পলাশবাড়ী থেকে মাসুদার রহমান মাসুদ : মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। প্রায় অচল প্রকৃতি যেন আবারও মেলে ধরতে শুরু করেছে তার মাধুর্য। করোনার এমন পরিস্থিতিতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী সাদুল্লাপুর উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে দিনদিন পাল্টে গেছে জনপদ।
প্রতি বছর গ্রামীণ জনপদের রাস্তাঘাট সেতু-কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন,নির্মাণ, পুননির্মাণ ও সংস্কারের লক্ষ্যে ব্যাপক জনপদ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়।
পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম ৯-১২-২০২১ যোগদানের পর হতে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পলাশবাড়ী-সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের গ্রামীণ জনপদের রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অসচ্ছল বীরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীরনিবাস ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক – সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক উন্নয়ন বাস্তবায়নে পাল্টে গেছে জনপদের দৃশ্যপট। সেই সাথে উপজেলা পরিষদের টিআর কাবিখা, কাবিটার আওতায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট, রাস্তা সংস্কারের ফলে পাল্টে গেছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাও জীবনযাত্রার মান।
এছাড়াও গাইবান্ধা ৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপির সদিচ্ছায় ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় গ্রামীণ জনপদ উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচী ‘কাবিখা’ ও কাজের বিনিময়ে টাকা ‘কাবিটা’ টেস্ট রিলিফ ‘টিআর’ও ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচী এবং প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে সন্তোষজনক জনমুখী কাজের ব্যাপ্তি বর্ধনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সরেজমিনে প্রকল্প এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন দেখা গেছে। উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় বদলে যেতে শুরু করেছে এলাকাবাসীর জীবন-জীবিকার মান। যেখানে পা বাড়ানোই ছিল দুঃস্বপ্ন,সেখানে আবারো ছুটে চলছে ভ্যানসহ ছোট ছোট সব ধরনের যানবাহন। যাতায়াতে এসেছে পরিবর্তন। অন্যদিকে,ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে হাজারো মানুষের দুঃখ লাঘব ও অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে সেতু-কালভার্ট নির্মাণও সংস্কার হওয়ায় মানুষের জীবনমান উন্নয়নও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি চিত্র ও পাল্টে গেছে এলাকার। গ্রামীণ এসব কাঁচা রাস্তা সংস্কারের ফলে এলাকার স্কুল-কলেজ গামী হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী আর এলাকার বয়োস্ক বৃদ্ধ রোগীরা যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন। এলাকাবাসীরা জানান, জনস্বার্থে মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান কমিউনিটি ক্লিনিক, রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্টসহ স্থাপনে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে সকলের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। এলাকার ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যাতায়াতও নিশ্চিত হয়েছে।
এব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্ম কামরুজ্জামান জানান নিয়মিত তদারকি নজরদারির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রকল্প গুলোর কাজ শতভাগ হয়েছে আপনারা এলাকাবাসীর কাছে জিজ্ঞাসা করলে বুঝতে পারবেন। আমরা চাই এলাকার উন্নয়ন। উপজেলায় ২০২১-২২
অর্থ বছরে ইজিপিজি, টিআর, কাবিখা, কাবিটা, কর্মস‚চীর আওতায় প্রায় প্রতিটি রাস্তাঘাট, নির্মাণও পুননির্মাণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন দৃশ্য মান। প্রত্যন্ত এলাকায় গ্রামীণ জনপদের হাজারো মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।
অপর দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম প্রতিবেদক,কে জানান, নিয়মিত নজরদারির মাধ্যমে উপজেলায় যেভাবে রাস্তার উন্নয়ন কাজ হচ্ছে, সেটা অব্যাহত থাকলে দ্রুত গ্রামীণ দুর্ভোগ আর অর্থনীতিতে আসবে পরিবর্তন। প্রকল্প পিআইসি সভাপতিরা জানিয়েছেন শতভাগ কাজ হওয়ার পরে বিল প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা-৩ আসনের সাংসদ এ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি’ বলেন, ৩১,গাইবান্ধা-৩,(পলাশবাড়ী ও সাদুল্লাপুর) নির্বাচনী এলাকায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে গ্রামগুলোর চেহারা অনেকটাই বদলে যাবে। বিশেষ করে সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন, ব্রিজ-কালভার্ট স্থাপনে পল্লী অঞ্চলের মানুষের কর্মকান্ডে বাড়তি গতি আসবে।
|