ত্বকের যত্নে ‘ভিটামিন সি’ নিয়ে যা জানা দরকার
আমাদের সবারই জানা আছে যে, ভিটামিন সি ত্বকের জন্য উপকারি। স্কিনকেয়ারের অপরিহার্য উপাদানের মধ্যে ভিটামিন সি একটি গেম-চেঞ্জার। এই উপাদানটি দ্রুতই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে। ভিটামিন সি, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ত্বকের কোলাজেন উত্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকালগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। পরিবেশগত ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু ভিটামিন সি নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই এর ভুল ব্যবহার বিধির কারণে আপনি সঠিক ফলাফল নাও পেতে পারেন।
অনেকের মতে, ভিটামিন সি সানস্ক্রিন প্রতিস্থাপন করতে পারে। এটি একটি ভুল ধারণা। ভিটামিন সি কিছু সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারে। তবে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে না। ভিটামিন সি প্রত্যক্ষভাবে ত্বকে কাজ করে না। এটি অন্য উপাদানের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যায় ফলে ত্বকে অন্যান্য পণ্যের উপাদানগুলো ভালমত প্রবেশ করে।
ত্বকের যত্নে অনেকেই বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি ব্যবহার করেন। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। অত্যধিক ভিটামিন সি আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এর ব্যবহারের পরিমাণের নিয়ে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, ভিটামিন সি তাত্ক্ষণিকভাবে গভীর বলিরেখা মুছে ফেলতে পারে না। সূক্ষ্ম রেখাগুলোর উপস্থিতি কমাতে পারে। তবে তার জন্য সময় লাগে। এই উপাদানটি সকাল এবং রাত, দুই সময়েই ব্যবহার করতে পারবেন।
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সত্যিই জাদুকরী। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে। তাই সঠিক উপায়ে এটি আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন।
সূত্র- বোল্ডস্কাই
|
আমাদের সবারই জানা আছে যে, ভিটামিন সি ত্বকের জন্য উপকারি। স্কিনকেয়ারের অপরিহার্য উপাদানের মধ্যে ভিটামিন সি একটি গেম-চেঞ্জার। এই উপাদানটি দ্রুতই আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলে। ভিটামিন সি, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ত্বকের কোলাজেন উত্পাদনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকালগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করে। পরিবেশগত ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। কিন্তু ভিটামিন সি নিয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই এর ভুল ব্যবহার বিধির কারণে আপনি সঠিক ফলাফল নাও পেতে পারেন।
অনেকের মতে, ভিটামিন সি সানস্ক্রিন প্রতিস্থাপন করতে পারে। এটি একটি ভুল ধারণা। ভিটামিন সি কিছু সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা সরবরাহ করতে পারে। তবে ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করতে পারে না। ভিটামিন সি প্রত্যক্ষভাবে ত্বকে কাজ করে না। এটি অন্য উপাদানের শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। যায় ফলে ত্বকে অন্যান্য পণ্যের উপাদানগুলো ভালমত প্রবেশ করে।
ত্বকের যত্নে অনেকেই বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি ব্যবহার করেন। এতে উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। অত্যধিক ভিটামিন সি আপনার ত্বকে জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করতে পারে। তাই এর ব্যবহারের পরিমাণের নিয়ে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, ভিটামিন সি তাত্ক্ষণিকভাবে গভীর বলিরেখা মুছে ফেলতে পারে না। সূক্ষ্ম রেখাগুলোর উপস্থিতি কমাতে পারে। তবে তার জন্য সময় লাগে। এই উপাদানটি সকাল এবং রাত, দুই সময়েই ব্যবহার করতে পারবেন।
ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে ভিটামিন সি সত্যিই জাদুকরী। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠবে। তাই সঠিক উপায়ে এটি আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন। পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন।
সূত্র- বোল্ডস্কাই
|
|
|
|
পান খেতে ভালোবাসেন, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। অনুষ্ঠান বাড়ির শেষে হোক বা দোকানে গিয়ে পান খেতে দেখা যায় অনেককেই। তবে পান শুধুই মুখশুদ্ধি নয়, এই পাতার এমন কিছু গুণ রয়েছে যা শরীর ভালো রাখতে পারে। এই পাতার মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে ট্যানিন, প্রোপেন, অ্যালকালয়েড, ফেনাইল ইত্যাদি। এবার এই সমস্যা যৌগ শরীর ভালো রাখতে পারে। এক্ষেত্রে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ব্যথাও কমাতে পারে এই যৌগ।
এ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইটে জানানো হয়, চিকিৎসকদের মতে, পান দূরে রাখতে পারে অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যাও।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, পান পাতার স্বাস্থ্যগুণ-
মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখে : পান পাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা মুখের দুর্গন্ধ, দাঁত হলুদ হওয়া, প্লাক এবং দাঁতের ক্ষয় হওয়া আটকায়। দুপুরের খাবারের পর পান চিবিয়ে খেলে মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ব্যথা, ফোলাভাব এবং ওরাল ইনফেকশনও দূর করতে পারে পান পাতা। পুষ্টিবিদদের মতে, পানে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করে।
শ্বাসতন্ত্রের জন্য উপকারী : সর্দি-কাশি সারাতেও পান বেশ উপকারী। আয়ুর্বেদে কাশি, ব্রঙ্কাইটিস এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের রোগের চিকিৎসায় পান ব্যবহৃত হয়। পান পাতা এই সব সমস্যায় খুব কার্যকর।
কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় : পান পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাওয়ার হাউস। যা শরীরে পিএইচ লেভেল স্বাভাবিক রাখে এবং পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে, যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তাদের জন্য পান খুব উপকারী। পান পাতা পিষে সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে পানিটা ছেঁকে খালি পেটে পান করুন।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে : পানে রয়েছে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক গুণ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পান রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে বাধা দেয়। টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীরা সকালে খালি পেটে পান পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
হজমে সাহায্য করে : পান খেলে হজম ভালো হয়। গ্যাস, অম্বলের সমস্যাও কমে। গ্যাসট্রিকের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা।
বাতের ব্যথা কমায় : পানে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য, যা হাড় এবং জয়েন্ট পেইন বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা থেকে স্বস্তি দেয়। আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিসের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা।
মানসিক চাপ কমায় : পান চিবিয়ে খেলে স্ট্রেস, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি মেলে। এটি শরীর ও মনকে রিল্যাক্স করে। ঘন ঘন মুড স্যুইং হওয়া আটকায়।
|
|
|
|
ব্লেন্ডার, নিঃসন্দেহে রান্নাঘরের একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। আজকাল মশলা পিষার কাজ এই ব্লেন্ডারই করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও, স্মুদি, স্যুপ এবং সস তৈরিতেও ব্লেন্ডার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু খাবার ব্লেন্ডার-বান্ধব নয়? এ সব খাবার ব্লেন্ড হওয়ার পরিবর্তে বিপর্যয় ঘটাতে পারে। তাই এ সব খাবার ব্লেন্ডারে দেওয়ার আগে ভেবে নিন।
আইসক্রিম
মিল্কশেক বানাতে আইসক্রিমের দরকার হয়। আর এই মজাদার পানীয়টি অনেকেই বাসায় বানিয়ে থাকেন। তবে আইসক্রিম ব্লেন্ডারে দেওয়ার আগে একটু ভেবে নিন। কারণ অতিরিক্ত ঠাণ্ডা ব্লেন্ডারের মোটরের ক্ষতি করতে পারে। ঘন জিনিস ভাঙতে আপনার মিক্সারকে লড়াই করতে হয়। তাই আইসক্রিম গলিয়ে ব্লেন্ড করুন।
কাঁচা আলু
আলু ব্লেন্ডারে দিলে এর স্বাদ হারায়। ব্লেন্ড করে কাঁচা আলু মিশ্রিত করলে এক ধরণের তিক্ত স্বাদ দেয়। তাই এটি সাধারণ ভাবেই রান্না করুন।
গরম পানীয়
গরম পানীয় ব্লেন্ডারে দেওয়া বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। ব্লেন্ডারে বাষ্প চাপ তৈরি করতে পারে। যার ফলে ঢাকনাটি বন্ধ হয়ে যায়। তাই ঠাণ্ডা করে এ সব পানীয় ব্লেন্ডারে দিন। অথবা গরম পানীয়র জন্য ডিজাইন করা ব্লেন্ডার ব্যবহার করুন।
মশলা
সাধারণ ব্লেন্ডারে মশলা ব্লেন্ড করতে যাবেন না। এতে ব্লেন্ডারের ব্লেডের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে, মশলা গ্রাইন্ডার বা মর্টার এবং পেস্টল নির্বাচন করুন।
শুকনো চাল
সরাসরি শুকনো চাল ব্লেন্ডারে দেবেন না। এতে ব্লেড নষ্ট হয়ে যায়। আপনার ব্লেন্ডার সময়ের সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।
শাকসবজি
তাজা এবং কোমল শাকসবজি ব্লেন্ডারে দিতে পারেন। এর সাথে অবশ্যই কিছু পানি ব্যবহার করবেন। এতে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি হবে। শক্ত শাকসবজি ব্লেন্ডারে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
শক্ত বীজ
এপ্রিকট বা চেরির মতো ফল ব্লেন্ড করার সময় সতর্ক থাকুন। এগুলোতে থাকা শক্ত বীজগুলো বের করে নিন। এসব বীজ ব্লেন্ডারের ব্লেডের ক্ষতি করতে পারে। তাই বীজ বের করে এগুলো ব্লেন্ড করুন।
অতিরিক্ত পাকা কলা
অতিরিক্ত পাকা কলা বেকিংয়ের জন্য দুর্দান্ত। কিন্তু স্মুদি বানাতে গেলে তা বেশি চটচটে হয়ে যায়। তাই ব্লেন্ডারে দেওয়ার আগে কলা কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে নিন।
কার্বনেটেড পানীয়
কার্বনেটেড পানীয়গুলো ব্লেন্ডারে দিলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে। আপনার রান্নাঘরের বিস্ফোরণ ঘটাবে। অতিরিক্ত সোডা থাকায় এমনটি হবে।
বাদামের মাখন
বাদামের মাখনগুলো সাধারণত ব্লেন্ডারেই বানানো হয়। তবে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কারণ মাখন বানানোর সময় গরম বাদাম গুঁড়ো করতে হয়। যা সাধারণ ব্লেন্ডারের জন্য উপযুক্ত না। এই কাজের জন্য একটি উন্নত মানের ফুড প্রসেসর ব্যবহার করুন।
সূত্র- বোল্ডস্কাই
|
|
|
|
ব্যাক পেইন বা পিঠে ব্যথা আজকাল সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি। অনেকেই পিঠের নীচের অংশে ব্যথা অনুভব করেন। অনেক সময় ভুল অবস্থানে বসে থাকার কারণেও পিঠে ব্যথা হয়। এ ছাড়া, শরীরে পুষ্টির অভাবের কারণেও জয়েন্টে ব্যথা করে। পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। এটি কেবল ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে না। বরং পেশীগুলোকেও শক্তিশালী করবে। তারা কিছু খাবারও খেতে বলেন। যেগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এ সব খাবার রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনি স্বাস্থ্যকর এবং ব্যথামুক্ত জীবন পাবেন।
ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
মাছ, বাদাম, আখরোট, ফ্লেক্স বীজ, চিয়া বীজ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার। এগুলো নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করুন। এ সব খাবার হাড় মজবুত রাখে। খাবারে অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন। যার ফলে আপনি পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার
খাবারে সীমিত পরিমাণে আদা, দারুচিনি ও লাল মরিচ ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো প্রদাহ কমাতে পারে। মশলার মধ্যে, হলুদ বেশ উপকারি। এতে কারকিউমিন নামক একটি যৌগ রয়েছে। এটি যে কোনও জয়েন্টের ব্যথার প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে, আদা এবং রসুনে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
শরীরে প্রোটিনের অভাবের কারণে ব্যথা অনুভব হতে পারে। এজন্য আপনার ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ডিম, দুধ, মসুর ডাল খান। এসব খাবার পেশী বিকাশে সহায়তা করে। পিঠে ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
সবুজ শাকসবজি
পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে, নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খান। ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং পালং শাক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এগুলো ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-কে সমৃদ্ধ। যা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। এ সব খাবারে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগও রয়েছে। যা জয়েন্টে ব্যথা এবং প্রদাহ সৃষ্টিকারী এনজাইমগুলোকে বাধা দেয়। গাজর, বিটরুট এবং কুমড়োর মতো শাকসবজিও বেছে নিতে পারেন। এগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা হাঁটু ও পিঠের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। সালাদ আকারে এসব সবজি খেতে পারেন।
ফল
আপেল, আনারস, বেরি, চেরি, আঙ্গুর এবং সাইট্রাস ফল খান। এগুলোতে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
|
|
|
|
অনেকের মতে, খালি পেটে ফল খেলে ক্ষতি হয়। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা সঠিক নয়। কিছু ফল প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এ সব ফল খালি পেটে খেলে বিপাকে সাহায্য করে। হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। সকালে এই ফলগুলো স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন। সুস্বাদু স্মুদি হিসেবেও পান করতে পারেন।
কলা
কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। অকাল বার্ধক্য রোধ করে। কলাতে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। পেট ফোলাভাব কমায়।
পেঁপে
পেঁপে ভিটামিন এ, সি এবং ই এর উৎস। এ সব উপাদান ত্বককে ফ্রি র্যা ডিকাল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। খালি পেটে পেঁপে খেলে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হয়।
কমলালেবু
কমলালেবু ভিটামিন সি তে ভরপুর। যা ত্বকের কোলাজেন উত্পাদন বাড়ায়। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে। অনেকেই মনে করেন, খালি পেটে এই ফল খাওয়া উচিত নয়। তবে কমলালেবু খালি পেটে খেলে ত্বকের বেশ উপকার করে।
আপেল
আপেলে ক্যালোরি কম থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাচনতন্ত্র পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। পরিষ্কার ত্বক বজায় রাখতে আপেল বেশ কার্যকর।
তরমুজ
তরমুজ হাইড্রেটিং ফল। এটি লাইকোপিন সমৃদ্ধ। যা আপনার ত্বককে সূর্যের ইউভি ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। খালি পেটে তরমুজ খেলে ত্বক সতেজ দেখায়।
তথ্যসূত্র : বোল্ডস্কাই
|
|
|
|
বয়স যখন ৩০ এর গোড়ায় পৌঁছায়, নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অভিজ্ঞতাটি আরও খারাপ। এই সময়ে এটি পরিচালনা করা একটি জটিল জিনিস। বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়ার কারণে, জটিলতা এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে আপনাকে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যতালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দেওয়া উচিত। যা ডায়াবেটিস মেলিটাস পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে। এতে আপনি শারীরিক ভাবে ফিট থাকতে পারবেন।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেজযুক্ত খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাডিটিভস, ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে। চিনিযুক্ত স্ন্যাকস, ক্যান্ডি, চিনিযুক্ত সিরিয়াল এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে।
চিনিযুক্ত পানীয়
সোডা, ফলের রস, এনার্জি ড্রিংকস এবং মিষ্টি যুক্ত চা বা কফি পান করা এড়ানো উচিত। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে তুলতে পারে। ক্যালোরি সরবরাহ করে।
স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্সফ্যাট
স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার, যেমন- মাংসের চর্বিযুক্ত খাবার, ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য এবং প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকস। এ সব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। ইনসুলিন সংবেদনশীলতাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
ভাজা খাবার
চিকেন ফ্রাই, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এবং ভাজা স্ন্যাকস ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ সব খাবারে চর্বি, সোডিয়াম এবং তেলের পরিমাণ বেশি থাকে। সহজেই ওজন বেড়ে যায়। ইনসুলিন প্রতিরোধ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট
সাদা রুটি বা সাদা চাল রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এর পরিবর্তে, গমের রুটি, বাদামী চাল এবং ওটসের মতো খাবার বেছে নিন।
অ্যালকোহল
অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন রক্তে শর্করার মাত্রা অস্থিতিশীল করতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
তথ্যসুত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
|
|
|
|
ত্বক ভালো রাখার জন্য খাবারের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না, ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর রাখার জন্য খেতে হবে প্রয়োজনীয় সব খাবার। পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি তাজা সবজি ও ফল খেতে হবে। সেসব ফলের মধ্যে অন্যতম হলো আমলকী। ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারী যৌগ থাকে আমলকীতে। যে কারণে প্রতিদিন এই ফল খেলে তা ত্বকে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। জেনে নিন প্রতিদিন আমলকি খেলে ত্বকে যেসব উপকার পাবেন-
ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে
আমলকী ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে এবং অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোলাজেন উৎপাদন করে
ভিটামিন সি কোলাজেন সংশ্লেষণের জন্য অপরিহার্য। কোলাজেন হলো এক ধরনের প্রোটিন যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং দৃঢ়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমলকী খেলে তা কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। যে কারণে স্বাস্থ্যকর এবং আরও সুন্দর ত্বক পাওয়া সহজ হয়।
পিগমেন্টেশন এবং দাগ কমায়
আমলকীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কালো দাগ, পিগমেন্টেশন এবং দাগ কমাতে সাহায্য করে। আমলকী নিয়মিত খেলে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়।
সূর্য থেকে সুরক্ষা
আমলকী থাকা ভিটামিন সি সূর্যের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে। যদিও এটি সানস্ক্রিনের বিকল্প নয়, তবে আমলকীর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্নির মাধ্যমে সৃষ্ট ত্বকের ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার অতিরিক্ত স্তর তৈরি করে।
আর্দ্রতা বজায় রাখে
আমলকীতে থাকে পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন এবং খনিজ যা ত্বকের হাইড্রেশন এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে কাজ করে। স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখার জন্য সঠিক হাইড্রেশন অপরিহার্য।
প্রদাহ কমায়
আমলকীতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বালা বা স্ফীত ত্বককে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। নিয়মিত আমলকী খেলে এক্ষেত্রে উপকারিতা পাবেন।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য
আমলকীতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যযুক্ত যৌগ রয়েছে যা ব্রণ-সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমায়। ফলে আপনার ত্বক থাকে পরিষ্কার ও দাগমুক্ত।
ডিটক্সিফিকেশন
আমলকী ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক স্বচ্ছ হয়। নিয়মিত আমলকি খেলে ত্বকের কোমলতা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
ক্ষত নিরাময়
আমলকীর ভিটামিন সি ক্ষত নিরাময় এবং টিস্যু মেরামতে ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত আমলকী খেলে তা স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে এবং নিরাময় প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে।
উজ্জ্বল ত্বক
আমলকীতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজের সংমিশ্রণ ত্বকের প্রাকৃতিক, স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতায় অবদান রাখতে পারে। এটি ত্বকের সামগ্রিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে পারে।
|
|
|
|
মধু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। সেই প্রাচীনকাল থেকে খাদ্য ও ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে মধু। সর্দি-কাশি থেকে বিভিন্ন রোগের সমাধানে মধুর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু জানেন কি ১ কেজি মধু সংগ্রহের জন্য ‘কতটা কাঠখড় পোহাতে হয়’ মৌমাছিদের? ১ কেজি মধুর জন্য কত ফুলে ঢুঁ মারতে হয় মৌমাছিদের? এর জন্য ঠিক ‘কতটা পথ পেরলে’ তবে ১ কেজি মধু সংগ্রহ হয়?
জেনে নিন এমন ১০ মজার তথ্য- পতঙ্গবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, ১ কেজি মধু সংগ্রহ করতে ১১০০ মৌমাছির প্রায় ৯০,০০০ মাইল পথ ঘুরতে হয়, যা চাদের কক্ষপথের দৈর্ঘ্যের প্রায় তিনগুণ!
ফুলের দিক থেকে হিসাব করলে দেখা যায় ১ কেজি মধু জমা করতে প্রায় ৪০,০০,০০০ ফুলের পরাগরেণু সংগ্রহ করতে হয় কর্মী মৌমাছিদের। অর্থাৎ, ৫০০ গ্রাম মধুর জন্য ২০ লক্ষ ফুলের পরাগরেণু লাগে।
সবকিছু ঠিক থাকলে এক মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা করে কর্মী বা শ্রমিক মৌমাছিরা। একটি শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছি তার সারা জীবনে মাত্র অর্ধেক চা চামচ মধু তৈরি করতে পারে।
একটি মৌচাকে একটি মাত্র রাণী মৌমাছি থাকে। তবে ওই চাকে আরও একাধিক স্ত্রী মৌমাছিকে ‘গোপনে’ লালন করে শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছিরা। যদি কোনও কারণে রাণী মৌমাছির মৃত্যু হয়, সে ক্ষেত্রে মৌচাকের পরবর্তী কর্তৃ সুনিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা।
রাণী মৌমাছি ছাড়াও চাকের আরও একাধিক স্ত্রী মৌমাছিকে লালন করে শ্রমিক বা কর্মী মৌমাছিরা। কিন্তু কেন এ ক্ষেত্রে বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা করে চলে শ্রমিক মৌমাছিরা।
একটি রাণী মৌমাছিকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে মৌচাক। যদি কোনও ডিম থেকে স্ত্রী মৌমাছির জন্ম হয়, তাহলে সেটিকে কর্মী মৌমাছিরা লুকিয়ে রাখে। কারণ, রাণী মৌমাছির নজরে পড়লে ওই শিশু স্ত্রী মৌমাছির মৃত্যু নিশ্চিত!
