‘যানজটের অজুহাতে’ বিএনপির মানবাধিকার দিবসের র্যালিতে বাধা
স্টাফ রিপোর্টার ‘যানজটের অজুহাতে’ বিএনপির মানবাধিকার দিবসের র্যালিতে বাধা ‘যানজটের অজুহাতে’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে র্যালি করতে দেয়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। বিপুল সংখ্যক পোষাকধারী এবং গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করা হয় নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনামুল হক বলেন, ‘আজ সরকারি অফিস আদালত খোলা। ঢাকা শহরে অনেক যানজট। এর মধ্যে র্যালি হলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে। এছাড়া যেহেতু বিএনপির র্যালি করার অনুমতি নেই তাই করতে দেয়া হবে না। এরপরও যদি করতে চায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তারপরও মানবাধিকার দিবসের মতো দিনে র্যালির মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দেয়া হচ্ছে না।
|
স্টাফ রিপোর্টার ‘যানজটের অজুহাতে’ বিএনপির মানবাধিকার দিবসের র্যালিতে বাধা ‘যানজটের অজুহাতে’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে র্যালি করতে দেয়নি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়। বিপুল সংখ্যক পোষাকধারী এবং গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়ন করা হয় নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায়।
মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এনামুল হক বলেন, ‘আজ সরকারি অফিস আদালত খোলা। ঢাকা শহরে অনেক যানজট। এর মধ্যে র্যালি হলে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে। এছাড়া যেহেতু বিএনপির র্যালি করার অনুমতি নেই তাই করতে দেয়া হবে না। এরপরও যদি করতে চায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। তারপরও মানবাধিকার দিবসের মতো দিনে র্যালির মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করতে দেয়া হচ্ছে না।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপি সরকারের আমলে দেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে ভারতের সংসদে উপস্থাপিত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ভারতের সংসদে বলা হয়েছে- বিএনপির সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা জোর গলায় বলতে পারি, বিএনপির আমলে এখানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষা করা হয়েছে। সংখ্যালঘুর ওপর আওয়ামী লীগের আমলে যতটা নির্যাতন হয়েছে, তা আর কখনো হয়নি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনির্ধারিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এসব কথা বলেন। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির পূর্বঘোষিত শোভাযাত্রায় পুলিশের বাধার পর এ সংবাদ সম্মেলনে করেন ফখরুল।
ওই কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। পুলিশের বিপুলসংখ্যক সদস্যের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকেও দেখা যায় সেখানে। বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীদের বের হতে পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করতেও দেখা যায়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) পাস হয়। বিলটি উত্থাপনকালে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে বহু শরণার্থী এসে বছরের পর বছর ধরে বাস করছে।
এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের সংসদে (এ বিল পাসের সময়) খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। এটা নাকি বিএনপির আমলে হয়েছে। নতুন নাগরিকত্ব বিলে বলা হয়েছে, অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু মুসলিমদের দেওয়া হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আমাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটা র্যালি হওয়ার কথা ছিল। সেভাবে প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। কিন্তু সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নেতাকর্মীরা কার্যালয় থেকে নিচে নামলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি এই মুহূর্তে কোনো সংঘাতে যেতে চায় না বলে উল্লেখ করে মহাসচিব বলেন, আমরা আমাদের অধিকারগুলোর কথা বলছি। আপনারা দেখেছেন, সভা-সমাবেশ করতে হলে অনুমতি নিতে হয়। এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রম করতেও অনুমতি নিতে হয়।
দেশে এখন প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে দাবি করে ফখরুল বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে এক হাজার ৫৯৯ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এর নাম দিয়েছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’। বিএনপির হিসাব মতে, এটি দুই হাজারেরও বেশি। এক লাখের ওপর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজকে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে যে ব্যক্তি ভিন্নমত পোষণ করে তাকে হয় গ্রেফতার করা হয়, নতুবা গুম করা হয়। সেজন্য অনেক নেতা, মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকও গুম হয়েছেন।
পাকিস্তান আমলের চেয়েও গত ১০ বছরে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ থেকে বারবার বাংলাদেশকে ডাকা হয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় চার বছর আগে বাংলাদেশ যে অঙ্গীকার করেছিল, তার একটিও রক্ষা করেনি। এজন্য গতবার সরকারের প্রতিনিধিদের তিরস্কার করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রক্রিয়া গ্রহণ করছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, গার্মেন্ট শ্রমিক, বিদেশে নারী শ্রমিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু সরকার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিএনপির অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ফখরুল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি শুদ্ধি অভিযানের নামে শুধু ছোটখাটো যারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। যারা বড় রুই-কাতলা, যারা সমাজকে গ্রাস করছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।
আজ সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমন তারিখ ঘোষণা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি এই কথাটা বলতে চাই, আজ সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি দমনের সাথে সাথে বাংলাদেশে যে দুর্নীতি সর্বগ্রাসী হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে জনগণের রুখে দাঁড়ানো দরকার।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতি শুধু আর্থিক হয় না। সামাজিক ও রাজনৈতিক দুর্নীতি সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে একটি। আমাদের দেশে সমস্ত দুর্নীতি শুরু হয়েছে। আজ আর্থিক দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, সেখানে দুদকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য...।’
আগামী বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে দেখি কী হয়।’
বিএনপি আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তাদের এই কথাগুলো বলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ জনগণের কাছে তাদের কোনো জায়াগা নেই। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের আর কোনো ভিত্তি নেই। তারা জোর করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছেন। এসব কথা না বললে মিডিয়াতেও টিকে থাকতে পারবেন না।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিয়েছি, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।’
জাসাস সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নায়ক হেলাল খান, সহ-সভাপতি জাহেদুল আলম হিটোসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের পুরোনো-নতুন, ছোট-বড় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে ভাঙনের ঘটনা ঘটে চলেছে। ভাঙনে জর্জরিত দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতাসীন জোটের দু’একটি থাকলেও অধিকাংশই বিরোধী অংশ বা জোটের। এ বিরোধী অংশ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে ঐক্যের আহ্বান জানালেও নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারছে না। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে দল ভেঙে নতুন প্লাটফর্ম দাঁড় করাচ্ছেন নেতারা। গঠনমূলক রাজনীতি-চর্চার অনুপস্থিতির কারণেই দলগুলোতে এভাবে ভাঙন চলছে বলে মত বিশ্লেষকদের। তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলছেন, বিরোধী অংশের এভাবে ভাঙনে জর্জরিত হয়ে পড়া গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক নয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবশেষ ভাঙনের মুখে পড়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনের আলোচিত প্লাটফর্ম জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন এই দল থেকে সিনিয়র এক নেতাকে বহিষ্কার করাকে কেন্দ্র করে সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনের নেতৃত্বে একটি অংশ বেরিয়ে গেছে। সম্প্রতি আবদুল মালেক রতনসহ আট নেতা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, তারাই মূল জেএসডি। এমনকি জেএসডির আগামী সম্মেলনকে অবৈধ দাবি করে কনভেনশনের ডাকও দিয়েছেন রতনপন্থিরা।
সম্প্রতি ভাঙনের মুখে পড়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল কর্নেল (অব.) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এলডিপি)। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরে অলি আহমদকেই বাদ দিয়ে একই নামে আরেকটি দলের ঘোষণা দেন সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম। সংবাদ সম্মেলন করে তার নতুন প্লাটফর্ম ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন এলডিপির পদবঞ্চিত নেতারা। যদিও এরপর সম্প্রতি এলডিপির এক সভায় সেলিমের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন অলির অনুসারীরা।
এছাড়া সরকারবিরোধী অংশের প্রধান দল বিএনপি থেকেও পদত্যাগ করেছেন বা সরে গেছেন দলটির বেশ কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য।
তাছাড়া গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে থেকেও সমমনা কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’ নামে আরেকটি জোট গড়ে তোলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
সরকারবিরোধীদের পাশাপাশি নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে ফাটলের নজির দেখা গেছে ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দলগুলোতেও। সম্প্রতি দুই ভাগে সম্মেলন করেছে ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
পার্টির একটি অংশে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্ব থাকলেও আরেকটি অংশের নেতৃত্বে রয়েছেন পলিটব্যুরোর সদস্য নুরুল হাসান ও ইকবাল কবির জাহিদসহ ছয় নেতা। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) নাম দিয়ে আনা নতুন প্লাটফর্মে সভাপতি নুরুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিনে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ ও ভালোই আছেন। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে। শ্বাসকষ্ট নেই, দাঁতের সমস্যাও ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু দাঁতটা ফেলে দেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও এখনো ফেলা হয়নি। তবে সব রোগ ভালোর দিকে থাকলেও গিরার ব্যথা আগের মতোই রয়ে গেছে। কিছুটা শীত নামায় বরং ব্যথাটা বেড়েছে। এ কারণে নিজে চলাফেরা করতে পারেন না। হুইল চেয়ারে বসেই চলাফেরা করতে হয়।
গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ছয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড (মেডিসিন, অর্থপেডিক, বক্ষব্যাধি, বাতজ্বর, কার্ডিওলজি ও ফিজিক্যাল মেডিসিন) খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য এসব তথ্য জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে কি-না? জানতে চাইলে একাধিক সদস্য জানান, মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা সরাসরি কোনো প্রতিবেদন দেন না। শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে রোগীর ফাইলে মতামত দেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোট দেখে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন তৈরি করেন।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন দাখিলে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের নির্দেশনা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি না হওয়ায় তা আদালতে দাখিল করা হয়নি।
এদিন খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের প্রতিবেদন দাখিলে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। প্রধান বিচারপতি এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
মেডিকেল বোর্ডপ্রধান বিএসএমএমইউ মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক জিলন মিঞা সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাশাল্লাহ ভালো আছেন। তবে গত ১ এপ্রিল ভর্তির দিন যেমন ব্যথাজনিত কারণে কষ্ট ছিল, এখনো তেমন কষ্ট আছে। ওনার অনুমতি না পাওয়ায় সর্বাধুনিক চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি। ওনাকে বেশ কয়েকবার অনুরোধ জানালেও তিনি রাজি হননি। উনি বলেছেন, উনার কোনো এক আত্মীয় ওই চিকিৎসা নিতে গিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়েছেন। তাই উনি ঝুঁকি নিতে চান না। তিনি রাজি না হওয়ায় মেডিকেল বোর্ড আর পীড়াপীড়ি করেনি। এ কারণে তার গিরার ব্যথা ভর্তির সময় যেমন ছিল, তেমনই রয়ে গেছে।’
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। রোববার ঢাকার সব থানা ও সারাদেশের জেলা এবং মহানগরে এ কর্মসূচি পালিত হবে।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
দলের সম্পাদকমণ্ডলী এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক/আহ্বায়ক-সদস্য সচিবদের নিয়ে যৌথ সভায় বসেছে বিএনপি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা শুরু হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সভাপতিত্ব করছেন।
সভায় আরও উপস্থিত আছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেসারুল হক, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দফতর সম্পাদক ডা. আব্দুর রাজ্জাকসহ প্রমুখ।
সভা শেষে বিএনপি মহাসচিবের ব্রিফ করার কথা রয়েছে।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজ খাওয়া বন্ধ করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন, এবার চালের দাম বৃদ্ধিতে তাহলে ভাত খাওয়া বন্ধ করুক। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার জনগণের দুর্ভোগ নিয়ে তামাশা শুরু করেছে।’
বাজারপরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এমন মন্তব্য করেন।
বামপন্থী এই নেতা বলেন, ‘এ সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করছে প্রতিনিয়ত। খাদ্য মানুষের মৌলিক অধিকার। খাদ্যমূল্য সাধারণের হাতের নাগালের বাইরে। মানুষের জীবন বাঁচানো দায় এখন। অথচ সংবিধানে বাজারপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা আছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে এক মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে’। এ সরকারও বাজারকে আল্লাহর নামে ছেড়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি একটি স্বাভাবিক মাত্রা নির্ধারণ করে না। অথচ খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার আপাতত প্রয়োজন নেই! এমন মন্তব্য জনগণকে হতাশ করা ছাড়া কিছুই দেয় না।
সেলিম বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি বেসামাল হওয়ার সম্পূর্ণ দায় সরকারের। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় এসে সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। মানুষকে কথা বলতে দিচ্ছে না। রাস্তায় নামতে দিচ্ছে না। এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। নইলে সরকারের জন্যও পরিণতি ভালো হবে না।’
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
কাফনের কাপড় পরে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঘুরছিলেন এক ব্যক্তি। জানা গেল তার নাম জহিরুল ইসলাম। তিনি আপন হিজড়া নামে পরিচিত। তিনি এসেছেন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছেন তিনি। বলছেন, জিয়া পরিবারের জন্য ফাঁসির মঞ্চে যেতেও রাজি তিনি।
তার হাতে দুটি প্ল্যাকার্ডও দেখা গেল।তার একটিতে লেখা- খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আরকেটিতে লেখা- দেশনেত্রীর মুক্তি চাই।
শরীরে কাফনের কাপড় জড়িয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে চলার পথে রাজনৈতিক স্লোগানও দিচ্ছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিনি রাজপথে নেমেছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে পারি জিয়াউর রহমান আমি তোমায় ভালোবাসি। আমি মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে বলতে পারি আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। আগামী প্রজন্ম তোমার অপেক্ষায় আছে। এখন এই ডিসেম্বর মাসে আমাদের একটাই দাবি খালেদা জিয়ার মুক্তি।
তার এসব কর্মকাণ্ডে হাসাহাসি করেতে দেখা গেছে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সতর্ক অবস্থানে থাকা পুলিশের কর্মকর্তাদের।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি সাত দিন পিছিয়ে দেয়ায় এবং তার আইনজীবীদের মৌখিক আবেদন গ্রহণ না করায় সমগ্র জাতি শুধু হতাশই নয়, বিক্ষুব্ধও হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘অত্যন্ত বিস্ময় ও উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার শুরু থেকেই সাধারণ মানুষ যে সুযোগ-সুবিধা পান, তাকে সে সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়নি। এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৭ দিনের মধ্যে জামিন হয়। কিন্তু তার ক্ষেত্রে এটা হয়নি। খালেদা জিয়ার জামিনে পদে পদে বাধা দেয়া হচ্ছে। তার জামিন না দেয়াটা প্রচলিত রীতিনীতির বিরুদ্ধেই শুধু নয়, অমানবিকও বটে।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন উপস্থাপন না করার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন উপস্থাপনে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত অবমাননা করেছেন বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ‘আনঅফিসিয়াল সূত্রের খবর, গত রাতে রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে এটা বন্ধ হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সরাসরি আদালতের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার চান না দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) জামিন হোক। তিনি খালেদা জিয়াকে ‘সন্ত্রাসের গডমাদার’ বলেছেন। বলেছেন, তিনি রাজার হালে আছেন। এর মাধ্যমে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে ভয় দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি কাকতালীয় কি-না জানিনা। একদিকে সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করা হয়েছে, অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য। তার এই বক্তব্য ও এই ঘটনায় আদালতের ওপর থ্রেট (হুমকি) করা হয়েছে বলে মনে করি। এটা ফ্যাসিবাদের একটি রূপ। তারা ভয় দেখাতে চায়।’
ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা না হলে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। তার চিকিৎসার ক্রমাবনতি ও চিকিৎসা না হওয়ার দায়-দায়িত্ব এই সরকার প্রধানকে বহন করতে হবে।’
এদিকে খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানি পেছানোর ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
পদত্যাগ করা এক সেকেন্ডের বিষয়, তাতে যদি পেঁয়াজের দাম কমে-বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এই বক্তব্যকে কথার কথা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘কেউ কেউ আমার পদত্যাগ দাবি করছেন। পদত্যাগ করা এক সেকেন্ডের বিষয়, তাতে যদি পেঁয়াজের দাম কমে। এই মন্ত্রিত্ব কাজ করার জন্য।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এটা তো কথার কথা। যদি গ্যারান্টি থাকত আমি পদত্যাগ করলে পেঁয়াজের দামটা কমে যাবে, সেটা তো কথার কথা। সেটা তো পদত্যাগ করার বিষয় নয়, মন্ত্রী হিসেবে তিনি কথা প্রসঙ্গে হয়তো বলেছেন। যেহেতু পেঁয়াজের দাম বাড়তি, কেউ কেউ তো মন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করে। সেজন্য বলেছেন, পদত্যাগ করলে যদি সমাধান হয়ে যেত তাহলে আমি এক সেকেন্ডেই পদত্যাগ করতাম।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা উনি (বাণিজ্যমন্ত্রী) অযৌক্তিক কিছু বলেননি, এটা কথার কথা বলতেই পারেন।’
|
|
|
|
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে বৈঠকে বসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিল চেম্বারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
দলীয় সিন্ডিকেটের কারণে সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে গেছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিক্রিয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, ‘দুর্নীতির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারকে অসহনীয় করার জন্য দায়ী ভোটারবিহীন সরকার। দলীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে এবং টিসিবিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।’
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের। কে কী খাবে তা নির্ধারণ করা সরকারের দায়িত্ব নয়।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই বলে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে জনগণ তা মেনে নেবে না।’
রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে দেশের ক্রিয়াশীল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সরকার এমন অভিযোগ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জবাবদিহিতার সরকার গঠন করতে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে অবাধ নির্বাচন দেয়ার।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি একথা বলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতালের কাছে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন রিজভী।
মিছিল শেষে এক পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমান্বয়ে চরম অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। দেশনেত্রীকে চিকিৎসা দেয়ার নামে নানা টালবাহানা ও জনগণকে ধোঁকা দেয়ার চেষ্টা করছে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের দাবি উপেক্ষা করে বেগম জিয়াকে কোনো বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হয়নি। তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটা সত্ত্বেও সরকারের লোকেরা বেগম জিয়া সুস্থ আছেন বলে তোতা পাখির মতো সরকারের শেখানো বুলি আউড়িয়ে যাচ্ছে।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় আপনি অমানবিক কষ্ট দিচ্ছেন। বেগম জিয়ার প্রতি এই নিষ্ঠুরতা বিশ্বের স্বৈরশাসকরা যে আচরণ করে সেই আচরণেরই সমতুল্য। বেগম জিয়াকে আর কষ্ট না দিয়ে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন। আপনি জনগণের পুঞ্জীভূত ক্রোধ আঁচ করতে পারছেন না বলেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি না দিয়ে তাকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার চেষ্টায় উঠেপড়ে লেগেছেন। কিন্তু আপনার নেতৃত্বে পরিচালিত ফ্যাসিবাদী সরকারের লোহার খাঁচা ভেঙে দেশনেত্রীকে মুক্ত করার জন্য জনগণ এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’
দেশে ভয়াবহ দুঃশাসনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণের এখন নাভিশ্বাস উঠেছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘দেশ পরিচালনায় আপনারা এখন চারদিক দিয়েই ব্যর্থ। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুঃশাসনকে প্রতিরোধ করার জন্য মানুষ এখন পথে পথে প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। সরকারের উদ্দেশে বলতে চাই-পৃথিবীর অতীত ইতিহাস ভুলে যাবেন না, কোনো স্বৈরাচারী শাসক এভাবে দেশে দুঃশাসন চালু রেখে জনগণের রোষানল থেকে রেহাই পায়নি। যুগে যুগে বিশ্বে স্বৈরশাসকের পতনের মতোই আপনাদেরও যেকোনো মুহূর্তে পতনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বিক্ষোভ মিছিলে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আশফাক, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, পশ্চিম ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান জুয়েল এবং যুবদল নেতা সোহেল প্রমুখ অংশ নেন।
|
|
|
|
স্টাফ রিপোর্টার
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ দানব সরকারকে সরাতে হলে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। এটাই হচ্ছে একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেকেই হতাশার কথা বলেন। তবে হতাশাই শেষ কথা নয়। মনে রাখতে হবে অন্ধকারের পরেই আসবে নতুন ভোর।’
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের রোল মডেলের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন যা দাঁড়িয়েছে তারা এখন সন্ত্রাসের রোল মডেল, ধর্ষণের রোল মডেল, তারা দুর্নীতির রোল মডেল। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দিচ্ছে।’
‘টাকা বানানো একটা রোগ` প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সে রোগে তো আপনারাই বেশি আক্রান্ত। আপনার সোনার ছেলেদেরকে এখন ধরে ধরে আনছেন, বলার চেষ্টা করছেন যে তোমরা এখন ভালো হয়ে যাও।
তিনি বলেন, ‘এ দেশে কেউ এখন নিরাপদ নয়। যারা একটু শারীরিকভাবে দুর্বল তারা বেশি অনিরাপদ। দুই মাসের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বৃদ্ধা অথবা তরুণ-যুবক, বাবা, ভাই, কেউ কিন্তু নিরাপদ নয়। বাংলাদেশ আসলে এখন একটি সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছে। সারা দেশে প্রতিদিনই নারী ও শিশুর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে।’
ফখরুল বলেন, সমাজকে বিভক্ত করে ফেলা আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অপরাধ। সমাজকে পুরোপুরিভাবে দূষিত করে ফেলেছে তারা। চারদিকে তাকালেই দেখা যাবে বিভক্তি। এ বিভক্তিটা ভয়ঙ্করভাবে সমাজের মধ্যে চলে গেছে। সেই ভয়ে, ত্রাসে কেউ কথাও বলতে চায় না।
নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থায়ী কমিটির সাদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
|
|
|
|
নিজস্ব প্রতিবেদক
পঁচাত্তরের পর শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ রাজনীতিক একজনও নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের যে শিক্ষা দিয়েছেন সেই পথ শেখ হাসিনা আমাদের অনুসরণ করতে বলেছেন। একজন রাজনীতিকের মানুষের ভালোবাসা পাওয়া ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার নেই। অনুকরণ করতে হবে। শেখ হাসিনার চেয়ে সৎ রাজনীতিক পঁচাত্তরের পর একজনের নাম কেউ বলতে পারবে না।
এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের সাধারণ জীবনযাপনের বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেন করাপশন করবেন? কেন অনিয়ম করবেন? কেন দুর্নীতি করবেন? কেন টেন্ডারবাজি করবেন? কেন চাঁদাবাজি করবেন? বঙ্গবন্ধু পরিবার এই দেশে সততার রাজনীতির প্রতীক। এই পরিবার থেকে শিক্ষা নিন সততা কাকে বলে।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি কেনাবেচার পণ্য নয়। রাজনীতি আপন ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার নয়। শেখ হাসিনা আমাদের এমন শিক্ষাই দিয়েছেন। রাজনীতিকে জনগণের ভাগ্য গড়ার হাতিয়ার।
কাদের বলেন, আমাদের নেত্রী যে শুদ্ধি অভিযানের সূচনা করেছেন এই শুদ্ধি অভিযান কে সফল করতে হবে। মনে রাখবেন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর বেশি দূরে নয়। এই সম্মেলন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার শপথ নিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সম্মেলন পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
|
|
|
|
|
|
|