অনলাইন ডেস্ক : গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে দরপতন চললেও দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে এডিএন টেলিকম। এই কোম্পানিটির শেয়ার এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকায় সপ্তাহজুড়েই দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে কোম্পানিটি।
গত সপ্তাহজুড়ে এডিএন টেলিকমের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ১৯ টাকা ৮০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৭ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭৭ টাকা ৫০ পয়সা।
শেয়ারের এমন দাম বাড়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ গত মাসে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা এক টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।
এর আগে ২০২১ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তলিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪৬ লাখ ৫১ হাজার ৬৬৬টি।
এর মধ্যে ৫১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ২৬ দশমিক ১৭ শতাংশ শেয়ার আছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২০ দশমিক ২৮ শতাংশ। বাকি এক দশমিক ৯৯ শতাংশ আছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে।
এদিকে, শেয়ারের দাম বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৪৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
গত সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাজিংয়ের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ৭৭ শতাংশ। ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স।
এছাড়া দাম বাড়ার শীর্ষ দশে স্থান করে নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যারামিট লিমিটেডের ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের ১৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজের ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ, কেডিএস এক্সসরিজের ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সোনালী পেপারের ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং রহিমা ফুডের ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।
|