নিজস্ব প্রতিবেদকঃ টেকনাফ মডেল থানার জামে মসজিদ নির্মাণ করে সম্প্রীতির এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিত কুমার বড়ুয়া। ওনার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন টেকনাফ থানার কর্মকতা কর্মচারী ও সাধারণ মুসল্লীরা।
এদিকে টেকনাফ মডেল থানার নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন জামে মসজিদ স্থাপনকারী অত্র থানার বিদায়ী ওসি বর্তমানে- সহকারী পুলিশ সুপার , ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ , চট্টগ্রামে কর্মরত রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, মুসুল্লিরা সুন্দর ভাবে প্রতিনিয়িত নামাজ পড়তে পারছে, এই আমার জন্য বড় আনন্দের। আমি খুব খুশি হয়েছি কারন আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়েছে। এই মসজিটি নির্মাণে স্থানীয় জনগন ছাড়াও উক্ত থানায় কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যরাও নিরলস ভাবে আমাকে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এই মসজিদ নির্মাণ করার সময় আমাকে সার্বিক সহযোগীতা করে ছিলেন সাবেক মেম্বার মরহুম আলহাজ্ব আবুল কালাম ও সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ।
স্থানীয় মুসল্লীরা বলেন, সাবেক ওসি রনজিত বড়ুয়া একজন অসম্প্রদায়িক মানুষ, টেকনাফ থামার মসজিদ নির্মান করে ওনি বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত নামাজ আদায় করে ওনার জন্য দোয়া করি।
ধর্মের ঊর্ধ্বে থেকে মসজিদ নির্মাণ করে তিনি অসাধারণ মানুষের পরিচয় দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে গভীর সংহতি ও জাতীয় ঐক্য ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যবদ্ধ হয়ে ব্রিটিশদের বিতাড়িত করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সেজন্যই ১৯৭২ সালের সংবিধানে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে পথ চলতে শুরু করে।
রনজিত বড়ুয়ার পুলিশ ক্যারিয়ারে ৩০ বছরের বর্ণাঢ্য জীবন। এসআই থেকে পরিশ্রম করে ওসি। চাকরিজীবনে কক্সবাজার সহ চট্টগ্রাম বিভাগের খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ তিনি চট্টগ্রাম ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত আছেন।তাছাড়া তিনি বিভিন্ন সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি একজন সফল মানুষ। তিনি ১ মেয়ে ও ১ ছেলের গর্বিত পিতা । মেয়ে মনীষা এম বি বি এস ডাক্তার । মেয়ে জামাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর এবং একমাত্র ছেলে সেনাবাহিনীর কমিশন র্যাংকে ( বি এম এ লং কোর্স ) প্রশিক্ষণরত। স্ত্রী মিসেস শেলী বড়ুয়া একজন নারী উদ্যোক্তা ।
|