বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে ফের ড্রোন   * সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের ক্ষতি ২২ গুণ বেশি   * গেজেটের পরই আ.লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি   * ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত থাকছে   * যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ ভারতের, অস্বীকার করেছে পাকিস্তান   * ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি, আকাশসীমা খুলে দিলো পাকিস্তান   * সিলেট সীমান্তবর্তী ভারতের তিন জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি   * ইন্টারপোলের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফেরাতে চেষ্টা চলছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা   * পাকিস্তান উচ্চগতির ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, দাবি ভারতের   * পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছে পাকিস্তান  

   রাজনীতি -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
আ.লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটকীয়তা চলছে: মির্জা আব্বাস

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে নাটকীয়তা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

সোমবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলন নাটকীয়। কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। 

তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মানবিক করিডোর নামে সরকার কারোর পারপাস সার্ভ করছে। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা বিস্ময়কর। 

প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থীদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় এনসিপির বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আ.লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটকীয়তা চলছে: মির্জা আব্বাস
                                  

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের আড়ালে নাটকীয়তা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। 

সোমবার (১২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে লাগাতার আন্দোলন নাটকীয়। কোনো অপকর্মের আগে শেখ হাসিনাও মানুষের দৃষ্টি সরাতে এমন কৌশল অবলম্বন করতেন। 

তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা না করলেও একটি অজনপ্রিয় দল শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিএনপিকে হেয় করছে। যারা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন নিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, মানবিক করিডোর নামে সরকার কারোর পারপাস সার্ভ করছে। দেশ ভালো অবস্থানে নেই। মানবিক করিডোর নিয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নীরবতা বিস্ময়কর। 

প্রশাসনে বিএনপি নিধন করে আওয়ামী-জামাতপন্থীদের স্থলাভিষিক্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা আব্বাস। এছাড়া ডিএমপির নিষিদ্ধ এলাকায় এনসিপির বিক্ষোভ করার ঘটনায় সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

যাদের রক্তে ঘামে আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে তাদের টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব- এবি পার্টি
                                  

যথাযথ সেবা প্রদানে ব্যার্থ হলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোট-টাই পরা মানুষের অবদানের চেয়ে আমার দেশের কৃষক, কৃষকের ছেলে যারা আপনারা প্রবাসে রয়েছেন ও কৃষকের মেয়ে আমাদের বোন যারা গার্মেন্টসে কাজ করেন, তাদের অবদান অনেক বেশি। আপনারা রক্ত ঘাম করে বিদেশ থেকে ডলার পাঠান আর বাংলাদেশের তথা কথিত সাহেবরা সেই ডলার পাচার করে ইউরোপ আমেরিকায় আয়েশী জীবন যাপন করছে। আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা সঠিক সময়ে পাসপোর্ট পাচ্ছেন না, পুরাতন পাসপোর্ট যথা সময়ে নবায়ন করতে পারছেনা। দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়ায় আমাদের শ্রম বাজার বন্ধ রয়েছে। তা উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। যথাযথ সেবা প্রদানে ব্যার্থ হলে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। যাদের রক্তে ঘামে আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে তাদের টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব বল দাবি করেছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) মালয়েশিয়া শাখার উদ্যোগে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং এর রাধুনি বিলাস রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।

আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) মালয়েশিয়া শাখার আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ড. মুহাম্মদ বেলাল হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ড. সোহেল মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টি মালয়েশিয়া শাখার নারী বিষয়ক সম্পাদক শবনম রহমান, এনসিপি মালয়েশিয়া শাখার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ড. মঈনুদ্দিন খন্দকার ও মালয়েশিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দাতুক হাজী সারোনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ আরো বলেন, আমরা প্রথম যখন ফ্যাসীবাদি আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছিলাম, প্রতিবাদ শুরু করেছিলাম ঐ সময় অনেকেই আমাদেরকে বোকা মনে করতো। কিন্তু আমরা জানতাম কি করছি। আজ প্রমাণিত হয়েছে আমরা সঠিক ছিলাম। তেমনি দেশের জন্য আমাদের প্রবাসী ভাই বোনদের আমাদের কিন্তু বোকামি করতে হবে। আপনারা যেহেতু উন্নত দেশে বসবাস করছেন, এর সুবিধা আপনারা জানেন। এখন আপনাদের দেশে বসবাসরত আত্মীয় স্বজনদের বোঝাতে হবে, পুরাতন রাজনীতি দিয়ে আর দেশের কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। তাদেরকে বলতে হবে নতুন রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নিয়ে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আমরা আমার বাংলাদেশ পার্টি গঠন করেছি সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক শ্লোগান নিয়ে। প্রবাসী ভাইবোনদের যেসমস্ত সমস্যা শুনছি, তা নিয়ে সরকারের উপদেষ্টাদের সাথে আমরা কথা বলবো। আমরা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলবো। সমস্যার সমাধান না করলে তিনি কোন ভাবেই দূতাবাসের কর্মকর্তা হিসেবে থাকতে পারেন না।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি মালয়েশিয়ার দায়িত্বশীল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছি, যেন নতুনকরে দ্রুততম সময়ে  মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা সম্ভব হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ড. বেলাল বলেন, আমরা মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসীদের অধিকার নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি। আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন, ইনশাআল্লাহ আমরা আপনাদের সমস্যা নিয়ে দেশের ও মালয়েশিয়ার সরকারের সাথে কথা বলবো।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউল আজম সাকিব, বদরুল হুদা খান, এবি যুবপার্টির নেতা সাহেব আলী, ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান, মাহমুদুল হাসান সহ এবি পার্টি মালয়েশিয়া শাখার নেতৃবৃন্দ ও মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

