বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু অমর একুশে বইমেলা   * মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা   * ভারতের উপদেশ অগ্রহণযোগ্য, নসিহতের দরকার নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা   * প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ছাড়াল সাড়ে ৪ লাখ   * বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ মিশন নিয়োজিত করেছে ইইউ   * ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ৫৯ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার   * প্রাথমিকের শতভাগ পাঠ্যবইয়ের কাজ শেষ   * সপ্তাহ জুড়ে শৈত্যপ্রবাহের কবলে পঞ্চগড়   * আরও পাঁচ দেশের ওপর ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা   * মেগাসিটির চ্যালেঞ্জ ও সমাধান: তুরস্কে ‘আপনার কণ্ঠস্বর’ প্রদর্শিত  

   রাজনীতি
বিরোধী ছাত্র গণ-অভ্যুত্থানে জেনারেল এরশাদ ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগ ৯০ এর মহানায়ক আমান উল্লাহ আমান
  Date : 15-05-2025

মিয়া আবদুল হান্নান : সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য এর আন্দোলনের সাথে দেশের জনগণ সম্পৃক্ত হলে তা গণ আন্দোলন থেকে গণ অভ্যুত্থানে রুপ নেয় । সেই গণ অভ্যুত্থানে জেনারেল এরশাদ ৪ ডিসেম্বর পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং ৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন । দীর্ঘ ৯ বৎসর পরিচালিত আন্দোলন ১৯৯০ এ এসে গণ আন্দোলনের রুপ নেয় । সেই গণ আন্দোলনে এরশাদ পদত্যাগ করেছিল । ইতিহাসে তা ১৯৯০`র আন্দোলন হিসেবে পরিচিত ।

ছাত্র সমাজের ভেতর তখন একটা প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা ছিল স্বৈরশাসক হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত ছাত্র সংগঠনগুলো একই মঞ্চে আসুক। একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়েও মানুষের মধ্যে একটা আকৃতি ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, প্রত্যাশা ছিল সব গণতান্ত্রিক জাতীয় রাজনৈতিক দল, যারা এরশাদ শাসনের অবসান চায়, যারা গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়, যারা গণতান্ত্রিক সরকার চায়, যারা জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চায়, তারা সবাই একই মঞ্চে আসুক। কিন্তু এই জায়গাটায় সব ছাত্র সংগঠনকে একই মঞ্চে আনা, জাতীয় অঙ্গনের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের একই মঞ্চে আনা, একমাত্র বাধা ছিল মূলত আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ।

জাতীয় পর্যায়ের নেতারা কোনোদিনই একই মঞ্চে আসতে পারেননি। দুই নেত্রী কোনো সময়ই একই মঞ্চে ওঠেননি। কিন্তু মনে রাখবেন, দুই নেত্রীর একই মঞ্চে আসার দিন-ক্ষণ ঠিক হয়েছিল। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার লালদীঘির ময়দানে একটি জনসভা ছিল। সেই জনসভায় স্বৈরাচারের দোসররা অতর্কিত গুলি ও হামলা চালায়। এতে ৩৪ জন সাধারণ মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে পরের দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটা প্রতিবাদস্বরূপ মৌন মিছিলের আয়োজন করে তৎকালীন ছাত্র-জনতা। জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও দুই জোটের নেতৃবৃন্দসহ জাতীয় অঙ্গনের সব নেতাকে ওই মিছিলে অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়েছিল। চট্টগ্রামের এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে হবে এবং একসঙ্গে সবাই মিলে প্রতিবাদ করতে হবে।

নকাইর গণ-অভ্যুত্থান ও কিছু কথা ১২৩ জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার ফলে একটি সংহতিমূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পরের দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব জাতীয় নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলো। সেই অনুযায়ী পরের দিন শহীদ মিনারে মৌন মিছিলের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো। আমরা দেখলাম বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে আসলেন, ড. কামাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আসলেন। কিন্তু শেখ হাসিনা ওই মৌন মিছিলে আসলেন না। শেখ হাসিনা কখনো চাননি, একটি ভেরি ইন্টারেস্টিং বিষয় ছিল শেখ হাসিনার মূল বিষয় ছিল, `এরশাদ হটাও` এটা তার মূল টার্গেট ছিল না। তার মূল টার্গেট ছিল বিএনপিকে রাজনীতির মাঠ থেকে বিদায় করতে হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করতে হবে। বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারলে একদিকে থাকবে এরশাদ-অন্যদিকে আওয়ামী লীগ। বিএনপিকে কোনো জায়গা দেওয়া যাবে না। কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। এটা ছিল শেখ হাসিনার আগাগোড়া মনস্তাত্ত্বিক একটা সিদ্ধান্ত। সেই জন্য এরশাদ চট্টগ্রামে এতটা নারকীয় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করলো, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে একটি শোক মিছিল হবে, দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সেই প্রতিবাদী মৌন মিছিলটি ডিক্লেয়ার করার পরও শেখ হাসিনা শহীদ মিনারে আসলেন না। জাতীয় ছাত্র অঙ্গনেও অনেক সময় চেষ্টা করা হয়েছে, একসঙ্গে আন্দোলন করার জন্য। বর্ধিত বাসভাড়ার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক একজন ছাত্রনেতাকে হত্যার প্রতিবাদে, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি সংগঠন একসঙ্গে প্রতিবাদ করলাম। মূলত ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আমরা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিতাম। বিশেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্তৃক ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত মিছিল-মিটিংসহ আন্দোলনের মধ্যে থাকতাম।
দুই-একদিন পরেই ছাত্রলীগের একঘেয়েমি সিদ্ধান্তের কারণে সেই আন্দোলনটি কন্টিনিউ করা গেলো না, এই বিষয়ের আন্দোলনটি শেষ হয়ে সেল। বাসভাড়া বৃদ্ধির কারণে আমরা একটা বিবৃতি তৈরি করলাম। এরশাদ হটাও আন্দোলনটাকে আমরা খুব মিস করছি। আমরা মনে করছি যে।

(নব্বইর - গণঅভ্যুত্থান ও কিছু কথা বই থেকে)
চলমান- ১৭



  
  সর্বশেষ
সিটিস্ক্যানে মস্তিষ্কের ‘ইসকেমিয়া’ বেড়েছে, হাদির অবস্থা এখনও সংকটজনক
রমজান-ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আরব আমিরাত
ইন্ডিয়া বেজার হবে বলে অনেক রাজনীতিবিদ মুখে তালা দিয়ে রাখে: হাসনাত
২০ ফেব্রুয়ারি শুরু অমর একুশে বইমেলা



প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২৪১০৭০৯৯৬ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪

Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]