নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (১৩ নভেম্বর) খুলনায় আসছেন। এদিন বিকেল ৩টায় খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন তিনি। ২০১৮ সালের পর এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনায় জনসভা।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠকে ঘিরে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে চলমান নৌকার আদলে মঞ্চ প্রস্তুত। মঞ্চের সামনে সার্কিট হাউজ মাঠের মূল অংশকে কয়েকভাগে ভাগ করা হয়েছে। যা এর আগে কোনো জনসভায় দেখা যায়নি। মাঠে প্রবেশের পথগুলোতেও নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বসানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা। যা দিয়ে পুরো জনসভাস্থল মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রূপসা পাড়ের খুলনার প্রবেশ পথসহ প্রধান প্রধান সড়কে তৈরি হয়েছে অসংখ্য তোরণ। বড়-ছোট সব রাস্তাতেই শোভা পাচ্ছে প্যানা, ব্যানার ও ফেস্টুন। একাধিক ভ্রাম্যমাণ মাইকে প্রচার হচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের গান।
প্রধানমন্ত্রীর এ জনসভা যেন নগরবাসী দূর থেকেও দেখতে পায় এ জন্য ডাকবাংলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়সহ একাধিক স্থানে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রজেক্টর। খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠের এ জনসভা থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনার ২২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সঙ্গে নতুন প্রতিশ্রুতির ঘোষণাও দিতে পারেন।
রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত খুলনা-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর যুবলীগের সভাপতি সফিকুর রহমান পলাশ বলেন, খুলনার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুবই আন্তরিক। তিনি খুলনাবাসীকে রেলসেতুসহ দিয়েছেন অসংখ্য প্রকল্প। এতে এই অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে সমগ্র খুলনা জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ জনসভায় ১০ লাখের বেশি জনসমাগম ঘটানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। বিভাগের দশ জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও এখানে নেতাকর্মীরা থাকবেন।
খালেক আরও বলেন, জনসভা সফল করতে সবধরনের প্রস্তুতি শেষ। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় খুলনা।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে আগের সব জনসভার চেয়ে বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঞ্চ নির্মাণের শুরু থেকেই মাঠে প্রবেশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। যা এখনো কার্যকর আছে। মাঠে প্রবেশের জন্য পথগুলোতে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে।
সোমবার সকালে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, দল বেঁধে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন নেতাকর্মীরা। বিশাল বিশাল মিছিল সহকারে আসছেন তারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়ায় ধীর গতিতে মাঠে প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে জনসভাস্থলসহ পুরো মহানগরী জুড়ে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যরা। তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে খুলনা মহানগরীসহ প্রবেশপথগুলোতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশপথসহ সন্দেহজনক সবাইকে তল্লাশির আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সব সময় সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয়। জনসভাস্থলে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্কিট হাউজ মাঠ ও আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
|