এক দশক পর ভোট দিচ্ছেন কাশ্মিরিরা
ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচনে ১৩টি প্রধান দল অংশ নিচ্ছে, যারা ৯০টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই উপত্যকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর জম্মু-কাশ্মিরে এটিই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।
দীর্ঘ এক দশক পর রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সাতসকালেই ভোটের লাইনে দাঁড়ান শত শত মানুষ৷ সকাল ৭টা থেকে কাশ্মিরের ১৬টি এবং জম্মুর আটটি বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচন।
প্রথম পর্বের নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মিরের চার জেলা-পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর তিন জেলা- ডোডা, কিস্তওয়ার ও রামবনের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোট চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৷
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং এরপর আগামী ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মিরে। তিন দফার ভোটগ্রহণ শেষে ভোট আগামী ৮ অক্টোবর গণনা হবে।
প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ২৩ লাখেরও বেশি ভোটার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোট দেবেন মোট ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৮০ জন ভোটার ৷ তাদের মধ্যে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন পুরুষ৷ আর নারী ভোটার ১১ লাখ ৫১ হাজার ৫৮ জন ৷ এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬০ জন।
নির্বাচনের মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। পিডিপির নেতৃত্বে আছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং এনসির নেতৃত্বে আছেন ওমর আবদুল্লাহ। এনসি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যদিও উপত্যকায় তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি দুর্বল।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জম্মুতে বিজয়ী হয়ে পিডিপির সঙ্গে মিলে বিজেপি সরকার গঠন করেছিল। তবে, ২০১৮ সালে মতানৈক্যের কারণে সেই জোট ভেঙে যায়। এবারের নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার রশিদ, যিনি পাঁচ বছর জেলে কাটানোর পর সন্ত্রাস মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন। রশিদ এবছর সাধারণ নির্বাচনে ওমর আবদুল্লাহকে হারিয়ে চমকপ্রদ জয়লাভ করেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ এরপর দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় উপত্যকা৷ তারপর এই প্রথম নির্বাচন জম্মু-কাশ্মিরে।
এদিকে ভোট শুরু হতেই উপত্যকাবাসীদের নির্ভয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এক্স হ্যান্ডেলে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই। বিশেষ করে তরুণ এবং প্রথমবারের ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কাশ্মিরে নির্বাচনের ইতিহাস সবসময় বিতর্কিত। এখানকার জনগণ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা নির্বাচন বর্জন করে। কারণ, তারা একে দিল্লির নিয়ন্ত্রণ বৈধ করার প্রয়াস হিসেবে দেখে। ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মিরে ১২টি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি সবসময় কম ও সহিংসতায় ভরা। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারাও কিছু আসনে অংশ নিচ্ছেন, যা ভোটারদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকেই কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন না।
গবেষক সুহিল মীর বলেছেন, ‘আমি মনে করি না ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হবে। তবে দলগুলো এটিকে ব্যবহার করে ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ অন্যরা বলছেন, তারা শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে চান।
|
ভারতশাসিত জম্মু ও কাশ্মিরে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচনে ১৩টি প্রধান দল অংশ নিচ্ছে, যারা ৯০টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই উপত্যকাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার পর জম্মু-কাশ্মিরে এটিই প্রথম বিধানসভা নির্বাচন।
দীর্ঘ এক দশক পর রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সাতসকালেই ভোটের লাইনে দাঁড়ান শত শত মানুষ৷ সকাল ৭টা থেকে কাশ্মিরের ১৬টি এবং জম্মুর আটটি বিধানসভা আসনে শুরু হয়েছে নির্বাচন।
প্রথম পর্বের নির্বাচনে দক্ষিণ কাশ্মিরের চার জেলা-পুলওয়ামা, কুলগাম, অনন্তনাগ ও শোপিয়ানের ১৬টি এবং জম্মুর তিন জেলা- ডোডা, কিস্তওয়ার ও রামবনের আটটি বিধানসভা আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ভোট চলবে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৷
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় ২৬ আসনে এবং এরপর আগামী ১ অক্টোবর তৃতীয় তথা শেষ দফায় ৪০ আসনে ভোটগ্রহণ হবে জম্মু ও কাশ্মিরে। তিন দফার ভোটগ্রহণ শেষে ভোট আগামী ৮ অক্টোবর গণনা হবে।
প্রথম দফায় ২১৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ২৩ লাখেরও বেশি ভোটার। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোট দেবেন মোট ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৬৮০ জন ভোটার ৷ তাদের মধ্যে ১১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন পুরুষ৷ আর নারী ভোটার ১১ লাখ ৫১ হাজার ৫৮ জন ৷ এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬০ জন।
নির্বাচনের মূল প্রতিযোগিতায় রয়েছে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। পিডিপির নেতৃত্বে আছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং এনসির নেতৃত্বে আছেন ওমর আবদুল্লাহ। এনসি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে। মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, যদিও উপত্যকায় তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি দুর্বল।
২০১৪ সালের নির্বাচনে জম্মুতে বিজয়ী হয়ে পিডিপির সঙ্গে মিলে বিজেপি সরকার গঠন করেছিল। তবে, ২০১৮ সালে মতানৈক্যের কারণে সেই জোট ভেঙে যায়। এবারের নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার রশিদ, যিনি পাঁচ বছর জেলে কাটানোর পর সন্ত্রাস মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন। রশিদ এবছর সাধারণ নির্বাচনে ওমর আবদুল্লাহকে হারিয়ে চমকপ্রদ জয়লাভ করেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মির থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার৷ এরপর দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় উপত্যকা৷ তারপর এই প্রথম নির্বাচন জম্মু-কাশ্মিরে।
