কিংস্টন টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টি হয়নি। অথচ খেলা শুরু হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ৫ ঘণ্টা পর। জ্যামাইকায় আগের রাতে ভারী বর্ষণে সাবিনা পার্কে পানি জমেছিল। উইকেট ভেজা না থাকলেও আউটফিল্ড ভেজা ছিল পুরোপুরি। সেজন্য খেলার টস হয় দেরিতে। খেলা শুরুও হয় দেরিতে। খেলা হয়েছে এক সেশন। ৩০ ওভার ব্যাটিং করে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৯ রান। টানা চার ইনিংসে ব্যর্থতার পর পুনরায় হাফসেঞ্চুরি করেন বাঁ হাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম। তবে গতকাল দ্বিতীয় দিনে ১৩৭ বলে ৬৪ রান করে আউট হয়ে যান সাদমান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত টাইগাররা প্রথম ইনিংসে ৭১.৫ ওভারে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৬৯ টেস্টের ১২৮ ইনিংসে ১৭ বার শূন্য করেছেন; যা বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক শূন্য রানের রেকর্ড। রেকর্ডটি গড়তে মুমিনুল পেছনে ফেলেছেন আরেক অধিনায়ক ও টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলকে। আশরাফুল শূন্য মেরেছেন ৬১ টেস্টের ১১৯ ইনিংসে ১৬ বার। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক শূন্যের রেকর্ড জ্যামাইকার ‘লোকাল হিরো’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক ও ফাস্ট বোলার কোর্টনি ওয়ালশের। ১৩২ টেস্টের ১৮৫ ইনিংসে শূন্য মেরেছেন ৪৩ বার। নর্থ সাউন্ডে পঞ্চম দিন সকালে হেরে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হেরেছিল ২০১ রানে। হারলেও অসাধারণ বোলিং করেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সাবিনা পার্কে টেস্টটি বাংলাদেশের দুই টেস্ট ম্যচ সিরিজে সমতা আনার। সিরিজে সমতা আনতে মিরাজ বাহিনী একাদশে দুটি পরিবর্তন আনে। ওপেনার জাকির হাসানের পরিবর্তে খেলার সুযোগ পান সাদমান ইসলাম। খেলার সুযোগ পেয়েই ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে আস্থার প্রতিদান দেন বাঁ হাতি ওপেনার। ১০০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। ২০ টেস্টে এটা সাদমানের পঞ্চম সেঞ্চুরি। বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের জায়গায় সুযোগ পান ‘স্পিড স্টার’ নাহিদ রানা। দুই পরিবর্তন নিয়ে টস জেতেন টাইগার অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়ে পাঠান দলকে। দলীয় ১০ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন মাহামুদুল হাসান জয় ৩ ও মুমিনুল হক ০ রান করে। শূন্য রান করার পথে নতুন রেকর্ড গড়েন মুমিনুল। ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার কেমার রোচের উইকেটের বাইরের বল খেলে উইকেটরক্ষক ডি সিলভার গ্লাভসবন্দি হন সাবেক অধিনায়ক। মাত্র ৬ বল টিকে ছিলেন। এর আগে সর্বাধিক ১৬ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন আশরাফুল। ১৩ বার করে শূন্য রানে আউট হয়ে তালিকায় যৌথভাবে ৩-এ আছেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
মুশফিক ১৩ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন ১৭৪ ইনিংসে, তাইজুল ৮৬ ইনিংসে এবং খালেদ ২৬ ইনিংসে। সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ১২ বার, তামিম ইকবাল, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও খালেদ মাসুদ পাইলট ১১ বার করে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। স্পেশালিস্ট ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ বার আউট হয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মারভান আতাপাত্তু। চলতি বছর বাংলাদেশের পক্ষে ১০ টেস্টের ১৯ ইনিংসে চারবার শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল।
প্রধান সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: তাজুল ইসলাম
প্রধান কার্যালয়: ২১৯ ফকিরের ফুল (১ম লেন, ৩য় তলা), মতিঝিল, ঢাকা- ১০০০ থেকে প্রকাশিত ।
ফোন: ০২-৭১৯৩৮৭৮ মোবাইল: ০১৮৩৪৮৯৮৫০৪, ০১৭২০০৯০৫১৪
Web: www.dailyasiabani.com ই-মেইল: [email protected]