পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক অভিযান, নিহত ১৬ সন্ত্রাসী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে সন্ত্রাস-বিরোধী বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে চালানো পৃথক এই অভিযানে কমপক্ষে ১৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্য। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাতমাধ্যমটি বলছে, সোমবার পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কে-পি) প্রদেশে পুলিশ, কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর অন্তত ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, মিয়াঁওয়ালি জেলার মাকরওয়াল এলাকায় পুলিশ-সিটিডির যৌথ অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে আরও ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
মিয়াঁওয়ালি জেলার পুলিশ সুপার (ডিপিও) আখতার ফারুক ও সারগোদা রেঞ্জের আরপিও শাহজাদ আসিফ খানের নেতৃত্বে এই অভিযানে ২০-৩০ জন জঙ্গির উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে দুদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়।
এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য হতাহত হয়নি। তবে এক স্থানীয় ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজমাক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অভিযানে নিহত হয়েছেন জঙ্গি নেতা জাবি উল্লাহ ওরফে জাকরান। তিনি বহু সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর “মোস্ট ওয়ান্টেড” তালিকায় ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে সন্দেহে সেখানে আরও অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে সন্ত্রাস-বিরোধী বড় ধরনের অভিযান চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে চালানো পৃথক এই অভিযানে কমপক্ষে ১৬ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
নিহতরা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্য। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাতমাধ্যমটি বলছে, সোমবার পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়া (কে-পি) প্রদেশে পুলিশ, কাউন্টার-টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পৃথক অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর অন্তত ১৬ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশ জানিয়েছে, মিয়াঁওয়ালি জেলার মাকরওয়াল এলাকায় পুলিশ-সিটিডির যৌথ অভিযানে কমপক্ষে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরে পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখাওয়ার ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে আরও ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
মিয়াঁওয়ালি জেলার পুলিশ সুপার (ডিপিও) আখতার ফারুক ও সারগোদা রেঞ্জের আরপিও শাহজাদ আসিফ খানের নেতৃত্বে এই অভিযানে ২০-৩০ জন জঙ্গির উপস্থিতির খবরের ভিত্তিতে দুদিন ধরে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় পুলিশ এবং জঙ্গিদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলি বিনিময় হয়।
এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও সদস্য হতাহত হয়নি। তবে এক স্থানীয় ব্যক্তি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানের রাজমাক এলাকায় গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে চালানো অভিযানে পাঁচ জঙ্গিকে হত্যা করা হয়।
অন্যদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে অভিযানে নিহত হয়েছেন জঙ্গি নেতা জাবি উল্লাহ ওরফে জাকরান। তিনি বহু সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর “মোস্ট ওয়ান্টেড” তালিকায় ছিলেন।
আইএসপিআর জানিয়েছে, এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে সন্দেহে সেখানে আরও অভিযান চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) ২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। সংগঠনটি পাকিস্তানে নিষিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত।
|
|
|
|
ডয়চে ভেলে
বিশ্বজুড়ে সাইবার স্ক্যাম বা কেলেঙ্কারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে।
সোমবার জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিকগ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।
জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।
প্যাসিফিক আইল্যান্ডের পরিস্থিতি
জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলো। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।
হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হবাজার ৭০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র আমেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার।
আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাগ্রহণ প্রয়োজন
এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বেজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।
কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।
|
|
|
|
এবার ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি মার্কিন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য দুই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সে কারণেই এই মামলা করা হয়েছে। খবর রয়টার্স, আল জাজিরা।
হার্ভার্ডের সভাপতি অ্যালান গার্বার সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় হার্ভার্ড। এরপরেই ফেডারেল সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ আগে আমরা তহবিল স্থগিতকরণ বন্ধ করার জন্য একটি মামলা দায়ের করেছি কারণ এটি বেআইনি এবং সরকারের কর্তৃত্বের বাইরে।