এদিকে ভোট শুরু হতেই উপত্যকাবাসীদের নির্ভয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এক্স হ্যান্ডেলে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) তিনি লেখেন, ‘জম্মু ও কাশ্মির বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই। বিশেষ করে তরুণ এবং প্রথমবারের ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কাশ্মিরে নির্বাচনের ইতিহাস সবসময় বিতর্কিত। এখানকার জনগণ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা নির্বাচন বর্জন করে। কারণ, তারা একে দিল্লির নিয়ন্ত্রণ বৈধ করার প্রয়াস হিসেবে দেখে। ১৯৪৭ সাল থেকে কাশ্মিরে ১২টি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু ভোটার উপস্থিতি সবসময় কম ও সহিংসতায় ভরা। এবার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারাও কিছু আসনে অংশ নিচ্ছেন, যা ভোটারদের মাঝে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। অনেকেই কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করেন না।
গবেষক সুহিল মীর বলেছেন, ‘আমি মনে করি না ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনা হবে। তবে দলগুলো এটিকে ব্যবহার করে ভোটের জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ অন্যরা বলছেন, তারা শুধু বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে চান।
|
|
|
|
ব্যাপক খরার কারণে কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় ভয়াবহ খাদ্য সংকটে পড়েছে জিম্বাবুয়ে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্তদের খাদ্যের জন্য ২০০টি হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই দেশটির সরকার।
জিম্বাবুয়ের সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তিনাশে ফারাও রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, “বর্তমানে দেশে প্রায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে। চরম খাদ্য সংকটে রয়েছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের ক্ষুধা মেটাতে ২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কী পদ্ধতিতে এই হাতিদের হত্যা করা যেতে পারে, তা নির্ধারণে বর্তমানে আলোচনা চলছে।”
তিনি জানান, ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম হাতি নিধনের অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। চারটি জেলায় চলবে হাতি নিধন। জেলাগুলো হলো হাওয়াঙ্গে, এমবিরে, তিশোলোৎশো এবং শিরেদজি।
নিধনের পর এসব হাতির মাংস খরা উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনাশে ফারাও।
আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় ৫ প্রতিবেশী দেশ জিম্বাবুয়ে, জাম্বিয়া, বতসোয়ানা, অ্যাঙ্গোলা এবং নামিবিয়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলোতে ২ লাখেরও বেশি হাতি বসবাস করে। এসব দেশের মধ্যে জিম্বাবুয়েতে হাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ৮৪ হাজার।
ফারও বলেন, “খরার কারণে বনের অনেক এলাকায় গাছ-পালা, লতা-পাতা ধ্বংস হয়েছে। ফলে হাতিরও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে আমাদের ধারণ ক্ষমতার তুলনায় হাতির সংখ্যা অনেক বেশি “
“জিম্বাবুয়েতে যত সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে, সেসবের সবগুলোর সম্মিলিতভাবে ৫৫ হাজার হাতির খাদ্য ও বিচরণের জন্য উপযোগী। কিন্তু এদিকে আমাদের দেশে হাতির সংখ্যা বর্তমানে ৮৪ হাজার।”
প্রসঙ্গত, জিম্বাবুয়ের প্রতিবেশী দেশ নামিবিয়াতেও খরা জনিত কারণে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট এড়াতে কয়েক দিন আগে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ৮৩টি হাতি নিধনের অনুমতি দিয়েছে নামিবিয়ার সরকার।
নামিবিয়া এ পদক্ষেপ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে হাতি নিধনের অনুমোদন দিলো জিম্বাবুয়ে।
সূত্র : রয়টার্স
|
|
|
|
বিরোধীদের নিষ্ক্রিয় করতে সম্প্রতি মিয়ানমারের বেসামরিক লোকজনদের হত্যা ও গ্রেপ্তারের হার বৃদ্ধি করেছে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনারের কার্যালয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন হাই কমিশনারের কার্যালয়ের শীর্ষ নির্বাহী ভলকার তুর্ক। জান্তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বা সরাসরি নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন— এমন শতাধিক মানুষের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখল করার পর থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫ হাজার ৩৫০ জন বেসামরিক নারী, পুরুষ এবং শিশু।
এদের মধ্যে ২ হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছেন ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জুনের মধ্যে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্রোহীদের দমন করতে এই সময়সীমায় দেশজুড়ে ঘন ঘন বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের বিমান বাহিনী। যে ২ হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছেন, তাদের ৫০ শতাংশেরই প্রাণহানি ঘটেছে এসব বিমান হামলায়।
হত্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গ্রেপ্তারও বাড়িয়েছে জান্তা। জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জান্তার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাদের মধ্যে গত কয়েক মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ হাজার জনকে।
এই গ্রেপ্তারদের মধ্যে শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক, তরুণ-তরুণী, বয়স্ক— সব ধরনের মানুষজন রয়েছেন। কারাগারে এই বন্দিদের অভুক্ত রাখা, বাঁশের লাঠি কিংবা মোটর সাইকেলের চেন দিয়ে পেটানো, কারাকক্ষে বিষাক্ত সাপ-পোকামাকড় ছেড়ে দেওয়ার মতো অমানুষিক নির্যাতন করা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
মানবাধিকার হাই কমিশনারের কার্যালয়ের মুখপাত্র লিজ থ্রসেল রয়টার্সকে জানান, জান্তা শাসনামলের গত তিন বছরে যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে এসেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১ হাজার ৮৫৩ জন কারাগারেই মারা গেছেন। এই মৃতদের মধ্যে ৮৮ জন শিশুও রয়েছে।
“এই নিহতদের বেশিরভাগই জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভয়াবহ নির্যাতন, প্রয়োজনীয় খাবার ও চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন,” বলেন লিজ থ্রসেল।
২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এই অভুত্থানে নেতৃত্ব দেন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের প্রধানও তিনি।
অভ্যুত্থানের পরপরই বন্দি করা হয় মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সুচিকে। এখনও কারাগারে রয়েছেন সুচি।
সূত্র : রয়টার্স
|
|
|
|
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এর ওপর দেশে এখন এডিস মশার প্রজননের মূল মৌসুম হওয়ায় মানুষের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও নানা শঙ্কা। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছে। তবে, বাস্তব চিত্র বলছে, রোগীর ঢেউ আসার আগেই হাসপাতালগুলোতে পা ফেলার ঠাঁই নেই। বাধ্য হয়ে রোগীরা তাই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের মেঝে-বারান্দায় থেকে। আবার অতিরিক্ত রোগীর চাপে যেন দম ফেলারও ফুরসত নেই চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৪টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে ভর্তি হন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আবুল হাসান। তিন দিনে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বাসায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
