নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, জামায়াত আমিরের কড়া প্রতিক্রিয়া
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শনিবার (১৯ এপ্রিল) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সেখানে ৪৩৩টি প্রস্তাব বা সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। এরমধ্যে কিছু সুপারিশ দেখে বিস্মিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার (২০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই বিস্ময়ের কথা তুলে ধারেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। তাদের সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্মিত। ‘দেশে যখন নৈতিকতার অভাবে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে উক্ত সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে তা সমাজকে অনিশ্চয়তা ও চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিবে।’
জামায়াত আমির আরও লিখেছে, কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মূল্যবোধকে তছনছ করে দিবে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করবে।
|
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শনিবার (১৯ এপ্রিল) প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। সেখানে ৪৩৩টি প্রস্তাব বা সুপারিশ দিয়েছে কমিশন। এরমধ্যে কিছু সুপারিশ দেখে বিস্মিত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রোববার (২০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এই বিস্ময়ের কথা তুলে ধারেন তিনি।
ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, গতকাল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। তাদের সুপারিশকৃত রিপোর্ট দেখে বিস্মিত। ‘দেশে যখন নৈতিকতার অভাবে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক এবং পারিবারিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, সেই প্রেক্ষাপটে নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে সামাজিক শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পরিবর্তে উক্ত সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে তা সমাজকে অনিশ্চয়তা ও চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিবে।’
জামায়াত আমির আরও লিখেছে, কতিপয় সুপারিশ কোরআন এবং হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মূল্যবোধকে তছনছ করে দিবে। বাংলাদেশের জনগণ এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করবে।
|
|
|
|
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে খোলা চিঠি দিয়েছেন আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই খোলা চিঠি দেন তিনি।
আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে চিঠিতে তিনি লিখেছেন—
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা,
আমি বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক ও সাধারণ মুসলিম হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে ইসলাম ধর্ম, মহান আল্লাহ ও তার প্রেরিত রাসূল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছে। একের পর এক এ ধরনের ঘটনা দেখে একে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত, দুরভিসন্ধিমূলক, অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।
বিশেষভাবে পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির একজন সদস্যের বিরুদ্ধে জনগণের ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের ক্ষেত্রে তার বিতর্কিত ভূমিকা জনমনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সাম্প্রতিক আপত্তিকর ও উস্কানিমূলক ফেসবুক পোস্ট আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
একই ধরনের কর্মকাণ্ড পৌনঃপুনিক হওয়ায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে যৌক্তিক ক্ষোভ, তীব্র অসন্তোষ ও হতাশা বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের স্ফূরণ ঘটলে দেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। সেরকম অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আন্তরিকভাবে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা আশু কর্তব্য। এ ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে তা জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে দেবে।
