ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করছে: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মিয়া আবদুল হান্নান : ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বেলা ১২টার আগে থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। তারা হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। মাথায় হলুদ ও লাল রঙের ক্যাপ পরেও নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে। বিকেলে ও খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। সমাবেশ কেন্দ্র করে কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ সমাবেশ হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র রৌদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে উল্লাস করেন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে আশপাশের এলাকা ও অলিগলিতে অবস্থান করছেন রাজধানীর আশপাশের জেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।
ওদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, বিজয়নগর, ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রশাসনে এখনও আওয়ামী লীগের লোকেরা রয়ে গেছে। আবার কেউ গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করতে চাইলে রুখে দাঁড়াতে হবে। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা নানা সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, অবিলম্বে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি সংসদে পাঠাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া কঠিন মুহূর্তেও দেশ ছাড়েননি, নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি। অথচ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন বলে চট করে চলে আসবে, ষড়যন্ত্র করছে।মির্জা আব্বাস বলেন, এই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার বিচার করবে। সকল খুন গুমের বিচার হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছিলাম সেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার কাছে আহ্বান- যারা গত ১৫ বছরে গুম, খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করতে হবে।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, , আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
মিয়া আবদুল হান্নান : ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা চক্রান্ত করছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে এসেছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে এ সমাবেশ শুরু হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বেলা ১২টার আগে থেকেই ঢাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন। তারা হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা, ব্যানার এবং ফেস্টুন নিয়ে অংশ নেন। মাথায় হলুদ ও লাল রঙের ক্যাপ পরেও নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠে। বিকেলে ও খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসছেন তারা। সমাবেশ কেন্দ্র করে কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ সমাবেশ হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র রৌদ উপেক্ষা করে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে উল্লাস করেন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনে আশপাশের এলাকা ও অলিগলিতে অবস্থান করছেন রাজধানীর আশপাশের জেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।
ওদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, মালিবাগ, শান্তিনগর, বিজয়নগর, ফকিরাপুল ও আরামবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রশাসনে এখনও আওয়ামী লীগের লোকেরা রয়ে গেছে। আবার কেউ গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করতে চাইলে রুখে দাঁড়াতে হবে। বুকের রক্ত দিয়ে হলেও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা নানা সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করতে চাই, অবিলম্বে ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণ ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি সংসদে পাঠাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়া কঠিন মুহূর্তেও দেশ ছাড়েননি, নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাননি। অথচ আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। এখন বলে চট করে চলে আসবে, ষড়যন্ত্র করছে।মির্জা আব্বাস বলেন, এই দেশের জনগণ শেখ হাসিনার বিচার করবে। সকল খুন গুমের বিচার হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হয়েছিলাম সেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আদায়ের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। আপনার কাছে আহ্বান- যারা গত ১৫ বছরে গুম, খুন ও লুটপাটে জড়িত ছিল, তাদের বিচার করতে হবে।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, , আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন। এ সময় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না জানিয়ে উপদেষ্টার সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তারেক রহমান এ আহ্বান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশে মাফিয়া শাসন চালু করা হয়েছিল। দেশে-বিদেশে পলাতক স্বৈরাচার বিনাভোটের সরকারে পরিচিত হয়ে উঠেছিল।সে সময়ে ছিল-গভর্নমেন্ট অব দ্য মাফিয়া, বাই দ্য মাফিয়া, ফর দ্য মাফিয়া। তারেক রহমান বলেন, প্রিয় দেশবাসী এই মাফিয়াচক্র দেশকে সম্পূর্ণ রূপে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়াচক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইন-শৃঙ্খখলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে। ‘মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের চক্রটি প্রশাসনে এখনও সক্রিয়’ মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।সুতারাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু, এ অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। তারেক রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান ছিল ব্যতিক্রম। দেশে আড়াই কোটি ভোটার বেড়েছে। কিন্তু, তারা কেউ ভোট দিতে পারেনি। বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক নারী ও তরুণ প্রজন্মকে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।
