ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বায়ুদূষণ কোনো দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, তাই দ্বিপাক্ষিক আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুদূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করার বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রদ্যুৎ বরদলৈ এমপির নেতৃত্বে ভারতীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে।
এ দিন জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে স্বনীতি গ্লোবাল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক ডায়ালগ’ অনুষ্ঠিত হয়।
স্পিকার বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বায়ুদূষণ রোধে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে উভয়পক্ষের অর্জিত জ্ঞান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বায়ুদূষণ প্রতিরোধ সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক উষ্ণতা, বায়ুদূষণ মৌলিক মানবিক ইস্যু, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রদ্যুৎ বরদলৈ বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সংসদীয় উদ্যোগ ও সরকারের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ভারতের প্রতিনিধিদলের ড. ফৌজিয়া খান এমপি বলেন, বায়ুদূষণ কমানোর জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সাথে নিয়ে এবং তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই জীবিকা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, জনস্বাস্থ্য মৌলিক বিষয়, এজন্য বাংলাদেশ এটাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি বায়ুদূষণ রোধে ককাস গঠনের পরামর্শ দেন।
‘পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর ক্লিন এয়ার’-এর ওপর একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ‘পিজিসিএ’-এর সদস্য প্রদ্যুৎ বরদলৈ ও ড. ফৌজিয়া খান।
এ দ্বি-পাক্ষিক ডায়ালগে নাহিম রাজ্জাক এমপি, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন এমপি, পীর ফজলুর রহমান এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, রাজি মোহাম্মদ ফখরুল এমপি, তামান্না নুসরাত বুবলী এমপি এবং উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম এমপি মতামত দেন।
|