হার্ভার্ডের মামলায় উল্লেখিত মার্কিন প্রশাসনের সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিচার বিভাগ, জ্বালানি বিভাগ এবং সাধারণ পরিষেবা প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, তারা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি হোয়াইট হাউজের কিছু দাবি প্রত্যাখ্যান করায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে পরিচালনা পদ্ধতির পরিবর্তন, লোকবল নিয়োগ পদ্ধতি ও ভর্তি প্রক্রিয়ার মতো বিষয়গুলো ছিল।
সেটা প্রত্যাখ্যান করে হার্ভার্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউজ তাদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ করার চেষ্টা করছে। এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নীতি পরিবর্তনের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের চাপকে প্রত্যাখ্যান করেছে। হোয়াইট হাউজ যেসব পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছিল তাতে এর কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতো এবং ব্যাপক আকারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ হতো। গাজা যুদ্ধ ও ইসরায়েলকে সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সে সময় হার্ভার্ড কমিউনিটিতে দেওয়া একটি চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বলেন, হোয়াইট হাউজ একটি দাবির তালিকা পাঠিয়েছে এবং একই সাথে সরকারের আর্থিক সম্পর্কের সাথে মানিয়ে চলার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের আইনি পরামর্শকের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনকে অবহিত করেছি যে আমরা তাদের প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করছি না। বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা এবং সাংবিধানিক অধিকার পরিত্যাগ করবে না।
গার্বার আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দায়িত্বকে হালকাভাবে নিবে না কিন্তু সরকার এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। যদিও সরকারের কিছু প্রস্তাবের লক্ষ্য হলো ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করা কিন্তু এর বেশিরভাগই হার্ভার্ডের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিস্থিতির ওপর সরাসরি সরকারি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিই তুলে ধরে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবারের চিঠি পাঠানোর কিছুক্ষণ পরেই, মার্কিন শিক্ষা বিভাগ ঘোষণা করে যে তারা হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দকৃত ২২০ কোটি ডলারের অনুদান এবং চুক্তিভিত্তিক অর্থায়ন তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করছে।
শিক্ষা বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার যে ব্যাঘাত ঘটছে তা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়। ইহুদি শিক্ষার্থীদের হয়রানি গ্রহণযোগ্য নয়। অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এই সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তনের অঙ্গীকার করার এটাই সময় যদি তারা করদাতাদের অব্যাহত সমর্থন পেতে চায়।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মের সর্বোচ্চ নেতা পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। সোমবার (২১ এপ্রিল) ইস্টারে ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান।
এদিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান। এছাড়া মৃত্যুর আগে পোপ কোমায় চলে গিয়েছিলেন বলেও তার মৃত্যুসনদে উল্লেখ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।
বিবিসি বলছে, রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম ল্যাটিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছেন। ভ্যাটিকান এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্ট্রোক এবং পরবর্তীকালে অপরিবর্তনীয় হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতায় তিনি মারা গেছেন।
পৃথক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, পোপ ফ্রান্সিস মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (সেরিব্রাল স্ট্রোক) এবং হৃদযন্ত্রের চূড়ান্ত ব্যর্থতার কারণে মারা গেছেন বলে ভ্যাটিকান জানিয়েছে। ভ্যাটিকানের চিকিৎসক আন্দ্রেয়া আর্কাঞ্জেলি তার মৃত্যুসনদে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সোমবার প্রকাশিত মৃত্যুসনদে বলা হয়, মৃত্যুর আগে পোপ কোমায় চলে গিয়েছিলেন এবং এরপর তার মৃত্যু হয়। তিনি স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে তার সান্তা মার্তা বাসভবনে মারা যান।
মৃত্যুর আগের দিনই পোপ ফ্রান্সিস তার শেষ বড় কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে খোলা পোপমোবাইল গাড়িতে তিনি হাজির হয়ে হাজারো ইস্টার উপাসকের সামনে একটি বার্তা প্রদান করেন, যদিও সেটি একজন সহকারীর মাধ্যমে পাঠ করা হয়।
১২ বছরের দায়িত্বে থাকাকালীন পোপ ফ্রান্সিস বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগেছেন। সম্প্রতি তিনি ডাবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে রোমের জেমেলি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ৩৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত্যুসনদে আরও উল্লেখ করা হয়, ফ্রান্সিস উচ্চ রক্তচাপ, বহুস্থানে ব্রঙ্কিয়েকটাসিস (ফুসফুসের একধরনের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা) এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন—যা আগেই জনসমক্ষে জানানো হয়নি।
পোপের মৃত্যুর পর ভ্যাটিকান তার আধ্যাত্মিক উইল বা বিশ্বাসপত্রও প্রকাশ করেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, তিনি চান রোমের সেন্ট মেরি মেজর গির্জায় তাকে কবর দেওয়া হোক, সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় নয়—যেখানে অনেক পোপকে সমাহিত করা হয়েছে।