সব সমাজেরই কিছু আদর্শ ও মূল্যবোধ থাকে। তা রক্ষা করা, তাকে সম্মানের চোখে দেখা, নিদেনপক্ষে তাকে অবজ্ঞা না করাই সামাজিক রীতি এবং সাংবিধানিক কর্তব্য। বাংলাদেশের এক শ্রেণির মানুষ প্রতিনিয়ত এর উল্টোটাই করে চলেছে। এ কারণে এ দেশে বারবার অস্থিরতা তৈরি হয়। নতুন বাংলাদেশে এর পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আমরা প্রত্যাশা করি।
বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আবু সাঈদসহ অভ্যুত্থানের শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক। এই বিপ্লবে ইসলামপ্রিয় মানুষদের আত্মত্যাগ ও ভূমিকা ছিল মুখ্য। ইসলাম ধর্মের সাম্যের বাণী তাদেরকে আন্দোলনের প্রেরণা যুগিয়েছে। এজন্য এই সরকারের প্রতি ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা অনেক। আশা করি—সরকার জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে, মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হবে, সরকার এরকম পদক্ষেপই গ্রহণ করবে, যা দেখে মানুষ সরকারের প্রতি আস্থা ধরে রাখতে পারবে। মানুষ যদি দেখে তাদের আবেগ-অনুভূতিতে নিয়মিত আঘাত করা হচ্ছে, জন-প্রত্যাশাকে পদদলিত করা হচ্ছে, অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে জনগণকে উস্কে দেয়া হচ্ছে কিন্তু সরকার তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না—তাহলে তারা সরকারের প্রতি আস্থা হারাবে। দেশের মানুষ যদি সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারায়, তাহলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। অতএব সময় থাকতেই এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব প্রয়োজন।
আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে প্রত্যাশা করি—সরকার জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিকে শ্রদ্ধা করবে, ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, ধর্ম অবমাননার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে সরকারি কোনো প্রকল্পে যুক্ত করবে না, যুক্ত করে থাকলে বরখাস্তপূর্বক শাস্তির আওতায় আনবে এবং এ ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হিসেবে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে আইন প্রণয়ন করবে।
অতএব, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ—অনতিবিলম্বে এই ধরনের কটূক্তি ও অবমাননাকর কর্মকাণ্ড বন্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং দেশবাসীকে এই মর্মে আশ্বস্ত করুন যে, তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রক্ষায় সরকার সম্পূর্ণভাবে সচেষ্ট থাকবে।
মহান আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুন এবং আপনাকে জাতির সেবায় নিয়োজিত রাখুন।
|
|
|
|
ডা. তাসনিম জারা। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন কন্টেন্টের মাধ্যমে ফেসবুকে জনপ্রিয়তা অর্জন করা তরুণ চিকিৎসক। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির স্বাস্থ্য পলিসি ও অ্যাডভোকেসি সেলের সম্পাদক। সংগঠনটিতে নাম লেখানোর পর থেকেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চলছে তাকে নিয়ে। এবার এসব অপপ্রচারের জবাব দিতে মুখ খুলেছেন তাসনিম জারা নিজেই।
তিনি বলেছেন, আমি কখনোই শিবির বা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এমনকি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানাও আমার চাচি নন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজের ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন ডা. তাসনিম জারা।
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, আমি কখনোই শিবির করিনি। এমনকি আমি অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না।
নিজেকে জড়িয়ে আরেকটি গুজবের জবাবে স্ট্যাটাসে তাসনিম জারা লিখেন, পাইলস, যৌনরোগ, মোটা বা চিকন হওয়া সংক্রান্ত কোনো প্রোডাক্ট আমি অনলাইনে বিক্রি করি না। আমার ছবি ব্যবহার করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ ও একটি মহল আমাকে নিয়ে কতগুলো রিডিকিউলাস (হাস্যকর) মিথ্যা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে সত্য হলো, উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আমার চাচি বা চাচাতো বোন নয়।
