মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় কয়েক দফায় হট্টগন্ডগোল
মিয়া আবদুল হান্নান : জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মতবিনিময় সভায় কয়েক দফায় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ মতবিনিময় সভা হয়। কম খরচে, দ্রুত কর্মী প্রেরণের নিমিত্তে, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বায়রার সকল সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি’ শিরোনামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বায়রা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় ব্যাপক হট্টগোল
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। এমনকি সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন উত্তেজিত সদস্যরা। এই সময়ে দেয়া হয় হুমকি-ধামকি।২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠন বায়রার আয়োজনে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করে সকল বৈধ এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে মতবিনিময় সভা হট্টগোল দিয়ে শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে একবার শান্ত হলেও আবারও দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মঞ্চে থাকা টেলিভিশনের মাইক্রফোন ফেলে দেয় উত্তেজিত কয়েকজন সদস্য। হট্টগোলের ছবি তুলতে গেলে টেলিভিশনের সাংবাদিককেও হেনস্তা করে সন্ত্রাসী চক্র। এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন তারা। এর প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদকর্মীরা। পরিস্থিতি শান্ত হলে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনি পদক্ষেপ এবং লাইসেন্স বাতিল করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বায়রার সভাপতি আবুল বাসার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আবুল বাসার বলেন, ‘আমার কাছে যদি আপনারা ভিডিও ফুটেজ দিতে পারেন, আমি কথা দিলাম আমি তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সে যেই থাকুক না কেন, আমি প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তাদের লাইসেন্স বাতিল করে কিভাবে এ ব্যবসা থেকে বিতারিত করা যায়, সে ব্যবস্থাও নিব।’ এর আগে মতবিনিময় সভায় ১০০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানোর বিরোধিতা করে সিন্ডিকেট বিরোধী সদস্যরা বক্তব্য দেন। সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনারা দয়া করে কেউ উত্তেজিত না হয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখেন। আমরা আশা করি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে। আপনারা যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছেন, আপনারা এখানে কথা দেন যে আজকে এই মুহূর্ত থেকে আর সিন্ডিকেট থাকবে না। উল্লেখ্য, গত বছরে ২ লাখের বেশি শ্রমিক মালয়শিয়াতে পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরইমধ্যে ৭০ হাজার কর্মী মালয়শিয়াতে গেছেন। বিভিন্ন রিক্রুটিংয়ে ঝুলন্ত রয়েছে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা পাসপোর্ট জমা দান কারীরা, অনেকের গামকা মেডিকেলের মেয়াদ ও শেষ হয়ে গেছে, সেই সকল মালয়েশিয়া গামীরা হয়রানি স্বীকার হয়ে দিনাতিপাত করছে। যে দেখার কেউ নাই।
|
মিয়া আবদুল হান্নান : জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) মতবিনিময় সভায় কয়েক দফায় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ মতবিনিময় সভা হয়। কম খরচে, দ্রুত কর্মী প্রেরণের নিমিত্তে, মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বায়রার সকল সদস্যদের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি’ শিরোনামে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বায়রা। সভায় উপস্থিত ছিলেন বায়রার সাবেক সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপি। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় ব্যাপক হট্টগোল
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার সিন্ডিকেটমুক্ত করার সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল হয়েছে। এমনকি সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেন উত্তেজিত সদস্যরা। এই সময়ে দেয়া হয় হুমকি-ধামকি।২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠন বায়রার আয়োজনে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করে সকল বৈধ এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত করতে মতবিনিময় সভা হট্টগোল দিয়ে শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে একবার শান্ত হলেও আবারও দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে মঞ্চে থাকা টেলিভিশনের মাইক্রফোন ফেলে দেয় উত্তেজিত কয়েকজন সদস্য। হট্টগোলের ছবি তুলতে গেলে টেলিভিশনের সাংবাদিককেও হেনস্তা করে সন্ত্রাসী চক্র। এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেন তারা। এর প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সাংবাদকর্মীরা। পরিস্থিতি শান্ত হলে, ভিডিও ফুটেজ দেখে আইনি পদক্ষেপ এবং লাইসেন্স বাতিল করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন বায়রার সভাপতি আবুল বাসার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আবুল বাসার বলেন, ‘আমার কাছে যদি আপনারা ভিডিও ফুটেজ দিতে পারেন, আমি কথা দিলাম আমি তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। সে যেই থাকুক না কেন, আমি প্রশাসনিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। তাদের লাইসেন্স বাতিল করে কিভাবে এ ব্যবসা থেকে বিতারিত করা যায়, সে ব্যবস্থাও নিব।’ এর আগে মতবিনিময় সভায় ১০০ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়াতে কর্মী পাঠানোর বিরোধিতা করে সিন্ডিকেট বিরোধী সদস্যরা বক্তব্য দেন। সভায় উপস্থিতদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, আপনারা দয়া করে কেউ উত্তেজিত না হয়ে আলোচনার পথ খোলা রাখেন। আমরা আশা করি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে। আপনারা যারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত আছেন, আপনারা এখানে কথা দেন যে আজকে এই মুহূর্ত থেকে আর সিন্ডিকেট থাকবে না। উল্লেখ্য, গত বছরে ২ লাখের বেশি শ্রমিক মালয়শিয়াতে পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয়। এরইমধ্যে ৭০ হাজার কর্মী মালয়শিয়াতে গেছেন। বিভিন্ন রিক্রুটিংয়ে ঝুলন্ত রয়েছে মালয়েশিয়া যাওয়ার টাকা পাসপোর্ট জমা দান কারীরা, অনেকের গামকা মেডিকেলের মেয়াদ ও শেষ হয়ে গেছে, সেই সকল মালয়েশিয়া গামীরা হয়রানি স্বীকার হয়ে দিনাতিপাত করছে। যে দেখার কেউ নাই।
|
|
|
|
প্যারিসের অদূরে অনিয়মিত অভিবাসীদের স্থাপিত একটি অস্থায়ী ক্যাম্প। এসব ক্যাম্পে নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালায় ফরাসি প্রশাসন। ছবি: এএফপি
অভিবাসন সংক্রান্ত পরিসংখ্যানের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেছে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অনিয়মিত অভিবাসীদের ‘ডিপোর্ট’, আশ্রয় আবেদনের রেকর্ড সংখ্যার পাশাপাশি ২০২২ সালে ফ্রান্সে অনিয়মিত অভিবাসীদের বৈধতা পাওয়ার হারও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) অভিবাসন সংক্রান্ত প্রাথমিক পরিসংখ্যানের তথ্য প্রকাশ করেছে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে আশ্রয় আবেদনের জন্য ফরাসি প্রেফেকচুরগুলোতে স্থাপিত ওয়ান স্টপ বুথে ১ লাখ ৩৭ হাজারেরও বেশি প্রথম আশ্রয়ের আবেদন নিবন্ধিত হয়েছিল।
যা ২০২১ সালের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি। এই সংখ্যাটি কোভিড-১৯ মহামারির আগের পরিস্থিতি অর্থ্যাৎ ২০১৯ সালের পরিসংখ্যানের কাছাকাছি। ২০১৯ সালে এক লাখ ৩৮ হাজার ৪২০ প্রথম আশ্রয় আবেদন নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে প্রথম আশ্রয় আবেদন, পুনঃআবেদন, অপ্রাপ্তবয়স্ক, ডাবলিনভুক্ত আশ্রয় আবেদনসহ ২০২২ সালে রেকর্ড এক লাখ ৫৬ হাজার ১০৩টি আশ্রয় আবেদন নিবন্ধিত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০১৯ সালে ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ২৮৩।
প্রথমবারের মতো আশ্রয় আবেদন করা আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে আছে আফগান নাগরিকরা। দেশটির আশ্রয়প্রার্থীরা ২২ হাজার ৫৭০টি আবেদন দায়ের করেছেন। সংখ্যার বিচারে তালিকার পরবর্তী শীর্ষ দেশগুলো হলো ক্রমান্বয়ে বাংলাদেশ, তুরস্ক, জর্জিয়া এবং কঙ্গো থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা।
বাংলাদেশিরা ১০ হাজার ৫৫৪টি আশ্রয় আবেদন করেন। যার মধ্যে আট হাজার ৬০০টি আশ্রয় আবেদন প্রথমবারের মতো নথিভুক্ত করা করা হয়েছে।
নজিরবিহীন পরিসংখ্যান
২০২২ সালে ৬৫ হাজার ৮৩৩ জন ইউক্রেনীয় ফ্রান্সে অস্থারী সুরক্ষার সুবিধা নিয়েছেন। তবে এই সংখ্যায় অপ্রাপ্তবয়স্ক ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা অন্তর্ভুক্ত নয়।
অভিবাসন ও ইন্টিগ্রেশন বিষয়ক ফরাসি দপ্তর অফির মহাপরিচালক দিদিয়ের লেসচি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, যদি আমরা ইউক্রেনীয়দের (আশ্রয় আবেদনে) যোগ করি, তাহলে এটি ফ্রান্সে অভিবাসনের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সংখ্যা হবে।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিবাসী সংখ্যার সত্ত্বেও ফ্রান্সের আশ্রয় কাঠামোর জরুরি আবাসন ব্যবস্থা সংকটে পড়েনি। কারণ বাস্তুচ্যুত ইউক্রেনীয়দের প্রথাগত জাতীয় অভ্যর্থনা ব্যবস্থায় রাখা হয়নি।
রেকর্ড ডিপোর্টেশন
২০২২ সালে ফরাসি ভূখণ্ড ত্যাগের নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিদের নিজ দেশে ডিপোর্ট করার ক্ষেত্রেও রেকর্ড ঘটেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় জানিয়েছে, ২০২২ সালে ১৫,৩৯৬ জন বিদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। যা ২০২১ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি, কিন্তু ২০১৯-এর তুলনায় কম। ২০১৯ সালে ২৩,৭৪৬ জনকে ডিপোর্ট করা হয়েছিল।
টুইটারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানা বলেন, নির্দেশানুসারে অপরাধী বিদেশিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে তিন হাজার ৬১৫ জন বিদেশি অপরাধীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যাটি ছিল এক হাজার ৮৩৪। অর্থাৎ দ্বিগুণ বেশি।
বৈধতার হারও বেড়েছে
২০২২ সালে চাকরিসহ বিভিন্ন বিশেষ নিয়মিতকরণের পদ্ধতিতে ৩৪ হাজার ২৯ জন অভিবাসী বৈধতা পেয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় আট শতাংশ বেশি।
তবে ‘সার্কুলার ভালস’ বা নির্দিষ্ট সময় চুক্তির বিনিময়ে কাজ করে বৈধতা পাওয়ার হার ২৯.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি ফরাসি সংসদে ক্ষমতাসীন দল এবং ডানপন্থি বিরোধী দল লে রিপাবলিকান বা এলআর দলের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করবে।
কারণ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় আসন্ন অভিবাসন বিল সংসদে পাস করতে বিরোধী লে রিপাবলিকান দলের এমপিদের সহায়তা প্রয়োজন হবে বর্তমান রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রঁর জোটের।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি নতুন অভিবাসন বিল মন্ত্রী পরিষদে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই বিলটি আগামী মার্চ মাসে ফরাসি সিনেটে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
