ক্রিকেটে টাইগারদের প্রিয় ফরম্যাট হলো ওয়ানডে। আর এই ফরম্যাটেই বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা সহজ ভাবে নিতে পারেনি লিটন-মিরাজরা। তাই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছে টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮০ রানে হারিয়ে এই সফর শেষ করল বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) আগে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১০৯ রানে গুঁটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এতে ৮০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন ব্যান্ডন কিং। ৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন জাস্টিন গ্রেভস। ইনিংস বড় করতে পারেননি নিকোলাস পুরানও।
১০ বলে ১৫ রান করেন তিনি। খালি হাতে ফেলেন রোস্টন চেজও। এরপর ২৩ রান করে জনসন চালর্স রান আউট হলে দলীয় ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা। এরপর রভম্যান পাওয়েল (২), গুঁড়াকেশ মোতি (১২), আলজারি জোসেফ ১ রান করে উইকেট মিছিলে যোগ দেন।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন রোমারিও শেফার্ড। ২৭ বলে ৩৩ রান করে এই ডান হাতি ব্যাটার আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪ রান করে ওবেদ ম্যাকয় আউট হলে ২০ বল হাতে থাকতে ১০৯ রানে গুঁটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। এতে ৮০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ
বাংলাাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ এবং মাহেদী হাসান নেন দুটি করে উইকেট। এ ছাড়াও তানজিম সাকিব এবং হাসান মাহমুদ শিকার করেন একটি উইকেট।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন দাস। ১৩ বলে ১৪ রান করেন টাইগার অধিনায়ক। তবে অপর প্রান্ত থেকে ২১ বলে ৩৯ রান করেন পারভেজ ইমন। ৯ বলে ৯ রান করে তাকে সঙ্গ দেন তানজিদ তামিম।
তবে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন জাকের আলী। ২৩ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী। রান আউটে কাটা পড়েন শেখ মাহেদী। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন জাকের।
শেষ দিকে ১২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তানজিম সাকিব। আর জাকেরের ৪১ বলের অপরাজিত ৭২ রানে ভর করে করে ১৮৯ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন রোমারিও শেফার্ড। এ ছাড়াও আলজারি জোসেফ, রোস্টন চেজ ও মুড়াকেশ মোতি।
|