|
|
|
|
অসম বয়সে বিয়ের কারণে বহুল আলোচিত-সমালোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জি
পিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিশা। এতে খুশি হয়ে মুশতাক বললেন ‘অভিনন্দন হুররাম’।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ফল প্রকাশিত হলে তিশার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মুশতাককে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।
মুশতাক বলেন, ‘আমার হুররামকে অভিনন্দন। আপনারা জানেন আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে এবং আমাদের জীবনের অনেক চড়াই উতরাইয়ের পরেও তিশা বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। তাই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে অভিনন্দন।’
তিশা বলেন, ‘রেজাল্টের মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার আগে শেষ দুই মাস অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। এটা যদিও নতুন কিছু নয়; আমার কাছে মনে হয়েছে, হ্যাঁ আমিতো এটাই পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন অনেক ধন্যবাদ।’
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
|
|
|
|
আবারও মঞ্চ মাতাতে ঢাকা আসছেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম। আগামী ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে তার।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিল্পীদের নিয়ে ‘ম্যাজিক্যাল নাইট ২.০’ কনসার্টটি আয়োজন করছে ট্রিপল টাইম কমিউনিকেশন। প্রতিষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে আতিফের গাওয়া ‘কুচ ইস তারহা’ গানের মিউজিক শেয়ার করে এই কনসার্ট আয়োজনের কথা জানায়। পরে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকায় আতিফের গাওয়ার বিষয়টি জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
এর আগেও কয়েকবার ঢাকা এসেছেন আতিফ। গত এপ্রিলে রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মঞ্চ মাতিয়ে যান তিনি। ৭ মাসের মধ্যে আবারও ঢাকায় পা রাখতে যাচ্ছেন এই গায়ক।
আগামী ২৯ নভেম্বর বিকেল ৫টার দিকে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হবে ‘ম্যাজিকাল নাইট ২.০’ কনসার্ট। দর্শকের জন্য গেট খুলে দেওয়া হবে বেলা ১টার দিকে। কবে থেকে এই কনসার্টের টিকিট পাওয়া যাবে, তা এখনও জানায়নি আয়োজক প্রতিষ্ঠান।
‘আদাত’, ‘ও লামহে ও বাতে’, ‘তেরে বিন’- এর মতো জনপ্রিয় কিছু গান দিয়ে বাংলাদেশের শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন আতিফ আসলাম।
২০০২ সালে পাকিস্তানে বন্ধুদের নিয়ে ‘জাল’ নামে একটি ব্যান্ড করেছিলেন আতিফ, সেই ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘জাল পরি’ প্রকাশের পর রাতারাতি পরিচিতি পান তিনি। অ্যালবামের ‘ভিগি ইয়াদিন’, ‘মাহি ভে’, ‘আখন সে’ ও ‘জাল পরি’ গানগুলো পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে ভারতেও আলোচিত হয়।
তবে ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ গানই বলিউডের করেছেন তিনি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে তাকেসহ একাধিক পাকিস্তানি শিল্পীকে কয়েকবার বলিউড থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
|
|
|
|
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে আজ মঙ্গলবার। এ বছর পাসের হার ৭৭.৭৮ শতাংশ। এ ছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পরামর্শ দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। যারা খারাপ ফল করেছে তাদের হতাশ না হওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘যারা এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল পেয়েছেন, তাদের অভিনন্দন! আপনার পরিশ্রমকে উদযাপন করুন এবং ভবিষ্যতে আরও বড় স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যান।’
