বনশ্রীতে যাত্রীবাহী বাসটি খালে পড়ার কারণ জানা গেল
রাজধানীর বনশ্রীতে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে খালে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকজন যাত্রী জানান, রাজধানীর বনশ্রীতে এক নারী যাত্রীকে নামানোর সময় পড়ে যাওয়ায় অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করতে থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বাসটি খালে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরা যাওয়ার পথে আলিফ নামে যাত্রীবাহী বাসটি হঠাৎই বাঁ দিক থেকে রাস্তার ডান পাশে খালে গিয়ে পড়ে। এসময় প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
বাসটিতে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি যারা ছিলেন তাদের উদ্ধার করে পাশের এক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এক নারী যাত্রীকে নামাতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য যাত্রীরা হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন যাত্রী চালককে মারধর শুরু করে। এরইমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খালে পড়ে যায় বলে জানান বাসের যাত্রীরা।
বাসে থাকা এক যাত্রী বলেন, ‘চার নারী ও দুই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে প্রথমে বাসের কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। কন্ট্রাক্টরের চাওয়া অনুযায়ী ১৫ টাকা করে তাঁরা ভাড়াও দেন। তবে ওই যাত্রীদের যেখানে নামানোর কথা ছিল, সেখানে নামানো হয়নি। গাড়িটি রানিংয়ের ওপর ছিল। এক নারী নামার সময় পা পিছলে পড়ে যান। পরে দুই পুরুষ যাত্রী চালকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। তারা চালকের কলার ধরে মারধর করেন। আমরা মারধর করতে নিষেধ করি। তবে তাঁরা থামছিলেন না। তাদের প্রশাসনের লোক মনে হয়েছিল। পরে বাসটি বনশ্রীতে ফেমাস হসপিটালে সামনে এসে থামে। তখনও যাত্রীরা চালককে মারধর করছিলেন। চালক মারধর থেকে বাঁচতে বাসটি নদীর দিকে নিয়ে যান। এরপর চালক গ্লাস ভেঙে বের হয়ে যান। কিছু যাত্রী নদীতে পড়ার আগেই লাফিয়ে বের হন। তবে কিছু যাত্রী নদীতে পড়ে যান, তারাও পরবর্তীতে বের হন।
রামপুরা থানার এসআই গোলাপ মাহমুদ বলেন, ‘ডেমরার মস্ত মাঝি এলাকা থেকে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ যাত্রী বাসটিতে ওঠেন। তাদের মেরাদিয়া বাগান বাড়ি এলাকায় নামার কথা ছিল। তাদের ঠিকমতো নামিয়ে দেননি গাড়িচালক। একজন নারী বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। তখন তার সঙ্গে থাকা দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালককে গাড়িটি থামিয়ে ভালো করে নামানোর অনুরোধ জানান। তবে গাড়িচালক তাদের অনুরোধ না শুনে চালাতে থাকেন। এরপর ওই দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। চালককে মারধর করেন। একপর্যায়ে গাড়িটি উল্টে খালে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
|
রাজধানীর বনশ্রীতে আলিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস উল্টে খালে পড়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। কয়েকজন যাত্রী জানান, রাজধানীর বনশ্রীতে এক নারী যাত্রীকে নামানোর সময় পড়ে যাওয়ায় অন্য যাত্রীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে মারধর করতে থাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ফলে বাসটি খালে পড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরা যাওয়ার পথে আলিফ নামে যাত্রীবাহী বাসটি হঠাৎই বাঁ দিক থেকে রাস্তার ডান পাশে খালে গিয়ে পড়ে। এসময় প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়।
বাসটিতে ৩০-৩৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা যায়। এই ঘটনায় একজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি যারা ছিলেন তাদের উদ্ধার করে পাশের এক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এক নারী যাত্রীকে নামাতে গিয়ে পড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অন্য যাত্রীরা হেলপারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন যাত্রী চালককে মারধর শুরু করে। এরইমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি খালে পড়ে যায় বলে জানান বাসের যাত্রীরা।
বাসে থাকা এক যাত্রী বলেন, ‘চার নারী ও দুই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে প্রথমে বাসের কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। কন্ট্রাক্টরের চাওয়া অনুযায়ী ১৫ টাকা করে তাঁরা ভাড়াও দেন। তবে ওই যাত্রীদের যেখানে নামানোর কথা ছিল, সেখানে নামানো হয়নি। গাড়িটি রানিংয়ের ওপর ছিল। এক নারী নামার সময় পা পিছলে পড়ে যান। পরে দুই পুরুষ যাত্রী চালকের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়ান। তারা চালকের কলার ধরে মারধর করেন। আমরা মারধর করতে নিষেধ করি। তবে তাঁরা থামছিলেন না। তাদের প্রশাসনের লোক মনে হয়েছিল। পরে বাসটি বনশ্রীতে ফেমাস হসপিটালে সামনে এসে থামে। তখনও যাত্রীরা চালককে মারধর করছিলেন। চালক মারধর থেকে বাঁচতে বাসটি নদীর দিকে নিয়ে যান। এরপর চালক গ্লাস ভেঙে বের হয়ে যান। কিছু যাত্রী নদীতে পড়ার আগেই লাফিয়ে বের হন। তবে কিছু যাত্রী নদীতে পড়ে যান, তারাও পরবর্তীতে বের হন।
