চট্টগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচারের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণের অনুসারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) নিহত হন আইনজীবী সাইফুল। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর টাইগারপাস মোড়ে এ বিক্ষোভ শুরু হয়।
বিক্ষোভে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে স্থানীয় জনতা এ বিক্ষোভে জড়ো হচ্ছেন। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিতে উপস্থিত হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং নাগরিক কমিটির সদস্য ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে সাইফুল ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আইনজীবী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। জানাজার আগে আইনজীবী নেতারা বক্তব্য দিয়ে সাইফুল হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এরপর সাইফুল ইসলামের লাশ নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জানাজায় অংশ নেওয়া মানুষ টাইগারপাস মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় তারা আইনজীবী সাইফুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকেন।
নিহত অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ ছিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন এবং পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধিত হন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সাইফুল ইসলামকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় চট্টগ্রামের আইনজীবীরা বুধবার (২৭ নভেম্বর) আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে নেমে ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ও যৌথবাহিনী তাদের আটক করেছে।
এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|