চুলে রং করার ঘরোয়া উপায়
চুলে রং করতে গিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারে, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, চুল উঠে আসে। রাসায়নিক রং করার পর থেকেই চুলের গোড়া শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কমে যায় চুলের ঘনত্ব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি করে এই রাসায়নিক। চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়, তাই সতর্ক করেন চিকিৎসকরাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল ভালো রাখতে খুব সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানাই যথেষ্ট।
কী কী সেই নিয়ম জেনে নিন—
দাঁড়চিনির সঙ্গে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিতে পারেন। এই দুটি মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চেষ্টা করুন প্রতিটি চুলের গোড়া অবধি যেনও পৌঁছতে পারে এই দাঁড়চিনি ও কন্ডিশনারের প্যাক। তবে এই প্যাক বানিয়ে চুলে দেওয়ার পর, এক থেকে দুই ঘণ্টা ধৈয্য ধরে বসুন, এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
বিটের টুকরোর সঙ্গে মধু এবং নারকেল তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন। পাকা চুল ঢাকতে বা রঙ করতে বিটের টুকরোর সঙ্গে হেনা মিশিয়েও দিতে পারেন।
লেবুর রসের সঙ্গে কন্ডিশনার ও সমান পরিমাণে পানি মিশিয়েও চুলে হাইলাইট করা সম্ভব।
|
চুলে রং করতে গিয়ে রাসায়নিক ব্যবহারে, চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, চুল উঠে আসে। রাসায়নিক রং করার পর থেকেই চুলের গোড়া শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। কমে যায় চুলের ঘনত্ব। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় ক্ষতির আশঙ্কাও তৈরি করে এই রাসায়নিক। চুলে রাসায়নিক ব্যবহার করলে ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়, তাই সতর্ক করেন চিকিৎসকরাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চুল ভালো রাখতে খুব সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানাই যথেষ্ট।
কী কী সেই নিয়ম জেনে নিন—
দাঁড়চিনির সঙ্গে কন্ডিশনার মিশিয়ে নিতে পারেন। এই দুটি মিশিয়ে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। চেষ্টা করুন প্রতিটি চুলের গোড়া অবধি যেনও পৌঁছতে পারে এই দাঁড়চিনি ও কন্ডিশনারের প্যাক। তবে এই প্যাক বানিয়ে চুলে দেওয়ার পর, এক থেকে দুই ঘণ্টা ধৈয্য ধরে বসুন, এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
বিটের টুকরোর সঙ্গে মধু এবং নারকেল তেল মিশিয়েও প্যাক তৈরি করতে পারেন। পাকা চুল ঢাকতে বা রঙ করতে বিটের টুকরোর সঙ্গে হেনা মিশিয়েও দিতে পারেন।
লেবুর রসের সঙ্গে কন্ডিশনার ও সমান পরিমাণে পানি মিশিয়েও চুলে হাইলাইট করা সম্ভব।
|
|
|
|
দিনের শুরুটা সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হওয়া জরুরি। কারণ এসময়টা সুন্দর হলে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পুরো দিনের ওপরেই। কথায় বলে, দিনটা কেমন যাবে তা সকাল দেখেই বলে দেওয়া যায়। সকালে আমরা যা খাই, তাও প্রভাব ফেলে আমাদের সারাদিনের সুস্থতায়। সকালের খাবার স্বাস্থ্যকর হলে শক্তি বৃদ্ধি করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ভালো হজমেও সহায়তা করে। অপরদিকে অস্বাস্থ্যকর বা ভুল খাবার সকালে খেলে তা উল্টো আচরণ করতে পারে। তাই সকালের খাবারে মনোযোগী হওয়া জরুরি। সকালে কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় পান করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. ডাবের পানি
ডাবের পানি কে না পছন্দ করে! এটি খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই পুষ্টিকর। তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন উপকার করে ডাবের পানি। এটি পেট প্রশমিত করে, ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে তা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে এবং পেটের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকালে ডাবের পানি হতে পারে স্বাস্থ্যকর পানীয়।
২. লেবু-পানি
সকালে লেবু-পানি পান করার উপকারিতার কথা অনেকেই জেনে থাকবেন। সেজন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো প্রথমে এক কাপ কুসুম গরম পানি নিয়ে তাতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এবার এই পানীয়তে চুমুক দিন। কিছুটা মিষ্টি স্বাদ পেতে চাইলে সামান্য মধু যোগ করতে পারেন। পানীয়টিতে ক্যালোরি কম। এটি হজমে সহায়তা করে, বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন সি এর ঘাটতি মেটাতে কাজ করে। তবে পুরোপুরি খালি পেটে এই পানীয় পান করবেন না। সেক্ষেত্রে লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড পাকস্থলীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
৩. গ্রিন টি
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকার করতে পারে গ্রিন টি। এটি বিপাক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। সেইসঙ্গে ওজন কমাতে সহায়ক হিসেবেও পরিচিত। গ্রিন টিতে ক্যাটচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা পেটের মেদ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে তাই আপনার পানীয় হিসেবে গ্রিন টি বেছে নিতে পারেন।
৪. ভেজিটেবল জুস
অনেকের কাছে এই জুস হয়তো খুব বেশি আকর্ষণীয় নয়, কিন্তু এর উপকারিতা অনন্য। সকালে যদি নিয়মিত ভেজিটেবল জুস পান করতে পারেন তাহলে নানাভাবে উপকার মিলবে। পালং শাক, সেলারি, শসার মতো তাজা সবজি ব্লেন্ড বা জুস করে লেবু বা আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পুষ্টি ও হাইড্রেশন দুটিই মিলবে।
