বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ঝালকাঠিতে বাস-মাহিন্দ্রা সংঘর্ষে নিহত ৩   * ট্রেনে ক্রেনের আঘাত: ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ   * কিছু পরিস্থিতিতে নারী ফায়ার ফাইটার থাকলে উদ্ধারকাজ সহজ হয়: ডিজি   * বিএনপির মানববন্ধন থেকে আসামি গ্রেপ্তারে বাধা নেই: ডিবি প্রধান   * বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা   * হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দুই মাসে যা দেখলো বিশ্ব   * শাহজাহান ওমর শান্তির পক্ষে, তাই জামিন পেয়েছেন: ড. রাজ্জাক   * ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, হাইকোর্টের রুল   * লালমনিরহাটে গরুর মাংস ৫৪০ টাকা কেজি, মাইকিং করে বিক্রি   * কুমিল্লায় দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন  

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
রাজধানীতে আজ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীতে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এটা আগামী এক মাস, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই দামে মাংস বিক্রি করবেন তারা।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচনের পর দাম আবার সমন্বয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে এ দর বাস্তবায়ন হবে। পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে সারাদেশে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাংস উৎপাদন ও বিপণনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) এবং মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

মাংস ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম হবে ৬৫০ টাকা। এতে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে। এছাড়া মানহীন বা রিজেক্ট মাংস বিক্রি করা যাবে না। এক মাস পরীক্ষামূলকভাবে বিক্রির পর আবার মূল্য সমন্বয় করা হবে।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু বলেন, প্রথমে রাজধানীতে নতুন দাম কার্যকর হবে। এরপর সারাদেশে বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এদিকে বিডিএফএ’র সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভায় আমাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে খামারি, বিক্রেতা এবং ভোক্তা সবার কথা বিবেচনা করতে হবে। কারণ এরমধ্যে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবারই ক্ষতি।

রাজধানীতে আজ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
                                  

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীতে গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এটা আগামী এক মাস, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই দামে মাংস বিক্রি করবেন তারা।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলছেন, নির্বাচনের পর দাম আবার সমন্বয় করা হবে। প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে এ দর বাস্তবায়ন হবে। পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন হবে সারাদেশে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাংস উৎপাদন ও বিপণনে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ) এবং মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

মাংস ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম হবে ৬৫০ টাকা। এতে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে। এছাড়া মানহীন বা রিজেক্ট মাংস বিক্রি করা যাবে না। এক মাস পরীক্ষামূলকভাবে বিক্রির পর আবার মূল্য সমন্বয় করা হবে।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু বলেন, প্রথমে রাজধানীতে নতুন দাম কার্যকর হবে। এরপর সারাদেশে বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

এদিকে বিডিএফএ’র সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভায় আমাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে খামারি, বিক্রেতা এবং ভোক্তা সবার কথা বিবেচনা করতে হবে। কারণ এরমধ্যে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবারই ক্ষতি।

ডিসেম্বরেই রিজার্ভে যোগ হচ্ছে ১ বিলিয়ন, স্বস্তি ফেরার আশা
                                  

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। ডিসেম্বরের মধ্যেই অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের বেশি যোগ হচ্ছে। আর তাতে রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছবে। মেটানো যাবে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয়। অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসতে শুরু করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ জানুয়ারি দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে চলতি বছরের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বহুল প্রতিক্ষিত ৪৭০ কোটি (৪.৭ বিলিয়ন) ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ১০ লাখ ঋণ ছাড় করা হবে। সেই সঙ্গে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৪০ কোটি ডলার ছাড় করবে। সব মিলিয়ে ১০৮ কোটি ১০ লাখ (১.০৮ বিলিয়ন) ডলার ঋণ ছাড় করবে এই দুই সংস্থা। আর এর মধ্য দিয়ে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

আইএমএফের বোর্ড সভার সময়সূচি অনুসারে, আগামী ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সংস্থাটির সদর দপ্তরে পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় বাংলাদেশের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনার কথা আগেই জানিয়েছিলেন গত অক্টোবরে ঋণ কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসা আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান সংস্থাটির এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, ১২ ডিসেম্বর আইএমএফ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তি ঋণের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হবে। একই কথা বলেছেন, দীর্ঘদিন আইএমএফের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন পালন করে আসা গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে ঋণ কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসা আইএমএফ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে ডিসেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হবে বলে জানিয়েছিলেন। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ১২ ডিসেম্বর বোর্ড সভায় বাংলাদেশের ঋণের বিষয়টি উত্থাপন হচ্ছে। তাই এই ঋণ অনুমোদন পাবে—এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।’

