ঝাল ছাড়া ‘রেলওয়ে মাটন কারির’ রেসিপি
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন।
উপকরণ:
মাটন - ১ কেজি আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা) হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ কালো এলাচ - ২ টি সবুজ এলাচ - ৩ টি তেজপাতা - ১ টি পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ টমেটো পিউরি - ১ কাপ পানি - ২-৩ কাপ লবণ - স্বাদমতো তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন।
এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন।
প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি।
|
কষা মাংস-লুচি, গরম ভাত-শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া যাবে না। মোগল-ইংরেজদের সঙ্গে মিশে খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটলেও একই থেকে গিয়েছে বাঙালির মাংস-ভাতের অভ্যাস। আর মাংস দিয়ে তৈরি হয় মুখরোচক নানা খাবার। খাসির মাংস দিয়ে কোন পদ রাঁধবেন, এই নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। একটু অন্য রকম স্বাদে খাসির মাংস রাঁধতে চাইলে ঝাল ছাড়া মাটন কারি চেষ্টা করে দেখতে পারেন। রান্নার প্রণালীটিও বেশ সহজ। তাহলে ঝটপট রান্নার পদ্ধতিটি শিখে নিন।
উপকরণ:
মাটন - ১ কেজি আদা রসুনের পেস্ট - ১ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো করা - আধ চা চামচ বড় আলু ৪টি (খোসা ছাড়িয়ে কাটা) হলুদ গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ কালো এলাচ - ২ টি সবুজ এলাচ - ৩ টি তেজপাতা - ১ টি পেঁয়াজ ( ঝিরিঝিরি কাটা ) - ৫ টি মাঝারি সাইজের ধনে গুঁড়ো - ২ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো - ১ চা চামচ টমেটো পিউরি - ১ কাপ পানি - ২-৩ কাপ লবণ - স্বাদমতো তেঁতুল বাটা - ১ চা চামচ স্পেশাল মশলা - ১ টেবিল চামচ
প্রণালী:
হাড়যুক্ত মাটন খুব ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে স্বাদ অনুযায়ী লবণ, আদা-রসুন বাটা, গোলমরিচের গুঁড়ো এবং এক চামচ সরিষার তেল মিশিয়ে খুব ভালো করে মটনে মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টার মতো মাংসটা ম্যারিনেটে বসিয়ে দিন। আলুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ হলুদ মাখিয়ে ভালো করে ভেজে তুলে রাখুন।
এবার বানিয়ে ফেলুন রেলওয়ে মাটনকারির স্পেশাল মশলা। বড় এবং ছোট এলাচ, কালো গোলমরিচ, মৌরি, ধনে, দারচিনি, পাথরের ফুল (অপশনাল) এবং সামান্য লবণ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে তুলে নিন। ভাজা মসলা ব্লেন্ডারে নিয়ে মিহি করে গুঁড়ো করে নিন। পুরো মসলাটা রান্নায় লাগবে না। তাই এটি তুলে রাখতে পারেন। পরের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
প্রেশার কুকারে সরিষার তেল গরম করে তাতে বড় এবং ছোট এলাচ, তেজপাতা ফোঁড়ন দিন। সুগন্ধ উঠলে তাতে ঝিরঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে ভাজতে থাকুন। লবণ দেওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যে, মাংস, আলু এবং স্পেশাল মশলাতেও আগে লবণ দেওয়া হয়েছে। তাই লবণের পরিমাণটা বুঝে দিন। পেঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে আসলে তাতে ম্যারিনেট করা মাটন দিয়ে ভাজতে থাকুন। মাংস যতক্ষণ না পরিমাণে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ভাজুন। এবার এতে ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, টমেটো পিউরি দিয়ে মাঝারি থেকে বেশি আঁচে মিনিট দশেক কষান। মশলা থেকে তেল আলাদা হলে তাতে পানি এবং তেঁতুলের পেস্ট দিয়ে দ্রুত ফুটিয়ে নিন। তারপর প্রেশার কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে মাঝারি থেকে উচ্চ আঁচে ৬ থেকে ৭ সিটি দিয়ে নিন।
