বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন চাইলেন মমতা
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোতায়েন চেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানান। মমতা বলেছেন, আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকার জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানাক।
এ ছাড়া মমতা বাংলাদেশ নিয়ে পার্লামেন্টে নরেন্দ্র মোদি বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন।
মমতা বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার তার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন বলে জানান মমতা।
বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার তা সহ্য করবে না বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।
এদিন মমতা আরও বলেছেন, আমাদের পরিবার, প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
|
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর মোতায়েন চেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে মমতা কেন্দ্রীয় সরকারকে জাতিসংঘের সঙ্গে কথা বলার আহ্বান জানান। মমতা বলেছেন, আমাদের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকার জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানোর আহ্বান জানাক।
এ ছাড়া মমতা বাংলাদেশ নিয়ে পার্লামেন্টে নরেন্দ্র মোদি বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বিবৃতি দাবি করেছেন।
মমতা বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে বিবৃতি দেন প্রধানমন্ত্রী। যদি তার কোনও অসুবিধা থাকে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতি দিক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার তার দল এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার রাজ্য সরকারের নেই। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের পরামর্শ মেনে চলবেন বলে জানান মমতা।
বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার তা সহ্য করবে না বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেছেন, যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।
এদিন মমতা আরও বলেছেন, আমাদের পরিবার, প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব। কিন্তু বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এই বিষয়ে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
|
|
|
|
ইসকনের ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার নিয়ে বিগত সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে অস্থিরতা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অঘোষিত শীতলতা চলছে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাইছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফোনকলে পত্রিকাটিকে জানান, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। আমরা এ উত্তেজনা প্রশমিত করতে চাইছি। অনলাইনে কৃত্রিমভাবে এ উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। চট্টগ্রামেও পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, ইসকনের সব ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। তাদের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন কখনও ওঠেনি। ভারতের কাছে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কোনো ধর্মীয় সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা আমাদের লক্ষ্য নয়।
এদিকে বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি আনন্দবাজারের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি পত্রিকাটিকে বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিস্থিতির যেভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে পুরোদস্তুর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চলছে। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। সেটা মেলে না।
তিনি আরও বলেন, আমি সম্প্রতি নোয়াখালী ঘুরে এসেছি। ঢাকাতেও আমার সর্বত্রই যাতায়াত রয়েছে। কোথাও হিন্দুদের সঙ্গে মুসলমানদের কোনও তর্কাতর্কি বা উত্তেজনা দেখা যায়নি। জাল ভিডিওতে অনেক কিছুই দেখানো যেতে পারে।
অন্যদিকে পত্রিকাটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে তো ইসকন থেকেই বহিষ্কার করেছে। সবাই তার সাক্ষী। যে ঘটনা ঘটেছে তা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার ঘটনা বলে আমরা মনে করি না।
|
|
|
|
ইউক্রেনের দোনেৎস্কের আরও দু’টি অঞ্চল দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এ পর্যায়ে তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় পেত্রিভকা ও ইলিনকা বসতি।
রোববার (২ নভেম্বর) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, ইউক্রেনের পোকরোভস্কে ২২ দফায় হামলা চালায় মস্কো। দিনিপ্রো-পেত্রোভস্কে রাশিয়ার মিসাইল হামলায় প্রাণ গেছে অন্তত চারজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন।
খারকিভ, আভদিভকা, ঝাপোরিঝিয়া এবং খেরসনেও অভিযান চালায় রুশ বাহিনী। একইদিন, রাশিয়ার বিভিন্ন স্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। মস্কোর দাবি, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে প্রতিহত করা হয়েছে অর্ধশতাধিক ড্রোন। শতাধিক ফ্রন্টলাইনেও তুমুল সংঘর্ষে জড়ায় দুই বাহিনী।
|
|
|
|
বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হান্টার বাইডেন। এ মাসেই আদালতে তার শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল।
নিজের ছেলে হান্টারকে নির্বাহী আদেশে নিঃশর্ত ক্ষমা করে দিয়ে বিদায় বেলায় বিতর্কের জন্ম দিয়ে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বেআইনি অস্ত্র রাখা এবং কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন হান্টার বাইডেন। এ মাসেই আদালতে তার শাস্তি ঘোষণার কথা ছিল।
