বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * স্কুল-কলেজে সমাবেশে পাঠের জন্য নতুন শপথ ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি   * জুনে রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩০ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর   * আমাকে ‘বিদেশি’ বললে অন্যের গায়েও পড়তে পারে: নাগরিকত্ব নিয়ে খলিলুর   * অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কারখানায় হামলা হলে ছাড় দেবে না সরকার   * শেরপুরে নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ওপরে   * উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইনসের ইঞ্জিনে আগুন   * শিগগির যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করবে রাশিয়া-ইউক্রেন: ট্রাম্প   * জামিন পেলেন নুসরাত ফারিয়া   * ভারতের ১৫টি আমের চালান বিমানবন্দর থেকে ফেরত দিল যুক্তরাষ্ট্র   * গাজায় বড় আকারের স্থল অভিযান শুরু করল ইসরায়েল  

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
এক লাফে তেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি

সারাদেশে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে এবার সংস্থাটি সকল পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাড়তি দামেই কিনতে হবে তাদের পণ্য। যদিও বাজার মূল্য থেকে অনেক কম রয়েছে এসব পণ্যের। বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে এ পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

দেশব্যাপী প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এসব পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে টিসিবি।

টিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগে যেখানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ১০০ টাকা লিটারে তেল বিক্রি করা হতো সেটা এখন ১৩৫ টাকা, ডালের দাম ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা ও চিনির দাম ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করা হয়েছে।

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যেকোনো সাধারণ ভোক্তা ঈদের পণ্য কিনতে পারবেন বিশেষ ট্রাকসেলে।

দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে টিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বড় ভর্তুকি দিচ্ছে। সে খরচ কমাতে দাম কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। সে বাড়তি দামও সমন্বয় করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ কার্যক্রমের পাশাপাশি যেকোনো ভোক্তার কাছে সারাদেশ প্রতিদিন ৬৯০ টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি বিক্রি হবে। ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০ টি করে অবশিষ্ট ৫৬ জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাক থাকবে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে।

ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।

এক লাফে তেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি
                                  

সারাদেশে ভর্তুকিমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে এবার সংস্থাটি সকল পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। বাড়তি দামেই কিনতে হবে তাদের পণ্য। যদিও বাজার মূল্য থেকে অনেক কম রয়েছে এসব পণ্যের। বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে এ পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

দেশব্যাপী প্রতিদিন ৬৯০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রি করা হবে। এসব পণ্যের মধ্যে প্রতি লিটার তেলে ৩৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে, প্রতি কেজি মসুর ডালে ২০ টাকা ও চিনির দাম ১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানিয়েছে টিসিবি।

টিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগে যেখানে স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের কাছে ১০০ টাকা লিটারে তেল বিক্রি করা হতো সেটা এখন ১৩৫ টাকা, ডালের দাম ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা ও চিনির দাম ৭০ থেকে বাড়িয়ে ৮৫ টাকা করা হয়েছে।

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীদের পাশাপাশি যেকোনো সাধারণ ভোক্তা ঈদের পণ্য কিনতে পারবেন বিশেষ ট্রাকসেলে।

দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে টিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, সরকার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বড় ভর্তুকি দিচ্ছে। সে খরচ কমাতে দাম কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়া বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। সে বাড়তি দামও সমন্বয় করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ কার্যক্রমের পাশাপাশি যেকোনো ভোক্তার কাছে সারাদেশ প্রতিদিন ৬৯০ টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি বিক্রি হবে। ঢাকায় ৫০টি, চট্টগ্রামে ২০টি, ছয়টি বিভাগীয় শহরে ১০ টি করে অবশিষ্ট ৫৬ জেলা শহরে ১০টি করে ট্রাক থাকবে। ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রয় কার্যক্রম ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ৩ জুন পর্যন্ত (শুক্রবার ও ছুটির দিনসহ) চলমান থাকবে।

ভোক্তা প্রতি সর্বোচ্চ ২ লিটার তেল, এক কেজি চিনি ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারবেন।

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম
                                  

সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী সোনার বাজার। কর বিল নিয়ে মার্কিন রাজস্বনীতিতে অনিশ্চয়তা ও ডলারের মান নেমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মূল্যবান এই ধাতুটির ওপর আস্থা বেড়েছে।  

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বুধবার (২১ মে) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৩০৫ দশমিক ৩৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ১২ মের পর বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দর এটি।

গত ৭ মে থেকে ক্রমাগত পতনের মুখে ডলারের মান। এর ফলে বিদেশি মুদ্রাধারীদের জন্য গ্রিনব্যাক-মূল্যের সোনা অনেকটাই সস্তা হয়ে গেছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাধারণ ডলার সূচক ১ পয়েন্টের বেশি কমেছে। সেই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর বিল নিয়ে আলোচনাও ডলারের মান কমায় প্রভাব ফেলছে। যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে সোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ গত শনিবার (১৭ মে) ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। পরদিন রোববার (১৮ মে) থেকে দেশের বাজারে নতুন এই দরে সোনা বেচাকেনা চলছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা।

খোলাবাজারে ডলার ১২৭ টাকা, ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
                                  

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপের মুখে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালুর পর খোলাবাজারে (ওপেন মার্কেট) বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২৭ টাকায়। যদিও ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন হচ্ছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে রয়েছে। 

ডলার ক্রেতাদের অভিযোগ, অনেক মানি এক্সচেঞ্জ ব্যাংক থেকে ডলার সংগ্রহ করেও বাজারে ছাড়ছে না। বাড়তি দামের আশায় মজুত করে রাখছে। এমন অবস্থায় বাজারে অস্থিরতা ঠেকাতে কঠোর অবস্থানের বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ডলারের রেফারেন্স রেট ১২২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা একদিন আগেও ছিল ১২১ টাকা ৬৮ পয়সা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও বাজার তদারকি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাতটি বিশেষ দল মাঠে নামিয়েছে।  

রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, মানি এক্সচেঞ্জগুলোর বোর্ডে ডলারের দাম লেখা ১২৪ টাকা হলেও বাস্তবে তা মিলছে না। ডলার নেই বলে জানানো হলেও আড়ালে গিয়ে বেশি দাম দিলে ডলার মিলছে। বিশেষ করে হজ মৌসুমে ডলারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। 

বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ডলারের কোনো সংকট নেই দাবি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আমদানি চাহিদা সীমিত থাকায় এবং পর্যাপ্ত রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে বাজারে ভারসাম্য রয়ে গেছে। প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করতে হয়, যেখানে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স মিলিয়ে প্রায় সাত বিলিয়ন ডলার আয় হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

খোলাবাজারে পাঁচ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি অন্যায় বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, এ ধরনের কার্যক্রম নজরে এলে জড়িত মানি এক্সচেঞ্জগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে জরিমানার পাশাপাশি প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ : বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, এবার অবস্থান কর্মসূচির ডাক
                                  

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে প্রণীত অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবি আদায়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এবার অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। আগামীকাল বুধবার স্ব স্ব কার্যালয়ে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংগঠন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এ তথ্য জানায়।

এদিন বিকেলে সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে এনবিআর পৃথকের অধ্যাদেশ বাতিল চেয়ে আন্দোলনে নামা ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদল অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তবে ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগামীকাল দুপুর ১২টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এছাড়া, বুধবার সকাল ৯টা থেকে প্রেস ব্রিফিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীন ঢাকাস্থ দপ্তরসমূহের আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এনবিআর ভবনের নিচতলায় এবং ঢাকার বাইরের অন্য সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

এর আগে একই দাবিতে পাঁচদিন কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

প্রতিনিধিদল অর্থ বিভাগের সম্মেলেন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব সংস্কার পরামর্শক কমিটির সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তিনজন প্রাক্তন সদস্য, অর্থ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এনবিআরকে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুই ভাগ করে ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার এটি কার্যকর করার তারিখ ঘোষণা করবে।

রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে আলাদা করতে গত ১৭ এপ্রিল খসড়া অধ্যাদেশে অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।

এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দাবিগুলো হলো-
১। জারিকৃত অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে;

২। রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং

৩। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থাসমূহ, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব প্রশাসন সংস্কার নিশ্চিত করতে হবে।

১৫ বছর ধরে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
                                  

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ভিত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই সেটা করা হয়েছে। স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন দারুণভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা নীতি সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ওই পরিস্থিতির পরে আমরা ক্ষমতা নিয়ে প্রচুর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলাম। কিন্তু বেশ কিছু ভালো পদক্ষেপে এখন দেশের রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে সুদিন এসেছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য ক্ষেত্রেও সফলতা আসছে।

এসময় তিনি প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রসঙ্গে বলেন, অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো প্রতিযোগিতা কমিশনের সক্ষমতাও ধ্বংস করা হয়েছিল। যে কারণে সাধারণ মানুষ এর খুববেশি সুফল পায়নি। মানুষ চায় তাদের প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিযোগিতার সুফল। এ কমিশনকে সে জায়গায় যেতে হবে।

বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, অনেক অসাধু প্রতিষ্ঠান বাজারে যোগসূত্র তৈরি করে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। প্রতিযোগীদের দমিয়ে রাখতে প্রয়োজনে কম দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের ধ্বংস করছে। তাদের শাস্তি দিতে হবে। আবার যারা ভোক্তাদের জিম্মি করে, সরকারকে ভ্যাট-টাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে উপার্জন করছে তাদের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদেরও দেশের প্রতি দায়িত্ববান হতে হবে। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার চর্চা ও দেশের সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন কমিশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র্যাপিড) চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।

প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) পরিচালক ড. এ কে এনামুল হক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য (আইন) ড. আফরোজা বিলকিস, ফরেন কমনওয়েলথ এন্ড ডেভলপমেন্ট অফিসের ইকনোমিক অ্যাডভাইজর ইসাম মোসাদ্দেক এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান টি রহমান।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিস সোনালি দয়ারাত্নে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন শুধু কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করে না, সুরক্ষাও দেয়। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান যারা বাজারে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। গুটিকয়েক কোম্পানি সিন্ডিকেট ভেঙে সব কোম্পানিগুলোকে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের বড় লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং কমেছে
                                  

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিস শুক্রবার (১৬ মে) যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্রেডিট রেটিং ‘এএএ’ থেকে ‘এএ১’ এ নামিয়ে দিয়েছে। ঋণ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রেটিং হ্রাস মার্কিন অর্থনীতির ভিত দুর্বল হওয়ার সংকেত দিচ্ছে।

মুডিস জানিয়েছে, মার্কিন সরকারের ঋণ তিন লাখ ৬০ হাজার লাখ কোটি ছাড়িয়ে গেছে, আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতির কারণে রেটিং কমানো হয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে সরকারি ঋণ এবং সুদ পরিশোধের অনুপাত বেড়েছে, যা অন্য উচ্চ রেটেড দেশগুলোর তুলনায় বেশি। মার্কিন প্রশাসন ও কংগ্রেস রাজস্ব ঘাটতি ও ঋণের ওপর নিয়ন্ত্রণে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক আউটলুকে ‘স্থিতিশীল’ থেকে ‘নেগেটিভ’ পরিবর্তন হয়েছে।

মুডিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাজেট প্রস্তাব অনুমোদিত হলেও বাধ্যতামূলক ব্যয় ও ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে না, বরং আগামী দশকে ঘাটতি আরও বাড়বে। এনটাইটেলমেন্ট ব্যয়ের বৃদ্ধি এবং রাজস্ব স্থিতিশীল থাকার কারণে ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বাড়বে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ফেডারেল ঋণ জিডিপির প্রায় ১৩৪ শতাংশে পৌঁছাবে, যা ২০২৪ সালে ৯৮ শতাংশ ছিল। একই সঙ্গে সুদ ব্যয় রাজস্বের ৩০ শতাংশ ছুঁয়ে যাবে, যেখানে ২০২৪ সালে এটি ছিল ১৮ শতাংশ।

মুডিস সতর্ক করেছে, কর ও ব্যয়ের সমন্বয় ব্যতীত মার্কিন বাজেট নমনীয়তা সংকুচিত হবে। ২০১৭ সালের কর কর্তনের আইন সম্প্রসারণ করলে আগামী দশকে প্রাথমিক ঘাটতিতে প্রায় ৪ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ হবে।

মুডিসের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠরা সমালোচনা করেছে। ট্রাম্পের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা স্টিফেন মুর এটিকে ‘অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চেউঞ্জ মুডিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্দিকে রাজনৈতিক বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা :খরচ বাড়বে ৫ গুণ, ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা
                                  

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, প্লাস্টিকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। ঘোষণার পরের দিনই রোববার (১৮ মে) সীমান্তে আটকে গেছে অনেক পণ্য। এতে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। পাঁচগুণ বেশি খরচ করে রপ্তানি আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় অনেকে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, স্থলবন্দর বন্ধ হলে ভারতে পণ্য রপ্তানি মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। কারণ, বিকল্প হিসেবে সমুদ্রপথে বাড়বে খরচ ও সময়। সমুদ্রবন্দর দিয়ে ভারতের কলকাতা ও মুম্বাই বন্দরে পণ্য খালাস করে স্থলপথে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে যেতে হবে। এতে মূল ভুখণ্ডে কিছুটা রপ্তানি হলেও সবচেয়ে বড় বাজার সেভেন সিস্টার্স নামে খ্যাত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে পণ্য পাঠানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে।

বেশ কয়েকজন রপ্তানিকারক জানান, এর আগে তারা সব সময় ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করেই পণ্য রপ্তানি করেছেন। কখনো সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করেননি। কারণ এতে পরিবহন খরচ প্রায় পাঁচগুণ হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই সব রাজ্যে পণ্য পাঠাতে প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে সমুদ্রপথে কলকাতা পণ্য পাঠাতে হবে। পরে পুরো বাংলাদেশের সীমান্ত ঘুরে আসাম, মেঘালয়, করিমগঞ্জ ও আগরতলায় যাবে পণ্যের চালান।

ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করার জন্য এ পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ এটি।- ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ

ড্যানিশ ফুডের হেড অব বিজনেস দেবাশীষ সিংহ জাগো নিউজকে বলেন, ‘মূলত সেভেন সিস্টার্সের বাজারে ভারতের নিজস্ব পণ্যের চেয়ে বাংলাদেশের পণ্যের আধিক্য বেশি ছিল। কারণ ভারতের মূল ভূখণ্ডের কোম্পানিগুলোর চেয়ে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কম খরচে সেখানে পণ্য পৌঁছাতে পারতো। সে সুযোগ বন্ধ করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। এদেশের কোম্পানিগুলোর জন্য বড় দুঃসংবাদ এটি।’

ভারতে রপ্তানির জন্য আমরা ছয়টি স্থলবন্দর ব্যবহার করি জানিয়ে বলেন, এর সবগুলো বন্ধ করা হয়েছে। ভারত এখন কেবল কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির সুযোগ দিচ্ছে। এ দুটি বন্দর রপ্তানিকারকদের একদম কাজে আসবে না, ওইসব দিয়ে রপ্তানিও হয় না।’

এতদিন রপ্তানিকারকরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, মৌলভীবাজারের চাতলাপুর, সিলেটের শেওলা, তামাবিল স্থলবন্দরের মতো ছয়টি বন্দর দিয়ে ভারতের সেভেন সিস্টার্সে পণ্য পাঠিয়েছে। এতে ২০ ফুটের একটি কার্গোর জন্য ভাড়া গুনতে হয়েছে ১৮ থেকে ২৫ হাজার টাকা। যেখানে এখন একই ভাড়া দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত পণ্য নেওয়া যাবে। এরপর অতিরিক্ত জাহাজ ভাড়া ও কলকাতা থেকে আবারও পণ্য আসাম, মেঘালয়, করিমগঞ্জ বা আগরতলায় নিতে প্রায় এক লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিকপণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘এত খরচ করে সমুদ্রপথে পণ্য নিয়ে সেটা কোনোভাবে প্রতিযোগিতা সক্ষম হবে না। আগে কখনো সমুদ্রপথে আমরা পণ্য পাঠাইনি। এখন সেটা করতে হলে আমাদের পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ থেকে প্রায় ৫০টির বেশি কোম্পানি শুধু প্লাস্টিকপণ্য রপ্তানি করতো, সেগুলো একটি বড় বাজার হারাবে।’

এত খরচ করে সমুদ্রপথে পণ্য নিয়ে সেটা কোনোভাবে প্রতিযোগিতা সক্ষম হবে না। আগে কখনো সমুদ্রপথে আমরা পণ্য পাঠাইনি। এখন সেটা করতে হলে আমাদের পণ্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ থেকে প্রায় ৫০টির বেশি কোম্পানি শুধু প্লাস্টিকপণ্য রপ্তানি করতো, সেগুলো একটি বড় বাজার হারাবে।- বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ

ভারতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কোমলপানীয় রপ্তানি করতো আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির হেড অব মার্কেটিং মাইদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভারতের এ সিদ্ধান্তের পর আজ আমরা ভারতের যে অর্ডারগুলো ছিল, সে উৎপাদন স্থগিত করেছি। আমরা ভারতে চার থেকে লাখ কার্টন পণ্য রপ্তানি করতাম বছরে। এ সিদ্ধান্তের ফলে আমরা অনিশ্চয়তায় পড়েছি।’

মাইদুল ইসলাম বলেন, ‘এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, ভারতের ভোক্তারাও কিন্তু স্বল্পমূল্যে ভালো পণ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে আমরা আশা করছি উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো সিদ্ধান্ত আসবে শিগগির।’

এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, ভারতের ভোক্তারাও কিন্তু স্বল্পমূল্যে ভালো পণ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। ফলে আমরা আশা করছি উভয় দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটি ভালো সিদ্ধান্ত আসবে শিগগির।- আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের হেড অব মার্কেটিং মাইদুল ইসলাম

ড্যানিশ ফুডের দেবাশীষ সিংহ ‘এখন অন্যভাবে (সমুদ্রপথে) রপ্তানি করার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশি কোম্পানি খরচে পোষাতে পারবে না। কারণ আমরা আগে বর্ডার পার হলেই আসাম, গৌহাটি, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামে পণ্য পৌঁছাতে পারতাম স্থলপথে। ওই পথে না গেলে নৌপথে অনেক ঘুরে, বারবার ট্রান্সপোর্ট পরিবর্তন করে খরচে টিকতে পারবো না।’

রপ্তানিকারকরা আরও জানান, নতুন ব্যবস্থায় সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে হলে চট্টগ্রাম বন্দর বা মোংলা বন্দর থেকে কলকাতার হলদিয়া বন্দরে পাঠাতে হবে। তারপর সেখান থেকে সেভেন সিস্টার্স যেতে হবে আলাদা পরিবহনের মাধ্যমে। এতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগবে, যা আগে একদিনে করা যেত স্থলবন্দরের মাধ্যমে।

ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে বাংলাদেশের সময়-খরচ বাড়বে
                                  

নিশ্চিতভাবেই স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। বাংলাদেশের জন্য ভারত একটি ক্রমবর্ধমান রপ্তানি গন্তব্য। নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে রপ্তানি বাড়ানোর প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত করবে।

ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন জাগো নিউজকে একথা বলেন।


শনিবার (১৭ মে) ভারত সরকার বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীসহ কিছু পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

যেহেতু তাদের কলকাতা দিয়ে রপ্তানি করতে হয়, তাই সময় ও খরচ বাড়বে। ফলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সুতরাং এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতে আমাদের রপ্তানি কমে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই

স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পণ্য পাঠানো বন্ধের জন্য ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে ড. জাহিদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সমুদ্র ও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় সুতা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ভারত।

তিনি বলেন, পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য সব স্থলবন্দর বন্ধ রয়েছে। এটি ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কারণ আমাদের রপ্তানি আয়ের বেশিরভাগই তৈরি পোশাক থেকে আসে এবং এর সিংহভাগ স্থলবন্দর দিয়ে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশিরভাগই সেভেন সিস্টারস (উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো) অঞ্চলের জন্য। যেহেতু তাদের কলকাতা দিয়ে রপ্তানি করতে হয়, তাই সময় ও খরচ বাড়বে। ফলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সুতরাং এ নিষেধাজ্ঞার ফলে ভারতে আমাদের রপ্তানি কমে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

কীভাবে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সমাধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথমে জানতে হবে কেন এটি আরোপ করা হয়েছে, তারপর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে উভয় দেশকে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। আর ভারত সরকারের উচিত কারণ ব্যাখ্যা করা কেন তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বচ্ছতার অংশ।

আমরা যদি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সাম্প্রতিক পাল্টা শুল্ক আরোপের দিকে তাকাই, তারা নতুন শুল্কহার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছে, কেন এই সমস্যাগুলো ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান করা উচিত সেটা জানিয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞা ভারতে রপ্তানি করা ব্যবসায়ীদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

ভারত সরকারের উচিত কারণ ব্যাখ্যা করা কেন তারা এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্বচ্ছতার অংশ

শনিবার (১৭ মে) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেবল নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশের অনুমতি থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্যদিয়ে পরিবহনকারী বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যা নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে পাঠানো হবে। এ নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে।

ফল-ফলের স্বাদযুক্ত ও কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, তুলা ও সুতি সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি তৈরিপণ্য আমদানি, নিজস্ব শিল্পের জন্য ইনপুট তৈরি করে এমন রঙিন পদার্থ, রং, প্লাস্টিসাইজার, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনো স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ও পশ্চিমবঙ্গের (এলসিএস) চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ী দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চূর্ণী পাথর প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

এর আগে গত মাসে তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি স্থগিত করে। গত ৯ এপ্রিল ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে ভারত।

বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণ জানা গেল
                                  

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। দেশটি শনিবার (১৭ মে) জানায়, তাদের স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি করা যাবে না। তবে বাংলাদেশি পোশাক কিনতে চাইলে কলকাতা ও মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আনতে হবে ভারতীয় আমদানিকারকদের।

বাণিজ্যবিষয়ক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) এ তথ্য জানিয়েছে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৪২ শতাংশ পণ্যের ওপর প্রভাব পড়বে, যার পরিমাণ প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলার।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য রপ্তানির ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- এপ্রিল ২০২৫ থেকে প্রধান স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় সুতা আমদানি নিষিদ্ধকরণ; চাল আমদানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ; কাগজ, তামাক, মাছ ও গুঁড়ো দুধের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি ১.৮ টাকা হারে ট্রানজিট ফি ধার্য করেছে ঢাকা।

ভারতীয় সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশের এসব পদক্ষেপের কারণে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শর্তাবলী কেবল নিজেদের সুবিধার জন্য বেছে নিতে পারে না বা ভারতের বাজার প্রবেশাধিকারকে হালকাভাবে নিতে পারে না। ভারত এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে এজন্য বাংলাদেশকে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিধিনিষেধের কারণে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে ভারত। 

ভারতের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের কোনও শুল্ক পয়েন্টে— পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ক পয়েন্ট দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, প্লাস্টিকের পণ্য (পণ্য তৈরির জন্য নির্দিষ্ট উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি করা যাবে না।

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ভারত। দেশটি শনিবার (১৭ মে) জানায়, তাদের স্থলবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু পণ্য আমদানি করা যাবে না। তবে বাংলাদেশি পোশাক কিনতে চাইলে কলকাতা ও মহারাষ্ট্রের নাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আনতে হবে ভারতীয় আমদানিকারকদের।

বাণিজ্যবিষয়ক গবেষণা সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিটিআরআই) এ তথ্য জানিয়েছে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞার কারণে দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৪২ শতাংশ পণ্যের ওপর প্রভাব পড়বে, যার পরিমাণ প্রায় ৭৭০ মিলিয়ন ডলার।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষভাগ থেকে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্য রপ্তানির ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- এপ্রিল ২০২৫ থেকে প্রধান স্থলবন্দরগুলোর মাধ্যমে ভারতীয় সুতা আমদানি নিষিদ্ধকরণ; চাল আমদানির ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ; কাগজ, তামাক, মাছ ও গুঁড়ো দুধের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়া ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রতি কিলোমিটারে টনপ্রতি ১.৮ টাকা হারে ট্রানজিট ফি ধার্য করেছে ঢাকা।

ভারতীয় সূত্রগুলোর মতে, বাংলাদেশের এসব পদক্ষেপের কারণে ভারতীয় রপ্তানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দেশটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শর্তাবলী কেবল নিজেদের সুবিধার জন্য বেছে নিতে পারে না বা ভারতের বাজার প্রবেশাধিকারকে হালকাভাবে নিতে পারে না। ভারত এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। তবে এজন্য বাংলাদেশকে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিধিনিষেধের কারণে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে ভারত। 

ভারতের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মিজোরামের কোনও শুল্ক পয়েন্টে— পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা এবং ফুলবাড়ি শুল্ক পয়েন্ট দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার, তুলার বর্জ্য, প্লাস্টিকের পণ্য (পণ্য তৈরির জন্য নির্দিষ্ট উপকরণ ব্যতীত) এবং কাঠের আসবাবপত্র আমদানি করা যাবে না।

 

স্থলবন্দরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
                                  

বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, পোশাকসহ প্রায় সাত ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। তবে বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনে সকল কিছু করা হবে।

রোববার (১৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

ভারত গতকাল যে পদক্ষপটা নিলো সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা কী করছেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা এখনো অফিসিয়ালি ভারতের পদক্ষেপের বিষয়ে কিছু জানি না। তবে সোস্যাল মিডিয়া ও নিউজ থেকে আমরা জানি তারা স্থলবন্দর বিশেষ করে আখাউড়া, ডাউকিসহ কিছু সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা ফর্মালি জানার পর ব্যবস্থা নিতে পারবো। আমাদের বিশ্লেষণ চলছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা সেটা করছে। আমরা উপলব্ধি করার চেষ্টা করছি, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা করণীয় নির্ধারণ করবো।

আমরা ভারতের যে সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারছি তাতে আমাদের বাণিজ্য বড় ধরনের প্রভাব পড়বে, বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য, আসবাবপত্র, ফলের জুসসহ বিভিন্ন পণ্যে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের দেশ থেকে খুব বেশি যে সবকিছু যায় তা কিন্তু না। গার্মেন্টস শিল্পের একটা বড় পরিমাণ যায়। আপনারা এটা জানেন যে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনই আমাদের বড় লক্ষ্য৷ এটা দুইজনের জন্য লাভজনক বিষয়। আমরা নিশ্চয়ই মনে করি ভারত নিজেও একটা টেক্সটাইল বা বস্ত্রশিল্পে সমৃদ্ধ দেশ। এরপরও যখন আমাদের দেশ থেকে এসব পণ্য রপ্তানি হয় সেটা আমাদের সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করেই। তবে আমরা আশা করি উভয় দেশের ভোক্তা ও উৎপাদনের স্বার্থে এটা চলমান থাকবে।

এর আগেও ট্রান্সশিপমেন্ট, এখন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা; এই দুইটা বিষয় ভারত কেন করেছে বলে আপনি মনে করেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রভাব আমাদের নেই। আমরা নিজেদের সক্ষমতা ব্যবহার করে নিজস্বভাবেই এই সমস্যার সমাধান করেছি।

