৩৭ গুণ বেড়েছে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর আয়
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীমের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৩৭ গুণ।
একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ উল্লেখ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা থাকার তথ্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে নগদ ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫৬ লাখ, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়না রয়েছে।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি সোনার গয়নার তথ্য দেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর মাত্র ১০ তোলা সোনার গয়নার কথা উল্লেখ করেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা।
তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নগদ অর্থ ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ দেখালেও দ্বাদশের হলফনামায় দেখিয়েছেন ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা।
একাদশ সংসদের হলফনামায় জাহিদ ফারুক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো জমার তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশের হলফনামায় জমা হিসেবে দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ। একইভাবে একাদশে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কোনো শেয়ারের তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশে এ খাতে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি একাদশের হলফনামায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমির তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এবং রাজধানীর বারিধারায় এক কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের নাল এবং ভিটাবাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
|
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক শামীমের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৩৭ গুণ।
একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় স্ত্রীর নামে কোনো সম্পদ উল্লেখ করেননি। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর নামে দুই কোটি ২৩ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫ টাকা থাকার তথ্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে নগদ ৯২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৫, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫৬ লাখ, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ, ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার টাকার সোনার গয়না রয়েছে।
জাহিদ ফারুক একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর নামে ৩০ ভরি সোনার গয়নার তথ্য দেন। কিন্তু দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় স্ত্রীর মাত্র ১০ তোলা সোনার গয়নার কথা উল্লেখ করেন।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একাদশ সংসদ নির্বাচনে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৮০২ টাকা। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় বাৎসরিক আয় উল্লেখ করেন এক কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৫৮ টাকা।
তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় নগদ অর্থ ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৫ দেখালেও দ্বাদশের হলফনামায় দেখিয়েছেন ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৬০৩ টাকা।
একাদশ সংসদের হলফনামায় জাহিদ ফারুক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কোনো জমার তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশের হলফনামায় জমা হিসেবে দেখিয়েছেন এক কোটি ৯ লাখ। একইভাবে একাদশে বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির কোনো শেয়ারের তথ্য উল্লেখ না করলেও দ্বাদশে এ খাতে ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন।
এ ছাড়া তিনি একাদশের হলফনামায় ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কৃষি জমির তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামায় বরিশাল নগরীর বাংলাবাজার এবং রাজধানীর বারিধারায় এক কোটি এক লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের নাল এবং ভিটাবাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
|
|
|
|
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রস্তাব দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ১১০ জন ইউএনওকে বদলির জন্য প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। এখনও কমিশন অনুমোদন দেয়নি।
গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সব ইউএনও বদলির জন্য নির্দেশনা দিয়ে প্রস্তাব পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেয় ইসি। এক্ষেত্রে যেসব ইউএনওদের কার্যকাল এক বছর হয়েছে, তাদের তালিকা আগে পাঠাতে বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।
|
|
|
|
নির্বাচন কমিশন ইসির পক্ষ থেকে সারাদেশে সব থানার ওসিকে পর্যায়ক্রমে বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়ার পর ওসিদের বদলি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৩৮ থানার ওসির বদলির এই তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাঠানো হয়। ইসি সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। নির্বাচন কমিশন ওই প্রস্তাব অনুমোদন করলে বদলির আদেশ জারি করবে স্ব-স্ব কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া কয়েকজন ডিসি ও এসপিকে প্রত্যাহার করার জন্য বলেছে ইসি। তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী পক্ষপাত ও বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সামনে যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের আট বিভাগের ৪৭ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির প্রস্তাবে সম্মতি দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।
|
|
|
|
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসবে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