রামপুরা থানার এসআই গোলাপ মাহমুদ বলেন, ‘ডেমরার মস্ত মাঝি এলাকা থেকে চারজন নারী ও দুজন পুরুষ যাত্রী বাসটিতে ওঠেন। তাদের মেরাদিয়া বাগান বাড়ি এলাকায় নামার কথা ছিল। তাদের ঠিকমতো নামিয়ে দেননি গাড়িচালক। একজন নারী বাস থেকে নামার সময় পড়ে যান। তখন তার সঙ্গে থাকা দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালককে গাড়িটি থামিয়ে ভালো করে নামানোর অনুরোধ জানান। তবে গাড়িচালক তাদের অনুরোধ না শুনে চালাতে থাকেন। এরপর ওই দুই পুরুষ যাত্রী গাড়ি চালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। চালককে মারধর করেন। একপর্যায়ে গাড়িটি উল্টে খালে পড়ে যায়। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
|
|
|
|
রাজধানীর বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার মো. শাহজাহান। তিনি বলেন, বাড্ডায় সুবাস্তু শপিং কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলায় দুটি কাপড়ের দোকানে আগুন লেগেছে। ভেতরে প্রচণ্ড ধোয়া ও আগুন রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।
|
|
|
|
রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাড়িতে প্রবাসী চিকিৎসক একেএম আব্দুর রশিদ (৮৫) হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় চার জন। কিলিং মিশনে তারা সময় নেয় মাত্র চার মিনিট।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ধানমন্ডি-১৫ (২৯৪/১) নিজ বাড়িতে স্ত্রীর সামনে হত্যা করা হয় চিকিৎসক আব্দুর রশিদকে। পাঁচতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় তারা স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। তাদের দুই ছেলে-মেয়ে থাকেন লন্ডনে। তারাও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। মূলত শীতের সময়টায় তারা দেশে থাকতেন আর বাকি সময় ছেলে-মেয়ের সঙ্গে লন্ডনে। গত সেপ্টেম্বর মাসে তারা ঢাকায় আসেন। আগামী বছরের জানুয়ারিতে আবার লন্ডন চলে যাওয়া কথা ছিল।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম এ তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নাঈম, রিফাত ও শাওন। দুই সপ্তাহ পর তাদের গ্রেফতার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, আসামিদের দুইজন আব্দুর রশিদের বাসায় ভাড়াটিয়া ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। জিম্মি করে টাকা আদায়ের জন্যই তারা ডাকাতির পরিকল্পনা করে। চিকিৎসক দম্পতির বাসায় গিয়ে ডাকাতির এক পর্যায়ে বাঁধা দিলে ছুরির আঘাতে আব্দুর রশিদ নিহত হন।
|
|
|
|
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ, চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
২০২৫ সালের কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে ডিআরইউয়ের নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের আগে সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে ডিআরইউয়ের নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে ২১ পদের মধ্যে চার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ১৭ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩১ জন।
এর মধ্যে সভাপতি পদে তিনজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা এক হাজার ৭৪৪ জন। সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে মুখরিত ডিআরইউ প্রাঙ্গণ।
ভোট শুরুর পর প্রার্থীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে ডিআরইউতে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
|
|
|
|
ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ মালয়েশিয়া থেকে আসা এক যাত্রী আটক হয়েছেন। উদ্ধার স্বর্ণের বারগুলোর প্রতিটির ওজন ১ কেজি বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের যুগ্ম কমিশনার আল আমিন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়া থেকে আসা ফ্লাইট এমএইচ ১৯৬ শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। অবতরণের পর বিমানটির এক যাত্রীকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়। তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিক। আর্চওয়েতে স্ক্যান করার পর তার শরীরে লুকিয়ে রাখা ১২টি স্বর্ণের বারের সন্ধান পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। প্রতিটি বারের ওজন এক কেজি হিসেবে স্বর্ণের বারগুলোর মোট ওজন ১২ কেজি।
স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলছে বলে জানান এই কাস্টমস কর্মকর্তা।