|
|
|
|
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের অনেক প্রেতাত্মা অবস্থান করছে। প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে নেই, তারা চক্রান্ত করছে। এখনও তারা ছাত্র-জনতার বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বায়ান্ন বা একাত্তর নয়, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। গণতন্ত্র ও বিএনপি সমার্থক। জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ বিজয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত এ সুযোগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। সেটি যেন হেলায় হেলায় নষ্ট না হয়। তা রুখে দিতে নেতাকর্মীরা সতর্ক থাকবেন।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ আমাদের সামনে সুযোগ এসেছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। আমরা যেন এই সুযোগ হেলায় না হারাই। এমন অবস্থা তৈরি করতে হবে যেন এখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। আপনারা হচ্ছেন সেই ভ্যানগার্ড, পাহারাদার। আপনারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবেন।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আন্দোলনে প্রতিটি আহত, পঙ্গু ও শহীদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
এর আগে, দুপুর ১২টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হয়। দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশের মূল কার্যক্রম।
দুপুর ১২টা থেকেই সমাবেশ মঞ্চে শুরু হয় দলীয় সংগীত ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ গানসহ বিভিন্ন দেশাত্মবোধক গান। পরিবেশন করেন বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের নেতাকর্মীরা। এরপর আড়াইটায় শুরু হয় কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন বিএনপির ও এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের হাতে দেখা গেছে বাংলাদেশ ও দলের পতাকা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশটি করার তারিখ নির্ধারণ করে বিএনপি। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুই দিন পিছিয়ে সমাবেশের তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
|
|
|
|
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপূত না হলেও তাদের ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ বিএনপির আয়োজিত সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যাতে নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, প্রিয় দেশবাসী এই মাফিয়াচক্র দেশকে সম্পূর্ণ ভঙ্গুর করে দিয়েছিল। দেশকে আমদানিনির্ভর ও পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। মাফিয়াচক্র দেশের ব্যাংকগুলো পর্যন্ত দেউলিয়া করে দিয়েছে।
বিগত ১৫ বছর ছিল মাফিয়া চক্রের দখলে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গত দেড় দশকে দেশ থেকে ১৭ লাখ কোটি টাকারও বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। মাফিয়া চক্র শুধু অর্থনীতিকে ধ্বংস করেনি, তারা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা দেশ কতটুকু সভ্য, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আচরণে ফুটে ওঠে।
‘মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের চক্রটি প্রশাসনে এখনও সক্রিয়’ মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুতরাং, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। জনগণকে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে হবে। কিন্তু, অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেশ কিছু সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল ব্যতিক্রম। মানুষের প্রথম কাজই হবে ভোটার আড়াই কোটি বেড়েছে। কিন্তু তারা কেউ ভোট দিতে পারেননি।বিএনপি বিশ্বাস করে, দেশের অর্ধেক নারী ও তরুণ প্রজন্মকে রেখে দেশ এগিয়ে যেতে পারবে না।
আওয়ামী লীগ পুরো দেশকে দেউলিয়া করে দিয়ে পরনির্ভরশীল করে দিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশ ১০০ বিলিয়ন ঋণে জর্জরিত। যে সন্তান আজকে দেশে জন্ম নিচ্ছে তার মাথায় দেড়লাখ টাকার ঋণ নিয়ে জন্ম নিতে হচ্ছে।স্বৈরাচারের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যাত্রার জন্য আরও কিছু সময় পাড়ি দিতে হবে। এজন্য সন্ত্রাস নয় বরং ধৈর্য ধরতে হবে। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে, রাষ্ট্র ও রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। জনগণের সরকার না হওয়া পর্যন্ত সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তবে অন্তর্বর্তী সরকারের জবাবদিহিতা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া সংস্কার টেকসই হয় না।
তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশ কিংবা যেকোনো দেশেই গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকার অবশ্যই জনগণের সরকার। তাই জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। রাখবে। তবে কোনো এক পর্যায়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জবাবদিহিতাও কিন্তু নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ এবং সরকার প্রতিষ্ঠাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম এবং প্রধান টার্গেটও হওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ক্ষমতার পরিবর্তন মানে শুধুই রাষ্ট্র ক্ষমতার হাত বদল নয়। ক্ষমতার পরিবর্তন মানে রাষ্ট্র এবং রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। তাই প্রতিটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মনে রাখা প্রয়োজন রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের আচার-আচরণেও গুণগত পরিবর্তন জরুরি।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সমন্বয় করছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন।