একই দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভায় বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার ঋণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এডিবি ঢাকা অফিসের বহিঃসম্পর্ক বিভাগের প্রধান গোবিন্দ বর।

বাংলাশে ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত আইএমএফ ও এডিবির ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পাচ্ছি। আর সেটা ডিসেম্বরের মধ্যেই পাওয়া যাবে। তখন আমাদের রিজার্ভ বেড়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘রেমিটেন্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ডলারের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ইতোমধ্যে ডলারের দর ৭৫ পয়সা কমেছে। আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর সঙ্গে আইএমএফ ও এডিবির ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি যোগ হলে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ বেড়ে ২১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকবে। তাতে অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে আসবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার দেশে বিপিএম-৬ হিসাবে রিজার্ভ ছিল ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘গ্রস’হিসাবে রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

এক কোটি কার্ডের সুবিধা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ: বাণিজ্যমন্ত্রী
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক দিক বিবেচনা করে প্রায় এক কোটি মানুষকে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘কোটি মানুষ মানে এর মাধ্যমে পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন। কার্ডধারীরা ছাড়াও অন্যরা এই মালামাল নিতে পারবেন।’

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাবিস্কো মোড় এলাকায় দেশব্যাপী এক কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ ও ডসেম্বর মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। টিসিবির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

টিপু মুনশি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি, যাতে দেশের মানুষ উপকৃত হন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এই কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। সেই ধারায় আমরা এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, যেন দ্রুত সাধারণ মানুষকে কার্ড পৌঁছে দিতে পারি এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারি। এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দেওয়া বেশ কঠিন কাজ। তবুও এই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।’

অনেক সময় দেখা যায় মানুষকে দেওয়ার আগেই পণ্য শেষ হয়ে যায়। এবার কী সেই সমস্যার সমাধান হবে? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুরই তো সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা যেহেতু এখন কার্ডের মাধ্যমে দেই, তাই যাদের কার্ড আছে তারা পাবেই। ৩০টি ট্রাকে ঢাকা শহরের প্রায় নয় হাজার মানুষকে আমরা দেই (পণ্য), এটা স্বল্প হলেও একটি সুন্দর প্রক্রিয়া। নয় হাজার জনকে দিলে কেউ হয়তো পাবেন না। একটি ট্রাকে ৩০০ জনকে দেওয়া যায়। এরপর যিনি আসবেন তিনি হয়তো পাবেন না। আমরা চেষ্টা করছি এটি বাড়ানোর। এখন ট্রাকের মাধ্যমে যেগুলো দেওয়া হচ্ছে তা কার্ডের বাইরেই আমরা দিচ্ছি। অন্যদিকে আমরা কার্ডের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি মানুষকে মালামাল দিচ্ছি। শুধু ঢাকা নয় ঢাকার বাইরেও তিনটি বড় শহরে আমরা টিসিবির পণ্য দিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, আইআইএফসি’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মঞ্জুর।

টিসিবির ডিসেম্বরের পণ্য বিক্রি শুরু আজ
                                  

প্রতি মাসের বিক্রয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ডিসেম্বর মাসের জন্য ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হচ্ছে।

রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনারের কার্যালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।

সারাদেশে এক কোটি নিম্নআয়ের মানুষ টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী। গত ৯ নভেম্বর টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়। আজ থেকে বিতরণ করা হবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায়। পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জায়গায় টিসিবির স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।

এদিকে, ডিসেম্বর মাসে টিসিবির কার্ডধারী একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল অথবা কুঁড়ার (রাইস ব্র্যান) তেল, পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি পেঁয়াজ ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন। প্রতি লিটার সয়াবিন বা কুঁড়ার তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা, মসুর ডাল ৬০ টাকা এবং প্রাপ্যতা সাপেক্ষে প্রতি কেজি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ টাকা ও চিনি ৭০ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।

কার্ডধারীরা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশকদের দোকান বা নির্ধারিত জায়গা থেকে পণ্য নিতে পারবেন।

সিএসইতে আখতার পারভেজ চৌধুরী সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত
                                  

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের ভোটের মাধ্যমে নতুন দুজন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন পিএইচপি স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সিএসই এর ২৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিএসই এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম।

বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএসই এর পরিচালকবৃন্দ আব্দুল হালিম চৌধুরী, মনজুরুল আহসান বুলবুল, ইশতার মহল, মোহাম্মাদ নকিব উদ্দিন খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক এবং কোম্পানি সেক্রেটারি রাজীব সাহা।

বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ২০২২-২০২৩ সালের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের জন্য অনুমোদন দেন।

সিএসইর দুটি শেয়ারহোল্ডার ডিরেক্টর পদের জন্য আয়োজিত নির্বাচনে শেয়ারহোল্ডারগণ ভোট প্রদান করেন। নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহসেনউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নির্বাচন পরিচালনা করেন।

ভোটে পিএইচপি স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ চৌধুরী এবং বি কে ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলামকে সিএসই এর পরিচালক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মোহাম্মেদ আখতার পারভেজ চৌধুরী।

এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা দুপুরে
                                  

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম ঘোষণার কথা রয়েছে আজ। বিকেল তিনটায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন দাম ঘোষণা করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

শুক্রবার (১ অক্টোবর) বিইআরসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২ নভেম্বর এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একইসঙ্গে বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১৫ টাকা ৯ পয়সায় সমন্বয় করা হয়।

এ ছাড়া রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহকৃত বেসরকারি এলপিজির ভোক্তা পর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১১ টাকা ২৬ পয়সায় সমন্বয় করা হয়। পাশাপাশি ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম মূসকসহ প্রতি লিটারের মূল্য ৬৩ টাকা ৩৬ পয়সায় সমন্বয় করা হয়েছিল।

তার আগে অক্টোবরে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ২৮৪ টাকা থেকে ৭৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি।

এদিকে দেশে এলপিজি বা বোতলজাত গ্যাসের ব্যবহার শুরুর একযুগের মাথায় জরুরি ও আবশ্যক এ পণ্যটির মজুত, বোতলজাত, পরিবহন ও বিতরণে গাইডলাইন তৈরি করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এরই মধ্যে গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। গ্রাহক, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য অংশীজনের মতামত নিতে আজ রোববার খসড়াটি বিইআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এরপর গাইডলাইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে জ্বালানি বিভাগে পাঠানো হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর এ মাসেই গাইডলাইন চূড়ান্ত করা হবে। বিইআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

কমেছে মুরগি-মাছ-ডিমের দাম, বেড়েছে চাল-চিনি-আটার
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাজারে গরুর মাংসসহ কমেছে মুরগি মাছ ডিমের দাম। দীর্ঘ সময় পরে এ নিম্নমুখী প্রবণতায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে ক্রেতা। তবে এখনো বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে চাল চিনি আটা ও ময়দার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা মালিবাগ ও মগবাজারে দেখা গেছে এমন চিত্র। একই সঙ্গে শীতের সবজিও অনেকটা ক্রেতার নাগালে।

চলতি বছরের আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাতে চালের বাজারে কোনো প্রভাব পড়েনি। মোটা চালের দাম আগের মতো রয়েছে। প্রতি কেজি মোটা চাল কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। অর্থাৎ নতুন চাল বাজারে এলেও মাসখানেক আগে যে খুচরা পর্যায়ে সবধরনের চালের দর কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছিল, এখনও সেই দরেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে কমবেশি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

অন্যদিকে বাজারে নতুন করে পাতাসহ পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। এতে অন্যান্য পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১১০ এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে স্বস্তির বাজারে ক্রেতাদের টানছে গরুর মাংস। এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনো আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।

গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তাছাড়া মাংসের দাম কমার প্রভাবও পড়েছে মাছের দামে। বেশি কমেছে চাষের মাছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।

অন্যদিকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম সর্বোচ্চ ১২টাকা করে নির্ধারণ করা হয় সেই সময়, যখন বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম সাড়ে ১৩ টাকা ছিল। এরপর বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথম ডিম আমদানির অনুমতিও দেয়। এরপর থেকে ক্রমাগত কমে এখন প্রতিটি ডিমের দাম ১০ টাকায় নেমেছে।

পাড়া মহল্লার দোকান ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড় বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ১০ টাকা পিস। পাইকারিতে দরদাম করে ১১৫ টাকাও কেনা যাচ্ছে। তবে পাড়া মহল্লার একদম খুচরা দোকানে এখনো বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত।

এদিকে ট্রেডিং কর্পোরেশন আব বাংলাদেশের তথ্য বলছে, গত একমাসে বাজারে ডিমের দাম সাড়ে ২১ শতাংশ কমেছে। গত মাসে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫২ টাকা, যা এখন ৩৭ থেকে ৪৩ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

সোনার দাম আরও বে‌ড়ে ভরি ১ লাখ ৯৮৭৫ টাকা
                                  

অনলাইন ডেস্ক : সোনার দাম আবারও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়া‌নো হয়েছে। এর ফলে এ ক্যাটাগরির সোনার নতুন মূল্য হবে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা (প্রতি ভরি)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এর আগে সোনার রেকর্ড দাম ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা।


বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৪ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৮৯ হাজার ৯২৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৪১ টাকা।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম (ভ‌রি) ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১৪০০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১০৫০ টাকা।

এর আগে, দাম বাড়িয়ে গত ২৬ নভেম্বর সবশেষ সোনার মূল্য নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৭ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। আজকে পর্যন্ত ওই দাম অনুযায়ী ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকায়। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হয় ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হয় ৭৩ হাজার ৭১৮ টাকায়।

তারও আগে ১৮ নভেম্বর সোনার দাম বাড়ায় বাজুস, যা ১৯ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ওই সময় ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল এক লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এছাড়া, ২১ ক্যারেটের সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ছিল ৮৭ হাজার ১৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ছিল ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা।

চিনির দাম কমানোর বিষয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
                                  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আপাতত চিনির দাম কমানোর কোনও সুযোগ নেই। কারণ চিনি আমদানি কর কমাতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া দেশী চিনির উৎপাদন নেই এবং ভারতীয় চিনি আমদানিও বন্ধ রয়েছে।

তবে শীতকালীন শাকসবজি, চাল, তেল, ডাল, আলু, মুরগীসহ অনেক খাদ্য পণ্যের দাম আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে বলে দাবি করেন তিনি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

টিপু মনুশি বলেন, এই নির্বাচন শুধু নিজের জন্য নয়, নৌকার জন্য ও উন্নয়নের জন্য নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই আসনে যাকে মননোয়ন দিতেন, তিনি তার পক্ষ হয়ে কাজ করতেন। রংপুরের উন্নয়নের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। সুতরাং উন্নয়ন নিয়ে কোনো সংশয় নেই।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তরে গ্যাস এসেছে। অর্থনৈতিক জোন তৈরি হচ্ছে। এখানকার মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য রংপুরের নামে একটি ইপিজেড বাস্তবায়নে চিঠি চালাচালি চলছে। নির্বাচন শেষে আগামী বছর প্রধানমন্ত্রী সদয় হয়ে এই ঘোষণা তিনি নিজেই দেবেন বলে আশা করি।

সেই সঙ্গে আগামী ৫ বছরের মধ্যে শিক্ষা, চাকরি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও ভারী শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে অন্যান্য স্থানে জায়গা করে নেবে রংপুর বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

২৪ দিনে এলো ১৪৯ কোটি ডলার
                                  

চলতি নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৪৯ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছ।

তথ্য অনুযায়ী নভেম্বর মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় আসছে ৬ কোটি ২২ লাখ ৫ হাজার ৮৩৩ মর্কিন ডলার। আগের বছর একই সময়ে প্রতিদিন এসেছিল ৫ কোটি ৩১ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৩ ডলার। চলতি বছরের অক্টোবরে প্রতিদিন এসেছিল ৬ কোটি ৫৯ লাখ ১৮ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।

এ হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবাসী আয় কিছুটা বাড়লেও চলতি বছরের অক্টোবর মাসের চেয়ে নভেম্বরে প্রবাসী আয় কিছুটা কমেছে।

নভেম্বরের প্রথম ২৪ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৪ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

নভেম্বরের ২৪ দিনে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।

এক বছরে ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ৮ লাখ টন
                                  

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত অর্থবছর দেশে ৬৪ লাখ ২২ হাজার টন ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে। যেখানে তার আগের বছর ছিল ৫৬ লাখ ২৯৭ টন। অর্থাৎ মাত্র এক বছরে ভুট্টার উৎপাদন ৮ লাখ টন বেড়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে জানা গেছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ লাভ ৬৮ হাজার টন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও উৎপাদন প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন বেশি।

তথ্য বলছে, দেশে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ভুট্টার উৎপাদন ছিল মাত্র ৭ লাখ টন। এরপর পোল্ট্রে ও মৎস খাবার হিসেবে ভুট্টা জনপ্রিয় হতে থাকে। এতে চাহিদা বাড়ায় দ্রুত বাড়ছে উৎপাদন। দেশে এখন চালের পরে দানাদার শষ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভুট্টা চাষ হচ্ছে।

এদিকে ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, দেশে বর্তমানে সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হচ্ছে। তবে ভুট্টা উৎপাদনের অর্ধেকই হয় রংপুর বিভাগে। উৎপাদনে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছে যথাক্রমে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগ। জেলা হিসেবে দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঠাকুরগাঁও ও লালমনিরহাটে ভুট্টার উৎপাদন বেশি।

দেশে গত কয়েক বছরে ভুট্টার উৎপাদনশীলতা বেশ বেড়েছে। এখন হেক্টর প্রতি প্রায় ৯ দশমিক ৭৪ টন ভুট্টার ফলন হচ্ছে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। হেক্টরপ্রতি সবচেয়ে বেশি ফলনের রেকর্ড তুরস্কের। সেখানে হেক্টরে সাড়ে ১১ টন ভুট্টার ফলন হয়।

এদিকে দেশে গ্রীষ্ম ও শীত দুই মৌসুমে ভুট্টা চাষ হয়। তবে মোট উৎপাদনের ৮৭ শতাংশই হয় শীত মৌসুমে। কিন্তু দেশে ভুট্টার চাহিদা থাকে সারা বছর। সারা বছরে শস্যটির চাহিদা থাকে ৭০ লাখ টনের বেশি।

স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান
                                  

স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে এসএমইদের (দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে ‘স্মার্ট এসএমইদের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি’ বিষয়ক সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার এসব কথা বলেন। জিবিএল ফিনটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন ওই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রাক্তন মুখ্য সমন্বয়ক এবং সাবেক মুখ্যসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান ওই সেমিনারে যথাক্রমে বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দেশের এসএমইদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভবিষ্যতে স্মার্ট অর্থনীতিতে রূপান্তরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাকে বেগবান করার পাশাপাশি বিশেষ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে স্থানীয় এসএমইরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

তিনি জানান, আমাদের ৯ মিলিয়ন এসএমই উদ্যোক্তা কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৪.৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে তাদের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ। এসএমইদের প্রযুক্তি বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিকল্পে অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, তথ্য-প্রযুক্তি গ্রহণে স্বল্পসুদে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা প্রদান, ফিনটেক ব্যবস্থার সর্বাত্মক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, টেকনোলজি ট্রান্সফার, কর ও শুল্ক বিষয়ক সহায়তা প্রদান, নীতি সহায়তা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সরকারের পাশাপাশি স্মার্ট ইকোনোমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের সংস্থাগুলো প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এসএমই খাতে যথাযথ তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি এখাতের সম্প্রসারণে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের একান্ত অপরিহার্য।

তিনি বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতি ও জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি হারে অবদান রেখে আসছে, তাই তাদের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই।

সাবেক মুখ্য ও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাথাপিছু আয়, জ্বালানি সক্ষমতাসহ অন্যান্য সূচকে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে দেশের বেসরকারিখাত।

তিনি বলেন, আমাদের এসএমই উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি সাহসী এবং নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের তথ্য-প্রযুক্তিখাতে সক্ষমতা বাড়ানো গেলে, অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনায়ন সম্ভব। প্রযুক্তি গ্রহণে আমাদের মধ্যকার ভয়-ভীতি দূরীকরণের ওপর তিনি জোরারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, সরকারি-বেসরকারিখাতের যৌথ সমন্বয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান বলেন, সারা দেশে আমাদের ৮৫টি কার্যালয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম রয়েছে, যেখানে থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ শতাংশ হারে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিসিক নানাবিধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ‘এন্টারপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট’ এবং ‘গ্লোবাল ইনোভেশন’ সূচকে বাংলাদেশ যথাক্রমে ৮৪ ও ১০৫তম স্থানে রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, আর্থিক সহায়তার সীমাবদ্ধতা এবং দক্ষতার অভাব আমাদের এসএমই খাতের উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা।

