কমল ১২ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কে বাজার মূলধন কমেছে। দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা তত ভারী হচ্ছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন গত সপ্তাহে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৫০ পয়েন্টের বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র এক কার্যদিবসে মূল্যসূচক সামান্য বাড়ে। তবে প্রতিটি কার্যদিবসেই দাম কমার তালিকায় ছিল বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৭২টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৭টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দাম কমার তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৩৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালি আঁশের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাঁচারি, লাভেলো আইসক্রিম, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুডস এবং ফারইস্ট নিটিং।
|
গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কে বাজার মূলধন কমেছে। দিন যত যাচ্ছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা তত ভারী হচ্ছে।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন গত সপ্তাহে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে। প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৫০ পয়েন্টের বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে গড় লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে মাত্র এক কার্যদিবসে মূল্যসূচক সামান্য বাড়ে। তবে প্রতিটি কার্যদিবসেই দাম কমার তালিকায় ছিল বেশি প্রতিষ্ঠান। এতে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৭২টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৮৭টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
দাম কমার তালিকায় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আর ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহে কমেছে ৩৭ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের গতিও কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৫৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৮ কোটি ২২ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে অগ্নি সিস্টেমের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালি আঁশের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বিচ হ্যাঁচারি, লাভেলো আইসক্রিম, ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ফাইন ফুডস এবং ফারইস্ট নিটিং।
|
|
|
|
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৩ মার্চ) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি মূল্য সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। তবে লেনদেনে কিছুটা ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম এক ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ১৭ পয়েন্ট। আর লেনদেন ৩০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে গেছে। সূচক ঋণাত্মক করতে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করছে গ্রামীণফোনের শেয়ার।
এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস মূল্য সূচক কমে। সেই সঙ্গে দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তার আগের দুই সপ্তাহেও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়।
এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। তবে সূচকে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখা গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম একদিনে যতটা কমা সম্ভব লেনদেনের শুরুতেই ততোটাই কমে যায়। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।
লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টাজুড়েই সূচকের ঋণাত্মক প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ২০ মিনিটে ডিএসইতে ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৮টির। আর ৭৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৫ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমেছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৯টির, কমেছে ৫৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (৭ মে) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে বেশ ভালো গতি রয়েছে। পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট। দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। আর লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। এ বাজারটিতেও লেনদেনে ভালো গতি রয়েছে।
একই দিনে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় ২০ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়ে ১১ পয়েন্ট।
তবে এরপর বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমে যায়। এতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও কমেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪৪ মিনিটে ডিএসইতে ৬৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬২টির। আর ১১৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে দশমিক ১৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ২ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২০৯ কোটি ৪ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৬৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে লেনদেনেও বেশ ধীরগতি। পাশাপাশি দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২২ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে এক পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি টাকার কম।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
আর দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট না গড়াতেই নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৪০ মিনিটে ডিএসইতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৭টির। আর ১১২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৫০ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক দশমিক ২২ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৪২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টির, কমেছে ১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচকে কিছুটা অস্থিরতা থাকলেও লেনদেনে বেশ ভালো গতি দেখা যাচ্ছে। তবে দাম বাড়ার তালিকায় যে কয়টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায় রয়েছে তার থেকে বেশি।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ২০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১ পয়েন্ট। আর লেনদেন আড়াইশ কোটি টাকার বেশি হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের সময় ১০ মিনিট গড়ানোর আগেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৪ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় আধাঘণ্টার মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১ পয়েন্ট বাড়ে।
তবে এরপর আবার সূচক কমতে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০টা ৮ মিনিটে ডিএসইতে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির। আর ১৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়েছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৯৫ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে দুই কোটি ৪৭ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
এর আগে চেকের টাকা নগদায়নের আগে তা দিয়ে শেয়ার কেনা যাবে না বলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) যে নির্দেশনা দিয়েছিল মাস না পার হতেই গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে ২ ও ৩ নভেম্বর মূল্যসূচকের উত্থানের পাশাপাশি বাড়ে লেনদেনের গতি। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও ডিএসইতে সবকটি সূচক বাড়ে।
নতুন নির্দেশনা দিয়ে বিএসইসি বলেছে, এখন থেকে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো বিনিয়োগকারীদের থেকে চেক, পে অর্ডার ডিমান্ড ড্রাফট বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত অন্যকোনো মাধ্যমে টাকা পেলে সেই টাকা নগদ করার আগে লেনদেন করতে পারবে।
তবে এ সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি বিএসইসি চারটি শর্ত দিয়েছে। এ চারটি শর্ত দেয়া হয়েছে ব্রোকারেজ হাউজের জন্য। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বলে দাবি নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে দরপতন চললেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে এডিএন টেলিকম। এই কোম্পানিটির শেয়ার এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকায় সপ্তাহজুড়েই দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে কোম্পানিটি।
গত সপ্তাহজুড়ে এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত মাসে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা এক টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তলিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬টি।
এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। বাকি এক দশমিক ৯৯ শতাংশ আছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে।
এদিকে, শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাজিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যারামিট লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, কেডিএস এক্সসরিজের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং রহিমা ফুডের ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে বড় হয়েছে দাম কমার তালিকা। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে প্রায় সাতগুণ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
শেয়ারবাজারে এমন দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে শেয়ারবাজার মন্দার মধ্যে রয়েছে। মাঝে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখে গেলেও সার্বিকভাবে বাজার পতনের মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারী লোকসানের মধ্যে রয়েছেন।
তারা বলছেন, বাজার যখন ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে তখনই কোনো না কোনো খারাপ সংবাদ আসছে। বিশ্বমন্দা আসছে এমন গুঞ্জন কয়েকদিন ধরেই বাজারে ঘুরছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এমনিতেই আতঙ্ক রয়েছে। এর মধ্যে আজকের বড় দরপতন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টা সূচক ঊর্ধ্বমুখীই থাকে।
তবে দুপুর ১২টার পর থেকে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। এতে দেখতে দেখতে সূচকের বড় পতন হয়। সেই সঙ্গে ছোট হয় দাম বাড়ার তালিকা। আর বড় হয় পতনের তালিকা।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫৩টির। আর ১৮২টির দাম অপরিবর্তিত। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৫ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ২১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি সূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৩৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
দরপতনের বিষয়ে মো. সোহাগ নামে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বাজারে দরপতন চলছে। যে শেয়ার কিনছি, তারই দাম কমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করা পুঁজি অর্ধেক হয়ে গেছে। এই লোকসান কোনো দিন কাটিয়ে উঠতে পারবো কি না বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ করা শেয়ারের দাম একটু বাড়ছে তো পরক্ষণেই কমে যাচ্ছে। এভাবে লোকসানের পাল্লা শুধু ভারী হচ্ছে। লোকসানে শেয়ার বিক্রি করবো তারও উপায় নেই। একাধিক কোম্পানির শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। এর মধ্যে এখন আবার নতুন দরপতন শুরু হয়েছে। এ অবস্থা কতদিন থাকবে বুঝতে পারছি না। প্রতিদিন বাজার চিত্র দেখছি, আর হতাশা বাড়ছে।
শেয়ারবাজারে দরপতনের কারণ হিসেবে ডিএসইর এক সদস্য বলেন, সামনে অর্থনৈতিক মন্দা আসছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক আছে। আতঙ্কে অনেকে শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়াচ্ছেন। এ কারণেই এই দরপতন। তবে বাজারে খুব বেশি পতন হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম ফ্লোর প্রাইসে চলে এসেছে।
পতনের বাজারে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ১০৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার ৭৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৬৩ কোটি ১৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- পেপার প্রসেসিং, কেডিএস এক্সসরিজ, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং জেএমআই হসপিটাল অ্যান্ড রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৬৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৪টির এবং ৮০টির দাম অপরিবর্তিত।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : মন্ত্রিপরিষদ থেকে অফিসের সময়সূচি নির্ধারণের পর শেয়ারবাজারের লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।
নতুন সময়সূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত শেয়ারবাজারে লেনদেন হবে। আগামী বুধবার থেকে এই সময় সূচি কার্যকর হবে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) থেকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংক লেনদেনের সময়ের ওপর ভিত্তি করে শেয়ারবাজারে লেনদেনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আগামীকাল বুধবার থেকে শেয়ারবাজারে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা ৫০টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। এই লেনদেন শেষে ১০ মিনিটের পোস্ট ক্লোজিং সেশন চালু থাকবে। সে ক্ষেত্রে পোস্ট ক্লোজিং সেশন হবে ১টা ৫০ থেকে ২টা।
|
|
|
|
টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর বুধবার (১৫ জুন) লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে বড় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের ভালো গতি দেখা যাচ্ছে।
প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে গেছে। আর লেনদেনে দেড়শ কোটি টাকা হয়ে গেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। সেইসঙ্গে বড় ঊত্থান হয়েছে মূল্যসূচকের।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল ১০টা ৪২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট বেড়ে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই ৩০ সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়েছে।
এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৬টির। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৩ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১২২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকলো শেয়ারবাজার।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি উভয় বাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টা পার হওয়ার পর বেশকিছু বড় মূলধনের কোম্পানির শেয়ার দাম কমে। এতে দুপুর ১২টার দিকে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। অবশ্য সূচকের এ ঋণাত্মক ধারা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকায় সূচকের উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৯ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এতে টানা তিন কার্যদিবসের উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো ২৬২ পয়েন্ট।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৪৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ৬৩৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
দিনভর ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির দাম।
এদিন ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের দিন মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৪৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৩৫০ কোটি ২১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এদিন কোম্পানিটির ১১৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওয়ান ব্যাংকের ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ব্যাংক।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পাওয়ার গ্রিড, ফরচুন সুজ, আইএফআইসি ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, সোনালী পেপার এবং একমি পেস্টিসাইড।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৬১ পয়েন্ট। বাজারটিতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৯৫টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৭৭টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : আরও একটি সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। এর মাধ্যমে টানা ১৩ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকল দেশের শেয়ারবাজার।
গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড়ে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে বাজারটিতে গড় লেনদেন বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। বিপরীতে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় দুই শতাংশ।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থই হলো তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছ। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৯৩ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক ৮৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা ১৩ সপ্তাহ সূচকটি বাড়ল। ১৩ সপ্তাহের টানা এই উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে এক হাজার ১৪১ পয়েন্ট।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি টানা ১৩ সপ্তাহ বেড়েছে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা ১৩ সপ্তাহের উত্থানে সূচকটি বাড়ল ২৪৫ পয়েন্ট।
বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইর আরেকটি সূচক ডিএসই-৩০, এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ২১ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা এক দশমিক ২৩ শতাংশ। এর মাধ্যমে সূচকটি টানা ৯ সপ্তাহ বাড়ল। টানা ৯ সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৩৯২ পয়েন্ট।
এদিকে, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ২১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির। আর ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১২৭ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় এক হাজার ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৬৮ কোটি ১১ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৬৩৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৩৪০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে `এ` গ্রুপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৭৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। এছাড়া `বি` গ্রুপের অবদান ১৬ দশমিক ১৬ শতাংশ, `জেড` গ্রুপের ২ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং `এন` গ্রুপের এক দশমিক ৭৮ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ওরিয়ন ইনফিউশন, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, ওরিয়ন ফার্মা, সিটি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক এবং মুন্নু সিরামিক।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : করোনার মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার (২১ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বাড়লেও লেনদেন ব্যাপক হারে কমেছে। এদিন ডিএসইতে মাত্র ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ডিএসই সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আজ দিন শেষে ডিএসইতে ২৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, দর কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৪টির শেয়ার ও ইউনিট দর। এর আগে ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। মূলত রোববার ব্লক মার্কেটে লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে ডিএসইতে মোট লেনদেন ব্যাপক হারে কমেছে। আর চলতি বছরের ৪ জুন ডিএসইতে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিল।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ০.৩৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ১ পয়েন্ট এবং সিডিএসইটি ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্খান করছে যথাক্রমে ৯১৯ পয়েন্টে, ১৩২৭ পয়েন্টে এবং ৭৮৬ পয়েন্টে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ৮১৬ পয়েন্টে। আর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১১ হাজার ২৫১ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে ৯১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮টির, কমেছে ৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৪টির। দিন শেষে সিএসইতে ৯ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি ও ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের কারণে লেনদেনের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে কমেছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : একদিন উত্থানের পর টানা চার কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (৪ জুন) ডিএসইর সূচক ১০ পয়েন্ট কমলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএএসপিআই ৬ পয়েন্ট বেড়েছে। তবে ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১০ পয়েন্ট কমে ৩ হাজার ৯৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ৯১৫ ও ১৩২১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইতে এ দিন ৪২ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১১০ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৫২ কোটি টাকার।
এদিকে বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এর আগে ২০০৭ সালের ২৪ এপ্রিল আজকের চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল। ওই দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। আজ ডিএসইতে ৩০৯ টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১টি কোম্পানি কমেছে ৩৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬২টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর। বৃহস্পতিবার লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ প্রতিষ্ঠান হলো- বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, সেন্ট্রাল ফার্মা, লিন্ডে বিডি, স্কয়ার ফার্মা, ইন্দো-বাংলা, বেক্সিমকো লিমিটেড, বিএসসিসিএল, একমি ল্যাব ও রেকিট বেনকেজার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৫টির কোম্পানির শেয়ার দর। সিএসইতে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে ১ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার।
|
|
|
|
নিউজ ডেস্ক : দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কর্মকর্তাদের কাজের মূল্যায়ন করে প্রতি বছরই পদোন্নতি অথবা বেতন বাড়ানো হয়। কিন্তু নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) না থাকার অজুহাতে এবার কর্মকর্তাদের মূল্যায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে।
অথচ নিয়মিত এমডি না থাকা অবস্থায় ডিএসইতে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ও এমটিও পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি মহাব্যবস্থাপক (জিএম) পদে নিয়োগের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিয়মিত কর্মকর্তাদের কাজের মূল্যায়ন না করে উচ্চ পদে একের পর এক নিয়োগ দেয়ায় ডিএসইর কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব পালন করা প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আব্দুল মতিন পাটোয়ারীর হস্তক্ষেপে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি অর্থাৎ বেতন বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
তারা জানান, আব্দুল মতিন পাটোয়ারী ডিএসইতে সিএফও পদে যোগদানের পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কেপিআই (কি পারফরমেন্স ইন্ডিকেটর) পদ্ধতি চালু করেন। এতে দীর্ঘদিন ধরে ডিএসইতে কাজ করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয় এবং কর্মকার্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।
এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনেও (বিএসইসি) একাধিক কর্মকর্তা এ নিয়ে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের শুরুর দিকে ডিএসইর সার্ভিস রুল করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় বিএসইসি। ইতোমধ্যে সার্ভিস রুল করে তা ডিএসই কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে তা ধামাচাপা দিয়ে এখনও ডিএসইতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেপিআই ভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বহাল রয়েছে।
ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তার অভিযোগ, কেপিআই ভিত্তিক মূল্যায়নের ফলে এক ধরনের অরাজকতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের সমস্যা দূর হওয়ার বদলে দিন যত যাচ্ছে বৈষম্য তত বাড়ছে। প্রতি বছর মূল্যায়নের সময় পার হওয়ার পরও তা দিতে বিলম্ব করা, জোরপূর্বক জুনিয়রদের পুওর মার্কিং (কম নম্বর দেয়া) করে ডিপার্টমেন্টাল হেডদের আউটস্ট্যান্ডিং মার্কিং (বেশি নম্বর) দেয়া হয়।
যেসব কর্মকর্তাকে পুওর মার্কিং দেয়া হয় বছর শেষে তাদের পদোন্নতি বা বেতন বাড়ানো হয় না। যারা আউটস্ট্যান্ডিং মার্কিং পান তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়। এতে ৫ শতাংশ বেতন বাড়ে। এছাড়া যাদের গুড মার্কিং দেয়া হয় তাদের বেতন বাড়ে ৪ শতাংশ, তবে তারা পদোন্নতি পান না।
এ বিষয়ে ডিএসইর এক কর্মকর্তা বলেন, বিএসইসি থেকে সার্ভিস রুল করে দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আবার কেপিআই চালু থাকলেও তা-ও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নিয়মিত এমডি না থাকার অজুহাত দেখিয়ে ভারপ্রাপ্ত এমডি আমাদের বঞ্চিত করছেন। অথচ তার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সিওও পদে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আবার এমটিও পদেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে তার পরিচিতকে। এমডি না থাকার কারণ দেখিয়ে আমাদের কাজের মূল্যায়ন করা হচ্ছে না, তাহলে বিভিন্ন পদে নতুন নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে কীভাবে?
তিনি আরও বলেন, ডিএসইর এক শ্রেণির কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে বঞ্চিত। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের ঘনিষ্ঠদের নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে আসছেন। ফলে একদিকে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে, অন্যদিকে ডিএসই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ ভালো কাজের পরও মূল্যায়ন না হওয়ায় তারা কর্মস্পৃহা হারাচ্ছেন।
ডিএসইর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আমাদের কেজিআই দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে পরিচালনা পর্ষদ থেকে মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এরপরও ভারপ্রাপ্ত এমডি কেপিআই আটকে রেখেছেন। অথচ তিনি চাইলেই তা দিয়ে দিতে পারেন। কোন স্বার্থে তিনি আমাদের কেপিআই আটকে রেখেছেন তা বুঝতে পারছি না। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে হতাশা যেমন বাড়ছে, তেমনি ক্ষোভও বাড়ছে। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। এখন সবকিছু নির্ভর করছে ভারপ্রাপ্ত এমডির হাতে।
এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের শেয়ারবাজারে পরপর দুই কার্যদিবস বড় উত্থানের পর মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতেই বড় ধরনের পতনের আভাস দেখা দিয়েছে। লেনদেনের প্রথম ১০ মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৫০ পয়েন্ট পড়ে গেছে। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
শেয়ারবাজার বড় ধরনের ধসের কবলে পড়লে গত ১৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে যায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর শেয়ারবাজার উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলে বিএসইসি।
এতে হতাশায় নিমজ্জিত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। শেয়ারবাজারের ওপর বাড়ে আস্থা। ফলে রোববার (১৯ জানুয়ারি) মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়। পরদিন সোমবারও সূচকের বড় উত্থান অব্যাহত থাকে।
এ পরিস্থিতিতে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে পুঁজিবাজার উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উদ্যোগে গঠিত সমন্বয় ও তদারকি কমিটি।
আইসিবির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে বিএমবিএ সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, বৈঠকে পুঁজিবাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটা বিষয় স্পষ্ট, পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও আগ্রহী। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেয়া হবে।
বিএমবিএ সভাপতির এমন আশার বাণী শোনালেও আজ মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে।
এতে প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনের ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়। আর প্রথম আধা ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। এছাড়া লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৭৫টির। আর ৫৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগ নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রোববার দেশের শেয়ারবাজারে সাত বছরের মধ্যে সব থেকে বড় উত্থান হয়। একদিনেই ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ২৩২ পয়েন্ট বা সাড়ে পাঁচ শতাংশ।
|
|
|
|
শেয়ারবাজার ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর দেশের শেয়ারবাজার বড় ধরনের উত্থানের আভাস দিচ্ছে। রোববার (১৯ জানুয়ারি) লেনদেন শুরুর মাত্র দুই মিনিটে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ৮০ পয়েন্ট।
আজ লেনদেনের শুরুতেই সূচকের বড় উত্থানের আভাস দেখা দেয়। লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে।
প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে ১৩৫ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে তিনটির। আর ১৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন ঘটে। এ সময়ে লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবসেই বড় পতন হয়। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৪২৩ পয়েন্ট কমে যায়।
শেয়ারবাজারে এমন ভয়াবহ পতনের কবলে পড়লে ১৪ জানুয়ারি অংশীজনদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসার ঘোষণা দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। দুদিন পর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কর্যালয়ে একটি আলোচনা সভা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) শীর্ষব্যক্তিরা।
|
|
|
|
|
|
|
|