ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদকে তার সততার জন্য সবাই শ্রদ্ধা করতেন। তিনি সবসময় গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। সবার কাছে একজন গ্রহণযোগ্য পণ্ডিত ছিলেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এমাজউদ্দীন আহমদ রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে এমাজউদ্দীন আহমদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল হাকিম বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ সত্যবাদী ও নৈতিকতাসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতেন। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিতেন না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার কারিগরও ছিলেন। তিনি সব সময় সত্য কথা বলতেন। কারও পছন্দ হোক বা না হোক, সত্য কথা বলে যেতেন। তার গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বজনীন। তাকে সবাই শ্রদ্ধা–সম্মান করতেন। এমাজউদ্দীন তার জীবদ্দশায় ৩৯টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে ৩০টি বাংলা ভাষায় ও ৯টি ইংরেজি ভাষায়। তিনি ১৫০টির বেশি প্রবন্ধ লিখেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাজী মো. মাহবুবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিরোধী দলের পাশে থেকে লড়াই করেছেন। সেই চেতনা যদি দেশের বেশির ভাগ বুদ্ধিজীবীর থাকত, তবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হতো না, চব্বিশে এত রক্ত দিতে হতো না। তাকে স্মরণ করতে চাইলে আমাদের গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এমাজউদ্দিন আহমদ রিসার্চ সেন্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম বলেন, এমাজউদ্দীন আহমদ কোনো দল, গোষ্ঠী বা পক্ষের রাজনীতি করেননি। তিনি ছিলেন স্বকীয় ধারায় একজন বুদ্ধিজীবী, যিনি গণতন্ত্রকে একটি জাতির জীবনকাঠি মনে করতেন। তার এ স্বাতন্ত্র্য সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। তার বাড়ি আক্রান্ত হয়েছে এবং তার পরিবার অন্যায় ও অনাচারের শিকার হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজম সওদাগর, সাংবাদিক নেতা কবি আবদুল হাই শিকদার, এমাজউদ্দীন আহমদের ছেলে জিয়া হাসান প্রমুখ।
|