আইনী প্রক্রিয়ায় গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় এবি পার্টির অভিনন্দন
                                  

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। এ উপলক্ষ্যে রবিবার বিকেল ৫ টায় রাজধানীর বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এক ‘অভিনন্দন অভিযাত্রা’ বের করে দলটি। অভিযাত্রায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের মাধ্যমে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানাই। জাতিসংঘ ঘোষিত গণহত‍্যাকারী দল আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না দিয়ে আমরা চাচ্ছিলাম বিচারিক প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেয়ার জন‍্য। আওয়ামীলীগ যে সীমাহীন অন‍্যায়, জুলুম ও লুটপাট করেছে তাতে এ দলটার বিরুদ্ধে জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে ফুঁসে উঠেছে, অতএব এই পদক্ষেপ যুক্তিযুক্ত এবং এতে নাগরিকদের প্রত‍্যাশার প্রতিফলন ঘটেছে বলে আমরা মনেকরি। তিনি বলেন,

দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এজন‍্য আন্দোলন করে আসছিলাম, কিন্তু এক অজানা কারনে আমাদের দাবি মেনে নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গড়িমসি এবং কালক্ষেপণ করে। শেষ পর্যন্ত ফ‍্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতাকে রাজপথে নেমে দাবি আদায় করতে হয়েছে। তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও সমর্থন দানকারী সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানান।
অভিযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন সভা সঞ্চালনা করেন।
এছাড়া পার্টির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অবঃ হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার সানি আবদুল হক, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক(বরিশাল) গাজী নাসির, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন,নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার,ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স,ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাজাহান ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, পেশাজীবি কাউন্সিলের সদস্য সচিব শামীম মাহাবুব,দুর্যোগ বিষয়ক সহ সম্পাদক মাসুদ জমাদ্দার রানা, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ, ছাত্রপক্ষের চুয়াডাঙ্গা জেলার আহবায়ক আলমগীর হোসাইন,গাইবান্ধা জেলা সহ সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান ফাতাহ।
মজিবুর রহমান মঞ্জু তার বক্তব্যে আরো বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বদলীয় কনভেনশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি করেছিলাম। আওয়ামী লীগ হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে,গুম করেছে, দিনের পর দিন বিনে বিচারে মানুষকে আটকিয়ে রেখে বাংলাদেশকে একটি শ্মশানে পরিণত করেছিলো।
আমাদের দেশের লক্ষ লক্ষ টাকা পাচার করে কানাডায় বেগম পাড়া নামে স্বর্গেরাজ্য তৈরী করেছে। আমাদের প্রতিটি টাকার পাইপাই হিসেব দিতে হবে এবং প্রত্যেকটি টাকা ফেরত আনতে হবে। এখানে দাঁড়িয়ে আমরা বলেছিলাম বাংলার মানুষ যখন জাগবে তখন আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না! আমাদের প্রতিটি বক্তব্য সত্যে পরিনত হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. ওহাব মিনার বলেন, যে ফ্যাসিবাদের পতন ২৪ এ হয়েছে তা আর কখনো ফিরে আসার সুযোগ নাই, আপনারা নিশ্চিত থাকেন। তার কারন ছাত্র জনতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যাতে ঘুমিয়ে না পড়ে এজন্য ছাত্রজনতা মাঠে পাহারা বসিয়েছে। যারাই নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইবে, গুম খুন লুটের মতো অপকর্ম করবে তারাই আওয়ামী লীগের মতো ভাগ্যবরণ করবে। তিনি পতিত স্বৈরাচারের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানান। ৫ই আগস্টে যে ঐক্য হয়েছিলো তা ধরে রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক,স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক কেফায়েত হোসাইন তানভীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ,সফিউল বাশার, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম,শিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ফয়সাল মনির,সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী,মশিউর রহমান মিলু, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক জামিল আহমেদ,সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নুর মোহাম্মদ সুমন, যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল,যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, রাশেদ, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী,যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান রাফিউর রহমান ফাত্তাহ, মাহমুদুল হাসান আসিফ, সোলাইমান আল হাবিব, ফারহানুল ইসলাম ইফতি, সায়েমুল ইসলাম, জাওয়াদ হামিম, মাশরুর ইসলাম মাহিন, মেহরাজুল ইসলাম আদরসহ কন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

জুলাইয়ের স্পিরিটের আলোকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে: শাহাদাতুল্লাহ টুটুল
                                  

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও বিগত সরকারে অবৈধ নিয়োগে প্রশাসনে একশ্রেণীর কর্মকর্তারা দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। যার সর্বশেষ সংযোজন ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োগকৃত রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিদেশ গমনে সহায়তা।যা জুলাইয়ের চেতনার সাথে সুস্পষ্ট প্রতারণার সামিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জুলাইয়ের স্পিরিটের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে।

