বিএনপি আবারো নৈরাজ্য করলে `ডাবল শিক্ষা` দেওয়া হবে: কাদের
নৈরাজ্য করলে বিএনপি নেতাদের এবার ‘ডাবল শিক্ষা’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে। তবে, বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস বা অরাজকতা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়বো।’
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘প্রতিবেশী দেশকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে, ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না’- বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতকে খুশি করার আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। তবে, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন কিন্তু ভারত কোনো কথা বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরের ক্ষেত্রেই মানায়।’
এসময় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শঙ্কার কথা উল্লেখ করে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে, আমরা কয়েকবার বলেছি, দুষ্টু ছেলে ইজরায়েল এখন আমেরিকাকেও মানে না। হিটলার যে গণহত্যা চালিয়েছে, আজ নেতানিয়াহু গাজায় সেটিই করছেন। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও এখন একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এটি সারাবিশ্বের জন্য আতংকের বিষয়। সারাবিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। আমেরিকা-ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে। আমাদের ছাত্রলীগও বড় সমাবেশ করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
১৭ মে’র কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সব শাখা ও সহযোগী সব সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি নেবে। সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সারাদেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করবো।’
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন খুব বেশি ভালো হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রাণহানির একটি ঘটনাও নেই, এমন একটা নির্বাচন আমরা করেছি। এই কৃতিত্ব আমাদের দিতে হবে। তবে যেভাবে ভোট হয়েছে, তাতে খুব বেশি ভালো বলবো না, তবে সন্তোষজনক। বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল বর্জন করেছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ কম নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে বড় কথা বললেও নেতাদের ভেতরে হতাশা ভর করেছে। যতদিন ফিরে না আসবে, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।’
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
|
নৈরাজ্য করলে বিএনপি নেতাদের এবার ‘ডাবল শিক্ষা’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিএনপি নেতারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন। বিচার বিভাগ স্বাধীন বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে। তবে, বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা পেয়েছে, এবার ডাবল শিক্ষা পাবে। আমরা বসে নেই। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস বা অরাজকতা করলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে লড়বো।’
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘প্রতিবেশী দেশকে খুশি করতে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে, ভারত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না’- বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভারতকে খুশি করার আমাদের দরকার নেই। আমরা নিজেদের শক্তিতে টিকে আছি, ভারতের দয়ায় নয়। তবে, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের সময় যে ভূমিকা নিয়েছিল, তখন কিন্তু ভারত কোনো কথা বলেনি, কোনো ভূমিকা রাখেনি। নিজের দেশকে এভাবে ছোট করা গয়েশ্বরের ক্ষেত্রেই মানায়।’
এসময় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের শঙ্কার কথা উল্লেখ করে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যে যুদ্ধ চলছে, আমরা কয়েকবার বলেছি, দুষ্টু ছেলে ইজরায়েল এখন আমেরিকাকেও মানে না। হিটলার যে গণহত্যা চালিয়েছে, আজ নেতানিয়াহু গাজায় সেটিই করছেন। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র না দিলেও এখন একাই যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেতানিয়াহু। এটি সারাবিশ্বের জন্য আতংকের বিষয়। সারাবিশ্ব এ নিয়ে সোচ্চার। আমেরিকা-ইউরোপে গাজার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে কর্মসূচি করছে। আমাদের ছাত্রলীগও বড় সমাবেশ করেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
