মিয়া আবদুল হান্নান : আল্লাহর তাআলার দয়া ও তওফিক ছাড়া কেউ হেদায়াত লাভ করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা দয়া করে যাদেরকে ইচ্ছা সঠিক পথ প্রদর্শন করেন, সঠিক পথে অবিচল থাকার তওফিক দান করেন, আবার অনেককে আল্লাহ তাআলা পথভ্রষ্ট করেন অর্থাৎ তারা নিজেদের দম্ভ, অহমিকা জুলুম ও পাপাচারের কারণে আল্লাহর অনুগ্রহ ও হেদায়াতের তওফিক থেকে বঞ্চিত হয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন,
আমি প্রত্যেক রাসুলকে তার জাতির ভাষাতেই পাঠিয়েছি, যাতে সে তাদের কাছে বর্ণনা দেয়; তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সঠিক পথ দেখান। আর তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা ইবরাহিম: ৪)
আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
আল্লাহ যাকে হেদায়াত করতে চান তার বক্ষ ইসলামের জন্য প্রশস্ত করে দেন। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করতে চান তার বক্ষকে সংকীর্ণ-সংকুচিত করে দেন; যেন সে আকাশে-ঊর্ধ্বে আরোহণ করছে। এভাবেই আল্লাহ অকল্যাণ দেন তাদের উপর যারা ইমান আনে না। (সুরা আনআম: ১২৫)
তাই আল্লাহ তাআলার কাছে সব সময় হেদায়াত এবং হেদায়াতের ওপর অবিচলতার জন্য দোয়া করা উচিত, পথভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয়ের জন্য দোয়া করা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা দ্বীনের ওপর অবিচলতা ও পথভ্রষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করে আমাদের দোয়া করতে শিখিয়েছেন,
হে আমাদের রব, আপনি হেদায়াত দেওয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি মহাদাতা। (সুরা আলে ইমরান: ৮)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) (পথভ্রষ্টতা থেকে আশ্রয় চেয়ে) দোয়া করতেন,
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম, আপনার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করলাম, ভরসা করলাম এবং আপনারই দিকে নিজেকে ফেরালাম এবং আপনারই সাহায্যে লড়াই করলাম। হে আল্লাহ! আমি পথভ্রষ্টতা থেকে আপনার মর্যাদার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আপনি ছাড়া সত্য আর কোনো মাবুদ নেই, আপনি চিরঞ্জীব, আপনি মৃত্যুবরণ করবেন না, মৃত্যুবরণ করবে মানুষ ও জিন। (সহিহ বুখারি: ৭৩৮৩, সহিহ মুসলিম: ২৭১৭)
|