|
|
|
|
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া তার কর্মীদের জন্য দেশে থেকে গেলেন। তিনি পালাননি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এ দেশ আমার, মাটি আমার, বাইরে আমার কেউ নেই, আমি বাইরে যেতে পারব না।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে ‘বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে’ বিএনপির আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশ থেকে পালিয়ে যাননি। কিন্তু হাসিনা তার নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে ভারতে পালিয়ে গেছেন, আবার বলে হুট করে চলে আসবেন। আপনি আমাদের যেভাবে জেলে রেখেছেন সেভাবে আমরা আপনাকে জেলে রাখব না, শুধু বিচার করব।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিন ধরে কিছু সেলিব্রিটি নেতা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। গত ১৭ বছরে ৩৪ বার জেলে গিয়েছি। কত কোর্টে গিয়েছি, কখনো কেউ মারেনি। বীরের বেশে জেলে গিয়েছি। কিন্তু আজকে আওয়ামী লীগের এসব সেলিব্রিটি নেতারা গ্রেপ্তার হয়ে কোর্টে গেলে মার খাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেকবার বলেছিলাম, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেন। শেখ হাসিনাকে বলেছিলাম আমাদের কথা শোনেন। কিন্তু আমাদের কথা শুনলেন না তিনি। শুনলেন দাদাবাবুদের কথা। যদি আমাদের কথা শুনতেন, তাহলে জনগণের এত ক্ষোভ হতো না, এভাবে পালাতে হতো না। এখন বলেন, সীমান্তের ওপারেই আছি। আরে আসেন না।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে দলের নেতারা কর্মীদের রেখে পালিয়ে যায় সেই দল কইরেন না। আর একটি কথা বলতে চাই, যারা তাকে আশ্রয় দিয়েছেন, যিনি মাত্র ১৫ দিনে ৯০০ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, গুম করেছে—এই সিরিয়াল কিলার শেখ হাসিনাকে যারা আশ্রয় দিয়েছেন, ফোনও দিয়েছেন, কান পেতে শোনেন, যদি ঢাকা শান্তিতে না থাকে, দিল্লিও শান্তিতে থাকতে পারবে না। কীভাবে তা করতে হয়, আমরা তা ভালো করে জানি।
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের সমন্বয় করছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল। সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সদস্য সচিব আমিনুল হক, তানভীর আহমেদ রবিন।
|
|
|
|
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। কেবলমাত্র ইসলামী সরকার ক্ষমতায় গেলেই দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদ মুক্ত হবে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দেশের নাগরিকদের ব্যক্তি সংস্কার প্রয়োজন। আর রাসূল (সা.) এর আদর্শ ছাড়া ব্যক্তি সংস্কার সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পির বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির বিকল্প নাই। আর এমন নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে, অনেকেই এমন অপপ্রচার করে বেড়ায়। তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে পারি, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদ মুক্ত হবে। দেশের মানুষ জান-মালের নিরাপত্তা সহকারে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারবে। মানুষ কুরআনের পথে ফিরে আসলে বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন ও বসবাসযোগ্য নিরাপদ রাষ্ট্র।
আলোচনায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ আল-আমিন সোহাগ, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করীম আবরার, আইএফএ কনসালটেন্সির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি শামছুদ্দোহা আশরাফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম শরীয়তুল্লাহ বক্তব্য দেন।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ঢাকায় বিএনপির ডাকা গণসমাবেশ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে এ গণসমাবেশ শুরু হয়। শুরুতে বক্তব্য রাখেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গণসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারাও বক্তব্য রাখবেন।
গণসমাবেশ যৌথভাবে সঞ্চালনা করছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন।
এদিকে, গণসমাবেশ ঘিরে দুপুরের আগে থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। দুপুর আড়াইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে গণসমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, আসাদুজ্জামান রিপন, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, ফজলুর রহমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত রয়েছেন।
বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, গণসমাবেশ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশ পুনর্গঠনে ‘নতুন বার্তা’ দেবেন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের জন্যও নির্দেশনা থাকবে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি।সমাবেশ থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেশ পুনর্গঠনে ‘নতুন বার্তা’ দেবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের যৌথ সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য দেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা। যোগ দেবেন ঢাকা মহানগর ছাড়াও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা।
গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে এ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা পিছিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে বিএনপি।
|
|
|
|