রবিবার দুপুর ১২ টায় বিজয়নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুব সংগঠনের মতবিনিময় সভায় এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুলের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ, জাতীয় যুব সংহতির আহবায়ক হারুন অর রশিদ, জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি এস এম শামসুল আলম নিক্সন, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, বিপ্লবী যুবসংতির সভাপতি বাবর চৌধুরী, যুব অধিকার পার্টির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম, যুব আন্দোলন এনডিএম এর সভাপতি আদনান সামি, বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমাজের মহাসচিব আল মাসউদ খান।

শাহাদাতুল্লাহ টুটুল আরো বলেন, আওয়ামীলীগ বিগত ১৬ বছর রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করেছে, সন্ত্রাসবাদের অপর নাম এখন আওয়ামীলীগ। এই সংগঠনকে অতি সত্বর নিষিদ্ধ করে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে আইন পাশ করতে হবে।
কিছু কিছু উপদেষ্টার বিতর্কিত ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, উপদেষ্টামণ্ডলীদের দেশ পরিচালনার ব্যাপারে আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে। সকল কমিশনের রিপোর্ট আলোকে প্রয়োজনীয় সংশোধনীসহ নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে। দূর্নীতি ও দূর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে যেতে হবে। যে সকল দূর্নীতিবাজরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে, তাদের অতিসত্বর গ্রেফতার করে রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আমাদের দেশে নির্বাচনী সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। প্রতি ৫ বছর পরপর নির্বাচন আসলেই হানাহানি ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্র, সবকিছু এই নির্বাচনকে ঘিরেই সংঘটিত হয়। বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে স্থায়ী সমাধান বিদ্যামান থাকলে আজকে বাংলাদেশ এই সংকটে উপনীত হতো না। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের জন্য একটি টেকসই স্থায়ী সমাধান করে যেতে হবে।

সকল যুব সংগঠনসমূহকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুবসমাজ আরো দৃঢ় ভূমিকা রাখবে। উপস্থিত সকল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যুবসংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুন বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরপরই আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার দাবী ছিল। রাজপথে আন্দোলন করে নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল না। তিনি বলেন, যুবকদের নিয়ে সরকারের সুনিশ্চিত পরিকল্পনা থাকা দরকার। তিনি যুব সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিপ্লবের চেতনা ধারণ করার আহবান জানান।

ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ বলেন, বিপ্লবের পরে অনেক সম্ভাবনা থাকলে দেশ আজ অন্য এক সংকটে আবর্তিত হচ্ছে, ডিজিটাল দেশের কথা বলে গ্রামে গঞ্জে মাদক আর পর্ণগ্রাফিতে যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। তিনি বলেন সমাজিক সচেতনার মাধ্যমে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
পলায়নরত স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে বসে দেশবিরোধী নানারকম ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে। দেশে অবস্থিত ফ্যাসিবাদের দোসররা অনবরত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যার ফলশ্রুতিতে আজকে সকল যুব সংগঠন মতবিনিময় সভা থেকে সকল নেতৃবৃন্দই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যমত পোষণ করেছেন এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যুবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মনসুর আহমেদ সাকী, মীর রেজাউল আলম, মমতাজুল ইসলাম, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, সাইফুল্লাহ তাহমিদ, অলিউল আনোয়ার, আজিজুর রহমান, মো বোরহান উদ্দিন, মাহমুদ আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার কৌশিক আহমেদ, মাসুদুর রহমান, মাহফুজুর রহমান ইমতু, রাশেদুল ইসলাম প্রমূখ।

অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে বিএনপি: নজরুল ইসলাম
                                  

বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারকে সাহায্য ও সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির প্রয়াত ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার যদি আগে সিদ্ধান্ত নিতো তবে গতকালের মতো এমন অনভিপ্রেত অবস্থার সৃষ্টি হতো না।

নজরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যেভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে সরকার, একইভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণায় দেরি হলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।

তবে বিলম্বে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের বিচারের উদ্যোগ নেওয়ায় বিএনপি খুশি জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগে থেকেই দেশের রাজনীতির জঞ্জালমুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি করে আসছিল বিএনপি।

সরকারের কাজে অনেক ঘাটতি আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ, কিন্তু সেখানে আগ্রহের ঘাটতি রয়েছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করা উচিত।

দেশের মানুষ ও তরুণ প্রজন্ম নির্বাচন দেখতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।

এদিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে চীনা দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানের পর আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, আওয়ামী লীগ প্রশ্নে মীমাংসা হয়েছে। জনগণ যা চেয়েছে তাই হয়েছে।

‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো’
                                  

সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জামায়াতে ইসলামী তাকে সাধুবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো।  


রোববার (১১ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানার্স আয়োজিত নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিষয়ক ৪র্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সোমবার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে উল্লেখ করে জামায়াত আমির বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যেই সনদটি দেয়া সম্ভব।

আ.লীগের পক্ষ নিলেন কাদের সিদ্দিকী
                                  

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে, সেই হুজুর মওলানা ভাসানীর দল, বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ কচুপাতার পানি না। সেটা সিদ্ধ হবে না নিষিদ্ধ হবে, এ রায় দেওয়ার মালিক জনগণ।