বিশ্বাসপত্রে লেখা ছিল, তিনি চান “মাটির নিচে, বিনা অলঙ্কারে” সমাধি হোক, শুধু ল্যাটিন ভাষায় ‘ফ্রান্সিসকাস’ (ফ্রান্সিস) নামের শিলালিপিসহ।
এই উইলটি তিনি লিখেছিলেন ২০২২ সালের ২৯ জুন। পোপ ফ্রান্সিস উইলে বলেন, “আমি যখন আমার পৃথিবীর জীবনের শেষ সময় ঘনিয়ে আসা অনুভব করছি, তখন আমি শুধুমাত্র আমার সমাধির স্থান সংক্রান্ত ইচ্ছাগুলো ব্যক্ত করছি। যারা আমাকে ভালোবেসেছেন এবং আজও আমার জন্য প্রার্থনা করছেন, তাদের জন্য প্রভু যেন উপযুক্ত প্রতিদান দেন।”
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে উড্ডয়নের আগে একটি বিমানে আগুন ধরে গেছে। বিমানটিতে প্রায় ৩০০ আরোহী ছিলেন। আগুনের ঘটনার পর তারা দ্রুত বিমানটি থেকে বের হয়ে আসেন এবং এতে তারা অল্পের জন্য রক্ষা পান।
দেশটির অরল্যান্ডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টারম্যাকে থাকা অবস্থায় ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের ইঞ্জিনে হঠাৎ আগুন লাগার পর যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের ডান পাশের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হচ্ছে এবং যাত্রীরা ইনফ্লেটেবল জরুরি স্লাইড দিয়ে নামছেন।
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ১২১৩ অরল্যান্ডো থেকে আটলান্টার উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল। বিমানে তখন প্রায় ৩০০ জন মানুষ ছিলেন—এর মধ্যে ২৮২ জন যাত্রী, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ২ জন পাইলট।
এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, “যাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।”
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানের পাশে অ্যাম্বুলেন্স ও দমকল বাহিনীর গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে এবং যাত্রীরা টারম্যাকে অপেক্ষা করছেন।
ডেল্টা এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “ইঞ্জিনে আগুন দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেবিন থেকে যাত্রীদের বের করে আনা হয়।”
এয়ারলাইন্সটি আরও বলেছে, “আমরা যাত্রীদের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ এবং তাদের এমন অভিজ্ঞতার জন্য দুঃখিত। নিরাপত্তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নয়। আমরা যত দ্রুত সম্ভব যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।”
এদিকে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চলতি মাসের শুরুর দিকে বিভিন্ন দেশের মতো ভারতীয় পণ্যের ওপরও উচ্চহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন আবহের মধ্যেই চার দিনের সফরে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। ইতোমধ্যে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তি ও চীন ইস্যুসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লোককল্যাণ মার্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে লাল গালিচা সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে ভারতে পা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। এ সময় দিল্লির পালাম টেকনিক্যাল এরিয়ায় তাকে অভ্যর্থনা জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী।
ভ্যান্সের এই সফর এমন একসময়, যখন যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ নতুন উচ্চতায়। পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। যদিও তা আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত। এই বিরতির মধ্যেই দ্রুত বাণিজ্য চুক্তির চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হলো সফরের প্রথম দিনেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেডি ভ্যান্স। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করা এবং দুই দেশের মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য। এ ছাড়াও নিরাপত্তা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং চীনের প্রভাব মোকাবিলায় কৌশলগত অংশীদারত্ব নিয়েও আলোচনা হয় দুই নেতার।
এর আগে, ইতালির রাজধানী রোম থেকে সোমবার (২১ এপ্রিল) পরিবারসহ ভারতে পৌঁছান জেডি ভ্যান্স। দেশটিতে চার দিন অবস্থান করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সফরে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আগ্রার তাজমহল পরিদর্শন করবেন এবং জয়পুর শহরে একটি ভাষণ দেবেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ফেব্রুয়ারিতে তার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করেন মোদি। এখন জেডি ভ্যান্সের এই সফর হচ্ছে ভারতে ট্রাম্পের বর্তমান প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার সফর। আর এই সফর কতটা ফলপ্রসূ হয়, তা নির্ভর করছে আসন্ন দিনগুলোতে আলোচনার ফলাফলের ওপর।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় স্থানীয় সময় সোমবার (২১ এপ্রিল) বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে গাজা সিটির একটি ক্যাম্পে চালানো হামলায় চারজন নিহত হয়েছে। চিকিৎসাকর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর আল জাজিরার।
এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন কাতারের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মোহাম্মদ আল-খুলাইফি। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।
আল-খুলাইফি বলেন, গত এক মাস ধরে ইসরায়েল পুনরায় গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর আলোচনা থেমে গেছে, কোনো সমঝোতা হয়নি। আলোচনার গতি নিয়ে আমরা স্পষ্টভাবে হতাশ। এটি অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয় কারণ প্রতিদিন মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিন ধরে আমরা অবিরাম চেষ্টা করছি দুই পক্ষকে আবার আলোচনায় বসাতে ও সেই চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে, যা পূর্বে দুই পক্ষই সমর্থন করেছিল। কিন্তু আমরা সফল হয়নি। এরপরও সব ধরনের বাধা পেরিয়ে আমরা এই প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো।
গাজা সংকট নিরসনে মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের পাশপাশি কাতারের মধ্যস্থতামূলক ভূমিকা চলমান থাকলেও, দেশটি ইসরায়েল এবং প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি সমালোচনার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এক ফৌজদারি তদন্তে দুইজন নেতানিয়াহুর উপদেষ্টার বিরুদ্ধে কাতার থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। বলা হচ্, অভিযুক্তরা কাতারের স্বার্থে কাজ করেছেন। তবে দোহা এই অভিযোগকে ‘মানহানিকর প্রচারণা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গাজায় প্রায় ১৮ মাস ধরে সংঘাত চলছে। সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫১ হাজার ২৪০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৯৩১ জন আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে যারা চাপা পড়েছে তাদেরও নিহতের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
|
|
|
|
সাদা পোশাক, বিশাল দায়িত্ব ও ১৪০ কোটি ক্যাথলিক অনুসারীর নেতা হওয়ার বহু আগে হোর্হে মারিও বেরগোলিও ছিলেন কেবলই একজন কিশোর। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সের একটি ছোট্ট পাড়ায় বড় হওয়া এক ছেলে। বয়স তখন মাত্র ১২, তখনই প্রথম প্রেমে পড়েন।
মেয়েটির নাম ছিল আমালিয়া দামন্তে। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে—মাত্র চার বাড়ি দূরে থাকতেন। ২০২৩ সালে আমালিয়ার বয়স যখন ৭৬ বছর, তখন তিনিই প্রথমবার প্রকাশ করেন সেই লুকায়িত প্রেম কাহিনি। আমালিয়াকে তরুণ হোর্হে লিখেছিলেন, ‘তোমাকে বিয়ে না করতে পারলে আমি পাদ্রি হয়ে যাবো।’ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আমালিয়া বলেন, ‘ভাগ্য ভালো, আমি সেদিন না করে দিয়েছিলাম।’
কিন্তু হৃদয়ভাঙা মুহূর্ত আর হোর্হের একরোখা সিদ্ধান্ত পরে ইতিহাসের গতিপথ বদলে দিয়েছিল।
তাদের সেই প্রেমে শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। আমালিয়ার বাবা-মা ওই বন্ধুত্বের তীব্র বিরোধী ছিলেন। এমনকি হোর্হেকে চিঠি দেওয়ায় মেয়েকে মারধর করেছিলেন তার বাবা। আর্জেন্টিনার এক সংবাদমাধ্যমে আমালিয়া বলেছিলেন, ‘আমার বাবা আমাকে মেরেছিলেন, শুধু একটা ছেলেকে চিঠি লেখার জন্য।’
হোর্হের কাছে এটি ছিল শুধু হৃদয়ভাঙার গল্প নয়, ঘটনাটি হয়ে ওঠে এক মোড় ঘোরানো অধ্যায়। শুরু হয় ধর্মের পথে যাত্রা, যা একসময় তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়।
অনেকে বলেন, সেই শৈশবের হৃদয়ভাঙাই হয়তো গড়ে দিয়েছিল তার ভবিষ্যতের মানবিকতা ও সহানুভূতির ভিত্তি। পরে পোপ ফ্রান্সিস হিসেবে পরিচিত হন বিশ্বজুড়ে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, দ্য উইক, সিবিএস নিউজ
|
|
|
|
ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এক বিবৃতিতে ভ্যাটিকান জানিয়েছে, ২১ এপ্রিল ইস্টার সোমবার ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্টায় নিজ বাসভবনে মারা যান তিনি।
দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশ থেকে আসা প্রথম পোপ ছিলেন তিনি। ক্যাথলিক চার্চের পোপ হওয়ার পর অনেক কিছুই প্রথমবার করলেও ফ্রান্সিস কখনো চার্চের সংস্কার কার্যক্রম বন্ধ করেননি। এরপরও পুরোনোকে আঁকড়ে ধরা ঐহিত্যবাদীদের মধ্যেও তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ছিলেন। খবর বিবিসির।
সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া তৃতীয় গ্রেগরি ৭৪১ খ্রিস্টাব্দে মারা যাওয়ার পর থেকে রোমে ইউরোপের বাইরে আর কোনো বিশপ ছিলনা। সেন্ট পিটারের সিংহাসনে নির্বাচিত প্রথম জেসুইটও ছিলেন তিনি। ঐতিহাসিকভাবেই জেসুইটদের রোম সন্দেহের চোখে দেখতো। জেসুইট বলতে এখানে যিশু খ্রিস্টের সোসাইটির সদস্যকে বুঝায় যারা অন্যদের সাহায্য করার জন্য, ন্যায়বিচার ও সবকিছুতে বিধাতাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নিবেদিত।
ফ্রান্সিসের পূর্বসূরি ষোড়শ বেনেডিক্ট ছিলেন ১৬০০ বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণকারী প্রথম পোপ। ফলে প্রায় এক দশক সময়ের মধ্যে ভ্যাটিকান সিটিন দুইজন পোপের দেখা পেয়েছে।
২০১৩ সালে আর্জেন্টিনার কার্ডিনাল বারগোগ্লিও পদ থেকে তিনি যখন পোপ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তখন তার বয়স ছিল ৭০ বছর। অনেক ক্যাথলিকই সে সময় ধারণা করেছিলেন যে নতুন প্রধান যাজক বা পোপ বয়সে তরুণ হবেন।
যিনি একইসাথে যৌন বিষয়ে কট্টর দৃষ্টিভঙ্গিসহ রক্ষণশীলদের এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়ে উদার অবস্থানের কারণে সংস্কারপন্থিদের আকৃষ্ট করতে চেয়েছিলেন।
এটা আশা করা হয়েছিল যে, তার অরক্ষণশীল চিন্তা-ভাবনা ভ্যাটিকানকে এবং এর মিশনকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
কিন্তু ভ্যাটিকান আমলাতন্ত্রের কারণে ফ্রান্সিসের কিছু সংস্কার প্রচেষ্টা প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২২ সালে মারা যাওয়া তার পূর্বসূরি তখনও রক্ষণশীলদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন।
ফ্রান্সিস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি সবকিছু ভিন্নভাবে করবেন। পোপের সিংহাসনে বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে তিনি অনানুষ্ঠানিকভাবে কার্ডিনাল গ্রহণ করেছিলেন।
|
|
|
|
ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) শিগগিরই নতুন যুদ্ধজাহাজ উন্মোচন করতে যাচ্ছে। জাহাজটি মার্কিন মডেলের চেয়েও উন্নত বলে দাবি করেছেন আইআরজিসি নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আলিরেজা তাংসিরি।
একটি টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘শহীদ বাঘেরি’ নামের এই নতুন জাহাজটি ড্রোন ক্যারিয়ার, ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ও নৌঘাঁটি হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি একসঙ্গে ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ছোট জাহাজ বহন করতে সক্ষম।