যারা আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তাদের জন্য শুভকামনা জানিয়ে মেহজাবীন বলেন, ‘যারা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল পাননি, হতাশ হবেন না। এটি কেবল একটি অধ্যায়, সামনে আরও অনেক সুযোগ অপেক্ষা করছে। বিশ্বাস রাখুন, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যান, সফলতা আপনার হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন শুরু হয়ে এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে বাকি পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাতিল পরীক্ষাগুলোর নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
|
|
|
|
অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক এনায়েত উল্ল্যাহ সৈয়দ। যিনি শিপুল সৈয়দ নামে শোবিজে পরিচিত। সময়ের ব্যস্ততম অভিনেতা শিপুল সৈয়দ বাভাসি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-২০২৪ এর বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত-সিঙ্গাপুর (বাভাসি) ত্রিদেশীয় উদ্যোগে আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসব দেশ ও দেশের বাহির থেকে এ পর্যন্ত ১৫৩টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। জুরি বোর্ডের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ১৫৩ থেকে ৫০টি বাছাই করা হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ডের ৫০টি চলচ্চিত্র থেকে ১০টি চলচ্চিত্র বাছাই করা হবে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য।
এ প্রসঙ্গে শিপুল সৈয়দ বলেন, আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩-২০২৪ সবগুলো রাউন্ডেই বিচারক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার জন্য অনেক সম্মানের। একজন পরিচালক হিসাবে বিষয়টি আমার কাছে গর্বেরও বটে।
শিপুল সৈয়দ আরও বলেন, ‘বিচারক হিসেবে আমার ওপর কর্তৃপক্ষ আস্থা রাখার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং দায়িত্ব পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’
বাভাসি চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শ্রেষ্ট চিত্রনাট্যকার, নির্মাতা, শিল্পী, চিত্রগ্রাহক, রূপসজ্জা, শিল্প নির্দেশক, সম্পাদনা ও আবহ-সংগীতের ওপর মেধা যাচাই-বাছাই করে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্ধারণ করা হবে। কর্মের যোগ্যতা অনুযায়ি নতুনদের প্রতিভা বিকাশের সেই সুযোগটি প্রতিবছর করে দিচ্ছে বাভাসি।
এই প্রত্যয়ে আন্তর্জাতিক বাভাসি চলচ্চিত্র উৎস প্রতিবছর আয়োজন করে আসছে। ৭ বছর পেরিয়ে ৮ বছরে পর্দাপণ করলো বাভাসি, সত্যি একটি মাইলফলক ও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো বাভাসি। এখান থেকে পূর্বে যারা বিজয়ী হয়ে বের হয়েছে তারা বর্তমানে মিডিয়াতে ভালো পারফর্ম করছে এবং তাদের নিজ মেধায় এগিয়ে যাচ্ছে।
|
|
|
|
বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। বি-টাউনের পাশাপাশি হলিউডেও নাম লিখিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন প্রশংসাও। তবে এখন আর চাইলেও তিনি হলিউডে কাজ করতে পারবেন না। সম্প্রতি অভিনেত্রী কারিনা কাপুর খানের শোতে এসে এমনটাই জানান আলিয়া। খবর : মিরচি প্লাস
২০২৩ সালে মুক্তি পায় আলিয়া অভিনীত সিনোমা ‘হার্ট অব স্টোন’। এ সিনেমার শুটিং যখন চলছিল তখনই অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন এই নায়িকা। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে জন্ম হয় আলিয়া-রণবীরের কন্যা রাহার। সন্তান জন্মের পর তেমন একটা বিরতি নেননি আলিয়া। এর মধ্যেই মুক্তি পেয়েছে তার নতুন সিনেমা ‘জিগরা’।
সেই সিনেমার প্রচারে এসে তিনি জানালেন, যখন তখন হলিউডে কাজ করতে চলে যাওয়া এখন আর তার পক্ষে সম্ভব নয়।
আলিয়া বলেন, ‘হলিউডে কাজ করার বিষয়ে আমি সবসময়ই আগ্রহী। তবে এখন আগের মতো চাইলেই আমি চলে যেতে পারব না। কারণ এখন রাহা আছে। তাই চাইলেও এ মুহূর্তে ব্যাগ গুছিয়ে তিন-চার মাসের জন্য শুটিংয়ে চলে যাওয়াটা কঠিন। এখন আর এভাবে দীর্ঘদিন বাইরে থাকতেও পারব না।’
এরপর হলিউড প্রসঙ্গে আলিয়া আরও বলেন, হলিউডের প্রোজেক্টগুলোতে অনেক সময় লাগে, তারা হুটহাট কোনো কাজ করে না। তাই আপাতত হলিউডের কাজ করা নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।