রোববার (১১ মে) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতীহাটি গ্রামে এলাকার মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেই নিষিদ্ধ হয়ে যায় না। জনগণ যদি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, অনুমোদন দিলেও সে দল দাঁড়াতে পারে না। আওয়ামী লীগের যারা অন্যায় করেছে ভুল করেছে, তাদের বিচার হবে এবং আইনের বিচারের দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু কোনো পরিষদ সিদ্ধান্ত নিলেই সেটা কার্যকর হবে বা সেটাই শুদ্ধ, সেটা ঠিক না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বীরপ্রতীক আব্দুল্লাহ, কালিহাতী উপজেলা যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক এসএম নাজমুল আলম ফিরোজ, বল্লা ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মোস্তফা আনসারী, সাধারণ সম্পাদক মো. সাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ৭ মে মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড যাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দাবিতে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর সঙ্গে যোগ দেয় জুলাই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও দল। 

দাবি আদায়ে গত দুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে এনসিপি ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এ প্রেক্ষাপটে শনিবার (১০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের পুরো উপদেষ্টা পরিষদ। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চলমান বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম।

 

আ.লীগ নিষিদ্ধে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
                                  

আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে দ্রুত আসন্ন নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য সরকারে কাছে দাবিও জানিয়েছে দলটি।  

রোববার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর আন্তর্জাতিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বিএনপির পক্ষ থেকে এসব কথা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। মাফিয়া শক্তি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসাবে দেশ-বিদেশে কোথাও স্বীকৃতি নেই। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র মানে না, তাদের ডিএনএতে গণতন্ত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই। দল হিসাবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধনের উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানাই। 

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমাদের দলের পক্ষ থেকে কয়েক মাস আগে এই দাবিটা লিখিতভাবে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার দায়ে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তখন প্রধান উপদেষ্টা বিষয়টি যদি আমলে নিতেন তাহলে গত ২ দিনের (আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলন) বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো, বিএনপি এই রকম যেসব পরামর্শ দিয়েছে, দেশ ও জনগণের পক্ষে ভবিষ্যতে তা যেন যথাসময়ে আমলে নেয়। সরকার ও দেশ পরিচালনায় আমরা সরকারকে সহযোগিতা করবো।

এরপরই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য দলের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা সতর্ক করে বলেন, সারাদেশের মানুষ আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। এজন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আহ্বান জানিয়েছি যেন আগামী নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করেন শিগগিরই। না হলে সরকারকে আগামীতে আরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ মে মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সময়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড যাওয়ার খবরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৩ দাবিতে নতুন করে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর সঙ্গে যোগ দেয় জুলাই অভ্যুত্থানে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও দল। বিএনপি ও বাম দলগুলো অবশ্য এ কর্মসূচিতে সরাসরি অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকে।    

দাবি আদায়ে গত দুদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করে এনসিপি ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এ প্রেক্ষাপটে শনিবার (১০ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের পুরো উপদেষ্টা পরিষদ। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত আসে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার চলমান বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকবে আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম। 

আগামী সোমবার (১২ মে) এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে বলে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

 

আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
                                  

জুলাই ঐক্যের টানা আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু অফলাইনে নয়, অনলাইন জগতেও আওয়ামী লীগ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজসহ সাইবার স্পেসে দলটির কার্যক্রম বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত পরিপত্র আকারে জারি হওয়ার অপেক্ষায় সংস্থাটি।

রোববার (১১ মে) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। পরিপত্র জারি হলে এসব পেজ নিষিদ্ধ করতে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে। বিটিআরসির মাধ্যমে চিঠি পাঠালে সেটি দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা করছি।’

ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামে দলটির একটি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ রয়েছে। পেজটিতে বর্তমানে ফলোয়ার প্রায় চার মিলিয়ন (৪০ লাখ)।

গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদে আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসার পরপরই পেজটিতে পোস্ট দিয়ে এর প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতেও পেজে শেয়ার করা হয়। তাছাড়া নিয়মিত বিভিন্ন পোস্ট দিতে দেখা গেছে।