নতুন আইনের সর্বোপরি লক্ষ্য হল জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি হিসেবে উপস্থাপিত হওয়া বিদেশিদের বহিষ্কার সহজতর করা। পশাপাশি নতুন আইনে ভাষা এবং কাজের মাধ্যমে ফরাসি সমাজে ইন্টিগ্রেশনের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। এ কার্যক্রম শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি। দেশটির নিয়োগকর্তারা ২৭ জানুয়ারি থেকে ‘লেবার রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০’-এর মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন শুরু করতে পারবেন।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল জাইমি দাউদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন এ তথ্য।
আরটিকে ২.০ নিয়ে একটি ব্রিফিং সেশনে তিনি বলেন, নিয়োগকর্তারা ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ পাওয়ার আগে এই সাইটে অনলাইনেও আবেদন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হতে মাত্র একদিন সময় লাগবে। একবার সম্পূর্ণ হলে, নিয়োগকর্তারা তাদের বিদেশি কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরেন ওয়ার্কার্স মেডিক্যাল এক্সামিনেশন মনিটরিং এজেন্সির (ফমিমা) মাধ্যমে নিতে হবে যাতে তারা সুস্থ এবং তাদের নিজ নিজ সেক্টরে কাজ করতে সক্ষম হয়।
‘পরবর্তী প্রক্রিয়াটি হবে পুনঃনির্মাণ ফি, ভিসা, অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেস), প্রক্রিয়াকরণ ফি এবং শুল্ক প্রদান। যখন সমস্ত নথি সম্পূর্ণ হয়, নিয়োগকর্তারা পিএলকেস মুদ্রণ করতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন কখনোই কোনো ব্যক্তি বা সংস্থাকে এজেন্ট বা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেনি। আরটিকে, যা প্রাথমিকভাবে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছিল, সেটি আবারও চলবে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন চার বাংলাদেশি। আহত হয়েছেন আরও দুজন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টায় কাতারের আল শামাল মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রবাসীদের মধ্যে মোহাম্মদ শাকিল ও মোহাম্মদ ইউসুফ মাতব্বরের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। আর মোহাম্মদ রাহাতের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, অপর নিহত মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
নিহত তিনজনের মরদেহ রাখা হয়েছে স্থানীয় দোহা হামাদ হাসপাতালের মর্গে। আর রাহাতকে শনিবার কাতারের আবু হামুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
অন্যদিকে আহত মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন ও হাবিবুর রহমান অপুকে দোহা হামাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত এই দুজনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
জানা যায়, আল শামাল মহাসড়কে তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুজন। আর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।
কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনজনের মরদেহ দ্রুত দেশে তাদের পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ রায়ফুল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ‘দ্য বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ৩৫ মিলিয়ন দিরহাম (১০৫ কোটি টাকা) জিতেছেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) আমিরাতভিত্তিক দৈনিক খালিজ টাইমস এ নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
আমিরাতের আল আইনে বসবাসরত মোহাম্মদ রায়ফুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছেন কর্তৃপক্ষ।আয়োজকরা জানিয়েছেন, নতুন এই কোটিপতির সঙ্গে যোগাযোগ করার আগ পর্যন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তার টিকিট নম্বর ০৪৩৬৭৮। এছাড়া তার সম্পর্কে আর কিছু জানাতে পারেনি তারা।
তবে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন প্রবাসী সাংবাদিকরাও। প্রায় তিন দশক আগে ১৯৯২ সালে আবুধাবি বিমানবন্দর ও শহরের প্রচারের জন্য বিগ টিকিট লটারি চালু করা হয়েছিল। প্রতি মাসে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম স্থানের জন্য পুরস্কারের অর্থের মূল্য প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয়। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে জানুয়ারিতে প্রথম পুরস্কার ছিল ৩৫ কোটি দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১০৫ কোটি টাকা)।
এই পর্বে দ্বিতীয় পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় নাগরিক উমশাদ উল্লি ভেটিল। তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ দিরহাম। আরও তিন ভারতীয় নিরশাদ নজর, রবিন কাদিয়ান ও আব্দুল বুরহান পুথিয়াভেটিল প্রত্যেকে ১ লাখ দিরহাম করে জিতেছেন।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি ডলার ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত ৭ মাসের মধ্যে এটিই প্রবাসীদের পাঠানো সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স।
তবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের গড়ে যেভাবে রেমিট্যান্স এসেছিল সে তুলনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে কিছুটা কমে গেছে। এ কারণে পুরো মাসেই কমেছে রেমিট্যান্স।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স আসে দেশে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও রেমিট্যান্সের সে ধারা অব্যাহত ছিল। ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা সেপ্টেম্বরেও ২ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আশা করেছিলেন। তবে পরের সপ্তাহগুলোয় ধারাবাহিকতা কমে যাওয়ায় কমে যায় রেমিট্যান্স। অর্থাৎ প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়া আগের দুই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমে যায় সেপ্টেম্বরে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। দ্বিতীয় মাস আগস্টে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ (২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যমতে, সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে মোট ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৫৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের (২০২১ সালের সেপ্টেম্বর) একই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ কম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ ডলার বা প্রায় ১.৭৪ বিলিয়ন ডলার।
আলোচিত সময়ে (সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার। একই সময়ে বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬১ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪১ ডলার।
সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে (৩৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার)। এরপর সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ২৮ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৭২ লাখ, অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৬ লাখ এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯২ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।
তবে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি।
২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে এক লাখ ১১ হাজার ৮৩টি পাসপোর্ট বিতরণ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। বুধবার (১৫ জুন) মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দূতাবাস জানায়, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কর্মীদের দ্রুততম পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাইকমিশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার সময় ও করোনার পরে হাইকমিশন প্রবাসীদের সুবিধার্থে ৫০টি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে পাসপোর্ট বিতরণ করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি অনিয়মিত কর্মীদের বৈধতা নেওয়ার সুবিধার্থে অফিস চলাকালীন বাইরে ও ছুটির দিনেও মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে বিশেষ ব্যবস্থায় পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৫ মাসে ১ লাখ ১১ হাজার ৮৩টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ১ লাখ ৫ হাজার ৪৫০, হাইকমিশন থেকে সরাসরি ৫ হাজার ৬৩৩টি পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে হাইকমিশনে নতুন পাসপোর্টের (রিনিউ) এর জন্য এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে।
এদিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পোস লাজুর (পোস্ট অফিস) মাধ্যমে পাসপোর্ট ডেলিভারি সংক্রান্ত কার্যক্রম আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে কাজ করছে হাইকমিশন, জানালেন, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
এছাড়া দৈনিক অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাড়ানো হয়েছে ও অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডাকযোগে এসব পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হলে প্রথমে appointment.bdhckl.gov.bd ঠিকানায় প্রবেশ করে তথ্য পূরণপূর্বক আবেদন করতে হবে।
এছাড়া ছুটির দিনে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রদেশে কনস্যুলার ভিজিটের সময় সরাসরি পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য appointment.bdhckl.gov.bd/other ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে সেবাপ্রত্যাশীদের একই সঙ্গে দুটি সেবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
চলতি বছরের প্রথম চার মাসে মালয়েশিয়ায় ছয় হাজার ৫৭৩ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। এর মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন ৮২০ জন।
দেশটিতে থাকা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতার করতে গত জানুয়ারি থেকে মে মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত দেশব্যাপী দুই হাজার ৬৫২টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানে গ্রেফতারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নাগরিক রয়েছে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার ৩,১৭২ জন, বাংলাদেশের ৮২০ জন, মিয়ানমারের ৬৪০ জন, ফিলিপাইনের ৫৫৩ জন, থাইল্যান্ডের ৪৪১ জন, ভারতের ২৭৬ জন, কম্বোডিয়ার ১৭০ জন, পাকিস্তানের ১৫২ জন, নেপালের ১৪০ জন এবং ভিয়েতনামের রয়েছেন ৮৮ জন। এছাড়াও অন্য বিভিন্ন দেশের নাগরিকও রয়েছেন এ তালিকায়।
স্থানীয় সময় শনিবার (৭ এপ্রিল) দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক সেরি খায়রুল দাজাইমি দাউদ সংবাদমাধ্যম সিনার হারিয়ানকে বলেছেন, পরিচালিত অভিযানে ৫৮ হাজার ২৯১ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।
এছাড়া চলতি বছর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের আশপাশে অবৈধ অভিবাসীদের রক্ষা ও তাদের চাকরি দেওয়ার অভিযোগে ১০১ জন নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে অভিবাসন বিভাগ।
