কামরুল হাসান : মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়) আসনের ঘিওর উপজেলার হাট-বাজার, জনজমায়েত স্থান এবং চা স্টলগুলোতে শনিবার বিকেলে বিএনপি’র এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, জেলা আহ্বায়ক কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য এবং ধানের শীষের কান্ডারী এস এ জিন্নাহ কবির।
উপজেলার নালী ইউনিয়নের কেল্লাই বাজার, বানিয়াজুরি ইউনিয়নের শোলধরা বাজার এবং শোলধরা নতুন বাজারে প্রচারণার সময় তিনি সরাসরি জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে ৩১ দফার গুরুত্ব এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপুসহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এস এ জিন্নাহ কবির বলেন,
"বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। ৩১ দফা হলো সেই রূপরেখা যা দেশকে শৃঙ্খলাবদ্ধ, স্বচ্ছ এবং উন্নত রাষ্ট্র কাঠামোর দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের মতামত গ্রহণ করা আমাদের মূল লক্ষ্য।"
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি সংবিধান ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে বিতর্ক এবং উত্তেজনায় ভরপুর। এই পরিস্থিতিতে মাঠ পর্যায়ের সচেতনতা কার্যক্রম শুধু জনমত যাচাই নয়; এটি দলের Grassroots সংগঠনকে শক্তিশালী করার একটি কৌশল হিসেবেও দেখা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ৩১ দফা প্রচারণা কেবল বিএনপির রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছে না, বরং দেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও নৈতিকতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার বার্তাও পৌঁছে দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সরাসরি প্রচারণা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং গ্রাম পর্যায়ের রাজনৈতিক উপস্থিতি দৃঢ় করে এবং নতুন প্রজন্মের কর্মীদের সঙ্গে দলের সংযোগ বৃদ্ধি করে। কেল্লাই ও শোলধরা বাজারে সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে জনগণের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ৩১ দফার নৈতিক ও প্রশাসনিক গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন—সব মিলিয়ে এটি এক বহুমাত্রিক রাজনৈতিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জানান,
"এস এ জিন্নাহ কবিরের উপস্থিতি আমাদের কাছে প্রেরণাদায়ক। তারা শুধু কথা বলছেন না, বরং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চাইছেন। এটি সত্যিই রাজনৈতিক সচেতনতার দৃষ্টান্ত।"
এই প্রচারণা মূলত দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার প্রয়াস হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের জনসংযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের আস্থা পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, এস এ জিন্নাহ কবিরের নেতৃত্ব কেবল স্থানীয় পর্যায়ে নয়, জেলা ও কেন্দ্রীয় স্তরের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।