কারাগার থেকে কারাগারে, দেশ যাবে কোন পথে ফায়সালা হবে রাজপথে : আমান উল্লাহ আমান
                                  

মিয়া আবদুল হান্নান : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করছে বিএনপি: আমানগণমানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে বিএনপি এখনও রাজপথে সক্রিয় আছে বলে দাবী করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।সেজন্যে কারাগার থেকে কারাগারে থাকতে হয় তাকে। স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার আতংক, রাজপথে লড়াকু সৈনিকের নাম আমান উল্লাহ আমান।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হলো। আমি যখন মূল ফটক পার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করলাম চারদিক থেকেই স্লোগান স্লোগান মুখরিত হলো। জিয়া, খালেদা, তাদের মহামান্য মুহূর্তে স্লোগান। আমান তোমার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই! কেউ বারান্দায়, কেউ মাঠে। চারদিকে স্লোগানের পর স্লোগান, দেশ যাবে কোন পথে, ফায়সালা হবে রাজপথে। মনে হলো আমি জেলখানায় নয়, কোনো রাজপথে বিশ্বজনতার মিছিলে আছি। জেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তখন এদেরকে সরানোর চেষ্টা শুরু হয়ে দাঁড়ালো। পরে লাঠিচার্জ করে জেলখানার ভেতরে কয়েদি ও হাজতিদের সরিয়ে আমাকে আমার রুমে নিয়ে যাওয়া হলো, বিকেল বেলায়।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। রাতে খেলাম। একটু পাথারি করে ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের আজানের আওয়াজ শুনে উঠে অজু করে নামাজ পড়লাম, জেলের এসে আমাকে বললো, আপনি রেডি হন। জিজ্ঞেস করলাম, আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন? তিনি বললেন, স্যার, আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছিনা।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমি বললাম, আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, যদি না বলেন, আমি রেডি হব না, কোথাও যাব না। জেল কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞেস করতে গিয়েছিল কোথায় নেওয়া হবে। কিন্তু তারা কোনো সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারছে না। আমার কাছে এসে জোরাজুরি শুরু করলো। আমি বললাম, তোমাদের জোরাজুরি করার প্রয়োজন নেই। আমাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে বলো, আমি রেডি হচ্ছি, না বললে আমি রেডি হবো না। এক পর্যায়ে বললো, স্যার, আপনাকে কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হবে। আমি বললাম, কাশিমপুর কারাগারে কেন নিবে? ওরা হেসে বললো, স্যার ভালোটাই আপনাকে দিবে। রেডি হয়ে প্রিজন ভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগারের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আমি এবং নাজিমউদ্দিন আলম দুজনেই। চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ঢাকা কারাগারে নিয়ে আসা হলো।
ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমাদের চট্টগ্রাম কারাগার থেকে ঢাকা কারাগারে নিয়ে আসা হলো। মিথ্যা, ফরমায়েশি সাজা দিয়ে জেলে রাখা হলো। আমাকে ঢাকা কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হলো। বারিস্টার নাজমুল হুদা, আলমগীর হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান মোল্লা, পক্ষন্তু দেববাশী, হাফিজ ইব্রাহিমসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আভ্যন্তরীণ পরিবেশ ছিল সুষ্ঠু-সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থানে ছিল। আমরা কারাগারের ভেতরের সময় খুব উদ্বিগ্ন অবস্থায় ছিলাম। কোনোভাবেই আমরা এই থেকে নিস্তার পাচ্ছিলাম না। মন কীভাবে থাকে এবং কীভাবে এটা দূর করা যায় আমরা আলোচনা-পর্যালোচনা করলাম। যাহোক, জেল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করলো আমাদের সহনীয় করার জন্য। যেহেতু বিভিন্ন দলের অনেক সিনিয়র নেতা তখন জেলখানায় ছিলেন, তাদের একটা আন্তরিকতার প্রতিফলন দেখেছি আমাদের প্রতি। তারা চেষ্টা করলেন ন্যায় বিচারের জেল কোড অনুযায়ী আমাদের জন্য কিছু করার। দলীয় সরকার থাকলে আসলে এভাবে হয় না। এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেখেছি অনেক বিএনপি নেতা-কর্মীদের কোর্টে হাজিরের পরিধি নিয়ে আসা হচ্ছে, অনেক সিনিয়র নেতাদের ডিভিশন দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে, আমাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং মির্জা আব্বাসকে ১৫দিন পর্যন্ত কোনো ডিভিশন দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে।
একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল যে, ওয়ান-ইলেভেনের সময় যারা সাবেক এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন তারা জেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ডিভিশন দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সরকার তা করছে না। জেলখানায় বিভিন্ন নেতাদের যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া, এই সরকার তা দিচ্ছে না। অনেক কিছুই অনিয়ম হচ্ছে। এই অনিয়মের ফল বর্তমান সরকার যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে, তাদের একদিন এই ফল ভোগ করতে হবে।

(নব্বইর - গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা বই থেকে)
চলমান - ১৪

পারিবারিক অনুষ্ঠানে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
                                  

দীর্ঘ ৪ মাসের মতো লন্ডনে চিকিৎসা শেষে ৬ মে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। প্রায় ১০ ঘণ্টার লম্বা সফরে কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় গত কয়েক দিন সম্পূর্ণ বিশ্রামে ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এখন অনেকটা সুস্থবোধ করায় শনিবার (১০ মে) রাতে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দারের বাসায় গিয়েছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে, অনুষ্ঠানে যেতে গাঢ় নীল রঙের একটি শাড়ি পরে বের হয়েছেন খালেদা জিয়া। নিজের বাসভবন ফিরোজা থেকে খালেদা জিয়া বের হওয়ার পর গাড়ির দুই পাশে নেতাকর্মীরা তার নামে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

প্রসঙ্গত, গণঅভ্যুথানে পদত্যাগ করে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত ৮ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বেগম জিয়া। অবশেষে দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ৬ মে সকালে দুই পুত্রবধূ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

মুসলিম লীগের কাউন্সিলে এডভোকেট মহসিন রশিদ সভাপতি নির্বাচিত
                                  

এমএম রহমাতুল্লাহ: উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

অধিবেশনের শুরুতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুপ্র্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মহসীন রশিদ কণ্ঠভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। পার্টিতে তুমুল জননেতা কাজী আবুল খায়ের চতুর্থবারের মতো মহাসচিব পদে বহাল থাকেন। বলা নিষ্প্রয়োজন,২৪ জুলাই ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি এডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চান। তখন থেকে এডভোকেট মহসীন রশিদ দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, মুসলিম লীগ এই ভূখণ্ডের একমাত্র দল, যারা ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণের জন্য কাজ করেছে। সুষ্ঠূ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকেনি। মুসলিম লীগ নেতাদের কেউ দুর্নীতি করেনি। মুসলিম লীগ নেতারা জনগনের জন্য কাজ করতে গিয়ে জমিদার থেকে ফকীর হয়ে গেছেন, কিন্তু অনৈতিক কিছু করেনি। মুসলিম লীগ কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কাজও করেনি। নারী কমিশনে প্রস্তাবিত সুপারিসের মধ্যে উত্তরাধিকার আইন সরাসরি কুরআন বিরোধী বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুসলিম লীগ ভেঙে আওয়ামী লীগ হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ এমনিতেই মুসলিম লীগের জন্য নিষিদ্ধ। আওয়ামী লীগকে ইমিডিয়েটলি নিষিদ্ধ করা হোক বলেও তিনি এসময় দাবি তোলেন।
মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, মুসলিম লীগ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় দল। দেশের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলের বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রায় সবাই মুসলিম লীগের উত্তরসূরী। আমরা যদি কোনোদিন ক্ষমতায় যেতে পারি, মুসলিম লীগকে আবার তার আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়া হবে ইনশা-আল্লাহ।
অধিবেশন কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩টি ধারায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সুযোগ রয়েছে। ১৯৭৪, ১৯৭৮ ও ২০০৯ সালের প্রণীত আইন দ্বারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। পেহেলগামে সহিংসতাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ভারতের কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা করেন রাজনৈতিক নেতারা। নেতৃবৃন্দ এসময় যুদ্বের পরিবর্তে আলোচনার মাধ্যমে সংযম ও শান্তির পক্ষে মত দেন।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অবঃ দিদারুল আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো: রাশেদ খাঁনসহ মুসলিম লীগের বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
কাউন্সিল অধিবেশন অন্যান্য দলের প্রতিনিধিদের মধ্যে এনসিপি, জাগপা, এলডিপি, গণতান্ত্রিক পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
সারাদেশ থেকে দলের পাঁচ শতাধিক কাউন্সিলর মুসলিম লীগের অধিবেশনে প্রতিনিধিত্ব করেন।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন
                                  

এমএম রহমাতুল্লাহ: উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরাতন ও ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে শনিবার। সকাল সাড়ে দশটায় ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে। অধিবেশনে জাতীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের উত্তরসূরী। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া সেক্যুলার আওয়ামী লীগ সরকার দলটিকে নিষিদ্ধ করলেও ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আইনি বৈধতা পায়। এরপর আবদুস সবুর খান বাংলাদেশে মুসলিম লীগকে পুনর্গঠন করে দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। মুসলিম লীগের অপর নেতা শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
আগেই উল্লেখ করেছি, ১৯০৬ সালে ঢাকায় নবাব স্যার সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর, নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভেঙ্গে পাকিস্তান মুসলিম লীগ গড়ে ওঠে এবং পূর্ব পাকিস্তানে দলটি ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগ প্রদেশটিতে যুক্তফ্রন্টের হাতে প্রাদেশিক আইনসভার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পরবর্তীকালে ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ তিনটি পৃথক দল কনভেনশন লীগ, কাউন্সিল লীগ ও কাইয়ুম লীগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হলেও শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া সেক্যুলার আওয়ামী লীগ সবসময়ই দলটির বিরোধিতা করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পূর্ব পাকিস্তান থেকে সদ্যগঠিত বাংলাদেশে দল তিনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৬ সালে রাষ্ট্রপতি সৈয়দ এবি মাহমুদ হোসেনের জারিকৃত রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশের ফলে দল তিনটি বৈধতা অর্জন করে। এরপর উভয় দল একীভূত হয়ে ১৯৭৬ সালের ৮ আগস্টে একটি একক রাজনৈতিক দল হিসেবে গঠিত হয়। পরবর্তীতে এটি ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ সালে নিবন্ধন লাভ করে।
১৯৭৮ সালে এটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। আবদুস সবুর খান দলটির রক্ষণশীল অংশের এবং শাহ আজিজুর রহমান উদারপন্থী অংশের নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। আবদুস সবুর খানের নেতৃত্বাধীন দলটি ১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ২০ টি আসন জিতেছিল।
সবুর খানের মৃত্যুর পর বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একাধিক ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর দুটি বিভক্ত অংশের নাম বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, যেগুলো বর্তমানে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত।
১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ইতিহাসে ৪ জন প্রধানমন্ত্রীর ২ জন ছিলেন মুসলিম লীগ নেতা।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মহসীন রশিদ এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের। এর আগে ২৪ জুলাই, ২০২৪ ইং তারিখে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি এডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চান। বর্তমানে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় দল।
বলাই বাহুল্য, দেশের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দলের বর্তমান নেতৃবৃন্দের প্রায় সবাই মুসলিম লীগের উত্তরসূরী।

সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিন: এবি পার্টি
                                  

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দাবি:
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন; গুম, খুন, গণহত্যা ও সীমাহীন লুটপাটসহ সকল ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ। তারা নির্বাচন ব‍্যবস্থ‍া ও গণতন্ত্রকে হত‍্যা করেছে। সংবিধান, বিচার বিভাগ, শাসন বিভাগ ধ্বংস করে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আইনগত ও সাংবিধানিকভাবে এই সন্ত্রাসবাদী দলের বিরুদ্ধে ঐক‍্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে; সেজন্য সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