রোববার এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, "আজ, আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য ক্ষমার ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছি। তাকে নিঃশর্তভাবে সম্পূর্ণ ক্ষমা করা হল।”
সিএনএন লিখেছে, এর ফলে আদালত হান্টার বাইডেনকে তার ওই অপরাধের জন্য শাস্তি দেবে না। সাজা ঘোষণা হলে তাকে হয়ত জেলে যেতে হত, এখন আর তা হবে না।
আগামী ১২ ডিসেম্বর অস্ত্র মামলায় এবং ১৬ ডিসেম্বর কর ফাঁকির মামলায় আদালতে হান্টার বাইডেনের সাজা ঘোষণার কথা ছিল। বিচারক এখন সেই শুনানির তারিখ বাতিল করে দেবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে শাস্তি মওকুফের সর্বোচ্চ ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। তিনি চাইলে যে কারো দণ্ড মওকুফ করে দিতে পারেন। এক মাস ২০ দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিতে যাওয়া ডনাল্ড ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে পারবেন না।
ছেলেকে ক্ষমা করে জো বাইডেন তার একটি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলেন। গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে বাদ পড়ার আগে ও পরে তিনি বারবার বলেছেন, হান্টারকে নির্বাহী আদেশে ক্ষমা করার পথে তিনি হাঁটবেন না।
এমনকি নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পরও প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছিলেন, হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করা বা সাজা কমানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। কিন্তু বাইডেন শেষ পর্যন্ত যে ক্ষমার ঘোষণায় সই করেছেন, সেখানে কেবল ওই দুই মামলা থেকেই নয়, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্য যে কোনো ফেডারেল অপরাধের শাস্তি থেকে হান্টার বাইডেনকে রেহাই দেওয়া হয়েছে।
অর্থাৎ, ওই সময়টায় ইউক্রেনীয় গ্যাস কোম্পানি বুরিসমারের পর্ষদে বাইডেনপেুত্রের দায়িত্বপালন এবং চীনসহ অন্যান্য বিদেশি কর্মকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততার জন্য তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত আর করা যাবে না।
বিতর্কিত বিদেশি ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য তদন্তের মুখে ছিলেন হান্টার বাইডেন। আর ট্রাম্প বারবার বলে আসছিলেন, ওইসব কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।
ক্ষমার ঘোষণায় জো বাইডেন বলেছেন, তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ, তার ছেলে হওয়ার কারণেই হান্টারকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল এবং তিনি ‘ন্যায়বিচার পাননি’। একই ধরনের অভিযোগে অন্যদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়, হান্টারের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো ঘটেছে ‘অন্যভাবে’।
বিদায়ী প্রেসিডেন্টের ভাষ্য, তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কংগ্রেসে তার ছেলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এগিয়ে নিয়েছে কেবল তাকে ‘আক্রমণ’ করার জন্য এবং তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ ঠেকানোর জন্য।
বিবিসি লিখেছে, বাইডেনের এই সিদ্ধান্ত ডেমোক্রেটিক শিবিরে বিভক্তি তৈরি করেছে। দলের নেতাদের কেউ কেউ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একমত, তাদের মতে হান্টার বাইডেনের বিচার ছিল ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অন্যায্য’। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রেসিডেন্ট নিজের ছেলেকে ক্ষমা করে একটি বাজে নজির গড়লেন।
কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিস এক্স-এ লিখেছেন, “একজন বাবা হিসাবে আমি বুঝতে পারি, ছেলেকে ক্ষমা করে দিয়ে বাইডেন তাকে সাহায্য করতে চেয়েছেন, আর সেটা সহজাত। কিন্তু তিনি তার পরিবারকে দেশের চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন, সে কারণে আমি হতাশ। এটা এমন একটি বাজে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল, পরবর্তী প্রেসিডেন্টরা যার অপব্যবহার করার সুযোগ পাবেন এবং দুঃখজনকভাবে তার (বাইডেনের) সুনাম নষ্ট করবে।”
অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবির প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে তার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জন্য মিথ্যাবাদী আখ্যায়িত করেছে।
প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্য মার্জোরি টেইলর-গ্রিন বলেছেন, ক্ষমা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাইডেন স্বীকার করে নিলেন যে হান্টার একজন ‘অপরাধী’ এবং তিনি নিজে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন ‘মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড’।
|
|
|
|
আফ্রিকার দেশ গিনিতে এক ফুটবল খেলাকে ঘিরে দুইপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ ডিসেম্বর) এএফপি`র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গিনির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এন`জেরকোরে একটি ফুটবল ম্যাচে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে। খেলা চলাকালীন রেফারির একটি সিদ্ধান্তকে ঘিরে সমর্থকরা মাঠে ঢুকে পড়ে এবং এরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সেখানকার একটি হাসপাতালের একজন ডাক্তার বলেছেন, `হাসপাতালে যতদূর চোখ যায় সারিবদ্ধভাবে মৃতদেহ রয়েছে। অন্যরা হলওয়েতে মেঝেতে পড়ে আছে। মর্গ পুরোপুরি পূর্ণ।`
তিনি বলেন, স্থানীয় হাসপাতাল ও মর্গ মৃতদেহে ভরে গেছে। এখানে প্রায় ১০০ জন নিহত হয়েছেন। অন্য একজন ডাক্তার বলেছেন, `বহু সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়েছে।` সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বাইরে রাস্তায় বিশৃঙ্খলার দৃশ্য এবং মাটিতে অসংখ্য লাশ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে এএফপি তাৎক্ষণিকভাবে এসব ভিডিও যাচাই করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা এন`জেরকোর থানায় ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
নিরাপত্তার কারণে নাম গোপন রাখার অনুরোধ করে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এএফপিকে বলেছেন, `রেফারির আপত্তিকর একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। তারপরে সমর্থকরা ফুটবল মাঠে ঢুকে পড়ে ও আক্রমণ চালায়।`
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ম্যাচটি গিনির জান্তা নেতা মামাদি দোমবুয়ার সম্মানে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টের অংশ ছিল।
|
|
|
|
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ব্যক্তিগত সফরে রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন, সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।
সেখানে পৌঁছলে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভ্যর্থনা জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ।
এর আগে রোববার কুয়েতে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন যুবরাজ ।
|
|
|
|
ফিলিস্তিনে ৭৫ বছর বয়সী রাওহি ফাত্তুহকে অন্তর্বর্তী উত্তরসূরি মনোনীত করেছেন দেশটির ৮৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার অনুপস্থিতিতে বা মৃত্যুর পর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়, গত বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান ৯০ দিনের বেশি সময়ের জন্য অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না এবং এই সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সাল থেকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতি নিয়মিত আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরপরই মূলত, পরবর্তীতে কে নেতৃত্ব দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ে। এই ঘোষণায় তার মৃত্যুর পর কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তবে ফাত্তুহকে তার উপপ্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়নি, যার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে কে আব্বাসের উত্তরসূরি হবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামোতে মাহমুদ আব্বাসের কোনো ডেপুটি প্রেসিডেন্ট বা উপপ্রধান নেই এবং গত মাসের শুরুর দিকে রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছিল, সৌদি আরব মাহমুদ আব্বাসকে তার একজন ডেপুটি নিয়োগ দিতে চাপ দিয়েছে। তবে ইসরায়েলের কৃষিমন্ত্রী আভি দিখতার চলতি সপ্তাহে একদল বিদেশি সাংবাদিককে জানান, যদি হামাসের কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের দখল নেবে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মাহমুদ আব্বাস চার বছরের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু তারপর থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই হয়নি। বর্তমানে তিনি খুবই অজনপ্রিয় এবং গত সেপ্টেম্বরের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, পশ্চিম তীরের ৮৯ শতাংশ ফিলিস্তিনি তার পদত্যাগ চান। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন রাওহি ফাত্তুহ। যিনি ২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর অস্থায়ী নেতা হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
|
|
|
|
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের মধ্যে থাকা মন্ত্রী-এমপিসহ বেশ কয়েকজনের যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে। হাসিনার ঘনিষ্ঠরা যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে ৪০ কোটি পাউন্ডের (৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। প্রতিবেদনে ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপ, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার নাসা গ্রুপ এবং সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নাম এসেছে।
হাসিনা প্রবল গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট যখন দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান তখন তার বাসভবন তছনছ করছিল আন্দোলনকারীরা। তিনি এখন ভারতেই রয়েছেন।
এর আগে এই আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সহস্রাধিক মানুষ মারা যায়। আহত হন কয়েক হাজার।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন প্রভাবশালী কিছু পরিবার ও ব্যবসায়ী অবৈধ উপায়ে বিলিয়ন পাউন্ড অর্জন করেছেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার মতো অভিযোগও আছে।
তদন্তকারীরা মনে করেন এসব অর্থ হুন্ডি করে পাচার হয়ে থাকতে পারে। হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর দক্ষিণ এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এখন বাংলাদেশের নতুন সরকার ও তদন্তকারীদের মতে এসব অবৈধ অর্থের কিছুটা যুক্তরাজ্যে গেছে।
গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, দ্যা অবজারভার ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্রিটিশ আবাসন খাতে বিনিয়োগ করেছে ৪০ কোটি পাউন্ড কিংবা তারও বেশি। এর মধ্যে সাড়ে তিনশর মতো প্রোপার্টি আছে, যার মধ্যে ফ্ল্যাট থেকে শুরু করে বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এবং কিছু অফশোর কোম্পানির নামে এসব সম্পদ যেসব প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী কিনেছেন তার মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের দুই মন্ত্রীও আছেন। যদিও এসব সম্পদের মালিকরা বলছেন, অভিযোগগুলো বাংলাদেশের নতুন সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ।
বেক্সিমকো গ্রুপ বলেছে, গার্ডিয়ানের সংবাদ তাদের নজরে এসেছে এবং তাদের বিশ্বাস নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উন্মোচিত হবে এবং প্রকৃত ঘটনাগুলো সবার সামনে স্পষ্ট হবে।
বাংলাদেশের সিআইডি আগেই জানিয়েছে যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, শূল্ক ফাঁকি, ভ্যাট ফাঁকি, আন্ডার ইনভয়েসিং/ওভার ইনভয়েসিং করে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি রোববার উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেখানে উল্লেখ করেছে যে, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট এসব ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে।
যদিও টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া জটিল ও দীর্ঘসময়সাপেক্ষ বিষয়। তাছাড়া টাকাটা যে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে সেটাও আদালতে প্রমাণ হতে হবে। তবে আশার কথা সরকার গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কাজ করছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের নেয়া পদক্ষেপগুলো গার্ডিয়ানের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকায় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেক্মিমকো ও বসুন্ধরা গ্রুপসহ কয়েকটি শিল্প গোষ্ঠীর বিষয়ে তারাও কাজ করছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে যে ধারণা পাওয়া গেছে তা হলো সিআইডির একটি টাস্কফোর্স কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো তদন্ত করে দেখছে। ওই টাস্কফোর্সই মূলত দেখবে বিদেশে পাচার করা হলে সেই অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি। গার্ডিয়ানের রিপোর্টে ৪০ কোটি পাউন্ডের কথা বলা হলেও এটি আরও অনেক বেশি হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে এটি অনেক জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। বাংলাদেশ ও যে দেশে টাকা পাচার হয়েছে সেখানকার পারস্পারিক আইনি প্রক্রিয়ায় এটি সম্ভব।’
ইফতেখারুজ্জামানের মতে, অল্প সময়ের মধ্যে এই টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব কঠিন। তবে যেসব দেশে এসব শিল্পগোষ্ঠী সম্পদ গড়েছে তাদের সরকারগুলো বাংলাদেশের প্রতি এখন সহানুভূতিশীল। কিন্তু তারপরেও প্রথমত বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাকাটা যে পাচার হয়ে গেছে সেটা আদালতে প্রমাণ হতে হবে। বাংলাদেশে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে উন্নত দেশে যেসব দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে তার এক শতাংশেরও বেশি ফেরত আসার দৃষ্টান্ত কম।
তার মতে যেসব দেশে পাচার হওয়া অর্থ গেছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না। ‘সে দেশে টাকা নেয়া, বিনিয়োগ করাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অর্গানাইজড গোষ্ঠী সহায়তা করেছে। না হলে এটা হতে পারতো না।’ বলেন ইফতেখারুজ্জামান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
|
|
|
|
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও বহু মানুষ। গত শুক্রবার ২ শতাধিক যাত্রী নিয়ে দেশটির নাইজার নদীতে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে শুক্রবার ভোররাতে একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর নাইজেরিয়ার নাইজার নদী থেকে অন্তত ৫৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এছাড়া ডুবে যাওয়া নৌকাটির আরোহী চব্বিশ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে যাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও হাসপাতালে রয়েছেন। এছাড়া আরও কয়েক ডজন মানুষ নিখোঁজ হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিখোঁজদের খোঁজে ডুবুরিরা এখনও নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন তবে সময় গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সাথে তাদের বেঁচে থাকার আশা ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। যাত্রীদের মধ্যে বাজারের ব্যবসায়ী ও ক্ষেতমজুর রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি তবে অনেক যাত্রীই প্রয়োজন অনুসারে লাইফ জ্যাকেট পরে ছিলেন না বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। দায়িত্বে থাকা স্থানীয় এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, নৌকায় ঠিক কারা উঠেছিলেন সে সম্পর্কে সঠিক বিবরণ পাওয়া কঠিন কারণ সেখানে কোনও রেকর্ড রাখা ছিল না।
নৌকাডুবে বহু মানুষের মৃত্যু অবশ্য নাইজেরিয়ায় বিরল কোনো ঘটনা নয়। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাইজেরিয়ার নাইজার প্রদেশে নৌকাডুবে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
|
|
|
|
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় আরও ৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, দখলদার ইসরায়েলের হামলায় রোববার ৩৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার ১০ জন। হামলার ঘটনায় এখনও অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে স্থানীয়রা চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৪২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি মানুষ।
এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ইসরায়েল ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
|
|
|
|
ভারতের দিল্লি আজ বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা রয়েছে পাঁচ নম্বরে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২৯ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এসব তথ্য।
বিশ্বের বায়ুদূষণ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির দূষণ স্কোর ২৫৩ অর্থাৎ এই শহরের বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর এবং এই শহরের দূষণ স্কোর ২২৬ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।
তৃতীয় নম্বরে রয়েছে পাকিস্তানের আরেক শহর করাচি। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৯৩ অর্থাৎ সেখানকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। চতুর্থ নম্বরে রয়েছে ঘানার আক্রা। এই শহরটির দূষণ স্কোর ১৮৭ অর্থাৎ সেখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর।
এরপর রয়েছে রাজধানী ঢাকা। ঢাকার দূষণ তালিকায় স্কোর ১৭৯ অর্থাৎ এখানকার বাতাসও অস্বাস্থ্যকর।
|
|
|
|
ফিলিস্তিনে ৭৫ বছর বয়সী রাওহি ফাত্তুহকে অন্তর্বর্তী উত্তরসূরি মনোনীত করেছেন দেশটির ৮৯ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তার অনুপস্থিতিতে বা মৃত্যুর পর দায়িত্ব গ্রহণের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়, গত বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান ৯০ দিনের বেশি সময়ের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন না এবং এই সময়ের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সাল থেকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার স্বাস্থ্যের ক্রমাবনতি নিয়মিত আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরপরই মূলত, পরবর্তীতে কে নেতৃত্ব দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা বাড়ে। এই ঘোষণায় তার মৃত্যুর পর কী হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তবে ফাত্তুহকে তার উপপ্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়নি, যার অর্থ দীর্ঘ মেয়াদে কে আব্বাসের উত্তরসূরি হবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামোতে মাহমুদ আব্বাসের কোনো ডেপুটি প্রেসিডেন্ট বা উপপ্রধান নেই এবং গত মাসের শুরুর দিকে রয়টার্সকে একটি সূত্র জানিয়েছিল, সৌদি আরব মাহমুদ আব্বাসকে তার একজন ডেপুটি নিয়োগ দিতে চাপ দিয়েছে। তবে ইসরায়েলের কৃষিমন্ত্রী আভি দিখতার চলতি সপ্তাহে একদল বিদেশি সাংবাদিককে জানান, যদি হামাসের কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হওয়ার চেষ্টা করেন, তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরের দখল নেবে। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে মাহমুদ আব্বাস চার বছরের জন্য ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু তারপর থেকে কোনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনই হয়নি। বর্তমানে তিনি খুবই অজনপ্রিয় এবং গত সেপ্টেম্বরের এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, পশ্চিম তীরের ৮৯ শতাংশ ফিলিস্তিনি তার পদত্যাগ চান। অন্যদিকে, ফিলিস্তিনের শীর্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ফিলিস্তিন জাতীয় পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন রাওহি ফাত্তুহ। যিনি ২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর অস্থায়ী নেতা হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
|
|
|
|
প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভ্যর্থনা জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ।
রিয়াদ: সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি ব্যক্তিগত সফরে রবিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছেছেন, সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে।
সেখানে পৌঁছালে দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।
এর আগে রোববার কুয়েতে উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেন যুবরাজ ।
|
|
|
|
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলছে। তবে এমন যুদ্ধকালীন সময়েও বিভিন্ন দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত নয়টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
এ বছর ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ক্যারিবিয়ান ও ইউরোপের দেশ। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন।
অপরদিকে ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর মধ্যে বাহামাস, ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো, জ্যামাইকা ও বার্বাডোস।
চলতি বছরের ২১ জুন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় আর্মেনিয়া। এছাড়া এখন পর্যন্ত চলতি বছর ফিলিস্তিনকে সর্বশেষ স্বীকৃতি দেয়া দেশ হচ্ছে বার্বোডোস। বার্বোডোস ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এ বছরের বছরের ২০ এপ্রিল।
উল্লেখ্য, গাজায় এখনও অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক।
|
|
|
|
শিয়া-সুন্নিদের দাঙ্গায় রক্তাক্ত পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কুররাম। ১১ দিন ধরে চলমান দাঙ্গায় প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ১৩০। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় কুরুক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাটি। রোববার (১ ডিসেম্বর) ওই এলাকার শুধু এক হাসপাতালেই এসেছে অর্ধশত মরদেহ। গুরুতর আহত হয়ে ভর্তি হয়েছে শতাধিক। সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে কুররামে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বের জেরে সহিংসতা চলমান। সেখানে নতুন করে সহিংসতার শুরু গত ২১ নভেম্বর, জেলার বাগান শহরে শিয়া মুসলমানদের একটি গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলাতে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়।
হামলার পরদিন থেকেই সুন্নিদের ওপর শিয়াদের প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু হয়। যদিও এখনও কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এরপর গত ২৪ নভেম্বর প্রাদেশিক সরকারের মধ্যস্থতায় বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। কিন্তু তাতেও উন্নতি হয়নি বাস্তব চিত্রের। শেষে সরকার সেখানে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
|
|
|
|
বিকাশমান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো নতুন মুদ্রা আনতে চাইলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার তিনি নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ তথ্য জানান। খবর রয়টার্সের।
ট্রাম্প বলেন, মার্কিন ডলার থেকে ব্রিকস দেশগুলোর দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা আর সহ্য করা হবে না। আমরা চাই, তারা অঙ্গীকার করবে যে, নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না এবং ডলারের বিকল্প কোনো মুদ্রাকে সমর্থন দেবে না। অন্যথায়, তারা শতভাগ শুল্কের সম্মুখীন হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার হারাবে।
এদিকে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ব্রিকসের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি ছিল, ডলারের বিকল্প একটি মুদ্রা ব্যবস্থা তৈরি করা। বর্তমানে যেকোনো আন্ত-রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ও ঋণের ক্ষেত্রে মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়। বিশ্বব্যাংক নিয়ন্ত্রিত বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থার মূল মুদ্রাও মার্কিন ডলার।
এই কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য যেকোনো দেশকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। এসব নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, ইরান ও চীন।
এর আগে, ২০১১ সালে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত হয় ব্রিকস জোট। চলতি বছর ইরান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া এবং মিশর এর নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ২০২৩ সালে ব্রিকসের জন্য একটি সাধারণ মুদ্রা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যার লক্ষ্য ছিল মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমানো। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর জানিয়েছিলেন, ৩৪টি দেশ এই জোটে যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ব্রিকস নিজস্ব মুদ্রা ও ডলারের বাইরের ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে রাশিয়া, চীন এবং ইরানের মতো দেশগুলো পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হবে। তবে জোটের ভিন্ন ভিন্ন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে খুব শিগগির একটি নতুন মুদ্রা প্রচলনের সম্ভাবনা আপাতত কম।
|
|
|
|
|
|
বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন চাইলেন মমতা |
............................................................................................. |
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাইছেন ড. ইউনূস |
............................................................................................. |
ইউক্রেনের আরও দুই অঞ্চল দখলে নিলো রুশ বাহিনী |
............................................................................................. |
ছেলেকে শাস্তি থেকে বাঁচিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন |
............................................................................................. |
গিনিতে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত প্রায় ১০০ |
............................................................................................. |
তিন বছর পর আমিরাত সফরে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান |
............................................................................................. |
ফিলিস্তিনে রাউহি ফাত্তুহকে উত্তরসূরি ঘোষণা করেছেন মাহমুদ আব্বাস |
............................................................................................. |
যুক্তরাজ্যে হাসিনার ঘনিষ্ঠদের বিপুল সম্পদের কী হবে |
............................................................................................. |
নাইজেরিয়ায় নৌকা ডুবে নিহত অন্তত ৫৪ |
............................................................................................. |
ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত |
............................................................................................. |
দিল্লির বায়ু আজ খুব অস্বাস্থ্যকর, পাঁচ নম্বরে ঢাকা |
............................................................................................. |
ফিলিস্তিনে রাউহি ফাত্তুহকে উত্তরসূরি ঘোষণা করলেন মাহমুদ আব্বাস |
............................................................................................. |
তিন বছর পর আমিরাত সফরে সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স বিন সালমান |
............................................................................................. |
২০২৪ সালে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে যেসব দেশ |
............................................................................................. |
শিয়া-সুন্নি দাঙ্গায় রক্তাক্ত পাকিস্তান, ১১ দিনে নিহত ১৩০ |
............................................................................................. |
ডলারের বিকল্প আনলে ব্রিকস দেশগুলোতে ১০০% শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের |
............................................................................................. |
গাজাজুড়ে ইসরাইলের বর্বর হামলা, নিহত আরও ১০০ ফিলিস্তিনি |
............................................................................................. |
চীনে বিশ্বের ‘সর্ববৃহৎ’ স্বর্ণের খনির সন্ধান |
............................................................................................. |
সিরিয়ার আলেপ্পোর অর্ধেক বিদ্রোহীদের দখলে |
............................................................................................. |
উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফিনজাল’ |
............................................................................................. |
বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেবে না কলকাতার হাসপাতাল |
............................................................................................. |
তিনমাস পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে জানাজা পড়ল লেবাননবাসী |
............................................................................................. |
উত্তর গাজায় বড় বিমান হামলা, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১০০ |
............................................................................................. |
স্বেচ্ছামৃত্যুর বিলে সমর্থন দিলেন যুক্তরাজ্যের এমপিরা |
............................................................................................. |
চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে : জাতিসংঘে বাংলাদেশ |
............................................................................................. |
পি কে হালদারের পরবর্তী হাজিরা ৩ ডিসেম্বর |
............................................................................................. |
নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ প্রায় ২০০ |
............................................................................................. |
সিরিয়ার আলেপ্পোয় ঢুকে পড়েছে বিদ্রোহীরা |
............................................................................................. |
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১১০ |
............................................................................................. |
ইসকনের শুরু কীভাবে, এটি কী বিশ্বে নিষিদ্ধ? |
............................................................................................. |
ভারত-বাংলাদেশ সচিব পর্যায়ে বৈঠকের সম্ভাবনা, বন্ধ হচ্ছে না দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য |
............................................................................................. |
জান্তাপ্রধানকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানার আবেদনকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ |
............................................................................................. |
উগান্ডায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু, বহু হতাহতের আশঙ্কা |
............................................................................................. |
সিরিয়ায় সরকারি ও বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ২০০ |
............................................................................................. |
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৮ প্রাণহানি, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ হাজার ৩৩০ |
............................................................................................. |
ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ২৭ |
............................................................................................. |
শিশুদের সুরক্ষায় সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নতুন আইন অস্ট্রেলিয়ায় |
............................................................................................. |
ইসকন ইস্যুতে কলকাতায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের বিক্ষোভ |
............................................................................................. |
বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্প প্রশাসনে মনোনীত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে |
............................................................................................. |
ইসরায়েলকে আরও ৬৮ কোটি ডলারের অস্ত্র দেবে বাইডেন প্রশাসন |
............................................................................................. |
নতুন করে আট মামলায় ইমরান খান-বুশরা বিবি |
............................................................................................. |
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে কারফিউ জারি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী |
............................................................................................. |
আজমীর শরীফের নিচে মন্দির থাকার দাবি, খতিয়ে দেখতে বলল আদালত |
............................................................................................. |
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে ৩৩ প্রাণহানি |
............................................................................................. |
কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ ভিসা বন্ধের হুঁশিয়ারি |
............................................................................................. |
হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা |
............................................................................................. |
ইসলামাবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পিছু হটলো পিটিআই |
............................................................................................. |
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক পুরুষ ১১২ বছর বয়সে মারা গেছেন |
............................................................................................. |
লেবাননের সাথে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ইসরাইলের |
............................................................................................. |
ইসলামাবাদের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা, বড় অভিযানের শঙ্কা |
............................................................................................. |
|
|