পর্যটকদের নাগালে রাখা যায় আমি মনে করি হাজার হাজার পর্যটক শীত মৌসুমে সম্ভাবনাময় নতুন এ দ্বীপ ঘুরতে যাবেন।


চরবিজয় ভ্রমণে গেলে দূর থেকে মনে হবে লাল কাঁকড়ার গালিচা বিছানো। লাল কাকড়ার বিচরণ দেখে মনে হয় পুরো চর লাল রংয়ে সাজানো হয়েছে। এ যেন লাল কাঁকড়ার মিলন মেলা বসেছে পুরো চর জুড়ে। যে কারো কাছে মনে হবে এই চরটি লাল কাঁকড়ার রাজ্য। এখানে লাল কাঁকড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখির ঝাঁক চোখে পড়বে। একের পর এক অতিথি পাখি ঝাঁক এসে বসছে চরে। সাদা বর্ণের গাঙচিল পাখিগুলো উড়ছে আকাশ জুড়ে। এমন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে চাইলে কুয়াকাটায় ভ্রমণে আসা সকল পর্যটকদের যেতে হবে গভীর সমুদ্রে জেগে ওঠা চরবিজয়।


চারদিকে বিশাল জলরাশি তার ভিতর এক টুকরো চর, যেনো এক অতিথি পাখি ও লাল কাঁকড়ার রাজ্য। এখানে নেই কোন কোলাহল। একে অপরের সাথে কি সুন্দর প্রকৃতির মেলবন্ধন। অতিথি পাখি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখে মনে হবে পুরো চরের মালিকানা যেন লাল কাঁকড়া আর অতিথি পাখিদের। এখান থেকে তাকালে এই দ্বীপটির চার দিকে অসংখ্য জেলেদের মাছ শিকারের ছোট বড় নৌকা এবং ট্রলারের দেখা মিলবে। এই চরে অনেক সময় জেলেরা সারাদিন মাছ শিকার করে রাত্রে এখানে অবস্থান করেন আবার দিনেও কেউ কেউ বিশ্রামের জন্য আসেন।


জেলে সালাম চৌকিদার বলেন, এই চরে আমরা মাছ ধরি। এখানে অনেক মাছ পাওয়া যায়। এই চরে আগে কেউ আসতো না এখন অনেকে এখানে ঘুরতে আসে। আমাদের নৌকা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যায়। অনেকে আবার আমাদের নৌকায় রান্না করেও খেতে চায়, আমরা তখন রান্না করে দেই।


মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বছরে চরবিজয় বনায়নের জন্য ঝাউগাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্যায়। গাছের চারাগুলো যদি বেঁচে থাকে তাহলে আমাদের বনবিভাগের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে আরও গাাছ লাগানো হবে। চরটির সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকরা এখানে আসে। আমাদের বনবিভাগের পক্ষ থেকে পর্যটকদের কাছে অনুরোধ তারা যেন লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখিসহ এখানকার জীববৈচিত্র্যের কোন ক্ষতি না করে। বনবিভাগের পাশাপাশি তারাও যেন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতন হয়।


ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কুয়াকাটার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান চরবিজয়। গভীর সমুদ্রের জেগে ওঠা চর এখানে রয়েছে লাল কাঁকড়ার আর অতিথি পাখির সৌন্দর্য যে কোনো পর্যটক এমন দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে ফাইভার বোট এবং স্পিড বোটের মাধ্যমে এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে যায় এবং যে সমস্ত বোট মালিক চালক রয়েছে তাদেরকে আমাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে, প্রত্যেক পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্য অবশ্যই প্রতিটি বোটে ধারণ ক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী না ওঠানো এবং লাইফ জ্যাকেট থাকতে হবে। দক্ষ চালক, প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন চালিত তেল, মবিল, যন্ত্রপাতি বোটে রাখতে হবে যাতে করে চরবিজয় আসা যাওয়ার মাঝে কোন ধরণের বিড়ম্বনা পোহাতে না হয় পর্যটকদের।


কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটার চরবিজয় পর্যটকদের কাছে একটি অন্যতম আর্কষণীয় দর্শনীয় স্থান। এখানে সমুদ্র পথে নৌভ্রমণের একটা বিশাল সুযোগ রয়েছে। এই চরের বিশেষ আর্কষণ হাজার হাজার অতিথি পাখি এবং লাল কাঁকড়া। যেগুলো লোকালয় সচারাচর দেখা মিলে না। বিশেষ করে শীত মৌসুমে প্রচুর পরিমাণে অতিথি পাখি আসে এই চরে। এখানে যে সমস্ত পর্যটকরা ভ্রমণে আসে তাদের কথা চিন্তা করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ২টি টয়লেট এবং একটি যাত্রী ছাউনি তৈরী করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে করে পর্যটকরা এটি ব্যবহার করতে পারে।

দেড় কোটি জনসংখ্যার দেশে ৮৫০ ভাষা
                                  

আমাদের দেশে বাংলার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভাষার ব্যবহার রয়েছে। যদিও সেগুলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষা। যা সেই গোষ্ঠীর বাইরে কেউ ব্যবহার করে না। এথ্নোলগ-এর ২১তম সংস্করণ (২০১৮) অনুসারে বাংলাদেশে ৪১টি ভাষা প্রচলিত আছে সবকটি ভাষাই জীবিত। তবে বাংলার প্রচলনই সবচেয়ে বেশি।

তবে বিশ্বের এমন একটি দেশ আছে যেখানে জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ। কিন্তু তাদের ভাষা ৮৫০টি। অর্থাৎ ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষ কথা বলেন ৮৫০টি ভাষায়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেই রয়েছে ২২টি ভাষার প্রচলন। অবশ্য প্রায় দেড়শো কোটি মানুষের বাস রয়েছে যে দেশে, সেখানে বৈচিত্র্যের পরিমাণও যে বেশি হবে- সেটাই স্বাভাবিক। তবে মাত্র কয়েক লাখ মানুষ যেখানে বাস করে, সেখানে কয়েকশো ভাষার ব্যবহার নিঃসন্দেহে অবাক করার মতো একটি বিষয়।

এই দেশটি হচ্ছে বিশ্বের অন্যতম একটি ছোট দেশ পাপুয়া নিউগিনি। ওশেনিয়ার ছোট একটি দেশ পাপুয়া নিউগিনির কথা। জনসংখ্যা কিংবা আয়তন, কোনো দিক থেকেই দেশটি ভারতের সমান বা কাছাকাছি নয়। মাত্র ৭.৬ মিলিয়ন বাসিন্দা নিয়েও এখানে ব্যবহৃত হয় ৮৫০টি ভাষা।

পুরো বিশ্বে ভাষার ক্ষেত্রে এরকম বৈচিত্র্যের দেখা মেলে শুধু এই দেশটিতেই। পাপুয়া নিউগিনিতে কীভাবে আসল এত ভাষার সমাহার? সেই দেশের বাসিন্দারাই বা কীভাবে এত বিচিত্র ভাষা আয়ত্ত করল, এই প্রশ্ন আপনার মনে আসতেই পারে।

পাপুয়া নিউগিনির পুরোনো ভাষাগুলোকে বলা হয় ‘পাপুয়ান’, যা আজ থেকে প্রায় ৪০ হ্যাজার বছর আগে সেখানে প্রথম বসতি স্থাপনকারীদের মাধ্যমে সেখানকার জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভাষা ‘পাপুয়ান’-এর অন্তর্ভুক্ত হলেও এদের উৎপত্তির ভিত্তি কিন্তু এক নয়।

আসলে এই ভাষাগুলো আলাদা আলাদা কয়েক ডজন অসম্পর্কিত পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। এরকমও কিছু ভাষার সন্ধান এখানে পাওয়া যায়, যা কোনো পরিবারেরই অংশ না। এর শিকড় কোথায়, তা-ও জানা যায়নি।

আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বছর আগে, পাপুয়া নিউগিনিতে কয়েকটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষার আগমন ঘটে। এগুলো দেশটিতে এর পূর্বে প্রচলিত ভাষার তুলনায় ভিন্ন ছিল এবং হয়ত সেগুলো একটি মাত্র উৎস থেকেই এসেছে। ধারণা করা হচ্ছে, উৎসটি তাইওয়ানীয় ছিল।

এত বৈচিত্র্যময় ভাষার সমাহারের ধকল সামলাতে না সামলাতেই দেশটিতে নতুন করে আরও ভাষার আগমন ঘটলো উনিশ শতকের দিকে। এই সময় সেখানে ইংরেজ এবং জার্মানভাষীদের আগমন ঘটে এবং দেশটি শাসন করা শুরু করে। স্বাধীনতার পর এত ভাষার মধ্যে পাপুয়া নিউগিনি শুধু তিনটি ভাষাকেই সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়।