মাহবুবর রহমান বলেন, উচ্চ কর ও শুল্ক হার, টেকনোলোজি বিষয়ক ‘নো-হাউ’ পিছিয়ে থাকা, সক্ষমতার অভাব, প্রযুক্তিগত বিনিয়োগের উচ্চমূল্য, তথ্য সুরক্ষা, সাইবার সিকিউরিটি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রভৃতি বিষয়সমূহ আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ‘স্মার্ট এসএমই’ তে রূপান্তরের লক্ষ্যে নীতিমালার সংস্কার ও সহায়ক নতুন নীতিমালা প্রণয়নের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।

এছাড়াও এসএমইদের সহজশর্তে ঋণ সহায়তা প্রাপ্তির পরিবেশ উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় সেবা প্ল্যাটফর্ম লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ইলমুল হক সজীব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলোজির অধ্যাপক ড. বি মাইনুল হাসান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বক্তব্য রাখেন।

ইলমুল হক সজীব বলেন, আমাদের এসএমইদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়া এখন সময়ের দাবি এবং দেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু হয়েছে, এমতাবস্থায় ডিজিটাল পেমেন্ট ইকোসিস্টেমে অংশগ্রহণ বাড়াতে এ বিষয়ে জনগণের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসকল্পে তিনি সবার সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর জোরারোপ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাইনুল হোসেন বলেন, পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে আমরা অনেক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি না, বিশেষকরে এসএমইদের সার্বিক উন্নয়নে এখাতে একটি ডাটাবেজ একান্ত আবশ্যক।

তিনি বলেন, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ ভালো করেছে এবং দেশে ই-কমার্স খাতের আরও বিকাশে ‘ক্রস-বর্ডার ট্রেড’ সম্প্রসারণের আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে যুগোপযোগী ও সহায়ক নীতিসহায়তা একান্ত অপরিহার্য বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মেসবাহ উল হক সারা দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার কার্যকর বাস্তবায়নের জোরোরোপ করেন। সেই সঙ্গে প্রযুক্তিগুলোর সর্বাত্মক ব্যবহারের পরামর্শ দেন।

মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই বিভাগের জয়েন্ট ডিরেক্টর জাহিদ ইকবাল বলেন, এসএমই খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৯০০ কোটি টাকার একটি ফান্ড রয়েছে এবং শুধুমাত্র প্রডাক্ট, সার্ভিস, প্রসেস এবং টেকনোলজি প্রভৃতি খাতে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারলে মাত্র ৪ শতাংশ হারে ওই ফান্ড থেকে ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে। এছাড়া অন্যান্য আলোচকরা এসএমইদের ঋণের সুদের হার কমানো ও ঋণপ্রাপ্তির শর্তাবলি সহজিকরণ, সরকারি সংস্থাসমূহের মধ্যকার সমন্বয় বৃদ্ধি, এসএমই বিষয়ক আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন এবং কর ও শুল্ক বিষয়ক সহায়ক নীতিমালা দেওয়ার ওপর জোরারোপ করেন।

ডিসিসিআই সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং তথ্য-প্রযুক্তিখাতের উদ্যোক্তারা এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ডলার সংকটে ২১ ব্যাংক
                                  

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, ডলার সংকটে রয়েছে দেশের ২১টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই এখন। দেশে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের মজুত আছে। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এসময় ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ জানান এ মুখপাত্র।

মেজবাউল হক বলেন, বুধবার (২২ নভেম্বর) বাফেদা-এবিবি রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানিসহ সব ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। এখন আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের বেশি ডলার আছে। সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলার বাজারে।

ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না এমন প্রশ্নে এ মুখপাত্র বলেন, রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। এখানে বন্ধ করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ।’ এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম, শঙ্কা কাটবে
                                  

পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা ডলারের দামে লাগাম টানা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই দাম কমা কেবল শুরু, এটা আরও কমবে। এদিকে রেমিট্যান্সেও সুবাতাসের দেখা মিলেছে। ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি এলেই আরও একধাপ এগিয়ে যাবে অর্থনীতি।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডলার সংকটে আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছিলেন না ব্যবসায়ীরা। ডলারের জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন আমদানিকারকরা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে কাগজে-কলমে ডলারের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকগুলো। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে রেমিট্যান্স ও রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে পাওয়া যাবে ১১০ টাকা। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সায়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এই নতুন দাম কার্যকর হবে জানিয়ে গণমাধ্যমকে বাফেদার চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, রেমিট্যান্স বাড়ছে। বাণিজ্য ঘাটতি বেশ কমেছে। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অব পেমেন্ট বিওপি) ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। তাই আমরা ৫০ পয়সা করে কমিয়েছি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে পর্যায়ক্রমে আরও কমানো হবে। আশা করছি, ডলারের বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

আফজাল করিম জানান, বুধবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে টাকা-ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১১ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে তা হবে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে ডলারের দর ছিল ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বৃহস্পতিবার থেকে এই দুই ক্ষেত্রেই ডলারের দর হবে ১১০ টাকা।

আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন বা ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পেতে পারে বাংলাদেশ। ১৯ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দ্বিতীয় কিস্তির শর্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। ঋণ চুক্তিতে থাকা বাংলাদেশের প্রথম কিস্তির অর্থ ব্যবহারের অগ্রগতি দেখে পরবর্তী কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে বছরের মাঝামাঝি কমে আসা রেমিট্যান্স আবারও বাড়তে শুরু করেছে। দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে সুবাতাস দেখা দিয়েছে। অক্টোবরের পর নভেম্বরেও রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক রবিবার রেমিট্যান্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১৭ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১১৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। গত বছর এই ১৭ দিনে এসেছিল ১০০ কোটি ডলার।

মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম ইসমাইল হক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চলতি সপ্তাহে রোববার সন্ধ্যায় ডলারের দাম ১২৩ টাকায় নেমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘খোলা বাজারে ডলারের দাম লাফ দিয়ে বেড়েছিল। যেভাবে বেড়েছিল সেভাবেই কমছে। আমার বিশ্বাস, ডলারের দাম আরও কমবে।’

এটা শুরু, আগামীর দিনগুলো সুবাতাস অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের যেহেতু রেমিট্যান্স বাড়ছে সেটা সুখবর আনবে। সামনে নির্বাচন এখন যদি অর্থনীতির গতিপথ অব্যাহত না থাকে সেটা জনগণের সামনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো। ঠিক সময়ে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে দেখছি। আইএমএফের যে দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ সেটা বড় একটা গ্রিন সিগন্যাল। বৈশ্বিকভাবে আমরা ভালো মেজেস দিতে পারবো। আর সেটা রিজার্ভ সিকিউরিটির জন্য সেটা খুব ভালো হবে। এখন আমাদের আভ্যন্তরীন রিসোর্সগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।

১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা
                                  

অনলাইন ডেস্ক : চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৮ কোটি ৭৭ হাজার ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৩ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১১ টাকা ধরে)।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি নভেম্বরে প্রতিদিন প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৭ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ডলার সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার।

এর আগে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকা। তবে কোনো ব্যাংকের প্রয়োজনে চাইলে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ দাম হবে ১১৬ টাকা। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না।

সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা
                                  

দেশের বাজারে আবার সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এত দাম হয়নি।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। আগামীকাল রোববার থেকে এই দাম কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ও ২৭ অক্টোবর আরও দুই দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের এক ভরি সোনার দাম বেড়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা হয়। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে সোনার দাম।
সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার ১২ দিনের মাথায় এই ধাতুটির দাম আরও বেড়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলো। শনিবার (১৮ নভেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা রোববার (১৯ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৩৩ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১ হাজার ৫৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৯৯ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ১৫ হাজার ১৯৪ টাকা গুনতে হবে।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ৯৯ হাজার ৯০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আজ শনিবার পর্যন্ত দেশের বাজারে এই দামেই সোনা বিক্রি হয়েছে।

তারও আগে ২৭ অক্টোবর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ২ হাজার ৩৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২ হাজার ৮৭৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৯৮ হাজার ২১১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ২১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার ১৫৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এখন সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।


   Page 1 of 63
     অর্থ-বাণিজ্য
রাজধানীতে আজ থেকে ৬৫০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি
.............................................................................................
ডিসেম্বরেই রিজার্ভে যোগ হচ্ছে ১ বিলিয়ন, স্বস্তি ফেরার আশা
.............................................................................................
এক কোটি কার্ডের সুবিধা পাবে পাঁচ কোটি মানুষ: বাণিজ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
টিসিবির ডিসেম্বরের পণ্য বিক্রি শুরু আজ
.............................................................................................
সিএসইতে আখতার পারভেজ চৌধুরী সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত
.............................................................................................
এলপিজির নতুন মূল্য ঘোষণা দুপুরে
.............................................................................................
কমেছে মুরগি-মাছ-ডিমের দাম, বেড়েছে চাল-চিনি-আটার
.............................................................................................
সোনার দাম আরও বে‌ড়ে ভরি ১ লাখ ৯৮৭৫ টাকা
.............................................................................................
চিনির দাম কমানোর বিষয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
২৪ দিনে এলো ১৪৯ কোটি ডলার
.............................................................................................
এক বছরে ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে ৮ লাখ টন
.............................................................................................
স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান
.............................................................................................
ডলার সংকটে ২১ ব্যাংক
.............................................................................................
কমতে শুরু করেছে ডলারের দাম, শঙ্কা কাটবে
.............................................................................................
১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা
.............................................................................................
সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬৩৭৬ টাকা
.............................................................................................
মোটা চালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে
.............................................................................................
ফ্যামিলি কার্ড ছাড়াও পাওয়া যাবে টিসিবির ডাল-তেল-আলু-পেঁয়াজ
.............................................................................................
‘বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস’ পেল শীর্ষ ২৮ ব্যবসায়িক কর্মকর্তা
.............................................................................................
পোশাকশ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ১২৫০০ টাকার খসড়া গেজেট প্রকাশ
.............................................................................................
২০২৪ সালে যেসব দিনে বন্ধ থাকবে ব্যাংক
.............................................................................................
৩৪ প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করল ই ক্যাব
.............................................................................................
পোশাক কারখানায় নতুন নিয়োগ বন্ধসহ ৪ নির্দেশনা বিজিএমইএর
.............................................................................................
কিছুটা কমেছে সবজির দাম, এখনো চড়া মাছের বাজার
.............................................................................................
‌বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি
.............................................................................................
দেড় লাখ টন আলু আমদানির অনুমতি, এলো ২৭০০ টন
.............................................................................................
স্বর্ণের দামে রেকর্ড
.............................................................................................
স্মার্ট বাংলাদেশে গতিশীল শেয়ারবাজার পাওয়ার আশা ডিএসই চেয়ারম্যানের
.............................................................................................
সবজির দাম ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, চিনি-আলু-পেঁয়াজ চড়া
.............................................................................................
এবার আলু আমদানি করবে সরকার
.............................................................................................
পেঁয়াজ, আলু, ব্রয়লার মুরগির দাম চড়া, মোটা চালেও অস্বস্তি
.............................................................................................
ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা
.............................................................................................
বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ৫০ টাকার স্মারক নোট
.............................................................................................
২৫৪ কোটি টাকার তেল-ডাল কিনবে সরকার
.............................................................................................
নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পথে সোনা
.............................................................................................
ক্রেতার নাগালে নেই সবজি-মাছ, ডিম-পেঁয়াজও বাড়তি
.............................................................................................
আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতাদের সংযুক্ত করবে এইচএসবিসি ও বিজিএমইএ
.............................................................................................
দেশের ৪ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ইউরোপের মতো : বাণিজ্যমন্ত্রী
.............................................................................................
চলতি সপ্তাহেই আমদানির ডিম আসছে
.............................................................................................
জমে উঠেছে পূজার কেনাকাটা
.............................................................................................
বাজারের সিন্ডিকেট দেখতে পেলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম : পরিকল্পনামন্ত্রী
.............................................................................................
বাজারে কমছে না সবজির উত্তাপ
.............................................................................................
সোনার দাম একলাফে বাড়লো ২৩৩৩
.............................................................................................
বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সুখবর দিলো আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক
.............................................................................................
পেঁয়াজ-আলুর দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না: কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে ব্রয়লারের দাম
.............................................................................................
আলু পেঁয়াজ মরিচ সবজি মাছের দাম বেড়েছে
.............................................................................................
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
.............................................................................................
এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা দুপুরে
.............................................................................................
রিজার্ভ ঠিক করতে রপ্তানি-রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে : সালমান এফ রহমান
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: dailyasiabani2012@gmail.com
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD