প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলার প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। তবে আগুন লাগার কারণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানান তিনি।
গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী জানান, ভবনটি সংস্কারযোগ্য কিনা তা নির্ধারণের জন্য পরিদর্শন করা হবে, তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সংস্কার সম্ভব কিনা স্পষ্ট হবে। সংস্কারের সময়সীমাও তদন্ত রিপোর্টের ওপর নির্ভর করবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছিলেন, সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন আজ সোমবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, তদন্তকাজের অংশ হিসেবে কমিটি প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে কিছু আলামত দেশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। তারা যদি প্রয়োজন মনে করেন, কিছু আলামত দেশের বাইরে পাঠিয়েও পরীক্ষা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর গভীর রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৭ নম্বর ভবনে। আগুনে এই ভবনে থাকা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতেও বড় ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির ক্ষতিগ্রস্ত তলাগুলো আপাতত ব্যবহার করার সুযোগ নেই। এ জন্য অস্থায়ীভাবে বিকল্প অফিস করছে মন্ত্রণালয়গুলো।
|