যাত্রী সংকটে জাহাজ ছেড়ে যায়নি সেন্টমার্টিন
চলাচলে অনুমতি পেয়েও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিন যায়নি কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ।
পূর্ব ঘোষণা মতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে আশানুরূপ টিকিট বিক্রি না হওয়ায় যাত্রী সংকটে যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী। তবে, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস দেখাতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোনো হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করা হবে। এসব বিষয় না মানলে গুণতে হবে জেল-জরিমানা।
কিন্তু গুগুল প্লে-স্টোরে ট্যুরিজম বোর্ডের কোনো অ্যাপস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোথা হতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ট্রাভেল পাস মিলবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না জেলা প্রশাসন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির কেউ-ই। তবে, পর্যটক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চিঠিতে একটি ওয়েবসাইট দেওয়া আছে। এখান হতে নিবন্ধন করে ছজ কোড যারা পেয়েছেন তারা ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। কিন্তু তা নিয়ে প্রচারণা না থাকায় ওয়েবসাইট বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার জাহাজ সেন্টমার্টিন যেতে প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী সংকটে তা আর হয়ে উঠেনি। যাত্রীদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আগ্রহ আছে, কিন্তু ট্রাভেল পাস নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য কক্সবাজার ছাড়বো। ইতোমধ্যে সেভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
সেন্টমার্টিন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের কমিটির কাজ হলো কক্সবাজার সদরের কোনো পয়েন্ট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা নিশ্চিত এবং পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুমতি প্রাপ্তরা যখন ইচ্ছে জাহাজ চলাচল শুরু করতে পারেন। ট্রাভেল পাসের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত নয়।
বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক (বিপণন ও ব্রান্ডিং) মহিবুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন ট্রাভেল পাস নিয়ে আলাদা ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হচ্ছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন করার কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে সঠিক বলা যাচ্ছে না। ট্রাভেল পাসের বিষয়টি সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন, কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে ৩৫০ জন ধারণক্ষমতা। যেহেতু এখনো ট্রাভেল পাস নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কম পর্যটক হওয়ায় আপাতত ট্রাভেল পাস ছাড়া যেতে পারবে। পরবর্তীতে ট্রাভেল পাস আসলে সেটি সমন্বয় করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবহনে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। জাহাজের ফিটনেস এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কেয়ারীকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
|
চলাচলে অনুমতি পেয়েও যাত্রী সংকটের কারণে সেন্টমার্টিন যায়নি কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি পর্যটকবাহী জাহাজ।
পূর্ব ঘোষণা মতে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। তবে আশানুরূপ টিকিট বিক্রি না হওয়ায় যাত্রী সংকটে যাত্রা বাতিল করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারস্থ ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী। তবে, ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটক নিয়ে জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনের পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে ওঠার আগে এন্ট্রি পয়েন্টে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের তৈরি করা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করে ট্রাভেল পাস দেখাতে হবে।
ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করবে গঠিত কমিটি। পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পর্যটকেরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে পৌঁছার পর কোনো হোটেলে থাকবেন, তা লিপিবদ্ধ করার পাশাপাশি রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করা হবে। এসব বিষয় না মানলে গুণতে হবে জেল-জরিমানা।
কিন্তু গুগুল প্লে-স্টোরে ট্যুরিজম বোর্ডের কোনো অ্যাপস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই কোথা হতে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের ট্রাভেল পাস মিলবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না জেলা প্রশাসন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত গঠিত কমিটির কেউ-ই। তবে, পর্যটক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চিঠিতে একটি ওয়েবসাইট দেওয়া আছে। এখান হতে নিবন্ধন করে ছজ কোড যারা পেয়েছেন তারা ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। কিন্তু তা নিয়ে প্রচারণা না থাকায় ওয়েবসাইট বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, বৃহস্পতিবার জাহাজ সেন্টমার্টিন যেতে প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী সংকটে তা আর হয়ে উঠেনি। যাত্রীদের সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আগ্রহ আছে, কিন্তু ট্রাভেল পাস নিয়ে দ্বিধায় পড়েছেন। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্য কক্সবাজার ছাড়বো। ইতোমধ্যে সেভাবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
সেন্টমার্টিন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের কমিটির কাজ হলো কক্সবাজার সদরের কোনো পয়েন্ট থেকে জাহাজ ছাড়বে তা নিশ্চিত এবং পর্যটক ও অনুমোদিত জাহাজে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের পণ্য পরিবহন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা। কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএর ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনুমতি প্রাপ্তরা যখন ইচ্ছে জাহাজ চলাচল শুরু করতে পারেন। ট্রাভেল পাসের বিষয়ে আমরা পুরোপুরি অবগত নয়।
বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের উপ-পরিচালক (বিপণন ও ব্রান্ডিং) মহিবুল ইসলাম বলেন, সেন্টমার্টিন ট্রাভেল পাস নিয়ে আলাদা ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা হচ্ছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন করার কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ শেষ হবে সঠিক বলা যাচ্ছে না। ট্রাভেল পাসের বিষয়টি সরকার সিদ্ধান্ত নিবে।
কেয়ারি সিন্দাবাদের কক্সবাজারের ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ বলেন, কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজে ৩৫০ জন ধারণক্ষমতা। যেহেতু এখনো ট্রাভেল পাস নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, কম পর্যটক হওয়ায় আপাতত ট্রাভেল পাস ছাড়া যেতে পারবে। পরবর্তীতে ট্রাভেল পাস আসলে সেটি সমন্বয় করা হবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন জানান, কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজ কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবহনে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। জাহাজের ফিটনেস এবং কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কেয়ারীকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এভারেস্ট কন্যা নেপাল ভ্রমণে বাংলাদেশি দর্শনার্থীদের জন্য ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাভেল অথরাইজেশন (ইটিএ) সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকার নেপাল দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। গত ২৪ আগস্ট ইটিএ সংক্রান্ত সিস্টেম চালু নিয়ে চিঠি ইস্যু করে নেপাল দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, নেপাল যেতে আবেদনকারী সব ব্যক্তির জন্য ভিসা স্টিকার বা হাতে লেখা ভিসা প্রতিস্থাপন করেছে। রোববার থেকে দূতাবাস নতুন ইটিএ জারি শুরু করেছে।
ভিসার জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য পূর্বশর্ত, যেমন শারীরিক পাসপোর্ট এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার পদ্ধতি অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানায় দূতাবাস।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে রুমা উপজেলা ভ্রমণে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হলো। এছাড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে রুমা উপজেলা ছাড়া অন্যান্য উপজেলায় পূর্বের মতো পর্যটকরা ভ্রমণ করতে জনস্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে।
এর আগে, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় ২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর রোয়াংছড়ি- রুমা উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। পরে কয়েক দফায় বাড়িয়ে থানচি ও আলীকদমে দেওয়া হয়েছিল এ নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া আলীকদম- থানচি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ১১ ডিসেম্বর রুমা-রোয়াংছড়ি ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছিল প্রশাসন। রোয়াংছড়ি উপজেলা ভ্রমণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
|
|
|
|
ভ্রমন ডেস্ক
নিয়তির কী অদ্ভুত খেলা! ইস্তানবুলে আসার কয়েক মাস আগে টিকিট কেটে খোঁজ করছিলাম, এখানে যে সাত দিন থাকবো সেটা কীভাবে ভাগ করবো। বাচ্চাদের স্কুল আর কলেজ হাফ টার্মের জন্য এক সপ্তাহ ছুটি। ব্রিটেনের সব স্কুল কলেজই মোটামুটি ছয় সপ্তাহ পরপর একটা বন্ধ দেয়, এটাকে হাফ টার্ম বলে। দুটো হাফ টার্মের মাঝের বন্ধকে বলে ফুল টার্মের বন্ধ। যেহেতু এবছর গ্রীষ্মের ছুটিতে কোথাও যাইনি তাই অক্টোবরের হাফ টার্মের ছুটিতে কোথাও যাওয়ার প্লান এবং এভাবেই ইস্তানবুলে আসার সবকিছু ঠিক করে রাখা।
২৫ অক্টোবর শেষ ক্লাস হলো হাফ টার্মের, তাই আমাদের ফ্লাইট ছিল ২৬ অক্টোবর। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর মূল ইস্তানবুলের অর্থাৎ প্রাচীন সময়ের কনস্টান্টিনোপলের মূল শহরের বিভিন্ন স্থান দেখার প্ল্যান রেখেছিলাম। তেমন কিছু না ভেবেই ২৯ অক্টোবরের প্ল্যানে ছিল ডলমাবাচে (তুর্কি ভাষায়) রাজপ্রাসাদে দিনের প্রথমভাগ কাটিয়ে রুমেলি হিসারি দুর্গ দেখে ফেরার পথে টাকসিম স্কয়ার হয়ে হোটেলে ফিরবো। প্ল্যানটা করার সময় একটি জিনিস মাথায় আসেনি বা খেয়াল করিনি। কাজটা অবচেতনেই করেছিলাম, এটাই হয়তো নিয়তির খেলা।
নিয়তির খেলাটা হচ্ছে, অটোম্যান সাম্রাজ্যের রাজতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে কামাল আতাতুর্ক শুরু করেছিলেন প্রজাতন্ত্র। অটোম্যান সম্রাজ্যের শেষ খলিফা আব্দুল মজিদের (২) জন্ম ডলমাবাচে রাজপ্রাসাদে এবং ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি রাজ প্রথা অনুযায়ী রাজপ্রাসাদের বাইরে যাননি। তার পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা সবই প্রাসাদের আঙিনায়। তার কাজিন ছিলেন সেসময় সুলতান এবং তিনি ছিলেন পরবর্তী উত্তরসুরী রাজকুমার। কাজিনের পদচ্যুতির পর সুলতানি আমলের পতন হয়। এরপর তুর্কি জাতীয় আসেম্বেলি থেকে তাকে খলিফা নির্বাচিত করা হয়।
কয়েক বছর পর খলিফা রাজত্ব শেষ হয়ে তুর্কি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোম্যানদের পরাজয়ের পর তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের নেতা ছিলেন ফিল্ড মার্শাল এবং রাজনৈতিক নেতা কামাল আতাতুর্ক। ছয় বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন আতাতুর্ক। এই ছয় বাহিনীর মধ্যে ছিল ব্রিটিশ, গ্রিস, আর্মেনিয়া, ফ্রান্স, ইতালি এবং কিছু ইউরোপিয়ান রাজপরিবার। তিনি হলেন আমাদের ভাষায় তুর্কবন্ধু; যিনি আধুনিক তুর্কির দ্রষ্টা এবং স্রষ্টা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ডলমাবাচে রাজপ্রাসাদে ছিলেন এবং এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
৯৬ বছর আগে আজকের এই দিনে তিনি তুর্কিকে প্রজাতন্ত্র বানিয়েছিলেন এবং দিনটি তার্কিশ রিপাবলিক ডে হিসেবে পালন করা হয়। আমাদের আজকের যাত্রা শুরু হয়েছিল এ রাজপ্রাসাদ দেখে। ভেতরে ছবি তোলা, ভিডিও করা নিষেধ, যদিও অনেকেই এই নিষেধ অমান্য করছিলেন। কিন্তু নিষেধ অমান্য করতে ইচ্ছে হয়নি। তাছাড়া এভাবেই বাচ্চারা শেখে কীভাবে নিষেধ অমান্য করতে হয়। তাই শুধুই কাছ থেকে দেখে অভিজ্ঞতাকে মনের ক্যামেরায় বন্দী করেছিলাম।
তুর্কির অনেকেই এবং বাংলাদেশ আর্মির একটি পরিবার (আমাদের সামনে ছিল) হঠাৎ হঠাৎ ছবি তুলছিল; যা উচিত নয়। নিষেধকে আমরা কবে নিষেধ হিসেবে মান্য করবো? প্রাসাদের ভেতরে ছিল অটোম্যান সম্রাটদের জীবন, তাদের স্মৃতি। বিবিদের (কতোগুলো বিবি ছিল কে জানে) আর মায়ের বাসস্থান, ব্যবহারের রাজকীয় জিনিসপত্র (চেয়ার, সোফা, বাথরুম, কার্পেট, কাপড়, পালঙ্ক, ঝাড়বাতি, বন্দুক, লাইটার, তলোয়ার, পেইন্টিং, যুদ্ধের কাপড়, বিভিন্ন বিখ্যাত যুদ্ধের জিনিসপত্র ইত্যাদি) আর দুর্দান্ত কারুকাজ খচিত রাজদরবার। ডলমা মানে পূরণ করা (পটলের পেটের মধ্যে কিমা কিংবা চিংড়ি ভরে পটলের দোলমা বানানো হয়, যেভাবে ঠিক সেইভাবে যেন পূরণ করা)।
বসফরাস বে’র একটি অংশকে পূরণ করে নিয়ে এ রাজপ্রাসাদ তাই হয়তো এমন নাম। রাজপ্রাসাদের প্রশাসনিক ভবন সবচেয়ে জমকালো। এরপর হেরেম যেখানে তার বিবি, মা থাকতেন সেটাও দেখলাম। এরপর ঘড়ির জাদুঘর। বিভিন্ন যুগে যেসব বিখ্যাত ঘড়ি বানানো হয়েছিল; সেসব এই জাদুঘরে রাখা আছে। অদ্ভুত সব কারিগরি দক্ষতা আর শৈল্পিক সৃষ্টি। এরপর প্রাসাদের বাইরের উদ্যানে ঘুরে বেড়ানো, সেখানে ক্যাফেতে কিছু খাওয়া, ছবি তোলা আর বসফরাসের তীর ঘেঁষে প্রাসাদের উদ্যানে হেঁটে বেড়ানো। অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা ছিল এটি।
বসফরাসের তীর ঘেঁষে ছবি তোলার পর উদ্যানে সুদৃশ্য গোলাপ দেখে আমার বিবি বললেন তাকে অন্তত এমন একটি গোলাপের গাছ বানিয়ে দিলেই তিনি খুশি। শানে নজুল হচ্ছে- ইংল্যান্ডের বাড়িতে পেছনের বাগানের কয়েকটি গোলাপ গাছ লাগিয়েছি, তবু তার গোলাপের গাছে মন ভরছে না। তখন বললাম, আমি তো সুলতান আলী নই যে সুলতানের মতো এতো এতো বিবি নিয়ে ঘুরছি। তাই এতো এতো গোলাপ লাগাবো। যার একটি বিবি তার থাকবে একটি গোলাপ গাছ। এভাবে গোলাপ গাছের হিসেব বরাবর করে আমরা চলে গেলাম রুমেলি হিসারি ফোর্টরেসের দিকে।
রুমেলি হিসারির কাহিনি এ নিয়তির খেলাকে অর্থপূর্ণ করবে। কনস্টান্টিনোপল দখল করে অটোম্যান সাম্রাজ্যের শুরুটা এখানেই। ১৫ শতকের দিকে সেনা স্থাপত্যের ভেতর যুদ্ধবিগ্রহে জয়ের জন্য নানা ধরনের কৌশলগত কাঠামো করা হতো। এ সময় অটোম্যান সুলতানের নির্দেশে এ দুর্গ বানানো হয় বসফরাস প্রণালির মাথায়। কনস্টান্টিনোপলে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের যে সব নৌবহর যাওয়া-আসা করতো, তা এখান থেকে স্পষ্ট দেখা যেত। ব্ল্যাক সী হয়ে আসা জাহাজগুলো দুর্গের দৃষ্টি এড়াতে পারতো না।
বাইজান্টাইনের কাছ থেকে অটোম্যানরা ক্ষমতা নেওয়ার পেছনে এ দুর্গের অবদান সবচেয়ে বেশি। যেসব জাহাজ সৈন্য, গোলাবারুদ, অস্ত্র এসব নিয়ে যেতো; সেসবের পথ এখান থেকে আটকে দেওয়া হতো। অটোম্যানরা অনেক বছর ধরেই বাইজান্টাইনদের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করেছে কিন্তু সফল হয়নি কখনোই। কারণ কনস্টান্টিনোপলের চারিদিকে বাইজান্টাইনরা যে উঁচু আর মজবুত দেয়াল তুলেছিল, তা ভেদ করে কনস্টান্টিনোপল প্রবেশ করা কোনো সেনাদলের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
চতুর্থ ক্রুসেড এবং প্লেগের পর থেকে বাইজান্টাইনরা বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক মন্দায় ভাসছিল। কোনভাবেই তারা এ মন্দা দূর করতে পারছিল না। ক্রমে তারা হয়ে পড়ছিল দুর্বল। সেসময় অটোম্যানরা বলকান এবং এশিয়া মাইনর সম্প্রসারিত করেই যাচ্ছে। সুলতান মেহমেদ-২ সেসময় ব্রোঞ্জের কামান (তোপ) বিক্রির চেষ্টা করেছিল বাইজান্টাইনদের কাছে। কিন্তু অর্থাবস্থা ভালো না থাকায় তারা এই সুপারগান কিনতে পারেনি।
মেহমেদ তখন অভিনব এক পরিকল্পনা করেন। যেহেতু অটোম্যান সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণ করতে হবে এবং কনস্টান্টিনোপল দখল করাটা অনেকটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। কারণ এর আগের সুলতানরা এ কাজে পরাজিত হয়েছিলেন। তিনি তখন এ দুর্গ তৈরির নির্দেশ দেন। এখান থেকেই সুপারগান (ব্রোঞ্জের শক্তিশালী কামান) চালিয়ে বাইজান্টাইন দেয়াল গুড়িয়ে দেওয়া হয় অনেকখানি। এদিকে সব নৌবহর আর সেনা, অস্ত্র ইত্যাদি আটকে দেন; অন্যদিকে কামানের গোলার গুড়ুম। ব্যাস! কেল্লাফতে হয়ে গেল। মেহমেদের হাতেই হাজার বছরের বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন হলো।
এ কারণে রুমেলি হিসারি অটোম্যান সম্রাজ্যের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক দুর্গ। এখানে তিনটি বিশাল বুরুজ আছে, যার দুটো থেকে কামান দাগানো হয়েছিল কনস্টান্টিনোপলের দিকে আর অন্যটি থেকে নৌবহর আর জাহাজ আটকে দেওয়ার জন্য কামান দাগানো হয়েছিল। এর চতুর্দিকের উঁচু দেয়ালের সাথে মোট ১৩টি পাহারা দেওয়ার বুরুজ বানানো হয়েছিল। বসফরাসের দিকে যে বুরুজ সেটি ১২ দিক বিশিষ্ট বহুভুজী বুরুজ, ৯ তলার সমান। এর নাম হালিল পাশা বুরুজ। তিনটি বুরুজের ব্যাসই ৭৬ ফুট। প্রতিটি বুরুজেরই আলাদা বিশাল তোরণ এবং বিভিন্ন দিকে গুপ্ত ফটক ছিল। যা খাবার এবং সেনাদের অন্যান্য জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হতো। এর কারণ ছিল, যদি কোনোভাবে মূল তোরণে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে সেটা বন্ধ করে এ গুপ্ত ফটকের সাহায্যে এসব পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা যায়।
কী অদ্ভুত তাদের বুদ্ধি আর যুদ্ধ কৌশল। মূল শক্তিশালী কামানে বাইজান্টাইনদের শক্তিশালী দেয়াল পুরোপুরি গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ সেটার গতি এতো কম ছিল যে, দেয়ালে আঘাত করতে করতে তা শক্তি হারিয়ে ফেলত। কিন্তু অটোম্যানরা এ জন্য তাদের দখল করা জাহাজ দিয়ে চতুর্দিক থেকে কনস্টান্টিনোপল ঘিরে ফেলে। জাহাজগুলো দেয়ালের খুব কাছে নিয়ে যেয়ে কামান দাগানো হয়। আজও দেয়ালের ভাঙা অংশ দেখা যায়। ইস্তানবুল থেকে যদি ট্যাক্সি নিয়ে ইয়েদিকুলা যাওয়া যায়। ইয়েদিকুলাতেই দেয়ালের গেট ছিল। বসফরাসের দিকে মুখ করে বানানো হয়েছিল। এভাবেই দুর্গের সাহায্যে হাজার বছরের বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের পতন আর অটোম্যান সাম্রাজ্যের শুরু।
এতো বছর পরে এসে আজ এখানে সুনসান নীরবতা। দুর্গে ঢুকতে হলে আরও দুর্গম পথে ট্যাক্সি করে আসতে হয়। বুকের রক্ত হিম হয়ে যায় যখন ট্যাক্সি চিকন আর পাহাড়ি দুর্গম পথ ধরে নামে। দুর্গের ঠিক মাঝখানে সৈন্যদের বিনোদনের জন্য উন্মুক্ত থিয়েটার। দেখতে অনেকটা গ্যাল্যারির মতো করে বানানো হয়েছিল। এক থেকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে না পুরো দুর্গ ঘুরে দেখতে। অনেক উঁচুতে সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া যায়।
ভাবতে অবাক লাগে, সেই হাজার বছর আগে কীভাবে মানুষ এইসব ভয়ঙ্কর দুর্গ বানাতো। কী বিশাল সুউচ্চ সব বুরুজ আর গুপ্ত পথ, সেটি আটকে রাখার অভিনব কৌশল। শিহরিত হয়ে গেলাম ইতিহাস ছুঁয়ে। আমাদের ভ্রমণ শেষে বসেছিলাম দুর্গের উঁচু চাতালে, একদম ছিমছাম। শুধু পাখির আওয়াজ, সামনে নীল বসফরাসে বয়ে চলা জাহাজ আর নাবিকদের বাজানো হর্ন। অটোম্যানরা এ দুর্গের মাঝে একটি মসজিদও বানিয়েছিল। সূর্যাস্তের সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে সেখানে ওজু করে নামাজ পড়লাম আমরা কয়েকজন ট্যুরিস্ট, ছেলে-মেয়ে সবাই। তারপর নিচে নেমে অনেকক্ষণ বসেছিলাম বসফরাসের নীল পানির খুব কাছে।
একদিকে নতুন প্রজাতন্ত্রের আধুনিক ইস্তানবুলের আধুনিক সেতু, অন্যদিকে প্রাচীন দুর্গম দুর্গ আর মাঝে নীল পানির বসফরাস, তার তীরে আমরা কয়েকজন বসে। কিছু ছবি স্মৃতি করে নিয়ে এলাম কিন্তু অভিজ্ঞতাকে ক্যামেরায় বন্দী করা যায় না। সেটা গেঁথে নিলাম হৃদয়ে। এরপর ট্যাক্সি নিয়ে দুর্গম পথ দিয়ে ফিরতে ফিরতে ভাবছিলাম, নিয়তির কী অদ্ভুত এক খেলা! যে দুর্গের মাধ্যমে অটোম্যানরা কেড়ে নিলো বাইজান্টাইনদের কাছ থেকে হাজার বছর আঁকড়ে রাখা ক্ষমতা। যে অটোম্যানদের সুলতানি আর খলিফা সাম্রাজ্যের পতন হয়ে শেষ খলিফা চলে গেলেন যে রাজপ্রাসাদ হয়ে। আর যেদিন এ ঘটনা ঘটলো অর্থাৎ কনস্টান্টিনোপল থেকে হলো ইস্তানবুল- আমরা অদ্ভুতভাবে ঠিক সেদিনই এ দুইটা ঘুরে দেখলাম। উপভোগ করলাম দুর্গ আর প্রাসাদের মাঝের একমাত্র নীরব সাক্ষী- নীল পানির বসফরাস প্রণালি। যেখানে আজ ছুঁয়ে আছে প্রশান্তি আর স্বাধীনতা। প্রাচীন কনস্টান্টিনোপলের ইতিহাস ছুঁয়ে উপভোগ করলাম নতুন ইস্তানবুলকে।
|
|
|
|
ভ্রমণ ডেস্ক হাজার বছরের পুরোনো একটি শহর পম্পেই। ইতালির ক্যাম্পানিয়া প্রদেশে নেপলসের (নাপোলি) আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াস পর্বতের পাদদেশে ‘পম্পেই’ নামক ছোট্ট এ নগরী অবস্থিত। বর্তমানে উপকূল থেকে বেশ দূরে সরে গেলেও প্রাচীন এই নগরী এক সময় ছিল একেবারে উপকূলের ধার ঘেঁষে। ঘুরে এসে বিস্তারিত জানাচ্ছেন ইসমাইল হোসেন স্বপন-
গত অক্টোবরের কোনো এক সকালে গিয়েছিলাম ইতালির নেপলসে। নেপলস থেকে খানিক পরপরই ট্রেন ছাড়ে। ট্রেন ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পম্পেই পৌঁছানো যায়। স্টেশন থেকেই পম্পেইর দিকে যাওয়ার দিক-নির্দেশনা চোখে পড়ে। মিনিট দুয়েক হাঁটলেই তার একাধিক প্রধান ফটকের একটি দেখা যায়। ফটক দিয়ে শতশত পর্যটকের সাথে প্রাচীরের ভেতরে ঢুকতেই যেন দুই হাজার বছর পিছিয়ে গেলাম। সারি সারি স্তম্ভ, পলেস্তারা খসে পড়া দেয়াল, লম্বা পাথরের রাস্তা চলে গেছে শহরের আরেক মাথা পর্যন্ত, দেব-দেবীর মন্দির।
প্রথমেই ফোরাম নামে ফাঁকা জায়গাটি দেখা হলো। এখানেই নগরের সব বড় বড় অনুষ্ঠান হতো। ফোরামের চারদিকে বিভিন্ন ধরনের ভবন। অনেকগুলো স্মৃতিস্তম্ভও দেখা গেল ফোরাম স্কয়ারে। শহরের দেবরাজ জুপিটারের মন্দিরের পরে অ্যাপোলোর মন্দিরে যাওয়া হলো। অনেকটা একই ধাঁচের সবখানে। সারি সারি স্তম্ভ, ধসে পড়া ছাদ, ফাঁকা সবুজ জমি।
এরমধ্যে হাউস অব দ্য ফন নামের বিখ্যাত বাড়িটির মাঝে ঢুকতেই উদ্যানের সাথে লাগানো ছোট একটি ঝরনার সামনে ফনের ভাস্কর্য দেখা গেল। যদিও এককালে কোন ধনি ব্যক্তির বিশাল বাড়িটির মূল আকর্ষণ একটি অসাধারণ মোজাইকের কাজ। যেখানে সম্রাট আলেকজান্ডারের সাথে ইরানের সম্রাট দারিউসের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে।
হাউস অব দ্য ট্র্যাজিক পয়েট বাড়ির প্রবেশ পথে যেমন মোজাইকে খোদাই করা ভীষণ দর্শন কুকুর চোখে পড়ল, তেমন ভেতরে ছিল গ্রিক পুরাণের নানা চিত্র। কিন্তু নামটি কেন হাউস অব দ্য ট্র্যাজিক পয়েট, তার অবশ্য সঠিক ব্যাখ্যা মেলে না।
চমৎকার রাস্তাগুলো বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার জন্য সামান্য ঢালু করে তৈরি, সাথে ফুটপাতগুলোও। তবে নগরীতে টো টো করে ঘুরে মনে হলো- সবচেয়ে বেশি দেখলাম রান্নাঘর। বেশ চমৎকার মোজাইকের কাজ করা, রান্নার পাত্র রাখার জন্য গোল গোল ছিদ্র, এমন অনেকবারই চোখে পড়ল। আসলে সরগরম এলাকায় এমনই হওয়ার কথা।
কিছু দোকানের সামনে তাদের ভাষায় লেখা আছে যে, সেখানে কোথায় কী মিলত। চিহ্ন দিয়ে বোঝানো আছে যে, সেটা কুমারের দোকান, নাকি কামারের, নাকি শুঁড়িখানা। দুঃখজনকভাবে পম্পেই নগরীর সবচেয়ে চমৎকারভাবে সংরক্ষিত চিত্রকর্মগুলো নেপলস পুরাতত্ত্ব জাদুঘরে আছে, তেমনভাবে এখানে অধিবাসী মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণির মৃতদেহগুলোর অধিকাংশই একই জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।
পম্পেই ইট-পাথরের মৃত নগরী হলেও সেখানে কিছু সবুজের ছোঁয়া আছে সবখানেই। বিশেষ করে প্রাচীন আবহ ফিরিয়ে আনা হয়েছে উদ্যানগুলোতে সেই সময়ের গাছ রোপণ করেই। এছাড়া বড় ঘরগুলোর ভেতরের এক চিলতে বাগান তো আছেই।
পম্পেই নগরীর জনসংখ্যা দশ হাজার হলেও ধারণা করা হয়, ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুতপাতের সময় এখানে হাজার বিশেক লোক জমায়েত হয়েছিল। কারণ রোমানদের কাছে পম্পেই অবকাশকেন্দ্র হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। গড়ে উঠেছিল রোমান অ্যারেনা। গ্ল্যাডিয়েটরদের লড়াই থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় ভাষণ সবই চলত এখানে।
লেখক: ইতালি প্রবাসী
|
|
|
|
ভ্রমন ডেস্ক
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত ভারতের মেঘালয়ে ভ্রমণ করতে চাইলে এখন থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে বহিরাগতদের। শুক্রবার (১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি আইনের সংশোধনী অনুমোদন করেছে রাজ্যসভা।
শনিবার (২ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, রাজ্যসভায় মেঘালয় অধিবাসী, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আইন ২০১৬’র সংশোধনী অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রেস্টন টিনসং।
তিনি বলেন, এই সংশোধনী অনুমোদন পেয়েছে এবং এটি তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও এনজিওর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন থেকে মেঘালয়ের বাসিন্দা নন এমন ব্যক্তিরা ২৪ ঘণ্টার বেশি রাজ্যে থাকতে চাইলে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
তবে, কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য ও জেলা কাউন্সিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ নিয়মের আওতার বাইরে থাকবেন।
রাজ্যের সব বাড়িওয়ালাদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক রাখতে এবং কাউকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি অবশ্যই সম্প্রদায় প্রধানকে (ট্রাডিশনাল কমিউনিটি হেড) জানাতে।
জনসাধারণের নিরাপত্তার খাতিরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী।
কেউ প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে বা ভুল তথ্য দিলে তাকে ভারতীয় দণ্ডবিধির উপযুক্ত ধারায় শাস্তি পেতে হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) করার পর মেঘালয়েও অবৈধ অভিবাসী খোঁজার দাবি উঠছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আইন সংশোধনের ঘোষণা দিল সেখানকার সরকার।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক বিমানের যাত্রী সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকের সবগুলো ক্যাটাগরিতেই ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের নিয়ন্ত্রক আইকাও (ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন)-এর রিপোর্ট বলছে, যে আটটি ক্যাটাগরির ভিত্তিতে সুরক্ষার বিষয়টি যাচাই করা হয়, তার মধ্যে পাঁচটিতে ভারতের প্রাপ্ত নম্বর আন্তর্জাতিক গড়ের তুলনায় কম। অন্যদিকে বাংলাদেশ সাতটি ক্যাটাগরিতেই আন্তর্জাতিক গড় থেকে এগিয়ে। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি-বিজ ও আনন্দবাজারের। আইকাও এর রিপোর্ট অনুযাযী, দুর্ঘটনা তদন্ত ক্যাটাগরিতে ভারত পেয়েছে ৩২.৩৫% স্কোর। যেখানে বাংলাদেশের স্কোর ৬৪.১৩%। লাইসেন্সিং ক্যাটাগরিতে ভারতের স্কোর ২৬.০৪%, আর বাংলাদেশের স্কোর ৭৭.২২%। অথচ এ ক্যাটাগরিতে বৈশ্বিক গড় ৭২.৫%। অন্য ৬ ক্যাটাগরিসহ আট ক্যাটাগরির সব ক’টিতেই ভারতের চাইতে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রেজা সাগরসহ ৬ জন। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রেজা সাগরসহ ছয়জন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, গোদাগাড়ী থেকে উড্ডয়নের পরপরই হেলিকপ্টারটি ৬০ ফুট ওপর থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়। এ সময় হেলিকপ্টারে ছিলেন ফরিদুর রেজা সাগর, কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা ও স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া, রফিকুল ইসলাম, তুফান আলী ও সুমন আলী। দুর্ঘটনায় সবাই আঘাত পেয়েছেন। ফরিদুর রেজা সাগর, রফিকুল ইসলাম, তুফান আলী ও সুমন আলীকে অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজশাহী বিমানবন্দরে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় নিয়ে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হবে। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজশাহীর আনোয়ারা ফাহিম জিয়াউদ্দীন পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে আজ অনুষ্ঠিত হয় চ্যানেল আইয়ের ‘স্বর্ণকিশোরী’ অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন চ্যানেল আইয়ের এমডি ফরিদুর রেজা সাগর, কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস আরা ও স্বর্ণকিশোরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা হেলিকপ্টারে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পাইলট জানিয়েছেন, হেলিকপ্টারটি ৬০ ফুট ওঠার পর নিয়ন্ত্রণ হারায়। পাইলট হেলিপ্যাডে অবতরণ করার চেষ্টা করেন। তবে এটি মুখ থুবড়ে পাশে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও গোদাগাড়ী থানার পুলিশ। পুলিশ সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে গোদাগাড়ী উপজেলা সদরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে তাঁদের কারও আঘাতই গুরুতর নয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছে আগের দিনের মতোই। এতে এক প্রকার অপেক্ষা আর ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। রোববারের ট্রেনের সূচি অনুযায়ি সকাল ৬টায় কমলাপুর থেকে দিনের প্রথম আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি ছেড়ে যায় এক ঘণ্টা দেরিতে, সকাল ৭টার পর। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে স্টেশন ছাড়ে। চিলাহাটির নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা, তবে ট্রেনটি স্টেশনেই আসে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে। পৌনে ১১টার সময়ও ট্রেনটি ছাড়েনি। বেলা ৯টার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বেলা ১১ টা পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে আসেনি। দিনাজপুরের এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় কমলাপুর ছাড়ার কথা থাকলেও সেটি পৌনে ১১টায় কমলাপুরে এসে বেলা ১১টায় স্টেশন ছেড়ে যায়। লালমনিরহাট ঈদ স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার কথা বেলা ৯টা ১৫মিনিটে। তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত সেটি স্টেশনেই আসেনি। রেলওয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় দিয়েছে। ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নীলসাগর ট্রেনের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা সকাল ৮টায়। দুই ঘণ্টা ৫ মিনিট দেরি করে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি কমলাপুরের প্ল্যাটফর্মে আসে। দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করেন। যাত্রীদের ভিড়ে ট্রেনের দরজা দিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে ঢুকতে পারছিলেন না বাড্ডার একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক ফরিদ আহমেদ। উপায় না দেখে, স্ত্রীকে জানালা দিয়ে ট্রেনে উঠিয়ে দেন তিনি। অনেক কসরত করে পরে নিজে ওঠেন। তিনি বলেন, দরজায় যে ভিড়, ধাক্কাধাক্কি করে উঠতেই পারতাম না। কি আর করবো, ট্রেন ঠিক সময়ে এলে এই ঝামেলাটা হত না।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। যা চলবে ১২ আগস্ট (রবিবার) পর্যন্ত। প্রথম দিন বিক্রি করা হবে ১৭ আগস্টের টিকিট। এছাড়া ১৫ আগস্ট থেকে বিক্রি করা হবে ফিরতি ট্রেনের টিকিট। যা চলবে ১৯ আগস্ট (সোমবার) পর্যন্ত। প্রতিদিন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে টিকিট বিক্রি। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হবে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৯ আগস্ট বিক্রি হবে ১৮ আগস্টের টিকিট। ১০ আগস্ট বিক্রি হবে ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট বিক্রি হবে ২০ আগস্টের, ১২ আগস্ট বিক্রি হবে ২১ আগস্টের টিকিট। একইভাবে ১৫ আগস্ট থেকে ঈদ ফেরত যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। ফিরতি টিকিট ১৫ আগস্টে পাওয়া যাবে ২৪ আগস্টের টিকিট। একইভাবে ১৬, ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্টে যথাক্রমে পাওয়া যাবে ২৫, ২৬, ২৭ ও ২৮ আগস্টের টিকিট।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে আগামী ৮ আগস্ট থেকে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটায় ঢাকায় রেল ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এ কথা বলেন। মন্ত্রী জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে বিশেষ নয় জোড়া ট্রেন দেওয়া হবে। ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে টিকিট দেওয়া হবে। ৮ আগস্ট দেওয়া হবে ১৭ আগস্টের টিকিট। ৯ আগস্ট ১৮ আগস্টের, ১০ আগস্ট ১৯ আগস্টের, ১১ আগস্ট ২০ আগস্টের এবং ১২ আগস্ট ২১ আগস্টের আগাম টিকিট দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে রেলপথমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ২৬টি কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট বিতরণ করা হবে। এই ২৬টির মধ্যে নারীদের জন্য আলাদা দুটি কাউন্টার সংরক্ষিত থাকবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। বিক্রি হওয়া টিকিট ফেরত নেওয়া হবে না। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে এই টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সাধারণ সময়ে রেলে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার। ঈদ উপলক্ষে তিন লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। কালোবাজারি ঠেকাতে এবার বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক মাদারীপুরের শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাঁঠালবাড়ী যাওয়ার পথে পদ্মা নদীতে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিটবোট ডুবে গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (দুপুর সাড়ে ১২টা) ৫জন নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং পয়েন্টে স্পিটবোটটি ডুবে যায়। পদ্মার ঢেউয়ে স্পিটবোটটি ডুবে যায় বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাঁঠালবাড়ি লঞ্চঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরিসহ সকল নৌ যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না আসা পর্যন্ত ফেরি চলাচল শুরু হবে না।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সড়কপথে যাতায়াতের জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আগাসী বুধবার (৩০ মে) থেকে। বৃষ্টি ও সড়কের বেহাল দশার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এবার একটু আগে থেকেই শুরু হচ্ছে অগ্রিম টিকিট বিক্রি। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও সোহাগ পরিবহনের এমডি সোহেল তালুকদার বলেন, দূরপাল্লার পরিবহন মালিকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ৩০ মে বিক্রি হবে ৭ জুন যাত্রার টিকিট। যাত্রীদের চাহিদা অনুসারে কাউন্টারে টিকিট অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত বিক্রি চলবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে বাসের অগ্রিম টিকিট দেয়ার ধরা-বাধা নিয়ম নেই। যেকোনো কোম্পানি চাইলে যেকোনো সময় অগ্রিম টিকিট বিক্রি করতে পারবে। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি আমরা শুরু করেছি। অনেক পরিবহন অনলাইনে টিকিট বিক্রি করছে। ফলে টিকিট প্রাপ্তিতে কোনো সমস্যা হবে না আশা করা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজধানীর তিনটি বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করে থাকে। এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ জুন থেকে। তবে বরাবরের ন্যায় বিআরটিসির বাসের আগাম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১ জুন থেকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে রেলভবনে ঈদ প্রস্তুতি উপলক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এ কথা জানান। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দিন ১ জুন বিক্রি হবে ১০ জুনের টিকিট। ৩ জুন বিক্রি হবে ১২ জুনের টিকিট। ৪ জুন বিক্রি হবে ১৩ জুনের টিকিট। ৫ জুন বিক্রি হবে ১৪ জুনের টিকিট। ৬ জুন হবে ১৫ জুনের টিকিট। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ২৬টি কাউন্টারে টিকিট বিক্রি হবে। প্রতি একজনকে চারটি করে টিকিট দেওয়া হবে। নারীদের জন্য দুটি বিশেষ কাউন্টার থাকবে। তিনি বলেন, ‘সাধারণত প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী ট্রেনে চলাচল করে। এবারে ঈদ উপলক্ষে ২ লাখ ৭৫ হাজার যাত্রী নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’ ঈদে সিডিউল বিপর্যয় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সময়মতো যাত্রা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। গত ঈদে যথাসময় ট্রেন ছেড়ে গেছে ও গন্তব্যে পৌঁছেছে। এবারও একইভাবে সময়মতো ট্রেন চলবে।’ মুজিবুল হক বলেন, ‘টিকিট কালবাজারি এবং নাশকতা এড়াতে র্যাব, পুলিশ, আরএনবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তায় সবাই সর্তক থাকবে। সুষ্ঠু ট্রেন পরিচালনার স্বার্থে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।’
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল তিন দিনের সরকারি সফরে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। সিডনিতে অনুষ্ঠেয় ‘গ্লোবাল সামিট অন ওমেন’ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং মর্যাদাপূর্ণ ‘গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হবেন। বিকেলে থাই এয়ারওয়েজের বিমানে সিডনির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। শেখ হাসিনা সিডনির আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) শুক্রবার ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাই নগক থিন এবং কসোভোর সাবেক প্রেসিডেন্ট এ্যাতিফেত জাহজাগার সঙ্গে এই গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসার এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে এ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী নারী নেতাদের ব্যবসা এবং অর্থনৈতিক বিষয়াবলী সংক্রান্ত এটি বাৎসরিক সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সূত্র জানায়, এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন এবং জাতীয় উন্নয়নের মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্তকরণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সফরকালীন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনিতে অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য কুঠিবাড়ি ও ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়ি পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে দুই দিনের সফরে কুষ্টিয়া যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ঢাকা থেকে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টার শনিবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে নির্মিত হেলিপ্যাডে অবতরণ করবে। এরপর রাষ্ট্রপতি উঠবেন কুষ্টিয়া সার্কিট হাউসে। সেখান থেকে বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি যাবেন শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। পরদিন রোববার (০৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রপতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তনে যোগ দিবেন। সমাবর্তনকে ঘিরে ইবি ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ জানান, ১৬ বছর পর ইবিতে সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। রাষ্ট্রপতিকে বরণ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|
|