আবুল হাসান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, এখন অবস্থা কিছুটা ভালো। কিন্তু ভর্তি হওয়ার সময় যে অবস্থা হয়েছিল, মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না। চিকিৎসক-নার্সদের আন্তরিক সেবা আমাকে দ্রুত সুস্থ হতে সহযোগিতা করেছে।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় সবসময়ই ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। এবারও যাত্রাবাড়ী-কোনাপাড়ায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেকটাই বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় বাড়িওয়ালাদেরও তেমন তৎপরতা নেই, সরকারিভাবেও দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নেই। অধিকাংশ নতুন বাসাবাড়ির ছাদগুলোতে দিনের পর দিন পানি জমিয়ে রাখা হয়েছে। কেউ গিয়ে কোনোদিন স্প্রে বা কোনো ওষুধও ছিটায় না। যে কারণে আশঙ্কা করছি, এবারও ওই এলাকায় ভয়াবহ অবস্থা হবে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা আরেক রোগীর স্বজন বলেন, আমার রোগীর শুরুতে টানা ৩/৪ দিন জ্বর ছিল। এরপর ইবনে সিনা মেডিকেলে পরীক্ষা করার পর সেখানে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। তখন তার প্লাটিলেট ছিল এক লাখ ২২ হাজার। তারপর আরও দুই দিন বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে হঠাৎ করেই জ্বরের সঙ্গে বমি-পাতলা পায়খানা শুরু হয়। একপর্যায়ে শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাওয়ায় দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখন আমার রোগী আগের তুলনায় অনেকটাই ভালো।
তিনি বলেন, নতুন করে আবার ডাক্তার পরীক্ষা দিয়েছে, পরীক্ষা করে দেখি কী অবস্থা। যদি দেখি যে অবস্থা ভালো, তাহলে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে যাব।
হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর এখন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাসেবা খুবই ভালো। আগের মতো এত ঝামেলা দেখছি না। ডাক্তারও নিয়মিত আসছে, নার্সরাও এসে খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে এখন চিকিৎসাসেবা মোটামুটি ভালোই।
দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত জুলাই মাসে ২০ শয্যার ডেডিকেডেট ডেঙ্গু ইউনিট গঠন করে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালটির নতুন ভবনের চার তলায় অবস্থিত ডেঙ্গু ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে ঢোকার রাস্তা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের ভেতর পর্যন্ত রোগীতে ভরপুর।
জানা গেছে, ওয়ার্ডটিতে শুধুমাত্র পুরুষ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে, যাদের অধিকাংশই হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া, ডেঙ্গু আক্রান্ত নারী রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে একই ভবনের ৮ তলায় মেডিসিন বিভাগে। সেখানে অন্যান্য রোগীদেরও চিকিৎসা চলছে।
ডেঙ্গু রোগীর চাপ প্রসঙ্গে ঢামেক ডেঙ্গু ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজনীন নাহার বলেন, আমাদের এই ডেঙ্গু ওয়ার্ডে সর্বমোট সিট আছে ২০টি, এর মধ্যে সোমবার দুপুর রোগী ভর্তি আছে ৫৭ জন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর আমাদের ওয়ার্ডে নতুন রোগী ভর্তি হয় সাতজন, এতে করে ওইদিন ২০ সিটের বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৭০ জন। এরপর গতকাল সোমবার আরও ১০ জন নতুন রোগী আসে এবং কিছু রোগী ছাড়া পেয়ে বাসায় চলে যায়। যার ফলে ওইদিন এই ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। এদিকে, আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নতুন রোগী ভর্তি হয় সাতজন।
তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে গত ১০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে। এর আগে, প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ জনের মতো। কিন্তু এখন নিয়মিত ৬০ থেকে ৭০ পর্যন্ত থাকছে।
ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গুতে এ বছর কতজনের মৃত্যু হয়েছে? এ প্রসঙ্গে নাজনীন নাহার বলেন, ঢাকা মেডিকেলে গত জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু হয়। গত ১১ আগস্ট একজন রোগী মারা যায়। এরপর আর কারো মৃত্যু হয়নি। সবমিলিয়ে মৃত্যুর হার খুবই কম।
হাসপাতালটির ৮তলায় মেডিসিন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে রোগীদের আরও ভয়াবহ অবস্থায় দেখা যায়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেডিসিন বিভাগের নারী ওয়ার্ডে যে পরিমাণ রোগী বেডে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তার চেয়ে তিনগুণ রোগী শুয়ে আছেন মেঝে, সিঁড়ি সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা ও বারান্দায়।
ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য জানতে একাধিক নার্স ও চিকিৎসকের সঙ্গে কথার বলতে চাইলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবায় ব্যস্ত থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলাই সম্ভব হচ্ছিল না।
দেখা যায়, চিকিৎসক-নার্সরা ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে ছোটাছুটি করছেন। তাদের কথা বলারও সময় নেই।
তারা বলেন, আমাদের বিলম্বের কারণে একজন রোগীর মৃত্যু হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চেষ্টা করে যাব যেন কোনো ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাসেবা যেন ব্যাহত না হয়।
এদিকে, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সঙ্গে কথা হয় মেডিসিন বিভাগের কর্তব্যরত ট্রেইনি চিকিৎসক অমিত ঘোষের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, মেডিসিন বিভাগে সব ধরনের রোগীই ভর্তি আছে। এর মধ্যে কিছু ডেঙ্গু রোগীকেও আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। মূলত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য চার তলায় ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু হয়েছে, কিন্তু সেখানে রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছিল না বলেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নারীদের এই ওয়ার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ডেঙ্গু রোগী তুলনামূলক একটু বেশি আসছে। আমাদের ওয়ার্ডে প্রতিদিন নতুন ১০ থেকে ১৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। যারাই চিকিৎসা নিতে আসছে, অধিকাংশরই ১০৩ ডিগ্রি জ্বর, বমি-পাতলা পায়খানা রয়েছে।
আশঙ্কা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে। হয়তো বৃষ্টি-বাদল বেশি হচ্ছে, তাই রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। সামনের দিনগুলোতে যে কী অবস্থা হয়, সেটিই ভাবছি। মনে হচ্ছে গত বছরের তুলনায় অবস্থা আরও খারাপ হবে।
এ বছর ডেঙ্গু রোগীদের উপসর্গ কেমন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্যান্য সময়ের মতোই এবারের উপসর্গ হলো, প্রচুর জ্বর, টানা ৩/৪ দিন থাকছে...। এরপরই ডেঞ্জার পিরিয়ডে চলে যায়। তখন শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়, ইন্টার্নাল ব্রিডিং শুরু হয়, নারীদের ক্ষেত্রে মাসিকের রাস্তা দিয়ে ব্লিডিং হয়। সেইসঙ্গে বমি, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা দেখা যায়। এসব রোগীদের নিয়ে পরীক্ষা করলেই ডেঙ্গু পজিটিভ আসছে। এমনকি ওই অবস্থায় অনেকের প্লাটিলেট ১০/২০ হাজারেও নেমে যায়।