১৭ মে’র কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৭ মে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ সব শাখা ও সহযোগী সব সংগঠন কেন্দ্রীয় কার্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কর্মসূচি নেবে। সবচেয়ে বড় প্রোগ্রাম হবে ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, সারাদেশে আমরা ব্যাপকভাবে পালন করবো।’
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন খুব বেশি ভালো হয়নি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রাণহানির একটি ঘটনাও নেই, এমন একটা নির্বাচন আমরা করেছি। এই কৃতিত্ব আমাদের দিতে হবে। তবে যেভাবে ভোট হয়েছে, তাতে খুব বেশি ভালো বলবো না, তবে সন্তোষজনক। বিএনপি-জামায়াতসহ অনেক দল বর্জন করেছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ থেকে ৪০ শতাংশ কম নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভুল আর ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে বিএনপি কিছুই আদায় করতে পারবে না। তারা মুখে বড় কথা বললেও নেতাদের ভেতরে হতাশা ভর করেছে। যতদিন ফিরে না আসবে, আরও জনবিচ্ছিন্ন হবে।’
যৌথ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ শনিবার (১১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় মোহাম্মদপুর আড়ংয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলে আমরা পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করছি, আসলে আমরা কোনো সমাবেশ করছি না। আজকে আমরা এখানে যৌথসভা করছি। আগামীকাল শনিবার আমাদের মন্ত্রিসভার সদস্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সংসদীয় এলাকায় আমরা একটি শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করব। সেখানে আজকের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
|
|
|
|
সরকার দেশের টাকায় ভারতকে স্বচ্ছল করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এই স্বৈর সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না। তারা জুয়ারিদের দেশের টাকা পাচার করার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন কেসিনো বেটিংয়ের মাধ্যমে জুয়ারিরা দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। আজকে সরকার আদানির কাছথেকে বিদ্যুৎ কিনে ভারতকে স্বচ্ছল করছে।
শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন নিয়ে চলছে তামাশা। চারদিকে চলছে লুটপাটের সংস্কৃতি। এই দুঃশাসন জনগণ বেশি দিন মানবে না।
তিনি আরও বলেন, এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সকল রাজবন্দীর দ্রুত মুক্তি দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারসহ সকল বন্দীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
আজ (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
দিদার বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ হবে।
এদিকে সমাবেশ সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা এক চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।
ডিএমপির শর্তগুলো হলো—
(১) এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
(২) স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
(৩) অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
(৪) নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে
(৫) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
(৬) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
(৭ ) অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
(৮) আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
(৯) ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
(১০) অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
(১১) সমাবেশস্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১২) আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৩) রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
(১৪) উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
( ১৫) জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
১৬) পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না।
(১৭) সমাবেশস্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
(১৮) উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
(১৯) জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
|
|
|
|
ওমরাহ পালন শেষে বুধবার (৮ মে) সস্ত্রীক ঢাকা ফিরছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই দিন দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ফিরবেন তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