এর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে টোক পিসিন। এটি একটি ইংরেজি-ভিত্তিক ক্রেওল ভাষা। পাপুয়া নিউগিনিতে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ভাষা এবং সেই দেশে এটি সার্বজনীন ভাষা হিসেবে পরিচিত। ক্রেওল হলো ইউরোপীয় এবং কৃষ্ণাঙ্গদের সংমিশ্রিত জাতিবিশেষ। এরপরেই বেশ গুরুত্ব সহকারে অবস্থান করছে হিরি মোতু এবং ইংরেজি। হিরি মোতু একটি অস্ট্রোনেশীয় ভাষা।

অস্ট্রোনেশীয় ভাষাগুলো মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মাদাগাস্কার এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই ভাষা পরিবারে হিরি মোতুসহ মোট ১ হাজার ২৫৭টি ভাষা রয়েছে। ব্যবহারকারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ ভাষা পরিবার। আর ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ভাষার সংখ্যার ভিত্তিতে এটি বিশ্বে দ্বিতীয়।

বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাষাভাষীর মানুষ এই পাপুয়া নিউ গিনিতে বসবাস করেন। পাপুয়া নিউ গিনির আদিবাসী জনসংখ্যা বিশ্বের অন্যতম ভিন্নধর্মী। পাপুয়া নিউ গিনির কয়েক হাজার আলাদা সম্প্রদায় রয়েছে, যার বেশিরভাগই মাত্র কয়েকশ লোক। ভাষা, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য সবই আলাদা।

পাপুয়া নিউ গিনির অনেক জায়গা জঙ্গলে ঘেরা। প্রাকৃতিক দৃশ্য অতুলনীয়। ফলে এখানে সারাবছর নানা দেশের পর্যটকের ভিড় জমে। এখানকার বেশিরভাগ আদিবাসী এখনো এসব জঙ্গলে বসবাস করে। তারা এখনো আদিম মানুষের মতোই জীবনযাপন করে। মাছ ধরা , বন জঙ্গল থেকে খাবার সংগ্রহ করে এদের জীবন চলে।

সূত্র: হিস্টোরি ডটকম

খাসির মাংসের ঝাল ভুনা তৈরির রেসিপি
                                  

খাসির মাংসের ঝাল ভুনা পোলাও, রুটি, পরোটা কিংবা গরম ভাত সবকিছুর সঙ্গেই খেতে ভালোলাগে। এমনকি খিচুড়ির সঙ্গে এই ঝাল ভুনা বেশ মজাদার। তবে অনেকে রান্না করতে গিয়ে মসলার পরিমাণ ও রান্নার কৌশল জানা না থাকার কারণে ঝামেলা বাঁধিয়ে ফেলেন। রান্না সুস্বাদু হওয়ার জন্য পরিমাণ ও পদ্ধতি জানার পাশাপাশি রান্নায় মনোযোগী হওয়াও জরুরি। তাই মন দিয়ে রাঁধতে চাইলে রেসিপি ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক খাসির মাংসের ঝাল ভুনা তৈরির রেসিপি-

তৈরি করতে যা লাগবে

খাসির মাংস- ১ কেজি, আলু- ২টি, পেঁয়াজ- ২টি, রসুন- ৬ কোয়া, আদা- ১ ইঞ্চি টুকরা, টমেটো- ৩টি, গোলমরিচ- ১ চা চামচ, লবঙ্গ- ১/২ চা চামচ, জিরা- ১ চা চামচ, মাংসের মসলা- ২ টেবিল চামচ, গরম মসলা- ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া- ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া- ১ চা চামচ, তেল- ৫ টেবিল চামচ, লবণ- স্বাদমতো।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা একসঙ্গে বেটে নিতে হবে। এরপর লবঙ্গ, জিরা ও গোলমরিচ একসঙ্গে গুঁড়া করে নিন। আলু মাঝখান দিয়ে কেটে নিন। ১ টেবিল চামচ তেল গরম করে ১/৪ চা চামচ জিরা ও এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে আলু ভেজে নিতে হবে মিনিট দুয়েকের মতো।

এবার অন্য একটি হাঁড়িতে তেল হালকা গরম করে মরিচ গুঁড়া দিয়ে নেড়ে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন বাটা দিয়ে দিতে হবে। কয়েক মিনিট পর গুঁড়া মসলা, মাংসের মসলা, মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া দিয়ে পাঁচ মিনিট নাড়তে থাকুন। মসলা তেল ছেড়ে দিলে মাংস দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করে টমেটো কুচি ও আলু দিয়ে দিন। এভাবে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিন। এবার দুই কাপ গরম পানি দিয়ে মাংস সেদ্ধ করে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে তেল উপরে ভেসে উঠলে গরম মসলা গুঁড়া ছিটিয়ে পরিবেশন করুন খাসির মাংসের ঝাল ভুনা।

বিশ্ব মা দিবস আজ
                                  

কবি কাজী কাদের নেওয়াজ তার ‘মা’ কবিতার মধ্য দিয়ে মমতাময়ী ও জন্মদাত্রী মায়ের বিশালত্বকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কবির ভাষায়- “মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই,/ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই/ সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক মাথার’ পরে আজি/ অন্তরে মা থাকুক মম, ঝরুক স্নেহরাজি।”

‘মা’ ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়।সেই হিসাবে আজ ১২ মে বিশ্ব মা দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হয় দিনটি।

তবে অনেকের মতে, মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের প্রতি প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। জানেন কি? আজ থেকে বহু বছর আগে এভাবেই এক মেয়ে তার মায়ের জন্য প্রবর্তন করেছিলেন মা দিবস। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট হন।

ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। আনা জার্ভিস ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা।

তার মা অ্যান মেরি সারাজীবন অনাথদের সেবা করে জীবন কাটিয়েছেন। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরির উৎসর্গিত জীবনের কথা অজানাই থেকে যায়। লোকচক্ষুর আড়ালে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস।

জার্ভিস নতুন এক উদ্যোগ নেন। মা অ্যান মেরির মতো ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় ‘মা দিবস’। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে ‘মাদারিং সানডে’ নামের এক অনুষ্ঠান পালন করা হত। যা মূলত ছিল মায়েদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মাকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন জাতি এমন অনেক আচার অনুষ্ঠান পালন করত। তবে আধুনিককালে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।

চাইলে আজ দিনটি বরাদ্দ করতে পারেন আপনার মায়ের জন্য। বছরের অন্যান্য দিনগুলো মাকে ভালোবাসি বলতে না পারলেও আজ বলুন। মায়ের সঙ্গে সময় কাটান। উপহার দিতে পারেন মায়ের কোনো পছন্দের কিছু। একদিনের একটু ছোট্ট ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন মাকে নিয়ে কিংবা একসঙ্গে ডিনার করলেন মায়ের পছন্দের কোনো রেস্তোরাঁয় তার প্রিয় খাবারগুলো দিয়ে।

কৃষ্ণগহবরে ঢুকে পড়লে আপনার যা হতে পারে
                                  

 

অনলাইন ডেস্ক : কোনো নভোচারী যদি মহাকাশযানে চড়ে কৃষ্ণগহবরে ঢুকে পড়েন, তাহলে কী হবে? এই ব্যাপারটিই কম্পিউটার সিমুলেশন করে দেখল মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই সিমুলেশন হয়তো ভবিষ্যতে আমাদের ব্ল্যাকহোলের ‘ঘটনা-দিগন্তে’ ঝাঁপ দিতে সহায়তা করবে। ইভেন্ট হরাইজন বা ‘ঘটনা-দিগন্ত’ হলো ব্ল্যাকহোলের সীমা। এই দিগন্ত পেরিয়ে কোনো বস্তু একবার ভেতরে ঢুকে পড়লে আর ফিরে আসতে পারে না; এমনকি আলোও নয়।


নাসার এই সিমুলেশনটি আমাদের কৃষ্ণগহবরের রহস্যময় অন্দরে উঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের জ্যোতিঃপদার্থবিদ জেরেমি গ্লিটম্যান নেতৃত্ব দিয়েছেন এই প্রকল্পে। এই সিমুলেশনে ব্যবহার করা হয়েছে ডিসকাভার নামের এক সুপারকম্পিউটার। তাতে বিপুল পরিমাণ ডাটা বা উপাত্তের সন্নিবেশ করা হয়েছে।

প্রকল্পটির গন্তব্য ছিল একটি অতিভরের ব্ল্যাকহোল, যা আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একেবারে কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাকহোলটির মতো। এই সিমুলেশনে দেখানো হয়েছে অতিনাটকীয় কিছু দৃশ্য। একজন ভার্চুয়াল পর্যবেক্ষক মহাকাশযান নিয়ে ৪০ কোটি মাইল দূর থেকে ব্ল্যাকহোলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছে একটি ক্যামেরা।


