জেলা প্রতিনিধি : শীতের জেলা হিসেবে পরিচিত উত্তরের পঞ্চগড়ে কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছিল। তবে গতকালের তুলনায় আজকে তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে উঠে গেছে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। উত্তরের হিমেল হওয়া বিরাজমান এবং কুয়াশায় চাদরে ঢেকে থাকছে পুরো জেলা। যদিও কুয়াশা ভেদ করে সকালের সূর্য উঁকি দিয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াশার কারণে জেলায় বিভিন্ন সড়কে রাত্রিকালীন চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতেও দেখা গেছে। সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পঞ্চগড়ের চারপাশ। এসময়ে হালকা হিমেল হাওয়া ও শীত অনুভূত হয়। তবে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা মেলে সূর্যের। দিনের বেলা ধীরে ধীরে সূর্য উত্তপ্ত হয়। থাকে গরম আবহাওয়া। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে আবারও সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শীতের প্রভাব।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপট জেলায় এখনও বৃদ্ধি না পেলেও দিনদিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবে।
এদিকে শীতের কারণে বাড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগী বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার তাপমাত্রা বর্তমানে ১১ ঘরে অবস্থান করছে। আজ সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে হিমালয়ের কাছাকাছি এ উপজেলাটির অবস্থান হওয়ায় এখানে অন্যান্য এলাকা থেকে শীতের প্রকোপ একটু বেশি হয়ে থাকে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।
|