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে এ শুভেচ্ছা জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাব ছিল একটি বিস্ময়কর ব্যাপার। মানবজাতি তার আগমনে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিষ্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়।
আজ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও মানবতার পথপ্রদর্শনকারী মহানবীর ধরাপৃষ্ঠে আবির্ভাবের দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা তার মর্যাদা সুউচ্চ আসনে অভিষিক্ত করেছেন। পৃথিবীতে মানুষ ইহজগত ও পরজগতের মুক্তির সন্ধান পায় এই দিনে।
তিনি বলেন, মানবজাতি তার আগমণে নিজেদের কল্যাণ ও শান্তির নিশ্চয়তা লাভসহ জগতের সব অত্যাচার-অনাচার, কুসংস্কার, নিষ্ঠুরতা, সামাজিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, মানবিক অসাম্য ও মানবাধিকার বৈষম্যের ঘোর অন্ধকার যুগ থেকে নিস্কৃতি লাভের আলোকিত পথের সন্ধান পায়। সেজন্যই তিনি হয়েছেন মানবতার মুক্তির দিশারী।
আমি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের কাছে প্রার্থনা করি মহানবী (সা.) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি। আমি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর জন্য অসংখ্য দরুদ ও তার প্রতি সালাম জানাই।
|
|
|
|
আওয়ামী দোসরদের অন্যায়, অপশাসন, চাঁদাবাজি এবং দখলতারিত্ব প্রতিরোধে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সর্বশক্তি প্রয়োগ করে জনগণের পাশে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউমার্কেটে একটি কনভেশন হলে আইটি ব্যবসায়ীদের সম্মানে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কোনো চাঁদাবাজ, দখলদারদের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, অতীতে যারা অন্যায়, অপশাসন, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্ব করেছে তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে।
আজ বা আগামীতে যারাই একই পথে হাঁটবে তাদের প্রতি তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বাংলার মানুষ আর কোনো অপশক্তিকে ছাড় দিবে না। এতদিন জামায়াতে ইসলামী দেশ সংস্কারের কথা বলেছে, এখন প্রতিটি মানুষ দেশ সংস্কারের পক্ষে। শোষিত মানুষ আজ প্রতিবাদী এবং বিদ্রোহী। জনগণ আর কোনো স্বৈরতন্ত্রকে ছাড় দেবে না। জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে জামায়াতে ইসলামী সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য। জনগণের ভালোবাসা আর সমর্থন নিয়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলার জমিনে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সে আন্দোলনের সুফল অচিরেই বাংলার মানুষ পাবে। ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য আগে নিজের মধ্যে ইসলামি শিক্ষার আদর্শ লালন করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী সেই শিক্ষার আলোকে নিজ কর্মীদের তৈরি করেছে।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতের কর্মীরা কেবল মসজিদে ইমামতি করার ক্ষমতা রাখে না, তারা সরকার, সচিবালয়, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার ক্ষমতা রাখে। সেই যোগ্যতা ও দক্ষতা জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের রয়েছে। আগামীতে জনগণের সামনে সেটি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
|
|
|
|
যুব সমাজের মুক্তির লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৭ দফা প্রস্তাবনা দেবে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরা হয়।
প্রস্তাবনাগুলো হলো- ১। সকল ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতিবছর নিয়মিত বেকারত্বের জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে।
২। শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) বিভাগে তরুণদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
৩। সকল প্রকার চাকরিতে আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যেকোনো জামানত ও বয়সসীমা মুক্ত চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতির মতো অসদুপায়ে নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া বন্ধ এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরির বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।
৪। স্থানীয় পর্যায়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র তৈরি এবং স্থানীয় উৎপাদন ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। তরুণদের সম্পৃক্ত করে দেশের স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যের উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
৫। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সনদ জামানতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান, শিক্ষিত ও শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ঝরে পড়াদের এই আওতায় আত্মকর্মসংস্থানের অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের দেশের মোট ঋণ প্রদানের ৫০ শতাংশ ঋণ প্রদান করতে হবে। কর্ম ও ঋণের আওতার বাইরে সকল তরুণদের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে।
৬। দেশের সকল প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে শতভাগ চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতায় আনতে হবে। চাকরি ও কর্মসংস্থানের আওতার বাইরে থাকাদের উপযুক্ত ভাতা প্রদান করতে হবে।