অন্যদিকে দূর থেকে আরেকজন পর্যবেক্ষক লক্ষ রাখছেন ঘটনার দিকে। ক্যামেরাসহ পর্যবেক্ষক ব্ল্যাকহোলের কাছাকাছি গিয়ে দেখবেন, একটি উত্তপ্ত গ্যাসের চাকতি ঘুরছে তাঁকে ঘিরে। এই চাকতির পেছনে থাকা নক্ষত্রগুলোর চেহারা দেখা যাবে বিকৃত—যেমনটা ত্রুটিপূর্ণ আয়নায় দেখা যায়। কারণ ব্ল্যাকহোলের বিশাল ভর এর আশপাশের স্থান-কালকে (স্পেস-টাইম) বাঁকিয়ে দেয় প্রবলভাবে।

ক্যামেরা যত এগোবে ততই ব্ল্যাকহোল ঘিরে থাকা চাকতি, যাকে অ্যাক্রেশন ডিস্ক বলে, তা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকবে।

উজ্জ্বল হবে আশপাশের নক্ষত্রগুলোও। এ সময় ব্ল্যাকহোলের মহাকর্ষীয় টানে দ্রুত এগোতে থাকবে পর্যবেক্ষকসহ ক্যামেরাটি। মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই ক্যামেরা ঘটনা-দিগন্তরেখায় পৌঁছে যাবে। কিন্তু দূরে থাকা পর্যবেক্ষক দেখবেন, ক্যামেরা যত ঘটনা-দিগন্তের কাছাকাছি যাচ্ছে, তার গতি তত কমছে। তিনি দেখবেন, ক্যামেরাটি যেন কখনোই ঘটনা-দিগন্তে পৌঁছবে না।
কম্পিউটারের সিমুলেশনে নাসার কল্পিত ক্যামেরা অভিযানের দুটি সম্ভাব্য ফল পাওয়া যাবে। একটি চিত্রে ক্যামেরা অল্পের জন্য ইভেন্ট হরাইজনের কাছে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। অন্যটিতে ক্যামেরাটিকে দেখা যাবে সেই সীমা টপকে ভেতরে ঢুকে যেতে। ক্যামেরা ঘটনা-দিগন্তের সীমা অতিক্রম করার পর এটি ‘স্পাগেটিফিকেশন’ নামের এক নাটকীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে। কৃষ্ণগহবরের অতি শক্তিশালী মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ক্যামেরাটিকে টানবে ভীষণ জোরে। এতে ক্যামেরাটি ১২.৮ সেকেন্ডের মধ্যে রাবারের মতো লম্বা হবে। তারপর ছিন্নভিন্ন হয়ে ধূলিকণায় পরিণত হবে।

বিকল্প চিত্রটিতে দেখা যাবে, নাসার ক্যামেরা ইভেন্ট হরাইজনের খুব কাছ দিয়ে ঘুরবে, কিন্তু তা অতিক্রম করবে না। সেখানে ‘সময়’ অদ্ভুত আচরণ করবে। সময়ের গতি ধীর হতে হতে অসীম হয়ে যাবে। ক্যামেরার সঙ্গে থাকা নভোচারীর কাছে তা স্বাভাবিক গতিতেই চলবে, কিন্তু অনেক দূর থেকে যাঁরা দেখবেন, তাঁদের মনে হবে সময়ের গতি ধীর হয়ে গেছে। এর নাটকীয় একটা ফল আছে। কাছে যাওয়া ব্যক্তি পৃথিবীতে ফিরে এসে দেখবেন, তাঁর সমবয়সীরা সব অনেক বুড়ো হয়ে গেছে, কিংবা হয়তো মারা গেছে।

সূত্র : এনডিটিভি

বজ্রঝড়ের সময় যা মেনে চলা অতি জরুরি
                                  

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার (২ মে) বৃষ্টির দেখা পেয়েছে রাজধানীবাসী। এদিন ঝুম বৃষ্টির সঙ্গে দেখা মেলে আতঙ্কের বজ্রপাত। প্রথম দফায় রাজধানীর কোথাও বৃষ্টি হলেও কোথাও কোথাও ছিল বৃষ্টিহীন। পরে পুরো রাজধানীজুড়েই নামে বৃষ্টিসহ বজ্রবৃষ্টি।

বজ্রবৃষ্টির সময় একই এলাকার কিছু অংশে বৃষ্টি হলেও অপর অংশ বৃষ্টিহীন থাকার মতো ঘটনা ঘটতেই পারে। বজ্রঝড় মানে তার সাথে বজ্রপাত থাকবে। প্রতিবছর বজ্রপাতে বাংলাদেশে অনেক মানুষ মারা যায়। তাই, বর্তমান আবহাওয়ায় বজ্রঝড় রাজধানীবাসীর জন্য স্বস্তির হলেও প্রান্তিক মানুষের জন্য তা দুশ্চিন্তার কারণ।

বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে সর্বোচ্চ বজ্রপাত হয় এবং ২০২১ সালের এক হিসাব অনুযায়ী এতে প্রতিবছর গড়ে দেড়শো মানুষ মারা যান।

সুতরাং, বজ্রপাতে মৃত্যু বা হতাহত হওয়ার ঘটনা এড়াতে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

বজ্রঝড়ের সময় করণীয়

১. বজ্রঝড় সাধারণত ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করা জরুরি। অতি জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যেতে হলে রাবারের জুতা পরতে হবে। এটি বজ্রঝড় বা বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা দেয়।

২. বজ্রপাতের সময় ধানক্ষেত বা খোলামাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে পড়তে হবে।

৩. বজ্রপাতের আশঙ্কা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ভবনের ছাদে বা উঁচু ভূমিতে যাওয়া উচিত হবে না।

৪. বজ্রপাতের সময় ঘরের বাইরের যেকোনো ধরনের খেলাধুলা থেকে শিশুকে বিরত রাখতে হবে, ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে।

খালি জায়গায় যদি উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, ধাতব পদার্থ বা মোবাইল টাওয়ার থাকে, তার কাছাকাছি থাকা যাবে না। বজ্রপাতের সময় গাছের নিচে থাকা বিপজ্জনক।

৫. বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ না ধরতে যাওয়া। সমুদ্রে বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়া।

৬. যদি কেউ গাড়ির ভেতর অবস্থান করেন, তাহলে গাড়ির ধাতব অংশের সাথে শরীরের সংযোগ না রাখা।

ঈদের রেসিপি : আস্ত রসুন দিয়ে খাসির মাংস রাঁধবেন যেভাবে
                                  

খাসির মাংস দিয়ে বাহারি পদ তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। বিশেষ করে ঈদে খাসির মাংস ভুনা কিংবা কাচ্চি বিরিয়ানি খেতে ভুলেন না ফুডলাভাররা। তবে খাসির মাংসের যে পদই তৈরি করুন না কেন, আস্ত রসুন দিয়ে খাসির মাংস রান্নার স্বাদই ভিন্ন।

খুবই মজাদার এই মাসের পদটি একবার খেলে মুলে লেগে থাকবে সবসময়। আস্ত রসুন দেওয়ার কারণে এই মাংসের স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগু। চাইলে গরুর মাংসেও আস্ত রসুন ব্যবহার করতে পারেন।

সামান্য কিছু উপকরণ হাতের কাছে থাকলেই তৈরি করে নেওয়া যায় এই বিশেষ পদটি। চলুন জেনে নেওয়া যাক খুব সহজে ও চটজলদি খাসির মাংসের এই পদ তৈরি করার রেসিপি-

উপকরণ

১. খাসির মাংস ১ কেজি
২. আস্ত মাঝারি আকারের রসুন ১০-১২টি
৩. পেঁয়াজ বাটা আধা কাপ
৪. আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
৫. সাদা এলাচ ৫-৬টি
৬. কালো এলাচ ২টি
৭. দারুচিনি ৫-৬ টুকরো
৮. তেল ১ কাপ
৯. জিরার গুঁড়ো আধা টেবিল চামচ
১০. মরিচের গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ
১১. লবণ স্বাদমতো
১২. হলুদ আধা টেবিল চামচ ও
১৩. কাঁচা মরিচ ৮-১০টি।

 

পদ্ধতি

প্রথমে মাংস ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। একটি গভীর প্যানে মাংস নিন। এবার রসুন ছাড়া বাকি সব উপকরণ মাংসের সঙ্গে মাখিয়ে নিন। এবার ৪ কাপ গরম পানি মিশিয়ে দিন মাংসে।

প্যানের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলায় মাঝারি আঁচে রান্না করুন মাংস। মাঝে মাঝে ঢাকনা উঠিয়ে নেড়ে দিতে হবে। মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে গেলে আস্ত রসুন দিয়ে দিন।

অবশ্যই রসুন আগে তেকে ধুয়ে নিতে হবে। আবারও কিছুক্ষণ ঢেকে রান্না করুন। মাংস পুরো সেদ্ধ হলে নামানোর ২ মিনিট আগে ৮-১০টি কাঁচা মরিচ ছড়িয়ে দিন।

ব্যাস, তৈরি হয়ে গেলো মজাদার আস্ত রসুনে খাসির মাংস রান্না। নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন রুটি, পরোটা, লুচি, ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে।

১লা ফাগুন বসন্ত
                                  

মিয়া আবদুল হান্নান : ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত। প্রকৃতির দক্ষিণা দুয়ারে বইছে ফাগুনের হাওয়া। কোকিলের কণ্ঠে আজ বসন্তের আগমনী গান। ফুলে ফুলে ভ্রমরও করছে খেলা। গাছে গাছে পলাশ আর শিমুলের মেলা। সব কিছুই জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।ফাল্গুনের হাত ধরেই ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতির আজ এতো বর্ণিল সাজ। বসন্তের এই আগমনে প্রকৃতির সাথে তরুণ হৃদয়েও লেগেছে দোলা। সকল কুসংস্কারকে পেছনে ফেলে, বিভেদ ভুলে, নতুন কিছুর প্রত্যয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে বসন্তের উপস্থিতি। তাই কবির ভাষায়- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত’।আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদনায় আজকে মেতে উঠবে। শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।এদিকে, দিনটিকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি। বসন্ত আসলে চারিদিকে গাছে গাছে ফুলের সমারোহ দেখা দেয়। চারদিকে কোকিলের কন্ঠের কুহু কুহু ডাক শোনা যায়। বাংলাদেশে বসন্ত এক অন্যতম ঋতু। এই ঋতুর সবার মনে দোলা দিয়ে … গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আগামীকাল বুধবার ১৪ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন। এইদিন পালিত হয় বসন্ত বরনে। বসন্তকে বরণ করে নেয়ার জন্য বাংলাদেশে প্রতিবছর বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। বাংলাদেশে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদ এই দিনকে বরণ করতে চারুকলার বকুলতলায় এবং ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবর উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উৎসব আয়োজন করে।‘পলাশ ফুটেছে, শিমুল ফুটেছে, এসেছে ফাগুন মাস’। এই পংতিটি একটি গানের কলি। অর্থাৎ ফাল্গুন মাস এলেই পলাশ ফুল ফুটে। ফুটে শিমুলসহ হরেকরকম ফুল। শুরু হয় বসন্তকাল। ফাগুন মাসের প্রায় মধ্যভাগ থেকে পলাশ ফুল ফুটতে শুরু করে। শীতকালে পলাশ ফুল গাছের পাতা ঝরে যায়। বসন্ত বা ফাগুনের প্রারম্ভে নতুন পাতার কুড়ি গজিয়ে ফুল ফুটতে শুরু করে। সারা ডাল থোকা থোকা টকটকে লাল ও হলদেটে লাল ফুলে ভরে যায়। যে বাগানে পলাশ ফুল ফুটে সে বাগান লাল ফুলে ভরে গেলে মনে হয় যেন বাগানে আগুন লেগেছে। কিন্তু এবার দেখা গেছে প্রকৃতিতে এক বিশাল বৈপরীত্য। মাঘ মাস হচ্ছে তীব্র শীতের মাস। গ্রামে-গঞ্জে প্রবচন রয়েছে ‘মাঘ মাইয়া জারে বৈশের শিং লড়ে। এ বছর মাঘে কোন শীত ছিল না। মাঘের ৭ তারিখের পর হঠাৎ শীত উধাও হয়ে যায়। অনেকের ধারণা ছিল মাঘ মাসে সাধারণত শীত হঠাৎ উধাও হয়ে আবার হঠাৎ জেঁকে বসে। এবারো হয়তো তাই হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। মাঘের ৭ তারিখের পর শীত আর ফিরে আসেনি। লোকজন বলছে এবছর শীত আধা পথে এসে ফিরে গেছে। সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে আগাম বসন্ত। মাঘের মধ্যভাগ থেকেই ক্ষণে ক্ষণে শুরু হয় দক্ষিণা মলয়। যা শীতকে উড়িয়ে নিয়ে যায় শীতের দেশে। প্রকৃতিতে দেখা দেয় ব্যাপক পরিবর্তন। পৌষের মধ্যভাগেই এ বছর আমের মুকুল ফুটতে শুরু করে। কোথাও কোথাও দেখা দেয় জাম ও লিচুর মুকুলও। বনে বনে বিভিন্ন গাছগাছালীতে ফুল ফুটতে শুরু করে। মাঘের মধ্যভাগে এ বছর ফুটতে শুরু করেছে চোখ ধাঁধানো লাল ফুল পলাশ। শীতকালেই বনে বনে দেখা দিয়েছে ফাগুনের আগুন পলাশ ফুলের সমাহার। রক্তরাঙ্গা এই ফুল দেখে থমকে দাঁড়ায় পথিক। এখন কোন ঋতু? শীত না বসন্ত। অনেকে ভুল করে ভেবে নেয় এটা বসন্ত। শীতের প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকে প্রকৃতির আগ্রাসন বলে মনে করছে অনেকেই। কোন আগ্রাসনই যেমন মঙ্গলজনক নয় তেমনই শীতের প্রকৃতিতে বসন্তের আগ্রাসনও মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। কিন্তু কেন এই বৈরীতা। প্রকৃতিপ্রেমী লোকজন বলছে প্রকৃতির রক্তবাহী নালী হচ্ছে নদ-নদী, খাল-বিল। স্বাধীনতার উত্তরকালে নদী আগ্রাসনের শিকার হয়েছে আমাদের ভাটির প্রকৃতি। নদী আগ্রাসনে পদ্মাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর অববাহিকার প্রকৃতি ধীরে ধীরে বিবর্ণ আকার ধারণ করছে। আজকের প্রকৃতির এই বিবর্তিত রূপ একদিনের নয়। দীর্ঘ আগ্রাসনের পরিণতিতে প্রকৃতি হারাচ্ছে এর স্বকীয়তা। অদূর ভবিষ্যতে এই বিবর্ণ প্রকৃতি পরিণত হবে এক ভয়াল মরুতে। অকাল বসন্ত এরই ইংগিতবহ বলে মনে করছে সচেতন মানুষ।

ব্র্যাকের কর্মী থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা
                                  

মাসুমা তালুকদার তিন্নি। স্বপ্ন দেখতেন পড়াশুনা শেষ করে চাকুরি করবেন। পড়লেন ইঞ্জিনিয়ারিং, করলেন শিক্ষকতা অথচ হলেন উদ্যোক্তা। ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়লেও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পারিবারিক প্রতিকূলতাকে জয় করে আজ সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন তিন্নি।

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তিন্নি। যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন তখন থেকেই শিক্ষকতা শুরু করেন, তার প্রথম পেশা জীবন শুরু হয় ২০১২ সালে মাইলস্টোন ইংলিশ ভার্শন স্কুল থেকে। তিন্নি বলেন, জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম মুহূর্ত কাটিয়েছেন শিক্ষকতা পেশায়। বেশ কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর ২০১৭ সালে কয়েকটি কোম্পানিতে সিভি ড্রপ করি। কয়েকদিন পরই কিছু কোম্পানি থেকে সাড়া পেলাম। এর মধ্যে ‘ব্র্যাক কুমন লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানও ছিল। কুমন সম্পর্কে শুরুতে আমার তেমন ধারণা না থাকলেও, ব্র্র্যাকের প্রতিষ্ঠান দেখেই এই প্রতিষ্ঠানে জয়েন করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলাম। প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর ব্রাক কুমনের ফ্যামিলি মেম্বার হয়ে যখন কাজ করি তখন অনেক মন্দ কথার সম্মুখীন হই। কিন্তু এগুলোতে কিছু মনে করতাম না। ২০১৭ সালে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপারসন প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদের হাত ধরে বাংলাদেশে শুরু হয় কুমনের যাত্রা। জাপানিজ গণিত শিক্ষক তরু কুমনের আবিষ্কার করা প্রায় ৬০ বছরেরও বেশি পুরনো কুমন মেথড বর্তমানে বিশ্বের ৫৭টিরও বেশি দেশে শিশু-কিশোরদের গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে এবং জীবনমুখী দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। কুমন বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষা কেন্দ্র পরিচালনা করে। কুমন শিক্ষার্থীদের একাডেমিক দক্ষতা উন্নত করার ও শেখার প্রতি ভালোবাসা বাড়ানোর প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ডসহ প্রায় ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীকে সেবা দিচ্ছে। কুমন একটা জাপানিজ অর্গানাইজেশন। তিন্নি বলেন, ব্র্যাকের প্রশিক্ষণে জাপানিজ টিম আমাদের প্রশিক্ষণ করাতো। প্রশিক্ষণ শেষে উপলব্ধি করলাম আমরাতো পড়াশোনাটাকে একটু ভয়-ভীতি হিসেবে মনে করি, কিন্তু পড়াশোনা খুবই সহজ ও বিস্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে এটা এই কুমন প্রশিক্ষণে বুঝতে পারলাম। প্রশিক্ষণ শেষে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছর কুমন উত্তরা সেন্টারে কাজ করেছি।

ব্র্যাকে কর্মরত অবস্থায় শিক্ষকতা করতে করতেই আমার ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করি। তখনই ভাবতে লাগলাম কি করবো, কোন পেশায় যাবো, শিক্ষকতাই থাকবো নাকি অন্য কোন পেশায় যোগদান করবো! এভাবে নানা দ্বিধা-দ্বন্ধে আরও কিছুদিন শিক্ষকতা করলাম। এর কিছুদিন পর ব্র্যাক কুমন লিমিটেড থেকে নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজ অফার দেওয়া শুরু করলো। তখন আমার মধ্যে একটা চিন্তা কাজ করলো! আমি তো একজন নারী, আমি কি পারব একজন উদ্যোক্তা হতে, আমি কি পারবো কোন উদ্যোগ নিলে সফলভাবে পরিচালনা করতে! কিন্তু আমার মধ্যে একটি মনোভাব কাজ করলো যে আমি তো একজন ব্র্যাকের কর্মী, আমি হয়তো পারবো একজন নারী উদ্যোক্তা হতে বা একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হতে। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হলে সেখানে অনেক দায়িত্ব থাকে। কারণ একজন চাকরিজীবী তার মাস শেষে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম থাকে কিন্তু একজন উদ্যোক্তার এরকম নির্দিষ্ট পরিমাণ ইনকাম কোন থাকে না। কিন্তু তার চিন্তা থেকে যায় মাস শেষে সে তার প্রতিষ্ঠান কিভাবে চালাবে কিভাবে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন দেবে। তারপরও সিদ্ধান্ত নিলাম আমি একজন উদ্যোক্তা হব। অন্য মেয়েরা যদি উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হতে পারেন তাহলে আমিও পারবো।

নিজের আত্নবিশ্বাস থেকেই উদ্যোক্তা হিসেবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কিন্তু উদ্যোগ গ্রহনের শুরুর দিকে পারিবারিক আবহ আমার অনুকূলে ছিল না। উদ্যোক্তা হওয়ার কথা পরিবারে জানালে আমার বাবার পরিবার আমাকে নিয়ে উপহাস করে। তারা বলেন মেয়ে বড় হয়ে বিয়ে করবে, মেয়ের আবার উদ্যোক্তা হবে কিসের! মেয়ে বড় হয়েছে মেয়েকে বিয়ে দাও। কিন্তু ওই সময় মা আমাকে মেন্টালি, আর্থিক এবং সর্বোপরি সাপোর্ট দিয়েছেন। আমার জন্য মা এবং বোনকেও উপহাসের শিকার হতে হয়েছে, নানা ধরনের কথা শুনতে হয়েছে। এরপর বিষয়টি নিয়ে বন্ধু-বান্ধব ও অফিসের কলিগদের সাথে পরামর্শ করলে তারা খুব সাপোর্ট করে। অন্যদিকে, কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য বর্তমান বনশ্রী সেন্টারের অপারেশন ম্যানেজার শাকিল স্যার ও ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের সুপারভাইজার নেহাল ভাই এবং ওবায়েদ ভাই যথেষ্ট ভাবে সাপোর্ট করেছেন। তবে এর মধ্যেও নানা রকমের বাধা-বিপত্তি ছিল। মানুষ নানাভাবে নানারকম কথা বলেছে, অনেকে বলেছে একটা হ্যান্ডসাম বেতনের চাকরি ছেড়ে কেন ঝুঁকির মধ্যে যাবা? কেন তুমি উদ্যোক্তা হবা? তুমি তো চাইলে আরো ভালো পজিশনে আরো ভালো ইনকাম করতে পারো চাকরির মাধ্যমে। কিন্তু চেয়েছিলাম আমি একজন নারী উদ্যোক্তা হয়ে সফলতা অর্জন করব।

আমি একটা কথাই ভাবতাম যে কথায় আছে ভয়ের পরেই জয়। শত বাধা বিপত্তির পরও ২০২২ সালে ব্র্যাক কুমন লিমিটেডের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিং এর জন্য আবেদন করি। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ‘কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টার’ নিবন্ধিত হয়। জাপানিজ শিক্ষাপদ্ধতি কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টারের প্রশিক্ষক এবং কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুমা তালুকদার তিন্নি ফ্র্যাঞ্চাইজ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘কুমন’-এর বনশ্রী সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টারের মাধ্যমে বেশ কিছু সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টারে প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এখানে শুধু একাডেমিক পড়াশোনাই না শিশুদের মানসিক বিকাশ, কনফিডেন্স লেভেল, কথার জড়তা, শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলা এবং শিশুকে স্মার্টভাবে গড়ে তোলা হয়। শিশুর দৈনন্দিন কাজে প্রয়োজন পরে যে স্কিল গুলো তা নিয়েও শিক্ষা প্রদান করা হয়। যখন দেখলাম শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে গ্রহন করছি তখন ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড ছেড়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Early Childhood Development বিষয়ের উপর মাস্টার্স শেষ করি। যার কারণে শিশুর মানসিক সাপোর্ট দেয়া যায় খুব সহজেই। শিশুর সাথে মিশে তারা সুন্দরভাবে কিছু শিখছে কিনা সেই বিষয়টা আমি উপলব্ধি করতে পারি। তিন্নি আরোও বলেন, উদ্যোক্তা মানে যোদ্ধা। সাহসী না হলে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। বর্তমানে নারীরা কোনো কাজেই পিছিয়ে নেই। তারা তাদের নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বর্তমানে বলতে পারি আমি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। উদ্যোগ গ্রহনের শুরুর সময় মায়ের সাপোর্ট না পেলে হয়তো এখন উদ্যোক্তা হতে পারতাম না। সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে একমাত্র আমার মায়ের অবদান অবিশ্বাস্য। একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে একজন নারীর অনেক ভয় থাকে। আর এই ভয়টা সে তখনই জয় করতে পারে যখন সে তার পারিপার্শ্বিক মানুষগুলার পরিপূর্ণ সাপোর্ট পায়। ‘ব্র্যাক কুমন লিমিটেড’কে অসংখ্য ধন্যবাদ বরাবর আমাকে নানা ধরনের সাপোর্ট দেওয়ার কারনে। আমি অনেক বেশি আশাবাদী কুমন বনশ্রী এডুকেশন সেন্টারের মাধ্যমে শিশুরা ভালো কিছু শিখতে পারবে ও স্মার্ট হয়ে ভবিষ্যৎকে অনেক উজ্জ্বল করবে। তিন্নি আরোও বলেন, ‘মনেপ্রানে এখন ধারণ করি আল্লাহ যতদিন বেঁচে রেখেছেন শিশুদের নিয়েই কাজ করে যাব। আর শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি সম্প্রসারণে ব্র্যাক কুমনের সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

৫ ডিসেম্বর : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
                                  

আজ মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।


ঘটনাবলি:

১৩৬০ - ফ্রান্সের মুদ্রা ফ্রাঁ চালু হয়।

১৪৫৬ - নেপলসে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৩৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

১৭৫৭ - প্রুশিয়ার সেনাবাহিনীর কাছে অস্ট্রিয়া পরাজিত হয়।

১৭৬৬ - লন্ডনে প্রথম নিলাম ডাক শুরু হয়।

১৭৯১ - অস্ট্রীয় মিউজিক কম্পোজারভোলফগাং আমাদেউস মোৎসার্ট ভিয়েনায় ৩৫ বছর বয়সে মারা যান।

১৭৯২ - জর্জ ওয়াশিংটন দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৮০৪ - টমাস জেফারসন দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৮১২ - নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়ায় লজ্জাজনক পরাজয়ের পর ফ্রান্সে ফিরে যায়।

১৮৪৬ - দুদু মিয়া কর্তৃক নীলকুঠি আক্রমণ।

১৮৫৪ - অ্যারোন অ্যালেন রিভলবিং থিয়েটার চেয়ার প্যাটেন্ট করেন।

১৮৭৯ - প্রথম স্বয়ংক্রিয় টেলিফোন সুইচিং সিস্টেম প্যাটেন্ট করা হয়।

১৮৯৩- চীন আর ব্রিটেনের মধ্যে ‘চীন-ব্রিটেন সম্মেলন তিব্বত-ভারত চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়।

১৯১৭- ফিনল্যান্ড স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯১৭ - রাশিয়ার বিপ্লবী সরকার ও জার্মানির মধ্যে সন্ধি চুক্তি হয়।

১৯২৯ - আইরিনা স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৩২- জার্মান বংশোদ্ভুত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন আমেরিকার ভিসা পান।

১৯৩৩ - উটাহ ৩৬তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে আমেরিকার সাথে যুক্ত হয়।

১৯৩৬ - সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের নতুন সংবিধান অনুমোদিত হয়। এর মাধ্যমে ১৯২৪ সালে প্রণীত ফেডারেল সংবিধান বাতিল হয়ে যায়।

১৯৪১ - দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ড ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী ও রোমানিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪৩- জাপানী বোমারু বিমান কলকাতায় বোমা বর্ষণ করে।