গেলো ২ মে বিকেলে সস্ত্রীক ওমরাহ পালনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন মির্জা ফখরুল। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে এক মাসের মধ্যে তাকে দেশে ফিরতে হবে বলে আদালতের আদেশে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ সোমবার (৬ মে) এ আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমান গত ৩০ মার্চ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে আদালতে আবেদন করেন। ৩০ এপ্রিল তার আবেদনের শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ।
গত ২০ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগের মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমানকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। তবে বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে আদেশে বলা হয়। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। পরে তিনি কারামুক্ত হন।
২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান। আপিল আবেদনে তিনি খালাস চেয়েছেন। পাশাপাশি জামিন আবেদন করেন তিনি। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ আপিল দায়ের করেন।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।
পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখেন।
|
|
|
|
দেশে গণতন্ত্র, সুশাসনের আবহাওয়া তৈরি করতে সর্বশেষ লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার ৪ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হাবিবুর রশিদ হাবিব মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার এবং দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিবের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব। কিন্তু আমাদের গায়ে যদি লাঠির বাড়ি পড়তে থাকে তাহলে কতদিন শান্তিপূর্ণ থাকবো। প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধ একসাথে চালাতে হবে। না হলে আরও অনেক হাবিবুর রশিদ হাবিবদের কারাগার যেতে হবে প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, কারণ হাইকোর্ট আওয়ামী লীগ, পুলিশ আওয়ামী লীগ, প্রশাসনের ডিসি-এসপিরা ছাত্রলীগ। এ রকম একটা পরিবেশে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কোনো ন্যায় বিচার নেই। মানুষ আদালতে যায় প্রতিকার পাওয়ার জন্য সেটাও নেই।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুদিন ধরেই বলছেন তাকে নাকি কিছু রাজনৈতিক দল উৎখাতের চেষ্টা করছে। আমার কথা হচ্ছে রাজনৈতিক দল উৎখাতে চেষ্টা করবে কেন? আপনি (শেখ হাসিনা) আপনার সরকার উৎখাত হোক এটা তো জনগণ চাচ্ছে। আর ক্ষমতায় আসা না আসা এটা কোনো রাজনৈতিক দলের ওপর নির্ভর করে না। এটা নির্ভর করে জনগণের ওপর। আপনি জনগণের মালিকানা কেড়ে নিয়েছেন, ভোটার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছেন। আপনার ক্ষমতা চলে যাক এটা কিন্তু জনগণ চায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন ৭৯, ৭৮ সাল থেকে গণতন্ত্র নাকি ধ্বংস করা হয়েছে। উনি নাকি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা গণতন্ত্র, রাষ্ট্র,সরকারের আভিধানিক অর্থ জানি। পলিটিক্যাল সায়েন্স ও ডিকশনারিতে এর অর্থ আছে। কিন্তু শেখ হাসিনার যে কথাবার্তা চিন্তা ধারা সেটা জানতে হলে শেখ হাসিনার জন্য আলাদা একটা ডিকশনারি বা পলিটিকাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্ট খুলতে হবে।
রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের নমুনা হলো কক্সবাজারের কুখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তি বদি সে প্রকাশ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান নুর আলমকে পিস্তল দেখিয়েছে যে, কেন সে আবার উপজেলা নির্বাচন করবে। সরিষাবাড়ীতে আওয়ামী লীগের যিনি প্রার্থী তিনি বলেছেন তার বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী দাঁড়াতে পারবে না। বরিশালের হাসনাত আব্দুল্লাহ তার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে থাকবে তার নাকি হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে। এই হচ্ছে শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের নমুনা।
তিনি বলেন, এই গণতন্ত্র তিনি চালু করেছেন যখনই ক্ষমতা এসেছেন। এই গণতন্ত্র তিনি চালু করেছেন ৫ জানুয়ারি ২০১৪, ২০১৮ এবং ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে। তার মত অনুযায়ী গণতন্ত্রের ব্যাখ্যা দিতে হবে। বাংলাদেশে জনগণের অধিকার বলে যে কথাটা আছে তিনি তা মুছে দিয়েছেন, নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। কারণ তিনি যে দুঃশাসন চালাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে যেন কেউ টু শব্দ করতে না পারে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা উন্নয়নের কথা বলে। একটা প্রবাদ আছে অন্ধের হাতি দর্শন শেখ হাসিনার উন্নয়ন। মানুষ অভুক্ত, খেতে পারছে না তারপরও শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলতে হবে। আলু, পেঁয়াজ, বোরু চাষ করার জন্য কৃষকরা ৫০০০ টাকা ঋণ নেয় সেই ঋণ শোধ করতে না পারলে কৃষকদের জেলে যেতে হয়। আর হাজার হাজার কোটি টাকা যারা ঋণ নিয়েছে তারা হচ্ছে ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ। তারা প্রকাশ্য আলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের পাশে থাকেন তারা। এটা শেখ হাসিনার সুশাসনের একটি নমুনা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ এ জহির উদ্দিন তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জয়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সহ- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পীসহ তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পার্থ দেব মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মুক্তি পান।