পরে শিশু স্ত্রী মৌমাছিটি বড় হলে তাকে লড়াই করে ওই মৌচাকের কর্তৃত্ব অর্জন করতে হয়। নয়তো আলাদা হয়ে পৃথক মৌচাক গড়ে তোলে ওই স্ত্রী মৌমাছিটি।
রাণী মৌমাছি পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ১৮-২০টা পুরুষ মৌমাছির সঙ্গে মিলিত হতে পারে! একে বলা হয় “দ্য মিটিং ফ্লাইট”। মিলনের পরেই পুরুষ মৌমাছি মারা যায়। এই জন্যই মৌমাছির মিলনকে “দ্য ড্রামাটিক সেক্সুয়াল সুইসাইড” বলা হয়।
|
|
|
|
শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হওয়া প্রয়োজন। মানবদেহের সমস্ত অংশে সঠিকভাবে রক্ত না পৌঁছলে একাধিক সমস্যা হতে পারে। তাই যেভাবেই হোক রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সচল রাখা প্রয়োজন। এর জন্য যেমন প্রতিদিন শরীরচর্চার প্রয়োজন রয়েছে তেমনই নজর দেওয়া প্রয়োজন খাওয়া-দাওয়ার দিকেও। বেশ কয়েকটি `সুপারফুড` রয়েছে যা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
জেনে নিন ৫টি সুপারফুডের নাম- বিটরুট: বিটরুট আপনি নানাভাবে খেতে পারেন। সবজি হিসেবে তরকারি মধ্যে হোক, সালাত হিসেবে কিংবা রস বা জুস করে বিটরুট খাওয়া যায়। বিটরুটের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট। এই উপকরণ মানবদেহে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে। আর তার ফলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় থাকে। অতএব আপনার মেনুতে যোগ করুন বিটরুট। কারণ এর মধ্যে রয়েছে আরও অনেক পুষ্টিগুণ।
বেদানা: বেদানার মধ্যে রয়েছে পলিফেনল অ্যান্টঅক্সিডেন্টস এবং নাইট্রেটস। এই দুই উপকরণ মানবশরীর রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই বেদানা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। এমনিতেও যারা রক্তাল্পতায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রেও এই ফল দারুণভাবে কাজে লাগে। কারণ বেদানা বা ডালিম খেতে পারলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে, শরীরে রক্ত হয়।
দারুচিনি: এই মশলার রয়েছে অনেক গুণ। দারুচিনির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। এর সাহায্যে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে। এর পাশাপাশি ব্লাড ভেসেলের ক্ষয়ও রোধ হয়।
সবুজ শাকজাতীয় পাতা বা সবজি: সবুজ শাকপাতা, সবজি খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়েই ভালো। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি আমাদের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে, চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। পালংশাক, কালে এই জাতীয় শাকের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট যা মাওবদেহের ব্লাড ভেসেল উন্মুক্ত করতে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই পালংশাকের রস করে খান। এ ছাড়াও সবজি হিসেবেও এই শাক রান্না করে খাওয়া যায়। খালি এই সবুজ শাকপাতা খাবার আগে তা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া প্রয়োজন।
রসুন: রসুনের মধ্যে থাকে সালফার জাতীয় উপাদান। অর্থাৎ এর মধ্যে থাকে allicin. এই উপকরণ মানবদেহে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বজায় রাখে। এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে সেটাও কমাতে সাহায্য করে রসুন।
|
|
|
|
ডেস্ক রিপাের্ট : দিন দিন দেশে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু । ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে চলতি বছর ৬১ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৯ জন, ঢাকার বাইরে ২৪৯ জন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডেঙ্গু থেকে মুক্তির সহজ উপায় নাগরিক সচেতনতা। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা সম্পর্কে জানতে হবে।
সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এভারকেয়ার হসপিটালসের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লিখছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার লেখাটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো-
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা: দেশে ডেঙ্গুজ্বরের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের বছরগুলোর তুলনায় মারাত্মক হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই জোর প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণত ডেঙ্গু বর্ষাকালের অসুখ । কিন্তু বর্তমানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।
গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে বাসাবাড়ি, আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যা কিনা এডিস মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ। সুতরাং বর্ষাকালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সবার সচেতনতা, সবার সহযোগিতা এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।
ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ: ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ২ ধরনের-ক্ল্যাসিক্যাল ও হেমোরেজিক আর যখন ডেঙ্গু তীব্র আকার ধারণ করে তখন তাকে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’ বলে। লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক-
ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বর: ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বরে শরীরে প্রচ- জ্বর (১০০-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত) সেসঙ্গে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে। এ ছাড়া মাংসপেশিতে ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ এবং রুচি কমে যায়। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে শরীরে ঘামাচির মতো লাল লাল র্যাশ দেখা দেয়।
ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর: ডেঙ্গুর জীবাণু শরীরের রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফলে রক্তের প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়ে যেমন- নাক মুখ, দাঁতের মাড়ি, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, প্রস্রাব-মলের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। অনেক সময় বুকে, পিঠে পানি চলে আসে এবং লিভার আক্রান্ত হয়ে জন্ডিস ইত্যাদি জটিলতা দেওয়া দেয়।
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম: ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহ রূপ ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’। হঠাৎ রোগীর রক্তচাপ কমে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, দ্রুত নাড়িস্পন্দন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। এমন হলে রোগী মারাও যেতে পারে।
