সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তুরস্কে গেলো বিশেষ উদ্ধারকারী দল
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়াবহ ভূমিকম্পপরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম ও সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ উদ্ধারকারী দল তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। দলটিতে সেনাবাহিনী থেকে ২৪ জনের একটি মধ্যম উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ জন সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। আকস্মিক এ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি, স্থাপনা ধ্বংস এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ভূমিকম্পপরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানায় তুরস্ক সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গাজীয়ান্তেপ প্রদেশে উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসাসুবিধা প্রদানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৪৬ সদস্যের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বিমানযোগে তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।
ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজার গ্রুপের (আইএনএসএআরএজি) নীতিমালার আলোকে ২৪ জন সেনাসদস্য এবং ১২ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যের সমন্বয়ে ৩৬ সদস্যের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ গমন করেছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর দুটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য গমন করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপকে তুর্কি সরকার আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : ভয়াবহ ভূমিকম্পপরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম ও সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ উদ্ধারকারী দল তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। দলটিতে সেনাবাহিনী থেকে ২৪ জনের একটি মধ্যম উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ জন সদস্য রয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিরিয়া এবং তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। আকস্মিক এ ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি, স্থাপনা ধ্বংস এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নাগরিক সুবিধাসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, ভূমিকম্পপরবর্তী উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানায় তুরস্ক সরকার। সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গাজীয়ান্তেপ প্রদেশে উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসাসুবিধা প্রদানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ৪৬ সদস্যের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল বিমান বাহিনীর সি-১৩০ বিমানযোগে তুরস্কের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে।
ইন্টারন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অ্যাডভাইজার গ্রুপের (আইএনএসএআরএজি) নীতিমালার আলোকে ২৪ জন সেনাসদস্য এবং ১২ জন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদস্যের সমন্বয়ে ৩৬ সদস্যের আরবান সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ গমন করেছে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১০ সদস্য বিশিষ্ট সেনাবাহিনীর দুটি মেডিকেল টিম প্রয়োজনীয় ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য গমন করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের এই পদক্ষেপকে তুর্কি সরকার আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে এ ধরনের সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।
|
|
|
|
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রাণবন্ত একজন মানুষ। তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফল। দক্ষতার সঙ্গে তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘এ ভাষণটাই বোধহয় তার শেষ ভাষণ। কারণ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী কেউ পরপর দুইবারের বেশি রাষ্ট্রপতি থাকতে পারেন না।’
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারপ্রধান এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি শুরু করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি তিনি অত্যন্ত প্রাণবন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার সময়ে শেষপর্যায়ে চলে এসেছেন এবং ভাষণ দিয়ে গেছেন। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হিসেবেও তিনি জাতীয় সংসদকে প্রাণবন্ত রেখেছিলেন। তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।’
আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে। এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। এই একটা সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন করে দিয়েছে। যারা আগে মনে করতেন, বাংলাদেশ কোনো দিন ওঠে দাঁড়াতে পারবে না। পঁচাত্তরের পর যারা এসেছিলেন, তাদের সে প্রচেষ্টাই ছিল। আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়েছে। আমরা যে পারি, সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’
সবক্ষেত্রে ডিজিটাল সেবা চালু করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখন দলিল-পরচা ঘরে বসে নেওয়া যায়। যে কোনো বিল ঘরে বসে পরিশোধ করা যায়। দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নে সরকার সব করে যাচ্ছে।’
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলায় সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু হলো।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন ইরফান সেলিম আদালতে উপস্থিত না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।
মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন- ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত আছেন এবং কাজী রিপন পলাতক।
২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এসময় ধানমন্ডিতে হাজি সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দু`-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপিদলীয় এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে সদ্য অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিজয়ী ছয়জন সংসদ সদস্য শপথ নিয়েছেন। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার সংসদ ভবন কার্যালয়ে নতুন এমপিদের এ শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ নেওয়া নবনির্বাচিত ছয় সংসদ সদস্য হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (জাতীয় পার্টি), বগুড়া-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ, কে, এম রেজাউল করিম তানসেন (জাসদ), বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মু. জিয়াউর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা (স্বতন্ত্র)।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
শপথ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, শিরীন আখতার এমপি, ফখরুল ইমাম এমপি, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল এমপি, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি ও ফেরদৌসী ইসলাম এমপি উপস্থিত ছিলেন।
শপথগ্রহণ শেষে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা রীতি অনুযায়ী শপথ বইয়ে সই করেন।
বিএনপিদলীয় এমপিদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ছয়টি সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয় গত ১ ফেব্রুয়ারি।
|
|
|
|
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ার ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে এ শোক পালন করা হবে। বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলো জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭মিনিটে তুরস্ক-সিরিয়ায় আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। তুরস্ক-সিরিয়ায় চলতি শতাব্দীর ভয়াবহতম এ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। কেবল তুরস্কেই প্রাণহানি দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১০৮ জন। আর সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৭০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই দেশ মিলিয়ে এই মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা ৯ হাজার ৫৭৮ জন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। তাদের প্রচেষ্টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে পেরেছি।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির আগে এপ্রিলে পরীক্ষা হলেও এবার মহামারি ও কিছু অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটার ফলে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠ ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান ছিল। এবারের পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ১২টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে।
দীপু মনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি, এখন আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। আমরা এবার ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহণ করেছি। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছে, এমনকি আজকের ফলাফলও তারা অনলাইনে জানতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকের পর উচ্চশিক্ষা বা কারিগরি শিক্ষা, যে পথেই যান না কেন, যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পথে যাবেন। যেন দক্ষ, যোগ্য ও অবদানক্ষম নাগরিক হয়ে উঠতে পারেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনারা অবদান রাখবেন।
এর আগে, বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে ফল ঘোষণা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে। সামনে ভালো করার জন্য নতুন করে যেন উদ্যোগ নেয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন ফেল করবে?