|
|
|
|
বর্ষায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ বেড়ে যায়। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময় নিজেকে সুস্থ রাখাটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। ঋতু পরিবের্তনের জের ধরে এ সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। যার মধ্যে জ্বর-সর্দি-কাশি অন্যতম।
তাই যতটা সম্ভব এ মৌসুমে সাবধান থাকার বিকল্প নেই। বর্ষায় ছোট-বড় সবারই ডেঙ্গু কিংবা ম্যালেরিয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এর থেকে বাঁচতে হলে কী করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক-
বাড়ির জানলায় নেট লাগান বৃষ্টির সময়ে মশা-মাছি থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ বাড়ে। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে। বাড়ির জানলায় নেট লাগিয়ে মশা-মাছির প্রবেশ আটকান।
মশার ওষুধ স্প্রে করুন মশার ওষুধ স্প্রে করতে পারেন মাঝেমধ্যে। মশা তাড়ানোর তরল ওষুধ বা কয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। রাতে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
ফুল হাতা পোশাক ও প্যান্ট পরুন বাইরে বের হলে যতটা পারেন ঢাকা পোশাক পরুন। গলা, হাত বা শরীরের অন্য যে অংশ পোশাকে ঢাকা নেই, সেই অংশে মশা তাড়ানোর ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন বাড়ির চারপাশে মশা যাতে না জন্মাতে পারে, তার খেয়াল রাখুন। কোনো জায়গায় পানি জমে থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করুন। ছাদ বা বাগানে কোনও টব, বালতি বা খোলা পাত্রে যদি বৃষ্টির জল জমে থাকে, তা ফেলে দিন।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন জ্বর বা অন্য কোনো উপসর্গ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভাইরাল ফ্লু ঠেকাতে প্রতিষেধক নিতে পারেন। তবে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার মতো রোগের এখনো কোনো প্রতিষেধক বাজারে নেই। তাই সাবধান হতে হবে সবাইকে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
|
|
|
|
বর্তমানে আবহাওয়ার মন বোঝা খুবই মুশকিল। এমনকি গুগলে ওয়েদার আপডেট দেখে বের হলেও যে কোনো মুহূর্তে পড়তে হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যে। আবার সামনেই বর্ষাকাল। এ সময় পানি থেকে স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখা খুবই মুশকিল। তবে ফোনটিকে ওয়াটারপ্রুফ করা গেলে বড় সমস্যা থেকে বাঁচা সম্ভব।
কারণ স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশগুলো খুবই সংবেদনশীল এবং সেগুলোতে পানি ঢুকলে কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। তারপরে লোকেরা এই স্মার্টফোন মেরামত করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে, কারণ ফোনের যন্ত্রাংশগুলো খুবই ব্যয়বহুল।
এমন অবস্থায় ফোনে পানি যাওয়া বন্ধ করা খুবই জরুরি। কিন্তু সবার মনেই প্রশ্ন জাগে কীভাবে? চলুন এমন কয়েকটি উপায় জেনে নেওয়া যাক যার মাধ্যমে যে কেউ নিজেদের স্মার্টফোনকে ওয়াটার প্রুফ করে তুলতে পারেন।
ওয়াটার প্রুফ কেস বর্তমানে, ওয়াটার প্রুফিং কেস বাজারে পাওয়া যায়, যার সাহায্যে যে কেউ স্মার্টফোনে পানি আসা থেকে বন্ধ করতে পারে। এই কেসগুলো ডাস্ট প্রুফ এবং শক প্রুফ, যার কারণে ফোন পড়ে গেলেও সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও এটি সম্পূর্ণ বডির সুরক্ষার সঙ্গে আসে।
এই কেসগুলো স্মার্টফোনকে এমনভাবে সিল করে দেয়, যাতে এক ফোঁটা পানিও এতে প্রবেশ করতে না পারে। এক্ষেত্রে স্মার্টফোন সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকে। প্রতিটি স্মার্টফোনের আকার ভিন্ন, তাই এই কেসগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোনের জন্য বিভিন্ন আকারে আসে। গ্রাহকরা ই-কমার্স প্লাটফর্ম অ্যামাজন থেকে এগুলো কিনতে পারেন।
ওয়াটার প্রুফ পাউচ স্মার্টফোনে পানি প্রবেশ রোধ করার দ্বিতীয় সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান হলো ওয়াটার প্রুফ পাউচ। এগুলো ব্যবহার করাও বেশ সহজ। এর জন্য যা করতে হবে তা হল, নিজেদের স্মার্টফোনটি এই পাউচে রাখতে হবে এবং উপর থেকে এটি বন্ধ করে দিতে হবে।
এই পাউচগুলো বেশ স্বচ্ছ, তাই ফোন দেখতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কেউ চাইলে এই পাউচে নিজেদের মোবাইল ফোন রেখে পানির নিচে ফটোগ্রাফিও করতে পারে। এই পাউচে একটি স্ট্র্যাপ রয়েছে, যাত এটিকে ঝুলিয়ে রাখা যেতে পারে। এর ফলে নিজেদের ফোন ধরে রাখারও দরকার পড়ে না।
সূত্র: দ্য ইকোনোমিকস টাইমস
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক : পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, পারিপার্শ্বিক চাপ— সব সামলে বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ নারীই মা হচ্ছেন দেরি করে। দুই দশক আগেও যেখানে মেয়েরা ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম সন্তান ধারণ করতেন, এখন সেখানে সন্তান ধারণের গড় বয়স দাঁড়িয়েছে ৩৩-৩৫। কারও ক্ষেত্রে এই বয়স আরও বেশি। অনেকে এখন ৩৫ বছর বয়সের পরও মা হচ্ছেন। ফলে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
মা হওয়ার সিদ্ধান্ত যদি ৩৫ বছর বয়সের পর নেওয়া হয় তবে বেশ কিছু ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। কারণ সুস্থভাবে সন্তানধারণে বয়স একটি জরুরি ফ্যাক্টর।