তাংসিরি বলেন, আমরা এমন একটি জাহাজ তৈরি করেছি যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমমানের জাহাজগুলোর চেয়েও উন্নত। প্রয়োজন হলে আমরা সেটি জনসমক্ষে উন্মোচন করব।
পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য সংঘর্ষ নিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে আমেরিকা আমাদের তেল ট্যাংকারে হামলা করতে পারবে না। যদি করে, আমরা কঠোর জবাব দেব।
মার্কিন মডেলের চেয়েও শক্তিশালী জাহাজ নামাচ্ছে ইরান হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালাল চীন তিনি আরও জানান, আইআরজিসি নৌবাহিনী এরইমধ্যে মিসাইল, ড্রোন ও সাবমেরিন উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
|
|
|
|
সৌদি আরবে পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির জাকাত, ট্যাক্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ (জেডএটিসিএ)। এখন থেকে পর্যটকরা সৌদি আরবে অবস্থানকালে পণ্য ও সেবার উপর পরিশোধিত ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দেশে ফেরার সময় ফেরত পাবেন। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, যা শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অনুমোদিত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পর্যটকদের প্রদত্ত উপযুক্ত পণ্য ও সেবার উপর ভ্যাট শূন্য শতাংশ হারে আরোপ করবে ও সৌদি আরব ত্যাগের সময় পর্যটকদের পরিশোধিত ভ্যাট ফেরত দেওয়া হবে। এর মাধ্যমে সৌদির পর্যটন খাতকে আরও উৎসাহিত করা ও পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ব্যয় হ্রাস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জেডএটিসিএ জানায়, এই কর ফেরতের প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এক বা একাধিক অনুমোদিত সেবাদাতাকে অনুমতি দেওয়া হবে। তারা পর্যটকদের হয়ে কর ফেরতের কাজ সম্পন্ন করবে। তবে কোনো অনিয়ম বা নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে পর্যটক ও অনুমোদিত সেবাদাতা উভয়কেই ফেরত নেওয়া অর্থের জন্য যৌথভাবে দায়ী করা হবে।
জিসিসিভুক্ত দেশের পর্যটকরাও এই কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন, তবে এটি চলমান থাকবে ইলেকট্রনিক সার্ভিস আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত। জেডএটিসিএর গভর্নর পর্যটকদের কর ফেরতের নিয়মাবলি নির্ধারণ করবেন।
নিয়মাবলির আওতায় থাকবে: পর্যটকদের কর ফেরতের ধাপসমূহ, পর্যটক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার শর্তাবলি, কোন পণ্য ভ্যাট ফেরতের জন্য উপযুক্ত, সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য, কোন বিক্রেতা এই সুবিধা দিতে পারবে ও কর ফেরতের আবেদন করার নিয়ম।
অন্যদিকে, সংশোধিত ভ্যাট বিধিমালায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যবসা কার্যক্রম অন্য ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়, তবে নতুন মালিককে ৩০ দিনের মধ্যে জেডএটিসিএকে তা জানাতে হবে। তবে যদি পূর্ববর্তী মালিকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে থাকে, তাহলে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
রেজিস্ট্রেশন বাতিল হলেও, ওই ব্যক্তি পুরোনো কর সংক্রান্ত দায়-দেনা থেকে মুক্ত হবেন না ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও অবরোধে দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মানবিক সংকট। এখন ক্ষুধাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে ‘বড় অস্ত্র’। ইসরায়েলের বোমাবর্ষণের চেয়েও বেশি আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে অনাহার। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনিদের এমনই দুঃসহ জীবনের করুণ চিত্র উঠে এসেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘোষণার পর ২ মার্চ থেকে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তা নিষিদ্ধ। এর ফলে খাদ্য, ওষুধ, পানি ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় লাখো মানুষ মৃত্যুর মুখে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১৪০০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে বেঁচে থাকার ন্যূনতম জিনিসও এখন অনেকের নাগালের বাইরে।
অক্সফামের জরিপ বলছে, গাজায় শিশুদের একটি বড় অংশ দিনে একবেলারও কম খাবার পাচ্ছে। অনেক বাবা-মা নিজের খাবার ত্যাগ করে সন্তানদের খাওয়াচ্ছেন, নিজেরা অভুক্ত থাকছেন।
যু্দ্ধবিরতির সময় যে খাদ্য সহায়তা এসেছিল তা প্রায় শেষ। উদভ্রান্তের মতো ত্রাণ দেওয়া তাঁবুগুলোতে খালি হাঁড়ি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন গাজার মানুষ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্যমতে, যুদ্ধের সময় বাজারগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে এক হাজার ৪০০ শতাংশ।
৪৪ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিকমাত আল মাসরি বলেন, আমি প্রায়ই আমার নিজের খাবার থেকে ছেলেকে ভাগ দিই। এই ক্ষুধাতেই আমি মারা যাবো- ধীরে ধীরে এই অনাহার আমাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না, মৃত্যু আমাদের চারপাশ দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
এদিকে, গাজার হাসপাতালগুলোও চরম সংকটে। চিকিৎসাসামগ্রী ও জ্বালানি ঘাটতির কারণে অনেক সময় রোগী ভর্তি বন্ধ করে দিতে হচ্ছে। দেইর আল বালাহর চিকিৎসাকর্মী আমান্দে বাজেরোল জানান, বার্ন ক্লিনিকগুলোতে দিনপ্রতি ১০ জনের বেশি রোগী নেওয়া হচ্ছে না, কারণ ঔষধ শেষ হয়ে আসছে।
গত ১৮ মার্চ একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গাজার ওপর পুনরায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের কাছে থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে বারবার জানিয়ে আসছে ইসরায়েলের অনেক রাজনীতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলের দাবি, নিরাপত্তার স্বার্থে গাজায় এই অবরোধ দিয়েছেন তারা, ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছেনা। এই দাবির বিপরীতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, মানবিক সহায়তা ইচ্ছাকৃতভাবে আটকে রাখা হচ্ছে, যা যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশ ভূখণ্ড বর্তমানে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। নিরাপত্তা বাফার জোন তৈরির নামে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ভূমি দখলের আশঙ্কা দিনে দিনে প্রবল হচ্ছে।
যদিও মধ্যস্ততাকারী দেশগুলো যুদ্ধবিরতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে হামাস নিরস্ত্রীকরণ ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে কোনো পক্ষই আপস করতে রাজি নয়। ফলে মানবিক বিপর্যয় আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আপত্তি সত্ত্বেও, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সীমিত হামলা চালাতে পারে দখলদার ইসরায়েল—এমন তথ্য জানিয়েছেন এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা।
রোববার (২০) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা প্রায় মার্কিন সহায়তা ছাড়াই একটি সীমিত আক্রমণের বিষয়ে পরিকল্পনা করছে। পূর্বে এ হামলার পরিকল্পনা ছিল বৃহৎ ও দীর্ঘমেয়াদী।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে যে হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল, তাতে বিমান হামলার পাশাপাশি কমান্ডো অভিযানও অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইসরায়েল মনে করছে, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা কয়েক মাস বা এক বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব।
এর আগে, ইসরায়েল অন্তত দুটি হামলার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রকে দিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে আলোচনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এবং হামলার আগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাতে আগ্রহী।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি এখনই ইরানে হামলার পক্ষে নন। প্রথমে তিনি তেহরানের সঙ্গে আলোচনা করতে চান।
তবে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করছেন সীমিত পরিসরে একটি হামলা তারা চালাতে পারে, যা বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হবে না। প্রাথমিকভাবে যে বড় ধরনের সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা ছিল, তার তুলনায় এটি হবে অনেক ছোট পরিসরের।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হত্যাযজ্ঞ চলছেই। সবশেষ ইসরায়েলি হামলায় একদিনে কমপক্ষে আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫১ হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী অবরুদ্ধ গাজায় রোববার দিনভর হামলা চালিয়ে আরও ৩৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এ সময় লেবাননেও হামলা চালিয়েছে দখলদার বাহিনী। এতে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ ছাড়া ইয়েমেনের রাজধানী সানার একটি জনপ্রিয় বাজারে মার্কিন বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ হাজার ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহত হওয়া আরও ১৪৫ জনকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর ফলে সংঘাতের শুরু থেকে আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৯ জনে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৪ হাজার ৮২৮ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলের বর্বর এই হামলা চলতি বছরের জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল। কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে গেল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
|
|
|
|
নতুন একটি রঙ আবিষ্কারের দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাদল। রঙটির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘ওলো’। গবেষকদের দাবি, এটি এমন একটি রঙ, যা আগে কোনো মানুষ কখনো দেখেনি। তাছাড়া উজ্জ্বল নীল-সবুজ ধরনের রঙ, যা সাধারণ চোখে দেখা সম্ভবও নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের গবেষকদের সমন্বয়ে এই গবেষণা চালানো হয়। গবেষণাটি সম্প্রতি ‘সায়েন্স অ্যাডভ্যান্সেস’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণায় অংশ নেওয়া পাঁচজনের চোখে লেজার রশ্মি নিক্ষেপ করে বিশেষ কোষ উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে এই রঙটি দেখা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গবেষণার সহ-লেখক ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেন এনজি বিবিসিকে বলেন, ওলো এমন একটি রঙ, যা বাস্তব পৃথিবীর যেকোনো রঙের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও স্যাচুরেটেড। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন, আপনি সারাজীবন শুধু হালকা গোলাপি রঙ দেখে এসেছেন। হঠাৎ একদিন কেউ একটি শার্ট পরে এলো, যার রঙ এত তীব্র যে আপনি অবাক হয়ে গেলেন। সেটিই হলো ওলো- একটি সম্পূর্ণ নতুন রঙ।
অধ্যাপক এনজির দাবি, ‘ওলো’ সাধারণ মানুষের জন্য সহজে দেখা সম্ভব না হলেও, এটি বর্ণান্ধ ব্যক্তিদের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
কীভাবে দেখা গেল এই রঙ?