তিনি বলেন, আসন ভাগাভাগির কোনো প্রস্তাব না আসলেও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ করতে চেয়েছে আওয়ামী লীগ। তারা যেহেতু বড় দল, তাই তাদের সঙ্গে আজ সন্ধ্যার পর কথা বলবো। কোথায় বৈঠক হবে সেটা ঠিক হয়নি।
এদিকে, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে এবং জাতীয় পার্টি ২৮৭ আসনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো কথা হয়নি।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।
|
|
|
|
মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমিতে ঘরোয়া আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা হবে। সকাল ১০টার ওই সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি থাকবেন।
এর আগে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় শিল্পকলা একাডেমিতে ঘরোয়া আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
এদিকে বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবাধিকার দিবসে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা করার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামায়াত। জনসস্পৃক্ততার অভাবে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নাশকতা করে আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে চায়। বিএনপি অফিসে তারা নিজেরাই তালা মেরেছে। সাহস থাকলে বের হয়ে আসুক।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধী দল বিষয়ে তিনি জানান, বিরোধী দল দাঁড়িয়ে যাবে। তৃণমূল বিএনপি-তারা তো বৃহৎ জোট। সুপ্রিম পার্টি। আরও অনেকে আছে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এবার জাতীয় পার্টির শক্তিশালী বিরোধী দলের মোক্ষম সময় নিয়ে নিজের বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা ছিল আমার ব্যক্তিগত মতামত। তারা আমার মতের সঙ্গে একমত না-ও হতে পারে। এটাও গণতন্ত্র। যারাই নির্বাচন করবে তারাই পরস্পরের প্রতিপক্ষ হবে।
|
|
|
|
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি দেশব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। একই দিন সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যদিও তারা ইসির কঠোরতায় পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে। এ বিষয়ে ডিএমপির অনুমতির প্রসঙ্গ বেশ ভাবায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। কিন্তু বিএনপি তাদের কর্মসূচি নিয়ে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছে। প্রথমে ঢাকা থাকলেও পরে সারাদেশকে তারা সংযুক্ত করে কর্মসূচির আওতায়। এ কারণে নড়েচড়ে বসেছে ডিএমপি।
বিএনপির ডাকা কর্মসূচির অনুমতির বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গত ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তার জন্য সব সংস্থা কাজ করছে। সে অনুযায়ী ধাপে ধাপে আমাদের কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, এখন নির্বাহী বিভাগের যেকোনো সিদ্ধান্তে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে কি না আমাদের বিবেচনায় নিতে হয়। নির্বাচন কমিশনও সার্বিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে, এ অবস্থায় কোথাও কিছু করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণকে আমরা স্বাগত জানাবো।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এ কথা জানান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ ডিএমপি অনুসরণ করবে। ঠিক বিএনপির মানববন্ধনের অনুমতির বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ইসির সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মানবাধিকার দিবসে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরির প্ল্যান নিয়ে এগোচ্ছে। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা এ বিশৃঙ্খলা করতে চায়। বিএনপি এখন জামায়াতের বি টিম হিসেবে কাজ করছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
মনোনয়ন ফিরে পাওয়ার জন্য আপিল করতে নির্বাচনে কমিশনে গিয়েছেন বগুড়ার আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪২ মিনিটের দিকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বাংলাদেশ কংগ্রেস জোট থেকে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন হিরো আলম। তবে যথাযথভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম তার প্রার্থিতা বাতিল করেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, দলীয় প্রার্থী হলেও হিরো আলম স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র পূরণ করেন। রাজনৈতিক দলের স্থানে হিরো আলম লিখেছেন প্রযোজ্য নহে। এ ছাড়া কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তাকে ভোটার তালিকার এক শতাংশ সমর্থনের তথ্য জমা দিতে হবে। তিনি সেটিও করেননি। তারপর হলফনামার সঙ্গে সম্পদের আয়-ব্যয় বিবরণীও জমা দেননি।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। এর আগে, বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন আলোচিত এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর। ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে সারাদেশে শুরু হয়েছে দশম দফার অবরোধ কর্মসূচি। অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের বিপরীতে সেগুনবাগিচা-বারডেম হাসপাতাল সড়কে এই মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। এসময় যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মহসীন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আনোয়ার আহমেদ, আবদুল জব্বার খান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান সোহান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক রুহুল ইসলাম মনি, সহ-সম্পাদক পার্থ দেব মন্ডল, সদস্য কাউসার সরকার মামুন, খলিলুর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতার নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
|
|
|
|