৭। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষিতদের রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে বা সুদমুক্ত ঋণ সুবিধার আওতায় বিদেশে পাঠাতে হবে। বিদেশে তরুণদের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অবাধ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। তাদের দেশে অবস্থানরত পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাস গমনে তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্মের অবসান, প্রবাসে সকল চিকিৎসা, দেশের দূতাবাসগুলো প্রবাসীবান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রদানের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিদেশ প্রেরণের প্রতিটি স্তরে গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক (ভিআইপি) মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ উপরোক্ত ৭ দফা প্রস্তাবনার পক্ষে জনমত তৈরিতে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই অংশ হিসেবে জেলা ও মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ইউনিটগুলোর আয়োজনে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) জেলা শহরগুলোর প্রতিনিধিদলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বরাবর জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি দেওয়া হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটি মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবে।
|
|
|
|
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে রোববারের (১৫ সেপ্টেম্বর) সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আবহাওয়ার কারণে রোববারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। সমাবেশটি আগামী ১৭ তারিখ বিকেল ৩টায় পল্টন কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পল্টনের সমাবেশ বাতিল হলেও রোববার বিভাগীয় শহরগুলোতে র্যালি করা হবে।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রোববারের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থাকার কথা ছিল।
|
|
|
|
‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে এ বিবৃতি প্রেরণ করেন।
বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র সম্পর্কে এবং এর অন্তর্নিহিত শক্তি উপলব্ধি করতে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর প্রচলিত একটি বিশেষ দিন ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস’। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। আত্মদানকারী শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কালজয়ী দর্শন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মর্মমূলে ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র—যার ভিত্তি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার। এই চিন্তা ও দর্শনকে আপসহীন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন পথচলায় অগ্রগামী করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। গণআকাঙ্ক্ষায় প্রতিষ্ঠিত সেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে বারবার হিংস্র আক্রমণে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকরা বহুমাত্রিক গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। দেড় দশক ধরে বেগম খালেদা জিয়ার অবিরাম সংগ্রামের পটভূমির ওপরে গত জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম স্বৈরশাসনের পতন ঘটে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, চলতি বছরের আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘গভর্নেন্স ও সিটিজেন এনগেজমেন্টের জন্য এআই নেভিগেট করা’, তথা সুশাসন ও নাগরিক অংশগ্রহণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা। এই থিম অত্যন্ত সময়োপযোগী। আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৬/১৭ বছরে কোটি কোটি ভোটারকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়নি। জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছে। দেশের কোটি কোটি ভোটার অর্থবহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। দেশের কয়েক প্রজন্ম গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা ও প্রয়োগ ছাড়াই একটি ভীতিকর ও কতৃর্ত্ববাদী পরিবেশে বেড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, অপশাসনে সংকুচিত স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতা তথা মানবিক ও মানসিক বিকশ ও প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিনযাপন করতে হয়েছে। তরুণদের উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতকে নস্যাৎ করা হয়েছে। সবল ও শক্তিশালী গণতন্ত্র গড়ে তোলার জন্য আমাদের এখনো অনেক দূর এগোতে হবে। কারণ এখনো বিশ্বের অধিকাংশ দেশে গণতন্ত্রের দুর্বলতা বিদ্যমান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমি ও আমার দল বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের নীতিগুলো প্রচার ও সমুন্নত রাখার কোনো বিকল্প নেই। কারণ গণতন্ত্র সর্বজনীন মূল্যবোধ যা জনগণের স্বাধীন ভাব প্রকাশ ও বাধাহীন চিন্তা প্রকাশের স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা এ ধরনের একটি নিরাপদ, প্রগতিশীল এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সংকল্পবদ্ধ, যা রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রম করে বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
‘আর তাই, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের রাষ্ট্র মেরামতের ভিত্তি হবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন; বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের সব মূলনীতির প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োগ।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ইনশাআল্লাহ আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলবো, যেখানে নিশ্চিত হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদার রাজনৈতিক পরিবেশ এবং সামাজিক স্থিতি ও ন্যায়পরায়ণতা।
|
|
|
|
১৬ বছর যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম হয়েছে, এখন সেইভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ মিনারে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের গণআন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে বিএনপির আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। নিরপক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হয়।
আন্দোলনে যারা হতাহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং ভাতা দেওয়ার দাবি তুলেছেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরকারকে জোরালোভাবে বলতে হবে।
বিরোধী দলগুলোর ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, তারা হায়েনার মতো লুকিয়ে আছে, যেকোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা দরকার।
নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে তিনি বলেন, কোনোভাবেই চক্রান্তের শিকার হওয়া যাবে না। তাই সবাইকে গণতন্ত্র এবং জনগণের পক্ষে থাকতে হবে।
|
|
|
|
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১৫ সেপ্টেম্বর বিএনপির সমাবেশ থেকে দেশ গঠনে নতুন বার্তা দেবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে যৌথসভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর নেতাকর্মীরা নিজেদের ভবিষ্যতের আখের গোছানোর জন্য দেশের সম্পত্তিকে পৈতৃক সম্পত্তির মতো করে লুটপাট করেছে। ১৪ সালে বিনাভোটে নির্বাচন করেছে, ১৮ সালে দিনের ভোট রাতে করেছে, ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সেই সঙ্গে নিজের ক্ষমতাকে বাঁচিয়ে রাখতে সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করেছে।
এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরি এ্যানী, কাজী সাইদুল আলম বাবুলসহ ঢাকা বিভাগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
সুপরিকল্পিতভাবে দেশের জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবে এ বিজয় অর্জিত হয়েছে। এ বিজয়কে ধরে রাখতে হবে, যাতে সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয়ভাবে যে ঐক্য গড়ে উঠেছে, সেটা সুপরিকল্পিতভাবে বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে।’
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। প্রায় এক দশক পর দেশে ফেরায় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা দিতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বিএফইউজে, ডিইউজে, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ও ঢাকা সাংবাদিক সমবায় সমিতি।
অনুষ্ঠানে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আমাদের যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল, সে ঐক্য যেন আমরা অটুট রাখতে পারি। আজকে সুপরিকল্পিতভাবে সেই ঐক্য বিনষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে গত ১৫ বছরে অনেকেই নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেকেই দেশছাড়া হয়ে দীর্ঘদিন নির্বাসনে থেকেছেন। তবে দেশপ্রেমিক জনতা দেশের বাইরে থেকেও গণতন্ত্র রক্ষায় সংগ্রাম করে গেছে।’
এ সময় সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর ভূয়সী প্রশংসা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তিনি গণতন্ত্রের সত্যিকারের নায়ক। আমরা যখন কথা বলতে পারিনি, তখন মুশফিক আমেরিকা এবং ইউরোপে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন সন্তান বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম নেওয়া দরকার।’
অনুষ্ঠানে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘স্বৈরাচার মুক্ত করে দেশের মানুষ এখন মুক্ত বাতাসে বসবাস করছে। নতুন করে স্বাধীনতা আনতে ছাত্র-জনতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তবে, বেশ আগে থেকেই কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো আন্দোলন করে আসছে। একটা পর্যায়ে যার সমাপ্তি করেছে ছাত্র-জনতা।’
তিনি বলেন, ‘এখনো ষড়যন্ত্র কিন্তু থেকে নেই। তাই আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে। কারণ স্বৈরাচারের দোসররা এখনো বসে নেই। তাই এ আন্দোলনে কার ভূমিকা কম বা বেশি ছিল তা নিয়ে আমাদের তর্ক করার সময় এখন নয়। দেশটাকে নিয়ে কেউ যেন আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা একটি কার্যকর রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র চাই। যা দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।’
প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ্যে করে মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ‘দেশটি আমাদের নিকট প্রতিবেশী। আমরা চাই ভারত বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠী বা ব্যক্তির প্রতি সম্পর্ক না করে দেশের মানুষের চাওয়াকে প্রধান্য দেবে। যেটি তারা করে আসছে বেশ আগে থেকে। আমি এরই মধ্যে ভারতের কয়েকজন দায়িত্বশীল পর্যায়ের মানুষের কাছে আবদেন করেছি- তারা যেন এ দেশের সব দল বা মানুষের প্রতি সমআচরণ করেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন নোবেলজয়ী। যে কারণে আমরা গর্বিত। এই সরকারের সব উপদেষ্টা তাদের নিজস্ব সেক্টরে অত্যন্ত দক্ষ ও পরিচিত। আমরা আশা করছি জনগণের পালস বুঝে তারা কাজ করবেন।’
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে ফুলেল সংবর্ধনা দেন সাংবাদিক নেতারা। এছাড়া বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায় থেকেও তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। জাস্টনিউজবিডি ডটকমের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক খালিদ হোসেন, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাঈদ খান ও নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ মোস্তফার নেতৃত্বে সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারীকে সংবর্ধনা জানানো হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সরকারি কর্মকর্তা সমিতির নেতা ড. নেয়ামত উল্যাহ, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রমাণিক, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভুঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, কবি আব্দুল হাই সিকদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশিদ আলম প্রমুখ।
শেখ হাসিনা সরকারের কঠোর সমালোচনার জন্য পরিচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রায় এক দশক নির্বাসনে থাকার পর বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।
|
|
|
|
|
|
|