|
|
|
|
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় রাজধানীর মিরপুরে মহিলা আওয়ামী লীগের ৫ নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরের পল্লবী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফারকৃতরা হলেন- পল্লবী থানার ৬নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বাবলী বেগম, সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন যুথি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিতা আক্তার, সহ-সভাপতি নাজমা আক্তার সাথী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা বেগম।
শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ৪ আগস্ট পল্লবী থানার মিরপুর-১০ নম্বরে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যোগ দেন ভিকটিম মো. আবিদ। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আবিদের ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় মামলা করা হয়।
এ মামলায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত বাবলী বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন যুথি, রিতা আক্তার, নাজমা আক্তার সাথী ও খাদিজা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
|
|
|
|
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ব্র্যাক আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আয়োজনে শিশু যত্ন সেবা প্রদানকারী উদ্যোক্তা তৈরি ও নগরীর বিভিন্ন স্থানে ডে কেয়ার স্থাপনের লক্ষ্য নিয়ে প্রকল্প অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউডিপি সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাসুদ আহমদ এর সভাপতিত্বে ও ইউডিপি ঢাকা অঞ্চলের সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার তুহিন আলম ও ডেপুটি ম্যানেজার আয়েশা সিদ্দিকার পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর খায়রুল আলম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান সমাজ কল্যাণ ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহম্মদ মামুন-উল-হাসান, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিকাশ সরকারসহ প্রমুখ।
সভার শুরুতে প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন ব্র্যাক বিআইইডি’র সিনিয়র ফিল্ড ম্যানেজার দিলরুবা বেগম এবং বিআইজিডি’র প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর রাইসা আদিবা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মীর খায়রুল আলম বলেন, নগরায়ন, অভিবাসন এসব কারণে যৌথ পরিবারগুলো ভেঙে একক পরিবারে পরিণত হচ্ছে। আর বাবা মা উভয়ে কর্মজীবী হওয়ার কারণে যেসব পরিবারের শিশুরা ঠিকমত বেড়ে উঠার পরিবেশ পাচ্ছে না, তাদের মনোসামাজিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। বাড়িতে ডে কেয়ার সেন্টার চালু হলে শিশু ঠিকমত যত্ন ও সুরক্ষা পাবে বলে তিনি মনে করেন এবং সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ সরকার বলেন, এই প্রজেক্টের মাধ্যমে কর্মজীবী মায়েদের দুর্ভোগ লাঘব হবে এবং ডে কেয়ার সেন্টারগুলো মায়েদের ভরসাস্থল হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে ডে কেয়ার সেন্টারের উদ্যোক্তা নূর বানু বলেন, আগে তার স্বামী ঘরের বাইরে যেতে দিতেন না। পরবর্তীতে তিনি ব্র্যাকের মাঠকর্মীদের মাধ্যমে এই প্রজেক্টের কথা জানতে পারেন ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতেই চার জন শিশুসহ একটি ডে কেয়ার সেন্টার চালু করেছেন এবং কিছু টাকা আয় করছেন। এসময় অংশগ্রহণহকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইউডিপি প্রোগ্রামের ম্যানেজার-অপারেশন রেজভিনা পারভীন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মাসুদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নারীদের আত্মনির্ভরশীলতা ও স্বাবলম্বনের কথা উঠলেই সাধারণত হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ ইত্যাদির কথা মাথায় আসে। কিন্তু এখন সময় এসেছে এসব গতানুগতিক চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজ বাড়িতেই ডে কেয়ার সেন্টার স্থাপন করে উদ্যোক্তারা যেমন বাড়তি কিছু আয় করতে পারবেন তেমনি কর্মহীন নারীরা নিশ্চিন্তে যে কোন আয়মুখী কাজে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবী নারী হিসেবে অর্থনৈতিক সাবলম্বিতা অর্জন এবং পরিবার ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।