খায়রুল দাজাইমি জানিয়েছেন, এ নিয়োগকর্তাদের মধ্যে স্থানীয় ৯৫ জন, ভারত, ফিলিপাইন, কোরিয়া ও বাংলাদেশের একজন করে এবং বাকি দুজন অন্য দেশের নাগরিক।
তিনি বলেন, যারা অবৈধ অভিবাসীদের সুরক্ষা বা নিয়োগ দিয়েছিল অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৫৬ (১) (ডি) এবং একই আইনের ৫৫বি ধারার অধীনে, তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে জরিমানাসহ কারাদণ্ড বা অন্য শাস্তি রয়েছে।
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইস্যুতে দুই দেশের মন্ত্রী (বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া) যার যার অবস্থান থেকে অনড় রয়েছেন। দুই দেশের এই অবস্থানের কারণে কবে নাগাদ কর্মী পাঠানোর দ্বার উন্মোচন হবে সে বিষয়ে চিন্তায় রয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সূত্রে জানা গেছে, মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ সীমিত সংখ্যক বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্টের (বিআরএ) মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়োগ দিতে চায়। তবে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সব বৈধ সংস্থাকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিতে চায়। দুই দেশের আলাদা এ নীতির কারণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও স্থগিত রয়েছে।
মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়িত্ব দিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা যাবে না। আর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা সিন্ডিকেটের পক্ষেও না, বিপক্ষেও না, কর্মী পাঠানোর পক্ষে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়ায় বিদেশি চাকরিপ্রার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসন নিশ্চিত করতে চায় বাংলাদেশ।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী পাঠাতে গত ১৯ ডিসেম্বর সমঝোতা স্মারক সই করে দুই দেশ। এরপর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি এক চিঠির মাধ্যমে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম সারাভানান জানান, বাংলাদেশের সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করা হবে না। ২৫ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আরও ২৫০টি এজেন্সি সহযোগী হিসেবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে।
এই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়ে ১৮ জনুয়ারি পাল্টা চিঠি দেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। এক মাস পর ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয় মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মানবসম্পদ মন্ত্রীকে। সেই চিঠিতে রিক্রুটিং এজেন্সি সংখ্যা নির্বাচনে স্বয়ংক্রিয় ডিজিটাল পদ্ধতি এবং দু’দেশের অনলাইন পদ্ধতি যুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর জন্য একটি যৌথ কারিগরি কমিটির বৈঠক আহ্বান করতে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। যদিও এর কোনো আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি মালয়েশিয়া।
উল্টো ১০ মার্চ মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য শ্রমবাজার উন্মুক্ত করবে না মালয়েশিয়া। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশে কয়েক হাজার এজেন্সি আছে। সবাইকে কর্মী পাঠানোর সুযোগ দিয়ে মালয়েশিয়ায় ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে চাই না।
জোর করে শ্রমে বাধ্য করার অভিযোগের বিষয়ে গত ১০ মার্চ দেশটির বিভিন্ন সংস্থা, বিদেশি প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এই মতবিনিময়ে নানা বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন এম সারাভানান। তিনি বলেন, এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা শ্রমিকদের জোর করে অতিরিক্ত কাজে বাধ্য করার বিরুদ্ধে লড়াই করছি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমার সহকর্মীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি যে, এজেন্সি দ্বারা সোর্স কান্ট্রিতে কর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ কারণেই আমি বিদেশি কর্মী আনতে এজেন্সি সীমিত করেছি।
বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দেশে কয়েক হাজার এজেন্সি আছে। আমি সবাইকে কর্মী আনতে দিতে পারি না। আমি এখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করতে চাই না।
এম সারাভানান বলেন, আমি যখন এজেন্সিগুলো সীমিত করেছি, তখন কেউ কেউ বলেন কেন সীমিত করতে হবে? অনেকে বলেন, আপনি কেন নিয়ন্ত্রণ করছেন? আপনি যতক্ষণ আমার স্থানে না আসবেন, ততক্ষণ বিষয়টি বুঝবেন না।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী বলেন, আমি সারা বিশ্বে আমার সহকর্মীদের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে আমাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা সঠিক পথেই আছি। আর সোর্স কান্ট্রির কারণে যেন কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং এখানে শিল্প কারখানাতেও যেনো কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আমরা আমাদের অভিবাসীদের পাঠাতে প্রস্তুত। কিন্তু বাংলাদেশ এমন কোনো সিন্ডিকেটকে অনুমতি দেবে না, যা আবার বাজার কারসাজি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তারা যদি লোক নিয়োগ করতে চায়, আমরা অন্যান্য কর্মী প্রেরণকারী দেশগুলির নীতি অনুসরণ করবো।
এ বিষয়ে বায়রার সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, এমওইউ কার্যকর করার জন্য এসওপি চূড়ান্ত করার পরই বাজার খোলা যাবে। কিন্তু, দুই সরকার এখনও এসওপি চূড়ান্ত করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সিন্ডিকেট বিপুল পরিমাণ অর্থ পকেটস্থ করার জন্য ২৫টি এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া সরকারকে প্রভাবিত করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আলী হায়দার চৌধুরী আরও বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাজার পুনরায় চালু করতে আমাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে গতবার মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষ চাকরি পেতে ব্যর্থ হয়। হাজার হাজার মানুষ এখনো তাদের টাকা ফেরত পাননি।
এদিকে মালয়েশিয়ায় ‘সি’ ক্যাটাগরির অধীনে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৫০১টি কর্মসংস্থান সংস্থা বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে সেবা প্রদান করতে পারবে। ১৭ মার্চ এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী জানান, মালয়েশিয়ায় উৎপাদন, বৃক্ষরোপন, পরিষেবা, নির্মাণ ও কৃষিতে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এখন পর্যন্ত এসব সেক্টরে নিয়োগকারীদের কাছ থেকে তিন লাখ ১৩ হাজার ১৪ জন বিদেশি কর্মীর আবেদন জমা পড়েছে, যা বর্তমানে পর্যায়ক্রমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এ পর্যন্ত বিদেশি কর্মীদের আবেদন জমা পড়েছে উৎপাদন খাতে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৪৬ জন, পরিষেবা খাতে ৪৮ হাজার ১১৯ জন, বৃক্ষরোপন খাতে ৩৬ হাজার ৯৫০ জন, নির্মাণ খাতে ২৭ হাজার ৩৩১ জন, কৃষি খাতে সাত হাজার ২৪৮ জন এবং খনি ও খনন খাতে ২০ জন।
এছাড়া যদি কোনো বেসরকারি কর্মসংস্থান সংস্থা বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আবেদনপত্রের এই নিয়মের অপব্যবহার করে তাহলে ০৩-৮৮৮৬ ৫১৯২ এই নম্বরে দেশটির জনশক্তি বিভাগে জানানোর অনুরোধ করেন এম সারাভানান।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে আটকেপড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্ধার করবে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাস বলেছে, ইউক্রেনে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশিরা যে যেখানে আটকা আছেন তাদের সেখানেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিআরসি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। এরপর সুবিধাজনক বর্ডারে পৌঁছে দেবে।
এদিকে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ড যাওয়া বাংলাদেশিদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং ঠিকানাসহ বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ জন্য পোল্যান্ড দূতাবাস কর্মকর্তা তৌহিদ ইমাম +49 1577 8676376 নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে অথবা service.warsaw@mofa.gov.bd মেইলে তথ্য পাঠাতে বলা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ইউক্রেনে আটকেপড়া যেসব বাংলাদেশি দেশটির সীমান্তবর্তী দেশ পোল্যান্ড, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, মলদোভাতে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন, তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় প্রস্তুত রয়েছেন কূটনৈতিক কর্মকর্তারা।
আটকেপড়া বাংলাদেশিদের সহায়তায় কাজ করা কর্মকর্তাদের টেলিফোন ও মোবাইল নম্বর জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, যারা স্লোভাকিয়া এবং হাঙ্গেরির কাছাকাছি আটকে পড়েছেন, তাদের অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশনসহ দুই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
তাদের নম্বর হলো- রাহাত বিন জামান, ডেপুটি চিফ অব মিশন, মোবাইল: +৪৩ ৬৮৮ ৬০৩৪৪৪৯২ এবং জোবায়দুল এইচ চৌধুরী, এসিও, মোবাইল: +৪৩ ৬৮৮ ৬০৬০৩০৬৮।
আটকেপড়াদের মধ্যে যারা রোমানিয়া এবং মলদোভাতে যেতে চান, তাদের রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। সেখানে যোগাযোগের নম্বর হলো- বুখারেস্টের বাংলাদেশ দূতাবাস, নম্বর: +৪০ (৭৪২) ৫৫৩ ৮০৯ এবং মীর মেহেদী হাসান, নম্বর: +৪০ (৭৪২) ৫৫৩ ৮০৯ (টেলিফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ)।
এছাড়া পোল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি থাকা বাংলাদেশিরা পোল্যান্ডের ওয়ারশেতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের নম্বরে যোগাযোগ করবেন। সেখানে যোগাযোগের নম্বরগুলো হলো-
১. মো. মাসুদুর রহমান, মোবাইল: +৪৮ ৭৩৯ ৫২৭ ৭২২ ২. মো. মাহবুবুর রহমান, মোবাইল: +৪৮ ৫৭৯ ২৬২ ৪০৩ ৩. মোসা. ফারহানা ইয়াসমিন, মোবাইল: +৪৮ ৬৯০ ২৮২ ৫৬১ ৪. বিল্লাল হোসাইন, মোবাইল: +৪৮ ৭৩৯ ৬৩৪ ১২৫ ৫. মো. রাব্বানী, মোবাইল: +৪৮ ৬৯৬ ৭৪৫ ৯০৩
২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশের পরপর স্থল, আকাশ ও জলপথে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ার সেনারা। উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক থেকে, এমনকি বেলারুশ থেকেও হামলা চালানো হয়। ধীরে ধীরে রাজধানী কিয়েভের দিকে অগ্রসর হয় রুশ সেনারা। ইউক্রেনের সেনাদের সঙ্গে শুরু হয় তীব্র লড়াই। বর্তমানে কিয়েভে রুশ সেনাদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের সেনারা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : আজারবাইজানে রিয়া ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি ছাত্রী রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছেন। দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়ার পৌর সদরের কাঁঠালবাড়িয়া এলাকায়।
নিহত রিয়ার বাবা আবু বকর জানান, অনেক শখ করে রিয়াকে পড়তে পাঠাই সেখানে। রিয়া আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার পাশাপাশি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো।