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা কি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আপনার মনে হয়- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অবশ্যই, এটাতো প্রতিযোগিতার সক্ষমতার বিষয়। বিভিন্ন সময় আপনারা দেখেছেন আমরা যেহেতু ভৌগোলিকভাবে কানেক্টেড একটা দেশ। আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা, পরিবহন ব্যয়সহ অন্যান্য জিনিস নির্দিষ্ট। এক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন সময় আমাদের কৃষিপণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করি, ভারতও করে। সেটা চলমান একটা প্রক্রিয়া। এটা বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া আমরা সেটা বিষয়ে কাজ করছি। সেখানে যদি সমস্যা দেখা দেয় বা তৈরি হয় তাহলে উভয়পক্ষ আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবো।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু বন্দর এখনো চালু আছে। যে কয়টা বন্ধ হয়েছে সেখানে ৯০ শতাংশ নয়। আমাদের সংস্থাগুলো কাজ করছে। আমি এখনো রিপোর্টটা দেখিনি। আপনারা যেমন সোস্যাল মিডিয়াতে দেখেছেন আমিও সোস্যাল মিডিয়ায় দেখেছি। আমাদের আরও দু-একদিন সময় লাগবে পুরো পরিস্থিতিটা জানার জন্য আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। আজ না হয় কালের মধ্যে তথ্য পেয়ে যাবো, তখন আমরা আরও ভালোভাবে জানতে পারবো।

ভারতের সাথে কি তাহলে আলোচনায় যাবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, প্রয়োজনে সকল কিছু করবো। তবে এ বিষয়টি আমাদের এখনো অফিসিয়ালি জানানো হয়নি।

যে দুইটি সিদ্ধান্ত আমরা দেখলাম সেটা সাম্প্রতিক দুই দেশের সম্পর্কের কারণে হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার কাজ বাণিজ্য আমি এটাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই। সবসময় যেটা বলে এসেছি আমি উদার বাণিজ্যে বিশ্বাসী। আমার কাছে বাণিজ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার দেশের ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য উদারীকরণ ও বাণিজ্য ইনক্লুশন ছাড়া আর কোনো রাস্তা আমি দেখি না।

সরকার বলছে আমরা বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়ন করবো, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবো অথচ পরিস্থিতি উল্টো দেখা যাচ্ছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই জিনিসগুলোই আলোচনায় নিয়ে আসবো। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন ভারতের সাথে আমাদের যে বাণিজ্য সেটা ভারতের দিকেই অধিক ভারী। আমরা নিশ্চয়ই এই অবস্থানগুলো তুলে ধরবো। একই সঙ্গে আশা করছি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো।

এ ধরেনর সিদ্ধান্তে ভারতের সাথে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়বে সেটা কীভাবে কমিয়ে আনবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, একদিনে তো আর বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারবেন না। আমরা যেটা ভারত থেকে রিসোর্স করি সেটা পার্শ্ববর্তী অঞ্চল হিসেবে, ভারতও সেটা করে। সেটা প্রাকৃতিক বিষয়ের কারণেই হয়ে আসছে। আমরা আমাদের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা বাণিজ্য বৃদ্ধি করবো।

বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত?
                                  

এক দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। 

শনিবার (১৭ মে) রাতে বাজুস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, যা রোববার (১৮ মে) থেকে কার্যকর।

এর আগে, সবশেষ গত ১৫ মে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

 

আজ খোলা ব্যাংক-সরকারি অফিস
                                  

ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবার টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এজন্য আগামী ১১ ও ১২ জুন (বুধ ও বৃহস্পতিবার) নির্বাহী আদেশের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এর আগে ১৭ ও ২৪ মে শনিবার সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রাখা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ শনিবারও অফিস, ব্যাংক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

আজ শনিবার ব্যাংকে স্বাভাবিক সব ধরনের লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। লেনদেন শুরু হবে সকাল ১০টায়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সন্ধা ৬টা পর্যন্ত। বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী ব্যাংকের নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের পর গত ৭ মে ঈদে নির্বাহী আদেশে দুদিন (১১ ও ১২ জুন) ছুটি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ছুটির দিনে (১৭ ও ২৪ মে) অফিস খোলা রাখার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন (১৭ ও ২৪ মে) সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ জুন দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে। ‌এবার ঈদুল আজহায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আগে থেকেই এবার ঈদুল আজহার ছুটি ৫ থেকে ১০ জুন মোট ছয় দিন নির্ধারণ করা ছিল। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ১১ ও ১২ জুনও ছুটি ঘোষণা করায় ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা।

বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে, দামও সাধ্যের মধ্যে
                                  

জ্যৈষ্ঠের শুরুতে রাজধানীর ছোট-বড় বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে। আম, কাঁঠাল, লিচু, তাল শ্বাস, আনারস, জামরুলসহ নানান ফলের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। অন্যদিকে, মৌসুম শেষ হলেও বেল, বাঙ্গি ও তরমুজও পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ মে) রাজধানীর মিরপুর, পল্লবীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, গ্রীষ্মকালিন ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আম ও লিচু। সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী থেকে আসা বাহারি নামের আম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়। আর লিচু বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়। প্রতিকেজি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫০- ৬০০ টাকা। প্রতিপিস তালের শ্বাস ৩০ টাকা, আনারস প্রতি পিস ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে ভ্যানে করেও মৌসুমি এসব ফল বিক্রি করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিম সাগর আম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১২০ টাকায়, গোবিন্দভোগ ১২০ টাকা, গোপালভোগ ১০০ টাকা, হিমসাগর ১২০ টাকা, গুটি আম ৮০ টাকা, যশোরের ১০০ লিচু ৩৮০-৪০০ টাকা, রাজশাহীর বোম্বে লিচু ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যান্য ফলের মধ্যে ডালিম ৪০০-৪৫০ টাকা, সাদা আঙুর ২০০-২৫০ টাকা, কালো আঙুর ৪০০-৪৫০ টাকা, মাল্টা ২০০-২৩০ টাকায় ও আপেল ২৮০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাকা কাঁঠালের দেখা মিলেছে কম। সবজি হিসেবে রান্না করার জন্য কাঁঠাল কিনতে দেখা গেছে ক্রেতাদের।

সকালে পল্লবীর একটি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকানে ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। বেশিরভাগ ক্রেতাকে আম কিনতে দেখা গেছে।

রসালো ফলে ছেয়ে গেছে বাজার, দামও সাধ্যের মধ্যে

ফল বিক্রেতা আনসারি আহমেদ বলেন, সারা দেশ থেকে আম আসছে। আমের দামও কম। সব ধরনের আমের বিক্রি ভালো। এখন সাতক্ষীরার আম আসছে বেশি।

মাহফুজ নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, বাজারে যে লিচুগুলো আসছে সেগুলো আকারে কিছুটা ছোট। আগামী সপ্তাহ থেকে বড় লিচু আসবে দামও কিছুটা কমবে। পাকা কাঁঠালের একটা বড় অংশ আসে গাজীপুর, সাভার থেকে। আগামী ১-২ সপ্তাহ পরে বাজারে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ বাড়বে।

আম, লিচুর কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কম বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

রায়ানখোলা বাজারের ফল বিক্রেতা মাসুদ আলম বলেন, এখন মানুষ আম কাঁঠাল খাবে। এটা অন্তত ১-২ মাস চলবে। রোগীর জন্য অনেকেই মাল্টা, আপেল কিনছেন। তবে বাসায় খাওয়ার জন্য কিংবা প্রতিবেশির বাড়িতে আম, লিচু নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে, তাই কিনছেন।

ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ১০০ টাকার উপরে থাকে। ভরা মৌসুমে কিছুটা কমে। শেষ দিকে বেড়ে যায়।

মিরপুর ১ নাম্বার বাজারে কথা হয় চাকরিজীবী শাহীন আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশি ফলের দাম নাগালের মধ্যে। স্বাদও ভালো। বিদেশি ফল কিনে খাবার সামর্থ্য হয় না অনেকের, আমাদের জন্য আম, কাঁঠাল এখন আশীর্বাদ।

আরেক ক্রেতা জানালেন, আম, লিচুর দাম সহনীয় হলেও দেশি অন্য ফলের দাম কিছুটা বেশি।

রাকিব হাসান নামের একজন ক্রেতা বলেন, দেশি পেয়ারা এখন ১০০ টাকা কেজি, কালো জাম ৪০০ টাকা কেজি। এসব ফলেরও বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।

মুরগির দাম কমেছে, বেড়েছে ডিমের
                                  

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ডিমের দাম ডজনে প্রায় ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। তবে এসময়ে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এছাড়া বেশির ভাগ সবজির দামে চড়াভাব এখনো কাটেনি। তবে কিছু কিছু সবজি আগের চেয়ে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১৬ মে) সকালে রাজধানী রামপুরা, মালিবাগ, খিলগাঁও তালতলা ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন বাজারে প্রোটিনের সস্তা উৎস হিসেবে পরিচিত ডিমের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে ছিল। এখন দাম বাড়ায় তাদের কেউ কেউ উষ্মা প্রকাশ করছেন। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এতদিন ডিম বিক্রি করে লোকসান করেছেন খামারিরা। এখন দাম কিছুটা বাড়লে সেটি খামারিদের জন্য ন্যায্য হবে।

মালিবাগ বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, বর্ষার এ মৌসুমে অন্যান্য বছর ডিমের দাম আরও বেশি থাকতো। এ বছর অনেকদিন ধরে ডিমের দাম কম, খামারিরা লোকসান গুনছেন। অনেক খামার বন্ধও হয়ে গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় বাজারগুলোতে এখন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন হিসাবে। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে এখন ব্রয়লার ১৬০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে কিছু কিছু দোকানে গরুর মাংস কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। আগে ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন ৭৮০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছেন অনেক বিক্রেতা। তবে দরদাম করে আগের দামে কেনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

পুরোনো মিনিকেট চাল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কিছুটা কমেছে বাজারে নতুন আসা মিনিকেট। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরোনো মিনিকেট চাল যেখানে সর্বনিম্ন ৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নতুন মিনিকেটের কেজি ৭০ টাকা। তবে ভালো মানের বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের পুরোনো মিনিকেট চাল এখনো সর্বোচ্চ ৮৫-৮৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

বাজারে এখন গ্রীষ্মের পটোল-ঢ্যাঁড়সের মতো সবজিগুলো অন্যসময়ের তুলনায় কম দামে কেনা যাচ্ছে। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০-৬০ টাকায়। এছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, কাকরোল, উস্তা, বেগুন ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমছে। তবে বাজার এখনো ওঠানামা করছে। বৃষ্টিতে সরবরাহ কমলে দাম বাড়ছে। এছাড়া প্রতিদিনই দামে কিছুটা হেরফের হয়।

 

স্বর্ণের দামে বড় পতন
                                  

দেশের বাজারে আবারও কমেছে স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম তিন হাজার ৪৫২ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা নিধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা এর আগে এক লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। শুক্রবার থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৩৪ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি এক লাখ ৫৮ হাজার ১৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৫ হাজার ৬০৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক লাখ ১২ হাজার ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম এক লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট এক লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৪ হাজার ৪৩৬ টাকা নির্ধারণ করা ছিল।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে রূপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রূপার দাম দুই হাজার ৫৭৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম দুই হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা।

নগদের নতুন সিইও সাফায়েত আলম
                                  

দেশের অন্যতম সেরা মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন মো. সাফায়েত আলম। 

সোমবার (১২ মে) তিনি এই দায়িত্ব নেন বলে বুধবার (১৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে নগদ।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক গত অগাস্টে নগদে প্রশাসক নিয়োগ করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে উচ্চআদালতের দ্বারস্থ হন সাফায়েত আলম। পরে গত সপ্তাহে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত নগদে প্রশাসক নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে। এর ধারাবাহিকতায় তিনি কোম্পানির নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।

২০১৯ সালে বাণিজ্যিকভাবে নগদের যাত্রার আগে থেকেই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত আছেন সাফায়েত আলম। গত সাত বছর তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এখন কোম্পানির শীর্ষ পদে অসীন হয়ে তিনি নগদের গ্রাহক সেবার পরিধিকে আরও বিস্তৃত করার অঙ্গীকার করেছেন।

সাফায়েত আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিটি নিয়ম ও বিধিবিধান মেনে খুব কম সময়ে দেশের এমএফএস মার্কেটে একটি সাড়া জাগানো ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নগদ। সামনের দিনেও তাদের পরামর্শ নিয়ে গ্রাহক সেবাকে আরও ত্বরান্বিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা আমাদের থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় দেশে ক্যাশলেস প্রচেষ্টাকে আরও বেগবান করতে চাই। নগদ নানাভাবে তার উদ্ভাবন দিয়ে মানুষের জীবনকে সহজ করেছে। এখন আমরা এর পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে চাই।

প্রসঙ্গত, গত প্রায় তিন দশক ধরে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন্স, ইনফরমেশন টেকনোলোজি, ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসসহ বিভিন্ন খাতের কোম্পানিতে কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন সাফায়েত আলম। সম্মাননাস্বরূপ পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কারও।


   Page 1 of 102
     অর্থ-বাণিজ্য
এক লাফে তেলের দাম ৩৫ টাকা বাড়াল টিসিবি
.............................................................................................
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম
.............................................................................................
খোলাবাজারে ডলার ১২৭ টাকা, ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
.............................................................................................
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ : বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি, এবার অবস্থান কর্মসূচির ডাক
.............................................................................................
১৫ বছর ধরে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
.............................................................................................
যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেডিট রেটিং কমেছে
.............................................................................................
স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা :খরচ বাড়বে ৫ গুণ, ভারতের বাজার হারানোর শঙ্কায় রপ্তানিকারকরা
.............................................................................................
ভারতে পণ্য রপ্তানি করতে বাংলাদেশের সময়-খরচ বাড়বে
.............................................................................................
বাংলাদেশি পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞার কারণ জানা গেল
.............................................................................................
স্থলবন্দরে ভারতের নিষেধাজ্ঞা আনুষ্ঠানিকভাবে জানার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ: বাণিজ্য উপদেষ্টা
.............................................................................................
বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত?
.............................................................................................
আজ খোলা ব্যাংক-সরকারি অফিস
.............................................................................................
বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে, দামও সাধ্যের মধ্যে
.............................................................................................
মুরগির দাম কমেছে, বেড়েছে ডিমের
.............................................................................................
স্বর্ণের দামে বড় পতন
.............................................................................................
নগদের নতুন সিইও সাফায়েত আলম
.............................................................................................
চীন-মার্কিন শুল্ক হ্রাসে বাজারে স্বস্তি ফিরলেও অনিশ্চয়তা কাটছে না
.............................................................................................
আগামী মাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাচ্ছে দেশ
.............................................................................................
কমলো বিমানের তেলের দাম
.............................................................................................
ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না: অর্থ উপদেষ্টা
.............................................................................................
জুনেই আইএমএফের ঋণের অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশ
.............................................................................................
সোনার দাম আরও কমল
.............................................................................................
প্রবাসী আয়ে ইতিহাস
.............................................................................................
সোনার দাম আরও কমলো, ভরি ১৭০৭৬১ টাকা
.............................................................................................
ব্যাংকার-এসএমই নারী উদ্যোক্তা মেলায় এনআরবিসি ব্যাংক
.............................................................................................
একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আবারও বাড়ল
.............................................................................................
যে কারণে বন্ধ হয়ে গেল রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪৪০ বিক্রি
.............................................................................................
এপ্রিলে রফতানি আয় ৩০১ কোটি ডলার
.............................................................................................
দুই দফা কমার পর ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
হঠাৎ কমে গেল সোনা-রুপার দাম
.............................................................................................
বাংলাদেশে প্রথম দেশি মুরগির ব্র্যান্ড "গ্রামীণ প্রোটিন"-এর যাত্রা শুরু
.............................................................................................
বিশ্ববাজারে কমলো সোনার দাম
.............................................................................................
২৯ দিনে এলো পৌনে ৩২ হাজার কোটি টাকার প্রবাসী আয়
.............................................................................................
বাংলাদেশ এখন আইএমএফের ওপর নির্ভরশীল নয়: অর্থ উপদেষ্টা
.............................................................................................
এস আলমের দুটি কারখানা নিলামে
.............................................................................................
চালের দাম আরো বাড়বে
.............................................................................................
স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ
.............................................................................................
গরু-মহিষ ও উটের মাংস আমদানি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
.............................................................................................
একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম বাড়লো
.............................................................................................
বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার
.............................................................................................
দেশের বাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড
.............................................................................................
সিপিডির গবেষণা : ২০২৩ সালে কর ফাঁকির পরিমাণ ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা
.............................................................................................
তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
.............................................................................................
রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার
.............................................................................................
আবারও সোনার দামে রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা
.............................................................................................
মার্কিন শুল্ক থাকলে মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে
.............................................................................................
বেড়েছে তেল, চাল ও পেঁয়াজের দাম, কমেছে মুরগির
.............................................................................................
সৌদি আরব-মরক্কো থেকে আসবে ৭০ হাজার টন সার, ব্যয় ৪৬৬ কোটি টাকা
.............................................................................................
রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ ৯ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে
.............................................................................................
অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানিতে ৫ শতাংশ আগাম কর অব্যাহতি
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD