হার্ট অ্যাটাকের ৮টি লক্ষণ
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হার্ট বা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ দরকার হয়। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। যে কেউ যে কোনও সময়ে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের ৮টি লক্ষণ—
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বুকে ব্যথা: সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।
মাথা ব্যথা: যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা?
অনিয়মিত পালস রেট: আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোনও কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটা হয়ে থাকে।
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : হার্ট বা হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ দরকার হয়। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী রক্তনালী যদি বন্ধ হয়ে যায় এবং এর ফলে যদি রক্ত হার্টে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে হার্টের মাংসপেশিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। আর তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। যে কেউ যে কোনও সময়ে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।
জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের ৮টি লক্ষণ—
শ্বাসকষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া: যদি আপনার শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনও সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়, তবে সেটা খারাপ লক্ষণ। মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমা-সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেওয়াও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া: অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা হওয়া ছাড়াও অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগতে শুরু করলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বুকে ব্যথা: সাধারণত বুকের মাঝখানে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও হাতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কাশি: আপনার যদি দীর্ঘ দিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সঙ্গে সাদা বা কিছুটা ঘোলাটে কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিক মতো কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তবে হ্যাঁ, কাশি সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নাও হতে পারে। কফের সঙ্গে নিয়মিত রক্ত বের হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া: যদি কাজ করার মধ্যেই আপনি প্রায়ই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যান, তা হলে বুঝবেন হার্টের সমস্যা রয়েছে।
তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া: আপনি কি অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন? কিছুক্ষণ কাজ করলে বুক ধড়ফড় করে? তবে আপনি এখনই কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ করে মহিলাদের হার্টের সমস্যার প্রধান লক্ষণ এটি।
মাথা ব্যথা: যখনই প্রচণ্ড মাথা ব্যথা হয়, আমরা ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু জানেন কি, হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ হলো প্রতিদিনের প্রচণ্ড মাথা ব্যথা?
অনিয়মিত পালস রেট: আপনি যদি অনেক বেশি নার্ভাস থাকেন বা কোথাও থেকে দৌড়ে আসেন আপনার পালস রেট ওঠা-নামা করতে পারে। তবে এটি যখন কোনও কারণ ছাড়াই হয়, তবে তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হার্ট অ্যাটাকের আগে এমনটা হয়ে থাকে।
|
|
|
|
দীর্ঘায়ু পাওয়ার চেয়ে এখন বেশি জরুরি সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বেশিরভাগ বয়স্ক ব্যক্তি একাধিক দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন। যদিও মানুষের আয়ুষ্কাল বা জীবনকাল বেড়েছে, তবুও অনেকেই এই বাড়তি সময় সুস্থভাবে কাটাতে পারছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘায়ু পাওয়ার চেয়ে এখন বেশি জরুরি সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে যে, মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে আধুনিক চিকিৎসা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবার কারণে। আগের তুলনায় এখন মানুষ অনেক বেশি দিন বাঁচছেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই দীর্ঘ জীবন কেমনভাবে কাটাচ্ছেন? অনেকেই দীর্ঘ জীবন কাটালেও তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে না, যার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে এবং স্বাস্থ্যসেবার খরচও বাড়ে। ইবমঁবস
গবেষণায় বলা হয়েছে, এখন মানুষের আয়ুষ্কাল (লাইফস্প্যান) ও সুস্থ জীবনকালের (হেলথস্প্যান) মধ্যে অনেক ফারাক তৈরি হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান বর্তমানে প্রায় ৯.৬ বছর। অর্থাৎ, মানুষের জীবনের শেষ দশক প্রায়ই দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা শারীরিক সমস্যায় কাটে। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রে এ ব্যবধান আরও উদ্বেগজনক। সেখানে জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান ১২.৪ বছর। অর্থাৎ, সেখানে মানুষ তাদের শেষ বয়সে অনেক বছর ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গবেষকরা এটিকে `স্বর্ণযুগের` এক মর্মান্তিক বাস্তবতা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে দীর্ঘ জীবনের বাড়তি সময় কষ্টের মধ্যে কাটছে। এছাড়া, নারীরা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় বেশি বাঁচে, কিন্তু তাদের অতিরিক্ত সময়ের বেশিরভাগই অসুস্থতায় কাটে। বিশ্বব্যাপী এই ব্যবধান নারীদের জন্য ২.৪ বছর বেশি এবং জার্মানিতে এটি ৩.৬ বছর।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মাদকাসক্তি, আর্থ্রাইটিস (হাড়ের ক্ষয়), পিঠের ব্যথা এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণে এই ব্যবধান তৈরি হচ্ছে। নারীরা এসব সমস্যায় বেশি ভুগছেন, যা তাদের দীর্ঘ জীবনকাল এবং সুস্থ জীবনকালকে আরও বিভক্ত করে ফেলছে। গবেষকরা বলছেন, যেসব দেশে গড় আয়ু বেশি, সেসব দেশেই আয়ুষ্কাল এবং সুস্থ জীবনকালের মধ্যে ব্যবধান আরও বড় হচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে জীবনকাল বাড়লেও, পরবর্তী জীবনের স্বাস্থ্য মান উন্নত হয়নি। তাই সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করার দিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
|
|
|
|
প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলেই ভারি বুক হালকা হয়, কিংবা মনটা একটু বেশিই চনমনে হয়ে ওঠে—এ কথা অস্বীকার সুযোগ নেই। জড়িয়ে ধরা কেবল ভালোবাসার প্রকাশ নয়, এটি মানসিক শান্তি, স্বস্তি এবং সংযোগের প্রতীক। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, আলিঙ্গন মানুষকে মানসিক চাপ কমাতে, সম্পর্কের বন্ধন মজবুত করতে এবং সুখ বাড়াতে সহায়তা করে।
প্রিয়জনকে কম-বেশি সবাই-ই জড়িয়ে ধরি। এই জড়িয়ে ধরাটা বিশ্বাস, ভালোবাসা, বন্ধুত্ব ও স্নেহের অনুভূতি বাড়াতে সাহায্য করে।
আজ ৩ ডিসেম্বর। প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন বা ‘লেটস হাগ ডে’। এ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হয়। দিবসটি কবে থেকে ও কী কারণে পালন করা শুরু হয়, সে বিষয়ে তেমন সুস্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
যতদূর জানা গেছে, কেভিন জাবর্নি নিামক এক ব্যক্তি এই দিনের পেছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। তিনি জনসমক্ষে একে অপরের প্রতি স্নেহ দেখাতে লোকেদের উত্সাহিত করতেই প্রথম জাতীয় আলিঙ্গন দিবস উদযাপন করেন।
দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হলো, একে অপরের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা; যা আলিঙ্গনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। আলিঙ্গনের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।
জানলে অবাক হবেন, আলিঙ্গনের ফলে মানসিক চাপ কমে যাওয়ার প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন সুস্থতার ক্ষেত্রেও পড়ে। আমেরিকান ইনডিপেনডেন্ট একাডেমিক পাবলিশিং কোম্পানি প্রকাশিত সেজ জার্নালস চার শতাধিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর একটি গবেষণা করে। গবেষকেরা সেখানে দেখেন, আলিঙ্গন কোনো ব্যক্তির অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস করতে পারে। এ সময় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বেশি আলিঙ্গন পেয়েছেন, তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কম ছিল।
হয়তো আদিকাল থেকেই মানুষের মধ্যে জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গনের আনন্দ আবিষ্কৃত হয়েছিল, যখন মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা কতটা মধুর। যেভাবেই দিবসটির শুরু হোক না কেন, আজও এটি বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভালোবাসা ও মমতা প্রকাশের একটি উপায় হিসেবে বিদ্যমান।
মজার বিষয় হলো, জড়িয়ে ধরা বা আলিঙ্গন একটি সর্বজনীন ভালোবাসার প্রকাশ। যখন বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অভিবাদনের ধরন পরিবর্তিত হয়, যেমন—করমর্দন, নমস্কার বা হাই-ফাইভ, তখন আলিঙ্গন প্রায় সব সংস্কৃতিতেই ভালোবাসা ও সংযোগ প্রকাশের সাধারণ মাধ্যম হিসেবে দেখা যায়। মানুষের সুস্থ এবং সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য আলিঙ্গন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি বিশেষত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে শিশুরা ছোটবেলায় আলিঙ্গন বা স্নেহলাভ পায় না, তারা সাধারণত সুস্থ এবং ভালোবাসা-ঘেরা শিশুদের মতো সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে না।
তবে কেবল শিশুরাই নয়, প্রাপ্তবয়স্করাও আলিঙ্গনের সুফল পেতে পারে। আসলে, বহু গবেষণায় দেখা গেছে যে আলিঙ্গন কেবল মানসিক ও আবেগগত দিক থেকেই নয়, শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্যও উপকারী।
তাই লজ্জা নয়—প্রস্তুত হন এবং ‘জড়িয়ে ধরা দিবস’-এ কাউকে জড়িয়ে ধরুন!
সূত্র্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার
|
|
|
|
ফল খাওয়ার মানে হলো পুষ্টির পাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন কমানোর একটি স্মার্ট উপায়। ফলে থাকে প্রচুর পুষ্টি, কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার, যা ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত। সঠিক সময়ে এবং সঠিক উপায়ে ফল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমানো সহজ হতে পারে। ফিটনেসের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই পদ্ধতির জন্য ফলকে আপনার সুষম খাদ্যের একটি অংশ করে নিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ফলগুলো আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে-
পেয়ারা
ফাইবার, ভিটামিন সি এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ পেয়ারায় প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৬৮ ক্যালোরি থাকে। উচ্চ ফাইবার উপাদান তৃপ্তি বৃদ্ধি করে, অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। এর কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, এটি ওজন ব্যবস্থাপনার জন্য আদর্শ। ক্ষুধা নিবারণের জন্য এই ফল সকালের নাস্তা বা মধ্য দুপুরে খেতে পারেন। এক চিমটি বিট লবণের সঙ্গে বা সতেজ সালাদ উপাদান হিসেবে কাঁচা খান।
পেঁপে
পেঁপেতে ক্যালোরি কম (১০০ গ্রাম প্রতি ৪৩ ক্যালোরি) এবং ভিটামিন এ এবং সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পাপাইনের মতো পাচক এনজাইম বেশি। এনজাইমগুলো হজমে সহায়তা করে এবং পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে, এতে থাকা পানি এবং ফাইবার উপাদান দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এটি সকালের নাস্তায় বা খাবারের পরে মিষ্টি হিসেবে খেতে পারেন। তাজা পেঁপের টুকরো উপভোগ করুন বা এটি স্মুদিতে মিশিয়ে খান।
তরমুজ
৯০ শতাংশ তৈরি তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি, পটাসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ প্রতি ১০০ গ্রাম ৩০ ক্যালোরি রয়েছে। তরমুজ হাইড্রেটেড এবং পরিপূর্ণ রাখে এবং ক্যালোরি গ্রহণ কমায়। তরমুজে থাকা সিট্রুলাইন ফ্যাট মেটাবলিজমেও সাহায্য করে। এটি মাঝ-সকালে বা একটি রিফ্রেশিং প্রাক-লাঞ্চ স্ন্যাক হিসাবে গ্রহণ করুন।তরমুজের জুস খেলে তাতে চিনি যোগ করা এড়িয়ে চলুন।
আপেল
আপেল ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫২ ক্যালোরি থাকে। আপেলে থাকা ফাইবার ক্ষুধা নিবারণ করতে এবং অপ্রয়োজনীয় স্ন্যাকিং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাস্থ্যকরভাবে চিনির আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে। সকালে বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে প্রথমে একটি আপেল খান। এটি কাঁচা খান বা ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গে স্লাইস যোগ করুন।
কমলা
কমলায় ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং ফাইবার থাকে, প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৭ ক্যালোরি থাকে। এর কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার সামগ্রী পরিতৃপ্ত রাখে। কমলায় তাকা ভিটামিন সি বিপাক বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সহায়তা করে। সকাল বা সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে কমলা খান। চিনি ছাড়াই তাজা বা জুস হিসেবে উপভোগ করুন।
|
|
|
|
আমেরিকান সাহিত্যিক রালফ ওয়াল্ডো এমারসন বলেছেন, বন্য বাতাস পান করার কথা। কেন বলেছেন? তার কারণ হচ্ছে, পানি পান করলে যেমন জীবনীশক্তি ফিরে আসে, বন্য বাতাস পান করলেও তাই। আক্ষরিক অর্থে বন্য বাতাস পান করা যায় না কিন্তু শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা যায়, অনুভব করা যায়।
বনে কিছু সময় কাটানো বা কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে মনে মনে হরিয়ে যাওয়াকে বলা হয় ‘শিনরিন ইয়োকু’ বা ফরেস্ট বাথিং। এ হলো প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভেসে যাওয়া। যদিও বাথিং বলতে গোসল করা বোঝায়, আর ফরেস্ট বাথিং বলতে বনের সৌন্দর্য, প্রকৃতির শব্দ, নিরবতা, স্পর্শ ও গন্ধ অনুভব করা বোঝায়। এর মাধ্যমে মূলত মনের গোসল হয়।
ফরেস্ট বাথিং কেন করবেন: জাপানিজ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, টানা দুই ঘণ্টা বনে কাটালে শরীর ও মনে পরিবর্তন আসে। রক্তচাপ কমে, হতাশা কমে, মনোযোগ বাড়ে আর স্মৃতিশক্তি ভালো হয়। এ ছাড়া বনের গাছ থেকে নির্গত ফাইটোনসাইড নামক রাসায়নিকের প্রভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ১৯৮০-র দশক থেকে জাপানের জনগণের স্বাস্থ্য পরিচর্যার জন্য সরকারি ও উন্মুক্ত এমন সবুজাভ বনগুলোতে যাওয়ার রীতি শুরু হয়। এখনও এই রীতি চলমান। বরং আরও বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে ফরেস্ট বাথিং।
ফরেস্ট বাথিং আমাদের দৃষ্টি, শ্রবণ, স্বাদ, ঘ্রাণ এবং স্পর্শের ইন্দ্রিয়গুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সংযোগ তৈরি করে দেয়। ফরেস্ট বাথিংয়ের জন্য একেবারে বনের কাছেই যেতে হবে, তা নয়। গাছের ছায়ায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে এবং জোরে জোরে শ্বাস গ্রহণ করলেও ফরেস্ট বাথিংয়ের অনুভূতি পেতে পারেন। এ ছাড়া চলে যেতে পারেন কোনো পার্কে।
ফরেস্ট বাথিং যেভাবে করবেন: রোদ, বৃষ্টি, শীত কিংবা কুয়াশা ভেজা প্রকৃতি বা গাছ স্পর্শ করে, হেলান দিয়ে বসে কিছু সময় নিরবতা পালন করতে পারেন। এ সময় চোখ বন্ধ করে পাতা নড়ার শব্দ শুনুন, পাখির কলতান শুনুন, কোনো পোকামাকড়ের হেঁটে যাওয়া অনুভব করুন। এরপর চোখ খুলে আকাশের দিকে তাকান। আলো ছায়ার লুকোচুরি দেখুন, কিছু পাতা স্পর্শ করুন। মাটির ছোঁয়া পেতে খালিপায়ে কিছু সময় হাঁটুন। দেখুন চারপাশের রং কীভাবে বদলে গেছে।
কর্মব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে ফরেস্ট বাথিং করতে পারেন।
|
|
|
|
সবাই ঘন, ঝলমলে চুল পছন্দ করে, তাই না? তবে আআজকাল চুল পড়া এবং পাতলা হওয়া বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে। মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, দূষণ এবং সঠিক পুষ্টির অভাব সবই এখানে ভূমিকা পালন করে। চুলকে সুস্থ রাখতে আমরা শ্যাম্পু থেকে শুরু করে তেল ব্যবহার- সব ধরনের জিনিস চেষ্টা করি। কিন্তু খাবারের তালিকায় শুধু একটি ছোট পরিবর্তন আপনার চুল সুন্দর ও সুস্থ রাখতে কাজ করতে পারে। বলছি পালং শাকের কথা। পালং শাক পুষ্টিগুণে ভরপুর যা শুধুমাত্র চুলের জন্যই নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও অসাধারণ। ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর পালং শাক আপনার চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। চলুন জেনে নেওয়া যাক পালং শাক চুলের জন্য কীভাবে উপকার করে-
১. আয়রন
আয়রনে সমৃদ্ধ পালং শাক রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাথার ত্বকে প্রচুর অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এটি চুলের গোড়া মজবুত রাখে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পালং শাকে ভিটামিন সি রয়েছে, যারোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা আপনাকে সুস্থ রাখে এবং চুলকে শক্তিশালী করে।
২. ফোলেট
পালং শাকের ফোলেট কোষের বৃদ্ধিতে কার্যকরী। হ্যাঁ, এমনকী সেই কোষগুলোও বৃদ্ধি করে যা চুলের ফলিকল তৈরি করে। ফোলেটের ঘাটতির কারণে চুলের বৃদ্ধি ধীর বা পাতলা হতে পারে, তাই এই মাত্রাগুলি বজায় রাখা অপরিহার্য। পালং শাকে থাকা ফোলেট আপনার কাঙ্ক্ষিত চুল পাওয়া সহজ করে তোলে।
৩. ভিটামিন এ
ভিটামিন এ স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্পের জন্য একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। পালং শাকের ভিটামিন এ উপাদান সিবাম তৈরি করতে সাহায্য করে, যা মূলত মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক তেল। এই তেল চুলকে ময়েশ্চারাইজ রাখে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ করে। স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্প মানেই স্বাস্থ্যকর চুল। হিসাব সহজ!
৪. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুল সুস্থ রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করে; এটি আমাদের স্ক্যাল্প বা মাথার ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়িয়ে দেয় এবং ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
|
|
|
|
শীতকাল অনেকেরই একটি প্রিয় ঋতু। শহরে সেভাবে এখনও শীতের আগমণ না ঘটলেও গ্রামের দিকে ভোর বেলা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। গরমকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে যেমন লেবু শরবত উপকারী ঠিক তেমন শীতের দিনেও শরীর গরম রাখতে পারে বিশেষ কিছু খাবার। এসব খাবার শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক এই সময়ে কোন কোন খাবার শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।
গবেষণা বলছে, শীতের সময়ে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন খাঁটি ঘি। রুটি বা ভাতের সঙ্গে অল্প পরিমাণ ঘি খেলে এই কনকনে শীতে শরীর গরম হবে । তবে ওবেসিটি, ডায়াবেটিস থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঘি খাওয়া উচিত।
গরম ভাত, ডাল ও রুটির সঙ্গে সামান্য দেশি ঘি মিশিয়ে খেলেই উষ্ণ থাকে শরীর। পিত্তের সমস্যা মেটাতেও কাজে আসে দেশি ঘি।
শীতকালে শালগম, বীট, রাঙাআলু ও গাজরের মতো শাকসবজির স্যুপ তৈরি করে খেতে পারেন। অথবা এগুলি রোস্ট করে খেলে শরীর শীতকালে উষ্ণ থাকে।
শীতকালে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে হলুদও। তরকারিতে হলুদ ব্যবহার করার পাশাপাশি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে হলুদ মেশানো দুধ খেলেও তা শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
শীত কমাতে ঘন ঘন কফিতে চুমুক না দিয়ে বরং আদা, তুলসি দিয়ে ফোটানো চা খান। এতে শরীরে যেমন আরাম পাবে, তেমনি শরীর গরম রাখতেও সাহায্য করবে।
দিনে কয়েকটা খেঁজুর খাওয়ার অভ্যাস শরীরকে উষ্ণ রাখতে খুবই কার্যকরী।
শীতকালে শরীর গরম রাখতে শুকনো ফল অনেক কার্যকরী। এপ্রিকট, শুকনো ডুমুর, খেজুর, বাদাম ও কাজুর মতন শুকনো ফল আপনার শরীরকে উষ্ণ রাখার পাশাপাশি শীতকালে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। কারণ এগুলি প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি, ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।
শীতে শরীর গরম রাখতে কাঠবাদাম, কাজুবাদামসহ বিভিন্ন ধরনের বাদাম চর্বির বিশেষ উৎস। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে এসব খাবার।
ডিমে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন শরীরকে উষ্ণ করে তুলতে পারে। এই খাবারকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন এই খাবার।
চিনে শরীরকে উষ্ণ রাখতে পেঁয়াজের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকেই হয়ে আসছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে চিনে পেঁয়াজকে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। আপনি পেঁয়াজকে রোজকার খাদ্য তালিকায় রাখার পাশাপাশি স্যুপে মিশিয়ে বা সালাদেও ব্যবহার করতে পারেন।
আদা শরীরের তাপ বাড়াতে সাহায্য করার পাশাপাশি শীতকালে হওয়া সর্দি-কাশি কমাতেও সাহায্য করে। বৃদ্ধি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। সাহায্য করে হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে। এজন্য অনেকে গরম জলে আদা মিশিয়ে খাওয়ার পাশাপাশি আদা দেওয়া চা-ও খান।
শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য অনেকে তরকারিতে সর্ষে দেওয়ার পাশাপাশি গরম ভাতে কাঁচা সর্ষে বাটাও খান। এর ফলে খাবার সুস্বাদু লাগার পাশাপাশি শরীরের উষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়। অনেকে স্নানের সময় শরীরে সর্ষের তেল মাখার পাশাপাশি পায়ের তালু ও হাতের তালুতে সর্ষের তেল মালিশ করেন। এতে শরীর উষ্ণ থাকে।
ঠাণ্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে শীতকালে মধু খুবই উপকারি। সঙ্গে তুলসি পাতা খান অনেকে। এতে সর্দি-কাশির প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বাড়ে হজম ক্ষমতাও। ভালো রাখে ত্বকও।
শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে গুড়। এটি শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। খাবার পর অল্প পরিমাণে খেলেই এর কাজ বোঝা যায়।
শীতকালে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ রাখার জন্য কলা খেতে পারেন। এই ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন বি আপনার থাইরয়েড এবং অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিকে দারুণভাবে সচল রাখে। আর এই গ্রন্থিগুলো শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষ করে ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার সকালের খাবারে কলা রাখতে পারেন। আবার বিকেলে নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মাখনের সাথে কলা খেতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, কলা এমন একটি খাবার যা শরীরের তাপ বাড়ায়।
আপনি জেনে অবাক হতে পারেন যে মরিচ বা মরিচের মতো মশলাদার খাবার শরীরের তাপ বাড়ায় না। কিন্তু খাওয়ার সময় গরম অনুভব হতে পারে। অন্যদিকে জিরা একটি মশলাদার ভেষজ যা নিয়মের ব্যতিক্রম। এটি মরিচ বা মরিচের মতো তীব্র মশলা নয় কিন্তু আপনার খাবারে জিরা যোগ করলে ধীরে ধীরে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
শীতকালে পিপাসা না পেলেও শরীরে কিন্তু পানির চাহিদা রয়ে যায় আগের মতোই। শরীরে বিপাকক্রিয়া এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি গ্রহণের প্রয়োজন। কম পরিমাণে পানি গ্রহণ করলে ইউরিন ইনফেকশন কিংবা শরীর ডিহাইড্রেট হতে পারে। শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিস্বল্পতা হলে ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকে। সুস্থ ত্বক ও সুস্থ চুল পেতে হলে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
|
|
|
|
খাবার খেলেই ওজন বাড়বে! দৈনন্দিন খাওয়ার সময় এই বিষয়টি মাথায় ঘুরপাক করে। কিন্তু সুস্থ ও সুন্দর থাকতে হলে সুষম খাবার খেতে হবে। ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলেও সঠিক নিয়ম মেনে, সঠিক পরিমাপে খাবার খেতে হবে। কী খাচ্ছেন তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছেন তা-ও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একই সময়ে অধিক খাবার না খেয়ে অল্প করে বার বার খাবার খেলে শরীরে তেমন মেদ জমে না।
এই বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী জানান, প্রতি দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর খাবার খাওয়া উচিত। একবারে ভারী খাবার না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খেলেই হজম ভালো হবে। শরীরে মেদও জমবে না। শম্পার পরামর্শ, সকালের খাবার বাদ দিয়ে তারপরের বেলায় চর্ব-চোষ্য খেয়ে ফেললে কোনো লাভই হবে না। অনেকেই ভাবেন যে, বার বার খেলে মেদ জমবে। এটি সম্পূর্ণই ভুল ধারণা। দিনে তিন বার ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ছয়বার অল্প অল্প করে খেলে তবেই শরীর ঠিক থাকবে। সকাল, দুপুর ও রাত, এই তিনবেলার খাবারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মাঝের সময়েও একেবারে পেট খালি রাখলে চলবে না। বেশিক্ষণ পেট খালি থাকলে গ্যাস-অম্বলের ভয় থাকে। এ পুষ্টিবিদ জানান, প্রতিটি খাবারের মধ্যে অন্তত ২-৩ ঘণ্টার পার্থক্য থাকতে হবে। হালকা খাবার কয়েক ঘণ্টা পর পর খেতে হবে। যেমন, সকালে দুধ-কর্নফ্লেক্স বা ওট্স খেলে ‘মিড মর্নিং’-এ মৌসুমি ফল বা একমুঠো বাদাম খেতে হবে। আবার দুপুরের খাওয়ার পর সেই রাতে খেলে চলবে না। তার মাঝে বিকেলে হালকা টিফিন করতে হবে। সে সময় ছাতু, বাদাম, শুকনো ফল খেতে পারেন। ভাজাপোড়া, মচমচে স্ন্যাকস একেবারেই খাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, কতক্ষণ পর পর খাওয়া জরুরি তা শরীরের বিপাক হারের উপর নির্ভর করে। সকালে কখন উঠছেন, শারীরিক পরিশ্রম কতটা, শরীরচর্চার অভ্যাস রয়েছে কি না, এই বিষয়গুলি খাওয়াদাওয়া এবং তার সময়ের উপর নির্ভর করে। তবে সময় মেপে খাওয়া খুব জরুরি।
|
|
|
|
বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। আর এই বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দু’জন মানুষ একসঙ্গে, একই ছাদের তলায় বসবাস শুরু করেন। বিবাহিত জীবনের সূচনা ঘটে সংসারের মাধ্যমে। আর একই সংসারে বসবাসকালে দু’জনের মধ্যে নানা বিষয়ে ঝামেলা হতে পারে। শুধু মতামতের অমিল নয়, কখনো কখনো দেখা দেয় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণেও সম্পর্কে ফাটল ধরে।
এজন্য বিয়ের আগে হবু বর-কনের উচিত কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো। এতে বিরক্ত বা রাগান্বিত হওয়ার কিছু নয়, বরং সচেতন মানুষ হিসেবে ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে প্রতিটি হবু দম্পতিরই উচিত কয়েকটি টেস্ট করানো। জেনে নিন কী কী-
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা হবু বর ও কনের রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে বিয়ের আগে দু’জনেরই আরএইচ ফ্যাক্টর একই হওয়া দরকার।
থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা বিয়ের আগে হবু বর ও কনের থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষাও জরুরি। দু’জনের মধ্যে একজনের শরীরেও যদি এই রোগ থাকে তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা বিয়ের আগে নারীর ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা করানো উচিত। এই পরীক্ষা করালে জানা যাবে হবু কনে রক্তাল্পতায় ভুগছেন কি না। কারণ সন্তান ধারণের জন্য শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার।
নারীর ওভারি পরীক্ষা জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে অনেক নারীই ওভারির নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই বিয়ের আগে নারীর ওভারি টেস্ট করানো প্রয়োজন। ওভারিতে সমস্যা থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণু তৈরির পরিমাণও কমতে শুরু থাকে। এক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা ভবিষ্যতে সন্তান হবে কি না তা জানতে হবু বর ও কনে দু’জনেরই বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের ক্ষেত্রে স্পাম টেস্ট করালে শুক্রাণুর স্থিতি ও কাউন্ট কতটা আছে তা জানা যায়। সময় থাকতে থাকতে এর চিকিৎসাও করা সম্ভব।
এসটিডি পরীক্ষা নারী-পুরুষ উভয়েরই এসটিডি বা যৌন রোগের পরীক্ষা করা উচিত। বিয়ের আগে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থাকলে এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা যায়।
এইচআইভি বিয়ের আগে হবু বর ও কনের এইচআইভি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে রক্ত, শরীরের সিরাম নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা রোধকারী ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যায়।
এইচআইভি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এই ভাইরাস শরীরে থাকলে তার থেকে এইডস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকেই আগে থেকে শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পান না।
ফলে ওই ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক করলে তা সঙ্গীর শরীরে এমনকি গর্ভের সন্তানেরও হতে পারে এইডস। যদি হবু বর বা কনের কারও এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও কয়েকবার ভাবা উচিত।
মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে দু’জনকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। বর্তমানে অনেকেই মানসিক নানা সমস্যায় ভোগেন।
কেউ হয়তো অতিরিক্ত রাগ করেন, আবার কারও সন্দেহপ্রবণতা বেশি, হঠাৎ হতাশ হয়ে পড়া, অবসন্নতা ইত্যাদি সমস্যা মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। তাই বিয়ের পর ঝামেলা এড়াতে সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে মেন্টাল হেলথেও যাচাই করুন।
জেনেটিক টেস্ট বিয়ের আগে হবু বর ও কনে উভয়েরই জেনেটিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এই পরীক্ষা করলে জানা যাবে আপনার হবু সঙ্গীর কোনো জিনঘটিত সমস্যা আছে কি না।
|
|
|
|
বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। কারণ বারবার চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করলে হাতে থাকা জীবাণু সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে অপরিচ্ছন্ন হাত থেকে জীবাণুগুলো খাবার ও পানীয়তে প্রবেশ করে। তাই মুখে-চোখে হাত দেওয়ার আগে বা খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি।
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবস’। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন বাঁচানোর কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যেই পালিত হয় এই দিবস।
নিয়মিত হাত ধুলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমে? ১. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়াজনিত রোগ ৩০ শতাংশ কমে যায়। ২. এই অভ্যাস তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। ৩. কলেরা, ইবোলা, শিগেলোসিস, সার্স, হেপাটাইটিস ই ও কোভিড-১৯ এর মতো প্রাদুর্ভাব-সম্পর্কিত প্যাথোজেনগুলোর সংক্রমণ কমাতে হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৪. হাত পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিস্তার কমে। ৫. গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। ৬. হাসপাতাল থেকে ছড়ানো বিভিন্ন সংক্রমণ (এইচএআইএস) এর বিস্তার রোধ করে। ৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কমাতে পারে। ৮. নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে উত্পাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। ৯. স্কুলছাত্রীদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি ২৯-৫৭ শতাংশ কমে। ১০. ছোট থেকেই শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস তার বিকাশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সংসারে অর্থ নিয়ে অশান্তি এড়াতে করণীয় অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে? কখন হাত ধোবেন? >> খাবার তৈরির আগে ও পরে >> খাবার খাওয়ার আগে ও পরে >> বমি বা ডায়রিয়ায় অসুস্থ এমন রোগীর যত্ন নেওয়ার আগে ও পরে >> কাটা বা ক্ষত চিকিৎসার আগে ও পরে >> টয়লেট ব্যবহারের পর >> ডায়াপার পরিবর্তনের পর বা টয়লেট ব্যবহার করা শিশুকে পরিষ্কার করার পর >> নাক পরিষ্কারের সময়, কাশি বা হাঁচির সময় মুখে হাত দিলে >> প্রাণীকে সংস্পর্শ করলে বা তাদেরকে খাওয়ানো ও বর্জ্য পরিষ্কারের পর >> আবর্জনা স্পর্শ করার পর >> চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার আগে >> মাস্ক স্পর্শ করার পরে >> জনবহুল স্থান থেকে ফিরে
এছাড়া দরজার হাতল, টেবিল, গ্যাস পাম্প, শপিং কার্টসহ বিভিন্ন পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর সাবান-পানি বা ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বেশ কয়েকটি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে হাত ধোয়ার মূল সময়ের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান-পানি দিয়ে ভালে করে হাত ধুতে হবে।
কীভাবে হাত ধোবেন? ১. প্রথমে হাত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ২. তারপর সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে হাতের পেছনে, আঙুলের ফাঁকে ও নখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। ৩. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত স্ক্রাব করুন। ৪. এবার পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিন। ৫. সবশেষে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে হাত শুকনো করে মুছে নিন।
সূত্র: সিডিসি
|
|
|
|
আজকাল অধিকাংশ মা-বাবাই চাকরি করেন। কর্মব্যস্ততার কারণে সন্তানকে তেমন সময়ই দেওয়া হয় না। আর সন্তানকে সময় না দিলে দূরত্ব বাড়বেই। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই যতই কর্মব্যস্ততা থাকুক না কেন, সন্তানের জন্য অবশ্যই সময় বের করতে হবে।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে অফিসের ব্যস্ততা সামলে কীভাবে সন্তানকে সময় দেবেন। চলুন সেই উপায়ই জেনে নিই-
অফিসের কাজ সারুন দ্রুত
কিছু মানুষ অফিস সামলাতে সামলাতে অফিসকেই বাসা বানিয়ে ফেলেন। তারা সারাদিন অফিসে কাটান। এরপর বাড়ি ফিরে বিধ্বস্ত হয়ে ঘুমাতে চলে যান। এতে বাচ্চার জন্য আলাদা সময় বের করা সম্ভব হয় না। তাই সবার আগে অফিসের রুটিন ঠিকঠাক করে সাজান। সেই অনুযায়ী দ্রুত কাজ করুন। তাহলে সময়মতো কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আসতে পারবেন। আর সন্তানকেও সময় দিতে পারবেন।
অফিসের কাজ বাড়িতে নয়
অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করা উচিত। কেউ কেউ বাড়িতেও অফিসের কাজ বয়ে আনেন। সারাদিন অফিস করার পর বাড়ি এসেও বসেন অফিসের কাজ নিয়ে। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। এই বদ অভ্যাসের জন্যই বেশিরভাগ মানুষ সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। কাজের বোঝা অফিসেই রেখে আসুন। বাড়িতে এসে সন্তানকে সময় দিন। তার সঙ্গে গল্প করুন, খেলুন। এতে তার সঙ্গে দূরত্ব কমবে।
বাড়িতে ফিরে মোবাইল নয়
সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বাড়িতে এসে অনেকেই মোবাইল নিয়ে বসে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক আর ইউটিউব স্ক্রলিং। অনেকেই আবার ওয়েব সিরিজ চালিয়ে সময় কাটান। কিন্তু সন্তানকে সময় দেন না। এই ভুলেই বাড়ে বিপদ। তাই অফিস থেকে ফেরার পর সন্তানকে যতটা সম্ভব সময় দিন। তাকে পড়াতে পারেন, তার সঙ্গে খেলতে পারেন কিংবা তাকে নিয়ে পার্কেও যেতে পারেন। মোবাইল ছেড়ে শিশুকে বেশি সময় দিন। এতে পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে।
একসঙ্গে খাবার খান
সারাদিন কাজের জন্য সময় পান আর না পান, রাতে ঘরে ফেরার পর সবাই মিলে একসঙ্গে খেতে বসুন। খেতে খেতে সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহ একে অপরকে বলুন। ভালোর পাশাপাশি খারাপ কী ঘটেছে, সেটাও জানান। এতে দেখবেন ধীরে ধীরে সন্তানও আপনার সঙ্গে তার মনের অন্দরের কথা ভাগ করে নেবে। কমবে দূরত্ব।
উইকএন্ডে ঘুরতে যান
পুরো সপ্তাহটা কেটে যায় কাজের চাপে। পুরো সপ্তাহ সময় না পেলেও ছুটির দিনটি একসঙ্গে কাটান। এই দিন তাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। বাড়িতে থাকলে খেলাধুলায় মেতে উঠতে পারেন। তাহলেই দেখবেন সন্তানের সঙ্গে আপনার দূরত্ব কমবে। আর আপনি তার কাছাকাছি চলে আসবেন।
|
|
|
|
মহালয়ার মাধ্যমে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও দুর্গা পূজার প্রধান পর্ব শুরু হয় ষষ্ঠী থেকে। এরই মধ্যে অনেকের কেনাকাটাও শেষ হয়েছে। পাঁচ দিন ব্যাপী দুর্গাপূজার সাজসজ্জা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে হয়তো। ষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী চলবে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরাঘুরি। কোন দিন কেমন সাজ-পোশাক হবে তা অবশ্য অনেকটা নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। তারপরও পাঁচ দিনব্যাপী পূজার আগাম পরিকল্পনা তো থাকবেই। পোশাকের সঙ্গে সাজেগোছেরও মিল থাকবে।
জেনে নিন এই পাঁচদিন সাজগোছের কিছু আইডিয়া—
ষষ্ঠী: ষষ্ঠীর দিনের সাজ হবে শরতের মতো স্নিগ্ধ। হালকা রঙ্গের শাড়ি কিংবা সাদা শাড়িতে ডার্ক কালারের পাড় বসানো এমন পোশাক থাকতে পারে পছন্দের তালিকায়। শাড়ির সাথে মিলিয়ে ন্যাচারাল লুকের মেকআপ আর ছোট গয়না রাখতে পারেন অনুষঙ্গ হিসেবে। যারা গরমে শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না তারাও একই কালার প্যালেটের সালোয়ার কামিজ বা কুর্তি গায়ে জড়াতে পারেন। তবে ফতুয়া বা টপসের চয়েস থাকলে উজ্জ্বল রংও মানানসই। মাটির গয়নাও জুতসই এই ধরনের সাজ পোশাকের সঙ্গে।
সপ্তমী: সপ্তমীতেও সাজতে পারেন হালকা। আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে আরামদায়ক পোশাক হিসেবে সুতি বা নকরম কাপড় পরতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে বেইজ মেকআপে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে ট্যান্সলুসেন্ট পাউডার কিংবা বিবি ক্রিম লাগাতে পারেন। ঠোঁটেও লাগাতে পারেন দিন করোল, হালকা গোলাপি, কমলা বা পোশাকের রঙের সঙ্গে মিল করে লিপস্টিক। তবে সপ্তমীতে রাতের সাজে আনতে পারেন সামান্য গাঢ় ভাব। চোখে ব্লু, অ্যাশ আইশ্যাডো লাগানো যেতে পারে। খোঁপা করে চুলে বেশি করে ফুল লাগিয়ে সাজে স্নিগ্ধতা আনতে পারেন।
অষ্টমী: অষ্টমীতে সকালে কুমারী পূজায় হাল্কা সাজতে পারেন। চুল ফুলিয়ে খোঁপাই মানানসই। সঙ্গে সুতির শাড়ি পরতে পারেন। সকালের সাজে স্নিগ্ধতা থাকলেই ভালো। তবে রাতের সাজ একটু ভারীই হতে পারে। বেনারসি, সিল্ক, কাতান শাড়ি নির্বাচন করতে পারেন। এদিন সাধারণত দিনের হালকা আর রাতে ভারী সাজা হয়। রাতে ভারী সাজের ক্ষেত্রে সাজার আগে মুখ টোনিং করে ওয়াটার বেইজ ফাউন্ডেশন দিন। এরপর ফেস পাউডার ও ব্রাউন ব্লাশন লাগান। চোখের সাজে এখন উজ্জ্বল রং খুব চলছে। পোশাকের বিপরীত রঙের বা রং মিলিয়ে দুই শেডের আইশ্যাডো লাগাতে পারেন। সবশেষে পছন্দমতো লিপস্টিক দিয়ে সাজ সম্পন্ন করুন। চুলের ক্ষেত্রে কোঁকড়া করা এখন ট্রেন্ডি। শাড়ির সঙ্গে চুল কোঁকড়া করে খুলে বা খোঁপা করে রাখতে পারেন। একই সঙ্গে আলতা, টিপ আর সিঁদুর সাজে আনে পূর্ণতা।
নবমী: নবমীর সাজ হবে জাঁকজমকপূর্ণ। অষ্টমীর মতো এদিনও জামদানি, কাতান বা সিল্কের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। এ ধরনের পোশাকের সঙ্গে চোখে কনট্রাস্ট আইশ্যাডো এবং ম্যাচিং করে সোনালি কিংবা রুপালি হাইলাইট ভালো লাগবে। শাড়ির সঙ্গে ভারী গয়না পরতে পারেন। এতে বনেদীয়ানাও ফুটে উঠে।
দশমী: পূজার শেষ দিন হলেও আসলে উৎসবের প্রাণ বিজয়াদশমী। দশমীতে সবাই সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠে। দশমীতে লাল শাড়ি, সাদা শাড়ি লাল পাড়ের ঐতিহ্য তো রয়েছেই। সঙ্গে রাবীন্দ্রিক ব্লাউজ পরতে পারেন। দশমীর আয়োজনের মতো সাজপোশাকও হয় জমকালো। এদিন চোখজোড়া উজ্জ্বল রঙে কিংবা স্মোকি লুকে সাজাতে পারেন। সঙ্গে মোটা করে কাজল, আইলাইনার, মাশকারা লাগাতে পারেন চোখে। আবার আইলাইনার এড়িয়ে শুধু আইশ্যাডোতে চোখে গর্জিয়াস কিন্তু স্নিগ্ধ লুক আনা যায়। গালে ব্লাশন আর ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক দিন। খোঁপা কিংবা খোলা চুলে জড়িয়ে নিন তাজা ফুল। সঙ্গে ভারী গয়না। আর নথ তো রয়েছেই। বিজয়ায় নাকে বড় আকারের নথ পরার চল খুব বেশিই লক্ষ করা যায়।
|
|
|
|
চুলে রং করতে গিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারে, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, চুল উঠে আসে। রাসায়নিক রং করার পর থেকেই চুলের গোড়া শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কমে যায় চুলের ঘনত্ব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি করে এই রাসায়নিক। চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়, তাই সতর্ক করেন চিকিৎসকরাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল ভালো রাখতে খুব সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানাই যথেষ্ট।
কী কী সেই নিয়ম জেনে নিন—
দাঁড়চিনির সঙ্গে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিতে পারেন। এই দুটি মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চেষ্টা করুন প্রতিটি চুলের গোড়া অবধি যেনও পৌঁছতে পারে এই দাঁড়চিনি ও কন্ডিশনারের প্যাক। তবে এই প্যাক বানিয়ে চুলে দেওয়ার পর, এক থেকে দুই ঘণ্টা ধৈয্য ধরে বসুন, এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
বিটের টুকরোর সঙ্গে মধু এবং নারকেল তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন। পাকা চুল ঢাকতে বা রঙ করতে বিটের টুকরোর সঙ্গে হেনা মিশিয়েও দিতে পারেন।
লেবুর রসের সঙ্গে কন্ডিশনার ও সমান পরিমাণে পানি মিশিয়েও চুলে হাইলাইট করা সম্ভব।
|
|
|
|
দিনের শুরুটা সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। কারণ এসময়টা সুন্দর হলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো দিনের ওপরেই। কথায় বলে, দিনটা কেমন যাবে তা সকাল দেখেই বলে দেওয়া যায়। সকালে আমরা যা খাই, তাও প্রভাব ফেলে আমাদের সারাদিনের সুস্থতায়। সকালের খাবার স্বাস্থ্যকর হলে শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ভালো হজমেও সহায়তা করে। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর বা ভুল খাবার সকালে খেলে তা উল্টো আচরণ করতে পারে। তাই সকালের খাবারে মনোযোগী হওয়া জরুরি। সকালে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ডাবের পানি
ডাবের পানি কে না পছন্দ করে! এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন উপকার করে ডাবের পানি। এটি পেট প্রশমিত করে, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে এবং পেটের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ডাবের পানি হতে পারে স্বাস্থ্যকর পানীয়।
২. লেবু-পানি
সকালে লেবু-পানি পান করার উপকারিতার কথা অনেকেই জেনে থাকবেন। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রথমে এক কাপ কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই পানীয়তে চুমুক দিন। কিছুটা মিষ্টি স্বাদ পেতে চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। পানীয়টিতে ক্যালোরি কম। এটি হজমে সহায়তা করে, বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে কাজ করে। তবে পুরোপুরি খালি পেটে এই পানীয় পান করবেন না। সেক্ষেত্রে লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩. গ্রিন টি
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকার করতে পারে গ্রিন টি। এটি বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ওজন কমাতে সহায়ক হিসেবেও পরিচিত। গ্রিন টিতে ক্যাটচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে তাই আপনার পানীয় হিসেবে গ্রিন টি বেছে নিতে পারেন।
৪. ভেজিটেবল জুস
অনেকের কাছে এই জুস হয়তো খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়, কিন্তু এর উপকারিতা অনন্য। সকালে যদি নিয়মিত ভেজিটেবল জুস পান করতে পারেন তাহলে নানাভাবে উপকার মিলবে। পালং শাক, সেলারি, শসার মতো তাজা সবজি ব্লেন্ড বা জুস করে লেবু বা আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পুষ্টি ও হাইড্রেশন দুটিই মিলবে।
|
|
|
|
বর্ষায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময় নিজেকে সুস্থ রাখাটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঋতু পরিবের্তনের জের ধরে এ সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যার মধ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি অন্যতম।
তাই যতটা সম্ভব এ মৌসুমে সাবধান থাকার বিকল্প নেই। বর্ষায় ছোট-বড় সবারই ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর থেকে বাঁচতে হলে কী করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বাড়ির জানলায় নেট লাগান বৃষ্টির সময়ে মশা-মাছি থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। বাড়ির জানলায় নেট লাগিয়ে মশা-মাছির প্রবেশ আটকান।
মশার ওষুধ স্প্রে করুন মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারেন মাঝেমধ্যে। মশা তাড়ানোর তরল ওষুধ বা কয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
ফুল হাতা পোশাক ও প্যান্ট পরুন বাইরে বের হলে যতটা পারেন ঢাকা পোশাক পরুন। গলা, হাত বা শরীরের অন্য যে অংশ পোশাকে ঢাকা নেই, সেই অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন বাড়ির চারপাশে মশা যাতে না জন্মাতে পারে, তার খেয়াল রাখুন। কোনো জায়গায় পানি জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করুন। ছাদ বা বাগানে কোনও টব, বালতি বা খোলা পাত্রে যদি বৃষ্টির জল জমে থাকে, তা ফেলে দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ফ্লু ঠেকাতে প্রতিষেধক নিতে পারেন। তবে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের এখনো কোনো প্রতিষেধক বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
|
|
|
|
বর্তমানে আবহাওয়ার মন বোঝা খুবই মুশকিল। এমনকি গুগলে ওয়েদার আপডেট দেখে বের হলেও যে কোনো মুহূর্তে পড়তে হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যে। আবার সামনেই বর্ষাকাল। এ সময় পানি থেকে স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখা খুবই মুশকিল। তবে ফোনটিকে ওয়াটারপ্রুফ করা গেলে বড় সমস্যা থেকে বাঁচা সম্ভব।
কারণ স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশগুলো খুবই সংবেদনশীল এবং সেগুলোতে পানি ঢুকলে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তারপরে লোকেরা এই স্মার্টফোন মেরামত করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, কারণ ফোনের যন্ত্রাংশগুলো খুবই ব্যয়বহুল।
এমন অবস্থায় ফোনে পানি যাওয়া বন্ধ করা খুবই জরুরি। কিন্তু সবার মনেই প্রশ্ন জাগে কীভাবে? চলুন এমন কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক যার মাধ্যমে যে কেউ নিজেদের স্মার্টফোনকে ওয়াটার প্রুফ করে তুলতে পারেন।
ওয়াটার প্রুফ কেস বর্তমানে, ওয়াটার প্রুফিং কেস বাজারে পাওয়া যায়, যার সাহায্যে যে কেউ স্মার্টফোনে পানি আসা থেকে বন্ধ করতে পারে। এই কেসগুলো ডাস্ট প্রুফ এবং শক প্রুফ, যার কারণে ফোন পড়ে গেলেও সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও এটি সম্পূর্ণ বডির সুরক্ষার সঙ্গে আসে।
এই কেসগুলো স্মার্টফোনকে এমনভাবে সিল করে দেয়, যাতে এক ফোঁটা পানিও এতে প্রবেশ করতে না পারে। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। প্রতিটি স্মার্টফোনের আকার ভিন্ন, তাই এই কেসগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোনের জন্য বিভিন্ন আকারে আসে। গ্রাহকরা ই-কমার্স প্লাটফর্ম অ্যামাজন থেকে এগুলো কিনতে পারেন।
ওয়াটার প্রুফ পাউচ স্মার্টফোনে পানি প্রবেশ রোধ করার দ্বিতীয় সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান হলো ওয়াটার প্রুফ পাউচ। এগুলো ব্যবহার করাও বেশ সহজ। এর জন্য যা করতে হবে তা হল, নিজেদের স্মার্টফোনটি এই পাউচে রাখতে হবে এবং উপর থেকে এটি বন্ধ করে দিতে হবে।
এই পাউচগুলো বেশ স্বচ্ছ, তাই ফোন দেখতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কেউ চাইলে এই পাউচে নিজেদের মোবাইল ফোন রেখে পানির নিচে ফটোগ্রাফিও করতে পারে। এই পাউচে একটি স্ট্র্যাপ রয়েছে, যাত এটিকে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। এর ফলে নিজেদের ফোন ধরে রাখারও দরকার পড়ে না।
সূত্র: দ্য ইকোনোমিকস টাইমস
|
|
|
|
|
|
|
|