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার নগদ অর্থের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে প্রায় ১৬ গুণ বেড়েছে। একইসঙ্গে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে তার। বেড়েছে ব্যাংক ঋণের পরিমাণও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার নগদ ছিল ২৭ লাখ ৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। এরমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪২২ টাকা। পাঁচ বছরে নগদ অর্থ (ব্যবসায়িক মূলধন) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার ৬২৮ টাকা। এবার কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই তার।
এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জমা না থাকলেও এবার হয়েছে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৯ হাজার ৬৯৩ টাকা। ২০১৮ সালের হলফনামায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ছিল ৮৯ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৪ টাকা আর এবারের হলফনামায় তা দেখানো হয়েছে ২ কোটি ১ লাখ ৪ হাজার ২১৫ টাকা।
পাঁচ বছরে বেড়েছে জমিসহ স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণও। ২০১৮ সালের হলফে জমির পরিমাণ ১২ একর ৩৩ শতক দেখানো হয়েছিল। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ একর ৫৪ শতকে। আর পাঁচ বছর আগে কৃষি, অকৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, বাগান ও খামারের মূল্য ও আয় ছিল ৩ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার ২৭৫ টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩৬ টাকা।
২০১৮ সালে ব্যাংক ঋণ দেখানো হয় ৯৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪১৫ টাকা। সবশেষ ২০২৩ সালের হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৭৭ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত, বাড়ি ও দোকান ভাড়া, ব্যবসা, চাকরিসহ শেয়ার ও সঞ্চয়পত্র।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন এবং পিস্তল ছিনতাই মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগে তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।
আসামি পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন, আকরম ও জাকির হোসেন জুয়েল।রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ (৩২) নিহতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতারের পর গত ৩ নভেম্বর আমীর খসরু ও স্বপনকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মো. তরীকুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১০ নভেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স কারাগারে আটক রয়েছে। এর আগে গত ৫ নভেম্বর আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ৮ নভেম্বর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর আসামিরা পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতি সাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ আহত হন। এছাড়া মারধর করে পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন থানায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০/৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
|
|
|
|
নির্বাচনে না এসে নৈতিক পতন ঘটে বিএনপি-জামায়াত এখন পরবাসী এবং পরগাছায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছি বিএনপি ও তার সমমনারা নির্বাচনে আসবে না। তাদের এই সিদ্ধান্তে বিএনপির নেতাকর্মীরাও ক্ষুব্ধ। বিএনপি আমলের একাধিক মন্ত্রী, এমপি ও নেতা নির্বাচনে এসেছেন।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বহদ্দারহাটে স্বাধীনতা পার্কে ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৪৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সভায় চসিকের সাবেক এই মেয়র বলেন, ‘নির্বাচন বিরোধী বিএনপির নৈতিক পতন ঘটেছে এবং আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনমুখী শক্তির নৈতিক বিজয় ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াত এখন পরবাসী এবং পরগাছা। অচিরেই তাদের নির্মূল করার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে গিয়ে বর্তমান সরকারের সাফল্য অর্জন এবং বিএনপি-জামায়াত আমলের কুকীর্তি ও ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নূর মোহাম্মদ নুরু। চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা জোবাইরা নার্গিস খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, কার্যনির্বাহী সদস্য মহব্বত আলী খান, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের আবদুল নবী লেদু, মো. মাঈন উদ্দিন, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোবারক আলী, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আমিন মামুন, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ মো. শফিকুল ইসলাম।
এছাড়া, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শামসুল আলম, কাজী রাশেদ আলী জাহাঙ্গীর, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মাহবুব কোম্পানি, মো. জামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান, আবদুর রহিম, আবদুর শুক্কুর ফারুকী, সাইফুদ্দিন খালেদ, নিজাম উদ্দিন নিজু, মো. জসিম উদ্দিন, ইলিয়াছ সরকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনারা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ভোর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ নিয়ে দশম বারের মতো এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি-সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ দফার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।
অবরোধ সফল করতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র ফেরানোর আন্দোলন চলছে। ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে বুধবার ভোর ৬টা থেকে, চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এই অবরোধ কর্মসূচিতে সর্বস্তরের বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাস্তায় থাকবেন। জনগণ এই অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন দিয়েছে। আমরা জনগণের সমর্থনে বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী। আমাদের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে জনগণ।’
এরপর রিজভীর নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমের যানবাহন এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী যানবাহন এই অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে ঢাকায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রাত ২টার দিকে বাড্ডার আফতাবনগরে দাঁড় করিয়ে রাখা আকাশ পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে রাত ১২টার দিকে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যানের সামনের সড়কে একটি কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
|
|
|
|
রাজশাহীর ছয়টি আসনের সংসদ-সদস্য প্রার্থীদের আয় ও সম্পদের পরিমাণ গত পাঁচ বছরে বহুগুণ বেড়েছে। প্রায় সবারই ব্যাংকে টাকা জমা রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকের জমি ও স্থায়ী সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ ছাড়া প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের স্ত্রীদেরও সম্পদ বেড়েছে।
সম্প্রতি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে রাজশাহী নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের আয় বেড়েছে আড়াই গুণ। ২০০৮ সাল থেকে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ২০১৮ সালে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন কোটি চার লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। এখন আড়াইগুণ বেড়ে তা ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা হয়েছে।
শাহরিয়ার আলমের নগদ টাকাও বেড়েছে। ২০১৮ সালে হাতে নগদ ছিল ছয় কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ টাকা। এখন ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৩ টাকা। তার শেয়ারবাজারে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। আগে শেয়ার ছিল ৫৮ কোটি ছয় লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকার। আগে সঞ্চয়পত্র ছিল ১০ লাখ, এবার বেড়ে হয়েছে ৩০ লাখ টাকা।
পাঁচ বছর আগে শাহরিয়ারের গাড়ির দাম ছিল ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৫ টাকা। এখন লাক্সারি কারের দাম দেখানো হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ তিন হাজার ১০০ টাকা। ২০০৮ সালে তার হাতে নগদ টাকা ছিল এক কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৫ টাকা। ব্যাংকে ছিল চার হাজার ১৩৬ টাকা।
২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় শাহরিয়ার আলমের ব্যাংক-হিসাবে কোনো টাকা ছিল না। এখন স্ত্রী-সন্তানদের নামেও বিপুল সম্পদ হয়েছে।
কোম্পানির শেয়ার, কৃষি খাত, প্রতিমন্ত্রী হিসাবে পাওয়া সম্মানি ও দোকান এবং অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়াকে আয়ের উৎস হিসাবে দেখিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
|
|
|
|
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। এরপর যেসব আবেদন জমা হয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে ২৯টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিতে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সংস্থাগুলো নিয়ে কারো কোনো দাবি/আপত্তি/অভিযোগ থাকলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবর লিখিতভাবে জানাতে হবে। অভিযোগ নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত সংস্থাগুলো হলো- ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ), প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, সোসাইটি ফর রুরাল বেসিক নীড় (স্রাবন), সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম, রুরাল ভিশন (আরভি), তরফসরতাজ শান্তি সংঘ (টিএসএস) বগুড়া, পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাশা),পাথওয়ে, এমপাওয়ারমেন্ট থুল অব দ্য কমন পিপল (এলকপ), জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, নাইস ফাউন্ডেশন, নারী উন্নয়ন সংস্থা, সুফিয়া হানিফ ফাউন্ডেশন, সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিউনিটি অর্গানাইজেশন (সাকো), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ) ও বিয়ান মনি সোসাইটি, অগ্রগতি সেবা সংস্থা (আসেস), আল-কোরআন প্রচার সংস্থা (আকপস) বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল আসফ লিগ্যাল এইড ফাউন্ডেশন, এআরডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট), বাংলাদেশ মানবাধিকার সমন্বয় পরিষদ (বামাসপ), রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা, সংগতি সমাজ কল্যাণ সংস্থা, উদ্ভাবনী মহিলা সংস্থা, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর দ্য নীডি (ভন), দিনাজপুর পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টা (ডিপিইউপি), সেলফ ডেভলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) ও বেডো আর্থসামাজিক কেন্দ্র।
এর আগে, ৬৭টি সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয়। এসব সংস্থাগুলো ২০২৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। নতুন করে ২৯টি পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন পেলে মোট সংস্থার সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৬টি।
|
|
|
|
শরিকদের সঙ্গে অবশ্যই সমঝোতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন জোটগতভাবেই করব। সমঝোতা করার এখনও অনেক সময় আছে। জোটের শরিকদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সমঝোতা করা হবে।
তিনি বলেন, এককভাবে নির্বাচন করার ক্ষমতা আমাদের আছে। কিন্তু শরিকরা আমাদের কাছে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্য এবারও জোটগতভাবে নির্বাচন করা হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় পার্টি এবার প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেওয়ায় তাদের অভিনন্দন। ২০০৮ সালে তাদের সঙ্গে আমরা মহাজোটগতভাবে নির্বাচন করেছি। গতবার আমাদের সঙ্গে তাদের কৌশলগত জোট ছিল, এবারও সেটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
মনোনয়ন বাতিলের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এবার অনেক বেশি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিলের এই হার অন্যবারের তুলনায় একটু বেশিই। আপিল করলে অনেকে টিকে যেতে পারেন।
|
|
|
|
|
|
|