আজ বিকেল ৪ টায় বিজয় নগরস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আহুত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী দল নিয়ে আমরা প্রথম থেকেই একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের মানুষ ৫ই আগষ্টের পর আওয়ামী লীগকে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে। সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘেরাও করে প্রতিহত করেছে।
সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের বিষয়ে খুবই সচেতন। বরং আমরা রাজনৈতিক নেতারা চেষ্টা করেছি যাতে মব সৃষ্টি না হয়।
কিন্তু প্রতিবার আওয়ালীগ উস্কানি দিয়েছে যা অনবরত করেই যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে পরিবেশ বারবার ঘোলাটে হচ্ছে, এর দায় পতিত স্বৈরাচারের। প্রথমে বিএনপি ও জামায়াতের মত বড় দলগুলো নীতিগতভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক চায়নি। কিন্তু আমরা সব দল মিলিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা কোথায়?
গোটা বাংলাদেশে পতিত স্বৈরাচাররা গুম করেছে, খুন করেছে, ধর্ষণ করেছে, এতোকিছুর পরও কেম আওয়ামী প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমরা মনে করি ইনাফ ইজ ইনাফ, এভাবে আর চলতে পারে না। এই আন্দোলনের সাথে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সামজিক ভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আইনি পদক্ষেপও নিতে হবে। শুধু দল নিষিদ্ধ করলেই হবে না।
আইনগত ভাবে পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দলকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় যে সব রাজনৈতিক দল গণ হত্যায় জড়িত ছিলো তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো। বাংলাদেশে কোন বিবেচনায় আওয়ামী লীগের মতো একটি সন্ত্রাসী দল রাজনৈতিক দল হতে পারে না।
বিমানবন্দরে সাবেক রাষ্ট্রপতির ইমিগ্রেশন পালানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন,আব্দুল হামিদ জুলাই গণহত্যা নিয়ে কোন কথা বলেন নি, তাই উনি ফ্যাসিস্টের একজন ধারক-বাহক, উনকে গুম খুন, আয়নাঘরের নিয়ে প্রতিবাদ না করে ফাঁসির আসামিকে মাফ করতে দেখেছি।
সঠিক তদন্ত ও ভিডিও ক্লিপ দেখে কারা আব্দুল হামিদকে দেশত‍্যাগে সাহায্য করেছে তা বের করতে হবে। সকল নাগরিককে পুঙ্খানুপুঙ্খ সার্চ করে ইমিগ্রেশন পার হতে হয়। তাহলে আব্দুল হামিদ সাহেবের বেলায় কেন শৈথিল্য দেখানো হলো? এবিষয়ে ৩ দিনের মধ্যে তদন্ত করে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে মঞ্জু বলেন, রাস্তায় দাঁড়ালেই আপনারা শুধু দাবি মেনে নেন, এই সংস্কৃতি বন্ধ করুন। সকল দলের মতামত নিয়ে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন। ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করুন। গুম,খুন,ধর্ষণ,গণহত্যা ও আয়নাঘর যারা সৃষ্টি করেছেন তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিতে হবে।
এয়ারপোর্টে সুস্পষ্ট ঘোষনা দিন আর কোন খুনি যেন ইমিগ্রেশন পার হতে না পারে। যদি আর কোন খুনিকে যদি পালিয়ে যেতে কেউ সাহায্য করে তাহলে তার পিছনে কোন উপদেষ্টা রয়েছে তা খুঁজে বের করে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে। তিনি আরও বলেন, দল নিষিদ্ধের বিষয়ে আইন পাশ করতে হবে। যে দল অপরাধ করবে সেটি দলের আইনেই বিচারের বিধান রাখতে হবে। দলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলেই দলের শাস্তি হবে অন্যথায় নয়। আওয়ামী লীগের যারা ১৪,১৮ ও ২৪ সালে এমপি হয়েছিলো, এদের রাজনৈতিক অধিকার স্থগিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন,ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অবঃ দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, ব্যারিস্টার সানি আব্দুল হক,আলতাফ হোসাইন, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল , কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাহ আব্দুর রহমান, সড়ক ও জনকল্যান বিসয়ক সহ সম্পাদক মতিয়ার রহমানএবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক(ঢাকা) শাহজাহান বেপারী, স্বেচ্ছাসেবক ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসাইন রমিজ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, আমেনা বেগম,শিক্ষা বিষয়ক সহ সম্পাদক ফয়সাল মনির,সহ প্রচার সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, রিপন মাহমুদ, সহ দপ্তর সম্পাদক শরন চৌধুরী,মশিউর রহমান মিলু,যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল,যুবনেতা মাহমুদ আজাদ, রাশেদ, পল্টন থানা আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী,যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান রাফিউর রহমান ফাত্তাহ, মাহমুদুল হাসান আসিফ, সোলাইমান আল হাবিব, ফারহানুল ইসলাম ইফতি, সায়েমুল ইসলাম, জাওয়াদ হামিম, মাশরুর ইসলাম মাহিন, মেহরাজুল ইসলাম আদরসহ কন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ
                                  

ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) নামের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। এতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আলী আহসান জুনায়েদ।

শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্ল্যাটফর্মটির আত্মপ্রকাশ হয়। জুলাই আন্দোলনে শহীদ ওয়াসিমের বাবা নতুন এ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

নতুন এ রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ। এছাড়াও প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত, প্রধান সংগঠক নাইম আহমেদ এবং মুখপাত্র হিসেবে রয়েছেন শাহরিন সুলতানা ইরা।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানেই মোট ৮২ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছেন আপ বাংলাদেশের নেতারা।

ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস আলম
                                  

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠন ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে- এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আসলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়। আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড।’

শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। এদিন বিকেল ৪টা ৪০ মিনিট থেকে শাহবাগে বাড়তে থাকে আন্দোলনকারীদের উপস্থিতি। এরপর থেকে নানান স্লোগান-গানে উত্তাল শাহবাগ। আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও।

উত্তাল শাহবাগে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন- ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘একটা একটা লীগ লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’, ‘বাহ ইন্টেরিয়াম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’ ‘লীগ ধর, জেলে ভর’ ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, ‘খুনি লীগের ঠিকানা এ বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী।’

এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় মিন্টো রোডের সমাবেশস্থলে শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিমের (অন্তর্বর্তী সরকারের) কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। তাই আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি না আদায় পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবো।’


   Page 1 of 232
     রাজনীতি
আ.লীগ নিষিদ্ধের আড়ালে নাটকীয়তা চলছে: মির্জা আব্বাস
.............................................................................................
যাদের রক্তে ঘামে আমাদের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে তাদের টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব- এবি পার্টি
.............................................................................................
আইনী প্রক্রিয়ায় গণহত্যাকারী আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় এবি পার্টির অভিনন্দন
.............................................................................................
জুলাইয়ের স্পিরিটের আলোকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে: শাহাদাতুল্লাহ টুটুল
.............................................................................................
অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করছে বিএনপি: নজরুল ইসলাম
.............................................................................................
‘রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো’
.............................................................................................
আ.লীগের পক্ষ নিলেন কাদের সিদ্দিকী
.............................................................................................
আ.লীগ নিষিদ্ধে সাধুবাদ জানিয়ে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি বিএনপির
.............................................................................................
আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট সব পেজ বন্ধে চিঠি দেবে বিটিআরসি
.............................................................................................
কারাগার থেকে কারাগারে, দেশ যাবে কোন পথে ফায়সালা হবে রাজপথে : আমান উল্লাহ আমান
.............................................................................................
পারিবারিক অনুষ্ঠানে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
.............................................................................................
মুসলিম লীগের কাউন্সিলে এডভোকেট মহসিন রশিদ সভাপতি নির্বাচিত
.............................................................................................
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের দশম জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন
.............................................................................................
সর্বদলীয় কনভেনশন আহ্বান করে মানবতাবিরোধী দল আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিন: এবি পার্টি
.............................................................................................
নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ
.............................................................................................
ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস আলম
.............................................................................................
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি না, সিদ্ধান্ত জনগণের: মঈন খান
.............................................................................................
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগানে উত্তাল সমাবেশস্থল
.............................................................................................
দুপুরের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন: শফিকুল ইসলাম
.............................................................................................
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক হাসনাতের
.............................................................................................
নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
.............................................................................................
রাজনৈতিক সফরে ব্যারিস্টার ফুয়াদ মালয়েশিয়ায়
.............................................................................................
রবীন্দ্রনাথের রচিত গান জাতীয় সংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত : তারেক রহমান
.............................................................................................
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ক্ষোভ ঝাড়লেন হাসনাত আবদুল্লাহ
.............................................................................................
মুসলমানদের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুসলিম লীগ
.............................................................................................
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে মুসলিম লীগের ভূমিকা
.............................................................................................
রাখাইনকে মানবিক করিডোর না দিয়ে মানবিক সহায়তা দিন : ড. ইউনূসকে ফারুক
.............................................................................................
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত: সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
.............................................................................................
বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম সরকার আ’লীগের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: হাসান উদ্দিন সরকার
.............................................................................................
মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার
.............................................................................................
মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পটভূমি
.............................................................................................
দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন খালেদা জিয়া
.............................................................................................
অসুস্থ মাকে দেখতে হাসপাতালে ডা. জুবাইদা
.............................................................................................
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নতুন পদ্ধতি চাইল এনসিপি
.............................................................................................
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি হয়নি
.............................................................................................
ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
.............................................................................................
ফিরোজার পথে খালেদা জিয়া, নেতাকর্মীদের উল্লাস
.............................................................................................
‘তারেক-জুবাইদা দেশের মানুষকে সুখে-শান্তিতে রাখবে’
.............................................................................................
১৭ বছর পর দেশে জুবাইদা রহমান, উঠবেন ধানমন্ডিতে বাবার বাসায়
.............................................................................................
দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, অভ্যর্থনা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল
.............................................................................................
গুলশানে জড়ো হচ্ছেন মহিলা দলের নেত্রীরা
.............................................................................................
‘ফিরোজার’ নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী
.............................................................................................
ফিরোজার সামনে নেতাকর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
.............................................................................................
আলোচিত যুবলীগ নেত্রী শোভা গ্রেপ্তার
.............................................................................................
ভোর থেকে বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের অপেক্ষা
.............................................................................................
কেরানীগঞ্জের পথে প্রান্তরে জনগনকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টিকারী আমান উল্লাহ আমান
.............................................................................................
ফিরছেন খালেদা জিয়া: অভ্যর্থনাকারী ও সাংবাদিকরা গাড়ি রাখবেন যেখানে
.............................................................................................
জোবাইদা রহমানের নিরাপত্তায় থাকছে যেসব ব্যবস্থা
.............................................................................................
বিদায়ক্ষণে ছেলের সঙ্গে কী কথা হলো খালেদা জিয়ার
.............................................................................................
দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন খালেদা জিয়া
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD