চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের সব সমস্যা নিরসন হবে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম (সিজেএফ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামে এখন যেসব সমস্যা আছে সেটি আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে সব নিরসন হবে।
চট্টগ্রামের যানজটের জন্য বন্দরকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর সিটি করপোরেশনে যানজট নিরসনে মূল বাধা। বন্দরকে আইন মেনে নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। যেখানে সেখানে কনটেইনার টার্মিনাল হতে দেওয়া হবে না।’
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের একার সমস্যা না, এটা পুরো দেশের সমস্যা। নদী ও সমুদ্রের প্রাকৃতিক শহর হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নবনিযুক্ত প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে চট্টগ্রামের সব সমস্যা নিরসন হবে।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম (সিজেএফ) আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি এ কথা বলেন।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, চট্টগ্রামে এখন যেসব সমস্যা আছে সেটি আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে সব নিরসন হবে।
চট্টগ্রামের যানজটের জন্য বন্দরকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর সিটি করপোরেশনে যানজট নিরসনে মূল বাধা। বন্দরকে আইন মেনে নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করতে হবে। যেখানে সেখানে কনটেইনার টার্মিনাল হতে দেওয়া হবে না।’
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের একার সমস্যা না, এটা পুরো দেশের সমস্যা। নদী ও সমুদ্রের প্রাকৃতিক শহর হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নতুন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, কাজ চলছে।
আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম নগরের কালুরঘাট শিল্প এলাকায় মেরিডিয়ান চিপস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। সকাল ১০টার দিকে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে আরো প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। বেলা ১২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করা সম্ভব হয়।
ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের উপ-সহকারি পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম ভুইয়া জানান, কারখানার ভিতরে থাকা চিপসের প্লাস্টিক প্যাকেটের কারণে আগুন সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক আকার নেয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে বায়েজিদ, চন্দনপুরা, কালুরঘাট এবং আগ্রাবাদ স্টেশনের ১০টি গাড়ি কাজ করেছে।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সময় চিপস ফ্যাক্টরিটি বন্ধ ছিল । তদন্তের আগে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছেনা বলে উল্লেখ করেন ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন করোনা হাসপাতালের ৫৯ শতাংশ শয্যাই এখন খালি। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় নেই। হাসপাতালে মাত্র ৪১ শতাংশ শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীরা এখন ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তবে কোরবানি ঈদে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন হাসপাতালে মোট শয্যা সংখ্যা ৭৬৬টি। তার মধ্যে রোগী ভর্তি আছে ৩২১ জন। খালি রয়েছে ৪৪৫ শয্যা।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কভিড-১৯ চিকিৎসায় নির্ধারিত আছে ১৫০ শয্যা। বর্তমানে সেখানে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮৪ জন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করোনা ইউনিটে শয্যা আছে ২০০টি। বর্তমানে সেখানে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৭১ জন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ৩১ শয্যার করোনা ইউনিট। বর্তমানে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ১০ জন। বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতাল ১০০ শয্যার করোনা ইউনিট। তার মধ্যে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে মাত্র দুজন। হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল হচ্ছে ১০০ শয্যার। রোগী ভর্তি রয়েছে মাত্র ৯ জন।
অপরদিকে বেসরকারি মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট ৩৪ শয্যার। রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে ২৬ জন। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল (ইউএসটিসি) ১০০ শয্যার হলেও হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম সংযোজনের কাজের প্রয়োজনে বর্তমানে সাময়িকভাবে ৫০ শয্যার চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এখানে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে আটজন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো জটিল রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। হাসপাতালে যাওয়ার মতো হলে রোগীরা ঘরে বসে থাকত না। রোগীরা ঘরে থেকেই এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কমেছে। তবে কোরবানি ঈদে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৯২৭ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২২৩ জন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৮৪ জন।
চট্টগ্রাম নগরী এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টিপাতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থানেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। গতকাল রবিবার থেকে শুরু হয়ে আজ সোমবার পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সমগ্র চট্টগ্রামে ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে।
অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হলেও এখনো কিছু এলাকায় লোকজন ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে বলে জানা গেছে।
অব্যাহত বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষকে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। নগরীর আগ্রাবাদ, সিডিএ এলাকায় জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আজ সারাদিনই চট্টগ্রামজুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষায় ১০৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৬১ জন এবং জেলায় ৪৪ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৩৭ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন নগর ও জেলায় একজন করে।
আজ রবিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গতকাল শনিবার বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবে মোট ৪২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১০৫ জনের পজেটিভ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ১১ হাজার ৪৯০ জনের।
তিনি জানান, মোট শনাক্তের মধ্যে নগরে ৮ হাজার ১৪ জন এবং জেলায় ৩ হাজার ৪৭৬ জন। মোট মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে নগরে ১৫৩ জন এবং জেলায় ৬৩ জন। গত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৫ জন।
চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের পর গতকাল শনিবারের নমুনা পরীক্ষার ফলের মধ্য দিয়ে ১০০ দিন পূর্ণ হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) শনাক্তের সংখ্যা অতিক্রম করেছে সাড়ে নয় হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৬৩ জন। আজ শনিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ২৬৩ জন। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৬৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে নগরে ১৯৬ জন এবং উপজেলায় ৬৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাব ও কক্সবাজার ল্যাবে মোট ১ হাজার ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল মিলেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন ২৭১ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। আজ বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ২৭১ জন। এদের মধ্যে নগরে ১৮৭ জন এবং উপজেলায় ৮৪ জন। করোনায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হলেন ৯ হাজার ১২৩ জন।
চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাব ও কক্সবাজার ল্যাবে মোট ১ হাজার ৩৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৪২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রামে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে বেসরকারি হাসপাতালের কার্যক্রম। করোনা রোগী ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে অনীহা। আবার কোন রোগী ভর্তি করা হলেও বিল নেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি। বাড়তি বিল নেয়ার ক্ষেত্রে অজুহাতের শেষ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হারুন উর রশিদ সানী বাবা আনিস মিয়াকে হারিয়ে শোকে দিশেহারা। কয়েক দিনের জ্বরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভর্তি করা হয় চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতালে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর বাড়ি ফেরা হয়নি। এদিকে শোকাহত সন্তানের হাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ধরিয়ে দেয় বাড়তি বিলের ফর্দ।
এ প্রসঙ্গে তার ছেলে বলেন, শুধুমাত্র ঘুমের ওষুধ আর স্যালাইন দিয়েই ৯৪ হাজার টাকা বিল করেছে। এটা মোটেও স্বাভাবিক না।
একই ধরনের অভিযোগ নগরীর অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে। কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কাই করছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোন রোগী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পেলেও চিকিৎসার নামে গলার কাঁটা বিলের বোঝায় জর্জরিত তারা।
ভুক্তভোগীরা বলেন, মাত্র ৭ দিনে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকার বিল এসেছে। এই টাকা পরিশোধ করতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে।
অবশ্য বাড়তি বিল নেয়ার নানা অজুহাত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক রঞ্জনপ্রসাদ দাশগুপ্ত বলেন, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা দিয়ে ১ ঘণ্টায় ৭০ লিটার করে দিতে হয়। ১৫০ টাকা করে পার লিটার যদি নিই, সে যদি ১৪ দিন নেয়, তার বিল তো অটোমেটিক্যালি বাড়বে।
সরকারিভাবে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ন্যায্যমূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ ও বিলের পরিমাণ নির্ধারণ না করলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে না বলে মনে করেন নগরীর জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি আহবায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের বিল বানানোর অজুহাতের শেষ নেই। দাম নির্ধারণ করে না দিলে এটা চলতেই থাকবে।
কোন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসে নি। আমাকে, সিভিল সার্জন বা ডিসিকে জানাতে পারে। তবে কেউ জানায় না। তাহলে ব্যবস্থা নেয়া যেত।
করোনা আক্রান্তের পাশাপাশি উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ২৫০ জনের লাশ দাফনের পর এবার রোগীদের সুবিধার্থে ৭০ শয্যার অত্যাধুনিক আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তুলছেন চট্টগ্রামের সাত ভাই। আইসোলেশন সেন্টারে ১২ শয্যার আইসিইউ সুবিধাসহ থাকছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা। এর মাঝে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে নেয়া কিংবা নমুনা সংগ্রহেও সহায়তা করেছেন তারা।