যদিও এর আগে মেয়েকে দেখাশোনার বিষয়ে রণবীর কাপুর কতটা পারদর্শী সে কথা জানিয়েছিলেন আলিয়া। এমনকি রণবীর নিজেও জানিয়েছিলেন, তারা দুজনে একসঙ্গে কাজে যান না। একজন কাজে গেলে অন্যজন মেয়ের কাছে থাকার চেষ্টা করেন। তাই মেয়ের জন্যই আপাতত হলিউড নিয়ে ভাবছেন না এই নায়িকা।
এদিকে আলিয়া অভিনীত ‘জিগরা’ মুক্তি পেয়েছে ১১ অক্টোবর। সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব একটা সুবিধা করতে পারছে না। ভাসান বালা পরিচালিত ‘জিগরা’ প্রথম দিনে ভারতে ৪.২৫ কোটি আয় করে।
|
|
|
|
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবটি নানানভাবে উদযাপন করেছে দেশের তারকারা। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। তবে দুর্গোৎসব এলে একাকীত্ব ভর করে ঢালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ওপর। মাকে মনে পড়ে তার। কেননা মা-ই তার সব ছিল।
অপু বিশ্বাস বলেন, মা নেই বলে পূজা এলে মনটা কালো মেঘের মতো অন্ধকার হয়ে যায়। নিজেকে খুব একা লাগে। মায়ের জন্য আজকের আমি। তার ভালোবাসা, আদর ও অনুপ্রেরণা ছিল বলেই এতদূর আসতে পেরেছি। সেই মা নেই। তাকে ছাড়া পূজার আনন্দ কোনোদিন হবে না। মাকে প্রতিদিনই মনে পড়ে। তবে, পূজার সময় বেশি মনে পড়ে।
পূজা কীভাবে কাটালেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিয়েছি। পূজা ট্র্যাডিশনাল একটি বিষয়। তাই সাজপোশাকে ট্র্যাডিশনাল বিষয়টি ছিল। পূজার বিকেলগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। জয়কে নিয়ে এবার অনেক আনন্দ করার চেষ্টা করেছি। ওকে নিয়েই ছিল এবারের সব পরিকল্পনা। এ ছাড়া পূজায় পরিবারের সদস্যদের সুন্দর সুন্দর উপহার দিচ্ছি। নিজেও পূজার উপহার পাচ্ছি।
এদিকে সম্প্রতি উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন অপু। প্রথম ধাপে গণমাধ্যমকর্মী ও চলচ্চিত্র নির্মাতাদের অতিথি করেছেন অনুষ্ঠানে। অপুর নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পাবে সেসব অনুষ্ঠান।
|
|
|
|
শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবটি উদযাপনে ব্যস্ত রয়েছে দেশের তারকারাও। ব্যতিক্রম নন মডেল ও অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। এবার দুর্গাপূজা ঘিরে ভিন্ন সাজে ধরা দিচ্ছেন এই নায়িকা। এর আগে দেবীর অবতারে নিজেকে ধরা দিয়ে ভক্তদের চমকেও দেন। এবার তার পরিকল্পনা কী, কীভাবে কাটাবেন, তা জানালেন তিনি।
পূজা আসলেই নিজের মতো করে সাজতে পছন্দ করেন মিম। ষষ্ঠী থেকে দশমী, পূজার একেক দিনে একেক রকম পোশাক পরেন। এবারের পূজার পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমে মিম জানালেন, পরিবার নিয়ে ঢাকার মন্দিরে মন্দিরেই ঘুরবেন তিনি। মিমের কথায়, ‘ঢাকাতেই বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে বেড়াব। ইচ্ছা আছে সবগুলো মন্দির দেখার। বাইরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
বাইরে না যাওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কারণ ও বর্তমানের যানজটকে দুষলেন মিম। বললেন, ‘আমি আসলে এবার কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা করিনি। কারণ, পূজার পরপরই মাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে দেশের বাইরে যেতে হবে। এ ছাড়াও রাস্তাঘাটে বেশ যানজট থাকায় স্বল্প সময়ের জন্যও কোথাও যেতে চাচ্ছি না। তাই এবার পরিকল্পনা ঢাকাকে ঘিরেই।’
ছোট বেলার পূজার স্মৃতি নিয়ে মিম বলেন, ‘ছোট বেলায় অনেক আনন্দ করতাম, ঘুরে বেড়াতাম। কিন্তু এখন আর সেই আনন্দটা নেই। এখন গ্রামে গেলে বাসা থেকে বের হতে পারি না, কারণ বের হলেই সবাই ঘিরে ধরে। হয়তো আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাই, সেখানেও লোকজন ভিড় করে থাকে। এতে খারাপ লাগে না আমার। কারণ আমাদের গ্রামেরই তো মানুষ। কিন্তু ওই যে বললাম, শৈশবের মতো ঘুরে বেড়াতে পারি না।’
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন বিদ্যা সিনহা মিম। ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে আত্মপ্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী। এরপর ‘জোনাকির আলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ২০১৪ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
