অ্যানড্রয়েড ও আইওএস স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সতর্কবার্তা। ফোন থেকে ছড়াতে পারে ভয়ংকর ভাইরাস। তাই ফোন ব্যবহারকারীদের সাবধান করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক লেবানন এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পেজার বিস্ফোরণের ভয়ংকর খবর ইতিমধ্যেই শুনেছেন সকলে। তারপর থেকে মোবাইল ফোন কিংবা স্মার্টফোন নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, ঠিক একই কায়দায় হাতের মুঠোফোনটিও বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে ইদানীং যে খবর আসছে, তা আরও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। আসলে যারা অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস ফোন ব্যবহার করছেন, তাদের সাবধান করছে ভারতের দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল।
মহামারি করোনাভাইরাসের সময়কালে এক অদৃশ্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। যা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষকে সংক্রমিত করেছে। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অনেকের।
সাইবার দুনিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, সাবধান না হলে ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ভাইরাসের কারণে ফোনে বিস্ফোরণ হতে পারে। অর্থাৎ ভাইরাস স্মার্টফোন নষ্ট করে ব্যবহারকারীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
দিল্লি পুলিশের সাইবার শাখার বিশেষজ্ঞ কিশলয় চৌধুরী দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ফোনে সিস্টেম হ্যাঙ্গিং, টাকা লোপাট কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। কিন্তু এখন আরও ভয়ংকর অবস্থা আসতে চলেছে। ফলে সাইবার বিশেষজ্ঞরাও এই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে চীন এবং জাপানে এমন কিছু ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে যে, অ্যানড্রয়েড কিংবা আইওএস স্মার্টফোনে পিডিএফ অথবা ইমেইলের মাধ্যমে এমন একটি ভাইরাস পাঠানো হচ্ছে, যা পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাক্টিভেট হচ্ছে। যা ফোনকে পুরোপুরি ভাবে নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি বিস্ফোরণ ঘটাতেও সক্ষম। এই পরিস্থিতিতে ফোন যদি হাতে থাকে, তাহলে কী কী হতে পারে, সেটা কল্পনা করা যাচ্ছে নিশ্চয়ই! এই ধরনের ভাইরাসের বিষয়ে সাবধানবাণী এসেছে অ্যানড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকেও। মূলত অজ্ঞাতপরিচয় কোনও পিডিএফ এলে তা না ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা। কারণ এটা ক্ষতিকর হতে পারে।
কোনও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর ফোনে অজানা নম্বর থেকে তার নামে কোনও পিডিএফ কিংবা ইমেইল এলে, তা ভুলেও ওপেন করা উচিত নয়। আসলে এর মাধ্যমে যে ভাইরাস পাঠানো হবে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে প্রমাণিত হতে পারে। সাইবার বিস্ফোরণ এবং সাইবার হামলার এই কৌশল অত্যন্ত আধুনিক। যদিও এখনও পর্যন্ত ভারতে এহেন ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু অন্যান্য দেশগুলোতে এহেন ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। তাই সাবধানের মার নেই।
|