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামুনুল হকের জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে কারা ফটকে ভিড় করেন তার সমর্থক ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২ মে) রাতে মাওলানা মামুনুল হকের মুক্তির কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে তিনি মুক্তি পাননি। তখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হবে না। তার জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে।
গত ১১ মার্চ মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন হেফাজত নেতারা। ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খানসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান দাবি করেন, ‘মামুনুল হকের মুক্তির বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।’
গত ২৪ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন পান মামুনুল হক। এ বিষয়ে মামুনুল হকের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল বলেন, ২০১৩ সালের মতিঝিল থানার এক মামলায় ও ২০২১ সালের পল্টন থানার দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে একাধিক মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন বলে তখন জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ, তাদের শরীরে শ্রমিকের রক্ত লেগে আছে, তাই যে কোনো ইস্যুতেই আন্দোলন খোঁজে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের শক্তি তাদের (বিএনপি) নেই। আন্দোলনে জনগণ লাগে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, আদমজীর মতো জুট মিল যাদের হাতে বন্ধ হয়েছে, শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশের মানুষ তাদের ক্ষমা করবে না। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী। আজ কতবার বাড়িয়ে মজুরি ১২ হাজার ৫শ টাকা করেছে। শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন করেছেন, শ্রমিকের আন্দোলন করেছেন। নুরু মিয়ার রক্ত ছয় দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত করেছে।
শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না। তিনি বলেন, পোশাক খাতের শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে এ শিল্প ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র। দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপিকে আওয়ামী লীগ ভাঙতে চায় না, নিজেদের কোন্দলেই বিএনপি ভাঙার জন্য দায়ী মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতাদের কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। একেকজনের একেক কথা। বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না। তিনি বলেন, বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রিমোট কন্ট্রোল নেতাকে এ দেশের মানুষ গ্রহণ করে না। সাহস থাকলে রাজপথে আসুন। লন্ডনে বসে আন্দোলন হবে না, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সরকারের সকল উন্নয়ন অগ্রগতি শ্রমিকদের মাধ্যমেই হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন। সকলেই তার সুবিধা পাচ্ছেন। অতীতে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা শ্রমিকদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছিল। তারা শ্রমিকদের জন্য কল্যাণমূলক কাজ করেনি। এই দেশে শ্রমিক কর্মচারীদের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন। তারপরে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বাসস
|
|
|
|
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, খালেদা জিয়ার ফুসফুসের পানি অপসারণের জন্য হাসপাতালের চতুর্থতলায় সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। হাসপাতালে পৌঁছান সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিটে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১১ জানুয়ারি বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে গত বছরের ৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। সেখানে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নেতৃত্বে গত বছরের ২৬ অক্টোবর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস)’ প্রক্রিয়ায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিপস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার দুটি রক্তনালীর মধ্যে একটি নতুন সংযোগ তৈরি করেন চিকিৎসকরা।
এরও আগে গত বছরের ১০ জুন রাত পৌনে ৩টার দিকে খালেদা জিয়াকে জরুরি ভিত্তিতে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তখন প্রায় দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর ৯ আগস্ট আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
‘বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে’- এ দুই শর্তে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তিতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর’-এর ধারা-৪০১ (১)-এর ক্ষমতাবলে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমবারের মতো শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। এরপর দফায় দফায় বাড়ে তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ গত ২১ মার্চ শর্ত অপরিবর্তিত রেখে আরও এক দফা তার দণ্ড স্থগিত করে অষ্টমবারের মতো মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সায় দেয় সরকার।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ছিলেন। এরমধ্যে তিনি করোনাভাইরাসেও আক্রান্ত হন। তিনি আর্থারাইটিস, ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়।
ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার সাত বছরের সাজা হয়।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধীদল হলেও অনেকের আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভার প্রথম অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নিজের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘একদলীয় শাসন মানে একজন সুপ্রিম লিডার থাকবেন। তিনি সবকিছুতেই জবাবদিহির ঊর্ধ্বে। তিনি ভোট করলে করতে পারেন, না করলে করবেন না। যারা নির্বাচিত হবেন তারা ওনার অনুমতি নিয়ে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিতরা প্রথম আনুগত্য করবেন সুপ্রিম লিডারের আর দ্বিতীয় আনুগত্য থাকবে জনগণের কাছে। আর যদি নির্বাচনে কারচুপি হয় তাহলে প্রথম ও দ্বিতীয় আনুগত্য থাকবে শুধু সুপ্রিম লিডারের প্রতিই। আমরা গৃহপালিত বিরোধীদল হলে তাদের আপত্তি নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা গেলেও যা হয়েছে, না গেলেও তাই হতো। আমরা না গেলেও নির্বাচন হতো, জাতীয় পার্টি হয়তো যেতো। সরকারের এমন প্রস্তুতি ছিল। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলেও বর্তমান অবস্থা এমনই হতো।’
বিএনপি আন্দোলনে পরাস্ত হয়েছে বলেও মনে করেন জিএম কাদের। তিনি বলেন, ‘আমি তাদের দোষ দিচ্ছি না। দেশের স্বার্থে তারা কাজ করছে, কিন্তু তারা সফল হয়নি। তাদের দোষটা আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা বলছে, আমি একটা বিশাল নেতা, আমি নির্বাচনে না গেলে নাকি দেশের ভবিষ্যতই চেঞ্জ হয়ে যেতো। আমি নিজেকে এত বড় নেতা মনে করি না। আমি নির্বাচনে যেতাম আর না যেতাম দেশ এভাবেই চলতো। এমন পরিস্থিতিই থাকতো।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমাকে দোষ দিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করবেন না। বিএনপি বলছে, আমি নির্বাচনে না গেলেই নাকি নির্বাচন বানচাল হতো আর তারা ক্ষমতায় আসতে পারতো। এগুলো হচ্ছে নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য আমার ঘাড়ে দোষ দেওয়া।’
বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, ‘সংসদে আমি বলেছি নির্বাচন ভালো হয়নি। এমন বাস্তবতায় আর কোনো দল রাজনীতির মাঠে টিকবে না। সরকার আমাদের স্পেস দিচ্ছে না। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছি, সরকারের সমালোচনা করছি। আমাদের দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। বিএনপিকে তো মাঠে নামতেই দেওয়া হচ্ছে না। মাঠে থাকছে শুধু আওয়ামী লীগ।’
নির্বাচনে কিংস পার্টির কী অবস্থা হয়েছে- এমন প্রশ্ন করে জিএম কাদের বলেন, ‘জনগণের ওপর ভরসা রেখে রাজনীতি করতে হবে। আমি সংসদেও বলেছি, এভাবে চলতে থাকলে দেশে রাজনৈতিক দলগুলো টিকবে না। এতে দেশে চরমপন্থার আবির্ভাব হতে পারে। তাই রাজনীতি করতে হবে হয় গলায় ফুলের মালা না হয় ফাঁসির রশি। এটা যারা গ্রহণ করতে পারবে তারাই রাজনীতিতে সফল হতে পারবে। আমরা দেশকে চরমপন্থার দিকে নিয়ে যেতে দিতে পারি না। আমরা মনে করি, এটা থেকে উদ্ধার পাওয়া সম্ভব... যদি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি দলকে আমরা রাজনৈতিক দল মনে করতে পারছি না। আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার নেই। তাই দেশ পরিচালনায় জনগণের কোনো ভূমিকা নেই।’
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘প্রশাসনের ভূমিকা ও অর্থের অভাবে আমাদের অনেক জনপ্রিয় নেতা নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করেছে প্রশাসন।’
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম প্রমুখ।
|
|
|
|
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস (মে দিবস) উপলক্ষে রাজধানীতে শ্রমিক সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ১ মে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আগামী ১ মে শ্রমিক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে দেশের বাইরেও নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক থাকার পরও দেশি-বিদেশি চক্র অপপ্রচার মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
|
|
|
|
বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।
দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
গত ২৫ মার্চ রাজধানীতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে বিএনপি। তবে দলীয় কর্মসূচি হিসেবে নির্বাচনের আগে গত বছরের ২৮ অক্টোবর সর্বশেষ রাজধানীতে সমাবেশ করেছিল বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে চলে জ্বালাও-পোড়াও এবং সংঘর্ষ। এতে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান।
এর পরদিন উত্তরার বাসায় গ্রেপ্তার হন ফখরুল। এরপর থেকে কয়েক মাস কারাবন্দি ছিলেন। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় জেলেই ছিলেন তিনি। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
|
|
|
|
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা জিয়া ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আমাদের দেশে মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াবে। সেই ডাল-ভাত খাওয়াতেও তো ব্যর্থ হয়েছিল তারা।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফখরুদ্দিন সাহেব প্রধান উপদেষ্টা, ইয়াজউদ্দিন সাহেব রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান মইন উদ্দিন, তারা ঘোষণা দিলেন আলু খাওয়ার জন্য, আলু দিয়ে নানা রকমের খাদ্য তৈরি করা হলো, তা প্রদর্শন করা হলো বেশ উন্নত হোটেলে। মানুষ ভাত পাচ্ছে না কী হয়েছে? আলু খাবে। কেউ আমাদের ডাল ভাত খাওয়াতে চাইলো, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইলো। মাছে ভাতে বাঙালি আমরা, মাছ ও ভাত পেলেই আমাদের যথেষ্ট। সেটাই তো আমরা চাই। এখন অন্তত বলতে পারি মাছ-ভাতের অভাব নাই। ডাল-ভাতেরও অভাব নাই।
তিনি বলেন, মানুষের চাহিদা এখন মাংস, আরও বড় বড় মাছ খাবে। এখন দেখি জিনিসের দাম নিয়ে চিন্তিত, পেঁয়াজের দাম বাড়লো কেন? আমাদের ৯০ ভাগ পেঁয়াজ ভারত থেকে আনতে হতো। ভোজ্য তেল ৯০ ভাগ আনতে হয় বিদেশ থেকে। পেঁয়াজ নিয়ে আমাদের এত ঝামেলা, তাহলে আমরা কেন পেঁয়াজ উৎপাদন করতে পারবো না? এখন প্রায় ৪০ ভাগ আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি। আমরা কারো উপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। আমরা নিজেরা উৎপাদন করব।
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন— আমরা কারো কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, পার্লামেন্টে যেদিন ঘোষণা দিলাম বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তখন বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া বসা ছিলেন। আর সাইফুর রহমান উঠে দাঁড়িয়ে বলল, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্যের সাহায্য পাওয়া যাবে না। তাদের চিন্তাধারা ছিল আমরা প্রতিনিয়ত অন্যজনের কাছে হাত পেতে থাকবো। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব, আর ভিক্ষা চেয়ে খাবার খাব।
২০০১ সালে আমার সরকারের মেয়াদ শেষ হলে যখন ক্ষমতা হস্তান্তর করি, তখন ২৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য উদ্বৃত্ত আমরা রেখে গিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যের বিষয়— ২০০৯ সালে যখন আমরা আবার ক্ষমতায় আসি তখন দেখি, ২৬ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত তো দূরের কথা বরং ৩০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল বাংলাদেশে।
সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, ২০০১ সালে বিএনপি এসে সেগুলোর ওপর হামলা চালায়। অনেকের পোল্ট্রি ফার্মে বোমা মেরে মুরগি উড়িয়ে দিয়েছে। খামারিদের কাছ থেকে গরু নিয়ে খেয়ে ফেলেছে। পেঁপে থেকে শুরু করে সকল ফলের গাছ কেটে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে তারা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। দেশের জন্য এটা কত ক্ষতি হবে সেই চিন্তা তাদের মাথায় ছিল না।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে আমরা গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। গবেষণা ইনস্টিটিউটগুলো জাতির পিতা করে দিয়ে গেছেন। গবেষণা ছাড়া উন্নত জাত বা অধিক ফলন ফলানো সম্ভব না।
|
|
|
|
|
|
|