|
|
|
|
শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবটি উদযাপনে ব্যস্ত রয়েছে দেশের তারকারাও। ব্যতিক্রম নন ঢাকাই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসও। এ বছরের পূজা কেমন কাটছে, তা জানিয়েছেন নায়িকা।
তবে নায়িকা মনে করেন, এখনকার সময়ে চেয়ে আগের সময়ের পূজা-ই বেশি আনন্দের ছিল। সেই স্মৃতি তুলে ধরে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে নায়িকা বলেন, ‘ছোটবেলার পূজা অনেক সুন্দর ছিল। অনেক পরিকল্পনা থাকত, আনন্দ থাকত। সারাবছর অপেক্ষায় থাকতাম, কখন পূজা আসবে। এখনকার পূজার সঙ্গে তখনকার সেই তুলনা চলে না। এখন সব দিন একই রকম হয়ে গেছে। পেশাগত ব্যস্ততা আর পূজার ব্যস্ততা এক হয়ে গেছে।’
এবার পূজায় ঢাকাতেই থাকবেন অপু বিশ্বাস। তার সাজ-পোশাকেও রাখবেন ঐতিহ্যের ছোঁয়া। বললেন, ‘পূজায় সাজপোশাকে ট্র্যাডিশনাল বিষয়টি থাকবে, কারণ পূজা ট্র্যাডিশনাল একটি বিষয়। পূজার বিকেলগুলো পরিবারের সঙ্গে কাটাব। জয়কে নিয়ে এবার অনেক আনন্দ করব। ওকে নিয়েই এবারের সব পরিকল্পনা।’
বছর কয়েক আগে মা হারান অপু বিশ্বাস। এরপর থেকে নায়িকার পূজা কেটেছে কোনো আমোদ-আনন্দ ছাড়াই। এদিকে ছেলে আব্রাম খান জয়ও বড় হচ্ছে। ছেলের স্কুল ছুটি থাকায় জয়কে নিয়েই পূজা কাটাবেন অপু।
অপু বিশ্বাস ‘কোটি টাকার কাবিন’ দিয়ে ২০০৬ সালের পরিচিত পান। শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিয়মিত হন এই নায়িকা। এরপর থেকেই ক্যারিয়ারের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকেন অপু। কারণ তখন শাকিব খান মানেই তিনি। সমালোচকদের মতে সালমান শাহ ও শাবনূর-এর পর এতটা সফল কোনো জুটি আসেনি। ২০১৭ পর্যন্ত শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে ৭২টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায় অপু বিশ্বাসের।
|
|
|
|
বিয়ে করছেন ঢালিউড নায়িকা শিরিন শিলা। আজ (১০ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাতে প্রেমিক আবিদুল মোহাইমিন সাজিল ও শিলার বিয়ের অনুষ্ঠান। রাজধানীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে পারিবারিকভাবে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিলা।
শিলা ও সাজিলের পরিচয় ছয় বছর আগে, ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর। পরিচয়ের মাসেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন শাকিব খানের ‘হিটম্যান’ সিনেমার এই অভিনেত্রী। তার প্রেমিক সাজিল পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট।
অভিনন্দন জানাতে ফোন করলে শিলা বলেন, ‘এখন বিউটি পার্লারে। এতদিন পর্দার জন্য বউ সেজেছি। আজ সত্যি সত্যি বউ সাজাবো। ভেবেছিলাম, “কবুল” বলে সবাইকে ছবিসহ সুসংবাদটা দেব। কিন্তু কীভাবে যেন আপনি জেনে গেছেন!’ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিলার হবু বর সাজিল। তার কথা জানতে চাইলে শিলা বলেন, ‘আমাদের অনেকদিনের পরিচয় ও বোঝাপড়া। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে আজ আকদ হচ্ছে। আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হবে বিবাহত্তোর সংবর্ধনা।’
ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘হিটম্যান’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিরিন শিলা। এ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ছিলেন অপু বিশ্বাস। মূল নায়িকা না হলেও ওই ছবিতে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন শিলা। পরে তাকে পাওয়া যায় শাহীন সুমন পরিচালিত ‘মিয়া বিবি রাজি’, মেহেদি হাসানের ‘শেষ বাজি’ সিনেমায়। এই মুহূর্তে প্রেক্ষাগৃহে চলছে শিলা অভিনীত ছবি ‘জিম্মি’।
|
|
|
|
বছরের শুরুতেই পদ্মবিভূষণ সম্মান পেয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। আর এবার বর্ষীয়ান অভিনেতাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মানে সম্মানিত করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে মিঠুনের নাম ঘোষণা হতেই বর্ষীয়ান এ অভিনেতার চোখ ছলছল হয়ে গেছে।
দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার হাতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিঠুন বলেন, ‘এই মঞ্চে আমি আগেও তিনবার এসেছিলাম, প্রথমবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর মাথাটা একটু খারাপ হয়েছিল। ভেবেছিলাম বড় কিছু করে ফেলেছি নিজেকে অ্যালপাচিনো ভাবছিলাম।’
এ অভিনেতার ভাষ্য, ‘লোকে বলত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কালো রং চলবে না। এখানে কী করছো? ফিরে যাও, রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে লোকে কালিয়া বলতো। আমি ভাবতাম কী করব? ভগবানকে বলতাম কী করব এই রং তো পালটাতে পারব না? ভাবতাম যে আমি নাচতে জানি, পা দিয়ে এমন নাচব যাতে লোকে আমার গায়ের রং না দেখে, আমার পায়ের দিকে দেখে, পা থামতে দেয়নি। লোকে তখন আমার রং ভুলে গেল আমি হয়ে গেলাম সেক্সি, ডাস্কি বাঙালি বাবু।’
এদিকে ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ সিনেমার জন্য জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করবেন কৌশিক। কেমন অনুভূতি এ বিষয়ে পরিচালক বললেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তী পাবে না তো কে পাবে! তার এই সুবিশাল সিনেম্যাটিক সফর।’
শেষে তিনি বলেন, ‘আগে ধরা হতো দাদাসাহেব ফালকে প্রায় রিটায়ারমেন্টের সম্মানের মতো সেটা কিন্তু নয়। ভালো লাগে যখন এমন সময় এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে যখন তার পরেও মানুষ কাজ করবে। আর মিঠুনদার ক্ষেত্রে খুব আনন্দের কারণ তার ছবিও রিলিজ হয়েছে। সব একসাথে হচ্ছে।’
|
|
|
|
ওপার বাংলার দুই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী পরমব্রত চ্যাটার্জি ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাদের। আবারও দুই তারকাকে নিয়ে গুঞ্জন চাউর হয়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, প্রযোজক প্রদীপ চুড়িওয়াল ও পবন কানোরিয়ার সঙ্গে রয়েছেন ঋতুপর্ণা-পরমব্রত। সেখান থেকেই গুঞ্জনের সূত্রপাত।
প্রযোজক পবন কানোরিয়া জানান, পরিচালক প্রদীপ চুড়িওয়ার একটি ছবির প্রযোজনা করছেন তিনি। এটি পরিচালনা করবেন পরমব্রত। তবে এই সিনেমায় ঋতুপর্ণা থাকবেন কি না, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সিনেমার কাহিনিতে সম্পর্কের কোনো একটি বিশেষ স্তর দেখানো হতে পারে চলচ্চিত্রটিতে। তবে ঋতুপর্ণার অভিনয়ের বিষয়ে চুপ প্রযোজক।
মাঝে পরমব্রত তার জনপ্রিয় সিরিজ ‘পর্ণশবরীর শাপ’-এর দ্বিতীয় সিজন ‘নিকষছায়া’-এর শুটিং শেষ করেছেন। এতে চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী, গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দিতা বসু, সুরঙ্গনা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। সিরিজটি ওয়েব প্ল্যাটফরমে দেখা যাবে।
অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাতেও সুনাম কুড়িয়েছেন পরমব্রত। তিনি বাংলাদেশের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
|
|
|
|
পূজা উপলক্ষে ওপার বাংলায় মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জির নির্মিত নতুন সিনেমা ‘টেক্কা’। যেখানে একসঙ্গে অভিনয় করেছেন দেব-স্বস্তিকা। বহুদিন বাদে প্রাক্তন প্রেমিক সৃজিতের ছবিতে কাজ করেছেন স্বস্তিকা।
এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, সৃজিতের সঙ্গে যোগাযোগটা যেহেতু রয়েছে, তাই আলাদা করে কিছু ফিল করতে পারছি না। কাজের বাইরে আমাদের দেখা হতোই। খেতে গিয়েছি। একসঙ্গে বেরও হয়েছি। বন্ধু হিসেবে দুজনের সম্পর্কটা আছে। সৃজিত খুব খেতে ভালোবাসে। আমিও তাই। যে কারণে দীর্ঘদিন পর কাজ করলেও নতুন করে কিছু ফিল হয়নি।
নিজের প্রাক্তন প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, সৃজিত অনেক শান্ত হয়েছে। আজকাল কাজের সময় ফোন কম চেক করে। সোশ্যাল মিডিয়ার এডিকশন ছিল। দেখলাম সেটাও অনেকটাই কমেছে। আর একটা বিষয় দেখে ভালো লাগল, আমাদের ডিওপি থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু শট সৃজিত নিজে নিয়েছে। এই বিষয়টা নিয়ে আমি খুব ইয়ার্কি মেরেছি। বলেছি. যে শর্টগুলো সৃজিত নিয়েছে, সেগুলো অন্যদের থেকে বেশি ভালো হয়েছে। দেবের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন, প্রশ্নে স্বস্তিকা বলেন- দায়িত্ব নিয়ে বলছি, এই ছবিতে দেব যে অভিনয়টা করেছে, অন্য কোনও ছবিতেই করেনি। আমি নিশ্চিত, এরপরে হয়তো করবে। এই ধরনের অভিনয়গুলো শিখে গেছে ছেলেটা। আগামী দিনে আমি ওর সঙ্গে আরও কাজ করতে চাই। `টেক্কা`-তে আমাদের স্ক্রিন টাইম কম ছিল।