ভারতীয় এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রকৃতির নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। ইউরোপ, আমেরিকার তুলনায় বাঙালি মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হয় অনেক আগে। অর্থাৎ তারা ঋতুমতী হয় ১০-১১ বছর বয়সেই। স্বাভাবিকভাবেই ফার্টাইল সময়টাও এগিয়ে আসে। ৩৫-এর পর গর্ভধারণকে সাধারণত ‘হাইরিস্ক প্রেগন্যান্সি’ হিসাবে গণ্য করা হয়। এই সময় গর্ভধারণের চান্স কমতে থাকে। আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। বয়স বাড়লে অ্যাবরশনের চান্সও বেড়ে যায়। হাইপার টেনশনের মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। নরমাল ডেলিভারি কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। ভরসা সেই সিজার। পরে যা নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে।
তিনি বলেন, সন্তানধারণের পরিকল্পনা শুরু করলেই প্রথমেই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন। প্রি-প্রেগন্যান্সি চেক-আপ করাতে হবে। হবু মায়ের কোনো শারীরিক সমস্যা আছে কি না জেনে নিন। স্বামী-স্ত্রীর থ্যালাসেমিয়ার মতো কোনো রোগ রয়েছে কি না, তা জানতে রক্তপরীক্ষা করানোও অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও হার্ট, ফুসফুস, লিভারের চেক-আপ করানো দরকার। ফলিক অ্যাসিড, রক্তাল্পতা থাকলে নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
শুধু তাই নয়, সন্তান আসার জন্য মাসের কোন সময় বা কতদিন অন্তর যৌন মিলন করা উচিত, সেটাও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার। কারণ, চাইলেই কয়েক মাসের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং তাড়াহুড়ো করা চলবে না। কোনো শারীরিক সমস্যা না থাকলে একমাসে গর্ভধারণের চান্স ৮%। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ধীরে সুস্থে এগোনোই ভালো।
স্ট্রেস গর্ভধারণের অন্যতম বাধা। ৪০-৪২ বছরে মা হতে চাইলে নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হবে। সন্তানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রয়োজনে প্রি প্রেগন্যান্সি কাউন্সেলিং করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, গর্ভধারণের আগে মানসিকভাবে মা হয়ে ওঠা দরকার। প্রি প্রেগন্যান্সি ডিপ্রেশন থাকলে পোস্ট পার্টাম ডিপ্রেশন আসা স্বাভাবিক। তবে তা চিকিৎসার মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বেশি বয়সে প্রেগন্যান্সির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক সমস্যা আছে কি না জানা, কাউন্সেলিং, ফার্টাইল টাইম জানা, প্রয়োজনে ওষুধ, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সবটাই হয় চিকিৎসকের পরামর্শে। বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে তার দেখভালটা হয় অন্যরকম। ডবল মার্কার, এনটি স্ক্যানের মতো পরীক্ষা প্রয়োজন। সন্তানের কোনো জিনগত, জন্মগত ত্রুটি আছে কি না জানা দরকার। ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত কি না পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া দরকার। মা সম্পূর্ণ সুস্থ কি না দেখে নিতে হবে। মায়ের হার্টের অবস্থা জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পরামর্শ নিয়ে এগোলে গোটা জার্নিটা মসৃণ ও সমস্যাহীন হয়।
|
|
|
|
মাত্রাতিরিক্ত চা পান অজান্তেই আপনার শরীরে বড় ধরনের ক্ষতি করছে। কোষ্ঠকাঠিন্য, হৃদরোগ এমনকি প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত চা পানে।
আসুন জেনে নেই অতিরিক্ত চা পানে কী কী ক্ষতি হতে পারে-
১. চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফেইন একদিকে যেমন চাঙা করে তোলে, তেমনই অতিরিক্ত চা খেলে বাড়ে উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ আর শারীরিক অস্থিরতা।
২. রাত ৮টার পর চা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এতে করে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ঘুমে।
৩. চায়ে থাকা থিওফাইলিন নামের রাসায়নিক পরিপাকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বাধা দান করে। তাই বেশি চা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বদহজমও হতে পারে।
৪. অনেকে ডাক্তারই গর্ভাবস্থায় চা বা কফি বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ, চায়ে থাকা ক্যাফেইন গর্ভস্থ শিশুর জন্য ক্ষতিকারক হিসেবে ধরা হয়। খুব ইচ্ছে বা চায়ের নেশা থাকলে দিনে ১ বার চা বা কফি খাওয়া চলতে পারে।
৫. হার্টের সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব কম চা খাওয়াই ভালো।
৬. অনেকেই আবার দাবি করে থাকেন যে, অতিরিক্ত মাত্রায় চা খেলে পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সার বা মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
|
|
|
|
সাধের বাইকটিকে নিয়ে প্রতিদিন কর্মস্থলে না কাজে যাচ্ছেন। এছাড়া যখন ইচ্ছা পাহাড় কিংবা সমুদ্রের পথে ছুটে যাচ্ছে বাইকটি সঙ্গী করে। কিন্তু শখের বাইকটির নিয়মিত যত্ন নিচ্ছেন কি? বছরের পর বছর বাইকটি ভালো রাখতে অবশ্যই বাইকের যত্ন করতে হবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ৪ বিষয়ে খেয়াল রাখলে শখের বাইকটি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে পারবেন-
১. সবার আগে ইঞ্জিন ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট দিন অন্তর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা ভীষণ প্রয়োজন।
২. নিয়মিত বাইক সার্ভিস এবং ব্রেক-সু এর মতো ছোট ছোট জিনিসের ওপর নজর রাখতে হবে। সময় মতো এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ইঞ্জিনে খুব ছোটখাটো গাড়ির সাউন্ডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. ইঞ্জিনে সামান্য কিছু সাউন্ড দেখা দিলে দ্রুত মেকানিকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময় বাইক সার্ভিস করা প্রয়োজন। যে কোনো গাড়ি ঠিক রাখতে হলে সঠিক সার্ভিসের প্রয়োজন।