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের চোখের রেটিনায় কোণ আকৃতির কোষ রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে রং উপলব্ধি করা যায়। এই কোষ আবার তিন ধরনের-এস, এল ও এম। কোষগুলো লাল, নীল ও সবুজ রঙের আলাদা আলাদা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের প্রতি সংবেদনশীল।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণত চোখ দিয়ে কিছু দেখার সময় আলোর কোনো তরঙ্গদৈর্ঘ্যের কারণে ‘এম’ কোষ আলোড়িত হলে, ‘এল’ ও ‘এস’ কোষও আলোড়িত হয়। তবে লেজার রশ্মি ফেলার পর শুধু ‘এম’ কোষগুলো আলোড়িত হয়েছে। ফলে চোখ থেকে যে রঙের সংকেত মস্তিষ্কে যায়, তা সাধারণ দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে না। এর কারণেই খোলা চোখে ওলো রং দেখা যায় না।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সিটি সেন্ট জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিশন সায়েন্টিস্ট প্রফেসর জন বারবার বলেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রযুক্তিগত একটি অর্জন, তবে এটি সত্যিকারের নতুন রঙ কি না, তা বিতর্কের বিষয়। তার মতে, কন কোষের সংবেদনশীলতায় পরিবর্তন এনে কোনো রঙের তীব্রতা বা উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করা নতুন কিছু নয়।
সূত্র: বিবিসি
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্তের একটি বাফার জোন অতিক্রম করে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন বেশ কয়েকজন ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিক। তবে ঘটনা জানার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
আইডিএফ জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকজন ইসরায়েলি নাগরিক গাজা উপত্যকায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তারা গাজার সীমানা অতিক্রম না করলেও সীমান্তবর্তী বাফার জোনে প্রবেশ করেন। ঘটনা জানার পর সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আটক ব্যক্তিদের পরিচয় বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। আইডেএফ বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ড নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি চালানো হবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি নাগরিকদের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক ইসরায়েলিই গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তাদের মধ্যে হামাসের হাতে জিম্মি অনেকের আত্মীয়-স্বজন রয়েছেন। সেই সঙ্গে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরাও বিভিন্ন সময়ে সীমান্ত পেরিয়ে গাজায় ঢোকার চেষ্টা করেছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
|
|
|
|
|
|
পাকিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক অভিযান, নিহত ১৬ সন্ত্রাসী |
............................................................................................. |
বিশ্বজুড়ে সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ |
............................................................................................. |
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
............................................................................................. |
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদরোগে মারা গেছেন পোপ, চলে গিয়েছিলেন কোমায় |
............................................................................................. |
উড্ডয়নের আগে যাত্রীবাহী বিমানে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা ২৯৪ আরোহীর |
............................................................................................. |
মোদির সঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক, যেসব বিষয়ে আলোচনা হলো |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৯ |
............................................................................................. |
প্রেমে ব্যর্থ হয়ে পোপ হয়েছিলেন ফ্রান্সিস |
............................................................................................. |
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন |
............................................................................................. |
মার্কিন মডেলের চেয়েও শক্তিশালী জাহাজ নামাচ্ছে ইরান |
............................................................................................. |
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি আরব |
............................................................................................. |
বোমার ভয়ের চেয়েও ক্ষুধায় কাতর ফিলিস্তিনিরা |
............................................................................................. |
ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেল ৩৩ ফিলিস্তিনির, লেবাননে ২ |
............................................................................................. |
‘ওলো’ নামে নতুন রঙ আবিষ্কারের দাবি বিজ্ঞানীদের |
............................................................................................. |
ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকদের গাজায় প্রবেশের চেষ্টা! |
............................................................................................. |
বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত ভারতের |
............................................................................................. |
বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে ৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২ জন |
............................................................................................. |
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্প বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিলো হাজার হাজার মানুষ |
............................................................................................. |
গাজায় নিহত ৫২, হামলা আরও জোরদারের নির্দেশ নেতানিয়াহুর |
............................................................................................. |
ইউক্রেনে সোমবার পর্যন্ত ‘ইস্টার যুদ্ধবিরতি’ ঘোষণা পুতিনের |
............................................................................................. |
যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, গ্রেফতারের শঙ্কা |
............................................................................................. |
কঙ্গোয় নৌকায় আগুন, ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার |
............................................................................................. |
ইসরায়েলের হামলায় ৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত |
............................................................................................. |
দিল্লিতে ভবন ধসে ৪ জনের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে আটকা কয়েকজন |
............................................................................................. |
ইইউ অঞ্চলে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষতিকর পণ্য |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত |
............................................................................................. |
ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন: হিলারি |
............................................................................................. |
পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’ : ভারত |
............................................................................................. |
জিম্মিদের মুক্তি দিতে ‘প্রস্তুত’ হামাস! |
............................................................................................. |
ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে হতাহত ৮ |
............................................................................................. |
টাইমের প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস-ট্রাম্প, নেই কোনো ভারতীয় |
............................................................................................. |
টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস |
............................................................................................. |
বিশ্বের ঘৃণিত দেশের তালিকায় ভারতের নাম |
............................................................................................. |
গাজায় মানবিক কোনো সহায়তা প্রবেশ করতে দেবে না ইসরায়েল |
............................................................................................. |
চীনের প্রবৃদ্ধিতে ধারণার চেয়েও বেশি উল্লম্ফন |
............................................................................................. |
চীনের ওপর এবার ২৪৫ শতাংশ শুল্কারোপের ঘোষণা ট্রাম্পের |
............................................................................................. |
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা সফরে নেতানিয়াহু |
............................................................................................. |
গাজায় প্রাণ গেল আরও ২৩ জনের, কবে থামবে মৃত্যু মিছিল? |
............................................................................................. |
টিউলিপের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হতে পারে |
............................................................................................. |
গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো মালদ্বীপ |
............................................................................................. |
ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা |
............................................................................................. |
হার্ভার্ডের ২২০ কোটি ডলারের অনুদান স্থগিত করলেন ট্রাম্প |
............................................................................................. |
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের শত্রু, তাকে বন্দি করা উচিত: সাবেক সেনাপ্রধান |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত |
............................................................................................. |
নাইজেরিয়ায় সহিংসতায় নিহত ৫২ |
............................................................................................. |
গাজায় আরও ৩৭ জন নিহত, হাসপাতালে হামলায় শিশুর মৃত্যু |
............................................................................................. |
তাজিকিস্তানে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প |
............................................................................................. |
আমিরাতে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার পূর্বাভাস |
............................................................................................. |
মিয়ানমারে আবারও ভূমিকম্প |
............................................................................................. |
|
|