এ বছর পুজার প্ল্যান জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ছোটবেলা থেকে দেখেছি মা ঘাটে দুর্গাপুজা করতেন। আমি এখনও সেটা করি। সেজন্য পুজার সময় কলকাতায় থাকাটা আমার কাছে খুব জরুরি। মায়ের ওই একটা জিনিস আমি রেখে দিয়েছি। ছোট থেকে দেখেছি বাড়িতে প্রত্যেক পূর্ণিমায় সত্যনারায়ণ পুজা হতো। এবার পুজায় কলকাতাতেই থাকতে চাই।’
ব্যক্তিজীবনে একাধিকবার প্রেমে পড়েছেন স্বস্তিকা। পূজায় প্রেম হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন- ‘(হাসি) সারাবছর প্রেম করায় আমি বিশ্বাসী। পুজা কিংবা ভ্যালেন্টাইনস ডে- ওরকম দিনক্ষণ দেখে প্রেমটা হয় না। আমার প্রেম হয় হুটহাট। এখন তো কাজের ঠেলায় সময়ও পাচ্ছি না। তার মধ্যে আমার যে প্রতিবাদী সত্ত্বা মানুষের সামনে এসেছে, তাতে আর কখনও প্রেম হবে কি না জানি না।’
|
|
|
|
সামাজিক মাধ্যমে কদিন ধরে বাংলাদেশের নেটিজেনরা যে নারীকে নিয়ে চর্চায় মেতেছে, তিনি হানিয়া আমির। তার ছবি, তার ভিডিও এবং `তার মতো দেখতে` শিশুশিল্পী লুবাবাকে নিয়ে হাস্যরস ও উপহাসও করছেন তারা। কে এই হানিয়া আমির!
লুবাবার কারণে এই আলোচনায় নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে লুবাবাকে বলতে দেখা গেছে, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই আমার এবং হানিয়া আমিরের ছবি যুক্ত করে প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ লিখেছেন, আমি নাকি দেখতে হানিয়া আমিরের মতো। আসলে হানিয়া আমির আমার চেয়ে দেখতে অনেক সুন্দর।’ লুবাবার সেই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়ে যায়।
হানিয়া আমির পাকিস্তানি অভিনেত্রী এবং কণ্ঠশিল্পী। তিনি চলচ্চিত্র ও টিভিনাটকে অভিনয় করে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। ২০১৬ সালের উর্দু সিনেমা ‘জানান’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা করেন। সিনেমাটিতে অভিনয়ের জন্য লাক্স স্টাইল অ্যাওয়ার্ডসে শ্রেষ্ঠ সহশিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৭ সালে কমেডি সিনেমা ‘না মালুম আফরাদ-২’, ২০১৮ সালে যুদ্ধের সিনেমা ‘পরওয়াজ হ্যায় জুনুন’ এবং ২০২০ সালে রোমান্টিক সিনেমা ‘ইশকিয়াত’-এ অভিনয় করেছেন হানিয়া আমির। এ ছাড়া ২০২২ সালে টেলিভিশন সিরিজ ‘মেরে হামসাফার’-এ অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
সম্প্রতি লন্ডনে একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছেন হানিয়া আমির। সেখানকার কয়েকটি ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। ছবিগুলোতে জনপ্রিয় র্যাপার ও শিল্পী বাদশাহর সঙ্গে দেখা গেছে তাকে। তবে তাদের একজন ছিলেন দর্শকসারিতে, অন্যজন মঞ্চে। সেই কনসার্টে আরও উপস্থিত ছিলেন পাঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ। তিনিও বাদশার এবং হানিয়ার ছবি সামাজিক মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি ওই কনসার্টের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, মঞ্চে ওঠার আগে দিলজিতকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বাদশা। এরপর দুজন মঞ্চে উঠতেই অনুরাগীদের মাঝে উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ে।
দিলজিতের পোস্ট করা একটি ছবিতে দেখা গেছে, কনসার্টে একদম প্রথম সারিতে বসে আছেন হানিয়া। তিনি সবার সঙ্গে উল্লাস করছেন। বাদশাহকে মঞ্চে দেখে তার চোখেমুখে মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছবি দেখে দিলজিতের এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘বাদশাহ-হানিয়ার প্রেম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। এবার তা সত্য বলে প্রমাণিত হলো।’
কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে বাদশাহর সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে হানিয়া আমির খোলামেলা কথা বলেছিলেন। সে সময় বাদশাহর গানের কথা উঠলে হানিয়া জানান, তিনি বাদশার গানে মুগ্ধ। এ সময় হানিয়া বাদশার গাওয়া তার প্রিয় কিছু গানের কথাও উল্লেখ করেন।
|
|
|
|
|
|
|
|