তিনি বলেন, বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই দেশের গাঞ্জা শহরে খুন হয় রিয়া। ঘটনার দিন বিকেলে রিয়ার বড় ভাই আরমান আলীর মুঠোফোনে সেখান থেকে এ খবর এলে বিষয়টি জানতে পারি আমরা। তবে কি কারণে ও কীভাবে খুন হয় সে সম্পর্কে কিছু জানতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, আজারবাইজানে বাংলাদেশি দূতাবাস নেই। সেখানে ইরানি দূতাবাসের মাধ্যমে আমার মেয়ের মরদেহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্র: জাগো নিউজ
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার একটি সূত্র।
অন্যদিকে, আটকের পর খায়রুজ্জামানের আইনজীবী তার অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
কোনো বৈধ কারণ ছাড়াই খায়রুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে মুক্তি না দেওয়া হলে তাকে হাজির করার জন্য হেবিয়াস কর্পাস রিট আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।
সূত্র: জাগো নিউজ
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : লিবিয়ার বহুল আলোচিত জওয়ারা বন্দিশিবিরে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা দুই বাংলাদেশিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইতালির একটি আদালত। এ দুজন হলেন ৩৭ বছর বয়সী পজুরল সোহেল ও ৩৩ বছর বয়সী মো. হারুন।
তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক চার বন্দির মামলায় সিসিলি প্রদেশের পালেরমোর আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন। এ ধরনের মামলায় ইতালির বিচার বিভাগ প্রদত্ত সর্বোচ্চ সাজা এটি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইটালপ্রেস জানায়, আদালত ওই দুজনকে অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার এবং চাঁদাবাজির জন্য অপহরণে সহায়তার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
এই দুই বাংলাদেশি জুওয়ারার বন্দিশিবিরের প্রহরী ছিলেন, যেখানে দেশের অন্যান্য শিবিরের মতোই নির্বাসিতদের ওপর নির্যাতন, ধর্ষণ এবং সব ধরনের অশোভন আচরণ করা হয়ে থাকে।
২০২০ সালের ২৮ মে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসায় আসা অন্য চার বাংলাদেশি অভিবাসী সিসিলির রাগুসাতে স্থানান্তরের সময় এই দুই অভিযুক্তকে দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানান।
পরে তারা ইতালি পুলিশের কাছে জওয়ারা বন্দিশিবিরে তাদের ওপর হওয়া নির্মম অত্যাচারের বর্ণনা দেন। ভুক্তভোগী বাংলাদেশি অভিবাসীরা সে সময় কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করেছিলেন যে, জওয়ারার এই দুই নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও সেখানে থাকা মানবপাচারকারী ও মিলিশিয়া নেতারাও ইতালিতে এসেছেন।
ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্যগ্রহণের ভিত্তিতে আদালতে শুরু হয় মূল বিচার প্রক্রিয়া ও বিশদ তদন্তের কাজ।
ইটালপ্রেস জানায়, দুই অভিযুক্তের ফেসবুক প্রোফাইল ট্র্যাক করে ইতালির আগ্রিজেন্তো শহরে তাদের উপস্থিতি শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ২০২০ সালের ৬ জুলাই তাদের গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ।
গ্রেফতারের পর দুই অভিযুক্তের সামনে অভিযোগকারীদের হাজির করা হলে তারা সঙ্গে সঙ্গেই দুজনকে চিনতে পারেন। ভুক্তভোগীরা তাদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং ঘটে যাওয়া নির্যাতনের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন।
পুলিশ অভিযুক্ত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়। ফেসবুকে ভুক্তভোগী অভিবাসীদের প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যায়, দুই অভিযুক্ত বাংলাদেশি প্রহরী বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন করছেন এবং নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।
বাংলাদেশে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আসামিদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা বন্দিদের বাংলাদেশে থাকা পরিবারের কাছ থেকে দাবিকৃত মুক্তিপণ আদায় করছেন।
বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, অভিযুক্ত দুই বাংলাদেশি জওয়ারা বন্দিশিবিরে প্রহরী থাকাবস্থায় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এবং বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছেন। তাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো দিয়ে জওয়ারা বন্দিশিবিরে নির্যাতন করা হতো।
আদালতের নির্দেশে পরিচালিত বিভিন্ন ফরেনসিক পরীক্ষাগুলোও বাদীদের দেওয়া প্রমাণের তালিকায় যুক্ত করে পুলিশ। ফরেনসিক রিপোর্টগুলোতে অভিযুক্তদের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য দাগের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ইউরোপে পৌঁছানোর জন্য এশিয়ান ও আফ্রিকান অভিবাসীদের ট্রানজিট রুটে পরিণত হয় দেশটি। তবে এই পথে অবর্ণনীয় নির্যাতন-দুর্ভোগের কারণে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে লিবিয়া ‘নরক’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
|
|
|
|
মিয়া আবদুল হান্নান : মালয়েশিয়ায় আজ (২৮ জানুয়ারি) থেকে বৃক্ষরোপণ খাতে অনলাইনে বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন শুরু হয়েছে। www.fwcms.com.my এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন জমা শুরু হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি বিদেশি কর্মী নিয়োগের ঘোষণা দেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরী এম সারাভানান। ওইদিন মন্ত্রী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়েছে- দেশটিতে বৃক্ষরোপণ খাতে শ্রমিক ঘাটতি কমাতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৩২ হাজার বিদেশি শ্রমিক আনার জন্য সরকার বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে।
