বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে বাঁচতে হলে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। কারণ বারবার চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করলে হাতে থাকা জীবাণু সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে অপরিচ্ছন্ন হাত থেকে জীবাণুগুলো খাবার ও পানীয়তে প্রবেশ করে। তাই মুখে-চোখে হাত দেওয়ার আগে বা খাওয়ার আগে ও পরে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া জরুরি।
আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। প্রতিবছর ১৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ‘গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং দিবস’। রোগ প্রতিরোধ ও জীবন বাঁচানোর কার্যকর ও সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতার লক্ষ্যেই পালিত হয় এই দিবস।
নিয়মিত হাত ধুলে কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমে? ১. সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়াজনিত রোগ ৩০ শতাংশ কমে যায়। ২. এই অভ্যাস তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে। ৩. কলেরা, ইবোলা, শিগেলোসিস, সার্স, হেপাটাইটিস ই ও কোভিড-১৯ এর মতো প্রাদুর্ভাব-সম্পর্কিত প্যাথোজেনগুলোর সংক্রমণ কমাতে হাত ধোয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৪. হাত পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বিস্তার কমে। ৫. গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমে। ৬. হাসপাতাল থেকে ছড়ানো বিভিন্ন সংক্রমণ (এইচএআইএস) এর বিস্তার রোধ করে। ৭. শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস স্কুলে অনুপস্থিতির হারও কমাতে পারে। ৮. নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস থাকলে উত্পাদনশীলতাও বৃদ্ধি পায়। ৯. স্কুলছাত্রীদের মধ্যে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিতি ২৯-৫৭ শতাংশ কমে। ১০. ছোট থেকেই শিশুর হাত ধোয়ার অভ্যাস তার বিকাশ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
সংসারে অর্থ নিয়ে অশান্তি এড়াতে করণীয় অ্যালার্জি থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে? কখন হাত ধোবেন? >> খাবার তৈরির আগে ও পরে >> খাবার খাওয়ার আগে ও পরে >> বমি বা ডায়রিয়ায় অসুস্থ এমন রোগীর যত্ন নেওয়ার আগে ও পরে >> কাটা বা ক্ষত চিকিৎসার আগে ও পরে >> টয়লেট ব্যবহারের পর >> ডায়াপার পরিবর্তনের পর বা টয়লেট ব্যবহার করা শিশুকে পরিষ্কার করার পর >> নাক পরিষ্কারের সময়, কাশি বা হাঁচির সময় মুখে হাত দিলে >> প্রাণীকে সংস্পর্শ করলে বা তাদেরকে খাওয়ানো ও বর্জ্য পরিষ্কারের পর >> আবর্জনা স্পর্শ করার পর >> চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করার আগে >> মাস্ক স্পর্শ করার পরে >> জনবহুল স্থান থেকে ফিরে
এছাড়া দরজার হাতল, টেবিল, গ্যাস পাম্প, শপিং কার্টসহ বিভিন্ন পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর সাবান-পানি বা ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বেশ কয়েকটি গবেষণার তথ্যের ভিত্তিতে হাত ধোয়ার মূল সময়ের এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান-পানি দিয়ে ভালে করে হাত ধুতে হবে।
কীভাবে হাত ধোবেন? ১. প্রথমে হাত পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ২. তারপর সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে হাতের পেছনে, আঙুলের ফাঁকে ও নখ ভালো করে পরিষ্কার করুন। ৩. কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত স্ক্রাব করুন। ৪. এবার পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিন। ৫. সবশেষে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করে হাত শুকনো করে মুছে নিন।
সূত্র: সিডিসি
|