৪. বাইকের ইঞ্জিন অয়েল সঠিক সময়ে অর্থাৎ (২-৩০০০ কিলোমিটার মধ্যে) পরিবর্তন করা উচিত। একইসঙ্গে ব্রেক-সু রিপ্লেসমেন্ট, ১২ হাজারের মধ্যে এয়ার ফিল্টার চেঞ্জ করতে হবে।
সূত্র: নিউজ১৮
|
|
|
|
সুস্থ থাকার জন্য ফুসফুস ভালো রাখার বিকল্প নেই। কারণ এই ফুসফুস আমাদের রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এদিকে প্রতিনিয়ত ধুলো, ধোঁয়া আর দূষণের পরিমাণ বাড়তে থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের ফুসফুস। এসবের ফলে ফুসফুসে ইনফেকশনও দেখা দিতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের কিছু খাবার ফুসফুসের সুস্থতায় কাজ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে-
হলুদ
হলুদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী একটি ভেষজ। এই মসলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। যে কারণে নিয়মিত হলুদ খেলে তা ফুসফুসের অভ্যন্তরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি ফুসফুসকে সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে। রান্নায় হলুদ ব্যবহারের পাশাপাশি হলুদ চা কিংবা হলুদ মেশানো দুধও খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।
কুমড়া বীজ
কুমড়ার বীজের গুণ সম্পর্কে আমরা বেশিরভাগই জানি না। এর রয়েছে ঔষধি গুণ। এই বীজ আমাদের ফুসফুস সুস্থ রাখতেও খুবই কার্যকরী। কুমড়ার বীজে থাকে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন, জিক্সানথিন। এই উপাদানগুলো ফুসফুসের অভ্যন্তরীণ প্রদাহ কমাতে এবং হাঁপানিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। তাই কুমড়ার বীজ যুক্ত করুন আপনার খাবারের তালিকায়। এতে ফুসফুস ভালো রাখা সহজ হবে।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকাম বর্তমানে আমাদের দেশেও বেশ সহজলভ্য। সুস্বাদু এই সবজি বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। নিয়মিত ক্যাপসিকাম খেলে তা ফুসফুসকে সুস্থ রাখে। সেইসঙ্গে ঝুঁকি দূর করে হাঁপানি বা ফুসফুসের অন্যান্য রোগেরও।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-এর উপকারিতার কথা সম্পর্কে জানা আছে নিশ্চয়ই? দিনে অন্তত এককাপ গ্রিন টি খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ এটি আমাদের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দারুণ কার্যকরী। ফুসফুস ভালো রাখতে কাজ করে গ্রিন টি। এই চায়ের রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ফুসফুসে প্রদাহ কমায়। গ্রিন টিয়ে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
বিটরুট
উপকারী সবজির তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে বিটরুটের নাম। এই সবজি আমাদের ফুসফুসকে বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে। বিটরুটে থাকে নাইট্রেট নামক একটি বিশেষ উপাদান, যা আমাদের রক্তনালীকে সুস্থ রাখে এবং সেইসঙ্গে ফুসফুসকেও শক্তিশালী করে। বিটরুট খেলে তা পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকেও দূরে রাখে এই সবজি।
|
|
|
|
গ্রীষ্মকালে তাপ মানুষের স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। ডিহাইড্রেশন, হিট র্যাশ থেকে শুরু করে অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দিতে পারে এসময়। গর্ভবতী নারীদের জন্য পরিস্থিতি আরও গুরুতর হতে পারে। এসময় তাই গর্ভবতী নারীকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, গর্ভবতী নারীর ক্ষেত্রে গর্ভবতী নন এমন নারীর তুলনায় তাড়াতাড়ি ক্লান্তি, হিট স্ট্রোক বা অন্যান্য তাপ-সম্পর্কিত অসুস্থতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর কারণ হলো গর্ভবতী নারীর শরীর এবং বিকাশমান শিশু উভয়কেই ঠান্ডা করার জন্য তাদের শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
এছাড়াও, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের প্রবণতা বেশি, যার ফলে তৃষ্ণা বৃদ্ধি, গলা শুকিয়ে যাওয়া, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, প্রস্রাব না হওয়া, জ্বর, বিরক্তি এবং ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে যদি একজন গর্ভবতী নারীর শরীরের তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে ওঠে, তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কিছুটা বেড়ে যেতে পারে। সিডিসি অনুসারে, কিছু ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং গর্ভাবস্থায় জ্বর জন্মগত ত্রুটি এবং অন্যান্য গর্ভাবস্থার জটিলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) ২০২০ সালে প্রকাশিত একটি পর্যালোচনায় বলা হয়েয়ে, উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে থাকা নারীদের অকাল প্রসব এবং মৃত সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গবেষকরা দেখেছেন যে তাপমাত্রায় প্রতি ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির জন্য, অকাল প্রসবের সম্ভাবনা ৫% বেড়ে যায় এবং তাপপ্রবাহের সময় এই ঝুঁকিটি ১৬% বেড়ে যায়। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে মৃত সন্তানের জন্মের ঝুঁকিও কিছুটা বেড়েছে, গবেষণায় যেমনটা উল্লেখ করা হয়েছে।
গর্ভবতী নারীরা হিট ওয়েভ প্রতিরোধে যা করবেন
* ঢিলেঢালা এবং সুতির পোশাক পরুন।
* প্রখর রোদে ভ্রমণ বা হাঁটা এড়িয়ে চলুন।
* সাদা ছাতা সঙ্গে রাখুন এবং বাইরে যেতে হলে হালকা পোশাক পরুন।
* প্রচুর পানি, ডাবের পানি, তাজা ফলের রস, মৌসুমি ফল, বাটার মিল্ক এবং দই পান করে হাইড্রেটেড থাকুন।
* ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখুন।
* উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
তাপপ্রবাহ অপ্রত্যাশিত এবং কখনও কখনও অনিবার্যও। যদিও যে কেউ এটি দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে, তবে গর্ভবতী নারীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করা হয়। গর্ভবতী নারীদের উচ্চ তাপমাত্রার সময় বাইরে যাওয়া এড়াতে হবে। শরীরকে ঠান্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসময় ঢিলেঢালা এবং আরামদায়ক পোশাক পরলে তা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।
|
|
|
|
গরমের সময়ে দই খেলে পাওয়া যায় বাড়তি প্রশান্তি। লাচ্ছি কিংবা বোরহানি বলুন, কিংবা শেষপাতে মিষ্টি দই এসময় অনেকেই খেয়ে থাকেন। তাপমাত্রায় এই তীব্রতায় এ ধরনের খাবার সত্যিই প্রশান্তি জোগায়। দই খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতাও। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি -২, ভিটামিন বি -১২, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে দইয়ে। তবে এই দইয়ের সঙ্গে কয়েকটি খাবার খাওয়া যাবে না। কোন খাবারগুলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
মাছ
গরমের দিনে মাংসের চাইতে বেশি মাছটাই খাওয়া হয়ে থাকে। এসময় রুই-কাতলার মতো মাছ খাওয়া হয় বেশি। অনেকে দই দিয়ে মাছও রান্না করছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছের সঙ্গে দই খাওয়া চলবে না। কারণ এই দুই প্রোটিন একসঙ্গে পেটে গেলে বাঁধতে পারে বিপত্তি। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। মাছ খাওয়ার সময় বা পরপরই দই খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
আম
গরমের সময়ের অন্যতম আকর্ষণ হলো পাকা আম। এসময় অনেকে দইয়ের সঙ্গে আম চটকে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু এমনটা করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা এই দুই খাবার একসঙ্গে খেতে নিষেধ করছেন। কারণ আম ও দই একসঙ্গে খাওয়া শরীরের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে থাকে অ্যালার্জির ভয়। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা হওয়ার ভয় আছে তারা আগেভাগেই এড়িয়ে চলবেন।
পেঁয়াজ
খাবারের সঙ্গে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার অভ্যাস বাঙালির পুরোনো। সালাদ কিংবা রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে থাকেই। কিন্তু আপনি যদি দইয়ের সঙ্গে পেঁয়াজ খেয়ে থাকেন তবে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী নাও হতে পারে। তাই রায়তা তৈরিতে পেঁয়াজটা বাদ দিয়ে দিন। কারণ এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে দেখা দিতে পারে অ্যালার্জি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ভাজাপোড়া
ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার খাওয়া এমনিতেই উপকারী নয়, এর সঙ্গে দই যোগ করে খেলে তা আরও বেশি অপকারী হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাজাপোড়ার সঙ্গে দই খাওয়া এড়িয়ে চলাই উত্তম। তাই কখনোই এই দুই খাবার একসঙ্গে বা পরপর খাবেন না। দই খেতে হলে এসব খাওয়ার পর আধা ঘণ্টার মতো বিরতি নিয়ে তবেই খান।
|
|
|
|
চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দেশজুড়ে অনুভূতি হচ্ছে অসহ্য গরম। বেলা বাড়লে বাড়ির বাইরে টেকাই এখন মুশকিল। এই সময় রোদে বের হলেই যে সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায়, তা হলো মাইগ্রেন। বর্তমানে কর্মজীবনের সঙ্গে জড়িত কমবেশি সবাই। আর এই সময় অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে।
গরমে এই সমস্যা আরও বাড়ে। ওষুধ না নিলেই যে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ে, এমন ধারণা ভুল। তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্ক হওয়া উচিত। গরমে মাইগ্রেন বাড়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। নিজের কোনো ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? জেনে নিন কোন কোন অভ্যাসের কারণে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ঘুমে অনিয়ম
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। অবশ্য গরমে সেই ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তাই একান্তই না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান। এমনকি, দিনের পর দিন রাত জাগলে ঘুম কম হয়, এতেও মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে।
অত্যাধিক চিনি খাওয়া
আপনার যদি মাইগ্রেনের সমস্যা থাকে তবে চিনি আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। গরমে আমরা সবাই বাজারজাত ঠান্ডা পানীয় খেয়ে থাকি। যা একেবারেই ভালো নয়। কারণ, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাও বাড়তে পারে।
দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা
গরমে আমাদের খাওয়ায় অনীহা হয়ে থাকে। কিছু খেতেই ইচ্ছা করে না। এই সময় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর টুকটাক কিছু খেতে থাকুন। তবে, তা স্বাস্থ্যকর হতে হবে। দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিকের প্রকোপ শুরু হয়। মাইগ্রেন টেনে আনতে গ্যাস্ট্রিকেও দায়ী করা হয়। তাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এড়াতে পেট খালি না রাখাই উচিত। সময়ে সময়ে জল খেতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।
শরীরে পানির ঘাটতি
গরমের দিনে এমনিতেই ডিহাইড্রেশন সমস্যা হয়। তাই এই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা থেকেও কিন্তু মাইগ্রেন হতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই সঙ্গে জল রাখুন। জল ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পানীয় যেমন ডাবের জল, টাটকা ফলের রস খেতে পারেন। তবে সোডাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকানো
অনেকেই একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে বিরতি না নিলে কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়বে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে একটু চোখে-মুখে পানির ঝাপটা দিন। বারবার বসার জায়গা থেকে একটু উঠে হাঁটুন।
কীভাবে মাইগ্রেন প্রতিরোধ করবেন
১. মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির পাশাপাশি তরল পান করতে হবে। যেমন, ডাবের পানি, আখের রস ও টাটকা ফলের রস ইত্যাদি।
২. প্রয়োজন ছাড়া রোদে বের হবেন না। তবে খুব দরকারে বের হলে টুপি এবং ছাতা ব্যবহার করতে হবে। এমনকি, সানগ্লাসও ব্যবহার করতে হবে।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম মাইগ্রেন প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
৪. পাশাপাশি মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপজনিত মাথাব্যথা কমাতে ভূমিকা রাখে।
|
|
|
|
তীব্র গরম কেবল অস্বস্তিদায়ক অনুভূতিই দেয় না, এটি বাড়িয়ে দেয় হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও। গত কয়েক বছর ধরে এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হচ্ছে তাপপ্রবাহ। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে। তাই এই সময়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। গবেষকরা বলছেন, বিগত পঞ্চাশ বছরে সতের হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন হিট স্ট্রোকের কারণে। এ ধরনের আবহাওয়ায় বেলা এগারোটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় বাইরে বের হলে শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। সেখান থেকেই বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণ
* যখন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ গরম বাতাস ও সূর্যের আলোতে থাকে, তার মুখ ও মাথা দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো ও গরম বাতাসের সংস্পর্শে এসে সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
* হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে। হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা বেড়ে যায়।
* হিট স্ট্রোকে ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপ শরীর থেকে বের হতে পারে না। শরীরে ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে এবং দুর্বলতা বাড়তে থাকে।
* হিট স্ট্রোক এলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘুরতে শুরু করে। ব্যক্তি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তার মানসিক অবস্থাও প্রভাবিত হয়।
* হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীর গরম এবং লাল হয়ে উঠবে কিন্তু ঘাম হবে না। সেইসঙ্গে হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বাড়তে থাকবে।
কেউ যদি দীর্ঘ সময় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকেন তবে তিনি হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। হিট স্ট্রোকের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাপপ্রবাহের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্ক, কিডনি, লিভার, হার্ট এবং পেশী। বেশিরভাগ ব্যক্তির ক্ষেত্রে এটি কিডনিকে প্রভাবিত করে। পানির অভাবে কিডনি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। যে কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোকের কারণে রোগীর অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সচেতন হওয়া জরুরি।
সুস্থ থাকবেন যেভাবে
গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার জন্য আপনাকে বেশি করে পানি পান করতে হবে। সেইসঙ্গে পান করতে হবে বেশি করে ফলের রস এবং ওরস্যালাইন। তবে দিনে দুটির বেশি স্যালাইন পান করবেন না। ওরস্যালাইন তৈরির আগে প্যাকেটের গায়ে লেখা নির্দেশনা মেনে তবেই তৈরি করুন। শসা, তরমুজ ও ডালিম খাবেন নিয়মিত। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় গরমে থাকা এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন তুলনামূলক শীতল তাপমাত্রায় থাকার। পোশাক হিসেবে সুতির ঢিলেঢালা জামা ব্যবহার করুন।
|
|
|
|
বৈশাখের এই গরমে বেশিরভাগ বাড়িতেই অল্প তেল, মসলা যুক্ত খাবার রান্না করা হয়। আর এ তালিকায় লাউ অথবা লাউয়ের খোসা বাটাও রান্না হয়। গরমের দিনে দুপুরের ভাতপাতে সেই লাউ রান্না হাপুশ-হুপুশ করে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। তবে, জানেন কি এই লাউয়ের খোসা দিয়ে ত্বকেও উজ্জ্বলতা আনা যায়। গরমের দিনে রোদে পুড়ে ত্বকে খুব সহজেই ট্যান পড়ে যায়। আবার গরমের মধ্যে খুব সহজেই আসে ক্লান্তি। এই পরিস্থিতিতে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ কাটিয়ে উজ্জ্বলতা আনতে আর ট্যানের সমস্যা কাটাতে লাউয়ের খোসা কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন।
দেখে নিন লাউয়ের খোসা দিয়ে রূপ চর্চার কিছু টিপস-
উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে- গরমের দিনে মুখে চোখে সহজেই ক্লান্তির ছাপ পড়ে। সেক্ষেত্রে ত্বককে সজীব রাখতে সাহায্য করে লাউয়ের খোসা। এছাড়াও উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে লাউয়ের খোসা দিয়ে বানাতে পারেন একটি মিক্স। যা আপনাকে সহায়তা করবে। লাল চন্দনের সঙ্গে লাউয়ের খোসা বেটে নিয়ে তার মিশ্রণ বানান। মুখে লাগিয়ে তা ১০ মিনিট পর ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এইটি করলে মিলবে সুফল।
ট্যানিং থেকে বাঁচতে- গরমের রোদে ট্যানিং থেকে বাঁচতে লাউয়ের খোসা দিতে পারে অনেক উপকার। লাউয়ের খোসা শুধু মুখে ঘষে নিতে পারেন। এছাড়াও তা ব্লেন্ডারে দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তারপর তা ধুয়ে ফেলুন।
দাগ ছোপ দূর করতে- ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে লাউয়ের খোসা দারুন উপকারী। খোসা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। সেই পেস্ট গোসলের আগে মেখে নিন। তবে মুখ এক্ষেত্রে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতেই মুখ থেকে সরে যাবে দাগ ছোপ।
|
|
|
|
এটি একটি সাধারণ বিশ্বাস যে ওজন কমানো মানে ডায়েট করা। তবে এটি পুরোপুরি সত্যি নয়। এটা বোঝা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে ওজন কমানোর জন্য এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন গড়ে তোলে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। আপনার লাইফস্টাইলের পরিবর্তনগুলোই আপনার ওজন কমানো নিশ্চিত করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ওজন কমানোর গোপন উপায়-
১. পরিমাণ বুঝে খান
বুদ্ধিমানেরা খাবারের পরিমাণ বুঝে খায়। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। সব সময় অল্প খাবার দিয়ে শুরু করবেন এবং প্রয়োজনে আরেকটু যোগ করবেন। শুরুতে খুব তাড়াতাড়ি খাবেন না কারণ এতে অতিরিক্ত খাওয়া হতে পারে। বাইরে খাওয়ার পরিকল্পনা করলে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ এড়াতে এক বাটি সালাদ বা সবজি দিয়ে শুরু করুন। শাক-সবজিতে রয়েছে ফাইবার যা আপনাকে একবারে বেশি খাওয়া থেকে বিরত রাখবে।
২. কোনো বেলার খাবার এড়িয়ে যাবেন না
আমরা অনেকেই বিশ্বাস করি যে কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে সহজেই ওজন কমাতে পারবো। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। খাবার বাদ দিলে তা শরীরকে ক্ষুধার্ত করে এবং যা শেষ পর্যন্ত চর্বি কোষ জমার কারণ হয়। এছাড়া কোনো বেলার খাবার বাদ দিলে পরবর্তী খাবারের সময় অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, যা ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। অল্প এবং ঘন ঘন খাবার খান। স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বেছে নিন যাতে বিপাক বৃদ্ধি পায়, আপনি পরিতৃপ্ত হন এবং শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
পানি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখতে সাহায্য করে যার ফলস্বরূপ অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। নিজেকে সব সময় হাইড্রেটেড রাখুন। এতে বার বার ক্ষুধা লাগার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। সেইসঙ্গে মিলবে আরও অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন।
৪. নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না
আপনার অবশ্যই ২৫-৩০ মিনিট হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো শারীরিক কার্যকলাপে ব্যয় করা উচিত। যদি জিমে যেতে না পারেন তবে বাড়িতেই চেষ্টা করুন। হাঁটুন বা যোগব্যায়াম করুন। শুধু তাই নয়, আপনি আপনার প্রিয় খেলা যেমন টেনিস, ব্যাডমিন্টন বা ক্রিকেটও খেলতে পারেন। যা আপনাকে ফিট এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
|
|
|
|
তীব্র তাপদাহ চৈত্রের শেষে গ্রীষ্মের আগমনী জানান দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ জুড়ে বইছে লু হাওয়া। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্র কিছুটা কম থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। বলা হয় একটা ভ্যাপসা গরম বইছে। যদিও সারাদিনই সূর্যের সঙ্গে মেঘের লুকোচুরি খেলা চলে। এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। জানুন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে সুস্থ থাকার উপায়।
মনে রাখবেন, তীব্র দাবদাহে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। আর এই অসুখ কিন্তু মেডিক্যাল ইর্মার্জেন্সি। তাই সচেতন হওয়া ছাড়়া আমাদের হাতে আর কোনও গতি নেই।
হিট স্ট্রোক কী?
গ্রীষ্মের দিনে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। অনেকক্ষণ তীব্র রোদে থাকার কারণে এই সমস্যা হয়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পেরে।
এই অসুখে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। নইলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। তাই দেরি না করে এই অসুখের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কৌশল জেনে নেওয়া দরকার।
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
১. শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায়। এই সময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে ২. আক্রান্ত অদ্ভুত ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাঁর খিঁচুনি হতে পারে ৩. খুব ঘাম হয় ৪. বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে ৫. দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস ৬. হার্টরেট বেড়ে যায় ৭. মাথা ব্যথা হয় 8. আক্রান্ত সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন
এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হিট স্ট্রোক কেন হয়?
এই অসুখ মূলত খুব গরমে থাকার জন্য হয়। তাই যারা গরমের সময় একান্তই বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন, তারা সতর্ক হন। আসলে আবহাওয়া উতপ্ত হলে শরীর নিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তখন এই জটিলতা তৈরি হয়।
এছাড়া যারা এই গরমে খুব পরিশ্রম করছেন, এক্সারসাইজ করছেন, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই দুপুরের দিকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে যেতে হবে।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়
১. হালকা জামাকাপড় পরতে হবে ২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন ৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে ৩. বাইরে বেশি সময় না কাটানোই ভালো ৪. খুব সকালে বা রাতের দিকে বাইরের কাজ সেরে ফেলুন, ৫. ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন ৬. ইউরিনের রঙের দিকে নজর রাখুন, তা হলুদ বা গাঢ় রঙের হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান ৭. কফি, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে দূরে কাটাতে হবে।
হিট স্ট্রোক এড়াতে ঘরোয়া টোটকা
১. প্রচুর পানি পান করুন ২.প্রয়োজন দেশি ফলের শরবত খান ৩.খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরেই থাকুন ৪.ক্ষেত-খামারে, মাঠে কাজ করতে হলে ছাতা ব্যবহার করুন ৫. পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেতে পারেন ৬. রোদ থেকে এলে মুখে পানির ঝাপটা দিন ৭. গরমে প্রশান্তি পেতে ডাবের পানি, অ্যালেভেরার রস, তেঁতুলের শরবত, পুদিনা পাতার শরবত পান করুন ৮. ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চর্বি বা বেশি মিষ্টিজাতীয় পরিহার করুন
|
|
|
|
পবিত্র রমজানে নিজের সুস্থতা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসময় অসুস্থ হলে আপনার পক্ষে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে। যেহেতু এই এক মাসের খাদ্যাভ্যাস অন্যান্য মাসের মতো নয়, তাই এসময় খাবারের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে। সারাদিন রোজা রাখার কারণে ইফতারে আপনার নানা পদের মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছা হতেই পারে, কিন্তু সুস্থতার দিকে নজর দেওয়া সবার আগে জরুরি। তাই এমন সব খাবারই বেছে নিতে হবে যেগুলো আপনাকে সুস্থ রাখতে কাজ করবে। সেইসঙ্গে মেনে চলতে হবে কিছু বিষয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হাইড্রেটেড থাকুন
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে প্রচুর পানি দিয়ে আপনার রোজা শুরু এবং শেষ করুন। অর্থাৎ সাহরি ও ইফতারে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। সারাদিন হাইড্রেশনের মাত্রা বজায় রাখতে ইফতারের পর থেকে সাহরির সময় পর্যন্ত তরমুজ, শসা এবং স্যুপের মতো হাইড্রেটিং খাবার খান।
সুষম খাবার
ভারসাম্যপূর্ণ খাবার বেছে নিন। জটিল কার্বোহাইড্রেট, চর্বিহীন প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার শক্তির মাত্রা বজায় রাখতে এবং রোজার সময় তৃপ্তি বাড়াতে কাজ করে। হজমের অস্বস্তি রোধ করতে ইফতারের সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া বা চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
পুষ্টিকর সাহরি
সাহরিতে পুষ্টিকর খাবার খান। ওটস, দানা শস্য, ডিম এবং দইয়ের মতো ধীর-হজমকারী খাবার খান। এতে সারাদিন শক্তি থাকবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন, কারণ এ ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে রোজার সময় তৃষ্ণা ও পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
পরিমিত ব্যায়াম
রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, মেজাজ ভালো রাখতে এবং পেশীর ভর বজায় রাখতে রোজা ভাঙার পর হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করতে পারেন। হাঁটা, যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিংয়ের মতো কাজগুলো বেছে নিন। শক্তি সংরক্ষণের জন্য রোজা থেকে কঠোর ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।
ধীরে ধীরে চিবিয়ে, প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ করে এবং পেট ভরে খাবার খান। পেট ভরে গেলেও চোখের ক্ষুধায় আরও খেয়ে ফেলবেন না। সাহরি এবং ইফতার, দুই সময়েই এদিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন।
পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার
ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পর্যাপ্ত গ্রহণ নিশ্চিত করতে আপনার খাবারে বিভিন্ন পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। যেমন ফল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ এবং লেবু। খাবারকে আকর্ষণীয় এবং তৃপ্তিদায়ক রাখতে ভিন্ন ভিন্ন রান্না তৈরি করতে পারেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা
রমজান মাসে খাদ্যজনিত অসুস্থতা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত হাত ধোয়া, সঠিক খাদ্য খাওয়া, এবং খাবার তৈরির স্থান ও পাত্র পরিষ্কার করা সহ ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন বজায় রাখুন।
স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ
মানসিক সুস্থতা বাড়াতে এবং কর্টিসলের মাত্রা কমাতে গভীর শ্বাস, ধ্যান, প্রার্থনা এবং প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কৌশলগুলোকে অগ্রাধিকার দিন, যা ক্ষুধা এবং হজমকে প্রভাবিত করতে পারে।
|
|
|
|
|
|
|