১৯৫০- কোরিয় যুদ্ধ চলাকালে চীনের সৈন্যরা উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ প্রবেশ করে।

১৯৫৫ - এডগার নিক্সন ও রোসা পার্কস আমেরিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে মন্টেগোমারীতে বাস বয়কট আন্দোলন শুরু করেন। সে সময় নিক্সনকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৬৯ - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব-পাকিস্তানের নামকরণ করেন ‘‘ বাংলাদেশ ”।

১৯৭১- ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কমান্ড গঠন করে মিত্রবাহিনী নাম গ্রহণ করে।

১৯৭১ - পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মৌলভীবাজারের জুড়ী এলাকাকে (বর্তমান জুড়ী উপজেলা) শত্রুমুক্ত করে।

১৯৭৭ - মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত সিরিয়া, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও দক্ষিণ ইয়েমেনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।

১৯৮৫ - যুক্তরাজ্য ইউনেস্কোর সদস্যপদ প্রত্যাহার করে।

১৯৮৭- পানামার জাতীয় পতাকা ধারী একটি মালবাহী জাহাজ স্পেনের উত্তর উপকূলীয় ফিনিস্টেলে জলসীমা থেকে প্রায় ১৫ নটিকল-মাইল দূরে যায়। জাহাজের ২৩ জন চীনা নাবিক প্রাণ হারান।

১৯৯২ - আলবেনিয়াকে মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৯৯ - যানজট এড়াতে ব্যাংককে আকাশ ট্রেন সার্ভিস চালু।

১৯৯৫- হংকং-র সবোর্চ্চ আদালতে প্রথমবারের মতো চীনা ভাষায় মামলা পরিচালিত হয়।

১৯৯৬- ম্যাডেলিন অলব্রাইট যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের প্রথম নারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।

২০১৩ - দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন রলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা মৃত্যুবরণ করেন ।

জন্ম:

১৩৭৭ - চীনের সম্রাট জিয়ান ওয়েন।

১৪৪৩ - পোপ দ্বিতীয় জুলিয়াস।

১৮৩০- ইংরেজ মহিলা কবি ক্রিশ্চিনা রসেটি।

১৯০১ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনোদন শিল্পের বিগ বস, মিকি মাওসের প্রতিষ্ঠাতা ওয়াল্ট ডিজনী শিকাগো।

১৯০১ - নোবেল জয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ।

১৯০৫ - কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

১৯৩২ - মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী শেল্ডন গ্ল্যাশো।

মৃত্যু:

১৫৬০ - ফ্রান্সের রাজা দ্বিতীয় ফ্রাঙ্কোইস।

১৮৩৭ - অবিভক্ত ভারতে নারী শিক্ষার অন্যতম পথিকৃত, দিগদর্শন পত্রিকার সম্পাদক জোশুয়া মার্শম্যানের মৃত্যু।

১৮৭০ - ফরাসি ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার আলেকসাঁদ্র দ্যুমার।

১৮৯০ - অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্দেশক, চলচ্চিত্রকার ফ্রিৎস ল্যাং।

১৯২৬ - প্রখ্যাত ফরাসী চিত্রশিল্পী ক্লোদ মন।

১৯৫০- ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী অরবিন্দ ঘোষ।

১৯৫১- চিত্রশিল্পী ও শিশু সাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৯৫৭ - উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ হযরত মাওলানা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.)।

১৯৬৩ - আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

১৯৮১- সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক সত্যেন সেন।

১৯৮৬ - ভারতের ভৌত রসায়ন বিজ্ঞানের পথিকৃত ড. নীলরতন ধর।

দিবস:

আজ বিশ্ব মাটি দিবস

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
                                  

লাইফস্টাইল ডেস্ক : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সাধারণ মনে হলেও এর কষ্ট কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। তাই গ্যাস্ট্রিক দেখা দিলে তাদের জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন আনতে হয়। বিশেষ করে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হয় অনেক বেশি সতর্ক। অনেকগুলো খাবার যোগ এবং বিয়োগ করতে হয় প্রতিদিনের তালিকা থেকে। কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে এড়িয়ে যেতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খাবারগুলো সম্পর্কে-


১. পপকর্ন

পপকর্ন পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে। এটি পৃথিবীজুড়েই খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকা অতিমাত্রায় ফাইবার অনেকের ক্ষেত্রে হজমে গণ্ডগোলের কারণ হতে পারে। পপকর্নে থাকা ফাইবারের কারণে গ্যাস, পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। হালকা ধরনের এই খাবার পরিপাক ক্রিয়ায় অতিরিক্ত বায়ু যোগ করতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে পপকর্ন এড়িয়ে চলুন।

২. কাঁচা সবজি

অনেকে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় কাঁচা সবজি যোগ করেন। কাঁচা সবজিতে সালফার বা গন্ধকের যৌগ থাকে। এ ধরনের যৌগ থেকে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে কাঁচা সবজি দিয়ে তৈরি সালাদ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে বাঁচতে কাঁচা সবজি খাওয়া এড়িয়ে যেতে হবে।


৩. চুইংগাম

চুইংগাম আসলে কোনো খাবার নয়। এটি চিবোনো হলেও শেষ পর্যন্ত গিলে ফেলা হয় না। মুখশুদ্ধি হিসেবে বহুল প্রচলিত এই জিনিসটিও কিন্তু বদহজমের কারণ হতে পারে। এর কারণ হলো, চুইংগাম মুখে রেখে চিবোলে অনেকটা বাতাসও আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার ফলে গ্যাসের কারণে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে চুইংগাম চিবোনোর অভ্যাস বাদ দিন।


৪. পেঁয়াজ

পেঁয়াজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। আবার রয়েছে কিছু ক্ষতিকর দিকও। যেমন পেঁয়াজে থাকা এক ধরনের কার্বোহাইড্রেড ফ্রুক্টন অনেকের শরীরই হজম করতে পারে না। মানুষের শরীরে প্রবেশের পর এই ফ্রুক্টন যখন ভাঙতে শুরু করে তখন পরিপাক পদ্ধতিতে গ্যাস তৈরি হয়। তাই পেঁয়াজ খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা থাকলে খাবার থেকে পেঁয়াজ বাদ দেওয়াই উত্তম।

৫. আপেল

আপেল আসলে স্বাস্থ্যকর একটি ফল। কিন্তু এটি গ্যাস্ট্রিকের রোগীদের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। এর কারণ হলো, আপেল, পিচের মতো ফলে ফ্রুক্টোজের মাত্রা খুব বেশি থাকে। এর প্রভাবে শরীরে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে আপেল এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

ইতিহাসে আজকের এই দিনে
                                  

আজ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।


ঘটনাবলি:
১৭৯২ - ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে এবং প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৮৩২ - বিখ্যাত ইংরেজ কবি, উপন্যাসিক এবং ঐতিহাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কট পরলোকগমন করেন।
১৮৫৭ - দিল্লীর সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
১৮৬০ - জার্মান দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ারের মৃত্যু।
১৮৬৬ - ইংরেজ কথাসাহিত্যিক এইচ জি ওয়েলসের জন্ম।
১৮৮৭ - অযোধ্যায় শেষ নবাব সঙ্গীতামোদী ওয়াজেদ আলী শাহর মৃত্যু।
১৯০৯ - ঘানার জাতীয়তাবাদী নেতা কোয়ামে নক্রুমার জন্ম।
১৯১৯ - ইসলামের অন্যতম পরিচিত বিদ্বান ব্যক্তি ফজলুর রহমান মালিক জন্মগ্রহণ করেন।
১৯২৬ - পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নূরজাহান জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৩৩ - ইংরেজ লেখিকা ও ভারত হিতৈষী এ্যানি বেসান্টের মৃত্যু।
১৯৪২ - ইউক্রেনের দুনাইভসিতে জার্মান নাৎসি বাহিনী দুই হাজার ৬৮৮ জন ইহুদিকে হত্যা করে।
১৯৪৭ - মার্কিন লেখক স্টিফেন কিং জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৪ - জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৫৭ - অস্ট্রেলিয়ার ২৬তম প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৬৪ - মাল্টা স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৪ - হন্ডুরাসে জলোচ্ছ্বাসজনিত বন্যায় ৮ হাজারেরও বেশি লোকের মৃত্যু।
১৯৮০ - ইরাকের সাবেক বাথ সরকার ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আগ্রাসন মুলক যুদ্ধ শুরু করেছিলো।
১৯৮১ - যুক্তরাজ্যের নিকট থেকে বেলিজ স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৮৪ - ব্রুনেই জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৯৮৯ - সেনেগাল ও জাম্বিয়ার কনফেডারেশন সেনেগাম্বিয়া ভেঙ্গে যায়।
১৯৯১ - তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকট থেকে আর্মেনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।

