বাংলার জন্য ক্লিক করুন
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * রাজধানী সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা   * মিয়ানমারে বেসামরিক হত্যা-গ্রেপ্তার বাড়িয়েছে জান্তা : জাতিসংঘ   * দেশজুড়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা   * লেবাননে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৮০০   * সাগরে ফের লঘুচাপের শঙ্কা, টানা বৃষ্টির দুঃসংবাদ   * ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার: কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী   * ঢাকা উদ্যানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পিস্তল-রিভালবার-গুলি উদ্ধার   * সাবেক এমপি সেলিম আলতাফ জর্জ গ্রেফতার   * ভারত থেকে আসছে কম শুল্কের পেঁয়াজ, কমবে দাম   * জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে ১০০ কোটি টাকা অনুদান  

   অর্থ-বাণিজ্য -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
ভারত থেকে আসছে কম শুল্কের পেঁয়াজ, কমবে দাম

ভারতের সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে দুদিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। নতুন শুল্কায়নের এসব পেঁয়াজ আসায় দেশে দাম কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এসব পেঁয়াজ আমদানি করছে মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। আর রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুদিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস পর ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টনপ্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচ কমেছে।

ভারত থেকে আসছে কম শুল্কের পেঁয়াজ, কমবে দাম
                                  

ভারতের সার্ভারের জটিলতা কাটিয়ে দুদিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চারটি ট্রাকে ১২৩ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করে। নতুন শুল্কায়নের এসব পেঁয়াজ আসায় দেশে দাম কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এসব পেঁয়াজ আমদানি করছে মেসার্স শওকত ট্রেডার্স, মেসার্স সুমাইয়া ইন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স বি কে ট্রেডার্স।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় ১৩ সেপ্টেম্বর পণ্যটি রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে ২০ শতাংশ করা হয়। আর রপ্তানি মূল্য টনপ্রতি ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু ভারতের কাস্টমস সার্ভারে সেটি সংযুক্ত না হওয়ায় পেঁয়াজ আমদানি গত দুদিন ধরে বন্ধ ছিল। আজ সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি।

এর আগে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংকটের অজুহাতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর মার্চ মাসে অনির্দিষ্টকালের জন্য দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয়। এতে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেওয়ায় দাম বাড়তে থাকে। এরপর প্রায় পাঁচ মাস পর ৪ মে ন্যূনতম ৫৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি মূল্য এবং ৪০ শতাংশ হারে শুল্ক নির্ধারণ করে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কায়ন থেকে ২০ শতাংশ এবং টনপ্রতি ন্যূনতম ৫৫০ ডলারের থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্ভারে আগের ৪০ শতাংশ শুল্ক এবং ৫৫০ ডলার সংযুক্ত থাকায় আমদানি করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে সেই জটিলতা কাটিয়ে বন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হয়েছে। নতুন নিয়ম সার্ভারে সংযুক্ত হওয়ায় ১০-১৫ টাকা আমদানি খরচ কমেছে।

সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা
                                  

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ (এক দশমিক ১৬ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৪ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৪ দিনে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলার বা ১৪ হাজার ৬ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার করে।

এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮১ কোটি ৬৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১০টি। এর মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর) শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাসটিতে আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আসবে। বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধপথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। এতে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহের গতি।

প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।

 

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
                                  

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে উঠেছে স্বর্ণ।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা এক লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৭ হাজার ১৩ টাকায় বিক্রি করা হবে।

সোনার দাম বাড়ানো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।

আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা এক লাখ ২৬ হাজার ৩২১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ২০ হাজার ৫৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৩ হাজার ৩৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮৫ হাজার ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এর আগে, গত ১ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। তখন টানা ৬ দফা বাড়ার পর এক দফা কমেছিল স্বর্ণের দাম। তবে আবারও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
                                  

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিদেশি ঋণে ঝুঁকে না পড়ে নিজস্ব উৎস থেকে অর্থের সংস্থান করতে জোর দিতে হবে। সরকারের এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন আছে। এজন্য সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থ আইন, ২০২৪- এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনীত পরিবর্তনগুলোর ওপর আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

কর কর্মকতাদের প্রতি অর্থ উপদেষ্টা বলেন, করদাতাদের মনে যেন ভীতি তৈরি না হয়। তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ খুব একটা পাওয়া যাবে না। অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ওপর নির্ভর করতে হবে। তাই রাজস্ব আদায়ে দীর্ঘসূত্রতা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ করে ফাঁকি দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পরোক্ষ করে ঝামেলা আছে। কষ্ট দিয়ে কারও কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করবেন না।

এ সময় এনবিআরের আইনগুলোকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ করছি। জণগণের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপছে, অথচ এনবিআর কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হবে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ডলার
                                  

চলতি মাসের (সেপ্টেম্বর ২০২৪) প্রথম সপ্তাহে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর প্রতিদিন এসেছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সালের জুলাই মাসে দেশের ইতিহাসে এক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। বছর ওয়ারি হিসাবে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর ব্যাংকিং চ্যানেলে চলতি বছরের জুন মাসে দেশে এসেছে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। যা আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি। গত বছরের আগস্ট মাসে প্রায় ১৬০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।

এসআইবিএলের ১৮ লাখ শেয়ার কিনবেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান
                                  

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) এক উদ্যোক্তা ও সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে বিদ্যমান বাজারদরে ব্যাংকটির ১৮ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন তিনি।

রোরবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক একেচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক এই চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ১৮ লাখ শেয়ার ক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তিনি ডিএসইর পাবলিক/ব্লক মার্কেটে ঘোষিত এই শেয়ার ক্রয় সম্পন্ন করবে।

এসআইবিএলের শেয়ারহোল্ডিং রিপোর্ট অনুযায়ী, জুলাইয়ের শেষে সুলতান মাহমুদের কাছে ব্যাংকটির ১.৯১ কোটি শেয়ার ছিল, যা মোট শেয়ারের ১.৬৮ শতাংশ।

এর আগে, গত আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক এসআইবিএলের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পাঁচ সদস্যের নতুন বোর্ড গঠন করে। ২০১০ সালে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন সুলতান মাহমুদ।

নতুন পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা হলেন—ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডার মেজর (অব.) ডা. মো. রেজাউল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মাকসুদা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম, রূপালী ব্যাংক পিএলসির সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ আলম খন্দকার ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট আনোয়ার হোসেন।

তাদের মধ্যে ডা. রেজাউল হককে পরিচালক এবং বাকিদের স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পরে নতুন পর্ষদ সাদিকুল ইসলামকে ব্যাংকের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে।

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর: রাষ্ট্রদূত
                                  

বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি এমন মতামত দেন।

রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ঢাকা চেম্বার সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের হিমায়িত খাদ্য, চিংড়ি এবং সুস্বাদু আম ইউরোপসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি হচ্ছে, যা মিশরেও রপ্তানি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি, চামড়াজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সিরামিক, ওষুধ প্রভৃতি পণ্য আরও বেশি আমদানির জন্য মিশরের উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নদী ভিত্তিক পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মিশরের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত সহায়তার ওপর জোরারোপ করেন তিনি।

দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মিশরীয় পণ্য রপ্তানি বাড়াতে বাংলাদেশ অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে জানান ডিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে একক ও যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে দুই দেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন আয়োজনের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমঝোতা স্মারক সইয়ের ওপর জোরারোপ করেন আশরাফ আহমেদ।

এসময় মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হলেও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখনো আশানুরূপ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৮০ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মিশর থেকে পেট্রোকেমিক্যাল এবং সার আমদানির জন্য বাংলাদেশের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, মিশরীয় তথ্যপ্রযুক্তি ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন খাতে মিশরের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর: রাষ্ট্রদূতডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মহি এদ্দিন আহমেদ ফাহমি

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পখাতে ক্রমাগত উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে। মিশরের বাজারে ক্যানসারের ওষুধের বেশ চাহিদা রয়েছে, যার সুযোগ বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা নিতে পারেন।

তিনি বলেন, সুয়েজ খাল ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অধিকাংশ পণ্য ইউরোপসহ সমগ্র পৃথিবীতে রপ্তানি হচ্ছে। তবে মিশরকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে আফ্রিকার বাজারে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি বাড়াতে পারে। এছাড়াও, বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানির জন্য মিশর বিকল্প উৎস হতে পারে বলেও তিনি মত প্রকাশ করেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী এবং ঢাকার মিশর দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সোহেলা মাহরিন।

