আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের উত্তর গাজায় পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে চার ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ছয় সেনা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর বরাত দিয়ে এই খবর দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার উত্তর গাজার বেইত হানুনে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে চার সেনা নিহত এবং ছয় সেনা আহত হয়েছেন। এ নিয়ে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরুর পর নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪০২ জনে।
আইডিএফ নিহত চার সেনার পরিচয় জানিয়েছে। তারা হলেন সার্জেন্ট মেজর (অব.) আলেকজান্ডার ফেডোরেঙ্কো, স্টাফ সার্জেন্ট ড্যানিলা দিয়াকভ, সার্জেন্ট ইয়াহাভ মায়ান এবং সার্জেন্ট এলিয়াভ আস্তুকার। আহত ছয় সেনার মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে আইডিএফ জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলের বেইত হানুনে পুঁতে রাখা বিস্ফোরকের আঘাতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা থেকে বাদ যায়নি ২৩ লাখ বাসিন্দার এই উপত্যকার মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আবাসিক ভবন, এমনকি শরণার্থী শিবিরও। ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ইসরায়েলি নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজাবাসী চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান জোরোলো করেছে আইডিএফ। জাবালিয়া এবং বেইত লাহিয়ায় অভিযানের পর এখন বেইত হানুন এলাকায় মূল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা।
এদিকে শনিবার গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠক শেষে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানসহ উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল কাতারে পাঠানোর কথা জানানো হয়। কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হামাসের হাতে আটক বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে আলোচনা কিছুটা এগিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
|