নগরীর হালিশহর বি ব্লকের এক প্রান্তে গড়ে উঠছে সাত ভাইয়ের স্বপ্নের আইসোলেশন সেন্টার। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের ধোয়ামোছা এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ। বসে গেছে রোগীদের বেড। প্রতিটি বেডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনের জন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার। প্রস্তুত হচ্ছে আইসিইউ শয্যার পাশাপাশি অপারেশন থিয়েটারও।
৫ তলা ভবনের পুরোটাই হবে করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল। থাকছে করোনা রোগীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় হাইফ্লো নজেল ক্যানোলা সিস্টেম।
আল মানাহিল আইসোলেশন সেন্টার কনসালটেন্ট প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন বলেন, আইসিউয়ের বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু যুক্ত করা হবে।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে নানা ধরণের মানবিক কাজ করে আসছে এই সাত ভাই। বয়সে প্রবীণ হলেও তাদের কাজগুলো ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
আল মানাহিল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রধান নির্বাহী ফরিদ উদ্দিন বিন জমির উদ্দিন বলেন, নমুনা কালেকশনে আমাদের একটা গাড়ি স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কাজ করছে।
আল মানাহিল ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ম্যানেজার মো. শামসুর রহমান বলেন, নমুনা নিতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকে মৃত্যুবরণ করেছে। এটা দেখার পর থেকে আমরা চিন্তা করলাম সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে।
রেডজোন হিসাবে চিহ্নিত নগরীর হালিশহর এলাকায় করোনার বিশেষায়িত কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না। এ অবস্থায় এই আইসোলেশন সেন্টার স্থানীদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠতে যাচ্ছে।
আগামী ৩০ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে রোগী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করবে সাত ভাইয়ের এই হাসপাতাল। ৩ শিফটে ২৭ জন চিকিৎসক এবং ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মানসম্মত পিপিই এবং মাস্ক ব্যবহার না করায় চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এতে চিকিৎসকরা আতঙ্কগ্রস্ত। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিপর্যয়ের শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। গত দু`মাসে এখানে আক্রান্ত হয়েছেন আড়াইশোর বেশি চিকিৎসক। সবশেষ বুধবার একদিনে দু`জনসহ গত এক মাসে ১০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৫ মে জাফর হোসেন রুমির মৃত্যু দিয়ে চিকিৎসকদের মৃত্যুর যে মিছিল শুরু হয়েছে সেই তালিকায় বুধবার রাতে সবশেষ সংযোজন হয়েছেন শহিদুল আনোয়ার নামে আরেক চিকিৎসক। অবশ্য তার কয়েক ঘণ্টা আগে মারা গেছেন ডাক্তার সামিরুল হক বাবু নামে আরো একজন চিকিৎসক। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ২২০ জনের মধ্যে চিকিৎসক রয়েছেন ২৬৪ জন।
স্বাচিপের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে যেসব ডাক্তার আক্রান্ত হচ্ছেন তারা খুব খারাপ স্ট্রেইনের করেনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হওয়া ১০ চিকিৎসকের মধ্যে দু’জন ছিলেন সরকারিভাবে দায়িত্বরত। আর বাকি ৮ জন বিভিন্ন স্থানে প্রাইভেট চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।
এক্ষেত্রে সরকারিভাবে মানসম্মত পিপিই এবং মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি সিভিল সার্জনের। তবে বিভিন্ন সংস্থা থেকে উপহার পাওয়া সাধারণ মানের পিপিই’র কারণে চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, পিপিই এবং সুরক্ষা সামগ্রীগুলো কীভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং সেগুলো কীভাবে খুলতে হয় সেটি যথাযথভাবে মানতে হবে।
বর্তমানে করোনা রোগীর তুলনায় বিশেষায়িত হাসপাতালের পাশাপাশি চিকিৎসকের মারাত্মক সংকট রয়েছে। যে কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের টানা দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সে সাথে পিপিই পরিধান এবং খুলে রাখার পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। এতেও চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে সাধারণ চিকিৎসকরাও এখন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, বেডের তুলনায় অনেক বেশি রোগী। সেই তুলনায় চিকিৎসক অনেক কম। এছাড়া সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
চট্টগ্রাম বিএমএ`র সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। তাদের চোখের সামনে যখন একজন সহকর্মী মারা যাচ্ছেন তখন তাদের মধ্যে একটা মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় এবং কিছুটা আতঙ্কগ্রস্তও হচ্ছেন।
বিএমএ`র তালিকা অনুযায়ী চট্টগ্রামে মোট চিকিৎসক রয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৯ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৮ জন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
করোনা মহামারীর এই যুদ্ধে সম্মুখে থেকে লড়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবার আক্রান্তের দিক থেকেও তারা রয়েছেন এগিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিকিৎসকদের আক্রান্তের হার কমিয়ে আনতে হবে। নাহলে বিপর্যয় নেমে আসবে চিকিৎসা ব্যবস্থায়।
স্টাফ রিপোর্টার: চট্টগ্রামে পরিবেশবান্ধব সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রচারণার সময় কোনো প্রার্থী আইন লঙ্ঘন করলে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। নির্বাচনকে পরিবেশবান্ধব করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান।