সবাইকে কর দেওয়ার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
                                  

কর দাতাদের স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে ও করের টাকা সরকারি কোষাগারে পৌঁছাতে সরকার অনলাইনে কর আদায়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে ‘অনলাইন আয়কর প্রদান’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারের কাজ করতে আয়করের প্রয়োজন হয়। রাজস্ব বোর্ডকে কর আদায়ের একটা লক্ষ্যমাত্রা আদায় করতে হয়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রশাসনসহ সবাই অংশগ্রহণ করবে। কিন্তু মুখের কথায় তো অংশগ্রহন হয় না। কর না দিলে সেবা পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। কর আদায় করতে অনলাইনকে গুরুত্ব দিচ্ছি; কেননা করদাতা যদি ট্যাক্স অফিসারের চেহারা না দেখে তাহলে একটু স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর চেহারা দেখা মানেই জানেন তো অনেক কিছুই...।

সঞ্চয়পত্র ও ঋণ নিয়ে দেশ চালানো কঠিন জানিয়ে তিনি বলেন, করদাতা যে কর দেয় সেটা যেন সরকারের কোষাগারে পৌঁছায়। কোনো লিকেজ যেন না থাকে। সবার কাছ থেকে কর আদায় করবো। এজন্য অনলাইনটা করা। কর দেওয়ার সক্ষমতা অনেকের আছে। সবাই কর জালের আওতায় আসে না। টিআইএন অনেকের আছে ফিলআপ করে না।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা কর দেবেন। এই টাকাটা বিফলে যাবে না।

স্বাগত বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, গতকাল অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমে করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। অনলাইনে রিটার্নে জমা দেওয়ার পাশাপাশি আয়কর সনদ ও টিন সনদ ও রিটার্ন নেওয়া যাবে। পেমেন্ট মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে আমরা প্রথম এই রিটার্ন চালু করি। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন আমাদের সহযোগিতা করছে। অন্যান্যরাও সহযোগিতা করছে। আমরা কম্প্রেহেনসিভ অটোমেশন চাই। ২০২১ সালে মাত্র ৬১ হাজার রিটার্ন পেয়েছিলাম। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ লাখ ৪৪ হাজার পেয়েছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ লাখ ২৬ হাজার পেয়েছি। এবার আমরা আশা করছি ব্যক্তি শ্রেণির কর দাতাদের যত ট্যাক্স রিটার্ন পড়বে তার সিংহভাগই অনলাইনে পড়বে। খুব জোরেশোরে কাজ করছি। অনেক দূর এগিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কল সেন্টার চালু করতে পারবো।

জানা গেছে, একদিনের ব্যবধানে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেমে ৮ লাখ ৪ হাজার ৪৪৩টি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। আদায় হয়েছে ৪৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬৪ টাকার কর।

হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত
                                  

অনলাইন ডেস্ক : হামদর্দ বাংলাদেশের নবগঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নতুন চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান; ট্রাস্টি বোর্ডের মহাসচিব, হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ মোতাওয়াল্লী ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়া, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের নতুন সদস্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন বাংলাদেশ আইসিবি’র চেয়ারম্যান, পুঁজিবাজার বিশ্লেষক প্রফেসর আবু আহমেদ; জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক সচিব ড.মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ; ওয়াক্ফ প্রশাসক অতিরিক্ত সচিব ড. মো. গোলাম কবীর, একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ এবং সাবেক সিনিয়র জেলা জজ আবুল হোসেন খন্দকার।

বৈঠকে হামদর্দ বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মানবকল্যাণে হাতে নেওয়া কর্মসূচির মূল্যায়ন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ বাংলাদেশের সিনিয়র পরিচালক অর্থ ও হিসাব মো. আনিসুল হক, পরিচালক উৎপাদন বশির আহাম্মদ, পরিচালক বিপণন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, পরিচালক তথ্য ও গণসংযোগ আমিরুল মোমেনীন মানিকসহ আরও অনেকে।

মূল্যস্ফীতি হয়েছে অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর কারণে: অর্থ উপদেষ্টা
                                  

বিগত সরকারের আমলে অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন তো যে মূল্যস্ফীতি কেন বাড়লো। টাকা ছাপিয়েছেন, ৬০ হাজার কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এগুলোর ইমপ্যাক্ট উল্টো রথে আনতে হলে তো আমাদের একটু সময় লাগবে।

আগস্ট মাসে দেশের মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমেছে, কিন্তু তার প্রভাব বাজারে দেখা যাচ্ছে না; এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমার প্রভাব বাজারে পড়তে কিছুটা সময় লাগবে। সাপ্লাই সচল রাখতে আমরা আরও উদ্যোগ নিচ্ছি। সাপ্লাইয়ে কোনো কমতি হবে না। বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আমাদের ভোক্তা অধিকার কাজ করবে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনৈতিক খাত সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা দিবে ইউএনডিপি। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাষ্ট্র সংস্কারেও কাজ করবে তারা। সরকারকে অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহায়তা করবে প্রতিষ্ঠানটি।

তিনি আরও বলেন, ইউএনডিপির সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলো চলবে এবং আগামীতে আরও নতুন প্রকল্প নিয়ে বর্তমান সরকারের সঙ্গে তারা কাজ করবে।

এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে এখনও চাঁদাবাজি হচ্ছে। রাজনৈতিক সরকার এখন ক্ষমতায় নেই। চাঁদাবাজি বন্ধে কতটা কঠোর হবেন? জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চাঁদাবাজি শুধু অর্থনীতি ও রাজনীতির সিদ্ধান্ত না। সমাজের অনেকগুলোর ভ্যালুর বিষয় রয়েছে। কোনো স্থান কিন্তু শূন্য থাকে না, সেটা কিন্তু পূরণ হয়। যারা চলে গেছে তাদের শূন্যস্থান পূরণ করতে অন্য লোক চলে এসেছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ হতে সময় তো লাগবে, পাশাপাশি সবার সহযোগিতা লাগবে।

ব্যাংক যে অবস্থায়ই থাক গ্রাহকের ক্ষতি হবে না: গভর্নর
                                  

ব্যাংক খাতের অবস্থা যেমনই থাকুক গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

গভর্নর বলেন, বর্তমানে দেশের অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে। প্রায় ১০টি ব্যাংকের অবস্থা একই রকম। তবে এখন গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে হবে। দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষকে নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের অবস্থা যাই হোক গ্রাহকদের কোনো ক্ষতি হবে না। এ জন্য আমানত ইন্সুরেন্স ১ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের ৯৫ শতাংশ গ্রাহকদের স্বার্থ নিশ্চিত হবে। বিশ্বের কোনো দেশই ব্যাংকিং খাতের আমানতের ১০০ ভাগ গ্যারান্টি দেয় না। আমরাও ৯৫ শতাংশ গ্যারান্টি দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২৫ হাজার কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। যেগুলো বিতরণ করা হচ্ছে না। ব্যাংককে লিখিত আকারে দিতে বলা হয়েছে। এসএমই খাতে এসব ফান্ড বিতরণ করা হবে। অন্যদিকে বেক্সিমকো বা এস আলমের কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়নি। সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সঠিকভাবে চলবে।

আজ থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
                                  

ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোল‌নে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থে‌কে গ্রাহ‌ক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থে‌কে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নগদ অর্থ তোলার ওপর বিধিনিষেধ আর থাকছে না।

এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া এই নিষেধাজ্ঞা প্রায় এক মাস পর শিথিল করা হলো। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে দায়িত্ব থেকে বিরত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ৭ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়, গ্রাহকদের দৈনিক নগদ উত্তোলনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ করতে।

ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা
                                  

ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকা উত্তোলনে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে যে কেউ যেকোনো অ্যামাউন্টের টাকা নিজ নিজ হিসাব থেকে তুলতে পারবেন।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে ব্যাংক হিসাবের টাকা উত্তোলনে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

এর আগে, গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ উত্তোলনের সুযোগ ছিল। তার আগের সপ্তাহগুলোতে যথাক্রমে সর্বোচ্চ চার লাখ, তিন লাখ ও দুই লাখ টাকা উত্তোলনের সুযোগ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ, প্রতি সপ্তাহে নগদ উত্তোলনের সীমা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনে সীমা আরোপ শুরু হয়। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেনে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে এক লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে সেটি বাড়িয়ে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়।

সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার
                                  

রাজধানীর কাঁচাবাজারে কমলো বেশ কয়েকটি সবজির দাম। সবজির দাম কমার তালিকায় রয়েছে কাঁচা মরিচ, বেগুন, টমেটো এবং পেঁপে। অপরদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে চড়া দামে বাজারে ডিম ও মুরগি বিক্রি হচ্ছে।

গুগল নিউজে ফলো করুন আরটিভি অনলাইন
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, মতিঝিল, হাতিরপুলসহ অন্য বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বিক্রেতারা জানান, শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা জসিম বলেন, সরবরাহ বাড়ায় কয়েকটি সবজির দাম সামান্য কমেছে। তবে বেশিরভাগের দামই আছে অপরিবর্তিত।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বরবটি ৬০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও গাজর ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকায়। আর প্রতি পিস লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম আগের সপ্তাহের চেয়ে তুলনামূলক কমই আছে। তবে চড়া আলু, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দাম। সাদিক নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম মাত্রাতিরিক্ত। এসব পণ্যের দাম কমাতে সরকারকে নজর দিতে হবে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, ইলিশ ছাড়া কেজিতে ২০-৪০ টাকা বেড়ে গেছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকায়, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকায়, কৈ ২৪০-২৮০ টাকায়, শিং প্রতি কেজি ৫৫০-৬০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বাড়তি।

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান।

সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
                                  

দেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। একটি বিশেষ গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এই টাকা পাচার করেছে। যার কারণে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়েছে। এমন অবস্থায় আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষায় এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। এসব ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য নতুন করে টাকা ছাপিয়ে নয়, বিকল্প ব্যবস্থায় তারল্য সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তঃব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ নিতে পারবে ব্যাংক; যার গ্যারান্টার হবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

এ সময় ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহারসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, আমরা নতুন টাকা ছাপিয়ে আর কোনো ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেব না। কারণ আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে গেলে এখন ২ লাখ কোটি টাকা ছাপিয়ে দিতে হবে। এতে দেশের মুদ্রা বাজার, বিদেশি মুদ্রা বাজার, মূল্যস্ফীতিসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এজন্য সংকটে থাকা ৮ ব্যাংকের প্রয়োজন অনুযায়ী আন্তঃব্যাংকের মাধ্যমে অর্থাৎ এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে টাকা আমানত হিসেবে পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে নিশ্চয়তা (গ্যারান্টি) দেবে। আশা করি এটা কাজে দেবে।

তিনি বলেন, আপাতত এসব ব্যাংক কোনো ধরনের ঋণ বিতরণ করবে না। শুধু আমানতকারীদের কিছু কিছু টাকা ফেরত দেবে। তবে এতে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। কারণ আমরা আমানতকারীদের অধিকার সংরক্ষণ করব। সে ক্ষেত্রে আমাদের কিছুটা সময় দিতে হবে।

গভর্নর ড আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশ থেকে আট ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। এতে এসব ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা সীমিত পরিসরে তারল্য সাপোর্ট দিতে চাই। সরকার আমানতকারীর কথা ভেবে তাদের পাশে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, এ ব্যাংকে সমস্যা বহুদিন ধরেই সমস্যায় ছিল। আমানতকারীরাও তা জানতেন। তারপরও বিভিন্ন লোভে আপনারা সেখানে টাকার রেখেছেন। এজন্য লুটপাট করতে সহজ হয়েছে। তবুও আমরা আমানতকারীর স্বার্থটা দেখব, যাতে তারা অর্থ ফিরে পান।

তিনি বলেন, আমরা আমানতকারীদের অনুরোধ করব আপনারা এক সঙ্গে টাকা উত্তোলন করবেন না। আপনাদের প্রয়োজন মতো টাকা উত্তোলন করুন। আমাদের কিছুটা সময় দেন। আশা করি, ব্যাংকগুলো ঘুরে দাঁড়াবে। একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, এ ৭ থেকে ৮টি ব্যাংকের কারণে পুরো ব্যাংকখাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।

গভর্নর বলেন, দেশ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে প্রচুর টাকা পাচার হয়েছে। পাচারকারীর দেশের মধ্যে থাকা সম্পদ উদ্ধার করব। প্রথমে আমরা এ উদ্যোগটি নেব। পাশাপাশি বাইরের দেশের পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার বিষয়েও সহায়তা চেয়েছি কয়েকটি দেশের কাছে। বাইরের টাকা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উচ্চ আশা করব না, তবে শক্তভাবেই আমরা ধরব।

তিনি বলেন, পাচারকারীরা মূলত দুবাই, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার করেছে। এজন্য আমরা প্রাথমিকভাবে এসব দেশ থেকে টাকা উদ্ধারে ব্যবস্থা নেব। ইতোমধ্যে বিদেশি সম্পদ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সম্পদ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমরা তাদের সহায়তা নেব।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচারকারী একটি পরিবার ব্রিটেনে ৫০০ থেকে ৬০০ বাড়ি কিনেছেন বলে শুনেছি। সে বিষয়ে আমরা আরও বিস্তর কাজ করছি। এছাড়া যারা ব্যাংক লুট করেছে আমরা তাদের দেশে থাকা সম্পদ থেকে দায় শোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এরপর তাদের বিদেশি সম্পদে আমরা হাত দেব।

এদিকে ব্যাংক সংস্কারে ৩টি টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের ব্যাংক খাত অনেকটাই ভঙ্গুর। এটা ঠিক করতে আমাদের ব্যাপকভাবে কয়েক বছর পর্যন্ত কাজ করতে হবে। এর সীমা ১-২টি ব্যাংকে সীমাবদ্ধ থাকবে না। আমরা সবগুলো ব্যাংককেই দেখব এবং কাজ করব। এজন্য একটি টাস্কফোর্স কাজ করবে। যেখানে আমাদের বাংলাদেশ থেকে কিছু অভিজ্ঞ লোক থাকবে। পাশাপাশি আমরা বিদেশ থেকেও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের হায়ার করব। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য আমাদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

গভর্নর বলেন, আরেকটি টাস্কফোর্স বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে। আমরা যেভাবেই বলি ব্যাংক খাতের দুর্বলতার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বড় দায় রয়েছে। ওই টাস্কফোর্স বাংলাদেশ ব্যাংকের ম্যানেজমেন্ট, অপারেশন, রাজনৈতিক চাপ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ নানা বিষয় নিয়ে কাজ করবে। এককথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে শক্তিশালী করতে কাজ করবে।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, তৃতীয় টাস্কফোর্স হবে অ্যাসেট উত্তোলনের জন্য। অর্থাৎ খারাপ সম্পদ রিকভারির জন্য দুদক, সিআইডি, বিএফআইইউ ও আদালতসহ সব বিষয় সমন্বয় করবে। এক্ষেত্রে সরকারের কিছু কিছু নীতি পরিবর্তন বা সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

এখন পর্যন্ত ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হলো – ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সোশ্যাল ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, ন্যাশনাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। এই ৮টি ব্যাংক এস আলমের দখলে ছিল । এর বাইরে ইউসিবি, এক্সিম ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেজিতে ৪ টাকা কমে মসুর ডাল কিনছে অন্তর্বর্তী সরকার
                                  

 

স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে ব্যয় হবে ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি কেজি মসুর ডালের ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৯৮ টাকা ২০ পয়সা। এই মসুর ডাল কিনতে আগের তুলনায় কেজিতে সাড়ে তিন টাকা কম লাগছে। আর আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশেষ যে দামে মসুর ডাল কিনেছে, এবার তার তুলনায় কেজিতে চার টাকা কম লাগছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল (৫০ কেজির বস্তায়) কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

এই মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। আর প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৮ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির প্রথম বৈঠকে ২০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় প্রতি কেজি মসুর ডালের মূল্য ধরা হয় ১০১ টাকা ৮৬ পয়সা। এ হিসাবে আগের তুলনায় এবার কেজিতে তিন টাকা ৬৬ পয়স কমে মসুর ডাল কিনতে পারছে সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সর্বশেষ মসুর ডাল কেনা হয় ১০২ টাকা ২০ পয়সা কেজি দরে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকার সর্বশেষ যে দামে মসুর ডাল কিনেছে তার তুলনায় এবার মসুর ডাল কিনতে কেজিতে চার টাকা কম পড়ছে।

সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমটির বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে সার, এলএনজি ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অতএব অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


   Page 1 of 80
     অর্থ-বাণিজ্য
ভারত থেকে আসছে কম শুল্কের পেঁয়াজ, কমবে দাম
.............................................................................................
সেপ্টেম্বরের ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা
.............................................................................................
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
.............................................................................................
সরকারি অর্থের অপচয় কমাতে হবে: অর্থ উপদেষ্টা
.............................................................................................
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৮ কোটি ডলার
.............................................................................................
এসআইবিএলের ১৮ লাখ শেয়ার কিনবেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান
.............................................................................................
পেঁয়াজ আমদানির বিকল্প উৎস হতে পারে মিশর: রাষ্ট্রদূত
.............................................................................................
সবাইকে কর দেওয়ার আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার
.............................................................................................
হামদর্দ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভা অনুষ্ঠিত
.............................................................................................
মূল্যস্ফীতি হয়েছে অতিরিক্ত ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাপানোর কারণে: অর্থ উপদেষ্টা
.............................................................................................
ব্যাংক যে অবস্থায়ই থাক গ্রাহকের ক্ষতি হবে না: গভর্নর
.............................................................................................
আজ থেকে নগদ টাকা তোলার সীমা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংক
.............................................................................................
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের নতুন নির্দেশনা
.............................................................................................
সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার
.............................................................................................
সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
.............................................................................................
কেজিতে ৪ টাকা কমে মসুর ডাল কিনছে অন্তর্বর্তী সরকার
.............................................................................................
বৃহস্পতিবার থেকে সব পোশাক কারখানা খোলা: বিজিএমইএ
.............................................................................................
ডিসেম্বরের পর বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সর্বনিম্ন
.............................................................................................
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধের নির্দেশ এনবিআরের
.............................................................................................
দাম কমাতে আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক-কর কমানোর উদ্যোগ
.............................................................................................
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক: ঋণ পরিশোধে পাবেন বিশেষ সুযোগ
.............................................................................................
কমলো স্বর্ণের দাম, কার্যকর সোমবার থেকে
.............................................................................................
কম দামে জ্বালানি তেল বিক্রি শুরু
.............................................................................................
‌জ্বালানি তেলের দাম কমালো সরকার
.............................................................................................
ইসলামী ব্যাংক দখল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক এমডি
.............................................................................................
কমেছে ডিমের দাম, স্থিতিশীল সবজির বাজার
.............................................................................................
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের ব্যাংক হিসাব জব্দ
.............................................................................................
এমপিদের নামে আসা শুল্কমুক্ত গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত
.............................................................................................
সালমান এফ রহমান-শেখ সেলিমসহ ৭ জনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত
.............................................................................................
সেপ্টেম্বরে কোন জ্বালানি তেলের দাম কত কমছে
.............................................................................................
চলমান সংকট উত্তরণে ২ হাজার কোটি টাকা ঋণ চায় বিজিএমইএ
.............................................................................................
বিগত সরকারের শতাধিক প্রভাবশালীর ব্যাংক হিসাব জব্দ
.............................................................................................
রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া, ২৪ দিনে এলো ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা
.............................................................................................
মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার যত বাড়ল
.............................................................................................
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
.............................................................................................
খাতুনগঞ্জে পণ্য সরবরাহে ঘাটতি, ব্যবসায় মন্দা
.............................................................................................
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বাড়ল
.............................................................................................
বন্যাকবলিত এলাকার গ্রাহকদের কিস্তি মওকুফ করলো দুই ব্যাংক
.............................................................................................
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে টাকা ফিরতে শুরু করেছে
.............................................................................................
সব রেকর্ড ভেঙে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
.............................................................................................
সেনাপ্রধানের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক
.............................................................................................
পরিকল্পিত ডাকাতিতে বড় ক্ষতি হয়েছে ব্যাংক খাতে
.............................................................................................
ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ
.............................................................................................
সোনার ভরি ১২৪৫০২ টাকা
.............................................................................................
দুর্বল ব্যাংককে তারল্য দিয়ে বাঁচিয়ে রাখার পরিকল্পনা নেই: গভর্নর
.............................................................................................
এস আলমের দখলে ইসলামী ব্যাংকের ৮২ শতাংশ শেয়ার
.............................................................................................
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
.............................................................................................
ব্যাংক থেকে টাকা তোলা নিয়ে নতুন নির্দেশনা
.............................................................................................
গভর্নর হচ্ছেন আহসান এইচ মনসুর
.............................................................................................
রেমিট্যান্স নিয়ে সুখবর
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত । ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]
   All Right Reserved By www.dailyasiabani.com Dynamic Scale BD