মিয়া আবদুল হান্নান : আজ মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ১০ রমজান ১৪৪৬ হিজরী । মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিনের রহমতের শেষ হলো আগামীকাল থেকে মাগফিরাতের ১০ দিন শুরু।
রাসূলুল্লাহ সাল্লুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা এমন এক মাস যে প্রথম দশ দিন রহমতে পরিপূর্ণ। মাঝের দশ দিন ক্ষমা ও মার্জনা লাভের জন্য এবং শেষ দশদিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের উপায়রূপে নির্দিষ্ট করা। কিছু মানুষ আছেন যারা তাকওয়া ও পরহেজগার সম্পন্ন এবং পাপ ও বর্জনীয় কাজ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে রোজা রেখে থাকেন। ফারসি শব্দ রোজার আরবি অর্থ হচ্ছে সওম, বহুবচনে সিয়াম। সওম বা সিয়ামের বাংলা অর্থ বিরত থাকা। ইসলামী শরীয়তে সওম হল আল্লাহর নির্দেশ পালনের উদ্দেশে নিয়তসহ সুবহে সাদিকের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকা। ২য় হিজরীর শাবান মাসে মদীনায় রোজা ফরজ সংক্রান্ত আয়াত নাজিল হয় “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হলো যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। যাতে তোমরা সংযমী হও”। (সূরা বাকারা, আয়াত-১৮৩)। রমজান মাসের ৩০ দিনের রোজার ৩০টি ফজিলত রয়েছে। দৈনিক এশিয়া বাণী পাঠকের জন্য প্রতিদিন রমজানের ফজিলত সম্পর্কে জানানো হয়। ১০ম রোজার ফজিলত সর্ম্পকে হাদিসে এসছে, রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যাণ দান করা হয়। (আল-হাদিস) হে আল্লাহ! তোমার প্রতি যারা ভরসা করেছে আমাকে সেই ভরসাকারীদের অন্তর্ভূক্ত কর। তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে শামিল করো সফলকামদের মধ্যে এবং আমাকে তোমার নৈকট্যলাভকারী বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করে নাও। হে অনুসন্ধানকারীদের শেষ গন্তব্য।
এছাড়া, হাদিস শরীফে আরো এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল সাল্লুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন রমজানের প্রথম রাত আসে শয়তান ও অবাধ্য জিনদের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয়। দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই খোলা হয় না। বেহেশতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। অতপর এর কোনো দরজাই বন্ধ করা হয় না। রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লুল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানের জন্য বেহেশত সাজানো হয় বছরের প্রথম থেকে পরবর্তী বছর পর্যন্ত। তিনি বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম দিন উপস্থিত হয় বেহেশতের গাছের পাতা হতে আরশের নিচে বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুরদের প্রতি বিশেষ হাওয়া প্রবাহিত হয়। তখন তারা বলে, হে পালনকর্তা! আপনার বান্দাদের মধ্য হতে আমাদের জন্য এমন স্বামী নির্দিষ্ট করুন যাদের দেখে আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদের দেখে তাদের চোখ জুড়াবে। হে আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জৎ আপনি রহমতের ১০ দিনকে কবুল করে আমাদের যতো ভুল অন্যায় ও গুনাহগারী মাফ করে দিন, আমীন।
|