কী করবেন: ডেঙ্গুজ্বরের কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ডেঙ্গুজ্বর ঠিক হয়ে যায়। মুখে খাওয়ার প্যারাসিটামল এবং বাচ্চাদের সিরাপ দিতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। যেমন- লেবুর শরবত, ফলের জুস, ডাবের পানি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। প্ল্যাটিলেট বাড়ে যেমন-কাঠ বাদাম, দই, গ্রিন টি, ব্রোকলি, পালং শাক, বেদানা খেতে হবে।
পাশাপাশি ওপরে উল্লেখিত সতর্কতামূলক লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রতিকার: মশার বংশবিস্তার রোধে বাড়ির আশপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না এবং চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল গাছের টব, ফুলদানি, পড়ে থাকা গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা, অব্যবহৃত কৌটা এবং ডাবের খোসা সরিয়ে ফেলতে হবে।
অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। তবে মশার কয়েল, স্প্রে অথবা মশা নিরোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করা যেতে পারে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে বাচ্চাদের ফুলহাতা জামা, মোজা এবং জুতা পরাতে হবে। জানালায় নেট ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু রোগীকে সবসময় মশারির ভিতরে রাখতে হবে, যাতে রোগীকে কোনো মশা কামড়াতে না পারে। অবহেলা না করে এ বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ কমই আছে। নানা ধরনের প্রচেষ্টার পরও এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি মেলে না অনেকের। আসলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসই এক্ষেত্রে মূল অপরাধী। একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে দেখুন আপনার খাবারের তালিকার দিকে। সেখানে হয়তো এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য দায়ী। আবার এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো খেলে বাঁচতে পারবেন এই সমস্যা থেকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই ৫টি খাবার সম্পর্কে-
আপেল
উপকারী একটি ফল হলো আপেল। সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকেরা প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে অন্য অনেক সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হবে। কারণ এই ফলে থাকে পর্যাপ্ত ফাইবার। এতে সহজে পেট পরিষ্কার হয়। নিয়মিত আপেল খেলে দ্রুতই উপকার পাবেন। তবে আপেল খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার বদলে খোসাসহ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
নাশপতি
আপেলের মতো নাশপতিও একটি উপকারী ফল। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে নিয়মিত এই ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এটিও ফাইবারে পূর্ণ। একটি মাঝারি আকৃতির নাশপতিতে থাকে ৫.৫ গ্রাম ফাইবার। তাই নিয়মিত এই ফল খেলে পেট পরিষ্কার হয় সহজেই। যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি খাবার হলো নাশপতি।
পালংশাক
অনেক গুণে ভরা পালংশাক। ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরা এই শাক। নিয়মিত পেট পরিষ্কার রাখতে এই শাক খেতে পারেন। পালং শাকে থাকে প্রচুর ডায়েটরি ফাইবার। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বিদায় হতে সময় লাগে না। এছাড়া এই শাকে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে। নিয়মিত পালংশাক খেলে উপকার পাবেন।
মিষ্টি আলু
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খেতে হবে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫০ গ্রাম মিষ্টি আলুতে প্রায় ৩.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। শরীরে ফাইবারের ঘাটতি পূরণে দারুণভাবে কাজ করে মিষ্টি আলু। পর্যাপ্ত ফাইবার থাকলে মল নরম হবে। যে কারণে পেট পরিষ্কার হবে সহজেই।
ডাল
প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো ডাল। তবে এই উপকারী উপাদানের পাশাপাশি ডালে আরও থাকে ফাইবার। তাই ডাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে ডাল খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে উপকার পাবেন।
|
|
|
|
খাসির মাংসের রেজালা খেতে কে না পছন্দ করেন? পোলাওয়ের সঙ্গে এই পদ থাকলে জমে বেশ। তবে সবাই এটি ঠিকভাবে রান্না করতে পারেন না। সঠিক রেসিপি জানা না থাকলে সঠিক স্বাদ আসবে না। তাতে রান্না করলেও মন ভরে খেতে পারবেন না। তাই সঠিক রেসিপি জেনে নেওয়া জরুরি। আজ চলুন জেনে নেওয়া যাক খাসির স্পেশাল রেজালা তৈরির সহজ রেসিপি-
তৈরি করতে যা লাগবে খাসির মাংস- ৫০০ গ্রাম আদা বাটা- আধা টেবিল চামচ রসুন বাটা- ১ চা চামচ পেঁয়াজ বাটা- সিকি কাপ হলুদের গুঁড়া- আধা চা চামচ মরিচের গুঁড়া- আধা চা চামচ জিরার গুঁড়া- আধা চা চামচ ধনিয়া গুঁড়া- আধা চা চামচ পোস্তদানা বাটা- আধা টেবিল চামচ তেল- সিকি কাপ ঘি- ১ টেবিল চামচ লবণ- স্বাদ অনুযায়ী কাঁচা মরিচ- ৮টি তেজ পাতা- ১টি দারুচিনি- ২ টুকরা এলাচ- ২টি দেশি পেঁয়াজ কুচি- আধা কাপ আলু- ৪টি কেওড়া জল- ১ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে তাতে দারুচিনি, এলাচ, তেজপাতা ও পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এরপর মাংস ও লবণ দিয়ে তা ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিন। মাংস ভাজা হলে তাতে পোস্তদানা বাটা ও জিরা বাদে অন্যান্য বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে এককাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন। আলুগুলো খোসা ছাড়িয়ে লম্বালম্বি মাঝখান থেকে কেটে ২ টুকরা করে দিন। পানি শুকিয়ে এলে আরও ১ থেকে দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে আলু এবং ৪টি কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে জিরা গুঁড়া ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন। আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। ঢাকনা খুলে প্রয়োজন হলে সামান্য পানি দিয়ে নেড়ে দিন। এরপর বাকি কাঁচা মরিচ ও কেওড়া দিয়ে হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস মজে তেল অল্প ছাড়লে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দমে রাখুন কিছুক্ষণ।
|
|
|
|
শরীরের বাড়তি ওজন ঝরাতে অনেকেই নিয়মিত ডায়েট করেন, জিমে যান, কমিয়ে দেন খাওযা দাওয়াও। বাইরের খাবার তো দূরের কথা, ঘরের চেনা খাবার খাওয়াও বন্ধ করে দেন অনেকে। কিন্তু অনেক সময় তাতেও কাজের কাজ হচ্ছে না।
পুষ্টিবিদের মতে, ওজন কমাতে খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই জরুরি। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে চাইলে বেশি করে খাওয়া দরকার। সেগুলো কী?
শসা ক্যালোরির পরিমাণ সবচেয়ে কম এই ফলে। নেই বললেই চলে। ওজন কমানোর লড়াইয়ে যখন নেমেছেন, দ্রুত সুফল পেতে শসা খেতে হবে। শসায় ফাইবার রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে শসা। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। সালাদ হিসেবে ছাড়াও শসা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ডিটক্স পানীয়। মেদ ঝরবে সহজেই।
লাউ ওজন কমাতে লাউয়ের রস খান অনেক অভিনেত্রীই। ওজন কমাতে সত্যিই সাহায্য করে লাউ। এই সব্জি শরীরে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলসের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানের জোগান দেয়। রোগা হওয়ার জন্য শরীরে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখা জরুরি। লাউয়ে পানির পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে লাউ খেলে শরীর আর্দ্র থাকে। তবে লাউ শুনলেই অনেকেরই মুখ বেজার হয়ে যায়। লাউ দিয়ে কিন্তু বানিয়ে নিতে পারেন সুস্বাদু স্যুপ কিংবা তরকারি। সালাদেও রাখতে পারেন এই সব্জি।
ভুট্টা ডায়েটে যে খাবারটি চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন, তা হলো ভুট্টা। ফাইবার আর উপকারী অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ ভুট্টা ওজন কমানোর জন্য আদর্শ খাবার। অফিসে কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে চানাচুর, চকলেটের বদলে কর্ন রাখতে পারেন। কর্ন সেদ্ধ করে লাদাদেও ব্যবহার করতে পারেন। আবার কর্ন স্যুপও বানিয়ে নিতে পারেন।
|
|
|
|
শরীর সুস্থ রাখতে যোগব্যায়াম বিশেষ উপকারী। দিনের যে কোনো সময়ই যোগাসন করা যায় বলে মত বিশেষজ্ঞদের। শরীর ও মন উভয়ই ভালো রাখে যোগব্যায়ামের অভ্যাস। যোগাসন মানসিক জড়তা ও অবসন্নভাব কাটাতে সাহায্য করে।
আজ আন্তর্জাতিক যোগ দিবস। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা করে পালন করা হয় দিবসটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, সকাল-সন্ধ্যা যে কোনো সময়ই যোগাসন করা সম্ভব।
খাওয়ার ৩-৪ ঘণ্টা পরে, হালকা খাবারের পরে, চা বা কফি পানের ৩০ মিনিট পরে ও পানি খাওয়ার ১০-১৫ মিনিট পরে যোগব্যায়াম করলে উপকৃত হবেন।
বেশ কয়েকটি যোগাসন আছে যেগুলোর মাধ্যমে রোগ অনুযায়ী সুস্থতা মেলে। অর্থাৎ ওই রোগ সারাতে নিয়মিত কয়েকটি নির্দিষ্ট যোগাসন করলে সারকে ওই সমস্যা। জেনে নিন কোন রোগ কমাতে কোন যোগব্যায়াম করবেন-
সিদ্ধাসন
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ জাতীয় সমস্যার মোকাবিলায় সিদ্ধাসন খুবই কার্যকরী। মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে ও ছাড়তে হবে। এই আসন করার মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। একই সঙ্গে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।
পবনমুক্তাসন
হজমের সমস্যা কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী যোগাসন হলো পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন। চিৎ হয়ে শুয়ে প্রথমে ডান পা ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে লাগাতে হবে। বাঁ পা তখন সোজা থাকবে।
এরপরে একইভাবে বাম পা ভাঁজ করে পেটে লাগাতে হবে। ডান পা তখন সোজা থাকবে। গ্যাস, অম্বল, হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যাদের রুচি নেই খাওয়ার, তাদেরও খিদে বাড়বে এই যোগাসনে।
পেলভিস ব্রিজ
হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য এই আসন করলে উপকার মিলবে। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজ করতে পারেন।
একইভাবে চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলা আবার নামানোকে পেলভিস ব্রিজ বলা হয়। হাঁটুর ব্যথা কমাতে এই যোগাসনটি বেশ কার্যকরী।
ভুজঙ্গাসন
দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার কারণে বা যেকোনো সময় কোমরে যন্ত্রণা হতে পারে। এমন সময় ব্যথা কমাতে ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। উপুড় হয়ে শুয়ে একটা পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন বা পবনমুক্তাসন করলেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।
অর্ধকূর্মাসন
পেট ও নিতম্বের অতিরিক্ত চর্বি নিয়ে অনেকেই বিব্রতবোধ করে থাকেন। এ সমস্যার সমাধান আছে অর্ধকূর্মাসনে। মাটিতে বজ্রাসনে বসে হাত দু’টি সোজা করে মাথার ওপরে তুলে নমস্কারের ভঙ্গিতে জড়ো করতে হবে।
এ সময় পেট ও বুক যেন উরুর সঙ্গে লেগে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। এ অবস্থায় মনেমনে ২০-৩০ পর্যন্ত গুনতে হবে। তারপর ধীরে ধীরে সোজা হয়ে বসে শবাসনে বিশ্রাম নিন।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
|
|
|
|
বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরে। তবে অনেকের বয়সের আগেই চুল পেকে যায়। মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এক্ষেত্রে বেশি দায়ী। বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে চুল ধীরে ধীরে সাদা হতে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায়ও এমনটাই উঠে এসেছে। চুলের অকালপক্কতা রোধে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসক।
অসময়ে চুল পাকে কেন?
* প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবে
* জিনগত কারণে
* হরমোনের তারতম্যের কারণে
* শারীরিক অসুস্থতার কারণে।
কোন ভিটামিনের অভাবে চুল অকালে পেকে যায়?
ভিটামিনের অভাবে অকালেই আপনার চুল পেকে যেতে পারে। ভিটামিন বি১২, ডি৩, ই, বায়োটিন অর্থাৎ ভিটামিন বি৭-এর অভাবে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কপার, আয়রন এবং জিংকের অভাবেও চুল অকালে পেকে যায়। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এমনটা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় জানা গেছে, ভিটামিন ১২ এর অভাব হলে ২৫ বছরের কম বয়সীদেরও চুল পেকে যেতে পারে।
কোন খাবার খাবেন?
শরীরে নির্দিষ্ট ভিটামিনগুলোর অভাবের কারণে চুল পেকে গেলে সেই সমস্যা সমাধানে সচেতন হতে হবে। অসময়ে চুলে পাক ধরলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন শরীরে সব ভিটামিনের মাত্রা ঠিক রয়েছে কি না। গবেষণায় দেখা গেছে, চুলের অকালপক্কতার পেছনে ভিটামিন ডি দায়ী হতে পারে। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে। ডিম, মাশরুম, মাছ, দুধ খাবেন। প্রতিদিন মিনিট বিশেক সূর্যালোক গায়ে মাখবেন। ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খাবেন। এতেও চুল ভালো থাকে। মাংস, ডিম, দুধ এবং মাছে প্রচুর ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
এই ২ ভিটামিন নিয়মিত খান
ভিটামিন বি৯ বা ফোলেট চুলের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিনের তালিকায় ফোলেট সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। বিন, সবুজ শুঁটি, শাক-সবজি, সাইট্রাস ফল নিয়মিত খান। ভিটামিন বি৫ যুক্ত খাবার যেমন সবুজ শাক-সবজি, মাশরুম, ইয়োগার্ট, ডিম, বিন, মাছ এবং মাংস ইত্যাদিও নিয়মিত খাবেন। চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে এসব ভিটামিন কার্যকরী।
|
|
|
|
গরম মানেই প্রয়োজন ঠান্ডা শরবত। আর এ সময় মৌসুমি ফল জামের শরবত পানের উত্তম সময়টি এখনই। কারণ ফলটি বাজারে পাওয়া যাবে খুবই সীমিত সময়ের জন্য। জেনে নিন জামের শরবত তৈরির রেসিপি।
জামের শরবত তৈরিতে যা লাগবে- এক কেজি পাকা জাম, দুই কাপ পানি, আধা কাপ চিনি, এক চা-চামচ জিরা, আধা চা চামচ মরিচ গুঁড়া, এক চা-চামচ লবণ, এক চা- চামচ বিট লবণ, এক চা-চামচ কালো গোলমরিচের গুঁড়া, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস।
প্রণালি :
একটি পাত্রে পানি ও জাম একসাথে নিয়ে ১৫ মিনিট জ্বালাতে হবে। এর মধ্যে জামের বিচি আলাদা হয়ে আসলে নামিয়ে ঠান্ডা করে জামের বিচি বেছে ফেলে দিতে হবে। এবার তৈরিকৃত জামের রস ব্লেন্ড করে পুনরায় পাত্রে ঢেলে এতে বিট লবণ, চিনি, জিরা গুঁড়া দিয়ে উচ্চতাপে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিতে হবে। এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করে কাঁচের বোতলে ঢেলে সংরক্ষণ করতে হবে। জামের এই রসটি এক মাস পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যাবে।
জামের শরবত বানাবেন যেভাবে :
জামের শরবত তৈরির সময় গ্লাসে বরফ, আধা চা-চামচ লেবুর রস, এক চিমটি গোল মরিচের গুঁড়া, আধা কাপ পানি ও তৈরিকৃত জামের রস একসাথে মেশাতে হবে জামের শরবত তৈরি হয়ে গেলে শরবতের ওপরে পুদিনা ও ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করতে হবে।
|
|
|
|
|
|
|