অমিত ঘোষ বলেন, ওইসব অবস্থায় আমরা রোগীর প্রেশারটাকে (বিপি) বেশি গুরুত্ব দেই। প্রেশার যদি ৯০/৫০ এর নিচে চলে যায়, তখনই স্যালাইন দেওয়া শুরু করি। যদি বিপি না বাড়তে থাকে, তাহলে স্যালাইনের ডোজ বাড়ানো হয়। একপর্যায়ে স্যালাইন ২/৩ লিটারে চলে গেলেও অনেকেরই বিপি বাড়ে না। তখন তাদের জন্য অন্য ট্রিটমেন্ট ভাবতে হয়। ওই অবস্থায় রোগীদের ঝুঁকিটা বেশি থাকলেও ভালো ট্রিটমেন্ট পেলে প্রায় সবাই সুস্থ হয়ে যায়।
ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ও চিকিৎসাসেবা প্রসঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমি আসলে গত বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। এসে যেমনটা তথ্য পেলাম, গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ডেঙ্গু রোগী একটু বেশি আসছে। আজকের দিনের সর্বশেষ তথ্য হলো, বর্তমানে ১২০ জনের মতো ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পুরুষের তুলনায় অধিকাংশই নারী। এর মধ্যে প্রতিদিন নতুন করে আরও ২৫/৩০ জনের মতো রোগী ভর্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত যে সিট সংখ্যা আছে, তা ইতোমধ্যে রোগীতে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শুধু ডেঙ্গু নয়, আমাদের হাসপাতালে সব ধরনের রোগীই সবসময় শয্যার তুলনায় দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত থাকে। এর মধ্যেই আমরা আমাদের সীমিত জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৯ হাজার ৩৪২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১০৮ জনের।
|
|
|
|
লেবাননে এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে নয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই হাজার ৮০০ জন। নিহতের মধ্যে আট বছরের এক শিশুও রয়েছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে পেজার বিস্ফোরণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর আল-জাজিরা ও গার্ডিয়ানের
লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ বলছে, দেশজুড়ে গোষ্ঠীটির সদস্যদের ব্যবহৃত যোগাযোগ ডিভাইস (পেজার) একযোগে বিস্ফোরণে এক মেয়ে ও তাদের দুই যোদ্ধা নিহত ও বহু লোক আহত হয়েছেন। গোষ্ঠীটি এ হামলার জন্য সরাসরি ইসরাইলকে দায়ী করেছে।
সরকারের এক মুখপাত্রও এ বিস্ফোরণের জন্য সরাসরি ইসরাইলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, পেজার বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইল দায়ী। এটি লেবাননের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন।
রয়টার্সের তিমুর আজহারি জানান, লেবাননের তথ্যমন্ত্রীও ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের’ নিন্দা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি ইসরাইল।
|
|
|
|
টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে মিয়ানমারে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২২৬ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৭৭ জন। মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে গত এক সপ্তাহে বন্যা-ভূমিধসে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে।
ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে; যার প্রভাবে এই অঞ্চলের কিছু দেশে ব্যাপক বৃষ্টি ও বন্যা শুরু হয়েছে। ইয়াগির আঘাত ও এর জেরে সৃষ্ট ঝোড়ো হাওয়া-প্রবল বর্ষণ-বন্যা ও ভূমিধসে ভিয়েতনামেও অন্তত ২৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া দেশটিতে আহত হয়েছেন আরও ৮ শতাধিক মানুষ।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর জান্তার সরকার ক্ষমতায় আসায় মিয়ানমারের সাড়ে ৫ কোটি মানুষের এক তৃতীয়াংশকে ইতোমধ্যে মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হতে হয়েছে।
জান্তা সৈন্য ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহিংসতায় বিধ্বস্ত দেশটির রাজধানী নেপিদো, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে এবং বাগো অঞ্চলের পাশাপাশি পূর্ব ও দক্ষিণের শান, মোন, কায়াহ এবং কায়িন রাজ্যজুড়ে ঝোড়ো হাওয়া ও প্রবল বর্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি ও বন্যায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চল।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম বলছে, গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা বৃষ্টি-বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ২২৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে নিখোঁজ রয়েছেন আরও প্রায় ৭৭ জন।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৯টি অঞ্চল ও রাজ্যে মোট ৩৮৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষীরা এসব শিবিরে পানীয় জল, খাদ্য এবং পোষাক দান করেছেন।
জাতিসংঘের মানবিক দাতব্য সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কের কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ভারী বর্ষণ এবং বন্যায় কেবল মান্দালয় অঞ্চলেই প্রায় ৪০ হাজার একর কৃষি জমি তলিয়ে গেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ২৬ হাজার ৭০০ বাড়িঘর।
জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলেছে, বন্যা-ভূমিধসে বেশ কিছু রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত এবং টেলিকম ও বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সেবা ব্যাহত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বন্যা কবলিত অনেক অঞ্চলে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
চলতি বছর এশিয়ায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ায় ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ডে শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ওই দুই দেশের নদ-নদীর পানি উপচে শহরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই ঝড়ের তাণ্ডব ও বন্যা-ভূমিধসে ভিয়েতনামে কমপক্ষে ২৯২ জন নিহত হয়েছেন।
ইয়াগির প্রভাবে থাইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ৪৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। থাইল্যান্ডে ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া উত্তরের শহরগুলো প্লাবিত হয়েছে। লাওসে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ৪৪০টিরও বেশি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির আটটি প্রদেশজুড়ে বন্যায় প্রায় ৭ হাজার ৮২৫ একর ধান ক্ষেত ডুবে গেছে।
সূত্র: রয়টার্স।
|
|
|
|
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আম আদমি পার্টির (এএপি) আতিশির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সঙ্গে বৈঠকের পর অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এরপরেই দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতিশি দায়িত্ব নেবেন বলে জানা গেছে। আজ আম আদমি পার্টির (এএপি) বিধায়কদের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খবর এনডিটিভি।
