কামরুল হাসান : কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে: নাটোরে ধানের শীষের এ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের কৃষি ও কৃষকের মর্যাদা রক্ষায় নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে
ধান কাটার উৎসবে যোগ দিলেন ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল।
শনিবার বিকেলে বাগাতিপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি ও এর সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃস্থানী ব্যক্তিবর্গদের কে নিয়ে ধান কাটার কর্মসূচিতে অংশ নেন।
দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধান কেটে তা মারাই করে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়ার বন্দোবস্ত করে দেন। এতে আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয় ওই অঞ্চল।
এমন প্রাণবন্ত এক রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় জনমনে খুশি সঞ্চার হয়েছে।
সকালের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসূচির স্থানটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। প্রায় ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী এবং স্থানীয় কৃষক উৎসাহভরে ধান কাটার কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে উপস্থিত সকলের মুখে দেশের কৃষি ও ধানের শীষের প্রার্থীর প্রতি আস্থা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
ব্যারিস্টার ফারজানা শারমিন পুতুল বলেন, “কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আমাদের লক্ষ্য দেশের কৃষক ও কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ধানের শীষের প্রতীক কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি কৃষকের অধিকার ও মর্যাদার প্রতীক। আমরা চাই কৃষক সমাজ স্বচ্ছ, সুস্থ ও সমৃদ্ধ হোক।”
স্থানীয় কৃষক আলীম উদ্দিন বলেন, “আমরা ধানের শীষের প্রার্থীর সাথে কাজ করে খুব ভালো লাগছে। এই ধান কাটার কর্মসূচি আমাদের দেখালো যে, রাজনৈতিক নেতারা আমাদের সাথে রয়েছে। আমরা চাই আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য নেতারা সক্রিয় হোক।”
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বলেন, এই উৎসব কেবল ঐতিহ্য পালন নয়, বরং কৃষকের জীবন ও স্বার্থ রক্ষার সাংকেতিক বার্তা বহন করছে। তারা মনে করিয়ে দেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গ্রামবাংলার মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন, কৃষক-সমাজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধানের শীষের উদ্যোগ স্থানীয় ভোটারের সঙ্গে নেতাদের সংযোগ মজবুত করার পাশাপাশি, আগামী নির্বাচনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও সমর্থন বৃদ্ধির একটি কার্যকরী কৌশল হিসেবে কাজ করবে। কৃষি উন্নয়ন, কৃষকের কল্যাণ ও সামাজিক সংহতির মেলবন্ধনের প্রতীক হিসেবে ধান কাটার এই কর্মসূচি জনসমক্ষে প্রভাব ফেলছে।