বিশেষ প্রতিবেদক: বিগত ৫৩ বছরের ইতিহাসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারে গিয়েছে যারা জনগণের জন্য কাজ করার পরিবর্তে দেশে লুটপাটের মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিলো। গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন বাংলাদেশে আপনারা খোজ করবেন কোন দল মানবিক ভাবে আপনাদের জন্য কাজ করছে। এটি খুঁজে বের করা কঠিন বিষয় না। জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে ভালো রাজনৈতিক দলকে আপনাদের খুজে বের করতে হবে। ত ফ্যাসীবাদি সরকার দূর্নীতি, লুটপাট ও অর্থ পাচার করে দেশের অর্থ ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন সময় এসেছে, দূর্নীতি বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিন বলে দাবি করেছেন অধ্যাপক ড. একেএম ওয়ারেসুল করিম।
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)`র উদ্যোগে চলমান গণইফতার কার্যক্রমের ১১তম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন। পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে কর্ণেল অব হেলাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন এর সঞ্চালনায় গণইফতারে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ উর্দু স্পিকিং রাইটস মুভমেন্ট এর প্রেসিডেন্ট ওয়াসি আহমেদ ওয়াসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালেদ হাসান, এবি পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক আবু হেলাল, তথ্য ও গবেষণা সহ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, লালমনিরহাটের আশরাফুল আলম মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক রাফিউর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ওয়ারেসুল করিম বলেন, এবি পার্টিকে দেখছেন অনেক কষ্ট করে আপনাদের জন্য গণ ইফতারের আয়োজন করছে। যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করবে না, চাঁদাবাজি করবে না,টেন্ডার বাজি করবে না, এমন দলকে আপনারা ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন, এবি পার্টিই হচ্ছে সেই রকম একটা দল যাদেরকে দিয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ উর্দু স্পিকিং রাইটস মুভমেন্ট এর প্রেসিডেন্ট ওয়াসি আহমেদ ওয়াসি বলেন, বাংলাদেশে অনেক সরকার আসছে কিন্তু আমাদেরকে কোন সরকারই মানবিক মর্যাদা দেয়নি, আমাদেরকে অবহেলা করেছে প্রতিটি সরকার। বাংলাদেশ উর্দু স্পিকিং রাইটস মুভমেন্ট এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালেদ হাসান বলেন, আমাদের ইতিহাস ৫৩ বছরের লাঞ্চনার ইতিহাস, আমাদের কোন অধিকার ছিলো না, আমাদেরকে আদালতের মাধ্যমে নাগরিক অধিকার নিতে হয়েছে। আমাদের জন্মও এখানে অথচ আমাদের সাথে কি অবিচারই না করা হয়েছে। আমাদের যাবতীয় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো, অথচ মানুষের জন্মের কারো হাত থাকে না। সভাপতির বক্তব্যে পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর লে. কর্ণেল (অব) হেলাল উদ্দিন উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের মেহমান। আমাদের এই গণইফতার নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক একটা সাড়া ফেলেছে। এবি পার্টি আপনাদেরকে নাগরিক তৈরি করার প্রচেষ্টা করছে, একটা কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে কাজ করছে। বাংলাদেশের মানুষ নাগরিক হয়ে উঠলেই কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজ সহজ হয়ে যাবে। নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে এবি পার্টি আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছে, সেই আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে পাশে থাকার আহবান জানান তিনি। এবি পার্টি জাতপাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশী কে ধারণ করে। এবি পার্টি স্বাধীনতা যুদ্ধে আটকা পরা উর্দু ভাষাভাষীদের মানুষের পাশে থাকবেন বলে উর্দু ভাষাভাষীদের নের্তৃত্বের প্রতি আশ্বস্ত করেন তিনি। গণ ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, এবিএম খালিদ হাসান , ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা) শাহজাহান ব্যাপারী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব বারকাজ নাসির আহমাদ , স্বেচ্ছাসেবা ও জনকল্যাণ বিষয়ক সহ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, যুবপার্টির দফতর সম্পাদক আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সহ সম্পাদক শাহিনুর আক্তার শিলা, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, শরন চৌধুরী,মশিউর রহমান মিলু, সহঃ অর্থ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক ও সহঃ প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, আজাদুল ইসলাম আজাদ, পল্টন থানার আহবায়ক মুন্সি আব্দুল কাদের, যাত্রাবাড়ী থানা আহবায়ক আরিফ সুলতান সহ কেন্দ্রীয়, মহানগরী, যুবপার্টি ও ছাত্রপক্ষের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
|