জন্ম:
১৮৭৫- খ্যাতনামা বাঙালি নারী কবি কুসুমকুমারী দাশ।
১৮৯১- বাঙালি লেখক, গবেষক ও সম্পাদক ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৮৯৮- আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি সাংবাদিক তুষারকান্তি ঘোষ।
১৯১৯- ইসলামের অন্যতম পরিচিত বিদ্বান ব্যক্তি ফজলুর রহমান মালিক।
১৯৪৭- মার্কিন লেখক স্টিফেন কিং।

মৃত্যু:
১৮৩২- স্কটল্যান্ডের ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা ও কবি ওয়াল্টার স্কট।
১৮৬০- জার্মান দার্শনিক আর্থার শোপেনহাওয়ার।
১৯৩৩- ইংরেজ লেখিকা ও ভারত হিতৈষী অ্যানি বেসান্ট।
১৯৪৪- ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেন।

দিবস:
মাল্টা, বেলিজ ও আর্মেনিয়ার স্বাধীনতা দিবস।
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস।
বিশ্ব আলঝেইমার দিবস।

ইতিহাসে আজকের এই দিনে
                                  

১৯৯২ সালের এই দিনে আহছান মঞ্জিল জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়

আজ বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি :

১১৮৭ - মুসলমান সেনারা খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেডের অংশ হিসেবে সেনাপতি সালাদিনের নেতৃত্বে জেরুজালেম অবরোধ শুরু করেন, যা ২ অক্টোবর তারিখ তাদের দখলে আসে।

১৬২০ - তুরস্কের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় পোল্যান্ড।

১৮৩১ - বাষ্পচালিত প্রথম বাস নির্মাণ করা হয়।

১৮৩৩ - চার্লস ডারউইন ঘোড়ায় চড়ে বুয়েনস আইরেস যাত্রা করেন।

১৮৩৯ - নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে হার্লেম পর্যন্ত রেলপথ খুলে দেওয়া হয়।

১৮৫৪ - অবিভক্ত বাংলায় প্রথম ডাকটিকেট বিক্রি শুরু হয়। ডাকটিকেটের চিত্রশিল্পী ছিলেন নুমারউদ্দীন।

১৮৫৭ - বিদ্রোহী সিপাহিদের হাত থেকে ব্রিটিশ সেনারা দিল্লি পুনর্দখল করে নেয়।

১৮৬৩ - জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা ইয়াকপ গ্রিম মৃত্যুবরণ করেন।

১৮৭০ - ইতালির সেনাবাহিনী ফ্রান্সের কাছ থেকে রোম শহর দখল করে।

১৯৬৪ - আফগানিস্তানের জাতীয় সংসদ নতুন সংবিধান অনুমোদন করে।

১৮৬৭ - হাঙ্গেরীকে অষ্ট্রিয়ার সাথে একিভূত করে বৃহৎ অষ্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য গঠন করা হয়।

১৯৭০ - সোভিয়েত রকেট লুনা-১৬ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে।

১৯৭৩ - নারী টেনিস খেলোয়ার বিলি জিন কিং লন টেনিস খেলার লিঙ্গের যুদ্ধ নামক মুখোমুখি ম্যাচে পুরুষ টেনিস খেলোয়ার ববি রিগস্কে পরাজিত করেন।

১৯৯২ - আহছান মঞ্জিল জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়।

১৯৯৯ - বিল ক্লিনটন ৯ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে আসেন।

২০০০ - চেক প্রজাতন্ত্রে সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০১ - রাজধানী ঢাকায় রিকশার বিকল্প হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে ‘সিটি সার্কুলার সার্ভিস’ চালু।

২০০৫ - যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবায় হ্যারিকেন রিটার তাণ্ডব।

জন্ম :

১৪৮৬ - ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরির পুত্র আর্থারের জন্ম।

১৮৩৩ - নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী [১৯০৭] ইতালিল মানব-হিতৈষী এর্নেস্তো তিওদোরো মনেতার জন্ম।

১৯৪৩ - নাইজেরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি সানি আবাচা জন্মগ্রহন করেন।

মৃত্যু :

১২৪৬ - কিয়েভের শাসক মিখাইলের মৃত্যু হয়।

১৯৭১ - নোবেলজয়ী [১৯৬৩] গ্রিক কবি জর্জ সেফেরিসের মৃত্যু।

১৯৭৫ - নোবেলজয়ী [১৯৬০] ফরাসি সাহিত্যিক স্যঁ জন পেরসের মৃত্যু।

১৯৮৬ - ছান্দসিক ও রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ প্রবোধচন্দ্র সেনের মৃত্যু।

১৯৯৬ - অতিপ্রজ (prolific) হাঙ্গেরীয় গণিতবিদ পল এর্ডশ মৃত্যুবরণ করেন।

২০১১ - আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দিন রব্বানী মৃত্যুবরণ করেন।

ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পরও সাবধান থাকতে হবে
                                  

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। অনেকে আবার সাধারণ ভাইরাল জ্বরের সঙ্গে ডেঙ্গুকে গুলিয়ে ফেলে অবহেলা করছেন। শিশু থেকে বয়স্ক— বিভিন্ন বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এতে।

সাধারণত জ্বর, মাথাযন্ত্রণা, হাত-পায়ের সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা, বমি বমি ভাব, মুখে অরুচি, মলের সঙ্গে রক্তপাত— ডেঙ্গু রোগের অন্যতম লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো থাকলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অবশ্যই জরুরি। ডেঙ্গু সেরে গেলেও কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

ডেঙ্গুর জ্বর বেশি দিন থাকে না। জ্বর চলে যাওয়ার পরে অনেকেরই মনে হয় সুস্থ হয়ে গেছেন। কিন্তু আসল বিপদের শুরু হচ্ছে সেই সময় থেকেই। জ্বর কমে যাওয়ার ২-৭ দিন পর ডেঙ্গুর সঙ্কটজনক অবস্থা তৈরি হয়। তাই এই সময়টিতে সাবধান থাকা জরুরি।

অতিরিক্ত দুর্বলতা, বমি, পাতলা পায়খানা, পেটে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা— জ্বর কমে যাওয়ার পরেও যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে তা হলে অবশ্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকলে মৃত্যু এড়ানো যাবে বলে মত চিকিৎসকের।

• জ্বর কমে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে বাড়তি নজরে রাখতে হবে। রোগীর নিজেরও খানিক সতর্ক থাকা জরুরি। কোনো সমস্যা হলে তা চেপে না রেখে চিকিৎসককে জানাতে হবে।


• ডেঙ্গু হলে শরীরে পানির ঘাটতি তৈরি হয়। তাই ঘাটতি কতটা কমেছে সেটা বোঝা জরুরি। এ ছাড়াও প্লাটিলেট পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। জ্বর চলে যাওয়ার ২-৩ দিন পর এটা কয়েকবার পরীক্ষা করা উচিৎ।

• ডেঙ্গু শরীর ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন। সঠিক ডায়েট মেনে চললে দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তরল খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। ঘন ঘন পানি খেতে হবে। শরীরে পানির পরিমাণ কমতে দেওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন ই-তে সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে।

যে কারণে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি বহু মহাকাশযান
                                  


ফিচার ডেস্ক

 

সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফল অবতরণ বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছে। ভারতের এই ইতিহাস বিশ্ব ইতিহাসে যোগ করবে অনেক অনেক তথ্য। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়লো তারা।

ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর আগে একবার মহাকাশযান চন্দ্রযান-২ অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। শুধু ভারত নয় অনেক দেশ তাদের এই অভিযানে ব্যর্থ হয়েছে বারবার। সেই তালিকায় আছে জাপান, ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়নসহ বহু দেশ। ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন একের পর এক চন্দ্রাভিযান সংঘটিত করেছিল, যতক্ষণ পর্যন্ত না সাফল্য এসেছে।

অবশেষে ১৯৬৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অ্যাপেলো মিশনে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে মানুষ। সেদিন অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবার চাঁদে দেশের পতাকা স্থাপন করে। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ এর মধ্যে চাঁদের বুকে ছয়বার মানুষের অবতরণ ঘটে এবং অসংখ্যবার মনুষ্যবিহীন চন্দ্রাভিযান করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

সম্প্রতি রাশিয়ার চন্দ্রযান লুনা-২৫ মহাকাশযান নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং প্রাক-অবতরণ কক্ষপথের জন্য প্রস্তুতিতে সমস্যা হওয়ার পরে চাঁদে বিধ্বস্ত হয়। রাশিয়ার প্রথম চন্দ্রযান যেটা চাঁদের মাতীতে অবতরণে ব্যর্থ হয়েছে। ১৯৫৯ সালে প্রথম রাশিয়া তাদের চন্দ্রযান লুনা ২ চাঁদের মাটিতে সফলভাবে অবতরণ করেছিল।