তিনি বলেন, আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এর প্রধান হাতিয়ার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার উদ্যোগ দিয়েছি। অনেকগুলো কৃষি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিয়ম করেছিলাম, ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এবার আপনারা ৬০ দিনের আগেই দিয়েছেন। তাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, জাতির জনক সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছেন। আজকের ছেলে-মেয়েরাই তো সোনার মানুষ।
আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে গবেষণা হচ্ছে। কৃষির গবেষণায় খুব ফল পাচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন হয়। সব সেক্টরকে গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
মাদরাসা শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং নিতে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সচিব ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপাের্ট : উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় চামেলী হলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে তার আগেই নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করা হবে। এ সময় থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএস করে ফল দেখতে পারবেন।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন।
এ বছর দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়। ১৩ ডিসেম্বর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ও ২২ ডিসেম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।
যেভাবে জানা যাবে ফলাফল
মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।
আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : অমর একুশে বইমেলার সপ্তমদিনে নতুন বই এসেছে ১০৮টি। মেলার বিভিন্ন স্টলে পাওয়া যাচ্ছে এসব বই। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমির জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সপ্তমদিনে আসা ১০৮ নতুন বইয়ের মধ্যে কবিতার বই ৩১টি, উপন্যাস ১৬টি, গল্প ১৩টি, প্রবন্ধ দুটি, গবেষণা দুটি, শিশুসাহিত্য দুটি, জীবনী পাঁচটি, ভ্রমণবিষয়ক একটি, ইতিহাস বিষয়ক একটি, রাজনীতি একটি, স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি, অনুবাদ দুটি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক তিনটি, বিজ্ঞানবিষয়ক তিনটি, সায়েন্স ফিকশন একটি ও অন্যান্য ১৩টি বই রয়েছে।
এদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ। এতে ‘মাহবুব তালুকদার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গাজী রহমান। ‘আলী ইমাম’ শীর্ষক আহমাদ মাযহার লিখিত প্রবন্ধ তার অনুপস্থিতিতে পাঠ করেন মোকারম হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. নিমাই মÐল, আমীরুল ইসলাম এবং ওমর কায়সার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদুর রেজা সাগর।
প্রাবন্ধিকেরা বলেন, জীবনের বিচিত্র বিকাশে এবং ব্যক্তিত্বের বহুতর প্রকাশে মাহবুব তালুকদারের অবস্থান তার অবিচল দৃঢ়তা এবং আত্মবোধের প্রতিপূর্ণ আস্থাই প্রমাণ করে। তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান রূপকার ও ছোটোগল্পের পারঙ্গম লেখক।
অপরদিকে, পাঠ্যপুস্তকের নানা অনুশাসনের বাইরে শিশু-কিশোরদের অনাবিল আনন্দদান ও তাদের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটানোর দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন আলী ইমাম। তার শিশুসাহিত্যপ্রীতি কেবল লেখালেখিতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বিস্তৃত ছিল বেতার-টিভির ছোটোদের অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা থেকে শুরু করে শিশুসংগঠনের প্রতিষ্ঠা ও বিকাশ পর্যন্ত।
আলোচকরা বলেন, গভীর অনুভূতিসম্পন্ন সাহিত্যিক মাহবুব তালুকদারের লেখায় মানুষের জীবন, অন্তরের জগতের কথা উঠে এসেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তিনি যেমন সমাজসচেতন ছড়া লিখেছেন, তেমনি আবার গভীর ভালোবাসার কবিতাও লিখেছেন। উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেও বাংলাসাহিত্যে তিনি তার প্রতিভার সাক্ষর রেখে গেছেন।
সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব আলী ইমাম ছিলেন বহুমাত্রিক, চঞ্চল ও প্রাণবন্ত একজন মানুষ। বিজ্ঞানের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তার আগ্রহ নির্দিষ্ট হয়নি। বাংলা শিশুসাহিত্যের অনন্য প্রাণবান লেখক আলী ইমাম যে-সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন তা শিশুদের বিশ্ব নাগরিক হয়ে বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সভাপতির বক্তব্যে ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আলী ইমাম ও মাহবুব তালুকদার বাংলাসাহিত্যের উজ্জ্বল দুটি নাম। তারা তাদের চিন্তা, চেতনা ও সাহিত্যকর্ম দিয়ে আমাদের মধ্যে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।
আজ লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন আবুল কাসেম, সাকিরা পারভীন, জালাল ফিরোজ ও পলাশ মাহবুব।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি জাহিদুল হক, গোলাম কিবরিয়া পিনু ও ইউসুফ রেজা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী কাজী মাহতাব সুমন, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী ও সংগীতা চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী তপন মজুমদার, মনোতোষ চক্রবর্তী, শামসেল হক চিশতি, এ এইচ এম সালাউদ্দিন, অণিমা মুক্তি গোমেজ, মো. মোখলেসুর রহমান ও মো. মুরাদ হোসেন। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন দীপক কুমার দাস (তবলা), রবিনস্ চৌধুরী (কী-বোর্ড), রতন কুমার রায় (দোতারা), মো. হাসান আলী (বাঁশি) ও বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।
|
|
|
|
রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলো দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে। আওয়ামী লীগ থেকে কাকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেবে এ জন্য দলটির সংসদীয় দলের বৈঠকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে কে রাষ্ট্রপতি হবেন তাদের নাম আলোচনা করা হয়নি। বিষয়টি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তিনি নাম প্রস্তাব করবেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল শেষ হবে। এর আগেই বেছে নিতে হবে দেশের রাষ্ট্রপতি। এরই মধ্যে এ পদে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তফসিল অনুযায়ী, ১২ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। একাধিক প্রার্থী থাকলে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ভোটগ্রহণ-পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ-সদস্যরা ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন। তবে, সংসদে আওয়ামী লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। এছাড়া রাষ্ট্রপতি পদে অন্য কোনো দল এখনও তাদের প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা দেয়নি।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদ-সদস্যরাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটার। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। এ পদে প্রার্থীর প্রস্তাবক এবং সমর্থকও হতে হয় সংসদ সদস্য থেকে।
|
|
|
|
আগামী অক্টোবর মাসে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের আংশিক অংশের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যেও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের কাজ এগিয়ে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবরে মূল ইনফ্রাস্ট্রাকচার কাজ শেষ হয়ে যাবে।
দেশের অ্যাভিয়েশন খাতে নীরব বিপ্লব চলছে উল্লেখ করে মো. মাহবুব আলী বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে বর্ধিতকরণসহ চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোর বিমানবন্দরে উন্নয়নকাজ চলছে। এ ছাড়াও বিমানের বহরে নতুন নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেকসহ বিমান ও বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : প্রকল্পে অর্থায়নে জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি করার প্রস্তাব দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরির সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ প্রস্তাব দেন প্রতিমন্ত্রী। বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জাপানের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুসারে গৃহীত প্রকল্পে আগামী ৫ বছরে আরও ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লাগবে। যৌথভাবে একটি অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি করা যেতে পারে। এতে বাংলাদেশের অর্থ ও সময় উভয়ই সাশ্রয় হবে। এ জন্য বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটকে (বিপিএমআই) আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিষ্ঠান করতে সহযোগিতা করতে পারে জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।’
নসরুল হামিদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা প্রয়োজন, যা সবখাতকে নেপথ্যে থেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জ্বালানি খাতের (গ্যাস ও তেল) বিস্তারিত মহাপরিকল্পনা নেওয়া ও বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে পারে জাপান।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে সবসময় সহযোগিতা করবে জাপান। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করবে জাইকা। গ্যাস মিটার তৈরিতে জাপানিজ কোম্পানি অনুদার সাফল্য দেখে জাপানের আরও ছোট-বড় কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আসবে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র ধারণা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পরিবর্তন করে উন্নত বাংলাদেশে পরিণত করবে।
এ সময় মাতারবাড়ি পাওয়ার হাব, ভূগর্ভস্থ তার ও সাবস্টেশন, প্রিপেইড মিটার, স্মার্ট মিটার, গ্যাস মিটার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আগত প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : মেট্রোরেলের র্যাপিড পাস দিয়ে নগর পরিবহনের সব বাসে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকের সভায় মেট্রোরেলে যাত্রীরা যাতে একই র্যাপিড পাস দিয়ে নগর পরিবহনে যাতায়াত করতে পারেন, এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। একটি কার্ডেই নগরবাসী মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহনে চলতে পারবেন।
তিনি বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন। সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে।
সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক, দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমেদসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (রোহিঙ্গা) চীন বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রতিবেশী হিসেবে চীন এ সমস্যা সমাধানে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়রি) পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি একটি জটিল সমস্যা, যা ৬ বছর বছর ধরে ঝুলে আছে। এর সঙ্গে অনেক পক্ষ জড়িত। চীন এক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করছে। তবে দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করেছে জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট দেশ গড়ার যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তা পূরণে পাশে থাকবে চীন। বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এসময় চীনের পক্ষ থেকে বিনিয়োগ বাড়াতে আগামী মাসে বিজনেস সামিট আয়োজন করার কথাও জানান রাষ্ট্রদূত। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানেও চীন সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে চীনা রাষ্ট্রদূত দেশের মধ্যে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলাপ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূত দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে কাজ করবেন বলে জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, এ বছর চীনের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ হতে যাচ্ছে। সামনে আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প আসছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।
গত বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে একটি ‘বিস্ময়কর’ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। চলতি বছরকে একটি জটিল সময় উল্লেখ করে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানান। ইয়াও ওয়েন বলেন, সোনার বাংলা বির্নিমাণে বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা করা হবে। এটা প্রযুক্তি খাত হতে পারে। তাছাড়া খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষি খাতে আরও বিনিয়োগ করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতেও চীন বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান রাষ্ট্রদূত। চীন আরও অর্থনৈতিক জোন স্থাপনে নজর দিতে পারে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য চালুর বিষয়ে আলাপ চলছে বলে জানান। এ বিষয়ে চীন প্রস্তুত জানিয়ে এ বছরই ঘোষণা আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নতুন এ চীনা রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগের মাধ্যমে বন্ধুত্বকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চীনা রাষ্ট্রদূত। চীনের কাছ থেকে প্রযুক্তিখাতসহ অনেক বিষয়ে শিক্ষণীয় আছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : মেট্রোরেলের পিলারে যারা পোস্টার লাগিয়েছেন, নিজ দায়িত্বে সেগুলো না সরালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সড়ক ব্যবস্থার উন্নয়নে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এখন প্রায়োরিটি হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণে আনা।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মৎসভবন এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন দৃশ্যমান। এখন প্রায়োরিটি হলো অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিশৃঙ্খলাকে নিয়ন্ত্রণে আনা। জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। ইজিবাইকগুলো নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসার কাজ শেষপর্যায়ে। সড়কে নিরাপত্তা সবাই চায়, ফলে সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
কাদরে বলেন, বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান অবশ্যই লজ্জার। এসব মানুষেরই সৃষ্টি। প্রতিরোধে যে ব্যবস্থা সংশ্লিষ্টদের, সেগুলো খুবই বাজে।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি (রাজনৈতিক) প্রতিদিন আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে যে কর্মসূচি তা পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি নয়। জনগণের জানমাল রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। আর তাই নির্বাচনের আগে আমাদের দলীয় কর্মসূচি থাকবে।
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কিছু জানি না। আজকের সংসদীয় বৈঠকে এটা এজেন্ডা আকারে আসতে পারে। আজকে সবকিছু হয়ে যাবে এমন নয়। ১৯ তারিখ নির্বাচন, তার আগে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপোর্ট : কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি, এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। তবে কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি সেটি নির্ধারণ হবে সন্ধ্যায়।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। আর সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি।
সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, তার আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। সে কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়।
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে। সে হিসেবে, নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছে।
তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে ভোট গ্রহণ করা হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এখানে ভোটার খোদ সংসদ সদস্যরা। আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।
আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তবে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচিত হচ্ছে।
তাদের মধ্যে রয়েছেন- স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন- সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী দিনের জন্য যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। তবে আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট উত্তরণে সঠিক অবস্থান নিতে পারবেন, এমন একজনকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন।
|
|
|
|
|
|
|