প্রেশার কুকারের ভাপ বেরিয়ে গেলে ঢাকনা খুলে মাংসের ওপরে ধনেপাতা, ভাজা আলু এবং স্পেশাল মশলা ছড়িয়ে দিয়ে আরেকবার একটা সিটি দিন। তাহলেই তৈরি আপনার রেলওয়ে মাটন কারি। সাদা ভাত, পোলাও, রুটি, নান, পরোটা, কিংবা পাউরুটির সঙ্গে অসাধারণ খেতে লাগে এই রেলওয়ে মাটন কারি।
|
|
|
|
উৎসবের আয়োজনে মাংসের নানা পদ তো থাকবেই। তার সঙ্গে যদি যোগ হয় শাহী স্বাদ, তবে তো কথাই নেই! মাংসের শাহী রেজালা তৈরি করে প্রশংসা পেতে পারেন সবার। ঝরঝরে পোলাওয়ের সঙ্গে এই পদ থাকলে জমবে বেশ। তবে তার আগে জানা থাকা চাই এর সঠিক ও সহজ রেসিপি। চলুন জেনে নেওয়া যাক মাংসের শাহী রেজালা কীভাবে তৈরি করবেন-
তৈরি করতে যা লাগবে
মাংস, পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদ জিরা, টক দই, বাদাম বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, ধনিয়া, লবণ, কিশমিশ, আলু বোখারা, জয়ফল-জয়ত্রী, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, তেল ও সামান্য চিনি।
যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে মাংস টুকরা করে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর সব উপকরণ পরিমাণমতো নিয়ে টকদই ও সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে ঘণ্টাখানেক। এরপর চুলায় হাঁড়ি বসিয়ে তাতে মাখানো মাংস দিয়ে দিন। এবার রান্নার পালা। মাংস অল্প আঁচে সেদ্ধ হতে দিন। কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা তুলে নেড়ে দিন। সেদ্ধ হয়ে এলে তাতে মিশিয়ে দিতে হবে আলুবোখারা ও কিশমিশ। এরপর আরও কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। লবণ পরখ করে দেখুন। প্রয়োজনে আরেকটু লবণ মিশিয়ে দিন।
অল্প আঁচে গরম হতে থাকবে এবং মাংস সিদ্ধ হচ্ছে কিনা কিছুক্ষণ পরে দেখে নিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে আসলে কিশমিশ ও আলুবোখারা দিয়ে দিন। এরপর ঢাকনা দিয়ে হালকা আঁচে আরও কিছু সময় জ্বাল দিন। তারপর লবণ ঝাল হয়েছে কিনা দেখে নিন। এরপর ফোড়ন আরও দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন। নামিয়ে পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুস্বাদু মাংসের শাহী রেজালা।
|
|
|
|
শীত আসতেই পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায় ঘরে ঘরে। এরই মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন পিঠার স্বাদ গ্রহণ করা শুরু করেছেন নিশ্চয়ই! ভাপা পিঠা কিংবা চিতই ছাড়াও বাহারি সব পিঠার মধ্যে পাকন পিঠার জনপ্রিয়তাও অনেক।
বিশেষ করে নারকেলের পুরে তৈরি পাকন পিঠার মজাই আলাদা। অনেকেই এই পিঠা তৈরি করা বেশ ঝামেলার মনে করেন। তবে চাইলেই খুব সহজে তৈরি করা যায় এই পিঠা।
এই পিঠার মজার একটি বিশেষত্ব হলো, এটির বাইরে শুকনা থাকলেও এর ভেতরে খুব রসালো। এটি নড়াইলের খুব বিখ্যাত ও আঞ্চলিক একটি পিঠা। জেনে নিন সুস্বাদু এই পিঠা তৈরির সহজ রেসিপি-
