আজকাল অধিকাংশ মা-বাবাই চাকরি করেন। কর্মব্যস্ততার কারণে সন্তানকে তেমন সময়ই দেওয়া হয় না। আর সন্তানকে সময় না দিলে দূরত্ব বাড়বেই। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চলতে থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই যতই কর্মব্যস্ততা থাকুক না কেন, সন্তানের জন্য অবশ্যই সময় বের করতে হবে।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারে অফিসের ব্যস্ততা সামলে কীভাবে সন্তানকে সময় দেবেন। চলুন সেই উপায়ই জেনে নিই-
অফিসের কাজ সারুন দ্রুত
কিছু মানুষ অফিস সামলাতে সামলাতে অফিসকেই বাসা বানিয়ে ফেলেন। তারা সারাদিন অফিসে কাটান। এরপর বাড়ি ফিরে বিধ্বস্ত হয়ে ঘুমাতে চলে যান। এতে বাচ্চার জন্য আলাদা সময় বের করা সম্ভব হয় না। তাই সবার আগে অফিসের রুটিন ঠিকঠাক করে সাজান। সেই অনুযায়ী দ্রুত কাজ করুন। তাহলে সময়মতো কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে আসতে পারবেন। আর সন্তানকেও সময় দিতে পারবেন।
অফিসের কাজ বাড়িতে নয়
অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করা উচিত। কেউ কেউ বাড়িতেও অফিসের কাজ বয়ে আনেন। সারাদিন অফিস করার পর বাড়ি এসেও বসেন অফিসের কাজ নিয়ে। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। এই বদ অভ্যাসের জন্যই বেশিরভাগ মানুষ সন্তানকে সময় দিতে পারেন না। কাজের বোঝা অফিসেই রেখে আসুন। বাড়িতে এসে সন্তানকে সময় দিন। তার সঙ্গে গল্প করুন, খেলুন। এতে তার সঙ্গে দূরত্ব কমবে।
বাড়িতে ফিরে মোবাইল নয়
সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে বাড়িতে এসে অনেকেই মোবাইল নিয়ে বসে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলতে থাকে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক আর ইউটিউব স্ক্রলিং। অনেকেই আবার ওয়েব সিরিজ চালিয়ে সময় কাটান। কিন্তু সন্তানকে সময় দেন না। এই ভুলেই বাড়ে বিপদ। তাই অফিস থেকে ফেরার পর সন্তানকে যতটা সম্ভব সময় দিন। তাকে পড়াতে পারেন, তার সঙ্গে খেলতে পারেন কিংবা তাকে নিয়ে পার্কেও যেতে পারেন। মোবাইল ছেড়ে শিশুকে বেশি সময় দিন। এতে পরিস্থিতি অনুকূলে আসবে।
একসঙ্গে খাবার খান
সারাদিন কাজের জন্য সময় পান আর না পান, রাতে ঘরে ফেরার পর সবাই মিলে একসঙ্গে খেতে বসুন। খেতে খেতে সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহ একে অপরকে বলুন। ভালোর পাশাপাশি খারাপ কী ঘটেছে, সেটাও জানান। এতে দেখবেন ধীরে ধীরে সন্তানও আপনার সঙ্গে তার মনের অন্দরের কথা ভাগ করে নেবে। কমবে দূরত্ব।
উইকএন্ডে ঘুরতে যান
পুরো সপ্তাহটা কেটে যায় কাজের চাপে। পুরো সপ্তাহ সময় না পেলেও ছুটির দিনটি একসঙ্গে কাটান। এই দিন তাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। বাড়িতে থাকলে খেলাধুলায় মেতে উঠতে পারেন। তাহলেই দেখবেন সন্তানের সঙ্গে আপনার দূরত্ব কমবে। আর আপনি তার কাছাকাছি চলে আসবেন।
|