উল্লেখ্য যে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্র্যাক নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে নানা ধরণের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠানটি Evedience on Child Care (EEC) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে ঢাকা (কুনিপাড়া, বেগুনবাড়ি, মধুবাগ), টঙ্গী, সাভার ও গাজীপুর এলাকাতে। উক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে শিশু যত্ন সেবা প্রদানকারী উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীদের কাজের উপর এর প্রভাব ও শিশুর বিকাশের ফলাফলগুলো বোঝার চেষ্টা করা হবে। প্রকল্পের কার্যক্রমের অংশ প্রকল্পকালীন সময়সীমার মধ্যে ব্র্যাক নতুন ২০০ উদ্যোক্তা চিহ্নিত করবে যারা বাড়িতে ডে কেয়ার সেন্টার চালাবে। প্রত্যেক উদ্যোক্তার জন্য ১৬ জন মা যাদের ২-৫ বছর বয়সী সন্তান আছে এবং যারা শিশু যত্নের সেবা নিচ্ছেন না তাদের খুঁজে বের করা হবে। মোট ৩২০০ মা এবং শিশু থাকবে। এছাড়াও ১৫০ টি দলকে খেলাধুলা ভিত্তিক শিশু যত্ন ও ব্যবসা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং অন্য ৫০ টি দলকে সাধারণ ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যারা শিশু যত্ন ব্যবসা শুরু করবেন না। সর্বোপরি ৩০০ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ দেখার জন্য আইসিডিডিআরবি’র সাথে মিলে ‘ব্রেইন ইমেজিং’ গবেষণা করা হবে।
|
|
|
|
রাজধানীতে ডেঙ্গু মশার সঙ্গে এবার কিউলেক্স মশার উপদ্রব। দিন নেই, রাত নেই, ঘরে কিংবা বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গাতেই মশার উপদ্রব। শুধু রাত নয়, দিনেও কয়েল জ্বালাতে হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। ওষুধ বা স্প্রে কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না মশা। প্রতি বছর মশার পেছনে ১৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তারপরও মশার কামড় থেকে নিস্তার পাচ্ছেন না দুই মহানগরের বাসিন্দারা। মশার যন্ত্রণায় এখন অতিষ্ঠ জনজীবন।
৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যান। এরপর অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের পর দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করা হয়। নিয়োগ দেওয়া হয় প্রশাসক। এর কিছুদিন পর কাউন্সিলরদের অপসারণ করে সরকার। দায়িত্ব দেওয়া হয় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের। কর্মকর্তাদের নিজস্ব কাজের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতে কাজের চাপে নাগরিক সেবা অনেকটাই ভেঙে পড়ে। অনেকটাই নিয়ম রক্ষার কাজ করছেন মশক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। মাঠপর্যায়ে মশককর্মীদের কাজ তদারকি না থাকায় বেড়েছে ডেঙ্গু ও কিউলেক্স মশার উপদ্রব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকজন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমাদের নিয়মিত দাপ্তরিক কাজের চাপ অনেক বেশি। পাশাপাশি কাউন্সিলরদের কাজও করতে হয়। আগে মশার ওষুধের চাহিদা দিতেন কাউন্সিলররা। সে ওষুধ থাকত তাদের অফিসে। সেখান থেকে মশককর্মীরা প্রতিদিন নিয়ে সকালে লার্ভিসাইডিং ও সন্ধ্যায় অ্যাডাল্টিসাইডিং করতেন। এখন কাউন্সিলররা না থাকায় ওষুধ নিতে হচ্ছে সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে। কিন্তু কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা এদিকে যথেষ্ট নজর দিতে পারছেন না। ফলে রাজধানীর মশক নিধন কার্যক্রমে চলছে হযবরল অবস্থা।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন প্রতি বছর ১৫০ কোটি টাকার বেশি মশার পেছনে খরচ করে। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বাজেট ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ১১০ কোটি এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। গত বছর ১৬২ কোটি টাকা বাজেট করেছিল সংস্থা দুটি। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ১১৫ কোটি ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৭ কোটি টাকা।
মশার উৎস নির্মূলে মশক নিধন কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে রাজধানীবাসীর। উত্তর সিটি করপোরেশনে মাঠপর্যায়ে যেসব মশককর্মী কাজ করেন, এর মধ্যে প্রায় ৮৫ ভাগই আউটসোর্সিং করা। এমনকি কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে ওষুধ ছিটিয়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মশককর্মী সিটি করপোরেশনের হলেও তারা মাস্টাররোলে কাজ করেন।
জুরাইন এলাকার বসবাসকারী কামরুল ইসলাম বলেন, মশার সঙ্গে আমাদের এলাকায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আগে সন্ধ্যায় উপদ্রব বেশি থাকলেও এখন দিন-রাত সমানতালে। মশা বাড়লেও ওষুধ ছিটাতে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের এলাকায় আগে থেকেই মশার উপদ্রব বেশি, বর্তমান সময়ে এসে এ উপদ্রব আরও বেড়েছে। বাসায় ছোট বাচ্চা থাকার কারণে দিনের বেলাতেও মশারি টানিয়ে রাখতে হয় আমাদের। মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, মশা নিধনে কর্মীদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। তারা নিয়মিত আসছেন না। প্রতি ওয়ার্ডে মশার ওষুধ ¯েপ্রম্যান হিসেবে কাজ করেন ১৩ জন। এর মধ্যে অধিকাংশকে মাঠে দেখা যায় না।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। প্রতিদিনই মশককর্মীরা ওষুধ স্প্রে করছেন। সেটা আবার মশক সুপারভাইজাররা ফেসবুকে লাইভ করছেন। আবার সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে মনিটরিং করছেন কর্মকর্তারা। তবে মশককর্মী সবাইকে সঠিকভাবে তদারকি করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ।
|
|
|
|
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্ম সচিবের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শতাধিক কর্মচারী। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে ৬ নম্বর ভবনের নিচে অবস্থান নিয়ে তারা এ বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভকারী একজন কর্মচারী বলেন, যুগ্ম সচিবের বিচারের দাবিতে আমাদের এ অবস্থান। তার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এসব কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হট্টগোল করেন। তারা অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব পদে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীদের নির্দিষ্ট হারে পদোন্নতি পাওয়ার কোটা রয়েছে। কিন্তু ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারীরা বিগত দিনে সেটা পরিপূর্ণভাবে পাননি।
বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দাবি জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিটির অন্য সদস্যরা এ সমস্যা সমাধানে একমত পোষণ করে একটি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু নাদিরা সুলতানা প্রাথমিক অবস্থায় স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করলে একপর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান, এমন অভিযোগ আসে। তারপর জিয়াকে প্রথমে সচিবালয়ের ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত কর্মচারী হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। যুগ্ম সচিবের ‘খারাপ আচরণের’ খবর ছড়িয়ে পড়লে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় গিয়ে ওই যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সেøাগান দিতে থাকেন। আজও (২৭ নভেম্বর) তারা বিক্ষোভ করেছেন।
উল্লেখ্য, কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এপিডি ওবায়দুর রহমান তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে ওই প্রতিবেদনে নাদিরা সুলতানাকে স্বাক্ষরের নির্দেশ দেন। এরপর সন্ধ্যায় নাদিরা স্বাক্ষর দেন।
|
|
|
|
রাজধানী ঢাকায় শনাক্ত হয়েছে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি জানা গেছে। গত বছরও পাঁচজন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা এখন ঝুঁকিমুক্ত।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জিকা ভাইরাস দেশে প্রথম ২০১৪ সালে শনাক্ত হয়। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক।
গবেষকরা বলছেন, ঢাকা শহরে এখন জিকার পাশাপাশি চিকুনগুনিয়ায় অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এর অর্থ, ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়াÑ এই তিন রোগে ঢাকা শহরের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগ তিনটি ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
আইইডিসিআর জানিয়েছে, জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে, জ্বর ও ব্যথার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে কাছের সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করাতে হবে।
জিকা ভাইরাসের দুটি ধরন আছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। একটি আফ্রিকান, অন্যটি এশিয়ান। আইসিডিডিআরবি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তাদের পাওয়া জিকা ভাইরাসের জিন বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ধরনটি এশিয়ান।
|
|
|
|
রাজধানীর ডেমরায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা চালিয়েছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় কলেজটির ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা। পরে দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। দুপুর সোয়া ১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছে। সবশেষ মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজটির ভিতরে ঢুকে প্রধান ফটক বন্ধ করে দিয়েছেন। আর বাইরে থেকে কলেজটি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ছেন নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে তারা লাঠিসোঁটা হাতে বের হন কবি নজরুল সরকারি কলেজের দিকে। বেলা ১১টার দিকে কবি নজরুল কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে মোল্লা কলেজের উদ্দেশে রওনা হন এ দুই কলেজের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ব্যাপক ভাঙচুর করেন তারা।
কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘মোল্লার চামড়া, তুলে নেব আমরা’সহ বিভিন্ন সেøাগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, হামলার পর মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের গেট ভাঙচুর করে ভিতরে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ার, কম্পিউটার-ল্যাপটপ-ডকুমেন্টসহ মূল্যবান অসংখ্য জিনিস লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছেন কবি নজরুল সরকারি কলেজ ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ডেমরার এ কলেজটি। তবে হামলা থেকে রক্ষা পেতে কলেজের গেট বন্ধ করে দিয়েছেন মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
জানা গেছে, গত বুধবার (২০ নভেম্বর) ভুল চিকিৎসায় মোল্লা কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত মোল্লা কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করেন।
প্রতিবাদে রবিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটর ডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাঁও সরকারি কলেজসহ ৩০টির বেশি কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালান এবং দুই পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৪০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
|
|
|
|
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনের মতো আজও (২৫ নভেম্বর) ঢাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন রিকশাচালকরা।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইয়াসিনা ফেরদৌস বলেন, আজও (২৫ নভেম্বর) আগারগাঁও এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেছেন। তাদের রাস্তা অবরোধের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা মিরপুর-১০ নম্বর থেকে যানবাহন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিচ্ছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি।
এদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করার ব্যাপারে উচ্চ আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে আজ (২৫ নভেম্বর) একটি আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
|
|
|
|
রাজধানীর আজমপুরে পণ্যবাহী একটি ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ওই লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডাবল লাইন থাকায় অন্য লাইনটি দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার সময় আজমপুরে ট্রেনটির তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
|
|
|
|
রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী শিশুসহ সাতজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন, আব্দুল খলিল (৪০), মোছাম্মদ রুমা আক্তার (৩২),আব্দুল্লাহ (১৩), মোহাম্মদ (১০), ইসমত (৪), সপ্না (২৫) ও শাহ্জাহান (৩৪)।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) ভোরের দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. শাওন বিন রহমান জানান, মিরপুর থেকে আসা দগ্ধ সাত জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে আব্দুল খলিলের শরীরের ৯৫ শতাংশ, আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ এবং মোহাম্মদের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
|
|
|
|
ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবিরকে সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার শনিবার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিশিষ্ট সম্পাদক নূরুল কবির সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় গভীরভাবে দুঃখিত। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের কোনো সাংবাদিকের প্রতি কোনো ধরনের হয়রানি সহ্য করবে না। নূরুল কবির আমাদের অন্যতম শ্রদ্ধেয় সম্পাদক, যুক্তির পক্ষে সোচ্চার কণ্ঠস্বর এবং সাংবাদিকতার নৈতিকতার শীর্ষস্থানীয় একজন চ্যাম্পিয়ন। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
|
|
|
|
রাজধানীর মতিঝিলে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার(২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টায় মতিঝিলের এজিবি কলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন—রাশেদুল ইসলাম ওরফে রাইস্যা ওরফে বাবু (২৪), মো. নাইম (২৩) ও মনির হোসেন মঞ্জু (২৮)। এ সময় সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মতিঝিল থানা সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মতিঝিল এজিবি কলোনি এলাকার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে রাত সাড়ে ৪টায় মতিঝিল থানার টহল পুলিশের দল অভিযান চালায়। অভিযানে তিনজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, তারা ঘটনাস্থলসহ আশেপাশের এলাকায় ডাকাতি করার জন্য সমবেত হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
|
|
|
|
|
|
|
|