তবে জানেন কি, কেন বারবার চাঁদের মাটি ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে মহাকাশযানগুলো? এই ব্যর্থতার কারণ কি? আসলে অবতরণের জন্য অবস্থান নির্ণয়ও সহজ নয় চাঁদে। সেখানে নেই কোনো জিপিএস সিস্টেম। তাই মহাকাশযান একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করার জন্য উপগ্রহের নেটওয়ার্কের উপরেও নির্ভর করতে পারে না।

এজন্য চাঁদের মাটিতে নির্দিষ্ট স্থানে মৃসণভাবে অবতরণ করতে মহাকাশযানে অবস্থিত কম্পিউটারগুলোকে দ্রুত গণনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। অবতরণের কয়েক কিলোমিটার আগে প্রপালশন সিস্টেমের ধাক্কায় সেন্সরগুলোও ঠিক করে কাজ করে না অনেক সময়। তখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠে। চাঁদের বুকে অবস্থিত গর্ত, পাহাড়ি ভূভাগ অনেক ক্ষেত্রে অবতরণের জন্য অবস্থান নির্ণয়ে বাধা দেয়। এসব মিলিয়েই ব্যর্থ হয় চন্দ্রযানগুলোর সফল অবতরণ।

সূত্র: রয়টার্স

Lahore: A Gem of Pakistan`s History, Culture, and Heritage
                                  

Lahore Fort - Built in 1566 by Mughal emperor Akbar is a UNESCO World Heritage Site. Image collected

Fasih Ullah khan: Lahore, the cultural capital of Pakistan, is a city that pulsates with rich history, vibrant culture and artistic beauty. Nestled in the heart of the Punjab province, Lahore has a rich and diverse past, a thriving present, and an optimistic future. Its historic significance, cultural heritage, and architectural marvels make it a city unlike any other in South Asia.

Lahore`s history dates back over a millennium. It has witnessed the rise and fall of numerous empires, each leaving a lasting imprint on the city`s landscape. The excavations carried out in late 1950 in Lahore Fort has revealed five distinct periods starting with the British going down to Sikh, Mughal, Ghazanvide and Hindu. During the historic period it was the Mughal era that left the most lasting imprints on the culture and the architectural legacy of Lahore. It was under the Mughals that Lahore truly flourished, becoming a hub of art, literature, and intellectual discourse.

The British colonial era saw Lahore becoming a significant center for education and administration. The city`s distinct architecture reflects this period, with colonial-style buildings juxtaposed with traditional Mughal structures.

Once the center of the Mughal Empire, Lahore is adorned with magnificent architectural marvels, from the awe-inspiring Badshahi Mosque to the stunning Lahore Fort. This city beautifully blends its historical significance with modern life, as bustling streets teem with people engaged in daily activities and an extraordinary culinary food scene that caters to all tastes.

Lahore, known as Pakistan`s culinary hub is a paradise for food lovers. Its bustling streets and vibrant markets provide an engaging exploration of a varied and tasteful culinary environment. From the sizzling kebabs and aromatic biryanis to the delectable street snacks like Golgappas (Fuchka in Bangladesh), samosas and Jalebis, Lahore`s food scene is a tantalizing fusion of traditional Pakistani flavors, regional delights, and innovative culinary creations. The love for food is deeply ingrained in Lahore`s culture, making it a must-visit destination for anyone eager to explore the vibrant and delicious world of Pakistani cuisine.

The people of Lahore, known for their warmth and hospitality, celebrate various festivals with great enthusiasm. In addition to events like National Horse and Cattle Show and various religious and cultural festivals, the annual Lahore Literary Festival is a testament to the city`s love for art, literature, and intellectual discussions.

Lahore is also a paradise for nature enthusiasts, offering meticulously maintained parks, including the renowned ShalimarGardens, a UNESCO World Heritage Site, ideal for leisurely walks and picnics with loved ones. The intricate waterworks and symmetrical design of ShalimarGardens make it a tranquil oasis in the heart of the city.

The Walled City of Lahore is a living example of the city`s rich cultural heritage and vibrant present-day activities. Inside the walls, one finds a labyrinth of narrow streets, colorful bazaars, and historic landmarks like the Delhi Gate and the Shahi Hammam (Royal Bath).

Minar-e-Pakistan, a monumental architectural achievement, proudly stands as a tribute to the momentous Pakistan Resolution passed on March 23, 1940. This structure carries immense historical and cultural value not just for Lahore but for the entire nation of Pakistan. Located within IqbalPark, Minar-e-Pakistan serves as an enduring emblem of unity, freedom, and the struggle for independence.

Safeguarding Lahore`s heritage holds great importance, considering its integral role in Pakistan`s historical narrative. The LahoreMuseum, founded during the era of British colonial rule, is a valuable repository of artifacts, artwork, and historical relics. It provides insights into the diverse civilizations that have influenced the region.

Concerted efforts are currently in progress to uphold and rejuvenate Lahore`s architectural heritage. Conservation initiatives are aimed at safeguarding and revitalizing historic structures, with the goal of enabling future generations to admire the grandeur of the city.

The writer is a Chevening Scholar and Press Counsellor at Pakistan High Commission, Dhaka

 


   Page 1 of 10
     ফিচার
ঘুরে আসুন লাল কাঁকড়া ও অতিথি পাখির রাজ্য
.............................................................................................
দেড় কোটি জনসংখ্যার দেশে ৮৫০ ভাষা
.............................................................................................
খাসির মাংসের ঝাল ভুনা তৈরির রেসিপি
.............................................................................................
বিশ্ব মা দিবস আজ
.............................................................................................
কৃষ্ণগহবরে ঢুকে পড়লে আপনার যা হতে পারে
.............................................................................................
বজ্রঝড়ের সময় যা মেনে চলা অতি জরুরি
.............................................................................................
ঈদের রেসিপি : আস্ত রসুন দিয়ে খাসির মাংস রাঁধবেন যেভাবে
.............................................................................................
১লা ফাগুন বসন্ত
.............................................................................................
ব্র্যাকের কর্মী থেকে সফল নারী উদ্যোক্তা
.............................................................................................
৫ ডিসেম্বর : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
.............................................................................................
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন
.............................................................................................
ইতিহাসে আজকের এই দিনে
.............................................................................................
ইতিহাসে আজকের এই দিনে
.............................................................................................
ডেঙ্গু থেকে সেরে ওঠার পরও সাবধান থাকতে হবে
.............................................................................................
যে কারণে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি বহু মহাকাশযান
.............................................................................................
Lahore: A Gem of Pakistan`s History, Culture, and Heritage
.............................................................................................
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীর সন্ধান!
.............................................................................................
এ সময় এডিস মশার কামড় থেকে বাঁচতে যা করবেন
.............................................................................................
স্বুসাদু ম্যাঙ্গো পুডিং
.............................................................................................
বিশ্ব মা দিবস আজ
.............................................................................................
কড়াইমটর বানানোর সহজ রেসিপি
.............................................................................................
ঈদের রেসিপি: শাহী বোরহানি
.............................................................................................
ঈদের সকালে নারিকেল দুধে সেমাই
.............................................................................................
নতুন রূপে ফিরছে বাজাজ পালসার ২২০এফ
.............................................................................................
আইইএলটিএস প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে
.............................................................................................
রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
.............................................................................................
বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে বাঙালির মনে
.............................................................................................
ভালোবাসা দিবসে বাসন্তী রং
.............................................................................................
বসন্তকে জড়িয়ে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আজ
.............................................................................................
লাল গোলাপের বাজারে আগুন
.............................................................................................
আজ রোজ ডে, শুরু হলো ‘ভালোবাসা সপ্তাহ’
.............................................................................................
এবার ল্যাবে তৈরি মাংস মিলবে রেস্তোরাঁয়
.............................................................................................
দেশে আরও ৪৭ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
.............................................................................................
যেখানে সান্তা ক্লজের বাড়ি
.............................................................................................
আলু সেদ্ধ করার ৩ পদ্ধতি
.............................................................................................
হাঁসের মাংস ভুনা করবেন যেভাবে
.............................................................................................
কমছে পুরুষের শুক্রাণু, হুমকিতে সন্তান জন্মদান!
.............................................................................................
মুখের দুর্গন্ধ দূর করার ৭ উপায়
.............................................................................................
ডাইনোসরদের বিলুপ্তির ১১ কারণ
.............................................................................................
যে নারীরা গোসলের বদলে শরীরে মাখেন লালমাটি
.............................................................................................
স্তন ও জরায়ু মুখের ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়
.............................................................................................
বাঁধাকপির মচমচে কাবাব তৈরির রেসিপি
.............................................................................................
বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস আজ
.............................................................................................
বিশ্ব বাবা দিবস আজ
.............................................................................................
খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙলে শরীরের কী উপকার হয়?
.............................................................................................
সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক ডিম?
.............................................................................................
গরমে সুস্থ থাকতে পান পাতার শরবত!
.............................................................................................
দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন ৪০ বছরের নারী
.............................................................................................
ভালবাসার নিদর্শন ঐতিহাসিক সুতানাল দীঘি
.............................................................................................
আগুনরঙা ফাগুন এলো দ্বারে
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD