বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, আজকে শুধু পার্শ্ববর্তী দেশই অপতথ্য, অপপ্রচার কলঙ্ক লেপনের চেষ্টা করছেন না, ভিতর থেকেও অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাচ্ছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে সংসদ ভবন সংলগ্ন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের গণতন্ত্রে এত যে আত্মদান, এত মানুষ নিরুদ্দেশ, এত মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার, আজকে তো সকল গণতন্ত্রমনা শক্তি সঙ্গে থাকার কথা ছিল অথচ এই শক্তিকে ফাটল ধরিয়ে দুই একটি রাজনৈতিক দল ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন, এদেশের মানুষ সব জানেন, তারা দেশ প্রেমিক, স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, বহুদলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করে।
জামায়াতের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা সম্পর্ক উন্নয়ন করতে চান ভারতের সঙ্গে, শেখ হাসিনার প্রতিটি গুম-খুনের দোসর হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ। সুখরঞ্জন বালিকে হাইকোর্টের গেইট থেকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে, তাকে টর্চার করে টাকা অফার দেওয়ার পরেও সে যখন মাথা নোয়ায়নি তাকে তখন ভারতে পাচার করে দিয়েছে। ভারতের কারাগারে সে ৫ বছর ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে সে এইকথাগুলো বলছে। এরপরেও আপনারা বলবেন, শেখ হাসিনার সব মাফ করে দিবেন? ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন। এর মধ্য দিয়েই তো প্রমাণিত হয়, আপনারা ন্যায়নীতির পরোয়া করেন না। আপনারা রাজনীতির নামে ধান্ধাবাজি করেন।
তিনি আরও বলেন, আপনার দলের প্রধান নেতাদের নামে যারা জুডিসিয়াল প্রক্রিয়ার নামে জুডিসিয়াল কিলিং করলো তাদের বলছেন আপনারা মাফ করে দিবেন। তাহলে ইসলামের যে মর্ম বাণী, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর, প্রতিরোধ কর সেটা তো আমাদের মধ্যে নাই। করুণার কথা বলা হইছে, যে ক্ষমা চাইবে তাকে করুণা কর। তার বিভিন্ন ধাপ আছে, বিভিন্ন পর্যায় আছে। ওরা ক্ষমা চাইলো না, কিছু না, আপনারা ক্ষমা করে দিবেন, সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন অর্থাৎ আপনারা আপনাদের রক্তের সঙ্গেই বেইমানি হলো না? যেমন ১৯৮৬ সালে আপনারাও বলেছিলেন নির্বাচনে যাবেন না কিন্তু গিয়েছিলেন।
|