উপকরণ
১. নারকেল কোরানো ২ কাপ ২. চিনি ২ কাপ ৩. তেল ২ কাপ ৪. পানি আধা কাপ ৫. ময়দা ২ কাপ (চাইলে প্যাকেট আটা দিয়েও করতে পারেন) ও ৬. লবণ ৩ আঙুলের ১ চিমটি।
পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে ময়দা নিয়ে লবণ ও দুই টেবিল চামচ তেল দিয়ে মাখুন। এবার এর মধ্যে মেপে রাখা পানি দিয়ে মাখতে থাকুন, ভালো করে ময়ান করে রেখে দিন। এবারে অন্য একটি পাত্রে নারকেল ও চিনি মিশিয়ে নিন।
এখন ময়ান করা ময়দাকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিয়ে ছোট করে রুটি বানান। বেশি পাতলা হবে না, তাহলে রুটি ছিঁড়ে যাবে। এবার পুলি পিঠার মতো করে ভেতরে নারকেলের পুর ঢুকিয়ে ভাঁজ করে নিন।
এরপর ছুরি দিয়ে সমান করে কেটে হাত দিয়ে এর মুখ ভালো করে বন্ধ করে নিন। এভাবে বাকি পিঠাগুলো তৈরি করে নিন।
অন্যদিকে ফ্রাই প্যানে ডুবো তেল গরম করে নিন। এবার পিঠাগুলো একেক করে তেলে ছেড়ে দিন। হালকা আঁচে বাদামি করে ভেজে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন নারকেলের পুরে মজাদার পাকন পিঠা।
|
|
|
|
বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার মাছ। মাছকে নানা পদে রান্নার জাদুতে সুস্বাদু বানাতে বাঙালি ওস্তাদ। তেমনি একটি পদ ভেটকির কাঁটাবিহীন মচমচে মজাদার ফ্রায়েড ফিস। সহজ পদ্ধতিতে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন ফ্রায়েড ফিস।
উপকরণ: ভেটকি মাছ ১৫০ গ্রাম, আদা-রসুন বাটা: ১০ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী, লবণ: স্বাদ অনুযায়ী, মরিচের গুঁড়ো: স্বাদ অনুযায়ী, জিরে গুঁড়ো: ৫ গ্রাম, গোটা জোয়ান ভাঙা: ৫ গ্রাম, ডিম: একটি, চাট মশলা: সামান্য, সাদা তেল, লেবু: একটি, ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, চালের গুঁড়ো।
প্রণালী: মাছের ফিলে কেটে নিন ফিশ ফিঙ্গারের মতো। মাছ ভালো করে ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিন। পাতিলেবুর রস মাখিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। এ বার এতে আদা-রসুন বাটা, জিরে গুঁড়ো, জোয়ান গুঁড়ো, গোলমরিচ, লবণ, মরিচগুঁড়ো মাখিয়ে নিন। মশলা মাখানো শেষ হলে রেখে দিন আরও মিনিট দশেক। এর উপর অল্প ময়দা ও তার দ্বিগুণ কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে মাছগুলোকে আরেক বার উল্টেপাল্টে দিন। এ বার একটি পাত্রে ডিম ফেটিয়ে রাখুন। মাছের টুকরোগুলো ডিমের গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে বেজে নিন। মুচমুচে করার জন্য ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে একটু চালের গুঁড়োও ব্যবহার করতে পারেন। ভাজার পর চাট মশলা ছড়িয়ে সস ও আর স্যালাডের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
জিলাপি দেখলে জিভে জল আসে? উপরটা মুচমুচে আর ভেতরটা রসে ভরা জিলাপি দেখে লোভ সামলে রাখা সত্যিই কষ্টকর। কিন্তু বাইরে থেকে কেনা জিলাপি স্বাস্থ্যকর নাও হতে পারে। তাই বলে কি জিলাপি খাবেন না? জেনে নিন ঘরেই কীভবে মুচমুচে জিলাপি তৈরি করতে পারবেন-
উপকরণ: এক কাপ ময়দা দেড় টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার দেড় টেবিল চামচ ময়দা দুই টেবিল চামচ ঘি এক চিমটি লবণ এক চা চামচ চিনি এক চা চামচ ইস্ট এক কাপ পরিমাণ গরম পানি অরেঞ্জ ফুড কালার।
চিনির সিরা তৈরিতে: দেড় কাপ চিনি এক কাপ পানি তিনটি লবঙ্গ দুইটি এলাচ গুঁড়া এক চিমটি পরিমাণ জাফরান।
প্রণালি: আধা কাপ পরিমাণ গরম পানিতে চিনি ও ইস্ট মিশিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে। বড় একটি পাত্রে ময়দা, বেসন ও লবণ একসাথে মেশাতে হবে। এতে ঘি দিয়ে আবার মেশাতে হবে। এতে ইস্ট মিশ্রিত পানি দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। এরপর এতে গরম পানি মিশিয়ে প্যানকেকের মতো স্মুদ ব্যাটার তৈরি করতে হবে।
ফুড কালার যোগ করতে চাইলে তবে এক-দুই ফোঁটা ফুড কালার দিয়ে মিশিয়ে তুলনামূলক উষ্ণ স্থানে গাঁজনের জন্য ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এই সময়টুকুর মাঝে পাত্রটি একেবারেই নাড়াচাড়া করা যাবে না। ব্যাটারে গাঁজন হয়ে গেলে চিনির সিরা তৈরি করতে হবে। একটি সসপ্যানে চিনি, পানি, লবঙ্গ, এলাচ গুঁড়া ও জাফরান একসাথে মিশিয়ে মাঝারি তাপে ৭-১০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। চিনির সিরা খুব বেশি ঘন ও স্টিকি হবে না।
এবার ফ্রাইপ্যানে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল নিয়ে গরম করে তেলের তাপমাত্রা মাঝারি আঁচে রাখতে হবে। জিপলক ব্যাগে জিলাপির ব্যাটার নিয়ে ব্যাগের এক কোনার অংশ অল্প একটু কেটে নিতে হবে। তেল গরম হলে তেলের উপরে জিপলক ব্যাগ ধরে ধীরে ধীরে ব্যাগ চাপ দিয়ে ব্যাটার তেলে ছাড়তে হবে। ব্যাটার তেলে ছাড়ার সময় জিপালির মতো গোলাকৃতির প্যাঁচ তৈরি করতে হবে।
প্রতিটি জিলাপি ভাজার জন্য ৫-৬ মিনিট সময় লাগবে। জিপালি বাদামি রঙের হলে তেল থেকে তুলে সরাসরি চিনির সিরাতে দিয়ে দিতে হবে। চিনির সিরায় মিনিট দুয়েক ভিজিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনার ঘরে যদি যেকোনো বড় মাছের টুকরা আর কিছু মশলা থাকে, তবে খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন সুস্বাদু ফিশ টিক্কা। এটি বেশ মুখরোচক ও স্বাস্থ্যকর খাবার। অতিথি আপ্যায়নে কিংবা নাস্তায় তৈরি করতে পারেন ফিশ টিক্কা। চলুন রেসিপি জেনে নেয়া যাক-
উপকরণ: মাছ ৪ টুকরা লেবুর রস ২ টেবিল চামচ আদা বাটা ১ চা চামচ জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ বিট লবণ ১/২ চা চামচ মেথি বাটা ১/২ চা চামচ ক্রিম ১ টেবিল চামচ রসুন ১ চা চামচ লবণ স্বাদমতো তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি: মাছে লবণ, লেবুর রস মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মাছে মাখিয়ে ফ্রিজে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর বের করে কড়াইয়ে তেল গরম করে ব্রাউন কালার করে ভেজে নিন। সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
বৃষ্টিভেজা বিকেলে তৈরি করে ফেলুন মচমচে মাটন কিমা কাটলেট। জানালার পাশে অথবা টিভির সামনে অথবা আড্ডায় বসে যান কাটলেটের বাটি নিয়ে।
মাটন কিমা ২ কাপ, মাঝারি মাপের আলু ৩টি, পাউরুটির গুঁড়ো ১ কাপ, বিস্কুটের গুঁড়ো ১ কাপ, লাল মরিচগুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ২ চা চামচ, আদা রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ ২টি, ধনেপাতা কুঁচি ২ টেবিল চামচ, জিরে গুঁড়ো ২ চা চামচ, ধনে গুঁড়ো ২ চা চামচ, ডিম ৩টি, কর্নফ্লাওয়ার ৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, তেল ২ কাপ।
প্রথমে পেঁয়াজ লাল করে ভেজে নিন। এর মধ্যে সিদ্ধ মাটন কিমা, আলু সিদ্ধ, আদা-রসুন বাটা, ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ধনেপাতা কুঁচি, লবণ, হলুদ, লাল মরিচগুঁড়ো, গরম মসলা গুঁড়ো ও চাট মসলা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে।
এর মধ্যে পাউরুটির গুঁড়ো মিশিয়ে পছন্দমত আকারে কাটলেট গড়ে নিন। এবার ডিম, কর্নফ্লাওয়ার ও লবণের মিশ্রণে এই কাটলেট ডুবিয়ে বিস্কিটের গুঁড়ো মাখিয়ে নিতে হবে। তারপরে কড়াইয়ে ডুবো তেলে ভাল করে ভেজে তুলে নিন।
|
|
|
|
বিকেলের নাস্তায় একটি মজাদার খাবার হতে পারে আলুর টিকিয়া। এটি তৈরি করতেও সময় লাগে কম। ঘরেই তৈরি করে নিলে তা অস্বাস্থ্যকর হওয়ার ভয়ও নেই। জেনে নিন রেসিপি-
উপকরণ : বড় আলু- ৪টি (সেদ্ধ করে নেয়া) মটর সেদ্ধ- ১/২ কাপ ব্রেডক্রাম্ব- ৮ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার- ১ টেবিল চামচ আদা কুঁচি- ১ চা চামচ ধনেপাতা কুঁচি- ২ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ- ২ টি, কুঁচি লাল মরিচের গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ লেবুর রস- ১ চা চামচ চিনি- ১/২ চা চামচ লবণ তেল।
প্রণালি : একটি বোলে সেদ্ধ আলু ও সেদ্ধ মটর ভালোভাবে চটকে তাতে ৪ টেবিল চামচ ব্রেডক্রাম্ব, কর্ন ফ্লাওয়ার, আদা কুঁচি, ধনেপাতা কুঁচি, কাঁচামরিচ কুঁচি, লাল মরিচের গুঁড়ো, গরম মশলার গুঁড়ো, লেবুর রস, চিনি ও লবণ মেশান (চাইলে গাজর কুঁচি, সুইট কর্ন বা মটরশুঁটিও মেশাতে পারেন)। সব ভালোভাবে মেখে একটি বড় ডো তৈরি করুন এবং তা থেকে সমান আকারের ১০-১২ টি ছোট বল বানিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে আসতে আসতে চেপে পেটি তৈরি করুন টিকিয়ার জন্য।
এবার বাকি ৪ চামচ ব্রেডক্রাম্ব একটি প্লেট-এ নিন। পেটিগুলোকে ভালো করে ব্রেডক্রাম্ব-এ উভয় পিঠে মাখুন। একটি প্যান চুলায় গরম করে তাতে ২-৩ চা চামচ তেল নিয়ে গরম করে তাতে পেটিগুলো গোল্ডেন ব্রাউন করে উভয় পিঠ খুব ভালো করে ভাঁজুন অল্প আঁচে, যেন না পোড়ে।
তৈরি হয়ে গেল মজাদার সুস্বাদু আলুর টিকিয়া। যদি ব্রেডক্রাম্ব না থাকে, তবে এটা বাদ দিতে পারেন এবং টিকিয়ার কোটিংটা কর্ন ফ্লাওয়ার দিয়েও করতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে একটু পনিরও ব্যবহার করতে পারেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ছোটবেলায় ছড়ার বই ‘পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ’ এই লাইনটি আমরা সবাই পড়েছি। জাম আসলে এমনই একটি রসালো ফল, যা খেলে মুখ রঙিন হবেই। মিষ্টি স্বাদের এই ফলটি পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এটি দিয়ে তৈরি করা যায় জিভে জল আনা ভর্তা। চলুন জেনে নেই রেসিপি-
উপকরণ : জাম ২৫০ গ্রাম লবণ স্বাদ অনুযায়ী ধনেপাতা ১ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ ২টি গুঁড়ামরিচ আধা চা চামচ।
প্রণালি : প্রথমে জাম ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সব উপকরণ একসঙ্গে ঢাকনিসহ কৌটায় নিয়ে ভালো করে ঝাঁকাতে থাকুন। জাম নরম হয়ে এলে পরিবেশন করুন সাজিয়ে।
|
|
|
|
ইফতারে ঝাল ঝাল কাবাব খেতে নিশ্চয়ই মন্দ লাগবে না। আজ জেনে নেবো জিভে জল আনা বিফ টিকিয়া কাবাব তৈরির রেসিপি। এটি আপনি খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক-
উপকরণ : গরুর মাংস ১/২ কেজি (চর্বি ও হাড় ছাড়া ছোট টুকরা করে কাটা) বুটের ডাল ১/২ কাপের কম (৩/৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখা) এলাচ ৩-৪ টি দারুচিনি ১-২ টি লং ৪-৫ টি তেজপাতা ১ টি আদা কুঁচি ১ টেবিল চামচ রসুন কুঁচি ১ টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুঁচি ২ টেবিল চামচ শুকনো মরিচ ২-৩ টি মরিচ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো ১/৪ চা চামচ ধনে গুঁড়ো ১/২ চা চামচ জিরা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ জায়ফল ও জয়ত্রি গুঁড়ো সামান্য পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/২ কাপ লবণ স্বাদ মতো ডিম ২ টি তেল পরিমাণ মতো
প্রণালি : মাংসের টুকরা, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুঁচি, শুকনা মরিচ, এলাচ, তেজপাতা, দারুচিনি, লং, হলুদ, মরিচ, লবণ আর পরিমাণমতো পানি দিয়ে শুকনা শুকনা করে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
এবার ফুড প্রসেসর বা পাটায় মিশ্রণটা বেটে নিন। ইচ্ছে করলে গরম মশলাসহ বেটে নেয়া যাবে। এই বাটা মিশ্রণে একে একে গরম মশলা গুঁড়ো, জায়ফল-জয়ত্রি গুঁড়ো, ধনে-জিরা গুঁড়ো, পেঁয়াজ বেরেস্তা, ডিম দিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে।
তেল গরম করে গোল-চ্যাপ্টা শেপের টিকিয়া বানিয়ে ডুব তেলে মিডিয়াম আঁচে ভেজে তুলতে হবে। চাইলে কাবাবের মধ্যে ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের, কুঁচি, কিশমিশ, একটু লেবুর রস মিশিয়ে পুর দিতে পারেন।
|
|
|
|
ইফতারে ঠান্ডা ঠান্ডা শরবত না হলে কি চলে! কিন্তু প্রতিদিন একইরকম শরবত না তৈরি করে, শরবতের রেসিপিতে আনতে পারেন ভিন্নতা। এখন পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা আম। ইফতারে তৈরি করতে পারেন ভিন্ন স্বাদের পোড়া আমের শরবত-
উপকরণ : কাঁচা আম ২টি পরিমাণমতো চিনি বিট লবণ কাঁচা মরিচ বরফকুচি।
প্রণালি : প্রথমে ২টি আম খোসা সহ পুড়িয়ে নিন। তারপর ঠান্ডা হলে আমের খোসা ছাড়িয়ে নিন। দেখবেন আমের ভেতরটা নরম হয়ে গেছে। এবার একটি বাটিতে পরিমাণমতো চিনি, বিট লবণ, মরিচ নিন। আমের সাথে সব ভালো করে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন।
সব একসাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল পোড়া আমের শরবত। বরফকুচি দিয়ে ব্লেন্ড করতে পারেন বা পরিবেশনের সময় উপরে বরফকুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : ইফতারে ঝাল জাতীয় কিংবা ভাজাভুজি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। তাই স্বাস্থ্যের অযুহাতে যতই নিষেধ করা হোক, ইফতারে পেঁয়াজু, বেগুনি কিংবা আলুর চপ থাকবেই। প্রতিদিন একইরকম না খেয়ে একদিন একটু ব্যতিক্রম তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আদর্শ একটি রেসিপি হতে পারে কলিজা সিঙ্গাড়া। চলুন রেসিপি জেনে নেয়া যাক-
উপকরণ : ৩ কাপ ময়দা, পানি পরিমাণমতো, তেল (ডো তৈরি ও ভাজার জন্য), লবণ স্বাদ মতো, কালোজিরা ১ চা চামচ।
পুরের জন্য : ১ কাপ কলিজা (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ গাজর (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ আলু (ছোট কিউব করে টুকরো করা), ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি, ১ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি, চা চামচ আদা-রসুন বাটা, আধা চা চামচ গরম মসলা গুঁড়ো, তেল পরিমাণ মতো।
প্রণালি : প্রথমে ময়দা, লবণ ও তেল পরিমাণ মতো দিয়ে ভালো করে মেখে ডো তৈরি করে নিন। ডো তৈরি করে ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। একটি প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নরম করে ভেজে নিয়ে তাতে দিন আদা-রসুন বাটা, গরম মসলাগুঁড়ো এবং লবণ।
খানিকক্ষণ নেড়ে নিয়ে এতে দিন কলিজার টুকরোগুলো। কলিজা একটু কষে এলে আলু, গাজর দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে সেদ্ধ করার জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে রান্না করতে থাকুন। রান্না শেষ হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ময়দার ডো থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে রুটি বেলে নিন।
এবার রুটি ৩ কোনা করে কেটে ঠোঙার মতো তৈরি করে নিন। এরপর ঠোঙার মধ্যে কলিজার পুর দিয়ে মুখ বন্ধ করে সিঙ্গারা তৈরি করে নিন। প্যানে ডুবো তেলে ভাজার জন্য তেল গরম করে নিন। এরপর সিঙ্গাড়া লালচে করে ভেজে তুলে নিন। সস, পেঁয়াজ অথবা সালাদের সাথে গরম গরম পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
ইফতারে মুখরোচক কতকিছুই না থাকে। থাকে চিকেনের নানা আইটেমও। আজ চলুন জেনে নেয়া যাক চিকেন ললিপপ তৈরির রেসিপি। এটি ঝটপট তৈরি করা যায় তাই সহজেই তৈরি করতে পারবেন-
উপকরণ : ডিম ১টি কর্নফাওয়ার আধা কাপ গোলমরিচগুঁড়ো ১ চা চামচ আদাবাটা আধা চা চামচ রসুনবাটা আধা চা চামচ সয়াসস ১ টেবিল চামচ স্বাদ লবণ সামান্য লবণ সামান্য তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি : চিকেন ললিপপের সব উপকরণ দিয়ে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা মাখিয়ে রাখুন। তার পর ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে নিন। এমনভাবে ভাজবেন যেন ভেতরে সিদ্ধ হয় আর বাইরে গোল্ডেন ব্রাউন হয়।
চিকেন ললিপপের সস :
উপকরণ : বারবিকিউ সস আধা কাপ ১ কোয়া রসুন সদ্য মিহি করে ছেঁচে নেওয়া চিলিসস ১ টেবিল চামচ টমেটো সস ১ টেবিল চামচ চিনি স্বাদমতো সামান্য একটু লেবুর রস চিকেন স্টক অল্প।
প্রণালি : এসব উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। বেশি ঘন মনে হলে চিকেন স্টক মিশিয়ে পাতলা করুন। চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলেই তৈরি আপনার সস। গরম গরম চিকেন ললিপপের ওপর এই সস ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
|
|
|
|
অনেকে মিষ্টি খেতে খুব পছন্দ করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের তালিকায় ক্রিম জাম থাকে। আপনি কিংবা আপনার পরিবারের কেউ ক্রিম জাম খেতে পছন্দ করলে সহজে তা ঘরেই বানিয়ে নিতে পারবেন। দেখুন কীভাবে ক্রিম জাম বানাবেন।
উপকরণ গুঁড়া-দুধ ১ কাপ, ময়দা ১/৩ কাপ, ঘি ২ চা-চামচ, লাল রং অল্প, বেকিং পাউডার আধা চা-চামচ, তেল ভাজার জন্য, হুইপড ক্রিম এক কাপ/পরিমাণমতো, মাওয়া ২ টেবিল-চামচ (মিষ্টির ওপরে দেওয়ার জন্য)। সিরার জন্য চিনি ২ কাপ, পানি ৪ কাপ, এলাচ ৩-৪টি। ক্রিমের জন্য তরল দুধ ১ কাপ, হুইপড ক্রিম ১/৩ কাপ, কনডেন্সড মিল্ক ১/৪ কাপ।
পদ্ধতি প্রথমে পানি, চিনি ও এলাচ দিয়ে সিরা করে নিন। এবার একটা বাটিতে গুঁড়া-দুধ, ময়দা, ঘি আর বেকিং পাউডার দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে, পরিমাণমতো হুইপড ক্রিম ও রং দিয়ে ডো তৈরি করুন। ডো থেকে খানিকটা করে নিয়ে লম্বা আকারে মিষ্টি বানিয়ে নিন। তারপর প্যানে তেল দিয়ে মিষ্টিগুলো ধীরে ধীরে ভাজতে হবে।
সব ভাজা হয়ে গেলে সিরায় দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢাকনা দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর মিষ্টিগুলো সিরা থেকে তুলে ঠাণ্ডা করুন। এই ফাঁকে ক্রিমটা তৈরি করে ফেলতে হবে। প্যানে তরল দুধ, হুইপড ক্রিম ও কনডেন্সড মিল্ক মিশিয়ে চার থেকে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিয়ে ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে নিন। এবার মিষ্টিগুলোর মাঝখানে কেটে ক্রিম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ মজার ক্রিম জাম।
|
|
|
|
রেস্টুরেন্টে গিয়ে মচমচে চিকেন উইংস ফ্রাই খেতে ভালোবসেন নিশ্চয়ই। মজার এই খাবারটি তৈরি করা যায় ঘরে বসেও। রেস্টুরেন্টের মতো স্বাদ আনতে চাইলে জেনে নিতে হবে এই রেসিপি-
চামড়াসহ চিকেন উইংস ১২ টুকরা ময়দা ১ কাপ গোল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ গার্লিক পাউডার ১/২ চা চামচ লবণ পরিমাণমতো পাপরিকা ১/২ চা চামচ ডিম ১টি দুধ সামান্য।
প্রণালি: প্রথমে ময়দা, গোল মরিচের গুঁড়া, পাপরিকা, গার্লিক পাউডার সব এক সঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে ডিম ও দুধের মিশ্রণ তৈরি করে রাখুন।
উইংসগুলোকে ডিমের মিশ্রণে ডুবিয়ে এরপর শুকনো ময়দার মিশ্রণে মেখে নিন। এরপর আরও একবার ডিমের মিশ্রণে দিয়ে আবারও ভালো করে শুকনো ময়দার মিশ্রণ লাগিয়ে নিন।
তেল ভালো করে গরম হলে উইংসগুলো দিয়ে ডুবু তেলে মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট ভাজুন। সোনালি রং হলে নামিয়ে নিন। সস ও সালাদ দিয়ে পরিবেশন করুন মচমচে দারুণ মজার উইংস ফ্রাই।
|
|
|
|
শুধু চা তৈরিতে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার হয় তা নয়। এছাড়া মিষ্টি কিছু খাবার তৈরিতেও এটা ব্যবহার করা হয়। এসব কাজে ব্যবহারের জন্য বাজার থেকে কেনার চেয়ে কনডেন্সড মিল্ক ঘরেই বানিয়ে নিতে পারবেন আপনি।
উপকরণ দুধ ২ কাপ (ফুল ফ্যাট), চিনি ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি চুলায় একটি গভীর প্যান বসিয়ে দুধ ঢেলে দিন। মিডিয়াম আঁচে বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন। বলক এলে চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। চিনি গলে গেলে চুলার আঁচ কমিয়ে চামচ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন দুধ।
প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট জ্বাল দিন। দুধের রং বদলে যেতে শুরু করবে ১৫ মিনিট পর থেকেই। দুধ কমে অর্ধেক হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলুন। গরম অবস্থায় খুব বেশি ঘন হবে না কনডেন্সড মিল্ক। ঠাণ্ডা হলে তারপর পুরোপুরি ঘনত্বটা পাওয়া যাবে। ঠাণ্ডা করে সংরক্ষণ করুন এটি। মুখবন্ধ বয়ামে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করতে পারবেন এই কনডেন্সড মিল্ক।
|
|
|
|
|
|
|
|