মঙ্গলবার বিধায়কদের বৈঠকে দলের নেতা দিলীপ পান্ডে প্রস্তাব করেন যে, নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সিদ্ধান্ত নেবেন। এএপির জাতীয় আহ্বায়ক আতিশির নাম প্রস্তাব করলে দলটির বিধায়করা সবাই উঠে দাঁড়ান এবং প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।
বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন আতিশি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি। দিল্লির স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন আতিশি।
দুর্নীতির মামলায় সিসোদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কালকাজির ৪৩ বছর বয়সী আতিশি। কেজরিওয়াল এবং সিসোদিয়া যখন কারাগারের ছিলেন, তখন আতিশি এএপি পার্টির সব ধরনের ইভেন্ট এবং মিডিয়াগুলোতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এর আগে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলীয় সভায় হঠাৎ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। মানুষের রায়ে যদি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলেই কেবল ওই চেয়ারে আবার বসবেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছয়মাস জেলে ছিলেন কেজরিওয়াল। কয়েকদিন আগেই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তারপর রোববার প্রথমবার দলীয় কার্যালয়ে যান এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা দেন তিনি।
|
|
|
|
প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় গত কয়েক দিনে মধ্য ইউরোপের ৬ দেশে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দেশগুলো হলো— রোমানিয়া, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়া।
অবশ্য এই ছয়টি দেশেই যে প্রাণহানি হয়েছে— এমন নয়। বন্যার কারণে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চারটি দেশে— হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক এবং অস্ট্রিয়ায়। হাঙ্গেরিতে ৭ জন, পোল্যান্ডে ৪ জন চেক রিপাবলিকে ৩ জন এবং নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বন্যা উপদ্রুত এই ৬ দেশের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত প্রায় ৫ দিন ধরে চলা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পোল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকের সীমান্তবর্তী নদী-জলাশয়গুলোর পানি বেড়ে উপচে লোকবসতি ডুবিয়ে দিয়েছে। পানির স্রোতে অনেক জায়গায় সেতু ভেঙে পড়েছে, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এমনকি পোলল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশেও বন্যার পানি ঢুকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাইসা ইতোমধ্যে ডুবে গেছে। শহরটির ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষকে ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে।
বন্যার্তদের সহায়তার জন্য পোল্যান্ডের সরকার ইতোমধ্যে ২৫ কোটি ডলারের ত্রাণ তহবিল ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার।
রোমানিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় অধিকাংশ গ্রাম ও শহর ডুবে গেছে। অনেক এলাকায় বন্যার পানি এত দ্রুত প্রবেশ করেছে যে লোকজন এক কাপড়ে বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
চেক রিপাবলিকের অনেক শহর-গ্রাম বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। দেশটির জেসেনিক শহরের বাসিন্দা জিদেনেক কুজিলেক রয়টার্সকে বলেন, “শহরের প্রায় প্রতিটি রাস্তা এখন ৬ ফুট পানির নিচে ডুবে আছে। মোবাইল-টেলিফোন যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। কোথাও খাবার নেই, পানি নেই।”
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অবশ্য এখনও বন্যার পানি ঢোকেনি, তবে রাজধানীর আশপাশের এলাকা ইতোমধ্যে ডুবে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা উপদ্রুত একটি এলাকা থেকে দু’ই জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাদের।
ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ নদী দানিউবের পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্লোভাকিয়ার রাজধানী ব্রাতিসলাভা এবং হাঙ্গেরি রাজধানী বুদাপেস্টও ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো সময় এই দুই শহরে ঢুকে পড়তে পারে বন্যার পানি।
হাঙ্গেরির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যান্ডর পিন্টার জানিয়েছেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতোমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ শেষ। দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের নিয়মিত কর্মীদের সহযোগিতার জন্য ১২ হাজার সেনা কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : রয়টার্স
|
|
|
|
বাধ্যতামূলক হিজাব বা হেড স্কার্ফ পরার বিষয়ে ইরানে নারীদের আর ‘বিরক্ত’ করবে না নৈতিকতা পুলিশ। ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একথা জানিয়েছেন।
কঠোর পোশাক নীতি ভঙ্গ করার জন্য নারীদের এখনও সহিংস শাস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার কয়েকদিন পর তিনি এই ঘোষণা দিলেন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর দ্বিতীয় বার্ষিকীতে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের এই মন্তব্য সামনে এসেছে।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল এবং পরে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনা দেশব্যাপী প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছিল।
জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছে, ইরানের সরকার সেই সময় থেকেই নারীদের অধিকারকে দমন করতে এবং প্রতিবাদ-বিক্ষোভের শেষ নিদর্শনকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ‘তীব্র প্রচেষ্টা’ চালিয়েছে।
কিন্তু সোমবার প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইরানের নৈতিকতা পুলিশের আর রাস্তায় নারীদের মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পরে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পেজেশকিয়ান। তাকে একজন সম্ভাব্য সংস্কারবাদী নেতা হিসাবে দেখা হয়।
বিবিসি বলছে, ইরানের একজন নারী প্রতিবেদকের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ান সময় পেজেশকিয়ান এসব কথা বলেন। তিনি (নারী প্রতিবেদক) বলেন, পুলিশ ভ্যান এড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য তিনি বেশ কয়েকটি পথ ঘুরেছেন। তিনি তার মাথার স্কার্ফ পরা ছিলেন এবং তার কিছু চুলও দেখা যাচ্ছিল।
পেজেশকিয়ান যখন জিজ্ঞাসা করেন, পুলিশ এখনও রাস্তায় আছে কিনা। তখন ওই নারী প্রতিবেদক নিশ্চিত করেন— তারা এখনও রাস্তায় রয়েছে। জবাবে তিনি বলেন: ‘নৈতিকতা পুলিশের (নারীদের) মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল না। আমি বিষয়টি দেখব, যাতে তারা (নারীদের) বিরক্ত না করে’।
প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের এই মন্তব্যগুলো ইরানের প্রধান রাষ্ট্রীয় টিভি নেটওয়ার্কগুলোতেও সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে। পরে নারী সাংবাদিকের সঙ্গে তার কথোপকথনের ক্লিপটি অনলাইনে ভাইরাল হয়ে যায়।
অতিরক্ষণশীল ইব্রাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হয়ে জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই ছিল পেজেশকিয়ানের প্রথম সংবাদ সম্মেলন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বাধ্যতামূলক হিজাব পরার বিষয়ে পুলিশ টহলের বিরোধিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি দেশের দীর্ঘস্থায়ী ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের কিছু বিষয়ে বিধিনিষেধও শিথিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মূলত ২০২২ সালে নারীদের নেতৃত্বে দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর ইরান সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছিল।
|
|
|
|
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার প্রতিবাদে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সোমবার ছিল এর সপ্তম দিন।
একটা সমাধানে পৌঁছাতে গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সন্ধ্যা ৭টায় বৈঠক শুরু হয়ে চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।
বৈঠক শেষে মমতা বললেন, চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে মঙ্গলবারই সরানো হচ্ছে বিনীত গোয়েলকে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসকদের দাবি মেনে নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাকেও অপসারণ করা হচ্ছে। তিন জনকেই অন্য পদে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
মমতা জানান, আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের অধিকাংশ দাবিই তারা মেনে নিয়েছেন। এ বার আশা করছেন, আন্দোলনকারীরা কাজে ফিরবেন।
তিনি জানান, জুনিয়র ডাক্তারদের পাঁচটি দাবির প্রথমটি সিবিআই এবং আদালতের বিষয়। বাকি চারটির মধ্যে তিনটিতে সায় দিয়েছে তার সরকার। আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে। পাশাপাশি, চিকিৎসকদের দাবি মেনে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) অভিষেক গুপ্তকেও সরানো হচ্ছে। সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কৌস্তভ নায়েক, স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশিস হালদারকেও।
মমতা বলেন, আমরা কাউকে অশ্রদ্ধা, অসম্মান করিনি। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে যেহেতু চিকিৎসকদের ক্ষোভ আছে, বলেছেন, ওদের ওপর আস্থা নেই, তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি এ-ও জানান, চিকিৎসকদের দাবি মতো কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে সরকার। তিনি বলেন, প্রায় ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বৈঠক হয়েছে। ওদের পক্ষ থেকে ৪২ জন সই করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে মিনিটসে্ সই করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি চিকিৎসকদের। আমরা খুশি যে, তারাও খুশি। ওরা বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন। সেই সুযোগ দিয়েছি। আমরাও আমাদের বক্তব্য রেখেছি।
আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, আন্দোলনকারীদের কাছে নতস্বীকার করল রাজ্য সরকার। ৩৮ দিন পর আমাদের জয় হয়েছে। এই জয় সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক, নার্স— সকলের। সবাই পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব ছিল না। সে জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, আশ্বাস বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেব।
পাশাপাশি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি, ‘থ্রেট কালচার’ তৈরি হয়েছে, তা সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। এ বিষয়ে ভবিষ্যতে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ খোলা থাকবে বলেও জানান তারা।
চিকিৎসকদের এক প্রতিনিধি বলেন, যেটুকু দাবি আমরা পূরণ করিয়ে আনতে পেরেছি, সেটাও আমাদের আন্দোলনের জয়। এটুকু পেতে আমাদের ৩৮ দিন সময় লেগে গেল। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানি রয়েছে সে দিকে নজর থাকবে আমাদের। এ ছাড়াও কত দিনে আমাদের দাবিগুলি বাস্তবায়িত হয় সে দিকেও নজর থাকবে আমাদের।
সূত্র : আনন্দবাজার।
|
|
|
|
আততায়ীর হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে দু’জনের মধ্যে।
আন্তরিক কথোপকথনে ট্রাম্প নিরাপদে থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেন বাইডেন। ফোনকলের জন্য প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৌজন্য ও হৃদ্যতাপূর্ণ ছিল তাদের আলাপ। সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয়েছে দু’জনের।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, হামলার চেষ্টার খবর পেয়েই এর আগেও একবার ট্রাম্পের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন বাইডেন। তবে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয়বারে যোগাযোগ হয় দু’জনের।
|
|
|
|
ভারতের কেরালা রাজ্যের মল্লপুরমে নিপা ভাইরাসে ২৪ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। পুনের দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় ওই শিক্ষার্থীর। এনকেফালাইটিসের উপসর্গ ছিল তার শরীরে। এরপর নিপা ভাইরাসের পিসিআর টেস্ট করানো হয়।
ওই শিক্ষার্থীর দেহ থেকে নমুনা নিয়ে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছিল। রোববার জানানো হয়েছে নিপা ভাইরাসেই মৃত্যু হয়েছে তার। কোঝিকোড় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও তার নমুনা পজিটিভ এসেছিল।
গত জুলাইয়ে মল্লপুরম জেলারই ১৪ বছর বয়সী এক জনের মৃত্যু হয়। তার শরীরেও নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিনা জর্জ জানান, নিপার যে প্রটোকল আছে তা মেনে রাজ্যে ১৬টি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তা কাজ করবে।
এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থীর সংস্পর্শে আসা ১৫০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এ বছর রাজ্যেটিতে নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে এটি দ্বিতীয় মৃত্যু।
সূত্র: রয়টার্স
|
|
|
|
পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতাজুড়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালান করা হলো ঈদে মিলাদুন্নবী। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, তৃতীয় মাসে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হয়ে থাকে।
এই বিশেষ দিনটি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গসহ কলকাতার রাজপথে শোভাযাত্রা কর্মসূচি পালন করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা।
এদিন কলকাতার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের করে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা। গার্ডেনরিচ, পার্ক সার্কাস, মেটিয়াব্রুজ, টালিগঞ্জ, খিদিরপুর, রাজাবাজার ও কলকাতার মহাজাতি সদনের সামনে থেকে বের করা একটি শোভাযাত্রা। সকল বয়সেরই মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষদের এই শোভাযাত্রায় শামিল হতে দেখা যায়।
এমনকি এই শোভাযাত্রায় নারীদেরও পা মেলাতে দেখা যায়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ কলুটোলা রবীন্দ্র সরণি হয়ে বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করা হয় নবীর গান গেয়ে।
মুসলিম ধর্মপ্রাণ মানুষেরা নতুন পোশাক পরে কোলাকুলি, মিষ্টি আদান-প্রদানের পাশাপাশি শুভেচ্ছা বিনিময়েও করে।
কলকাতার মহাজাতি সদনের সামনে থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়, সেই শোভাযাত্রায় পা মেলান সুফিয়াজ্জামান। তিনি বলেন, এই অশান্তির মধ্যেই বিশ্বনবী সবাইকে শান্তিতে রাখুক। কোনো বিভেদ যেন আমাদের মধ্যে না থাকে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভ্রাতৃত্ব, বিশ্বশান্তি, ন্যায় ও মানব কল্যাণের পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিবসে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। শান্তি সম্প্রীতির সৌভাগ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে আহ্বান করছি।
|
|
|
|
মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ৭৭ জন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মাত্র একদিন আগেই মৃতের সংখ্যা ১১৩ বলে জানানো হয়। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্যায় প্রায় দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টর (৬ লাখ ৪০ হাজার একর) জমির ধান এবং অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়েছে। বন্যার কারণে ৩ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে হয়েছে।
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল ইয়াগি। এ মাসের শুরুর দিকে ভিয়েতনাম, লাওস, চীন এবং ফিলিপাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এই সুপার টাইফুন।
মিয়ানমারে প্রবেশেই আগেই ইয়াগির আঘাতে অন্তত ২৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। টাইফুনটি উত্তর ভিয়েতনামে প্রবেশ করার পর একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠসহ প্রায় ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক মাইল রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো।
টাইফুনটি উত্তর ভিয়েতনামে প্রবেশ করার পর একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপে পরিণত হয়। তবে এর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধস অব্যাহত রয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশটিতে অন্তত ৩৭৫টি স্কুল, একটি মঠসহ প্রায় ৬৬ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। বন্যায় ভেসে গেছে কয়েক মাইল রাস্তা এবং অন্যান্য অবকাঠামো।
কয়েকটি মহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের প্রকৃত সংখ্যা সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়েও অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
ক্ষমতাসীন জান্তার অনুগত সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, কেবল মান্দালয় অঞ্চলেই ২৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
|
|
|
|
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। অবশ্য ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য সামনে আসেনি বা সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার উপকূলীয় শহর পোর্ট ম্যাকনিলে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) জানিয়েছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল সমুদ্রতলের ১০ কিলোমিটার (৬.২ মাইল) গভীরে।
এছাড়া মার্কিন জাতীয় সুনামি কেন্দ্র ভূমিকম্পের পর কোনও সুনামি সতর্কতা জারি করেনি।
অবশ্য গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপের টোফিনো উপকূলে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তবে সেই কম্পনের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কম্পনের ফলে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই বলেও সেসময় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্থানীয় সময় প্রায় মধ্যরাতে অনুভূত সেই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৯।
এছাড়া একই বছরের এপ্রিলে কানাডার পশ্চিম উপকূলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
তারও আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী সেই ভূমিকম্পে উত্তরাঞ্চলীয় ভ্যাঙ্কুভার দ্বীপ ও আশপাশের এলাকা কেঁপে ওঠে।
|
|
|
|
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ফের ৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চ্যানেলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নৌকাটি বিপদে পড়ার পরই উদ্ধার কর্মীদের সতর্ক করা হয়। রাবারের নৌকাটিতে প্রায় ৬০ জন ছিলেন। এতে ইরিত্রিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইরানসহ বেশি কয়েকটি দেশের নাগরিকরা ছিলেন।
জরুরি সার্ভিসের সদস্যরা ৫৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন। পরে তাদের মধ্য থেকে ছয়জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে চ্যানেলটি পাড়ি দিতে গিয়ে ১২ জনের মতো প্রাণ হারাণ। তাদের মধ্যে ছিলো ৬ শিশু ও একজন গর্ভবতী নারী।
যুক্তরাজ্য সরকারের একজন মুখপাত্র সর্বশেষ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ও বলেছেন, ফরাসি কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি দেখছে ও তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি বলেছেন, চ্যানেলে আরও প্রাণহানির খবর আতঙ্কের।
সূত্র: বিবিসি
|
|
|
|
|
|
এক দশক পর ভোট দিচ্ছেন কাশ্মিরিরা |
............................................................................................. |
দুর্ভিক্ষপীড়িত জনগণের জন্য ২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের |
............................................................................................. |
মিয়ানমারে বেসামরিক হত্যা-গ্রেপ্তার বাড়িয়েছে জান্তা : জাতিসংঘ |
............................................................................................. |
দেশজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা |
............................................................................................. |
লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৮০০ |
............................................................................................. |
মিয়ানমারে বন্যা-ভূমিধসে নিহত বেড়ে ২২৬ |
............................................................................................. |
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি |
............................................................................................. |
মধ্য ইউরোপের ৬ দেশে ভয়াবহ বন্যা, প্রাণহানি ১৯ জনের |
............................................................................................. |
ইরানে হিজাব পরা নিয়ে নারীদের আর ‘বিরক্ত’ করবে না পুলিশ |
............................................................................................. |
৯৯ শতাংশ দাবি মেনে নিয়েছি, আর কী করবো? |
............................................................................................. |
ফোন করে ট্রাম্পের খোঁজ নিলেন বাইডেন |
............................................................................................. |
ভারতে নিপা ভাইরাসে একজনের মৃত্যু |
............................................................................................. |
কলকাতায় শ্রদ্ধার সঙ্গে ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত |
............................................................................................. |
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা ২২৬ |
............................................................................................. |
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল কানাডা |
............................................................................................. |
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে ৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু |
............................................................................................. |
ট্রাম্পকে ফের হত্যাচেষ্টা, আটক ১ |
............................................................................................. |
সবুজ হয়ে উঠছে সাহারা মরুভূমি |
............................................................................................. |
হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণ, নিহত ২৫ |
............................................................................................. |
হাইতিতে ট্যাংকার ট্রাক বিস্ফোরণ, নিহত ২৫ |
............................................................................................. |
ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬, ‘অজ্ঞাত’ গাড়ির খোঁজে পুলিশ |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডব, নিহত আরও ২৬ ফিলিস্তিনি |
............................................................................................. |
পারফিউম ব্যবসায় দুবাইয়ের রাজকুমারী, নাম ডিভোর্স, কারণ অবাক করা |
............................................................................................. |
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ |
............................................................................................. |
মাঙ্কিপক্সের প্রথম টিকার অনুমোদন দিল ডব্লিউএইচও |
............................................................................................. |
জার্মানি, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়ায় চরম আবহাওয়া সতর্কতা |
............................................................................................. |
ইলিশ না পেয়ে হতাশ কলকাতা |
............................................................................................. |
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধাগারের ছবি প্রথম প্রকাশ করলো উত্তর কোরিয়া |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪০ ফিলিস্তিনি |
............................................................................................. |
ট্রাম্প না কমলা, টেলর সুইফট কার সমর্থক |
............................................................................................. |
বিশ্ব বাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম |
............................................................................................. |
ফের রোহিঙ্গা ঢলের শঙ্কা : সীমান্তে কড়া পাহারা বাংলাদেশের |
............................................................................................. |
সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে ভিয়েতনামে ১৭৯ জনের মৃত্যু |
............................................................................................. |
ভিয়েতনামে অন্তত ১৭৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি |
............................................................................................. |
আত্মহত্যা করতে গিয়ে রেললাইনে তরুণীর ঘুম, ডেকে তুললেন ট্রেনচালক |
............................................................................................. |
ধর্মঘটে অচল কেনিয়ার প্রধান বিমানবন্দর |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি হামলায় ৬ সন্তানকেই হারিয়েছেন ফিলিস্তিনি নারী |
............................................................................................. |
ভূমধ্যসাগর থেকে বাংলাদেশিসহ ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার |
............................................................................................. |
ভিয়েতনামে সুপার টাইফুনের আঘাত, নিহত বেড়ে ১২৭ |
............................................................................................. |
স্থলসীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ জার্মানির |
............................................................................................. |
কাঠের নৌকায় স্পেন যাওয়ার চেষ্টা, ডুবে মৃত্যু ২৬ জনের |
............................................................................................. |
রাশিয়ায় এক রাতে ১৫০টি ড্রোন ছুড়ল ইউক্রেন |
............................................................................................. |
আঘাত হানছে ফ্রান্সিন, তেল-গ্যাস উত্তোলন বন্ধ |
............................................................................................. |
জার্মানিতে মূল্যস্ফীতি কমে ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন |
............................................................................................. |
গুজরাটের শহরকে নিজেদের বলে দাবি পাকিস্তানের, ভারতে বিতর্কের ঝড় |
............................................................................................. |
পারমাণবিক অস্ত্র বাড়ানোর অঙ্গীকার কিমের |
............................................................................................. |
ছয় স্ত্রী ও ১০ হাজার সন্তান এক কুমিরের |
............................................................................................. |
মণিপুরে কেন থামছে না সহিংসতার আগুন? |
............................................................................................. |
গাজায় বাস্তুচ্যুতদের তাঁবুতে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ৪০ |
............................................................................................. |
মণিপুরে সাতরঙা পতাকা ওড়ালো শিক্ষার্থীরা |
............................................................................................. |
|