তার আগে গত ১০ জানুয়ারি সারাভানান নিয়োগকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন, যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চান, তারা প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে আবেদন জমা দিতে পারবেন।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া অন্য সব সেক্টরে বিদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে অনুমোদিত খাতগুলো হলো- কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি এবং খনন, নির্মাণ এবং গৃহকর্মী।
বৃক্ষরোপণ ছাড়া ছাড়া অন্য খাতে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে www.fwcms.com.my এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই আবেদন করা যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যোগ্য নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের (বিভিন্ন সেক্টর) জন্য রেফারেন্সসহ ভিসা (ভিডিআর) আবেদন জমা দিতে হবে।
এ বিষয়ে গত ২২ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে আসা প্রত্যেকটি আবেদন এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে যোগ্য বিদেশি কর্মী নিয়োগের সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, কোনো নিয়োগকর্তা বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চাইলে তাকে আইন অনুযায়ী কমিটির অনুমোদন নিয়ে নিয়োগ দিতে হবে। উদাহরণ হিসেবে দেশটির বৃক্ষরোপণ খাতের কথা উল্লেখ করে হামজাহ বলেছেন, নিয়োগকর্তাকে বিদেশি কর্মী কোটা এবং কতজন এই খাতের কাজের জন্য প্রয়োজন তা জানাতে হবে। ধরা যাক, কোনো বাগানে কাজের জন্য ১০০০ কর্মীর প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা মাত্র ৪০০ জন শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নিয়োগকর্তা অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দিতে চান, তাহলে দ্বিতীয় দফায় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন অথবা পুনর্বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে কঠোর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করতে হতো নিয়োগ কর্তাদের। তবে এখন বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের অভিন্ন নীতি এবং পদ্ধতি নিশ্চিত করার জন্য দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে।
গত ২৬ জানুয়ারি দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের এক নোটিশে বলা হয়েছে, নিয়োগ কর্তাদের অন্তর্ভুক্তে যারা ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর চিঠি ইস্যু করেছে বা যারা ২০২০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিডিআর পেমেন্ট করেছেন কিন্তু চিঠি ছাপা হয়নি তারা আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়ান-স্টপ অ্যাপ্রুভাল সেন্টার (ওএসসি) থেকে বিদেশি কর্মীদের চাকরির জন্য শর্তসাপেক্ষ অনুমোদনের পত্রের একটি এক্সটেনশন পেয়েছেন। নিয়োগকর্তাদের বৈধ বায়োমেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট, কোভিড-১৯ কভারেজসহ বীমা এবং বিদেশি কর্মীদের জন্য নতুন স্বাস্থ্য বীমা সুরক্ষা প্রকল্প জমা দিতে হবে, বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া।
নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকর্তার প্রতিনিধিকে অবশ্যই ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরে বা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার জন্য নিয়োগকর্তার ঠিকানা অনুযায়ী রাজ্য অভিবাসন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ভিডিআর চিঠির মেয়াদ বাড়ানোর মেয়াদ ছিল চিঠি জারির তারিখ থেকে চার মাস। নিয়োগকর্তাদের বিদেশি কর্মীদের জন্য মাই ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করার দরকার নেই যাদের নতুন বা বর্ধিত ভিডিআর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার নয় বছরের মেয়ে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ জানুয়ারি) এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর স্বামীর এক আত্মীয় জানান, গতকাল রাতে স্বামী আব্দুল হামিদ তার তিন মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে পারিবারিক কাজে গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
পথে গাড়ি সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পেছন থেকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে তাদের গাড়িটি অন্য গাড়ির ওপর দুমড়েমুচড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মারা যান মা ও মেয়ে। স্বামী ও দুই শিশু গুরুতর আহত হন।
পুলিশ জানায়, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারী ও তার স্বামীকে আল কাসিমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুদের রাত ১১টার দিকে শারজাহ আল কুয়েতি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ টহল ও জরুরি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠায়। প্রথম গাড়ির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপাের্ট : মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগে অনলাইন আবেদনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৮ জানুয়ারি প্ল্যানটেশন খাতে www.fwcms.com.my ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রী এম সারাভানান।
|
|
|
|
|
|
|