তিনি বলেন, এ নগর সবার, এখানে সবাই যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সে জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং বাস্তাবায়নের যা করার দরকার তা করা হবে। লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহার করতে না দেয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কাউন্সিলর প্রার্থী ও মুদ্রণ ব্যবসায়ীরা। আরা যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিষয়ে কঠোর হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান সচেতন মহলের।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা ব্যবহার করেছিলেন লেমিনেটেড পোস্টার। ১২ দিনের নির্বাচনী প্রচারণায় আড়াই হাজার মেট্রিক টন পলিথিন মোড়ানো পোস্টার বর্জ্য হয়েছিল। যা পরিবেশের জন্য ছিল মারাত্মক ক্ষতিকর। ভবিষ্যতে এ ধরনের পোস্টার লাগানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন উচ্চ আদালত। আর সেই নিয়ম মেনেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমনিতেই বর্ষা আসলেই জলাবদ্ধতায় নাকাল থাকে চট্টগ্রামবাসী।
তাই নির্বাচনে লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহার না করার নির্দেশনা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন মুদ্রণ ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, লেমিনেটেড পোস্টার ব্যবহার না করার অঙ্গীকার কাউন্সিলর প্রার্থীদের। এইচ জে সলিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাদ্দাম হোসাইন বলেন, লেমিনেটেড পোস্টার ছাপানো হলে বেশি টাকা পাওয়া যাবে এমন না আবার আমাদের ক্ষতি হবে এমনও না, যদি এটা বন্ধ করা হয় তাহলে সেটাকে সাধুবাদ জানাব।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী শৈবাল দাশ সুমন বলেন, আমি চাইব শুধু লেমিনেটেড পোস্টার নয়, পোস্টারবিহীনি একটা নির্বাচন করতে। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব-কর্তব্য। শুধু নিষেধাজ্ঞা দিলেই হবে না, যে সব প্রার্থী আইন লঙ্ঘন করবেন তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে বলে মনে করেন সনাক সভাপতি আকতার কবির চৌধুরী।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১৩ ও সংরক্ষিত কাউন্সির পদে ৫৬ জন প্রার্থী লড়বেন।
৩য় বারের মতো চট্টগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা মশিউর রহমান ।ডিসেম্বর মাসের মাসের সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনাপূর্বক মোট তিনটি ক্যাটাগরিতে অবদান রাখায় তাকেঁ এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বুধবার ১৯ শে ফেব্রুয়ারি মাসিক কল্যাণ সভা চট্টগ্রাম পুলিশের ডিআইজির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক পিপিএম,বিপিএম (বার)। উক্ত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সর্বোচ্চ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার এবং সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনাপূর্বক কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার এসআই মশিউর রহমানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে সম্মানাস্বরুপ ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করা হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ (ক্রাইম) এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ের সকল পুলিশ কর্মকর্তাগণ । উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় এসআই মশিউর রহমান যোগদানের পর থেকে মাদক নির্মূল, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক , অস্ত্র উদ্ধার সর্বোপরী টেকনাফ থানাকে নিরাপত্তার চাদরে আচ্ছাদিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ফলশ্রুতিতে তারঁ এ কৃতিত্বের জন্য টানা ৩য় বারের মতো চট্টগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন। । চট্টগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় এক প্রতিক্রিয়ায় মশিউর রহমান বলেন, প্রতিটি পুরস্কার আসলে খুবই ভালো লাগে।
কার্যক্ষেত্রে কাজের গতিকে তরান্বিত করে, প্রেষণা সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেন,মাদকমুক্ত টেকনাফ থানা গড়তে আমি যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে যোগদান করেছিলাম.তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমার মানসিক ও শারীরিক শ্রম অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ টেকনাফ থানাকে একটি মডেল থানায় বাস্তাবায়ন করতে আমাদের সকল কার্যক্রম বিদ্যমান থাকবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নগরীতে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী উত্তাপ। মেয়র প্রার্থী নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সেই সাথে নগর জুড়ে বিভিন্ন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নামে লাগানো হচ্ছে পোস্টার ও ব্যানার। অনেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও আওয়ামী লীগের পক্ষে নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে ডা. শাহাদাত হোসেনের নাম। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরশন নির্বাচন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় মনোনয়ন কে পাচ্ছে তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। মনোনয়ন প্রত্যাশী বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে নগর জুড়ে লাগানো হচ্ছে পোস্টার ও ব্যানার। বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির বহাল থাকছেন, নাকি পরিবর্তন হচ্ছে? এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বর্তমান মেয়রের বাইরে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক সিডিএ চেয়্যারম্যান আব্দুচ ছালামের নাম শোনা যাচ্ছে।
সেই সাথে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের নামও উঠে এসেছে। তবে মনোনয়ন পেলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নাগরিক সেবা বলতে যেটা বুঝায়, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে আমরা সেটা দিতে পারি। জনগণ আমার বিষয়ে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। তবে বিএনপি`র সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের।
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে আবারো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। নগরীর মোগলটুলী এলাকায় একটি ওয়াকর্শপে লাগানো ঘরে রান্না করার সময় এ বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নগরীর মোগলটুলী এলাকার রাবার ওয়ার্কশপে কাজ করে কয়েক জন শ্রমিক।
ওয়ার্কশপের সঙ্গে লাগানো তাদের বাসা। সকালে রান্নার জন্য গ্যাসের সংযোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘরে অবস্থান করা মিজান, গোলাম মওলাসহ তিনজন গুরুতর দগ্ধ হন। তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডি রাবার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে কাজ করতেন এই তিন শ্রমিক। ওয়ার্কশপের সঙ্গে লাগানো ঘরে বসবাস করতেন তারা। সকালে রান্নার জন্য গ্যাসের সংযোগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণের ঘটনা। এরপর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাদের চমেকে নিয়ে আসা হয়।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক জানান ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, আহত তিন জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালীসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে। গোলাম মওলার ৬৫ শতাংশ ও মিজানের শরীরের ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরেক জনের মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক। তবে চমেকের বার্ন ইউনিটে কোনো আইসিইউ না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে বলেও জানার তিনি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, দিন দিন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা বাড়ছে। এক একটি সিলিন্ডার পরিণত হয়েছে বোমায়। প্রতিদিনই বিস্ফোরণের ঘটনায় রোগী ভর্তি হচ্ছে বার্ন ইউনিটে। এখনই যদি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার নিরাপদ করা না যায় তাহলে সামনের দিনগুলোতো আরও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি, স্থাপনা ও রোপওয়ে রক্ষা এবং আখাউড়া থেকে সিলেট রুটে রেলের কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে, বাঙ্কার ও ধলাই নদী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, রোপওয়ে আবার করা যাবে কিনা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আর বিলীন হওয়ার হাত থেকে ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি কীভাবে রক্ষা করা যায়, এ বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপাতত ভোলাগঞ্জে রেলওয়ের ভূমি ও স্থাপনা দেখা হচ্ছে। এর আগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারিতে অবস্থিত রেল স্থাপনা পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। আজ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরিদর্শনে যান তিনি। এ সময় রেল স্থাপনার পাশে ধলাই নদীও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের অনেক পুরনো রোপওয়ের অবস্থা দেখতে সরেজমিনে দেখতে সকালে ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকার ধলাই নদীও ভ্রমণ করেন রেলমন্ত্রী।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান। এখান থেকে তিনি রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সড়ক পথে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা সদরে অবস্থিত বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র স্লিপার কারখানা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। জানা গেছে, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অবস্থান। মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে বর্ষাকালে ঢল নামে। ধলাই নদীতে ঢলের সঙ্গে নেমে আসে পাথর।
পরবর্তী বর্ষার আগমন পর্যন্ত চলে পাথর আহরণ। এছাড়া রয়েছে ১৯৬৪-১৯৬৯ সালে সোয়া দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে প্রকল্প- যার দৈর্ঘ্য ১১ মাইল ও টাওয়ার এক্সক্যাভেশন প্ল্যান্টের সংখ্যা ১২০টি। উত্তোলিত পাথর ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হতো। ১৯৯৪ সালের পর এই পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। এখান থেকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ২০ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে বিশেষ কোয়ারির অবস্থান। মূলত সীমান্তের অতি নিকটবর্তী হওয়ায় এই জায়গাটিকে বিশেষ কোয়ারি বলা হয়। সেখানে থেকে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করা যায়।
কিন্তু রাতের অন্ধকারে পাথরখেকোরা বাঙ্কার এলাকা থেকে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া অবৈধ দখলদারদের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে রোপওয়ে লাইনের খুঁটি এবং রেলওয়ে স্থাপনা।
চট্টগ্রামে নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় নাহার বিল্ডিংয়ের পাশে মাদারবাড়ির এসআরবি বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটের দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে পৌনের ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে আগ্রাবদ, চন্দনপুরা, নন্দনকানন ও চকবাজার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের ১৫টি গাড়ি। আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ চৌধুরী জানান, ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই শতাধিক পরিবার।
খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে নারী-শিশুসহ হাজারো মানুষ। তবে এখনও কোনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]