মিয়া আবদুল হান্নান : রাজধানী ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী তীর ঘেষে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কালিন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ্ কিত্তা (মুসলিমবাদ) হাফেজ মাওলানা মুফতি আহসান উল্লাহ খুন হয়েছে। নিজ বাসভবনের ফ্ল্যাট থেকে মুফতি হাফেজ মাওলানা আহসান উল্লাহর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। । আজ ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় কালিন্দী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ কিত্তার মুসলিমবাগ এলাকায় ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তালার ফ্ল্যাটের রান্নাঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
হাফেজ মাওলানা মুফতি আহসান উল্লাহ ছিলেন খেলাফত মজলিস কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও আহমেদাবাদ ব্রাহ্মণ কিত্তা( পশ্চিম বড়িশুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, কেরানীগঞ্জ ইমাম সমিতির সভাপতি, ব্রাহ্মণ কিত্তা এলাকায় তিনি এসএস ডোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ছিলেন। মাওলানা মুফতি আহসান উল্লাহর মৃত্যু কালে তার হয়েছিল ৪৫ বছর, তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। আজ ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় তার নিজ ফ্লাটের রান্নাঘর থেকে গলাকাটা অবস্থায় লাশটি কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদান্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কে,বা কাহারা, কি কারনে তাকে হত্যা করেছে তা উৎঘাটনের জন্য এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহের পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকারিকে ধরতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ দিনভর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে। লাশ দেখে প্রথমে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে যান। নিহতের বড় ছেলে মোঃ. ঈসান উল্লাহ বলেন রাতে বাবাকে নিয়ে বেডরুমে একসাথে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোরে বাবা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য বিছানা ছেড়ে উঠে যায়। আমি ঘুম থেকে জেগে রান্নাঘরে বাবার গলাকাটা লাশ দেখতে পাই। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও র ্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে। নিহত হাফেজ মাওলানা মুফতি আহসান উল্লাহ জাতীয় ইমাম পরিষদ কেরানীগঞ্জ উপজোলা শাখার সভাপতি ও মডেল থানার ব্রাহ্মণকৃত্তা এলাকায় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকরা বলছেন বড় হুজুর খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকায় তার সাথে কোন শত্রুতা ছিলোনা। এব্যাপার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল শাহাবুদ্দিন কবির জানান কে,বা কাহারা, কি কারনে তাকে হত্যা করেছে তা উৎঘাটনের জন্য এলাকার সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহের পর্যবেক্ষণ করে হত্যাকারিকে ধরতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ দিনভর বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে। লাশ দেখে প্রথমে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে যান। নিহতের বড় ছেলে মোঃঈসান বলেন রাতে বাবাকে নিয়ে বেডরুমে একসাথে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে বাবা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য বিছানা ছেড়ে উঠে যায়। আমি ঘুম থেকে জেগে রান্নাঘরে বাবার গলাকাটা লাশ দেখতে পাই। ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে পৌছে বিভিন্ন আলামত সংগ্র করে তদন্ত শুরু করেছে। নিহত মুফতি আহসান উল্লাহ জাতীয় ইমাম পরিষদ কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও মডেল থানার ব্রাহ্মণকৃত্তা এলাকায় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। আলেমদের সংগঠন ইফতেফাকুল ওলামা কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সহকারী কোষাধ্যক্ষ ও ব্রাম্মনকিত্তা এলাকার মাহফুজুল কোরআন মাদরাসা অধ্যক্ষ ছিলেন। পাশাপাশি পারিবারিকভাবে এস এস ডোর ফার্নিচারের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। পৃথক পৃথকভাবে সিআইডি ক্রাইমসিন সদস্যরা ঘটনাস্থলে আলামত সংগ্রহ করেছে। ছাত্র ও শিক্ষকরা বলছেন বড় হুজুর খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। এলাকায় তার সাথে কোন শত্রুতা ছিলোনা। এব্যাপার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মাদ্রাসাছাত্র আরিফুল ইসলাম জানায়, বড় হুজুর খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা পুলিশ এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছে না।
নিহত মুফতি আহসান উল্লাহ ছিলেন খেলাফত মজলিস কেরানীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি। এছাড়া তিনি আবাসন ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি স্ত্রী, চার পুত্র ও দুই কন্যা নিয়ে নিজ ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রতিদিন মুফতি আহসান উল্লাহ ফজরের নামাজের সময় তার নিচতলার ফ্ল্যাটে থাকা প্রতিদিন বৃদ্ধা মাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন, অজুর পানি নিজ হাতে তুলে দিতেন । কিন্তু আজকে তার মাকে অজুর পানি দেয়নি আর ডেকে তোলেননি। তার মা কান্নাকাটির শব্দ শুনে ছেলের ফ্ল্যাটে যান রান্নাঘরে ছেলের গলাকাটা লাশ ও একটি ধারালো ছুরি দেখতে পান। নিহত আহসান উল্লাহর অপর ছয় ভাই ভবনটির বিভিন্ন তলায় বিভিন্ন ফ্ল্যাটে আলাদাভাবে বসবাস করেন। মাদ্রাসাছাত্র আরিফ জানায়, বড় হুজুর খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা পুলিশ এই মুহূর্তে কিছুই বলতে পারছে না।কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন উর রশীদ সাংবাদিকদের জানান। মুসলিমাবাদের বাসা থেকে মুফতি আহসান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলা কাটা ছিল, বলে জানান ওসি মামুন উর রশীদ। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়েছে ।
|